User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_৩ মাসঃ আগস্ট পর্বঃ৩ (রিভিউ নং-৩) বইঃ তপস্বী ও তরঙ্গিনী লেখকঃ বুদ্ধদেব বসু ধরণঃ বাংলা নাটক প্রথম প্রকাশঃ এপ্রিল ১৯৬৬ প্রকাশনীঃ বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র প্রচ্ছদঃ ধ্রুব এষ পৃষ্ঠাঃ ৮৭ মুদ্রিত মূল্যঃ ১১০ রকমারি লিঙ্কঃ https://www.rokomari.com/book/73927/tapaswi-o-tarangini ________________________ নাটকের প্রধান পাত্র-পাত্রী :- ঋষ্যশৃঙ্গ, বিভাণ্ডক, তরঙ্গিনী, লোলাপাঙ্গী, শান্তা, অংশুমান, চন্দ্রকেতু। ---------- কাহিনী সংক্ষেপ:- তপস্বী ও তরঙ্গিণী’র কাহিনী ও পটভূমিতে রয়েছে ভারতীয় পুরাণ। বিশ্বখ্যাত মহাকাব্য ‘রামায়ণ’ ও মহাভারত’-এর কাহিনী অবলম্বন করে বুদ্ধদেব রচনা করেছেন আধুনিক নাটক। এটি প্রথম সার্থক নাটক। নগরে খরা, অনাবৃষ্টি, দুর্যোগ, দুর্ভিক্ষ লেগেই আছে। রাজ্যের মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে। নগরের বাইরে বনের মধ্যে এক তরুণ-তপস্বী থাকে, তাকে নগরে নিয়ে আসতে পারলে নগরীর সব দুঃখ দুর্দশা দূর হয়ে যাবে। তাই রাজা লোমপাদের মন্ত্রীর নির্দেশে তরঙ্গিণীর মতো সুন্দরী পতিতাকে পাঠানো হয় ঋষ্যশৃঙ্গের মনে কামভাব জাগিয়ে তুলে শহরের নিয়ে আসার কাজে। বিনিময়ে তরঙ্গিণী ও তার মা লোলাপাঙ্গীকে ‘দশ সহস্র স্বর্ণমুদ্রা আর যান, শয্যা, আসন, বসন, স্বর্ণালঙ্কার, সিংহলের মুক্তা, বিন্ধ্যাচলের মরকতমণি’ উপহার প্রদানের আশ্বাস দেয়া হয়। তরঙ্গিণী প্রথমে রাজি না হলেও মায়ের অনুরোধে রাজি হয়। সঙ্গদের নিয়ে তরঙ্গিণী জঙ্গলমধ্যে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। মা তাকে শিখিয়ে দেয় পুরুষের মনোহরণের কৌশল। পরিকল্পনামতো তরঙ্গিণী তাঁর কার্যসাধনে সফল হয়। জন্ম থেকে আশ্রমে লালিত, নারী ও কাম সম্পর্কে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ তরুণ-তপস্বী ঋষ্যশৃঙ্গকে যখন তরঙ্গিণী নিয়ে এলো রাজধানীতে তখন দেশে বৃষ্টিপাত হলো, দুর্ভিক্ষ ও দুর্যোগের অবসান হলো। রাজা তাঁর মেয়ে শান্তাকে ঋষ্যশৃঙ্গের মতো নিষ্ঠাবান সাধকের সঙ্গে বিয়ে দিতে চান। সুন্দরী তরঙ্গিণীর প্রতি সদ্য জেগে-ওঠা প্রেম-কামনা সত্ত্বেও কৌমার্যভ্রষ্ট ঋষ্যশৃঙ্গের সঙ্গে বিয়ে হলো রাজকুমারী শান্তার। নাটক এভাবেই জমে ওঠে। তরঙ্গিণী তাঁর দায়িত্ব পালন শেষে পতিতালয়ে ফিরে যান। ঋষ্যশৃঙ্গ যান রাজগৃহে। রাজকন্যা শান্তাকে বিয়ে করেন। একটি সন্তানেরও জন্ম দেন। মহারাজ তাঁর জামাতা ঋষ্যশৃঙ্গকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করার ঘোষণা দেন, এ উপলক্ষ্যে রাজ্যব্যাপী রাজ্যশ্রী যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। এদিকে রাজ্যের যাবতীয় অভাব মোচন হয়েছে। খরা দূর হয়েছে, বৃষ্টি নেমেছে, ফসল হয়েছে। জনগণের ধারণা এর সকল কিছুই ঋষ্যশৃঙ্গের দান। তাই তাঁর রাজা হওয়ার ঘোষণায় দেশবাসী খুশি। কিন্তু তরঙ্গিণীর মন ভালো নেই। ছলনায় বশ করে প্রেমের অভিমান করে সে ঋষ্যশৃঙ্গকে ভুলিয়ে শহরে এনেছে রাজাজ্ঞ পালন করতে। কিন্তু নিজেই হয়ে পড়েছেন প্রণয়াকাঙ্ক্ষী। সারাক্ষণ আনমনা ও নিষ্কর্মা পড়ে থাকতে দেখে মা লোলাপাঙ্গী উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এবং ঋষ্যশৃঙ্গ-এর কাছে গিয়ে মেয়ের এ অবস্থা থেকে মুক্তির আকুল আবেদন জানায়। তরঙ্গিণীও এসে ঋষ্যশৃঙ্গ-এর কাছে এসে নিজের প্রেমের কথা অকপটে স্বীকার করে। শান্তা ও চন্দ্রকেতু তরঙ্গিণীর এই স্পর্ধা দেখে বিস্মিত হয়। অংশুমান তার নিজের কথায় ফিরে যেতে ব্যাকুল হয়। লোলাপাঙ্গী তাঁর মেয়ের অসুস্থতা প্রমাণের সুযোগ পান। কিন্তু ঋষ্যশৃঙ্গ সকলকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়ে অকপটে স্বীকার করেন যে এই তরঙ্গিণীই তাঁর আকাঙ্ক্ষিত। শান্তাকে কুমারীত্ত্ব ফিরিয়ে দিয়ে শান্তার পূর্বপ্রেমিক অংশুমানের কাছে তাকে সমর্পণ করলেন। তাঁর বাবা বিভাণ্ডক তাকে আশ্রমে ফিরিয়ে নিতে এসেও ব্যার্থ হলো। তারপর ঋষ্যশৃঙ্গ চেনা পৃথিবীর অচেনা অজানা পথের উদ্দেশ্যে গৃহত্যাগী হলেন... পাঠ প্রতিক্রিয়া:- এক কথায় অসাধারণ। পুরাণের একটা ক্ষুদ্র অংশকে এমন হৃদয় বিদারকভাবে ফুটিয়ে তোলা খুবই কঠিন কাজ। আর এই কঠিন কাজকে বাংলা সাহিত্যে দুইজন মানুষ স্বার্থকভাবে সফল করেছেন তার একজন হলেন বুদ্ধদেব বসু আর অন্যজন হলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। রিভিউটা একটু বড় হয়ে গেলো তবুও মনে হচ্ছে অনেক কথাই বলার বাদ রয়ে গেলো। এত চমৎকার একটা বই এত কম কথায় তুলে আনা সম্ভব নয়। আশাকরি সবাই নাটকটি একবার হলেও পড়বেন... -আহমেদ সবুজ