Our User Product Reviews

#রকমারি_বইপোকা_ রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই- ডার্কফল লেখক- ডিন কুইন্টিজ অনুবাদ- তানজিম রহমান ধরণ- হরর, রহস্য, থ্রিলার, রোমাঞ্চ প্রকাশনী- বাতিঘর . অদ্ভুত উপায়ে খুন হয়ে যাচ্ছে শরের সব কুখ্যাত অপরাধীরা। এটা কী কোন পাগল খুনির কাজ, না শহরে গ্যাং-ওয়ার শুরু হয়েছে? শহরের মাফিয়াদের পিছনে লেলিয়ে দিয়েছে নরক থেকে আসা এক অশুভ শক্তি যেটা ওদের ধ্বংস করে দেওয়ার আগে থামবে না। কে যেন প্রবল আক্রোশে কারমাতজা পরিবারের বিশাল মাফিয়া সাম্রাজ্য গুঁড়িয়ে দিতে চায়। খুনগুলো হচ্ছেও খুব নৃশংশ ভাবে। প্রত্যেকটা লাশের গায়ে একাধিক কামড়ের দাগ এবং সেগুলো বিভৎসভাবে ছিন্নভিন্ন করা। এই কেসের তদন্তে নামে ডিটেক্টিভ জ্যাক ডওসন আর রেবেকা চ্যান্ডলার, যারা পরস্পরের প্রতি অদ্ভুত এক অনুরাগের অনুভূতিতে আবদ্ধ। তাঁরা কেউ এ রহস্যের জট ছাড়াতে পারছিলে না। আড়াল থেকে কে যেন কলকাঠি নেড়ে একেরপর এক করে যাচ্ছে ঠাণ্ডা মাথায় খুন, যে ধরা ছুয়ার বাইরে। খুনগুলো সংঘটিত হয় সব বদ্ধ ঘরগুলোতে, যেটা মানুষের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। তখন বেরিয়ে আসে বাবা লাভেল নামে এক বোকোরের, ভুডু জাদুকর বা তান্ত্রিক দিয়ে শত্রুদের শেষ করে দিচ্ছে। সে নরক থেকে ডেকে এনেছে কিছু ছোট আকৃতির ভয়ঙ্কর হিংস্র প্রাণী। তারাই ঘটিয়ে চলেছে এসব হত্যাকান্ড। এই প্রাণীগুলোকে লাভেল লেলিয়ে দেয় ডিটেক্টিভ ডওসনের মেয়ে পেনি আর ছেলে ডেভিকে খুন করার জন্য। ডওসন নিজেও জানে না সে এক বিশাল ক্ষমতার অধিকারী যাকে ভয় পায় লাভেলার মতো নরকের পিশাচও। সে কি পারবে নিজের ভেতরে লুকিয়ে থাকা শক্তি জাগিয়ে তুলে লাভেলাকে ধ্বংস করতে? তখনই জমে ওঠে নরকের খেলা। জানতে হলে পড়তে হবে ডিন কুইন্টিজের বিখ্যাতা বই ডার্কফল। . টানটান উত্তেজনা শ্বাসরুদ্ধ করে দেওয়ার মতো এক গল্প, পাঠককে নিয়ে যাবে রহস্যময় পৃথিবীতে।

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা। বই- ডার্কফল। লেখক- ডিন কুইন্টিজ। অনুবাদ- তানজিম রহমান। ধরন- হরর, ফ্যান্টাসি, অ্যাকশন। প্রকাশনী- বাতিঘর। প্রধান চরিত্র- জ্যাক ডওসন, রেবেকা চ্যান্ডলার, লাবেল। খুব ভয়ঙ্কর ভাবে খুন হয়ে যাচ্ছে মাফিয়ার লোকেরা। পুলিশ কোনো কূল কিনারা করতে পারছেনা। প্রতিটা খুন হচ্ছে বিভৎস ভাবে। মৃতদেহগুলো দেখলে মনে হয় কোনো ইদুর গোষ্ঠীর শক্তিশালী প্রাণী ভিক্টিমকে আক্রমন করেছিলো। মৃতদেহগুলোর দিকে তাকানো যায় না এমন অবস্থা করে ছেড়েছে। উক্ত কেসগুলো সমাধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিটেক্টিভ জ্যাক ডওসন ও ডিটেক্টিভ রেবেকা চ্যান্ডলারকে। প্রথমে মনে হয় মাফিয়ারা কেউ একের বিরুদ্ধে অপরে লেগেছে। কিন্তু খুনের মোটিভগুলো সেরকম কিছুই ইঙ্গিত করেনা। জ্যাক ও রেবেকা তদন্ত চালিয়ে যায়। এবং পরবর্তীতে ওরা আবিষ্কার করে এক ভুডু ম্যাজিশিয়ান প্রতিশোধ স্বরুপ ব্ল্যাক ম্যাজিকের মাধ্যমে নরকের শয়তানদের ব্যবহার করে বিভৎস এই হত্যাকান্ড চালাচ্ছে। একটা প্রতিশোধ নিতে চায় সে মাফিয়ার বিরুদ্ধে। অত্যন্ত কঠোর, ভয়ঙ্কর এক প্রতিশোধ। এই ভুডু ম্যাজিশিয়ান এতোই শক্তিশালী যে জ্যাক ও রেবেকার তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বলতে গেলে কিছুই থাকেনা। অন্যান্য ম্যাজিশিয়ানরাও তার নাম শুনলে ভয়ে জ্যাক ও রেবেকাকে সাহায্য করতে চায় না। এদিকে মাফিয়া লীডারও তাদের চাপ দিচ্ছে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব খুনীকে গ্রেফতার করতে। সেইসাথে তারা নিজেরাও খুজে যাচ্ছে। কিন্তু কারো কাছে সামান্যতম ক্লুও নেই। ওদিকে জ্যাকের ভুডু থিওরী কেউ বিশ্বাসও করতে চায় না। জলে কুমীর ডাঙায় বাগের অবস্থা হয় দুই ডিটেক্টিভের। তারওপর এক ফোন আলাপের মাধ্যমে জ্যাক ও ম্যাজিশিয়ান লাবেলের মধ্যে ব্যাপারটা ব্যাক্তিগত শত্রুতায় গিয়ে পৌছে। যারফলে লাবেল জ্যাকের ছেলে ও মেয়েকে লক্ষ্যবস্তু বানায়। কি করে ঠেকাবে ভুডু ম্যাজিশিয়ানকে জ্যাক ও রেবেকা? বইটা মোটামুটি। হররের সাথে অ্যাকশনের সংমিশ্রন। অন্যান্য হররের চেয়ে কিছুটা আলাদা। তবে এসব কাহিনীর শেষটা সবসময় কেমন সিনেমাটিক হয়। ভিলেন হবে শক্তিশালী কিন্তু তাও নায়কের কাছে পরাজিত হবে, ভালো লাগেনা। আমার ধারনা পড়ার সময় বেশীরভাগ পাঠকই লাবেলকে সমর্থন দেবেন। কেনোনা তার কাজ ভালোই ছিলো। সে যাকগে, বাস্তবে এসব যেহেতু বিশ্বাস করি না তাই এসব নিয়ে এতো আলোচনারও প্রয়োজন পড়ে না। ভুডু বইতেই থাকুক। হরর পাঠকরা আশা করি মজা পাবেন। রেটিং- ৪.২০/৫.০০

এটা আমার পড়া ডিন কুন্টজের প্রথম বই আর তানজীম রহমানের প্রথম অনুবাদ। একটা রসালো ও সুস্বাদু হরর থৃলারের অভিজ্ঞতা লাভের আশায় বইটা শুরু করেছিলাম, কিন্তু শেষ তক আমাকে একরকম হতাশই হতে হয়েছে। বইটিতে একইসাথে সিরিয়াল কিলিং, ভুডু জাদু, এবং দুই পুলিশ অফিসারের প্রেমের ঘটনার সংমিশ্রন ঘটেছে। শহরের বুকে একের পর এক খুন হয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী ও সাধারণের চোখে ঘৃন্য ড্রাগ ডিলাররা। কে যেন প্রবল আক্রোশে কারমাতজা পরিবারের বিশাল মাফিয়া সাম্রাজ্য গুঁড়িয়ে দিতে চায়। খুনগুলো হচ্ছেও খুব নৃশংশ ভাবে। প্রত্যেকটা লাশের গায়ে একাধিক কামড়ের দাগ এবং সেগুলো বিভৎসভাবে ছিন্নভিন্ন করা। এই কেসের তদন্তে নামেন ডিটেক্টিভ জ্যাক ডওসন আর রেবেকা চ্যান্ডলার, যারা পরস্পরের প্রতি অদ্ভুত এক অনুরাগের অনুভূতিতে আবদ্ধ। তাঁরা কেউ এ রহস্যের জট ছাড়াতে পারছিলেননা। খুনগুলো সংঘটিত হয় সব বদ্ধ ঘরগুলোতে, যেটা মানুষের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। তখন।বেরিয়ে আসে বাবা লাভেল নামে এক বোকোরের (ভুডু জাদুকর বা তান্ত্রিক) হাত আছে এর পেছনে। সে নরক থেকে ডেকে এনেছে কিছু ছোট আকৃতির ভয়ঙ্কর হিংস্র প্রাণী। তারাই ঘটিয়ে চলেছে এসব হত্যাকান্ড। এই প্রাণীগুলোকে লাভেল লেলিয়ে দের ডিটেক্টিভ ডওসনের মেয়ে পেনি আর ছেলে ডেভিকে খুন করার জন্য। তখনই জমে ওঠে শেষ নাটক। বইটির শেষটা পড়ে আমার মনে হয়েছে, লেখকের খুব তাড়াহুড়া ছিলো। ভুডু তন্ত্রের চর্চার বর্ণনাও খুবই অপ্রতুল বলে মনে হয়েছে। আর, অনুবাদ প্রসঙ্গে বলতে গেলে, অনুবাদক একই অধ্যায়ে নানা রকমের সিচুয়েশন টেনে এনেছেন, কিন্তু প্যারাগুলোতে বিরতি ভালোভাবে না টেনেই। অধ্যায়গুলোও খুব বড় মনে হয়েছে। অনুবাদক ইচ্ছা করলেই ভিন্ন ভিন্ন সিকোয়েন্সের প্যারাগুলো একটু গ্যাপ দিতে লিখতে পারতেন। যাই হোক, অনুবাদের মান মোটামুটি ভালো। ভবিষ্যতে আরো ভালো মান আশা করছ