User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ক্ষুদ্র স্কেলে পদার্থের যে ব্যাপক প্রয়োগ সেটা সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকেরই ন্যূনতম কিছু জানা থাকা চাই। প্রযুক্তি, প্রযুক্তি পণ্য, মোবাইল, কম্পিউটার, ট্যাবলেট, ক্যামেরা ইত্যাদিতে আমাদের সবার মাতামাতি। কিন্তু এইসব জিনিসগুলো ঠিক কিভাবে কাজ করে সেটা নিয়ে তেমন কথাবার্তা কমই দেখা যায়। এতে খুব একটা দোষ দেয়া যায় না, পত্র-পত্রিকা সাইটগুলো এসব পণ্যের দর-দাম, সুবিধা, অসুবিধা, আপডেট নিয়েই আলোচনা করে। এদের ভিতরের বিজ্ঞানটা নিয়ে মাতামাতি হয় কম। সেই ভেতরে থাকা বিজ্ঞানটাই আলোচনা করেছেন “ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী” তার “কেলাসের কথা” নামের বইয়ে। আসলে তিনি যে প্রযুক্তিপণ্যের বিজ্ঞান নিয়ে লিখেছেন তা বললে ভুল হবে। তিনি একদম মূল থেকে শুরু করেছেন। আণবিক স্তরের কাজ করতে হলে যে জিনিসগুলো মৌলিক, যে জিনিসগুলো জানতে হবেই সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। বইটির সমস্ত আলোচনাই আণবিক স্তর, ক্ষুদ্র স্তর নিয়ে। মূলত প্রাত্যহিক জীবনের প্রায় সকল ঘটনাই আণবিক স্তরে সংঘটিত হয়। সেই সবেরই আলোচনা, সমস্যা, প্রশ্ন, ব্যাখ্যা ইত্যাদি আলোকপাত করা হয়েছে। কঠিন পদার্থের গুণাবলী নিয়ে লেখকের লেখা সিরিজ “সলিড স্টেট সিরিজে”র প্রথম বই কেলাসের কথা। কেলাসের কথা শুধু কঠিন অবস্থাই নয় তরল বায়বীয় সকল অবস্থারই আলোচনা। ছোট আঁকারের পেপারব্যাক বইটি কোনো এক ট্রেন ভ্রমণে অনায়াসেই পড়ে শেষ করে ফেলা যায়। মোট পাঁচটি অধ্যায়ে বিভক্ত এই বইটিতে আছে ১. বিশ্বজগতের সংঘটক উপাদান সমূহ; ২. কেলাসের গঠন; ৩. অপবর্তনের বিষয়-আশয়; ৪. পরমাণুর গঠন; ৫. তাপের রহস্য। শেষে আছে বইটির আলোচনায় দরকারি টীকা বা নোটস। অণু-পরমাণু কেলাস নিয়ে এর আগে যে সকল প্রথিতযশা লেখকেরা লিখেছিলেন তিনি তাদের লেখা এখানে রেখেছেন। যেমন রাশিয়ার বিজ্ঞানী লানদাউ ও কিতাইগারোদস্কির বই থেকে এবং আমাদের মেঘনাদ সাহার প্রবন্ধ থেকে কিছু অংশ তুলে দেয়া হয়েছে। লেখক মেঘনাদ সাহার প্রবন্ধটি পরিমার্জিত ও প্রমিত বানানে পরিবর্তিত করে দিয়েছেন। এই বইয়ে আলোচিত হয়েছে অণু-পরমাণু, তাদের ইতিহাস, স্ফটিক, আলোক, কণা, ব্যতিচার, অপবর্তন, পরমাণুর বন্ধন, ইলেকট্রন, তাপ, তাপ ধারকত্ব, বিকিরণ, কৃষ্ণ বস্তু, গ্যাস, গ্যাসের সূত্র, এই ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীদের কর্ম, ডুলং পেটির সূত্র, ইত্যাদি। কফির মগে চুমুক দিয়ে একটা লম্বা বৈঠকেই পড়ে শেষ করে ফেলা যাবে এই বই। কিংবা মাঝারি একটা ট্রেন ভ্রমণের অবসরে এই বইয়ের মাধ্যমে আণবিক স্তরের অনেক কিছুই জানা হয়ে যাবে। ছোট আঁকারের পেপারব্যাকের এই প্রচেষ্টা অবশ্যই সাধুবাদ পাবার যোগ্য। বাংলা ভাষায় আরও আরও অনেক পেপারব্যাক বিজ্ঞানের বই স্বল্পমূল্যে প্রকাশিত হোক এই শুভকামনা করি। রিভিটা আমার একটা a href="https://www.facebook.com/notes/316633288486035" ফেসবুক নোট /a থেকে কেটে ছেটে দিয়েছি।