Our User Product Reviews

প্রথমেই গণজাগরণ মঞ্চকে অভিনন্দন, এদেশের স্বনামধন্য, প্রথিতযশা ২৪ জন বিদগ্ধ লেখকের লেখনিকে এক মলাটবন্দী করার প্রয়াসের জন্য। নানা পেশা ও মতের কণ্ঠকে একই সুরে বেধেছে গণজাগরণমঞ্চ। সত্যি এ এক অসাধারণ, অনন্য উদ্যোগ। প্রতিটি লেখনির মাঝেই স্পষ্ট হয়েছে যে, ৫ই ফেব্রুয়ারীর গণজাগরণ কোন আকস্মিক ঘটনা বা কোন রাজনৈতিক দলের নেপথ্য ইন্ধনপ্রাপ্ত গণজমায়েত বা সমাবেশ ছিল না। বরং বাঙালির ৫২, ৬৬, ৬৯ আর ৭১এর আপোষহীন, প্রতিবাদী আর সংগ্রামী চেতনাই অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকভাবেই এদিনটিতে উন্মোচিত হয়েছিল আরেকটিবার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঋদ্ধ তরুণ প্রজন্ম ৪২ বছরের পূর্বপুরুষের দায়মোচনের প্রবল দায়িত্ববোধে জাগ্রত হয়ে প্রতিবাদে মুখর হয়ে নেমেছিল রাজপথে। তাই ফেব্রুয়ারীর সেই গণজাগরণ আর আজকের গণজাগরণমঞ্চ এদেশের কোটি মানুষের মনের নিভৃতে থাকা দেশপ্রেমেরই বহিঃপ্রকাশ। প্রতি লেখায়ই গত ১ বছরে গণজাগরণমঞ্চের সাফল্য, সীমাবদ্ধতা আর ধারাবাহিক কার্যক্রম, সর্বোপরি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মঞ্চের সাহসী, উদ্যোগী ভূমিকা ও এর তাৎপর্যের কথা সাবলীলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। তাই এই গ্রন্থটি কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে। সবকিছু ছাপিয়ে বইটি পড়ে সাকলেই গণজাগরণের শুরু এবং মঞ্চের ১ বছরের পথচলা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা পাবে এবং উপকৃত হবে। শুভেচ্ছা, অভিনন্দন বইটির সম্মানিত সম্পাদনা পর্ষদের প্রত্যেক সদস্য এবং সম্পাদককে। যারা প্রজ্ঞা, শ্রম ও সৃজনশীলতার সংমিশ্রণে সমৃদ্ধ একটি বই পাঠকদের হাতে তুলে দিয়েছেন।

এক কথায় শাহবাগের ইতিকথা, তরুনের প্রাণের কথা । ধন্যবাদ সকল লেখকদের, ধন্যবাদ ইমরান এইচ সরকারকে, ধন্যবাদ গণজাগরণ মঞ্চকে । জয় বাঙলা

বাংলাদেশ এক স্বপ্নপতাকার নাম। দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাসের সঙ্গে সঙ্গে রক্তদানের ধারাবাহিকতা মিশে আছে দেশের অঙ্গে। যুগ যুগ ধরে এই দেশের মানুষ শুধু বাঁচার তাগিদে বেঁচে থাকেনি, সংগ্রাম করেছে, বিজয় অর্জন করেছে। বাংলাদেশ কেবল নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমেই আসেনি। এর পেছনে আছে দীর্ঘ মুক্তিসংগ্রাম। এই মুক্তিসংগ্রামকে অস্বীকার করার সাধ্য কারো নেই। যদি কেউ করে থাকে তবে ভেবে নিন এরা মুখোশধারি। মুখোশধারীরা প্রকৃত দেশপ্রেমিক হতে পারেনি কোনকালেই! একাত্তরের পরাজিত শত্রু পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হলেও তাদের রক্তের উত্তরাধিকার জামায়াত-শিবিরকে রেখে গেছে। গত চার দশকে তারা সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়েছে। মন্ত্রীত্ব পেয়েছে এবং এখনো রাজনীতি করছে। প্রজন্মের গণজাগরণের পর এখন সুযোগ আবারও তাদের বিতাড়িত করার। ২০১৩’র গণজাগরণ আন্দোলন রাজাকার কাদের মোল্লা’র যাবজ্জীবন রায়ের বিরুদ্ধে তারুণ্যের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ। শহীদ জননী জাহানারা ইমাম যে পথ দেখিয়ে গিয়েছিলেন সে পথ ধরেই চুড়ান্ত সফলতার দিকে আন্দোলন ক্রমে এগুচ্ছে। এই তারুণ্যের সাথে একীভূত হয়েছে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ; কার্যত যা গণজাগরণ। এই আন্দোলনের ফলে রাজাকার কাদের মোল্লার আপীলের বিরুদ্ধে আপীলের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। উচ্চ আদালতে আপীল পরবর্তী সময়ে ফাঁসির আদেশ এসেছিল এবং তা কার্যকর হয়েছিল ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের তরুণেরা নেতৃত্ব দিয়েছিল দেশ স্বাধীনে, এবার নেতৃত্ব দিচ্ছে রাজাকারদের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে। এই যুদ্ধের শেষ হবে না ততদিন যতদিন বাংলাদেশ থেকে সর্বশেষ রাজাকার নিশ্চিহ্ন হবে। ‘শাহবাগ : গণজাগরণ ও ইতিহাসের দায়’ বইটি উল্লেখযোগ্য কিছু লেখকের নিজস্ব বিশ্লেষণ। এটাই হয়ত দিনশেষে সর্বশেষ দলিল নয় তবে ইতিবাচক ব্যাপার ইতিহাসের কিছু অধ্যায় লিখিত হচ্ছে, হবেও এবং আরো। তেরো’র তারুণ্য গর্ব করে বলতে পারে তারা দেশকে রাজাকারমুক্ত করতে রাস্তায় নেমেছিল। মাথা উঁচু করে বলতে পারবে পরের প্রজন্মগুলোকে আমরা বাংলাদেশকে রাজাকারমুক্ত করতে চেয়েছি। গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে অনেকের খেদ এবং এলার্জি থাকতে পারে তবে এটা ইতিহাসের অংশ। গণজাগরণ ঘোষণা করছে- তারুণ্য হারেনি, তারুণ্য হারে না, তারুণ্য হারবেও না! তারুণ্যের অগ্নিস্ফুলিঙ্গে একদিন বাংলাদেশ রাজাকারমুক্ত হবে; হবেই! জয় বাংলা!

কোন বাড়তি তথ্যের বালাই নেই, নেই অপ্রয়োজনীয় কথার ঝুলি। শাহবাগ আন্দোলন কেন জরুরী ছিলো, শাহবাগ আন্দোলন কতোটা পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে কিংবা অদূর ভবিশ্যতে আনবে, নতুন কারও জন্য জানতে সাহায্য করবে এই বই। বইটি'র জন্য ইমরান এইচ সরকার এবং গণজাগরণ মঞ্চকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

শাহবাগের গনজাগরন বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অংশ হয়ে গিয়েছে। এই জাগরন আমাদের ইতিহাসকে কতটা সমৃদ্ধ করেছে তা এখন বুঝতে পারছিনা, কিন্তু বিশ বছর পরের আমি পেছন ফিরে ২০১৩ সালের দিকে তাকালে দেখতে পাব এ বছরটি কাছাকাছি আর দশটা-পনেরোটা বছরের থেকে অনেক বেশি আলাদা। শাহবাগ আন্দোলনই এই পার্থক্যটা তৈরী করেছে। গোটা দেশই একটু পাল্টে গিয়েছে। এই আলাদা সময়টাকে একটু আলাদা করে ধরে রাখার প্রয়োজন ছিল। গনজাগরন মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের মেধাবী পদক্ষেপের কারনে "শাহবাগ : গণজাগরণ ও ইতিহাসের দায়" বইটির মাধ্যমে সে কাজটি খুব সুন্দরভাবে করা হয়েছে। বইটির প্রকাশক-পরিবেশক সহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য শুভকামনা থাকলো।

বাঙ্গালীর হতাশার বেড়াজাল ছিঁড়ে উঠে দাঁড়ানোর ও দ্রোহের আগুনে নিজেকে পুড়িয়ে দাবী উত্থাপনের অন্যতম এক আন্দোলনকে দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবি ও লেখকেরা কে কোন দৃষ্টিতে দেখেছেন এই বইটি তারই সংকলন। সাথে আন্দোলনের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের ইতিহাসের দেয়ালচিত্রে লিখে যাওয়া এক অসামান্য প্রামান্য দলিল এই বইটি। প্রথম প্রকাশনা হিসেবে বইটি আরো সমৃদ্ধ ও বড় কলেবরে হতে পারতো, আসতে পারতো আরো কিছু আলোচনা ও না বলা কথা। তবু সমকালীন সময়কে ধরে রাখবার এই প্রয়াস প্রণিধানযোগ্য।

বাঙ্গালীর হতাশার বেড়াজাল ছিঁড়ে উঠে দাঁড়ানোর ও দ্রোহের আগুনে নিজেকে পুড়িয়ে দাবী উত্থাপনের অন্যতম এক আন্দোলনকে দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবি ও লেখকেরা কে কোন দৃষ্টিতে দেখেছেন এই বইটি তারই সংকলন। সাথে আন্দোলনের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের ইতিহাসের দেয়ালচিত্রে লিখে যাওয়া এক অসামান্য প্রামান্য দলিল এই বইটি। প্রথম প্রকাশনা হিসেবে বইটি আরো সমৃদ্ধ ও বড় কলেবরে হতে পারতো, আসতে পারতো আরো কিছু আলোচনা ও না বলা কথা। তবু সমকালীন সময়কে ধরে রাখবার এই প্রয়াস প্রণিধানযোগ্য।

বাঙ্গালীর হতাশার বেড়াজাল ছিঁড়ে উঠে দাঁড়ানোর ও দ্রোহের আগুনে নিজেকে পুড়িয়ে দাবী উত্থাপনের অন্যতম এক আন্দোলনকে দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবি ও লেখকেরা কে কোন দৃষ্টিতে দেখেছেন এই বইটি তারই সংকলন। সাথে আন্দোলনের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের ইতিহাসের দেয়ালচিত্রে লিখে যাওয়া এক অসামান্য প্রামান্য দলিল এই বইটি। প্রথম প্রকাশনা হিসেবে বইটি আরো সমৃদ্ধ ও বড় কলেবরে হতে পারতো, আসতে পারতো আরো কিছু আলোচনা ও না বলা কথা। তবু সমকালীন সময়কে ধরে রাখবার এই প্রয়াস প্রণিধানযোগ্য।

বাঙ্গালীর হতাশার বেড়াজাল ছিঁড়ে উঠে দাঁড়ানোর ও দ্রোহের আগুনে নিজেকে পুড়িয়ে দাবী উত্থাপনের অন্যতম এক আন্দোলনকে দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবি ও লেখকেরা কে কোন দৃষ্টিতে দেখেছেন এই বইটি তারই সংকলন। সাথে আন্দোলনের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের ইতিহাসের দেয়ালচিত্রে লিখে যাওয়া এক অসামান্য প্রামান্য দলিল এই বইটি। প্রথম প্রকাশনা হিসেবে বইটি আরো সমৃদ্ধ ও বড় কলেবরে হতে পারতো, আসতে পারতো আরো কিছু আলোচনা ও না বলা কথা। তবু সমকালীন সময়কে ধরে রাখবার এই প্রয়াস প্রণিধানযোগ্য।

এক কথায় শাহবাগ আন্দোলন আমাদের দায় মুক্তির একটি প্লাটফর্ম। দীর্ঘদিনের যে গ্লানি ও জীর্ণতা আমরা বয়ে বেড়াচ্ছিলাম, আমাদের নতুন প্রজন্ম সেটি থেকে বেড়িয়ে আসার একটা প্লাটফর্ম করে দেয়। নতুন প্রজন্ম নতুন উপায়ে এই প্লাটফর্মটি করে দিয়েছে। যেখানে অন লাইন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটা ভুমিকা রেখেছে। এর আগে অন্তত বাংলাদেশে কেও ভাবতে পারেনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এতোটা শক্তিশালী হতে পারে, যেটি শাহবাগ করে দেখিয়েছে। সব চাইতে বড় বিষয় হচ্ছে মধ্যবিত্ত, শিক্ষিত বাঙালি, রাজনীতি কিংবা সমসামিয়ক টানাপড়েন থেকে কেমন যেন দূরে সড়ে যাচ্ছিলো। শাহবাগ আন্দোলনের মাধ্যমে রাজপথে ও অন লাইনে এই মধ্যবিত্ত শিক্ষিত শ্রেণী আবারও জানতে ও বুঝতে চাইছে কি হচ্ছে, বা কি হতে যাচ্ছে কিংবা রাজনীতিই বা আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। চমৎকার এই বইটির জন্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

স্বপ্নের গনজাগরন আমাদের শিখিয়েছে কীভাবে দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে হয়। দেশকে ভালবেসে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়। জয় বাংলা। জয় শাহবাগ ।

ভেতো বাঙালির দুর্নাম ঘুচিয়ে বাংলার তরুন-যুবক একদিন পথে নেমেছিল। কারণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এই গরম রক্তে আজও বয়ে চলেছে।এই পথে নামা আজ শুধু রাজাকারের ফাঁসি চাওয়াতেই সীমাবদ্ধ নেই।ছড়িয়ে পরেছে জাতির আরোও বৃহত্তর সার্থে।এই উত্থানের সূচনার ইতিহাস, গণজাগরণ মঞ্চের সূচনার ইতিহাস খুবই সরল আকারে উঠে এসেছে বইটিতে।শাহবাগের পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে বইটি সঠিক ইতিহাস ধারন করে আছে।

প্রাপ্তির খেরোখাতা মেলে ধরলেই বুঝি দেশের জাগ্রত তরুণেরা অস্ফুট কন্ঠে যে শব্দ সৃষ্টি করেছিল, দুনিয়া কাঁপানো সেই শব্দের আমোঘ অজেয় বানী কাঁপিয়েছে দাপিয়েছে সারা পৃথিবীর মানচিত্রে। টুকরো করে লেখা সেই সশব্দ গর্জনের কিছু ইতিহাস, সত্য ইতিহাস এই বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে। এই ইতিহাস আলোর ইতিহাস, এই ইতিহাস বিক্ষিপ্ত অন্ধকার রাত কাটিয়ে এক নতুন ভোরের ইতিহাস, এই ইতিহাস দায়মুক্তির, " শাহবাগ : গণজাগরণ ও ইতিহাসের দায় " জয় সুনিশ্চিত জেনো,জেগে আছে শাহবাগ। জয় বাংলা।

অনলাইনের তরুণ প্রজন্মকে মাঠে নামিয়ে বাংলার সর্বস্তরের মানুষকে ৭১ এর মত আরেকবার জাগ্রত করেছিলো এই গণজাগরণ। তরুণদের হাত ধরেই এই গণজাগরণ মঞ্চের সৃষ্টি এবং তরুণরাই চেতনার মশাল জ্বালিয়ে জনতাকে রাজপথে নামিয়ে এনেছে 'রাজাকারের সর্বোচ্চ শাস্তি আর দেশবিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন জামাত-শিবির নিষিদ্ধ' করার মত এক ও অভিন্ন দাবীতে। প্রজন্মের যে জাগরণ যাত্রা আজ দিকে দিকে শুরু হয়েছে তা বাঙালি জাতির জন্য এক আলোকবর্তিকা, আর আমাদের কাছে ইতিহাসের দায়মোচন। এই সংকলনটিতে আছে দেশের প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবীদের লেখা যারা জাগরণ যাত্রার সহযোদ্ধা। আর এই সহযোদ্ধাদের বিশ্লেষণধর্মী লেখা আমাদের প্রজন্মকে শুধু পথই দেখাবে না আমাদের নিয়ে যাবে কাংখিত লক্ষ্যে। তাই একবারের জন্য হলেও এই বইটি পড়ে আমাদের প্রজন্মের জানা উচিত এই গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন এবং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁদের ভাবনা। জয় আমাদের হবেই- জয় বাংলা

শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে বেশ কিছু বই লেখা হয়েছে, ভবিষ্যতে আরও হবে। এই বইটা আন্দোলন থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। এটায় লিখেছেন দেশের বরেণ্য অনেক বুদ্ধিজীবী যারা আন্দোলনটিকে বেশ কাছে থেকে দেখেছেন। বিশ্লেষণগুলি গভীর। সবারই পড়া দরকার।

বাঙ্গালীর হতাশার বেড়াজাল ছিঁড়ে উঠে দাঁড়ানোর ও দ্রোহের আগুনে নিজেকে পুড়িয়ে দাবী উত্থাপনের অন্যতম এক আন্দোলনকে দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবি ও লেখকেরা কে কোন দৃষ্টিতে দেখেছেন এই বইটি তারই সংকলন। সাথে আন্দোলনের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের ইতিহাসের দেয়ালচিত্রে লিখে যাওয়া এক অসামান্য প্রামান্য দলিল এই বইটি। প্রথম প্রকাশনা হিসেবে বইটি আরো সমৃদ্ধ ও বড় কলেবরে হতে পারতো, আসতে পারতো আরো কিছু আলোচনা ও না বলা কথা। তবু সমকালীন সময়কে ধরে রাখবার এই প্রয়াস প্রণিধানযোগ্য।

গনজাগরন মঞ্চ হচ্ছে জাতির চেতনার মঞ্চ। ১৯৭১ এর পরাজিত শক্তিরা যখন এদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছিলো তখনই আবির্ভাব হয় গনজাগরন মঞ্চের। গনজাগরন মঞ্চের কারনেই জাতি প্রথমবারের মত কলঙ্কমুক্ত হয় কাদের মোল্লার ফাঁসির মাধ্যমে। ৫ই ফেব্রুয়ারী ২০১৩ গনজাগরন মঞ্চের জন্ম। এই মঞ্চ কখনো বিলীন হবে না। কারন এই মঞ্চ আছে মানুষের মনে, সত্ত্বায়, জীবনে।। জয় বাংলা; জয় মুক্তিযুদ্ধ; জয় প্রজন্ম; জয় তারুন্য; জয় শাহবাগ।।

শাহবাগ : গণজাগরণ ও ইতিহাসের দায় আমি মনে করি শাহবাগ আন্দোলন সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের তরুণ প্রজন্মের এই বইটি পরা উচিৎ। এই বইটিতে আমাদের দেশের ২৫জন বরেণ্য ব্যক্তির ২৫টি লেখা রয়েছে। যেখানে শাহবাগ আন্দোলনের অতীত ও বর্তমান সম্পর্কে সূস্পষ্ট ধারণা দেয়া আছে।