Our User Product Reviews

best❤️❤️❤️science fiction

ek kothay onek Valo chilo.suspense khub Valo chilo

বইটি আসলেই অনেক ভালো।বইটি পড়ে কেও হতাশ হবে বলে আমি মনে করি না।<3

Nice

অনেক ভালো বইটি

?❤️❤️

Great Book

ek kothay awesome

#সপ্তর্ষি_রকমারি_বুকরিভিউ_প্রতিযোগ রিভিউকারীঃ মোঃ মুজাহিদ হাসান সিফাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানঃ নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ জেলাঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ই-মেইলঃ [email protected] বইয়ের নাম: এনিম্যান লেখকের নাম: ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ক্যাটাগরিঃ বুক রিভিউ জাফর ইকবাল স্যারের "এনিম্যান" বইটি ২০১৪ সালে প্রকাশিত হয়। কাহিনী মূলত লিডিয়া ও তিষার মাধ্যমে অগ্রসর হয়েছে। আমেরিকান মেয়ে লিডিয়া উচ্চাভিলাষী। কিন্তু অদম্য ইচ্ছাশক্তি রয়েছে। যার কারণে অসম্ভব সৃজনশীলতার প্রকাশ পায় তার মধ্যে। তার বুদ্ধিমত্তা অন্যদের তুলনায় অনেক গুণ বেশি। অপরাধ করতে দ্বিধা করে না কখনো লিডিয়া। অন্য দিকে তিষা সহজ-সরল স্বভাবের মেয়ে। বাবা-মার শান্ত-শিষ্ট মেয়ে তিষা। "এনিম্যান" গল্পে দেখা যায় ভিন্ন ভিন্ন পথ। দুইটি ভিন্ন পথের একদিকে মানব ক্লোনিং করে এনিম্যান বানিয়ে সেটা বাজারজাত করার মধ্য দিয়ে যে ঘৃণ্য এবং পাষাণ হৃদয়ের মানসিকতা দেখানো হয়েছে। বিপরীতে তিষা, টুইটি, এনিম্যানের মধ্য দিয়ে নম্র মানবিকতা, সরলতা, স্নেহ, ভালোবাসার বিষয়টিও দেখানো হয়েছে। যেমনঃ রাত্রি বেলা যখন সবাই ঘুমিয়ে গেছে তখন বাসায় ছাদে উঠে তিষা কালপুরুষের কাছে তাকিয়ে থাকল। অনেক তারা জ্বল জ্বল করছে, তার মাঝে একটা নিশ্চয়ই মিশকা। তিষা ফিস ফিস করে বলল, "ভালো থেকো মিশকা।" সবাইকে পড়ার আমন্ত্রণ রইলো! ©Mujahid Hasan

Onk vhalo.Boi paisi before the estimated delivery time.Boi tao onk vhalo

this book. is so Joss..

অত্যন্ত সুন্দর একটি সাইন্স ফিকশন । পড়লে আফসোস হবে না ।

Valo legese boi ti pode. Grib desher Meyeder gorve onno projatir vruun dhukie sishu der anondo dewer joonno ba khelar sathi hisabe ek prokar praani jonmo dewoa hoto jeta sompurno nisiddho kaj. taka ebong khomotar bol e ei nisiddho kaj e korto ek bishal commercial company. jar sompapti ghote tader sristo praani er maddhomei

বিজ্ঞান, পোষা প্রাণী ও মনবতার উপর ভিত্তি করে লেখা অসাধারণ একটি বই

It was the one of the best science fiction book I have ever read in my life .

খুবই চমৎকার গল্প। পুরোটা ঘটনা আমেরিকায়। বাংলাদেশি তিষা তার বাবা মায়ের সাথে ছোট বেলায় আমেরিকা পারি জমায়। ওখানের স্কুলে তার পড়াশোনা। খুবই সুখি পরিবারে তিষার দিন ও ভালো কাটছিল। হঠাৎ একটা দূর্ঘটনা সব উলট পালট করে দেয় তিষার পরিবারের। খুব ডেঞ্জার মেয়ে 'লেডিয়া'। তাকে একটা এজেন্সি ফুসলিয়ে তাদের ক্রু বানিয়ে নেয়। এতো ক্ষমতাধর একটা এজেন্সি, যারা পুরো দুনিয়াই বিস্তার করছে। তাদের কে খুব চমকে দিয়ে লেডিয়া অনেক অল্প দিনে সুপার পজিশনে পৌছে যায়। আর নেতৃত্ব দেয় পুরো একটা টীমের। লেডিয়া একটা বিগ প্রজেক্ট তৈরী করে এজেন্সির হয়ে। তারা এই প্রজেক্ট থেকে বিপুল পরিমানের লাভ পেয়ে যায়। কারণ এটি প্রায় মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছিলো। আর তারা এভাবেই সাফল্য পেয়ে বসে। এতো বড় একটা ধাক্কা সামলিয়ে তিষা অনেক টা নরমাল হয়ে ফিরে আসে। স্কুলের বন্ধু, টিচার সবাই তাকে ভালোবেসে বরণ করে নেয়। এর মধ্যে তিষা বুঝতে পরে পুরোরো দুনিয়া একটা ভুলের পেছনে দৌড়াচ্ছে। তিষা কোন ভাবে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী এজেন্সি টির প্রজেক্ট এর পেছনের এক মহা সত্যের সন্ধান পেয়ে বসে। এতে তাকে সাহায্য করে তার স্কুলের (বন্ধু) ব্রিলিয়ান্ট ছেলে জন। আমেরিকান এই ছেলেটি বাকহীন। সাইন ল্যান্গুয়েজ এ কথা বলে। তিষা আর জন কে লেডিয়া মারার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। কিন্তু লেডিয়া দমে যায়নি। সে তাদের পুরো ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে জন আর তিষা কে ধরে ফেলে। এবং তাদের মেরে ফেলার প্ল্যান করে। কি হয়েছে পুরো গল্পটাতে। এবং শেষে কি হবে! জানতে হলে বইটা পড়ে ফেলুন। লেখক খুবই চমৎকার একটা প্লটে লেখেছেন গল্পটি। আর এতে এসেছে অনেক উন্নত যন্ত্রপাতির চিন্তাভাবনা। যে গুলো পড়লে আপনি অবাক না হয়ে পারবেন না।

The title itself is self explanatory. Animan comes from the words 'Animal' and 'Human'. It's about when you combine these living beings. The concept is unique, but I think we read a similar concept in Zafar Iqbal's another short story. Anyway, the science fiction doesn't only focus in this concept, there are a lot of well-thought out messages in this novel. It shows a lot of humane things and presents how corporations and secret agencies are secretly ruling our capitalistic world. Very good novel by the way. Recommended.

Very nice book.This is one of the best science fiction I have ever readen.There story is about a company who is doing an inhuman project.They are converting baby childrens into robot.They have removed the sense organ.The baby always laugh either it is painful or pleasure.One girl has found the mystery of this.Comparatively it is a nice book to read.

এনিমেল এর এনি এবং হিউম্যান এর ম্যান। এনিম্যান৷ নাম দেখেই বোঝা যায় জিনিসটা কি। মানুষ আর পশুর সংমিশ্রণে তৈরি করা এক প্রজাতিই হল এনিম্যান। মানুষের দৈনিক কাজের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সাদা চামড়ার মানুষেরা এই আজব প্রজাতির উদ্ভাবন করে। বইটিতে সায়েন্সকে বাস্তবের সাথে মিলানোর প্রচেষ্টা করা হয়েছে৷ কিন্তু উচ্চ পর্যায়ের সায়েন্স ফিকশনের কথা চিন্তা করলে বইটিকে সায়েন্স ফিকশন বলা ঠিক হবে কি না তা নিয়ে এক বিতর্কের সৃষ্টি হবে। যদিও বাচ্চারা বইটি পড়ে আনন্দ পেতে পারে কিন্তু বড়রা অর্থাৎ বিজ্ঞান মনস্করা বইটি পড়ে কিছুটা হতাশ হতে পারেন।

স্যারের সবগুলো বইই অসাধারণ।এই বইটিও তার ব্যাতিক্রম নয়।বইটি খুব ভালো লেগেছে।যারা পড়বেন আশা করি তাদেরও ভালো লাগবে।

আমি সোজাসুজি বলছি অন্য যে কারও বই হলে অসাধারন বলতাম। আসলে স্যারের অনেক ভালো বই পড়ে আমরা অভ্যস্ত। "এর পর কি হতে পারে?",পুরো বই এ এরকম অনুভুতি খুব কম হয়েছে ।

# রহস্যময়_বিজ্ঞান_জগত ও # রকমারি_ডট_কম # বুক_রিভিউ_কনটেস্ট এমন কোটি কোটি মানব শিশু জন্ম নেবে যার লোমশ শরীর, লম্বা কান, হাতে পায়ে ভর দিয়ে হাটে। তাহলে কি হবে....? আচ্ছা আপনি একবার ভাবুন তো আপনাকে কেউ খুবই যন্ত্রণা দিচ্ছে, লোহার রড গরম করে ছ্যাকা দিচ্ছে তারপরও আপনি খিলখিলিয়ে হাসছেন। যিনি আপনাকে অত্যাচার করছে সে জানে আপনি এত অত্যাচারেও আনন্দিত কিন্তু শুধু আপনি জানেন কান্নার অনুভূতিটাও হাসির মাধ্যমেই দিচ্ছেন। যন্ত্রণা পেয়ে আপনার ইচ্ছা হচ্ছে প্রান ভরে কাদতে, চিৎকার করতে কিন্তু আপনি সেটা পারছেন না কান্নার বদলে আসছে শুধুই হাসি। অথচ আপনি কাদছেন কিন্তু আপনার কান্না যন্ত্রণা কেউ বুঝতে পারছেনা। সত্যিই কি এমন কেউ নেই যারা এই এনিম্যানদের আসল চেহারা উদঘাটন করতে পারে......? আছে ,দুজন আছে। একজন তিষা আর অন্যজন "জন "। তিষার জন্ম বাংলাদেশে হলেও বতর্মানে আমেরিকায় বাবা মায়ের সাথে থাকে। বাবা মা দুজনেই ভীষন ব্যাস্ত। একদম একা হওয়ার কারনে বাবা তাকে ছোট্ট একটা কুকুর এনে দেয়। পরবর্তীতে এই কুকুরটাই তিষার জীবন বাঁচায় নিজের জীবন দিয়ে। সেটা এক মর্মদন্তু কাহিনী ...সবাই যখন ভাবছিলো তিশার বেচে থাকার আর কোন আশা নেই তখন তিষা বেচে উঠল। সবাই ভীষন খুশী সেই আনন্দে তিষা গিফট পেলো এনিম্যান। পৃথিবীতে মানুষ যেমন কুকুর পোষে ঠিক তেমনি বর্তমানে এনিম্যান পোষে। অনেকেই দাবী করেন এর জন্ম মায়ের গর্ভে কিন্তু যারা তৈরী করেছে তারা দাবী করে এটা কৃত্রিম ভাবে তৈরী। তবে তিষা এনিম্যানের অবাক করা কিছু বিষয় টের পায় কেন জানি তার মনে হয় এটা মানব শিশু এবং এর পেছনে রয়েছে অনেক বড় রহস্য, সেই রহস্য মিশকা ছাড়া আর কেউ খুলতে পারবে না, মিশকা হল তিষার পোষা এ্যানিম্যান। কিন্তু মিশকা তো কথা বলতে পারে না এমনকি সোজা হয়ে দাড়াতেও পারেনা বলে হাতে পায়ে হাটে। স্মৃতি শক্তি এতটাই দুর্বল যে একটু আগের বিষয় মাথা থেকে চলে যায়। তাহলে কিভাবে তিষা এই অজানা রহস্য উদঘাটন করবে? মূল চরিত্রে জন নামে একজন দিয়েছি, অথচ তার কোন ঘটনা লিখলাম না। লিখলাম না এ কারনে যে সে গল্পে অনেক বড় টুইস্ট। টুইস্ট বিষয়ে কোন কথা আমি আগেভাগে বলতে চাইনা তবে এতটুকু বলবো কাহিনীতে জনের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। কাহিনী আমার ভালো লেগেছে সেইসঙ্গে গল্পের শেষটায় আমি কোন নতুনত্ব পাইনি। যারা পড়বেন কিংবা পড়েছেন তারা জানেন এরকম ভাবে কাহিনী শেষ তিনি অন্য গল্পেও করেছেন। যাইহোক আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে। By ‎Ian Holmes

#বিস্তারিত_রিভিউ : আচ্ছা আপনি একবার ভাবুন তো আপনাকে কেউ খুবই যন্ত্রণা দিচ্ছে, লোহার রড গরম করে ছ্যাকা দিচ্ছে তারপরও আপনি খিলখিলিয়ে হাসছেন। যিনি আপনাকে অত্যাচার করছে সে জানে আপনি এত অত্যাচারেও আনন্দিত কিন্তু শুধু আপনি জানেন কান্নার অনুভূতিটাও হাসির মাধ্যমেই দিচ্ছেন। যন্ত্রণা পেয়ে আপনার ইচ্ছা হচ্ছে প্রান ভরে কাদতে চিৎকার করতে কিন্তু আপনি সেটা পারছেন না কান্নার বদলে আসছে শুধুই হাসি। অথচ আপনি কাদছেন কিন্তু আপনার কান্না যন্ত্রণা কেউ বুঝতে পারছেনা। সত্যিই কি এমন কেউ নেই যারা এই এনিম্যানদের আসল চেহারা উদঘাটন করতে পারে......? আছে ,দুজন আছে। একজন তিষা আর অন্যজন "জন "। তিষার জন্ম বাংলাদেশে হলেও বতর্মানে আমেরিকায় বাবা মায়ের সাথে থাকে। বাবা মা দুজনেই ভীষন ব্যাস্ত। একদম একা হওয়ার কারনে বাবা তাকে ছোট্ট একটা কুকুর এনে দেয়। পরবর্তীতে এই কুকুরটাই তিষার জীবন বাঁচায় নিজের জীবন দিয়ে। সেটা এক মর্মদন্তু কাহিনী ...সবাই যখন ভাবছিলো তিশার বেচে থাকার আর কোন আশা নেই তখন তিষা বেচে উঠল। সবাই ভীষন খুশী সেই আনন্দে তিষা গিফট পেলো এনিম্যান। পৃথিবীতে মানুষ যেমন কুকুর পোষে ঠিক তেমনি বর্তমানে এনিম্যান পোষে। অনেকেই দাবী করেন এর জন্ম মায়ের গর্ভে কিন্তু যারা তৈরী করেছে তারা দাবী করে এটা কৃত্রিম ভাবে তৈরী। তবে তিষা এনিম্যানের অবাক করা কিছু বিষয় টের পায় কেন জানি তার মনে হয় এটা মানব শিশু এবং এর পেছনে রয়েছে অনেক বড় রহস্য, সেই রহস্য মিশকা ছাড়া আর কেউ খুলতে পারবে না, মিশকা হল তিষার পোষা এ্যানিম্যান। কিন্তু মিশকা তো কথা বলতে পারে না এমনকি সোজা হয়ে দাড়াতেও পারেনা বলে হাতে পায়ে হাটে। স্মৃতি শক্তি এতটাই দুর্বল যে একটু আগের বিষয় মাথা থেকে চলে যায়। তাহলে কিভাবে তিষা এই অজানা রহস্য উদঘাটন করবে????? মূল চরিত্রে জন নামে একজন দিয়েছি, অথচ তার কোন ঘটনা লিখলাম না। লিখলাম না এ কারনে যে সে গল্পে অনেক বড় টুইস্ট। টুইস্ট বিষয়ে কোন কথা আমি আগেভাগে বলতে চাইনা তবে এতটুকু বলবো কাহিনীতে জনের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। কাহিনী আমার ভালো লেগেছে সেইসঙ্গে গল্পের শেষটায় আমি কোন নতুনত্ব পাইনি। যারা পড়বেন কিংবা পড়েছেন তারা জানেন এরকম ভাবে কাহিনী শেষ তিনি অন্য গল্পেও করেছেন।খল নায়িকা সম্পর্কে কিছু বলি এই মহিলা যথেষ্ট রাক্ষসী। তবে তার সমস্ত চুল টেনেটুনে ছেঁড়ার বিষয়টাও গা শরিরি করার মত। যাইহোক আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতাbr বইয়ের নামঃএনিম্যানbr লেখকঃজাফর ইকবালbr ক্যাটাগরিঃসায়েন্স ফিকশনbr প্রকাশনীঃসময় প্রকাশনী br মূল্যঃ২২৫ টাকাbr br .br প্রধান চরিত্র, লিডিয়া ও তিষা।br যদিও এই গল্পে আর অনেক চরিত্র আপনার পাবেন তারপর ও আমার এই দুজনকেই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র মনে হয়েছে।br লিডিয়া,,,br বাইশ বছরের একটা মেয়েকে সুন্দরী বলার জন্যে তার ভেতর যে যে বৈশিষ্ট্য থাকতে হয় লিডিয়ার মাঝে তার সবই আছে তবুও কেউ তাকে সুন্দরী হিসাবে বিবেচনা করে না।এর কারনটা খুবই বিচিত্র,  লিডিয়ার বাইরের রুপ থাকলে ও তার ভেতরটা ছিল অসুন্দর। লিডিয়া অসম্ভব বুদ্ধিমতী একটি মেয়ে কিন্তু তার বিবেক বলে কিছু নেই।একটু বড় হয়েই লিডিয়া তার পরিবার ত্যাগ করে নিজে একা একা বড় হয়।লিডিয়া তার অস্বাভাবিক বুদ্ধি নিয়ে সফলভাবে বড় হয়েছে।হঠাৎ একদিন বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্যাফেটেরিয়াতে রিকার্ডো নামে এক লোকের সাথে তার পরিচয় হয়।লোকটি থাকে জানায় তারা নাকি দীর্ঘদিন থেকে তার জন্য অপেক্ষা করে আছে।এবং সে আর বলে তারা লিডিয়াকে একটা চাকরি দিতে চায়।লোকটি থাকে জানায় তাদের প্রতিষ্ঠানের নান

বইঃ এনিম্যান লেখকঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ধরণঃ সায়েন্স ফিকশন প্রকাশনীঃ সময় প্রকাশকালঃ ফেব্রুয়ারি গ্রন্থমেলা,২০১৪ প্রচ্ছদঃ আহসান হাবীব পৃষ্ঠাঃ ১২৮ মূল্যঃ ২২৫ টাকা কাহিনী সংক্ষেপঃ কাহিনী সংক্ষেপ'কে দুই অংশে ভাগ করা যাক। প্রথম অংশঃ লিডিয়া, অত্যন্ত প্রতিভাবান বিজ্ঞানী। কিন্তু, সে যেসব জিনিসপত্র বানায় সেগুলো মানুষের কল্যাণের জন্যে না, মানুষের ক্ষতির জন্যে বানায়। যথেষ্ট বীভৎস মানসিকতার এই লিডিয়ার একটা প্রজেক্টের নাম "এনিম্যান।" অর্থাৎ এনিমেল হিউম্যান। আধা এনিমেল, আধা হিউম্যান। এনিম্যানের চেহারা মানবশিশুর মত। গায়ে হালকা হালকা লোম থাকবে, এদের বুদ্ধিমত্তা পাঁচ বছরের শিশুর মত, চেহারায় সবসময় হাসিখুশির ভাব। এরা ব্যথা পেলেও হাসে, আবার না পেলেও হাসে। এদের জেনেটিক কোডিং এ কান্নার ব্যাপারটা ঢুকিয়ে দেয়া হয়নি। যেকোনো অনুভূতিই প্রকাশ পায় এদের হাসির মাধ্যমে। এনিম্যানদের আয়ু মোটামুটি দশ বছর। লিডিয়ার প্রজেক্ট সংক্ষেপে এটাই। লিডিয়ার এই প্রজেক্টে বহু অর্থের দরকার। সেই অর্থের যোগান দেয় এপসিলন, লিডিয়ার সাথে কাজ করতে "এপসিলন" নামক একটা বৈজ্ঞানিক গবেষণাসংস্থা আগ্রহ প্রকাশ করে। লিডিয়াও এপসিলনে যোগ দিয়ে অল্পকিছু দিনের মধ্যেই "এনিম্যান" প্রজেক্ট সফল করে ফেলে। সারা বিশ্বে তখন পোষা প্রাণী হিশেবে এনিম্যানকে কেনার জন্যে হিড়িক পড়ে যায়। আস্তে আস্তে চাহিদা বাড়ে। এনিম্যান মূলত তৈরী হয় বায়োসেল থেকে। বায়োসেলের দাম একটু বেশি হওয়ায় লিডিয়া পরিকল্পনা করে, এশিয়ার গরীব দেশগুলোর মহিলাদের গর্ভকে ব্যবহার করে "এনিম্যান" তৈরি করা হবে। এতে খরচ বাঁচবে, যদিও এনিম্যান প্রসব করতে গিয়ে মহিলাদের জীবনীশক্তি হ্রাস পাবে। তাতে কিছু যায় আসেনা, ওদের জীবনের কিই বা আর দাম আছে? ২য় অংশঃ তিষা আমেরিকায় বাবা-মা'র সাথে থাকে। বাবা-মা'র একমাত্র সন্তান হওয়ায় স্কুল থেকে ফিরে বাসায় সারাক্ষণ তাকে একা থাকতে হয়। তিষার একাকীত্ব ঘোচাতে বাবা তার জন্যে একটা পোষা কুকুর নিয়ে আসে। কুকুরের নাম দেয়া হয় টুইটি। একদিন, তিষাকে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচাতে গিয়ে টুইটি মারা যায়। তিষা একা হয়ে পড়ে আবার, টুইটির জন্যে ভীষণ ভেঙ্গে পড়ে। সেই সময়েই মূলত গোটা আমেরিকায় এনিম্যান কেনার জন্যে একটা হিড়িক পড়েছে। তিষার জন্যেও একটা এনিম্যান কেনা হয়। কিন্তু, তিষা কিছুদিন পরে বুঝতে পারে, মানবশিশুকেই আসলে এভাবে ক্লোনিং করে এনিম্যান বানানো হচ্ছে, যা অমানবিক, অনৈতিক। এই বিষয়টা তিষা তার ব্লগে লেখে। লেখাটা ভাইরাল হয়ে পড়ে। এপসিলন কোম্পানি তখন হন্যে হয়ে তিষাকে খুন করার পরিকল্পনা করে। কারণ, বিলিয়ন ডলারের এ প্রজেক্ট, নির্দোষ কলমের কয়েকটা আঁচড়ে এভাবে ধূলিসাৎ হবে, তা কেই বা চায়? ঘটনা এগিয়ে চলে... নিজস্ব মতামতঃ বইটা কয়েকটা কারণে বেশি ভালো লেগেছিলো। প্রথমেই যেটা বলতে হয়, কনসেপ্ট। কনসেপ্টটা স্বকীয় মনে হয়েছে। এরকম কনসেপ্টের কিছু আগে কোনো বইতে পড়িনি, কোনো মুভিতেও দেখিনি। কাহিনীর বিল্ডআপও খুব ভালো হয়েছে। একদিকে মানবশিশু ক্লোনিং করে এনিম্যান বানিয়ে সেটা বাজারজাত করার মধ্য দিয়ে যে ঘৃণ্য মানসিকতা দেখানো হয়েছে, বিপরীতেই কিন্তু আবার তিষা, টুইটি, তিষার এনিম্যানের মধ্য দিয়ে মানবিকতা, ভালোবাসার বিষয়টিও দেখানো হয়েছে। অর্থাৎ, বিপরীতমুখী অনুভূতি, বৈশিষ্ট্য এসেছে ধাপে ধাপে, প্রাসঙ্গিকভাবে। তাছাড়া, কাহিনীর মধ্যে গা ছাড়া ভাব দেখিনি, বর্ণনা ঝুলে পড়েনি কোথাও। টুইস্ট, সাসপেন্স...সবই ছিলো সীমিত ভাবে। ক্লাইম্যাক্সটাও দারুণ ছিলো, কিছুটা অন্যরকম। তবে, কাহিনী ইচ্ছে করলে আরেকটু বিস্তারিত করা যেতো। শেষে এসে মনে হয়েছে, লেখক খুব তাড়াহুড়োয় বিষয়টা শেষ করেছেন। ক্লাইম্যাক্সের বর্ণনা আরেকটু ডিটেইলস হলে ভালো লাগতো। শেষে, এটুকুই বলা যায়, "আদর্শ সায়েন্স ফিকশন" বলতে আমরা যেরকমটা বুঝি, সেরকমই একটি বই "এনিম্যান।" জাফর ইকবাল স্যারের ওয়ান অফ দ্য মাস্টরিড বুকস। Happy Reading :) "এনিম্যান" এর রকমারি লিঙ্কঃ https://www.rokomari.com/book/78400/এনিম্যান

জাফর ইকবাল স্যারের পড়া আমার প্রথম বই।বইটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।সব সাইন্স ফিকশন এমন হওয়া উচিৎ।

পোষা প্রাণী ও মানবতার উপর ভিত্তি করে লেখা অসাধারন একটি বই।এনিম্যন শুনে অাপনি যা চিনতা করবেন তাই পাবেন বইটাতে।বইটা পড়ে অামার ভালই লাগল।

book ta protom dike pore onek valo lagechilo amar...prothom diker pata gulo jokhon portam ...tokhon ekta kolponar jogote dhuke porechilam... tobe shes er diker kichu pata ja porte khub.. birokto legeche amake... tobe... boita sundor apnaraw porte paren .. asha kori valo lagbe

এক কথায় সবার ভালো লাগার মতো একটা বই.....

মানুষ আর পশুর সংকরায়নে উদ্ভূত এক নতুন প্রজাতি এনিম্যান। তাদের আয়ু দশ বছর। কিন্তু মানসিক বয়স সবসময়েই ছয় সাত বছর। তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে এই উদ্দেশ্যে যাতে মানুষ যেভাবে কুকুর বা বিড়াল পোষে, তেমনি করে এদের পুষতে পারে। এরা কথা বলতে পারে না। এরা শুধু হাসে। যেকোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এরা শুধু হাসে। আনন্দেও হাসে, দুঃখেও হাসে। তাই বলে কি তাদের মনে কোন দুঃখ নেই? মানবীয় আবেগ নেই? কেউ তা জানে না। কিন্তু তিষা একসময় এমন অনেককিছু জেনে ফেলল, যা তার জানা উচিৎ ছিল না। এনিম্যানদের জন্মের রহস্য বা তাদের আচরণগত যে বিশেষ বৈশিষ্ট্য, সেসবের কার্যকারণ যদি মানুষ জেনে ফেলে তবে এনিম্যান প্রস্তুতকারকদের যে বেজায় সমস্যা! কিন্তু তবু তিষা আর তার বন্ধু জন খুঁজতে লাগল সেইসব রহস্যের সমাধান। কিন্তু এর ফলে একসময় তাদের জীবন পড়ল হুমকির মুখে। শেষপর্যন্ত কি তিষা আর তার বন্ধু জন বেঁচে থাকতে পারল? তারা কি এনিম্যান রহস্যের কোন কিনারা করতে পারল? বিশ্বের সামনে কি ফাঁস হয়ে গেল এনিম্যান সৃষ্টির পেছনের করুণ ইতিহাস? জানতে হলে পড়তে হবে মুহাম্মদ জাফর ইকবালের সাইন্স ফিকশন 'এনিম্যান।' স্রেফ একটা কিশোর উপযোগী সাইন্স ফিকশন হিসেবে এটিকে বিবেচনা করলে ভুল হবে। মুহাম্মদ জাফর ইকবালের জাদুকরী লেখা আর বিজ্ঞানের অপব্যবহারের নিখুঁত বর্ণনার আড়ালে ফুটে উঠেছে পুজিবাদি ও বস্তুবাদি বিশ্বের ভয়াল রূপ। কেউ যদি এই রূপের ভয়াবহতা স্রেফ গল্প পড়ার ছলে আস্বাদন করতে চান, তবে তার জন্য 'এনিম্যান' অবশ্যপাঠ্য।

It was really a good book.

আমার মনে হয় ২০১৪ সালে বের হওয়া স্যারের বইগুলোর মধ্যে এটাই সেরা বই। প্রচ্ছদটা অত্যন্ত সুন্দর হয়েছে। এনিম্যান নামটা শুনে আপনি যা কল্পনা করবেন তাই পাবেন বইটাতে। :) যদিও এই বইটাও বেশ ছোট। আউট অফ দা বক্স কিছু নাই। প্লট আর স্টোরিলাইনও প্রেডিক্টেবল। কি হবে তা আগেই বোঝা যাচ্ছিল। তবুও ভাল লেগেছে বইটা। তবে এর থেকে অনেক ভাল সাইন্স ফিকশন আছে স্যারের।

খুবই ভাল লেগেছে বইটি পড়ে । চমৎকার একটি বই

ঠিক একই রকম গল্প অন্য কোন একটা সায়েন্স ফিকশনে পড়েছি বলে মনে হয়।' জলজ' নামক বইতে 'ডক্টর ট্রিপল এ' নামে একটা গল্প। কুকুরের মাথায় মানুষের মস্তিস্ক বসানোর কথা। কেউ কি ব্যাপারটা খেয়াল করেছেন? তবে কোনটা আগে পাবলিশ হয়েছে জানিনা। নিজের গল্পের কি কোন কপিরাইট থাকে, বা ঘুরিয়ে পেচিয়ে একই গল্প কয়েকবার লিখলে কি কপিরাইট জাতীয় কিছু কি ভংগ হয়?

এই বইকে শুধু সায়েন্স ফিকশন বললে কিছুটা অবিচার হয়। বর্তমানে পৃথিবী কিভাবে চলছে সেই দিকে এক সূক্ষ্ম ইঙ্গিত আছে এই বইয়ে। কর্পোরেট সুপার পাওয়ার কিভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে বা করার চেষ্টা করে সেই সাথে মানবিক আবেগ ও মানবতার জয়গান একই মলাটের মাঝে নিয়ে এসেছেন জাফর ইকবাল স্যার। কাহিনী বলে দিলে মজাটা নষ্ট হয়ে যায়। তাই পরার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করাই ভাল।

এ বইমেলায় আমার খুব একটা প্রিয় বই সময় থেকে বের হওয়া মুহম্মদ জাফর ইকবালের বই "এনিম্যান"। এনিম্যান একটা সায়েন্স ফিকসান, কিন্তু স্যারের অন্য সায়েন্স ফিকসানের মতো এই বইটিতেও মানবিক দিক আছে। বইটি আমার কয়েকটি কারণে খুব ভাল লেগেছে। যেমন ধরুন, ১। বইয়ে সাদা চামড়াদের চালাকি করে পচানো হয়েছে, সাদা চামড়াদের পচালে আমার ভাল লাগে। ২। বইটিতে এশিয়া আর আফ্রিকার গরীব মহিলাদের কষ্টের কথা বলা হয়েছে, তাদের যে কত সহজে exploit করা যায় সেই কথাটি বলা হয়েছে। বলা হয়েছে কিছু দুষ্টু NGOর কথা যারা এসব মহিলাদের দুষ্টু কাজে ব্যবহার করে এবং এও বলা হয়েছে এসব NGO পৃথিবীর কিছু কিছু দুর্বল দেশের সরকারও পতন ঘটাতে চায় নিজেদের স্বার্থে। আমরা তো নিজেরাও জানি এই মাত্র কিছুদিন আগেই আমাদের দেশের একমাত্র মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দলটিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে বিদেশী শক্তির সাথে পরোক্ষভাবে কাজ করেছে কিছু NGO. তবে সব NGO খারাপ না, এশিয়া আর আফ্রিকার দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনেও কিছু NGO কাজ করে। আমরা জানি BRAC কিংবা ASHA কিংবা Grameen Bank এর মতো NGO গুলো আমাদের ভাবমূর্তি অনেক উন্নত করেছে। ৩। বইটিতে আমাদের দেশটা কত সুন্দর সেটা বলা হয়েছে। আমাদের নানা প্রয়োজনে দেশের বাইরে চলে যেতে হয়, থাকতে হয়, কিন্তু আমাদের দেশটি যে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর আর আমাদের দেশের মানুষ যে অনেক ভাল সেটা আমাদের সাদা চামড়াদের জানাতে হবে। দেশের বাইরে থেকে দেশের অনেক উপকার করা যায়, আমাদের সেটি-ই করা উচিৎ, কিন্তু কেউ কেউ দেশের বাইরে যেয়ে দেশকে গালাগালি করে পরোক্ষভাবে তাদের নিজস্ব হতাশা ঢাকার চেষ্টা করে, তারা কিন্তু তা না করে দেশের কাজে লাগতে পারেন। ৪। মানুষকে নিয়ে কোন পরীক্ষা করা যায়না, মানুষ পশু না, গিনিপিগ না, এটা স্যার সুন্দরভাবে বুঝিয়েছেন। সাথে সাথে এটিও বুঝিয়েছেন মানুষের হাসির মধ্যে অনেক দুঃখ লুকিয়ে থাকে, সেটি বুঝে নিতে হয়। আমার কাছে মনে হয়েছে একটা সায়েন্স ফিকসানের মধ্যে দিয়ে স্যার খুব ভাল ভাল কিছু মেসেজ দিয়েছেন। এই বইটা পড়া অবশ্য কর্তব্য মনে করি, এটা পাঠ্যবইয়ের চাইতেও অনেক শিশু-কিশোরকে অনেক বেশী প্রণোদনা দেবে বলে আমি মনে করি। শামীম আহমেদ নিকেতন, ঢাকা। মার্চ, ২০১৪