User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Great books as usual
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরতম অঞ্চলে, যেখানে মাউন্ট এভারেস্টকে ছেড়ে দিলে টুপ করে তলিয়ে যাবে। সত্যি কি আছে সেখানে সেই প্রাগৈতিহাসিক প্রাণী -বিশালকায় হাংগর কারকারোডন মেগালোডন? দেখতে গিয়ে মুশকিল হলো। সাত মাইল নীচ থেকে ওপরে উঠে এল সেই আদিম আতংক!তারপর কী হলো ?
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা। বই- আদিম আতঙ্ক। লেখক- কাজী আনোয়ার হোসেন। সিরিজ- মাসুদ রানা। ধরন- ক্রেচার থ্রিলার। পৃষ্ঠা- ৩৭২ প্রকাশনী- সেবা। প্রধান চরিত্র- মাসুদ রানা, মানামি সিনোসুকা, ডক্তর নাসিম আহমেদ, বাঙালি বিজ্ঞানী ডক্টর নাসিম আহমেদ। একটা সময় আমেরিকার নেভীর হয়ে কাজ করতেন তিনি। রানার বন্ধু সোহেলের চাচাতো ভাই তিনি। রানার সাথে তার আলাদা একটা সর্ম্পক তাই বিরাজমান। নেভীর হয়ে কাজ করার সময় বেশ নামকড়া হয়ে যান নাসিম। গভীর সব সমুদ্রে ডুব দিয়ে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান। পেয়ে যান টাকা, খ্যাতি ও চোখ ধাধানো সুন্দরী এক স্ত্রী। সব সুখেই চলছিলো, এমন সময় ঘটে যায় দুঘর্টনা। মারিয়ানা ট্রেঞ্চে একটি টপ সিক্রেট মিশনে নামেন নাসিম। গভীর পানিতে সাবমারসিবল নিয়ে সেটি ছিলো তার এক সপ্তাহে তৃতিয় ডুব। সেখানে পানির নিচে ভয়ানক কিছু একটা দেখে ঘাবড়ে যান নাসিম। তাড়াহুড়ো করে উঠে আসেন উপরে। ততোক্ষনে গন্ডগোল ঘটে যায় এবং মারা যায় তার তিন সহকর্মী। দোষটা যায় নাসিমের কাধে। ধারনা করা হয় উল্টাপাল্টা কিছু দেখে নাসিম ভয় পাওয়ায় এই দুঘর্টনা ঘটে। এবং সেই সাথে অ্যাকুনট হিসেবে তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন নাসিম গবেষনা করতে থাকেন একটি প্রাচীন প্রাণী নিয়ে। জন্তুটি একটা সময় সমুদ্রে রাজত্ব করতো। নাম কারকারোডন মেগালোডন হাঙর। শ্বেত হাঙরের পূর্বপুরুষ। নাসিম প্রমান করতে চান ওই হাঙর এখনও অতল জলে জীবিত রয়েছে। এই বিষয়ে তিনি লেকচার দিয়ে বেড়ান এবং নযর কাড়েন সিনসুকা ওশনোগ্রাফিক ইন্সিটিউটের। তারাও মারিয়ানা ট্রেঞ্চে গবেষনার কাজ করে যাচ্ছে। এবং তিমিদের জন্য একটি কৃত্রিম লেগুন বানাচ্ছে। একটা বিশেষ কাজে নাসিমকে তাদের দরকার। মারিয়ানা ট্রেঞ্চের গভীরে বসানো ইউনিস রোবটগুলোকে ভেঙে গুড়িয়ে দিচ্ছে কিছু একটা। সেই ভাঙা রোবটগুলো তুলে আনা, নতুন রোবট বসানো এবং কে ভাঙছে তা জানার জন্য নাসিমকে তাদের প্রয়োজন। কিন্তু শারীরিকভাবে নাসিম আর গভীর পানিতে ডুব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত না। তার যায়গা পূর্ণ করে দেয় রানা। সিনসুকা ইন্সিটিউটের মালিক তামেশু সিনসুকার ছেলে টয়োডার সাথে সাবমারসিবল নিয়ে পানিতে নামে রানা। গভীর পানিতে ওরা ভয়ঙ্কর এক যুদ্ধমেশিনের মুখোমুখি হয়। জ্যান্ত এই যুদ্ধমেশিন একটি মেগালোডন হাঙর। অবশেষে সবাই মানতে বাধ্য হয় যে নাসিমের থিওরী কল্পনাপ্রসূত নয়। সত্যিই বেচে আছে ওই হাঙর। হাঙরের হামলায় মারা যায় টয়োডা। কোনোমতে বেচে আসে রানা। তবে তার সাবমারসিবলের সাথে উঠে আসে ওই হাঙরের মৃতদেহ। বুঝতে পারে সবাই আরেকটা হাঙর আক্রমন করে প্রথমটাকে মেরে ফেলেছে এবং মৃতদেহের গরম রক্তের কারনে সে শীতল পানির স্তর ভেদ করে সমুদ্রের উপরিস্থলে উঠে এসেছে। এবার শুরু হয় হাঙরকে পাকড়াও করার মিশন। মেগা হাঙরের ভয়ে নিজেদের স্বাভাবিক পথ থেকে পালাতে শুরু করে তিমিরা। নাসিম গবেষনা করে বের করেন যদি তিমিরা তাদের স্বাভাবিক পথ থেকে সরে যায় তবে বদলে যাবে ইকো-সিস্টেম। অপরদিকে মেগা হাঙর বিলুপ্ত করে দেবে পুরো তিমি প্রজাতি। তাদের আরেক ভয়ের কথা এই হাঙরটা গর্ভবতী। ফলে বাচ্চা জন্ম দিয়ে সে স্বজাতির সংখ্যা বৃদ্ধি করবে যা হবে আরো ভয়ানক। তখন সমুদ্রে না তিমি থাকতে পারবে, না মানুষ ব্যবহার করতে পারবে। বইটা ইংরেজী বই ডিপ টেররের ছায়ায় লেখা হয়েছে। বেশ সুন্দর একটা ক্রেচার থ্রিলার। তবে শেষের দিকে একটু সিনেমাটিক হয়ে গেছে। নাহলে বাকি সব যায়গায় কাহিনী তরতর করে এগিয়েছে। রানার বেশ কয়েকটি ক্রেচার থ্রিলার আছে যেখানে গতানুগতিক ভিলেনের বদলে উদ্ভট জন্তুকে ভিলেন হিসেবে আনা হয়েছে। অমানুষ, জলরাক্ষস, বড় ক্ষুধা, পাশবিক ইত্যাদি বইতে ভিন্নধারার ভিলেন উপস্থাপন করা হয়েছে। জেমস রোলিন্সের আইস হান্ট থেকে অ্যাডাপ্ট করা শুভ্র পিন্জরেও গ্রেন্ডেলগুলো ভিন্নধারার ভিলেন হিসেবে ছিলো। এধরনের বই পড়তে মজাই লাগে। আলাদা একটা রোমাঞ্চ অনুভব হয়। আশা করি সবার ভালো লাগবে এটি পড়তে। রেটিং- ৪.৪০/৫.০০
Was this review helpful to you?
or
R ekti osadharan boi ..jdio porte porte "Boro khuda" ei boi tar kotha mone porchilo. sesh porjonto tantan uttejoonay ki hoi, ki hoi bhab..Ranar har na chara monobhab gaye KaNta dey. Admin ke onurodh korchi r o kichu bhalo rana books apnader list e din...Onek gulo boi on process dekte pai..segulor jonno adhir agorohe cheye roilam . Donyobad.
Was this review helpful to you?
or
'আদিম আতংক' বইটি একেবারে হাল আমলে প্রকাশিত রানা কাহিনি। এই বইটি Steve Alten এর Meg: A Novel Of Deep Terror বইটির এডাপ্টেশন। যার কাহিনি আবর্তিত হয়েছে মেসোজোয়িক যুগের ভয়াল এক হাঙর কারকারোডন মেগালোডনকে নিয়ে। বইটি পড়তে গেলে কিছুটা রানার আরেক কাহিনি 'বড় ক্ষুধা' এর আমেজ পাওয়া যায় (যারা পড়েছেন, তারা জানেন)। বিজ্ঞানী নাসিম আহমেদ আর তাঁর প্রাগৈতিহাসিক হাঙর মেগালোডনের বিষয়ে ঘটনাক্রমে জড়িয়ে যায় বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের কিংবদন্তী এজেন্ট মাসুদ রানা। ম্যারিয়ানা ট্রেঞ্চ নামে এক গভীর সামুদ্রিক খাদ থেকে দূর্ঘটনাবশত বের হয়ে আসে প্রায় ষাট ফুট লম্বা কারকারোডন মেগালোডন। শুরু করে দেয় নারকীয় প্রলয় লীলা। বইটির প্রতিটি পাতায়, প্রতিটি অধ্যায়ে আছে টান টান উত্তেজনার খোরাক। এ গল্প নির্দোষ, নিরীহ, প্রতিভাবান বিজ্ঞানী নাসিম আহমেদের, এ গল্প লোভী, ব্যাভিচারি, বিশ্বাসঘাতিনি এনির, এ গল্প রহস্যময়ী জাপানী সুন্দরী মানামির, যে ভালোবেসে ফেলেছে অকুতোভয়, চিরনবীন মাসুদ রানাকে। আর অবশ্যই, এ গল্প বিভৎস হাঙর কারকারোডন মেগালোডনের বিরিদ্ধে যুদ্ধ করা মাসুদ রানার। রানা সিরিজের টাইম বম, কিলার ভাইরাসের মতো বইগুলোর চেয়ে আদিম আতংক পড়ে আমার প্রত্যাশা অনেকটাই পূরণ হয়েছে আমার। এখনো যারা পড়েননি, তারা পড়ে ফেলুন। রোলার কোস্টার রাইড হবে এটা আশা করি।