User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ইতিহাস ভিত্তিক লেখা আমার ভালো লাগে। আর শাহীন আখতারের লেখা বরাবর ই ভালো।
Was this review helpful to you?
or
bhalo hoyeche.
Was this review helpful to you?
or
একবার না, বহুবার। এবং যতবারই পড়েছি, অন্যরকম লেগেছে আমার কাছে। এখন পর্যন্ত পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকা একটি বই। বইটি প্রথম যখন পড়া শুরু করি, মনে হয়েছিলো, শুধু শুধু টাকাগুলো জলে গেল। ১০-১২ পৃষ্ঠা পড়ে রেখেও দিয়েছিলাম কিছুদিন। কিন্তু কিছুদূর এগোতেই বুঝতে পারলাম বইটার আসল মর্ম। বইটির প্রেক্ষাপট মোঘল আমলের হওয়ায় কিছু শব্দ প্রথম প্রথম নতুন ও দুর্বোধ্য লাগতে পারে। কিন্তু ৪০ পৃষ্ঠার পর থেকে আয়ত্তে চলে আসবে এবং ভালো লাগবে। ময়ূর সিংহাসন বইটি ইতিহাস, প্রেম, রাজনীতি, যুদ্ধের এক পার্ফেক্ট কম্বিনেশন। পড়ে দেখতে পারেন। আপনি মুগ্ধ হবেন।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা অক্টোবর রিভিউ-৮ 'পালাবার পথ নেই', 'তালাস', ' সখী রঙ্গমালা' এর পর শাহীন আখতারের নতুন উপন্যাস ' ময়ূর সিংহাসন '। রাজ-তখতের ময়ূরাভার আবডালে ইতস্তত- বিক্ষিপ্ত মানবীয় গাথা গড়ে তুলে এ উপন্যাসের আখ্যানাংশ।নামে তা মোগল শাহজাদা শাহ সুজার কাহিনী বটে কিন্তু অত্নরালে বিচিত্রবিধ চরিত্রের জীবন- কেচ্ছার সরাইখানা যেন। পেশাদার এক কলমচির ভাষ্যে শুরু হয়ে এ কাহিনী রাজমহল থেকে গঙ্গার পূর্ব পাড়ে বাংলার পরিত্যক্ত রাজধানী তাণ্ডা, রোসাঙ্গ থেকে মায়ু অববাহিকা অবধি ঘাটি গাড়ে। বর্ষা ১৬৫৯ থেকে শীত ১৬৬৫ সাল অবধি উপন্যাসের ব্যপ্তিকাল। উপন্যাসটি মোগল শাহজাদা সুজার আরাকান অভিমুখে পলায়নের কাহিনী। খাজোয়ার যুদ্ধে আওরঙ্গজেবের বাহিনীর কাছে পরাজিত সুবেদার শাহ সুজা ১এপ্রিল ১৬৫৯ সালে রাজমহল ত্যাগ করে তাণ্ডায় আশ্রয় নেন। ৬ এপ্রিল ১৬৬০ এ তিনি ঢাকা এবং পরে সেখান থেকে আরাকান যাত্রা করেন কিছুদিন চাঁটগাওয়ের বন্দর দিয়াঙ ও আরাকানের রাজধানী ম্রোহং অবস্থা করে ১৬৬১ এর ফ্রেবুয়ারীতে আরাকানেই নিখোঁজ হন। ক্রমে তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও সেখানে প্রাণ হারান। অপরদিকে ১৬৫৯ এ আওরঙ্গজেবের বড় পুত্র শাহজাদা সুলতান মুহাম্মদ গঙ্গার পশ্চিমপাড়ের দোগাছির শিবির থেকে পালিয়ে শাহ সুজার অস্থায়ী ঘাঁটি তাণ্ডায় চলে আসেন। ১৬৬০ এর ফেব্রুয়ারিতে শাহ সুজার শিবির থেকে পলায়নের সময় মোগল বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে সম্রাট পিতা আওরঙ্গজেবের নির্দেশে তাকে আমৃতু কারাগারেই কাটাতে হয়েছে। ঐতিহাসিক এ ঘটনাপঞ্জি সমান্তরালে রেখে কলমচি কাতিবের ভাষ্যে উপন্যাসের পাঠ শুরু হয়। সুজার দুর্ভাগ্য আর সিংহাসন দখলেত লড়াইয়ের মত রাজ- ইতিহাসের ইত্যাকার গলিঘুপচি থেকে আমরা অতঃপর আবিষ্কার করি জাহাজের লশকর, বৃহন্নলা, জেনানা - এমন অসংখ্য চরিত্রের ইতিহাসচাপা বৃত্তান্ত। এ উপন্যাস পাঠ শেষে মনে হয় এ উপন্যাসের গায়ে ইতিহাসের আলোছায়ার সম্পাত। তবে ইতিহাসের বাঁধা ছকের অনুসারী নন ঔপন্যাসিক। বরং অতীত সুদূরের রাজকুমার - রাজকুমারী, দাসি-বাঁদি, এরা সবাই আত্মবয়ানের ঢং এ নিজের পাশাপাশি মূর্ত করে ইতিহাসের সেই কালপরিসর। উপন্যাসের চরিত্রসমূহের এই কথা বলা সংলাপের চেয়ে বেশি বর্ণনাত্মক নাট্যের সাদৃশ্যপ্রতিম যেন। #বইয়ের_নাম : ময়ূর সিংহাসন লেখক : শাহীন আখতার দাম : ৪৫০ টাকা
Was this review helpful to you?
or
যথেষ্ঠ ভাল লেগেছে বইটি। একটানে পড়ে ফেলবার মত বই যদিও ভাষা কিছুটা কঠিন লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক শাহীন আখতারের রচিত ময়ূর সিংহাসন একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস।সম্রাট শাহজাহান এর তৈরি ময়ূর সিংহাসন।যার উপর বসে রাজত্বকরার এবং তা দখলের জন্য সৃষ্ট যুদ্ধ বিগ্রহের ইতিহাস নিয়েই তৈরি এই উপন্যাস।“ময়ূর সিংহাসন”- উপন্যাসের কেন্দ্রিয় চরিত্র একাধিক। নানাজনের বয়ানে বলা কাহিনি এটি। অবশ্য উপন্যাসের কেন্দ্রিয় বিষয় বা যে বিষয়টি উপন্যাসে গুরুত্ব পেয়েছে, তা হচ্ছে মোগল শাহজাদা শাহ সুজার সিংহাসন নিয়ে লড়াই, পরিশেষে সপরিবারে মৃত্যুবরণ, আজকের মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে। তখনকার নাম আরাকান, যার রাজধানী ছিল রোসাঙ্গ। তবে ময়ূর সিংহাসনকে যদি মোগল শাহজাদার আরাকানে পলায়ন, ভিনদেশে মৃত্যু বরণের কাহিনি বলি, এর পুরোটা বলা হয় না। ময়ূর সিংহাসন উপন্যাস যুদ্ধ-বিগ্রহের আড়ালে মোগল হারেমেরই কাহিনি। যে স্থান নিয়ে আমাদের কৌতূহলের শেষ নাই। ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের দৌলতে এর একটা বিকৃত চেহারা দেখতে পাওয়া যায়- যা মুসলমান বাদশাদের ভোগ-বিলাস আর ব্যভিচারের লীলাক্ষেত্র। মেয়েরা সেখানে অসতী, না হয় জড়বস্তু। এর প্রতিফলন আমরা বঙ্কিমের সাহিত্যে ব্যাপকভাবে দেখি। মোগল হারেমের বিকৃতিকরণের চ্যালেঞ্জটুকু ময়ূর সিংহাসন উপন্যাসে মোকাবেলা করতে হয়েছে। কাতিব মোগল দরবারের একজন কর্মচারী- কলমজীবী। এটা তাঁর পদবী। বাস্তবে শাহ সুজার দরবারে কাতিব অবশ্যই ছিল। কিন্তু ময়ূর সিংহাসনের কাতিব সম্পূর্ণ কাল্পনিক চরিত্র। সে একজন নিঃসঙ্গ পরিব্রাজক, যে গোটা বাংলা অঞ্চলের নানা মানুষের ধূলি-মলিন কাহিনি নিয়ে এগিয়ে যায় রাজমহল থেকে রাখাইন রাজ্যের দিকে। উপন্যাসের উপসংহারে তাঁর ভূমিকা অনেক।উপন্যাসটি পড়ে একধরনের ভিন্ন স্বাধ পাওয়া যায়। পাঠক যারা পড়বেন তাদের কাছেও ভাল লাগার খোরাক হতে পাড়ে।মিস করবেন না পড়তে।