User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। ৪টা গল্প আর একটা ছোট গল্প আছে এতে। সব গুলো বড় গল্পতে হরর্‌ quotient বেশ সম্যকভাবে রাখা হয়েছে। ভয়ের উপাদানের সাথে যোগ হয়েছে লেখকের সাবলীল লেখনিশৈলী। প্রথম গল্পে ভয় এসেছে আবহ আর রহস্য ধরে। বিল্লাল আর হাফিজের পিকনিক এসে হারিয়ে যাওয়া ও মজাদার কথোপকথন কিভাবে নিয়ে গেছে ভয়াল ক্লাইম্যাক্সে টেরই পাওা যায় না দ্বিতীয় গল্পে। শামসুর দুষ্টুমি তৃতীয় গল্পে ভয়ের সাথে যোগ করেছে হাস্যরস। বিদেশি প্রেক্ষাপটে চতুর্থ গল্প অন্যগুলোর তুলনায় একটু দুর্বল হলেও মজাদার। প্রচ্ছদটা একটু অন্যরকম হতে পারত। সব মিলিয়ে হরর প্রেমিদের সংগ্রহে রাখার মত বই।
Was this review helpful to you?
or
১) আত্মা একটা বাড়ি অনেকদিন খালি পড়ে থাকলে তাতে অতৃপ্ত আত্মারা এসে বসবাস করতে থাকে। শহর থেকে আধাঘণ্টা দুরত্বের ছোট এক নিরিবিলি শান্ত গ্রাম। এই গ্রামেরই প্রচুর শালগাছ, ডেঁয়োফল আর হাবিজাবি হরেক পদের গাছ দ্বারা পরিবেষ্টিত একটি দোতলা প্রাচীন বাড়ি। হলুদ রং করা হয়েছিল বোধ হয় এই বাড়ির। কিন্তু এখন সেই রং জ্বলে গিয়ে বুড়ো মানুষের দাঁতের মতো ফ্যাকাসে হলদে সাদা একটা আজগুবি রং হয়ে গেছে। বাড়ির সাথে একটা ছোট পুকুরও আছে। সে বাড়িতেই থাকতে এসেছেন একটি ওষুধ কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জামিল। সাথে এসেছেন তার স্ত্রী শায়লা এবং তার বৃদ্ধা মা। প্রথম রাতেই শায়লা আভাস পেল কিছু একটার। দ্বিতীয় দিনেই দেখা দিল ওরা। তারপর?? ২) বনে-জঙ্গলে কথিত আছে জঙ্গলে যদি তুমি ঢুক তাহলে কম্পাসকে যক্ষের ধনের মত আগলে রাখবে এবং তাও যদি হারিয়ে অথবা নষ্ট হয়ে যায় সুর্যকে সবসময়ে ডান দিকে রেখে হাটবে। নতুন অফিসে যোগ দেয়ার কয়েকদিন পরেই অফিসের আয়োজনে শহর থেকে দূরে জঙ্গলের পাশে ক্যাম্পিঙে এসেছে দুই বন্ধু বিল্লাল ও হাফিজ। দুই বন্ধু মিলে জঙ্গলে ঢুকে গেল। কিছুক্ষণ ঘোরাফেরার পর আবিস্কার করল তাদের কম্পাস নেই সাথে। ক্যাম্পে ফেরত যাওয়ার পথ গুলিয়ে ফেলল তারা। একবার এদিক যায় তো আরেকবার সেদিক যায়। যেন এক গোলকধাঁধা। সুর্যও ডুবে যাচ্ছে। সেই সকাল এগারটা থেকে তারা জঙ্গলের ভিতরে। ঠিক সন্ধ্যার প্রাক্কালে হঠাৎ করেই তাদের নজরে এলো একটি নির্জন কুঁড়েঘর। এটা কি তাদের জন্য আশীর্বাদ? না অভিশাপ??? ৩) ভুতের টুপি এখনকার ছেলেরা এমনিতেও বেশী দুষ্ট হয়ে থাকে। কিন্তু শামসু যেন তার সমবয়সীদের থেকে আরও এক কাঠি বেশী সরেস। ক্লাস সেভেনে পড়ুয়া শামসু ডানপিটে হিসেবে এলাকায় বেশ কুখ্যাত। নিত্যনতুন আইডিয়া যেন তার মাথায় কিলবিল করে বেড়ায়। কেউই রেহাই পায়না তার হাত থেকে। কিন্তু প্রতিটা মানুষেরই কিছুটা হলেও ভালো গুন থাকে। শামসুর ভালো গুন হল সে অনেক বই পড়ে। প্রায়ই সন্ধাবেলায় রাস্তার পাশের পুরানো বইয়ের দোকানগুলোতে হানা দেয়। এমনই একবার বই ঘাটতে গিয়ে শামসু শ্রী ডিগু বাবু গঙ্গারামের পুথিমার্কা 'আদি ও আসল কামরূপ ক্যামাখ্যার জাদু' নামক বইটা কিনে ফেলল। সেই রাতের বেলায় বইটা নিয়ে পড়তে শুরু করলো সে এবং ডুবে গেল বইয়ের পাতায়। তাকে জাদু করতে লাগলো বইয়ের পাতায় ছাপানো অক্ষরগুলো। গা ছমছম করা বই। ভয়ে তার বুকে শুকিয়ে গেল। কিন্তু তার মত ডানপিটে ছেলে তো আর বই পড়েই আর চুপচাপ বসে থাকার নয়। সে শুরু করবে তার জাদু ভুতের টুপির জন্য। ৪) তিন বোনের সরাইখানা রাতুল, শামিম ও খলিল তিন বন্ধু। মরুভুমির তপ্ত রোদের মধ্য দিয়ে গাড়ি হাকিয়ে তারা চলেছে লাস ভেগাসে ফুর্তি করতে। কিন্তু সামনে যতই অনাবিল আনন্দ থাকুক এই গরমে তাদের মগজটাই খুলির ভেতরে রান্না হয়ে যাচ্ছে। সামনে দূরে হাইওয়ের পাশে একটি সরাইখানা দেখেতে পেয়ে তাদের প্রানে যেন একটু পানি আসলো। ঠাণ্ডা বিয়ার খেয়ে তারা তাদের তপ্ত শুষ্ক গলা ভেজাতে পারবে। তারা গাড়ি পার্ক করে প্রবেশ করল এই নীরব সরাইখানায়। কিছুক্ষণ পরে তাদের স্বাগত জানালো এক বোন এবং অগণিত মুর্তি। পাঁচটি আত্মা-কাপানো ভৌতিক গল্প নিয়েই রহস্য পত্রিকার জনপ্রিয় লেখক মিলন গাঙ্গুলীর নতুন বই আত্মা। প্রথম এবং সবচেয়ে বড় গল্পটি নিয়েই এই বইয়ের নামকরন হয়েছে। উপরোক্ত ৪ টি ছাড়াও 'অন্য রকম হ্যালোইন' নামে একটি ছোট গল্প রয়েছে। মাত্র দুই পৃষ্ঠার গল্প হওয়াতে এই গল্প নিয়ে আর কিছু লেখার খুঁজে পেলাম না। কিছু লিখতে গেলেই কাহিনী শেষ হয়ে যাবে। এক নজরে নামঃ আত্মা লেখকঃ মিলন গাঙ্গুলী প্রকাশনীঃ জাগ্রিতি প্রকাশনী
Was this review helpful to you?
or
১) আত্মা একটা বাড়ি অনেকদিন খালি পড়ে থাকলে তাতে অতৃপ্ত আত্মারা এসে বসবাস করতে থাকে। শহর থেকে আধাঘণ্টা দুরত্বের ছোট এক নিরিবিলি শান্ত গ্রাম। এই গ্রামেরই প্রচুর শালগাছ, ডেঁয়োফল আর হাবিজাবি হরেক পদের গাছ দ্বারা পরিবেষ্টিত একটি দোতলা প্রাচীন বাড়ি। হলুদ রং করা হয়েছিল বোধ হয় এই বাড়ির। কিন্তু এখন সেই রং জ্বলে গিয়ে বুড়ো মানুষের দাঁতের মতো ফ্যাকাসে হলদে সাদা একটা আজগুবি রং হয়ে গেছে। বাড়ির সাথে একটা ছোট পুকুরও আছে। সে বাড়িতেই থাকতে এসেছেন একটি ওষুধ কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জামিল। সাথে এসেছেন তার স্ত্রী শায়লা এবং তার বৃদ্ধা মা। প্রথম রাতেই শায়লা আভাস পেল কিছু একটার। দ্বিতীয় দিনেই দেখা দিল ওরা। তারপর?? ২) বনে-জঙ্গলে কথিত আছে জঙ্গলে যদি তুমি ঢুক তাহলে কম্পাসকে যক্ষের ধনের মত আগলে রাখবে এবং তাও যদি হারিয়ে অথবা নষ্ট হয়ে যায় সুর্যকে সবসময়ে ডান দিকে রেখে হাটবে। নতুন অফিসে যোগ দেয়ার কয়েকদিন পরেই অফিসের আয়োজনে শহর থেকে দূরে জঙ্গলের পাশে ক্যাম্পিঙে এসেছে দুই বন্ধু বিল্লাল ও হাফিজ। দুই বন্ধু মিলে জঙ্গলে ঢুকে গেল। কিছুক্ষণ ঘোরাফেরার পর আবিস্কার করল তাদের কম্পাস নেই সাথে। ক্যাম্পে ফেরত যাওয়ার পথ গুলিয়ে ফেলল তারা। একবার এদিক যায় তো আরেকবার সেদিক যায়। যেন এক গোলকধাঁধা। সুর্যও ডুবে যাচ্ছে। সেই সকাল এগারটা থেকে তারা জঙ্গলের ভিতরে। ঠিক সন্ধ্যার প্রাক্কালে হঠাৎ করেই তাদের নজরে এলো একটি নির্জন কুঁড়েঘর। এটা কি তাদের জন্য আশীর্বাদ? না অভিশাপ??? ৩) ভুতের টুপি এখনকার ছেলেরা এমনিতেও বেশী দুষ্ট হয়ে থাকে। কিন্তু শামসু যেন তার সমবয়সীদের থেকে আরও এক কাঠি বেশী সরেস। ক্লাস সেভেনে পড়ুয়া শামসু ডানপিটে হিসেবে এলাকায় বেশ কুখ্যাত। নিত্যনতুন আইডিয়া যেন তার মাথায় কিলবিল করে বেড়ায়। কেউই রেহাই পায়না তার হাত থেকে। কিন্তু প্রতিটা মানুষেরই কিছুটা হলেও ভালো গুন থাকে। শামসুর ভালো গুন হল সে অনেক বই পড়ে। প্রায়ই সন্ধাবেলায় রাস্তার পাশের পুরানো বইয়ের দোকানগুলোতে হানা দেয়। এমনই একবার বই ঘাটতে গিয়ে শামসু শ্রী ডিগু বাবু গঙ্গারামের পুথিমার্কা 'আদি ও আসল কামরূপ ক্যামাখ্যার জাদু' নামক বইটা কিনে ফেলল। সেই রাতের বেলায় বইটা নিয়ে পড়তে শুরু করলো সে এবং ডুবে গেল বইয়ের পাতায়। তাকে জাদু করতে লাগলো বইয়ের পাতায় ছাপানো অক্ষরগুলো। গা ছমছম করা বই। ভয়ে তার বুকে শুকিয়ে গেল। কিন্তু তার মত ডানপিটে ছেলে তো আর বই পড়েই আর চুপচাপ বসে থাকার নয়। সে শুরু করবে তার জাদু ভুতের টুপির জন্য। ৪) তিন বোনের সরাইখানা রাতুল, শামিম ও খলিল তিন বন্ধু। মরুভুমির তপ্ত রোদের মধ্য দিয়ে গাড়ি হাকিয়ে তারা চলেছে লাস ভেগাসে ফুর্তি করতে। কিন্তু সামনে যতই অনাবিল আনন্দ থাকুক এই গরমে তাদের মগজটাই খুলির ভেতরে রান্না হয়ে যাচ্ছে। সামনে দূরে হাইওয়ের পাশে একটি সরাইখানা দেখেতে পেয়ে তাদের প্রানে যেন একটু পানি আসলো। ঠাণ্ডা বিয়ার খেয়ে তারা তাদের তপ্ত শুষ্ক গলা ভেজাতে পারবে। তারা গাড়ি পার্ক করে প্রবেশ করল এই নীরব সরাইখানায়। কিছুক্ষণ পরে তাদের স্বাগত জানালো এক বোন এবং অগণিত মুর্তি। পাঁচটি আত্মা-কাপানো ভৌতিক গল্প নিয়েই রহস্য পত্রিকার জনপ্রিয় লেখক মিলন গাঙ্গুলীর নতুন বই আত্মা। প্রথম এবং সবচেয়ে বড় গল্পটি নিয়েই এই বইয়ের নামকরন হয়েছে। উপরোক্ত ৪ টি ছাড়াও 'অন্য রকম হ্যালোইন' নামে একটি ছোট গল্প রয়েছে। মাত্র দুই পৃষ্ঠার গল্প হওয়াতে এই গল্প নিয়ে আর কিছু লেখার খুঁজে পেলাম না। কিছু লিখতে গেলেই কাহিনী শেষ হয়ে যাবে। এই বইয়ের সবগুলো গল্পই দারুন। কাহিনী নিয়ে বেশী কিছু বলার নেই। আমি আমার সল্পবিদ্যায় যতদূর বুঝি হরর ধারার বেশীরভাগ গল্প/উপন্যাসের প্যাটার্ন একই হয়ে থাকে। একটা বা দুইটা ভুত আসবে, মানুষের ঘাড় মটকাবে নয়ত রক্ত শুষে খাবে। কিন্তু কিভাবে ভুত বাবাজী আমাদের জগতে পা দিয়ে আমাদেরই আক্রমন করবে সেটাই নতুনত্ব। আর হররে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিকটা হল লেখকের লেখনী। একজন লেখক তাঁর সাবলীল, প্রাঞ্জল লেখনীর জোরেই সাধারন ভৌতিক কাহিনীকে অসাধারন লেভেলে নিয়ে যেয়ে পাঠকের হৃতস্পন্দন বাড়িয়ে দিতে পারেন। লেখক মিলন গাঙ্গুলী আগে থেকেই তাঁর দারুন লেখনীর জন্য বেশ সুপরিচিত। সুতরাং আত্মা নামক হরর বইটি পড়তে সবারই যেয়ে আত্মা কাপবে এতে আমি নিঃসন্দেহ। এই পাঁচটি গল্পের মধ্যে কোন একটি গল্পকে সেরা হিসেবে বেঁছে নেয়া কষ্টকরই হবে যে কারো জন্য। আমার ব্যাক্তিগতভাবে একেকটি গল্প একেক কারনে ভালো লেগেছে। প্রথম গল্প আত্মা- এ ভৌতিকতার সাথে বেশ রহস্য আছে বলেই বোধ হয় আমার একটু বেশী ভালো লেগেছে। ভৌতিক টুপি নামক গল্পটি আবার হাস্যরসের জন্য ভালো লেগেছে। ডানপিটে শামসুর কাণ্ডকারখানায় যে কারোরই মুখে হাসি চলে আসবে। আর তিন বোনের সরাইখানা তে তিন বন্ধু রাতুল, শামিম ও খলিলের মজার মজার কথোপকথনগুলো তো সেইরকম লেগেছে। মোট কথা মিলন গাঙ্গুলী ভৌতিক গল্পে প্রচুর ভদ্রমানের হিউমর ঢুকিয়ে বেশ আনন্দ দিয়েছেন। এবং শিহরন?? তা তো অবশ্যই। বইটি কিনতে যেয়ে বইয়ের পেজ এবং বাইন্ডিং কোয়ালিটির সাথে মুল্যের তারতম্য দেখে যে কারোরই মেজাজ গরম হবে আমি নিশ্চিত। হালকা রাগান্বিত অবস্থায় বইটি নিয়ে বাসায় আসলাম। কিন্তু বইটি পড়ার পরে সকল রাগ পানি হয়ে গেছে। পুরা পয়সা উসুল।