User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই। খুবই মজাদার এবং অন্যরকম একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
nice book
Was this review helpful to you?
or
এটি ভালো একটা বই। রতন একজন বিজ্ঞানী আর মানিক হচ্ছে কবি। তাদের কাজকর্ম সম্পূর্ণ ভিন্ন। কিন্তু ঘটনাচক্রে তাদের দেখা হয়ে যায় এবং বন্ধুত্ব হয়। তাদের বন্ধুত্বের শুরু ও রতন-মানিকের কাজকর্মের মজাদার নানা ঘটনা রয়েছে এই বইয়ে। রতনের আবিষ্কার এবং মানিকের কবিত্বের নানা দিকও রয়েছে। তাই যারা এখনো বইটি পড়নি তারা তাড়াতাড়ি এটি পড়ে ফেল।
Was this review helpful to you?
or
মানিক হচ্ছেন একজন কবি এবং রতন হচ্ছেন একজন বিজ্ঞানী। একদিন শ্রীমঙ্গলে ঘুরতে গিয়ে তাদের পরস্পরের পরিচয় হয়। রতন বিজ্ঞানী হিসেবে ছিলেন খুবই উদ্ভট ধরনের মানুষ। তিনি প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের আজব আজব আবিষ্কার করেন। তার আবিষ্কার দেখে আমাদেরকে অবাক হতেই হবে। অন্যদিকে মানিক সাহেব কবির হবে একজন খুবই ভালো মানুষ। তিনি সব সময় সত্য কথা বলতে পছন্দ করেন। গুরুচণ্ডালী দোষ তিনি একদমই মানতে পারেন না। যদিও তারা ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তিত্বের তবে তারাই পরবর্তীতে পরস্পরের বন্ধু হয়ে গেলেন। তাদের প্রতিদিনের মজাদার জীবন নিয়েই বইটি সাজানো।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_ডিসেম্বর বইঃ এখন তখন মানিক রতন লেখকঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ধরনঃ সায়েন্স ফিকশন প্রকাশনীঃশুদ্ধস্বর মুল্যঃ ২২০ টাকা কাহিনী সংক্ষেপঃ মানিক পেশায় একজন কবি অন্যদিকে রতন হলো বিজ্ঞানি। কবিরা বেশীরভাগ সময় তাদের জীবন কাটায় সাহিত্যচর্চা করে। অন্যদিকে বিজ্ঞানীরা কাটায় এক্সপেরিমেন্ট করে। দুজনের কাজকর্ম একেবারে আলাদা জায়গায় তাই তাদের দেখা হওয়ারও কথা না। মানিক যখন পুরানো বইয়ের দোকানে উইয়ে খাওয়া বই ঘেটে বেড়ায় রতন তখন পুরনো ঢাকার ধোলাই খালে ভাঙা যন্ত্র পাতি টানাটানি করে। বৃষ্টির দিনে মানিক যখন বিছানায় আধাশোয়া হয়ে ঢুলুঢুলু চোখে কবিতা পড়ে রতন সেই সময় তার ল্যাবরেটরিতে কোন একটা বিদঘুটে যন্ত্রের উপর উবু হয়ে বসে থাকে। গভীর রাতে মানিক যখন নিউজপ্রিন্টের কাগজে বলপয়েন্ট কলম ঘষে সাহিত্য কবিতা লেখার চেষ্টা করে রতন তখন কম্পিউটারের সামনে বসে জটিল কোন যন্ত্রের ডিজাইন করে। কাজেই তাদের দেখা হওয়ার সুযোগ নেই। তারপরও একদিন দেখা হয়ে গেলো। ঘটনা টা ছিলো এরকম, মানিক সিলেটে গিয়েছিল একটা সম্মেলনে কিন্তু আসার পথে তার ইচ্ছে হয় শ্রীমঙ্গল থেকে ঘুরে আসার। কিন্তু সমস্যা হয় তার যাতায়াতের বাস টিতে। কারন কিছু দুর গিয়েই বাস যাবেনা বলে থেমে যায় এবং সেখানে একটা ঝামেলা হওয়ার কারনে মানিক আর বাসেই ওঠেনা এবং হাটতে হাটতে তখন রতনের গাড়ি তার সামনে এসে পড়ে এবং তাদের দেখা হয় তখন।এবং সেই দেখা হওয়া থেকেই রতনের এক্সপেরিমেন্ট শুরু হয়ে যায়। আর তারপর থেকেই তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক শুরু হয়। এরপর মানিক রতনের বাড়িতে গেলে সেখানে সেই বাড়িতে যাওয়ার দরজা থেকে শুরু করে অনেক কিছু তে রতনের বুদ্ধি মত্তার প্রমান পায়। অন্যদিকে মানিক অন্য রকম। সে কোন শব্দ ভুল উচ্চারন করা একেবারেই পছন্দ করেনা। তার ঘড়ির সময় ও পছন্দের না। তার মতে ঘড়ি কেন তাদের জীবন নিয়ন্ত্রণ করবে। তাই সে তার মন মর্জি মতো চলে। এমন কি মানিকের বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট দেখলেও মনে হয় সেগুলো শুধু শুধু সময় নষ্ট করে বানানো হয়েছে। তাহলে এখন তাহলে দেখা যাক এরকম টুকরো টুকরো যুক্তি আর খুটিনাটি ঝগড়ার মাধ্যমে কিভাবে এগিয়ে যাই মানিক এবং রতনের বন্ধুত্ব। এই যুক্তি বাজ মানুষ আর সাহিত্যের মধ্যে কি আসলেই বন্ধুত্ব বিদ্যমান থাকবে নাকি তারা দুজনে ঝগড়া করে বসে থাকবে?? জানতে হলে পড়তে হবে বইটি। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ জাফর ইকবাল স্যারের বেশীরভাগ বই কিশোর উপন্যাস এবং সাইন্স ফিকশনের হলেও এই বইটা একটু ব্যাতিক্রমধর্মী ছিলো। দুই প্রান্তের দুই রকম চিন্তাধারার মানুষ গুলোর যুক্তি গুলো পড়ছিলাম আর হাসছিলাম একভাবে। অনেক চমকপ্রদ ছিলো বইটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ : এখন তখন মানিক রতন
Was this review helpful to you?
or
#রহসসময়_বিজ্ঞান_জগত ও #রকমারি_ডট_কম আয়োজিত বুক রিভিউ প্রতিযোগিতা "এখন তখন মানিক রতন" বইটি তিনি ৪টি গল্পের মাধ্যমে সাজিয়েছেন। ** কুংফু গাড়ি ** ডুগুডুগু ** কালাচান ধলাচান ** চেয়ার প্রতিটি গল্পই অনেক হাস্যরস ও রতন নামে একজন পিকুলিয়ার বিজ্ঞানীর আজব সব আবিষ্কার নিয়ে কাহিনি । মুল চরিত্র মানিক নামে একজন কবি ও রতন নামে একজন বিজ্ঞানী। লেখকের মতে তারা দুইজন দুই জগতের মানুষ। তাদের দেখা হওয়ার কথা না, কিন্তু ঐ যে লেখক লিখলেন তাই দেখা হয়েই গেল রতনের সাথে মানিকের দেখা হয় সেই কুংফু গাড়ি এর সুবাদে। এই মহান গাড়ি যেমন পারে মারামারি করতে তেমনি পারে সফটওয়্যারের সাহায্যে অপ্সিট থেকে আসা বেপোরোয়া গাড়িকে শিক্ষা দিতে :p। এই কুংফু গাড়িতে রতনের সাথে প্রথম দেখায় মানিক উঠেছিল আর সেই অভিজ্ঞতা ... বলব না বই পড়ে জেনে নিবেন এরপর ডুগুডুগু এর আবিষ্কার!! মানিক কবি মানুষ সময় নিয়ে ভাবনা নাই। ঘুম থেকে উঠেও দেরি করে। তার এই ভবঘুরে ভাব কে টাইট দিতে রতন মানিককে দিল এই ডুগুডুগু নামক এলার্ম ক্লক মানিক বরাবর ই যন্ত্র বিদ্বেষী। তার কথায় সে যন্ত্রকে অপমান করে, তুচ্ছ করে। কিন্তু রতন মানিককে তার কেলমা দেখিয়ে নতুন নতুন যন্ত্র বানিয়ে যায়। কালাচান ধলাচান ও রতনের একটি মহা আবিষ্কার। পাখিদের মধ্যে কাক হল সবথেনে বেশি বুদ্ধি তাই কাক হল "পাখিদের আইনস্টাইন"। এই কাক নিয়ে রতনের নতুন গেজেট। কাকদের হাত লাগিয়ে দিলে তারা কেমন আচরণ করে। দেখা গেল সত্যিই পিচ্চি দুটা কাক তাদের নকল হাত দিয়ে বেশ ভালভাবে চবি আঁকা, গ্লাস ধরে কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়া ও নানা কৌশল শিখে গেল। এরপর আসা যাক চেয়ার এ!! রতন রান্নাবান্না বিষয়ে তার তৈরি সফটওয়্যার এর প্রতি ই নির্ভরশীল। কিন্তু মানিকের আবার এই সফটওয়্যার এর রান্না করা জঘন্য খাবার এর প্রতি বেশাল ক্ষোভ!! মানিক কবি মানুষ তাই পচা ভাষায় কথা বলে না। তাই এই খাবার নিয়ে সে প্রাঞ্জল ভাষায় বলে "তোমার খাবারের শীত-বস্ত্র দহন করি (মানে খেতা পুরি কিন্তু রতন ছেড়ে দেবার মানুষ নয় বানিয়ে ফেলল এক আজিব চেয়ার যে চেয়ারে বসলে মস্তিষ্ক ভালোলাগার অনুভুতি তৈরি করে। আর যার সাহায্যে রতন তার অখাদ্য খাবার ও মানিককে বেশ তৃপ্তির সাথে খাওয়া তে পারে। : বইটি সত্যিই অনেক চমৎকার !!! দেরি না করে তারাতারি পরে ফেলুন। By Rehnuma Prapty
Was this review helpful to you?
or
বিজ্ঞানী কথাটা শুনলেই আমাদের চোখের সামনে ভাসে, লম্বা আউলাঝাউলা চুলের একজন মানুষ। সারাক্ষণ সে বৈজ্ঞানিক কাজকর্ম নিয়ে থাকে, কথাবার্তা হয় খুব রুক্ষ- এমনি অনেক আজব আজব কথা মনে হয়। আবার কবি কথাটা শুনলেও মনে হয়, লম্বা লম্বা উশকোখুশকো চুল, লম্বা দাড়ি, রাতজাগা লালচে চোখ, এক উদাসি, বেখেয়ালি মানুষ। ঠিক এই ধরনের চিন্তাই করতো এই গল্পের প্রধান দুই চরিত্র মানিক এবং রতন। মানিক একজন কবি আর রতন একজন বিজ্ঞানী। দুইজনের কাজকর্ম যেমন আলাদা তেমন আলাদা দুইজনের চিন্তাভাবনাও। মানিক যখন পুরাতন বইয়ের দোকানে পুরানো কবিতার বই খুজেঁ রতন তখন ভাঙা যন্ত্রপাতি নিয়ে টানাটানি করে। বৃষ্টির দিনে মানিক যখন ঢুলুঢুলু চোখে কবিতা পড়ে রতন তখন তার ল্যাবরেটরিতে কোন যন্ত্র নিয়ে কাজ করে। বলা যায়, দুজন দুই প্রান্তের মানুষ। তাদের কিন্তু কোনভাবেই কিন্তু দেখা হওয়ার কথা ছিলো না। তবুও তাদের আকস্মিকভাবে দেখা হয়ে যায়। আর এরপরই ঘটতে থাকে আজব কিছু মজার কাহিনী। সেইসব কাহিনী নিয়েই লেখা মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের "এখন তখন মানিক রতন"!
Was this review helpful to you?
or
বইঃ এখন তখন মানিক রতন লেখকঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ধরণঃ কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস প্রকাশনীঃ শুদ্ধস্বর প্রকাশকালঃ ফেব্রুয়ারি বইমেলা, ২০১৪ প্রচ্ছদঃ সাদাত উদ্দিন আহমেদ এমিল পৃষ্ঠাঃ ১২০ মূল্যঃ ২২০ টাকা ফ্ল্যাপে যা লেখা আছেঃ মানিক হচ্ছে একজন কবি আর রতন হচ্ছে একজন বিজ্ঞানী, দুইজনের কাজকর্ম একেবারে আলাদা আলাদা জায়গায়।তাদের কখনো দেখা হওয়ার কথা না। মানিক যখনো পুরোনো বইয়ের দোকানে উইয়ে খাওয়া বই ঘেঁটে বেড়ায় রতন তখন পুরনো ঢাকার ধোলাইখালে ভাঙা যন্ত্রপাতি টানাটানি করে। বৃষ্টির দিনে মানিক যখন বিছানায় আধশোয়া হয়ে ঢুলুঢুলু চোখে কবিতা পড়ে রতন তখন ল্যাবরেটরিতে কোনো একটা বিদঘুটে যন্ত্রের উপর উবু হয়ে বসে থাকে। গভীর রাতে মানিক যখন নিউজপ্রিন্টের কাগজে বলপয়েন্ট কলম ঘষে ঘষে উত্তর-আধুনিক কবিতা লেখার চেষ্টা করে রতন তখন কম্পিউটারের সামনে বসে জটিল কোনো যন্ত্রের ডিজাইন করে-কাজেই তাদের দুইজনের দেখা হওয়ার কোনো সুযোগই ছিল না। তারপরেও মানিক আর রতনের একদিন দেখা হয়ে গেল- আর যেভাবে দেখা হলো সেটা রীতিমতো একটা কাহিনী। নিজস্ব মতামতঃ বইটা কেন কিনেছিলাম, জানিনা। হয়তো বইয়ের কাভার দেখে আকৃষ্ট হয়েই। বইয়ের কাভারটা যথেষ্ট সুন্দর। বাচ্চাদের আকর্ষণ করার পক্ষে যথেষ্ট,আমাকে কেন, কীভাবে আকৃষ্ট করলো, তা অবশ্য গবেষণাযোগ্য একটা বিষয়। যাই হোক, বই কিনলাম। মলাট দেখেই মন ভালো হয়ে যায়, পৃষ্ঠাগুলোও চমৎকার। দোকানেও সবাই এই বইটা কেনার জন্যে হুমড়ি খেয়ে পড়ছিলো।বেশিরভাগই অল্পবয়সী বাচ্চারা। অবশ্য, বইমেলায়, জাফর ইকবাল স্যার আর হুমায়ূন আহমেদ স্যারের বই কিনতে এমনিতেই সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে, সে বই ভালো হোক আর খারাপ হোক। বই নিয়ে বাসায় এলাম। উল্টেপাল্টে দেখা শুরু করলাম, পড়া শুরু করলাম, প্রথমে একটু বিরক্তি লাগলেও, আস্তে আস্তে ভালো লাগতে লাগলো। হয়তো, পুরো বইতে আহামরি কোনো কাহিনী ছিলোনা, উদ্দেশ্যহীন গন্তব্য ছিলো বইয়ের, কিন্তু হাস্যরসাত্মক যথেষ্ট উপাদান ছিলো। মানিক ও রতনের কথোপকথনগুলোও যথেষ্ট হাসির উদ্রেক করেছে। যেমন, এই অংশটাই দেখা যাকঃ হেলপার বাসের গায়ে গায়ে থাবা মারতে মারতে বলল, লামেন। লামেন। হগগলে লামেন। মানিক অশুদ্ধ ভাষা সহ্য করতেই পারে না প্রায় বলেই ফেলছিল “শব্দটা লামেন নয় শব্দটা নামেন-এবং হগগলে নয়-শব্দটা হচ্ছে সকলে।“কিন্তু শেষ পর্যন্ত থেমে গেল কারণ সে দেখতে পেল প্যাসেঞ্জার এবং বাসের হেলপার আর কনডাক্টরের মধ্যে একটু উত্তেজনার মতো ভাব হয়েছে। মানিক এবং রতনের প্রথম পরিচয়ের অংশটুকু দেখা যাকঃ রতন বলল, “আমি এর আগে সামনাসামনি কখনো কবি দেখি নাই।“ চোখ বড়ো বড়ো করে মানিকের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলল, “কবিরা তাহলে এরকম হয়? আমি ভেবেছিলাম-“ রতন হঠাত কথার মাঝখানে থেমে গেল। মানিক বলল, “কী ভেবেছিলেন?” “আমি ভেবেছিলাম কবিদের লম্বা লম্বা উশকোখুশকো চুল আর দাড়ি হয়। লাল লাল চোখ হয়। ময়লা পাঞ্জাবি পরে থাকে। মাথার চুলে-“রতন আবার কথার মাঝখানে থেমে গেলো। মানিক জিজ্ঞেস করল, “মাথার চুলে কী?” “মাথার চুলে উকুন হয়।“ মানিক মুখ শক্ত করে বলল, “আপনাদের এটা খুবই ভুল ধারণা। কবিরা মোটেই নোংরা খবিশ না। কবিরা সুন্দরের পূজারি। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং পূত পবিত্র। নোংরা খবিশ কারা জানেন?” “কারা?” “বৈজ্ঞানিকেরা। তাদের দশ হাতের মাঝে আপনি যেতে পারবেন না। শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হয়।“ রতন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বলল, “দুর্গন্ধ বের হয়?” “হ্যাঁ, গোসল করে না তো।–দুর্গন্ধ বের হবে না তো কী বের হবে? তার উপর তাদের কথাবার্তা হয় চাছাছোলা, কাঠখোট্টা রুক্ষ। তারা অসামাজিক, কারো সাথে মিশতে পারেনা। চোখের নীচে থাকে কালি, মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি, নখের নীচে ময়লা...” রতন তখন তার হাত মেলে তার নখের নীচে দেখল, কিছু বলল না। মানিক বলল, “বৈজ্ঞানিকদের বিয়ে হয়না। কোনো মেয়ে বৈজ্ঞানিকদের বিয়ে করতে রাজি হয় না। যদি বা বিয়ে করে, সেই বিয়ে বেশিদিন টেকে না...ডিভোর্স হয়ে যায়।“ রতন দুর্বল গলায় বলল, আ-আপনি কীভাবে জানেন?” “না জানার কী আছে? সবাই জানে। আমার কথা বিশ্বাস না করলে একটা বৈজ্ঞানিক খুঁজে বের করেন...” রতন নিশ্বাস ফেলে বলল,”খুঁজে বের করতে হবেনা।“ “কেন?” “আমি নিজেই একজন বৈজ্ঞানিক।“ দ্বন্দ্বমুখর সংলাপের মধ্য দিয়ে মূলত তাদের পরিচয়। তবে তা বন্ধুত্বে গড়াতে বেশি সময় নেয়না। পাতি বৈজ্ঞানিক রতনের উদ্ভট সব আবিষ্কারের যাবতীয় অত্যাচার সহ্য করতে হয় কবি মানিককে। কখনো রতন এলার্ম ঘড়ি বানায়, যে এলার্ম ঘড়িকে ধরে বন্ধ করতে গেলে, ঘড়ি লাফিয়ে দূরে সরে যায়। ফলে, ঘড়ির এলার্মও বন্ধ হয়না। সারা বাড়ি এলার্মের বিকট শব্দে প্রকম্পিত হতে থাকে। একবার রতন বানালো রোবটিক হাত, সেই হাত লাগিয়ে দেয়া হলো দুটো কাকের বাচ্চার ডানার সাথে। কাক দুইটার নাম রাখা হলোঃ কালাচান, ধলাচান। এই কাক দুটি রোবটিক হাত ব্যবহার করে কলম দিয়ে খাতায় আঁকাআঁকি শিখে গেলো। কাকদুটোকে প্রদর্শনীতে নেয়া হলো। সারাদেশে কালাচান, ধলাচান ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে গেলো। এই প্রতিভাবান কাকদুটোকে কিডন্যাপ করার জন্যে আবির্ভাব হলো একদল চোরের। তাদের সাথে সংঘাত হলো মানিক-রতনের। মূলত, এরকমই নানা ঘটনা, দুর্ঘটনায় কাটতে থাকে মানিক-রতনের এইসব দিনরাত্রি। “এখন তখন মানিক রতন” টাইমপাসের জন্যে আদর্শ বই। দাগ কেটে যাওয়ার মত বই, অনেকদিন মনে রাখার মত বই হিশেবে এটিকে বিবেচনা করলে ভুল হবে। তাই, খুব বেশি এক্সপেকটেশন নিয়ে না পড়লেই বইটা সর্বোচ্চ উপভোগ করা যাবে। Happy Reading :) বইয়ের রকমারি লিঙ্কঃ https://www.rokomari.com/book/77033/এখন-তখন-মানিক-রতন
Was this review helpful to you?
or
আমি ঈষৎ বুভুক্ষু কিসিমের পাঠক,অতি কঠিন বিজ্ঞান আর অতি কোমল পেম ছাড়া (নিমাইয়ের 'মেমসাহেবের' মতো আর কী।) যে কোন বই- ই হাতের নাগালে পেলে পড়ে ফেলি বলা চলে। মুঃ জাফর ইকবালের লেখা পড়েছি প্রায় সব-ই। তাঁর সাম্প্রতিক লেখাগুলো নিয়ে অন্য অনেকের মতোই আমারও অভিযোগের কমতি নেই। সেই তো থোড় বড়ি খাড়া আর খাড়া বড়ি থোড়। একই ধাঁচের প্লটে পাগলাটে ঘরকুনো বিজ্ঞানি, ছোঁকছোঁকে স্বভাবের নীতিহীন সাংবাদিক, দেনা আর লোভের দায়ে বিকানো পুলিশ, ইশকুলের দু-এক জোড়া অপাপবিদ্ধ শিশু,সমাজের কিছু লোভী ব্যবসায়ী কীট--- নূতন কিছু কই আর? নূতন গল্প কিংবা পুরোনো গল্পেই খানিকটা হলেও বৈচিত্র্য? নাহ, এই বইমেলাতে প্রকাশিত কোন বইতেই সেই প্রত্যাশা মেটেনি তো। তবু মাঝরাতে হাত-পা ছড়িয়ে পড়তে বসা পিডিএফে সংবেদনশীল কবি মানিকের মুখে 'আমি তোমার কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট আর ভাইটামিনের শীতবস্ত্র দহন করি' লাইনটা যদি জীবনের বহু স্ট্রেসের ভার ভুলিয়ে অনেকক্ষণ ধরে ছেলেমানুষের মতো হাসাতে পারে-- সেটাই কি স্যারের কাছে অন্তত খানিকক্ষণ কৃতজ্ঞ থাকার মতো যথেষ্ট নয়
Was this review helpful to you?
or
খুবই সুন্দর একটি বই...।।
Was this review helpful to you?
or
বিজ্ঞানীরা যুক্তি ছাড়া কথা বলতে পছন্দ করেনা আর কবিরা ছন্দ ছাড়া কথা বলতে পছন্দ করেনা। কিন্ত এরকমটি কি তোমরা কেউ কখনো দেখেছ? আদতে যদি একজন কবির সাথে একজন বিজ্ঞানীর দেখা হয় বন্ধুত্ব হয় তাহলে কি ঘটবে? মানিক আর রতন তেমনই দুজন ব্যক্তি যাদের একজন কবি আরেকজন বিজ্ঞানী। যেন তেন কবি বা বিজ্ঞানী নয় রীতিমত নাম ডাক আছে। তো কাকতালীয় ভাবে দুজনের দেখা হয়ে গেল। তারপর ঘটতে থাকলো একের পর এক মজাদার সব ঘটনা। কবির কবিতা থেমে গেল,বিজ্ঞানীর বিজ্ঞান গবেষণা ভিন্ন রুপ নিল। প্রথম আলো কিশোর ঈদ সংখ্যায় মানিক আর রতনের এই অসাধারণ গল্পের কিছুটা ছাপা হয়েছিল। যারা পড়েছ তারাতো জানোই কি অসাধারণ গল্পটি। আর যারা পড়নি তারা আর দেরি নয় কিনে ফেল এই অসাধারণ বইটি। এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলতে ইচ্ছে হবে।
Was this review helpful to you?
or
মানিক আর রতন দুজনেই দুধরনের লোক।মানিক হচ্ছে কবি আর রতন হচ্ছে বিজ্ঞানী।দুজনের প্রথম দেখা হয় মানিকের বাস নষ্ট হয়ে যাওয়াই,রতনের কুংফু গাড়িতে ওঠতে হয়।একসময় বাবা গো মা মাগো বলে গাড়ি থামাতে হয় মানিককে।তারপর পুলিশদের সাথে কুংফু করে রতনের কুংফু গাড়ি। আরও মজার মজার যন্ত্র তৈরি করে রতন।যেমন মানিকের ঘুম ভাঙানোর জন্য লাফাতে পারা এলার্ম ঘড়ি! নাটবল্টু বা সফদর আলি কিংবা সায়রা বা অনিক লুম্বার মতোই চমৎকার একটা বই।।।জাফর স্যারের বই যারা পড়তে ভালোবাসো তাদের জন্য এই বইটি অবশ্যপাঠ্য
Was this review helpful to you?
or
Xotil boi !
Was this review helpful to you?
or
Sir er boi shob shomoy joss hoy