Our User Product Reviews

মিলন গাঙ্গুলী একজন হরর,সায়েন্স ফিকশন, নন ফিকশন, শিকার কাহিনি, রহস্য গল্প লেখক। টিপিক্যাল হরর গল্পের সাথে মিলন গাঙ্গুলীর হরর গল্পের পার্থক্য হচ্ছে তাঁর হরর গল্পে ভয়, আতংক, গা শিউরানো রোমাঞ্চের পাশাপাশি পরিমিত পরিমানে হাস্যরসাত্মক উপাদানের চমৎকার মিশ্রন থাকে।আমার মনে হয় হরর বই লিখে কোন লেখকই পাঠকদের সম্পূর্ন ভাবে সন্তুুষ্ট করতে পারেনি। কারন পাঠকরা কে কোন বিষয় ভয় পান তা সম্পূর্ন নির্ভর করে পাঠকদের সাইকোলজির উপর। হরর বই লিখার সময় লেখকদের অনেক পড়া-শুনার পাশাপাশি সব ধরনের পাঠকদের কথা মাথায় রাখতে হয়। মিলন গাঙ্গুলী ভালই পেরেছে এই কাজগুলো করতে। আজকাল হরর বই তেমন পড়া হয় না। আগ্রহ হাড়িয়ে ফেলেছি কারন হরর কাহিনী পড়ে কোন মজা পাই না তাই। মিলন গাঙ্গুলী এই হরর বইটি পড়ে বেশ ভাল লাগলো। দশটি গল্প দিয়ে তিনি বইটি পাঠকদের সামনে এনেছেন। সবগুলো গল্পই আমার ভাল লেগেছে। বাংলাদেশের হরর গল্পের জগৎতে মিল গাঙ্গুলী খুব তারাতারি তার নামটি প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন তাতে আমার কোন সন্ধেহ নেই। হ্যালোইন গল্পটা আমার খুব ভাল লেগেছে। হরর গল্প পড়ে অবশ্যই ভয় পেতে হবে পাঠকদের। বইটি কে শুধু হরর গল্প বললে ভুল হব, বইটিতে একই সাথে হরর, ফ্যন্টাসী, মিথ এবং রহস্যের স্বাদ পাওয়া যাবে।হররের সাথে হিউমারের এমন চমৎকার মিশ্রণ আমি খুব কম লেখকের লেখাতেই পেয়েছি, অবশ্য আমার পড়ার গন্ডি খুবই সীমিত। চিন্তা করলে স্বাভাবিক ভাবেই মনে হবে যে টানটান উত্তেজনা, আতংকজনক এবং রোমাঞ্চকর ঘটনার বর্ননার সময় যখন হঠাৎ করে এক’দু লাইন হাস্যরস চলে আসলে হরর গল্পের আবহটা নষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু এরকম সুলিখিত হরর গল্পগুলোয় হিউমারের উপস্থিতিকে মোটেই খাপছাড়া বলে মনে হয়নি। বরং সেটা দমবন্ধ করা পরিস্থিতিতে ব্রেদিং স্পেস হিসেবে কাজ করেছে। কারণ গল্প যদি ভাল হয় তাহলে আপনি নিজেকেই গল্পের ভয়ংকর পরিস্থিতির মাঝখানে আবিষ্কার করবেন, এবং অবচেতন মনে দমবন্ধ অবস্থা থেকে সাময়িক মুক্তি চাইবেন, সে ক্ষেত্রে এই হিউমার গুলো অসাধারণ কাজ করে হরর গল্পের রস অক্ষুণ্ণ রেখেই। আমি মনে করি হরর কাহিনী লেখা এবং পাঠকদের মনযোগ ধরে রাখা অনেক কঠিন একটি কাজ। নতুন লেখক হিসাবে মিল গাঙ্গুলী চেষ্টার ত্রুটি করেননি। বইটি অনেকেরই ভাল লাগবে।

chorom ekta boi.golpo gulo jothesto voyer.ar golpo gulo porte ekdike hasi ashe,onnodike voyer ongsho gulo porle gele gayer loam khara hoye jay.ek kothey josh ekta boi.

‍‍‍‍‌‍আমারও মনে হচ্ছে গল্পগুলি আরও ভয়ের হতে পারত। suspense এর মাঝে হাসি-তামাশা ঠিক ভালো লাগে না। ভূতের গল্প আর সাধারণ গল্পের পার্থক্য এটাই যে ভূতের গল্প পড়ে সবচেয়ে প্র্যাকটিক্যাল ধরনের মানুষটারও মনে হবে তার পেছনে কেউ (ভূত/প্রেতাত্মা) দাঁড়িয়ে আছে৷ 'আমাদের বাড়িতে শয়তান থাকে' গল্পের প্লটটা খারাপ না কিন্তু মাঝে অনেক কথা অপ্রাসঙ্গিক (বাড়তি) মনে হয়েছে৷ ভূতের গল্পে ভূতেরই সমালোচনা ভালো লাগে না৷ গল্পটা রহস্য পত্রিকায় প্রথম পড়েছি।

আমাদের বাড়িতে হরর খুব চলে। এবার তাই এই বইটা অর্ডার দেওয়া হল। দোনোমোনো ছিল, কারন এমনিতে বাংলায় হরর লেখা বেশ কষ্টসাধ্য আর আধুনিক সময়ের দাবীতে শুধুমাত্র কয়েকটি সোপানেই দেশী হরর ঘর বেঁধেছে - যেমন ভ্যাম্পায়ার, হাজার বছরের বন্ধী পিশাচ, ভুতুড়ে ঘর, দানো, অনুবাদ, ইত্যাদি। বেশীরভাগ একহারাভাবে শুরু হয়, দুলকি চালে চলে - শেষ হবার আগেই বোঝা যায় কি হচ্ছে। এই লেখকের এই সংকলন অনেকটা এই ধাঁচের। লেখকের লেখার প্রচ্ছন্ন হাত আছে, রসাতে পারেন মোটামুটি, মজার মজার মৌলিক উপমা, রুপক দিয়েছেন। তবে গল্প গঠনে, আবহ তৈরিতে, চরিত্র অংকনে একেবারে মুন্সিয়ানা নেই। এয়ারপোর্ট নভেল টাইপের, ওয়ান-টাইম রিড অ্যান্ড ডিস্‌কার্ড। সুখের কথা ২০ টাকা বেঁচেছে। হতে পারে আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক ধরতে পারছে না যে আজকের ডিজুস-আন্ড্রয়েড জামানার জন্য এটাই হয়তো মানদণ্ড। তবুও বলবো যে হরর পড়ে রাতে বাথরুম যেতে ভয়ই লাগে না, সেটা আবার কি হরর? বাংলা সাহিত্যে প্রমথনাথ বিঁশী প্রথম হরর লেখার চালক - ওনার লেখা পড়ে গাঁয়ে কাঁটা দিত। এপারের মুহম্মদ তৈমুর আলমগিরের 'বংশালের বনলতা' রকমারি থেকে নিয়ে পড়লাম গত বছর - পড়তে গিয়ে ভয় যেমন লেগেছে তেমনি কষ্ট লেগেছে যে বই ফুরিয়ে যাচ্ছে। আমার পরিচিত হরর প্রেমিকদের অনেকে বইটি শেষ করতে পারেননি - ভয়ে! নাও দ্যাট ইজ হরর। আশা করি লেখক আজকের ভুঁইফোঁড় হরর সাহিত্যিকদের সাথে গড্ডালিকা প্রবাহ না করে আরও ভাল জিনিস দেবেন সামনে।

হরর গল্পের জগতে মিল গাঙ্গুলী নামটা নতুন হলেও এই নামটা যে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের হরর জগতে অন্যতম সেরা একটা নাম হবে সেটা নিঃসন্দেহেে বলা যেতে পারে। ওরা আসে নিঝুম রাতে মূলত মিলন গাঙ্গুলীর ১০টা হরর গল্পের সংকলন। নামে শুধু হরর গল্প হলেও পাঠক এগুলোতে একই সাথে হরর, ফ্যন্টাসী, মিথ এবং রহস্যের স্বাদ পাবেন। এর মধ্যে কয়েকটা গল্প শুধুই হরর গল্প আর কয়েকটা গুচ্ছ হরর গল্পের সংকলন। যারা হরর গল্প পড়ে ভয় পাননা তারা সাবধান, কারন এই গল্প সংকলন পড়ে ভয় এবার পেতেই হবে। নিঝুম রাতে পড়তে বসবেন না যেন। যদি বসেই পড়েন, তাহলে আর কি! মিলন গাঙ্গুলীর হরর জগতে আপনাকে স্বাগতম।

হাসতে হাসতে চোয়াল ব্যথা হয়ে গেলোমিলন গাঙ্গুলীর "ওরা আসে নিঝুম রাতে" পড়তে গিয়ে। রাত ১টায় যদি হরর বই পড়ে ঘর কাপিয়ে হাসি তো মানুষ কিছুদিন পর আমাকে পাবনা পাঠাবে। নিঃসন্দেহে যারা হরর ভালবাসেন তাদের জন্য এটি একেবারেই টিপিকাল বই হবে না। আমার কাছে বইটি লেখকের দিনলিপি বলে মনে হয়েছে। ১০টি ভালো গল্প আছে। কিন্তু ঐযে বললাম দিনলিপি তাই বইটা ঠিক মৌলিক সাধারণ বই নাও মনে হতে পারে, বিশেষ করে হ্যালোইন গল্পটা হলিউডের সিনেমার গল্প মনে হতে পারে। কানা ফকির, অশুভ জন্মদিন আর ওরা আসে নিঝুম রাতে বেশি ভালো লেগেছে। লেখক খুব সাবলীল ভাবে লেখেন ঠিকই কিন্তু সব কিছুর মধ্যে কেন যেন হিমু টাইপের লেখার আভাস পেলাম। নিঃসন্দেহে ভদ্রলোক লেখার আগে হরর সাবজেক্টের ওপর প্রচুর পড়াশোনা করেছেন বোঝা যায়। এটি একজন ভালো লেখকের লক্ষণ কিন্তু পাতায় পাতায় কাজী শাহনুর হোসেনকে অতিরিক্ত তেল মারাটা ভাড়ামোর পর্যায় চলে গেছে। নতুবা বইটির প্রতিটি গল্পই চমৎকার। মনে হল মিলনদা হররের চেয়ে রম্য রচনায় মনোযোগ দিলে দারুন দারুন হাসির বই পাবো আমরা (just a thought)।