Our User Product Reviews

it is very good book i am happy

কিশোর উপন্যাসের মধ্যে স্যারের অন্যতম একটি সুন্দর উপন্যাস হচ্ছে এই বইটি।

Those are great books. My childhood happiness.

বই~ নিতু আর তার বন্ধুরা লেখক~ মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশনী~ অনুপম প্রকাশনী মুদ্রিত মূল্য~১৮০৳ নিতু দশ বছর বয়সে তার মাকে হারিয়েছে। এক মাসের মাথায় তার বাবা নতুন মা নিয়ে এলেন। কিন্তু তার নতুন মা আগের মায়ের মতো নন,তার প্রমাণ কিছুদিন পরেই পাওয়া গেল। নতুন মা নিতুর বাবাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে নিতুকে হোস্টেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করল। বলতে গেলে বাড়ি থেকে তাড়ানোর ব্যবস্থা করল। হোস্টেলের নাম 'বুতুরুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়।' নিতু হোস্টেলে গিয়েই বুঝতে পারল এটি হোস্টেল নয়,এ যেন এক ভয়ঙ্কর কয়েদখানা। হোস্টেলের দাড়োয়ান থেকে শুরু করে প্রিন্সিপাল ম্যাডাম সবাই ভয়ঙ্কর,কারো মনে যেন একটুও দয়া মায়া নেই। বিশেষ করে খোরসানি ম্যাডাম। পান থেকে চুন ঘষলেই শাস্তি,সকল কিছু উনার নিয়মে না চললেই ভয়ানক শাস্তির ব্যবস্থা। হোস্টেলের সব মেয়েদেরই বেহাল দশা, সবাই মানিয়েও নিয়েছে। নিতুর রুমে আরও পাঁচটি মেয়ে ছিল রুনু,ঝুনু,মিতুল,রেবেকা,তানিয়া। তারা সবাই নিতুর বন্ধু হয়ে গেল। নিতু হোস্টেলে এসে কিছু কিছু নিয়ম ভাঙল,আর শাস্তির হাত থেকে বাঁচার জন্য নিতু আর তার বন্ধুরা মিলে নানা রকম ফন্দি আঁটে। এভাবেই নিতু আর তার বন্ধুদের এবং হোস্টেলের বাকি মেয়েদের দিন চলতে লাগল। নিতুও ধীরে ধীরে এই পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে উঠল। হঠাৎ হোস্টেলে একটা পরিবর্তন আসলো,ভালো পরিবর্তন। নতুন হোস্টেল সুপার শান্তা আপাই সেই পরিবর্তনের কারণ। শান্তা আপা সবাইকে নতুনভাবে বাঁচার পথ দেখালো। তিনি হোস্টেলে মেয়েদের নিয়ে গানের আসর, মেয়েদের জন্মদিন উদযাপন এরকম বিভিন্ন আয়োজন করতে লাগলেন যা আগে কখনো বুতুরুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়ে ঘটেনি এবং তা স্বভাবতই খোরসানি ম্যাডামের পছন্দ হয়নি।এই পরিবর্তনের জের ধরেই নিতু আর তার বন্ধুরা ও শান্তা আপা মিলে ছোট খাটো এডভেঞ্চার এর মধ্য দিয়ে স্কুলের আসল পরিচয় উদঘাটন করে কীভাবে এই ভয়ঙ্কর শৃঙ্খলাবদ্ধ হোস্টেলকে স্নেহ মমতা আর ভালবাসার হোস্টেলে পরিণত করেন এই কাহিনী নিয়েই "নিতু আর তার বন্ধুরা" গল্পটি লিখা হয়েছে। এটি একটি কিশোর উপন্যাস। পুরো বইটাতে এডভেঞ্চার দিয়ে ভরা। এত্ত সুন্দর একটা গল্প৷ যেটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। বইটিতে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় নিয়ে অনেক কিছু দেখানো হয়েছে। বর্তমানে স্কুল কলেজকে একেকটা কয়েদখানা বানিয়ে ফেলেছে। যার ফলে শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। নিয়মের কড়াকড়িতে তাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে যা এটি গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। সবমিলিয়ে বইটি দারুণ উপভোগ্য। অনেক টুইস্ট নিয়ে নিতুর আর তার বন্ধুদের পথচলা অতিক্রম করে বেশ ভালো লাগছে।

কিশোর আ্যডভেঞ্চার খুবই মজার

I am happy with rokomari

matilda

খুব সুন্দর বই ছিলো

Awesome

Goof

ভালো লাগে নি খুব একটা ?

আমি মনে করি খুবই ভালো মানের এই বই।যেখানে দেশদ্রোহী সহ অনেক চরিত্র ফুটে উঠেছে। বলা যায়,দামে কম মানে ভালো।

GOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOOD

"নিতু ও তার বন্ধুরা" একটি ইন্টারেস্টিং উপন্যাস। এ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র দশ বছরের মা হারা নিতু। নিতুকে তার বাবা এ উপন্যাসের মূল অবস্থান বুতুরুন্নেছা বালিকা স্কুলে ভর্তি করে।এটা একটি আবসিক বালিকা বিদ্যালয়। এ স্কুলের খোরসানী ম্যাডাম (উপন্যাসের মূল ভিলেন) হোস্টেল ছাত্রীদের উপর অকথ্য নির্যাতন করত। তাকে সহায়তা করত হোস্টেল সুপারিটেন্ডেট। সকল ছাত্রী এদেরকে ঘৃণা করে। স্কুলে নিতুর কিছু বন্ধু হয় যথাক্রমে বেকা (রেবেকা), তুলতুলে মিতুল (মিতুল), রুনা-ঝুনা (যময বোন), নিয়া (তানিয়া) এদের কেন্দ্র করেই এ উপন্যাসটি লেখা ও নামকরণ করা হয়। এ স্কুলে নিতু আসার পর সাহসীকতা ও বুদ্ধির দ্বারা সে নিজেকে ও অন্যদের খোরসানী ম্যডামের কবল হতে রক্ষা করতে চেষ্ঠা করতে থাকে। এমতাবস্থায় নিতুদের রক্ষা করতে আসে নতুন হোস্টেল সুপারিটেন্ডেট শান্তা ম্যাডাম। এজন্য খোরসানী ম্যাডাম শান্তা ম্যাডামকে অপছন্দ করত। তাঁকে তার পথ হতে সরিয়ে ফেলার ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এখানেও নিতু ও তার বন্ধুরা অসাধারণ দুঃসাহসিকতা ও বিচক্ষণতার পরিচয় দেয়। এ সকল ঘটনাকে কেন্দ্র করেই জাফর স্যারের সৃষ্টি "নিতু ও তার বন্ধুরা"। তিনি ১৩টি স্টেপে উপন্যাসটি লিখেছেন। এতে রয়েছে এডভেঞ্চার, অভিযান, রহস্য ইত্যাদি। এককথায় অসাধারণ একটি বই। আপনারা সকলেই এ বইটি কিনবেন এবং পড়বেন। আশা করি, বইটি সকলের ভালো লাগবে।

জাফর ইকবাল সারের আরো একটা অসাধারণ কিশোর উপন্যাস। "নিতু ও তার বন্ধুরা" বইটি আমি কয়েকবার পড়েছে । কেন যেন বইটি বার বার পড়তে ইচ্ছা করে। যতবার পড়ি ততই নতুন লাগে।

একটা দশ বছরের ছোট্ট মেয়ে তার বাবা মায়ের ভালবাসাতেই বেড়ে উঠতে চায়। কেউ চায় না এত ছোট অবস্থাতেই বাবা মাকে ছেড়ে বোর্ডিং স্কুলে চলে আসতে। কিন্তু সবার পরিস্থিতি তো আর এক হয় না। ছোট্ট মেয়ে নিতু মাত্র দশ বছর বয়সেই মাকে হারায়। নিতুর বাবা কয়েকদিন মার জন্য মায়াকান্না দেখালেও মাস ঘুরতে না ঘুরতে বিয়ে করে নিতুর জন্য নতুন মা নিয়ে আসে। দু সপ্তাহ না পেরুতেই তার আসল রূপ বের হয়ে আসে নিতুর সামনে। আর তার থেকে ঠিক একমাস পরেই বাক্স পেটরা গুছিয়ে আর ভোটকা মিয়াকে (মায়ের দেয়া টেডি বিয়ার) সাথে নিয়ে নিতুকে চলে আসতে হয় এই বোর্ডিং স্কুলে। প্রথমে ট্রেনে, ট্রেন থেকে নেমে বাসে, বাস থেকে নেমে ফেরি, ফেরি থেকে স্কুটার, সেই স্কুটার এসে থামল উঁচু দেয়াল ঘেরা একটা পুরনো বাড়িতে। দেখেই কেমন গা ছমছম করে, এই দিনের বেলাতেও অন্ধকার হয়ে আছে বাড়িটা। জেলখানার মত কাঁটাতার দেয়া আর বিশাল লোহার গেট দেখে শুরুতেই গলা শুকিয়ে গেল নিতুর। গেট থেকেই বাবাকে বিদায় দিয়ে নিতু একহাতে ভোটকা মিয়া আর অন্যহাতে ভারী সুটকেসটা টেনে টেনে ভিতরে ঢুকলো। তার মনে হলো গেট বন্ধ হবার সাথে সাথে তাকে যেন কেউ একটানে সমস্ত পৃথিবী থেকে আলাদা করে দিয়েছে। নিজেই নিজেকে সান্ত্বনা দিল নিতু। এখানে সবাই অনেক ভাল হবে, খুব ভার পরিবেশ হবে, শিক্ষক-ছাত্ররা সবাই খুব ভাল হবে। কিন্তু বুতুরুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা খোরাসানী ম্যাডামকে দেখেই ভুল ভাঙলো নিতুর। প্রথম দেখায় তার আচরণ আর কথাবার্তায় নিতুর মনে হল বোর্ডিং স্কুল না সত্যি সত্যিই সে এখন জেলখানায় বন্দী। এখানে কি করে নিতুর দিন কাটবে? তাও আবার ভোটকা মিয়াকে ছাড়া? দাঁতে দাঁত চাপলো নিতু। খোরাসানী ম্যাডামকে একটা শিক্ষা না দিয়ে সে ছাড়বে না।।। আমার কথাঃ ছোট্ট মেয়ে নিতু। এতো ছোটবেলাতেই মাকে হারাল। কই বাবা তাকে আগলে রাখবেন না সেই মাস যেতে না যেতেই নতুন মা নিয়ে এসে হাজির। নতুন মায়ের সেকি দেমাগ। মাস ঘুরতেই তার আসল রুপ টের পেল নিতু। কথা নেই বার্তা নেই বোর্ডিং স্কুলে দিয়ে এল নিতুকে। আর সেখানে আছে পাহাড়ের মত আর জাঁদরেল খোরাসানী ম্যাডাম। যে কিনা নিতুর মত ছোট ছোট মেয়েদের পারলে কাঁচা চিবিয়ে খায়। আর তাকে শায়েস্তা কিভাবে করলো নিতু তাই নিয়েই মুহম্মদ জাফর ইকবালের “নিতু আর তার বন্ধুরা”। মাঝখানে একদিন শুনলাম জাফর ইকবাল নাকি নকল করে লিখেন। এমনকি “নিতু আর তার বন্ধুরা”ও নাকি Matilda কে নকল করে লিখা। সত্য মিথ্যা জানিনা, শুধু এতটুকু জানি এই দেশে শিশু কিশোরদের বই পড়তে শিখিয়েছে সেবা প্রকাশনী আর জাফর ইকবাল। তাই যে যাই বলুক না কেন, আমার কাছে এরাই সেরা... হ্যাপি রিডিং...

জাফর ইকবাল স্যারের অসাধারণ বই এটা কিন্তু এখানে কিছু কিছু বিষয় শুধু একদম ছোটদের ভালো লাগবে। আপনার বয়স ১৭/১৮ হলে বইটা পড়ে মজা নাও পেতে পারেন। কিন্তু আবারও বলছি বইটা অসাধারণ।

এটা জাফর ইকবাল স্যারের একটি কিশোর উপন্যাস.এ গল্পের নিতুর সৎ মায়ের কথায় তার বাবা তাকে বাড়ি থেকে অনেক দূরের একটা হোস্টেলে রেখে আসেন.সেখান থেকেই কাহিনীর শুরু হয়.হোস্টেলের বদরাগী প্রিন্সিপাল খোরাসানি,রুম মেট মিতুল,তানিয়া,রেবেকা,আর রুনু ও ঝুনু (জমজ দুই বোন)এবং হাসিখুশি হোস্টেল সুপার শান্তা আপাকে নিয়ে এগিয়ে যায় গল্প.এক কথায় এই গল্পটি যেন 'মাটিল্ডা'মুভিটার-ই প্রতিচ্ছবি !

শিশু কিশোর উপন্যাস নিতু আর তার বন্ধুরা খুবই সুন্দর একটি বই, বইটির লেখক জনাব মুহম্মদ জাফর ইকবাল মনের মাধুরি মিশিয়ে এমন ভাবে উপন্যাসটি লিখেছেন যা খুব সহজেই পাঠকের হৃদয় ছুয়ে যায়। অল্প বয়সি একটা মেয়ের কষ্টময় শৈশব এবং দুঃসাহসিক অভিযান। কিছু সুখ, কিছু দুঃখ সবমিলিয়ে অপুর্ব এক শিশু কিশোর উপন্যাস Without any doubt - বইটি প্রশংসার দাবি রাখে। অবশেষে ৫★ না দিয়ে পারলাম না।

বই পড়তে সবসময়ই ভালো লাগে আর সেটা যদি হয় জাফর ইকবাল স্যার এর লেখা তাহলে তো কথাই নেই।নিতু আর তার বন্ধুরা ঠিক তেমনি একটা বই। গল্পের মূল চরিত্র নিতু নামের একটি মেয়ে। মেয়েটির মা নেই।বাবা তাকে ভর্তি করে দিয়ে যায় একটি আবাসিক বিদ্যালয়ে। সেখানে নিতুকে নানান অত্যাচারের শিকার হতে হয়। এতকিছুর মাঝেও সে কয়েকজন বন্ধু পেয়ে যায় ঠিকই। তারপর চলে তাদের নানান অভিযান। এইভাবেই গল্প এগিয়ে চলে।গল্পের শেষে লেখক সামান্য রহস্য করেই বলেছেন- "নিতু আর তার বন্ধুরা কেমন আছে? সেটা বলতে গেলে এক বিশাল ইতিহাস------ আজ থাক।"

মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা কিশোর উপন্যাসগুলো সব সময়ই অসাধারণ। তবে তার মধ্যে থেকেও ‘নিতু আর তার বন্ধুরা’ উপন্যাসটি আমার মনে বিশেষভাবে দাগ কেটে যায়। হয়তো খুব ছোট বয়সে বইটি পড়েছিলাম সেই জন্যে বইটির প্রতি একটি অন্যরকম ভালোলাগা তৈরি হয়েছিলো। তবে এতটুকু নির্দ্বিধায় বলা যায় ‘নিতু আর তার বন্ধুরা’ উপন্যাসের পুরোটাই অসাধারণ উত্তেজনায় ঠাসা। বইটি পড়ার সময় মনে হয় যেন একটা টানটান রশির ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি, একটু ভুল হলেই শেষ। ‘নিতু আর তার বন্ধুরা’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র নিতু। খুব অল্প বয়সে নিতুর মা মারা যান। নিতুর বাবা এ নিয়ে প্রথম কয়েকদিন খুব আফসোস করলেও অল্প কিছুদিনের মাথা আরেকটা বিয়ে করেন। যার ফলাফল হিসেবে দেখা যায় কয়েকদিন পরই নিতুর বাবা নিতুকে একটা আবাসিক স্কুলে ভর্তি করে দেবার জন্যে উঠে-পড়ে লাগেন। নিতু অবশেষে ভর্তি হয় বুতুরুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়ে। আর এখানেই মূল কাহিনীর শুরু হয়। তাদের এই স্কুলে একজন ভয়ংকর রাগী ম্যাডাম আছেন, যিনি খোরাসানী ম্যাডাম নামে পরিচিত। এই খোরাসানী ম্যাডাম আর হোস্টেল সুপারের অত্যাচারে নিতুদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠে বুতুরুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়ে। তবে এর মাঝেই নিতু কিছু ভয়ংকর সাহসিকতার কাজ করে মেয়েদের মাঝে জনপ্রিয় আর খোরাসানী ম্যাডামের বিদ্বেষের পাত্রী হয়। এই রকম দুঃসময়ে তাদের স্কুলে একজন অত্যন্ত ভালো হাসি-খুশি ম্যাডাম আসেন। যাকে মেয়েরা শান্তা আপা নামে ডাকে। শান্তা আপা এসে এই স্কুলের আগের যত অনিয়ম ছিল সব দূর করে দেন। আস্তে আস্তে নিতু ও তার বন্ধুদের দিনগুলো খুব সুন্দর হয়ে উঠতে থাকে। কিন্তু তাদের এ আনন্দ খোরাসানী ম্যাডাম সহ্য করতে পারছিলেন না। তাই তিনি শান্তা আপাকে বদলি করার ব্যবস্থা করেন এবং আবার পুরোদমে অত্যাচার শুরু করেন। এই অবস্থায় শান্তা ম্যাডামকে ফিরিয়ে আনার জন্যে নিতুরা এক দুঃসাহসিক অভিযানে নামে। সেই অভিযানের গল্প জানার জন্যে পাঠকদের ‘নিতু আর তার বন্ধুরা’ বইটি পড়তে হবে। কিশোর-অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস যাদের প্রিয় তাদের জন্যে ‘নিতু আর তার বন্ধুরা’ বইটি অবশ্যপাঠ্য। আর যে পাঠকের আবাসিক স্কুলে পড়ার অভিজ্ঞতা আছে তারা বইটি পড়ার সময় তাদের সেই জীবনের অম্ল-মধুর স্মৃতিগুলোকে পুনরায় স্মরণ করতে পারবেন।

নিতু!আমাদের গল্পের প্রধান চরিত্র!কিন্তু মাত্র দশ বছর বয়সেই ও ওর মাকে হারিয়ে ফেলে!ওর বাবাকয়েকদিন পরেই ওর জন্য আরেকটা মা নিয়ে আসে!কয়েকদুন যেতে না যেতেই ওকে ভর্তি করানো হয় এক আবাসিক বিদ্যালয়ে!কিন্তু সেটা বিদ্যালয় না বলে অত্যাচারালয় বললেই বেশি ভালো হবে বলে মনে হয়!কিন্তু সে সেখানে তারমতোই কয়েকজন বন্ধুকে পেয়ে যায় তার দিন গুলো হয়ে যায় আরো সুন্দর! কিন্তু গল্পের খল যে কিনা সেই অত্যাচারালয় এর প্রধান সে অত্যাচার আরো বাড়িয়ে দেয়! এমনকি নিতুর প্রিয় শিক্ষিকা কে কিছু একটা করে ফেলতে চায়!সেই শান্তা আপাকে রক্ষা করতেই তারা এক দুঃসাহসিক অভিযানে নামে!অভিযানটি কি জানতে হলে পড়ে ফেলো বইটি!

উপন্যাসেরর প্রধান চরিত্র নিতু। নিতুর মা মারা গেছেন খুব বেশি দিন হয় নি। মা মারা যাওয়ার পর বাবা প্রথম কিছুদিন খুব ভেঙে পড়েন, খুব আফসোস করেন। কিন্তু তার আফসোস অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। তিনি আরেকটি বিয়ে করেন। নতুন মা নিতুকে সহ্য করবে না এটাই স্বাভাবিক। আর একারণেই নিতুর বাবা নিতুকে একটি আবাসিক স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। স্কুলের নাম "বুতুরুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়"! স্কুলের নাম যেমন অদ্ভূত নিয়মকানুনও তেমনই বিদঘুটে। এই স্কুলের সবচেয়ে রাগী ম্যাডামের নাম খোরসানী ম্যাডাম। এমনকি হোস্টেলাসুপারটাও খুব বদমেজাজি। হোস্টেলের কোন মেয়েই এই ম্যাডামদের দেখতে পারে না। তাদের অত্যাচারে জীবন অতিষ্ঠ হলেও কিছু করার নেই মেয়েগুলোর। নিতুর ভাগ্য খারাপই বলতে হয়। হোস্টেলের প্রথম দিন থেকেই খোরসানী ম্যাডামের চোখে কালপ্রিট হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যায় নিতু। এরপর তার একের পরএক দুঃসাহসিক কাজের কারণে খোরসানী ম্যাডাম আর নিতুকে সহ্যই করতে পারেন না। কিন্তু নিতু খুব অল্প সময়েই তার হোস্টেলের মেয়েদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। এমন সময়েই এই স্কুলে আগমন ঘটে এক ম্যাডামের। নাম শান্তা ম্যাডাম। ভীষণ হাসি-খুশি আর ভীষণ ভালো এই ম্যাডাম খুব অল্প সময়েই ছাত্রীদের প্রিয় হয়ে উঠেন। তিনি আসার পর থেকে খোরসানী ম্যাডাম আর কিছুই বলতে পারেন না মেয়েদের। শান্তা ম্যাম হোস্টেলের পরিবেশটাই বদলে দেন। আর এটাতেই খোরসানী ম্যাডামের শত্রু হয়ে যান শান্তা ম্যাডাম। খোরসানী ম্যাডাম ষড়যন্ত্র শুরু করে শান্তা ম্যাডামকে স্কুল থেকে তাড়ানোর ব্যাবস্থা করতে থাকে। তাহলে এখন কি হবে? শান্তা ম্যাডাম কি চলে যাবেন স্কুল থেকে? নিতু তাদের বন্ধুদের নিয়ে কিছুই করতে পারবে না ম্যাডামের জন্য? কিন্তু তা কি করে হয়? ম্যাডাম যে তাদের খুব প্রিয়! কি হয় তবে শেষ পর্যন্ত?

বইঃ নিতু আর তার বন্ধুরা লেখকঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ধরণঃ : শিশু-কিশোর উপন্যাস প্রকাশনীঃ অনুপম প্রকাশনী নিতু দশ বছরের একটি মেয়ে যার মা মারা যাবার আট দিনের মাথায় বাবা নতুন মা নিয়ে আসেন । এবং এক মাস যেতে না যেতেই নিতুকে পাঠানো হয় "বুতুরুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়ে" যেটা এক আবাসিক বিদ্যালয় , যেখানে শৃঙ্খলার নামে ছোট ছোট নিষ্পাপ মেয়েদের উপর চালানো হয় ভয়ানক রকমের অত্যাচার । নিতু এসেই বিপদে পরে যায় , তবে পাঁচটি ভাল বন্ধু পেয়ে যায় , তাদের সাথে নিয়েই ঘটতে থাকে একের পর একে মজার কান্ড । উপন্যাসের অন্যতম খল চরিত্রের নাম "খোরাসানী ম্যাডাম" প্রচন্ড রকমের মোটা আর ভয়ানক রকমের দজ্জাল এক মহিলা , যে কিনা এই স্কুলের প্রিন্সিপাল । হোস্টেলে থাকতে থাকতে বাচ্চা মেয়েগুলো ভুলে যায় তাদের কেউ ভালবাসতে পারে , তারা যে ফুটফুটে নিষ্পাপ শিশু । গল্পের আরেক মজার চরিত্রের নাম "কাশেম" যে একটি মেয়ে তবে তার মা ছেলে হয়েছে ভেবে এই নাম রেখে দেয় । উপন্যাসের মাইনাস পয়েন্ট হল কিছু স্থানে মনে হয়েছে যে জোর করে হাসানোর চেষ্টা করা হয়েছে । উপন্যাসে আরেকটি ব্যপার খুবই চমৎকার লেগেছে তা হল এখানে লেখক দেখিয়েছেন মেয়েরাও চাইলেই অনেক কিছুই করতে পারে । চাইলেই তারা পারে নিজেদের বিপদ থেকে উদ্ধার করতে । উপন্যাসের প্রায় প্রতিটি চরিত্ররিও চমকপ্রদ । বিভিন্ন প্রাণীদের সাথে নিতুর বন্ধুত্ব আর ভালবাসাও ছিল অন্যরকম । জাফর ইকবালের স্যারের কোন সায়েন্স ফিকশন না পড়লেও কিশোর উপন্যাস প্রায় সব পড়া , যোগ হল এই উপন্যাস টি । আর তার উপন্যাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল অধিকাংশ উপন্যাসি শহরের বাহিরে মফস্বলের কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে লিখা হয় । আমার কেন জানি মফস্বলের প্রেক্ষিতে গড়ে ওঠা গল্প গুলোই দারুন লাগে । যেমন "দুষ্টু ছেলের দল , হাত কাটা রবিন , দিপু নাম্বার টু , রাজু ও আগুনালির ভূত । " পরিশেষে বলতে চাই এই উপন্যাসে তেমন কোন পুরুষ চরিত্র নেই তবুও পড়তে খারাপ লাগবেনা । আমি বই খুবই ধীর গতিতে পরি , তারপরেও এই বইটি পড়তে সময় লেগেছে মাত্র দুই দিন । বইয়ের রকমারি লিঙ্কঃ https://www.rokomari.com/book/7681/নিতু-আর-তার-বন্ধুরা