User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইঃ অক্টোপাসের চোখ লেখকঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার ধরনঃ সায়েন্স ফিকশন মূল্যঃ ১৯০ টাকা বইটিতে মোট দশটি গল্প রয়েছে- অক্টোপাসের চোখ/ কাবিনের জীবনের একটি দিন/ চাঁদ/ প্যারামন/ সিনাপ্সুঘুটিয়া/ এক্সপেরিমেন্ট/ মহাকাশযান টাইটুন/ স্মৃতি/ সাহস/ জিনোম জনম। গল্পগুলো সবই সাইন্সফিকশনধর্মী। একটি গল্পে পৃথিবীর বিখ্যাত বিজ্ঞানীরা একত্রিত হয়ে মানুষের শারীরিক অসংগতিগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। তরুন বিজ্ঞানী ফিদা বললেন, নবজাতকের মাথার আকার বড় হওয়ায়, মায়ের সন্তান জন্মদানে অনেক কষ্ট হয়। এজন্য তিনি পরামর্শ দিলেন মানবশিশু তথা মানবজাতির মাথাই ছোট করে ফেলার। প্রযুক্তিবিদ রিভিক অ্যাপেন্ডিক্সের কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু আরেক জীববিজ্ঞানী সুহাস মানুষের জননেন্দ্রিয়ের বিপজ্জনক অবস্থানের কথা তুলে ধরেন। দীর্ঘ আলোচনা শেষে বিজ্ঞান আকাদেমি সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয় যে, মানব জাতির জিনোমে আগামি ১০০ বছরে খুব ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনা হবে যেন ১০০ বছর পরে মানবদেহে আর কোন সীমাবদ্ধতা না থাকে। আরো আছে এক অদ্ভুত যন্ত্র প্যারামন । এটি মানুষের মাথায় লাগালে সে সরাসরি নেটওয়ার্ক থেকে যোগাযোগ করতে পারে। নেটওয়ার্কনির্ভর জীবনে হঠাৎ নেটওয়ার্ক নষ্ট হয়ে গেলে সবাই দিশেহারা হয়ে পড়ে।”মহাকাশযান টাইটুন” এ পৃথিবীর মানুষের মহাকাশযান অন্য গ্রহের প্রাণীর মহাকাশযানের খোঁজ পায় ।কিন্তু অন্য গ্রহের প্রাণীদের এন্টি-ম্যাটার বা প্রতিপদার্থের তৈরি মহাকাশযানটিকে বুঝতে ভুল করে বিজ্ঞানীরা। মস্তিষ্কের সিনাপ্স নিয়ে রয়েছে “সিনাপ্সুঘুটিয়া” গল্পটি। সাইন্স ফিকশন লেখা নিয়ে লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের জীবনে একটা মজার গল্প আছে। তার প্রথম সায়েন্স-ফিকশন গল্প কপোট্রনিক ভালোবাসা সাপ্তাহিক বিচিত্রায় প্রকাশিত হয়েছিল। গল্পটি পড়ে একজন পাঠক দাবি করেন সেটি বিদেশি গল্প থেকে চুরি করা। এর উত্তর হিসেবে তিনি একই ধরণের বেশ কয়েকটি বিচিত্রার পরপর কয়েকটি সংখ্যায় লিখে পাঠান। তার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে এই গল্পগুলো নিয়ে কপোট্রনিক সুখ-দুঃখ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। এই বইটি পড়ে শহীদ-জননী জাহানারা ইমাম খুবই প্রশংসা করেন এবং এই ঘটনায় তিনি এ ধরণের আরও বই লিখতে উৎসাহিত হন। তার প্রথম দিকের বিজ্ঞান কল্পকাহিনীগুলো পাঠকমহলে সমাদৃত হয়। সুদূর আমেরিকাতে বসে তিনি বেশ কয়েকটি সায়েন্স-ফিকশান রচনা করেন। দেশে ফিরে এসেও তিনি নিয়মিত বিজ্ঞান-কল্পকাহিনী লিখে যাচ্ছেন। ব্যক্তিগত মতামতঃ পাঠ প্রতিক্রিয়া : প্রত্যেকটা গল্পই আমার পছন্দের। সরল উপস্থাপনায় প্রত্যেকটা গল্পই সুন্দর। এতগুলো গল্প নিয়ে ভালো লাগা প্রকাশ করতে গেলে অনেক কথা বলতে হবে। 'এক্সপেরিমেন্ট' আর 'জিনোম জনম' এক কথায় মনে রাখার মতনই। তবে 'জিনোম জনম' গল্পটা গল্প হিসেবে আমার কাছে অন্য গল্পগুলোর তুলনায় একটু বড় মনে হয়েছে,যেখানে ৮৪ পৃষ্ঠায় ৯ টা গল্প আর বাকি ৫৯ পৃষ্ঠা জুড়েই 'জিনোম জনম'। তবে অনেক গল্পই আমরা পড়ি,আবার ভুলে যাই। কিন্তু এই বইয়ের কিছু গল্প মনে থাকার মতনই।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা #ডিসেম্বর_রিভিউ-০২ বইয়ের নাম: অক্টোপাসের চোখ ধরণ : সায়েন্স ফিকশন লেখক: মুহাম্মদ জাফর ইকবাল প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ পৃষ্ঠা: ১৪৩ মুদ্রিত মূল্য :২০০ টাকা রকমারি মূল্য :১৭৬ (১২%) প্রকাশনী : অনুপম প্রকাশন সরল উপস্থাপনার অসাধারণ ১০ টি গল্প নিয়ে একটা বই। *অক্টোপাসের চোখ মহামান্য কিহি, তিনি মানবদেহের সব ত্রুটি দূর করে একটা নতুন ডিজাইন দাড় করালেন।তিনি এই নতুন ডিজাইন নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট। তিনি তার ডিজাইন করা মানুষের পৃথিবী দেখবেন বলে,সহকর্মীদের বললেন তাকে শীতল ঘরে নিয়ে ঘুম পারিয়ে দিতে। ১০০ বছর পর তিনি জেগে উঠে দেখলেন,পৃথিবী খুবই সুন্দর, সবুজ ঘাস,নীল আকাশ সাদামেঘ। তবে তিনি অতি আগ্রহ নিয়ে দেখতে চাইলেন, তার ডিজাইন করা নিঁখুত মানুষ..? কেমন দেখতে সেই নিঁখুত মানুষ..! *কাবিনের জীবনের একদিন কাবিনের স্ত্রী মুলান ম্লান মুখে বললো,'আমাদের কিন্তু টেনেটুনে আর এক সপ্তাহ চলবে।' কাবিনের বুদ্ধির জোরেই সেই এক সপ্তাহের মজুদ বেড়ে হয় এক বছর? মুলান বললো,তোমার তো অনেক বুদ্ধি,কাবিন হেসে বললো,সব বুদ্ধি সবসময় কাজে লাগে না,এটা লেগেছে। কী বুদ্ধি? কিসের মজুদ? কাবিনের সাথে ১০ মিনিট কাটালেই জেনে যাবেন। *চাঁদ চাঁদ নিয়ে কত সুন্দর সুন্দর,কবিতা আছে। কী সুন্দর চাঁদ। চাঁদকে কখনো গালি দিয়েছেন?? গালি দিতে শুনেছেন? কখনো শুনেছেন চাঁদ কাওকে খুন করে ফেলেছে? হ্যাঁ,চাঁদও হয়ে যেতে পারে কারো মৃত্যুর কারণ। ভাবুন তো ক্রুর হাসি দিয়ে চাঁদ হঠাৎ বলে উঠলো,'তোর দিন শেষ!’ *প্যারামন ছোটবেলায় আমার কতগুলো ফোন নাম্বার মুখস্থ ছিলো মনে পড়েনা,এখন খুব বেশি হলে ৭-৮ জনের মোবাইল নাম্বার মুখস্থ আছে,তাও থেমে থেমে মনে করতে হবে। মানুষের সাথে অন্য প্রাণিদের মূল পার্থক্য কোথায় জানেন? কত পার্থক্যই তো আসলে আছে,কিন্তু মূল পার্থক্য তো একটাই! *সিনাপ্সুসুটিয়া কেমন হবে,যদি কোরমা পোলাও খেয়ে তারপর দেখেন আসলে খাচ্ছিলেন জুতা আর কাপড় ধোয়ার সাবান? *এক্সপেরিমেন্ট আপনি একজনের উপর এক্সপেরিমেন্ট করছেন,আপনি নিজেই যে কারো এক্সপেরিমেন্ট এর অংশ নন,নিশ্চয়তা আছে কোনো? * মহাকাশযান টাইটুন বিংশ শতাব্দিতে রিচার্ড ফাইনম্যান কৌতুক করে বলেছিলেন,যদি কখনো মহাজাগতিক কোনো মানুষ করমর্দন করার জন্য ভুল হাত এগিয়ে দেয় তার সাথে করমর্দন করো না। কী এমন হবে,ভুল হাতে করমর্দন করলে.? *স্মৃতি কেউ আপনার চোখের দিকে তাকিয়ে আপনার মস্তিষ্কে ঢুকে যেতে পারে, বিশ্বাস করেন? যদি এভাবে আপনার মস্তিষ্কে একটা এলিয়েন থাকতে শুরু করে,সেই স্মৃতিটা আসলে কেমন হবে! *সাহস মানুষের প্রত্যেকটা অনুভূতির জন্য যদি বাটন থাকতো,কোন বাটনে সবথেকে জোরে চাপ দেয়া সাহসের কাজ হতো? *জিনোম জনম উগুরুর কোম্পানি থেকে সার্টিফিকেট দেয়া হয়,পৃথিবীর সবথেকে প্রতিভাবান ১২ জন শিশুকে। তারা বড় হয়ে সবাই বিখ্যাত হবে,কারণ তাদের প্রত্যেকের ভেতরেই আছে বিখ্যাত সব ব্যক্তিদের জিনোম।আইনস্টাইন থেকে শুরু করে নেলসন ম্যান্ডেলার জিনোম। তাহলে কি এই জিনোমের কল্যাণে পৃথিবীতে আবার প্রত্যাবর্তন ঘটবে এসব বিখ্যাত ব্যক্তিদের? পাঠ প্রতিক্রিয়া : প্রত্যেকটা গল্পই আমার পছন্দের। সরল উপস্থাপনায় প্রত্যেকটা গল্পই সুন্দর। এতগুলো গল্প নিয়ে ভালো লাগা প্রকাশ করতে গেলে অনেক কথা বলতে হবে। কিছু বলি, বইটা প্রথম পড়েছিলাম ২০১১ সালে। 'এক্সপেরিমেন্ট' গল্পটা পড়ে তখন অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম। তখনই অনেক ভেবেছিলাম,খুব অদ্ভুত লাগছিলো ভাবতে। এখন ছয় বছর পর যখন পড়লাম বইটা আবার,দেখলাম কিছু গল্প বেশ ভালোভাবে মনে আছে। 'এক্সপেরিমেন্ট' আর 'জিনোম জনম' এক কথায় মনে রাখার মতনই। তবে 'জিনোম জনম' গল্পটা গল্প হিসেবে আমার কাছে অন্য গল্পগুলোর তুলনায় একটু বড় মনে হয়েছে,যেখানে ৮৪ পৃষ্ঠায় ৯ টা গল্প আর বাকি ৫৯ পৃষ্ঠা জুড়েই 'জিনোম জনম'। তবে অনেক গল্পই আমরা পড়ি,আবার ভুলে যাই। কিন্তু এই বইয়ের কিছু গল্প মনে থাকার মতনই।
Was this review helpful to you?
or
'অক্টোপাসের চোখ' বইটিতে মোট দশটি গল্প রয়েছে- অক্টোপাসের চোখ/ কাবিনের জীবনের একটি দিন/ চাঁদ/ প্যারামন/ সিনাপ্সুঘুটিয়া/ এক্সপেরিমেন্ট/ মহাকাশযান টাইটুন/ স্মৃতি/ সাহস/ জিনোম জনম। গল্পগুলো সবই সাইন্সফিকশনধর্মী। একটি গল্পে পৃথিবীর বিখ্যাত বিজ্ঞানীরা একত্রিত হয়ে মানুষের শারীরিক অসংগতিগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। তরুন বিজ্ঞানী ফিদা বললেন, নবজাতকের মাথার আকার বড় হওয়ায়, মায়ের সন্তান জন্মদানে অনেক কষ্ট হয়। এজন্য তিনি পরামর্শ দিলেন মানবশিশু তথা মানবজাতির মাথাই ছোট করে ফেলার। প্রযুক্তিবিদ রিভিক অ্যাপেন্ডিক্সের কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু আরেক জীববিজ্ঞানী সুহাস মানুষের জননেন্দ্রিয়ের বিপজ্জনক অবস্থানের কথা তুলে ধরেন। দীর্ঘ আলোচনা শেষে বিজ্ঞান আকাদেমি সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয় যে, মানব জাতির জিনোমে আগামি ১০০ বছরে খুব ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনা হবে যেন ১০০ বছর পরে মানবদেহে আর কোন সীমাবদ্ধতা না থাকে। আরো আছে এক অদ্ভুত যন্ত্র প্যারামন । এটি মানুষের মাথায় লাগালে সে সরাসরি নেটওয়ার্ক থেকে যোগাযোগ করতে পারে। নেটওয়ার্কনির্ভর জীবনে হঠাৎ নেটওয়ার্ক নষ্ট হয়ে গেলে সবাই দিশেহারা হয়ে পড়ে।”মহাকাশযান টাইটুন” এ পৃথিবীর মানুষের মহাকাশযান অন্য গ্রহের প্রাণীর মহাকাশযানের খোঁজ পায় ।কিন্তু অন্য গ্রহের প্রাণীদের এন্টি-ম্যাটার বা প্রতিপদার্থের তৈরি মহাকাশযানটিকে বুঝতে ভুল করে বিজ্ঞানীরা। মস্তিষ্কের সিনাপ্স নিয়ে রয়েছে “সিনাপ্সুঘুটিয়া” গল্পটি। সাইন্স ফিকশন লেখা নিয়ে লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের জীবনে একটা মজার গল্প আছে। তার প্রথম সায়েন্স-ফিকশন গল্প কপোট্রনিক ভালোবাসা সাপ্তাহিক বিচিত্রায় প্রকাশিত হয়েছিল। গল্পটি পড়ে একজন পাঠক দাবি করেন সেটি বিদেশি গল্প থেকে চুরি করা। এর উত্তর হিসেবে তিনি একই ধরণের বেশ কয়েকটি বিচিত্রার পরপর কয়েকটি সংখ্যায় লিখে পাঠান। তার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে এই গল্পগুলো নিয়ে কপোট্রনিক সুখ-দুঃখ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। এই বইটি পড়ে শহীদ-জননী জাহানারা ইমাম খুবই প্রশংসা করেন এবং এই ঘটনায় তিনি এ ধরণের আরও বই লিখতে উৎসাহিত হন। তার প্রথম দিকের বিজ্ঞান কল্পকাহিনীগুলো পাঠকমহলে সমাদৃত হয়। সুদূর আমেরিকাতে বসে তিনি বেশ কয়েকটি সায়েন্স-ফিকশান রচনা করেন। দেশে ফিরে এসেও তিনি নিয়মিত বিজ্ঞান-কল্পকাহিনী লিখে যাচ্ছেন।
Was this review helpful to you?
or
সেই এক্টা বই।।।।।।সব গুলা গল্প সেই।।।।।।।।
Was this review helpful to you?
or
onek age boi ta porechi ...tokhon mone hoy cls 5 a portam... amar ek bondhur kache boi ta chilo... tar theke boi ta dhar niye pore chilam... tokhon onek valo legechilo boi ta... science fiction ki tokhon bodhoy bujtam e na ami... tar pore o onek valo legechilo boi ta...
Was this review helpful to you?
or
Sinapsughutia is the best of all
Was this review helpful to you?
or
Boiti valo legechhe. shobche valo legechhe genome jonom golpota.
Was this review helpful to you?
or
এ বইটিতে 'অক্টোপাসের চোখ' সহ মোট নয়টি গল্পের অসাধারণ সংগ্রহ রয়েছে ।বইটির সবগুলো গল্পই জাফর ইকবাল স্যারের অন্যান্য সাইন্স ফিকশনের মতো সহজ উপস্থাপনায় সুন্দর ।তবে এগুলোর মাঝে প্যারামন নামের গল্পটি বুঝি একটু বেশিই ভালো লাগার মতো ।এ গল্পে পৃথিবীর বুকে এক অসাধারণ মেয়ে লানা আবিষ্কার করেন এক অদ্ভুত যন্ত্র যার নাম প্যারামন ।এ যন্ত্র মানুষের মাথায় লাগালে সে সরাসরি নেটওয়ার্ক থেকে যোগাযোগ করতে পারে ।একসময় সবাই হয়ে পড়ে নেটওয়ার্ক নির্ভর ।কিন্তু হঠাত্ নষ্ট হয় নেটওয়ার্ক ।মানুষ হয়ে পড়ে দিশেহারা । 'অক্টোপাসের চোখ' গল্পে পৃথিবীর বিখ্যাত বিজ্ঞানীরা একত্রিত হয়ে মানুষের আঙ্গিক অসংগতিগুলো নিয়ে আলোচনায় বসে ।একদিন তারা কৃত্রিম বিবর্তনের মাধ্যমে এসব অসংগতি দূরও করে ফেলে ।কিন্তু তাদের এ কৃত্রিম বিবর্তনের ফলে একসময় মানবজাতিকে পিছিয়ে দেয় আদিম সভ্যতায় ।আরও মজার সাইন্স ফিকশনগুলোর মধ্যে রয়েছে মহাকাশযানের টাইটুন ।এ গল্পটিতে পৃথিবীর মানুষের মহাকাশযান অন্য গ্রহের প্রাণীর মহাকাশযানের খোঁজ পায় ।কিন্তু পরিস্থিতির বেড়াজালের কারণে তারা বুঝে উঠতে পারে না যে অন্য গ্রহের প্রাণীর মহাকাশযানটি এন্টি-ম্যাটার বা প্রতিপদার্থের তৈরি ।ফলে মহাকাশযান দুইটির সংস্পর্শে বিস্ফোরণের কারণে সৃষ্ট শক্তি দেখা গিয়েছিল কয়েক আলোকবর্ষ দূর থেকে । এই বইয়ের আরেকটি মজার গল্প 'সিনাপ্সুঘুটিয়া' ।এটি একটা যন্ত্রের নাম,শুনেই বোঝা যাচ্ছে যে গল্পটা মস্তিষ্কের সিনাপ্স সম্পর্কিত ।এ গল্পে যন্ত্রটি মস্তিষ্কের সিনাপ্স ঘুটে দেওয়ার কাজ করে । এক লোক তার রেস্টুরেন্টে এ যন্ত্র লাগিয়ে নেয় ।ফলে তার রেস্টুরেন্টে যে যা খাবারই খাক না কেন তা ভাল লাগে ।এবার এ লোক বিয়ে করলো ।বাসর রাতে বউকে দেখে তো অবাক বিয়ের আগে দেখেছে সুন্দরী এখন একি ! আসলে বিয়ের আগে লোকটি যেখানে ঐ মেয়েকে দেখেছিল সেখানেও লাগানো ছিল ঐ... এ বইটি গল্পগুলো পড়ে আপনি যে শুধু মজাই পাবেন তা কিন্তু নয়, এ গল্পগুলো বিজ্ঞানের অনেক তথ্য বহন করছে ।তাই আমি বলবো যারা সাইন্স ফিকশন ভক্ত তারা এটি না পড়লে এখনি পড়ে ফেলুন...