User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ভালোলাগার সব লিখা..
Was this review helpful to you?
or
খুবই ছোট আয়তনের একটা বই।তবে এর বাক্যগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী। ভাষা আন্দোলন যে কোনো গুটিকয়েক ব্যক্তির আকস্মিক আন্দোলন ছিল না,বরং দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সক্রিয় ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল তা অসাধারনভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক।আর সিনেমার চিত্রনাট্যের জন্য লেখা হওয়ায় এর গঠনগত কিছুটা সীমাবদ্ধতা থাকলেও এর ভেতরের আবেগ,সত্যতা আর উপস্থাপনা বইটিকে দাড় করে দিয়েছে ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক শ্রেষ্ঠ উপন্যাসের তালিকায়।
Was this review helpful to you?
or
বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জহির রায়হানের ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে লেখা জনপ্রিয় আরেকটি উপন্যাস। বায়ান্ন সালের ভাষা আন্দোলন শুধু এদেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে নয়, শিল্প সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও নতুন চেতনাপ্রবাহ সৃষ্টি করেছিল; এই চেতনা ছিল অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক এবং সামাজিক মূল্যবোধসঞ্জাত| একুশের সেই কাঁপুনি ধরাতে চেয়েছিলেন লেখক, একুশকে নতুন ভাবে সামনে নিয়ে এসেছেন তিনি। ভাষা আন্দোলন নিয়ে চলচিত্র নির্মাণের উদ্দেশ্যে মূলত লেখক উপন্যাসটি রচনা করেন।
Was this review helpful to you?
or
কতো গুলো মানুষ। কতগুলো ভিন্ন পেশা। কিন্তু সকলেরই একটাই দাবী, রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। সকল জনগনের একটা দাবী নিয়ে আন্দোলন। আন্দোলন করতে গিয়ে সকলের বুকে গুলি। একেকটা ইচ্ছার বিসর্জন। "একুশে ফেব্রুয়ারি " বইটিতে জহির রায়হান তৎকালীন মানুষের কথা তুলে ধরেছেন। তার লেখনীর মধ্যেই ফুটে উঠেছে সেই সময়ের মানুষের মাতৃভাষার প্রতি প্রেম। শ্রদ্ধা। বইটি পড়লে যেকোনো পাঠকই তার চোখের সামনে ১৯৫২ সালের ফাল্গুন মাসের পরিস্থিতি দেখতে পারবে।
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হান রচিত 'একুশে ফেব্রুয়ারি' ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক উপন্যাস গুলোর মধ্যে সেরা। অনেক লেখালেখি হয়েছে ভাষা আন্দোলন নিয়ে হচ্ছে বা হবে, কিন্তু জহির রায়হান যে নিপুণভাবে সাজিয়েছেন বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনকে এই উপন্যাসে তা সত্তিই প্রশংসনীয়। জয় গুরু
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর একটা বই, পড়া না থাকলে পড়ে ফেলুন, ভালো লাগবেই। জহির রায়হানের লিখনি নিয়ে কারো প্রশ্ন থাকার কথা না! ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জানুয়ারি রিভিউ নংঃ৯ বইঃ একুশে ফেব্রুয়ারী লেখকঃ জহির রায়হান, ক্যাটাগরিঃ চিরায়ত উপন্যাস, মূল্যঃ ৬৮ টাকা (রকমারি মুল্য) প্রকাশনীঃঅনুপম লেখক পরিচিতিঃ প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক, গল্পকার ও চলচিত্র পরিচালক জহির রায়হান বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। তার সাহিত্য কে তিনি সমৃদ্ধ করেছেন আন্দোলন, ইতিহাস ও সামাজিকতার প্রেক্ষাপটে। তিনি তার উপন্যাস-গল্পে তুলে ধরেছেন ভাষা আন্দোনলের সক্রিয়তা। এছাড়াও তিনি সামাজিক উপন্যাস গুলোতে ফুটিয়েছেন গণমানুষের কথা। শুধু তাই নয় তিনি বাংলা চলচিত্রের প্রবাদ পুরুষ নামে পরিচিত। তার গল্প উপন্যাসের মতো তার চলচিত্র গুলোও বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। কাহিনী সংক্ষেপেঃ বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের সম্পর্কে সাধারণভাবে একটি ধারণা রয়েছে এটি বুঝি নিছক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অান্দোলন। বদরুদ্দীন উমর যদি তিনটি বিশাল খন্ডে ভাষা আন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাস (পূর্ববাংলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি) না লিখতেন আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব হতো না সেই সময়কার আর্থসামাজিক-রাজনৈতিক অবস্থা বা ভাষা আন্দোলনে শ্রমিক-কৃষকসহ সাধারণ মানুষের সমর্থন ও অংশগ্রগণের বিষয়টি। জহির রায়হানের ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ লেখা হয়েছে এই ইতিহাস রচনার আগে। কৃষক-শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষের আবেগ ও অংশগ্রহণের বিষয়টি তাঁর এই লেখায় রয়েছে। যেহেতু এটি মূল চিত্রনাট্য নয়, সেজন্য বিস্তারিতভাবে না এলেও কৃষকের প্রতিনিধি গফুর এবং শ্রমিকের প্রতিনিধি সেলিম কাহিনীর শুরুতে কৌতূহলী বহিরাগত হলেও তাদের পরিণতি ছাত্রদের দ্বারা সূচীত এই আন্দোলনে ভিন্ন মাত্রা সংযোজন করে। এটি সম্ভব হয়েছে জহির রায়হানের রাজনৈতিক অঙ্গীকারের কারণে। একুশে ফেব্রুয়ারীর কাহিনী রাজনীতিকে অবলম্বন করে গড়ে উঠলেও জহির রায়হানের অপরাপর গল্প উপন্যাসের মতো মানবিক উপাদান ও হার্দিক সম্পর্ক এতে অনুপস্থিত নয়। ফলে রাজনৈতিক হওয়া সত্ত্বেও এটি তত্ত্বগন্ধী বা শ্লোগানাক্রান্ত নয়। বর্ণনায় বরং কাব্যিক ব্যাঞ্জনা রয়েছে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত।” জহির রায়হানের অন্যতম অসমাপ্ত একটি কাজের কথা আমরা ভুলতে বসেছি। সে কাজটি হচ্ছে ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’। বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত উপন্যাস। তবে আয়তনের স্বল্পতার কারণে এটিকে উপন্যাস না বলে উপন্যাসিকা বলা যেতে পারে। বড় গল্প বলাটা হবে অধিকতর শ্রেয়। তবে উপন্যাস, উপন্যাসিকা বা বড় গল্প যে নামেই এটিকে ডাকা হোক না কেন, একটা কথা মানতেই হবে যে জহির রায়হানের এই ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ নিঃসন্দেহে বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন ও একুশে ফেব্রুয়ারির সেই রক্তঝরা দিনের ঘটনাকে উপজীব্য করে লেখা বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা রচনা। এর আগে ভাষা আন্দোলনকে উপজীব্য করে তেমন কোন উপন্যাস আমার চোখে পড়েনি। নিঃসন্দেহে জহির রায়হানের এই উপন্যাসটি একটি সেরা উপন্যাস। শুধু সেরাই নয়, এ বিষয়ের একেবারে প্রথম দিককার রচনাও বটে। ‘একুশের চেতনা’ ও ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শব্দ দুটির অর্থবোধক মানে আলাদা হলেও একটির সাথে আরেকটির সমপর্ক গভীর ভাবে জড়িত। একটি ছাড়া অন্যটি আমরা ভাবতে পারি না, পারাও সম্ভব নয়। বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের ঊষালগ্নের পাক-ভারত উপমহাদেশে যে রাজনৈতিক অসি’রতা ও অনিশ্চয়তার ঝড় উঠে তার প্রথম প্রতিফলন ফুটে ওঠে ৫২র ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে। আর বাঙালির সেই প্রথম স্বাধিকার আন্দোলনের চেতনা পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার পাথেয় হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ১৯৫২ থেকে ১৯৫৮ এই ছয়টি বছর ধরে পাকিস্তানের ইতিহাস হচ্ছে গুটিকয়েক ক্ষমতালিপ্সু, কায়েমি, স্বার্থবাদী, আমলা মুৎসুদ্দি, সামন্ত প্রভু, ধনপতি, মদ্যপ বদ্ধোম্মাদ রাজনৈতিক স্বার্থ শিকারির প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের ইতিহাস। আর এই ইতিহাসের গুপ্ত পথ বেয়ে মঞ্চে অবতীর্ণ হলেন জেনারেল আইয়ুব খান। বাঙালির আশা- আকাঙ্ক্ষার বুকে পদাঘাত করে সারা দেশে সামরিক শাসন জারি করলেন তিনি। বাঙালির বাক- স্বাধীনতা, ব্যক্তি- স্বাধীনতা, সভা-সমিতি, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সমস্ত হরণ করে নিয়ে বাংলার মানুষকে অবাধ শোষণের পথ উন্মুক্ত করলেন জেনারেল আইয়ুব খান ও তার সামরিক জান্তা। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ জহির রায়হানের অন্যতম অসমাপ্ত একটি কাজ ইতিহাসের অতলে চাপা পড়ে গেলো। সে কাজটি হচ্ছে ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’। একুশে ফেব্রুয়ারি মূলত চলচ্চিত্রের কনসেপ্ট হিসাবে উনি বানিয়েছিলেন। ১৯৬৬ সালেই তিনি এই কাজটি করতে চেয়েছিলেন। কিন’ তৎকালীন সরকার থেকে অনুমোদন পান নি চলচ্চিত্রটি করার। তিনি ভেবেছিলেন এই কাজটি তিনি সুযোগ পেলেই করে ফেলবেন। কিন’ শেষ পর্যন্ত অনুমোদন আর পাওয়া যায়নি পাকিস্তান সরকার থেকে। জহির রায়হানকে হারানোর পর আমাদের আসলে কি বিশাল পরিমাণ ক্ষতি হয়ে গেছে তা আমরা এই একটি স্ক্রিপ্টের ঘটনা থেকেই বুঝতে পারি
Was this review helpful to you?
or
বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত উপন্যাস। তবে আয়তনের স্বল্পতার কারণে এটিকে উপন্যাস না বলে উপন্যাসিকা বলা যেতে পারে। বড় গল্প বলাটা হবে অধিকতর শ্রেয়। তবে উপন্যাস, উপন্যাসিকা বা বড় গল্প যে নামেই এটিকে ডাকা হোক না কেন, একটা কথা মানতেই হবে যে জহির রায়হানের এই 'একুশে ফেব্রুয়ারি' নিঃসন্দেহে বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন ও একুশে ফেব্রুয়ারির সেই রক্তঝরা দিনের ঘটনাকে উপজীব্য করে লেখা বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা রচনা। শুধু সেরাই নয়, এ বিষয়ের একেবারে প্রথম দিককার রচনাও বটে। পরবর্তিকালে এবং সাম্প্রতিক ও বর্তমান সময়ে সংস্লিষ্ট বিষয়ের ওপর অনেক লেখা হচ্ছে। কবিতা, উপন্যাস, গল্প, ছড়া ইত্যাদি। সেগুলোর অনেকগুলো আবার পরিধিতে বিশালাকার। বিপুল গবেষণালব্ধ তথ্যের সন্নিবেশন ঘটছে সেগুলোতে। একুশে ফেব্রুয়ারি ও তার আগে পরের ঘটনাপ্রবাহের পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা স্থান পাচ্ছে। কিন্তু জহির রায়হানের 'একুশে ফেব্রুয়ারি'তে তার কিছুই নেই। নিজের টিপিক্যাল স্টাইলে রচিত একটি রচনা এটি, যেখানে খুব সাদামাটা ভাষায়, সহজ সরলভাবে শুধু কয়েকজন মানুষের কথা বলা হয়েছে। সেসব মানুষের সামগ্রিক চরিত্র নিয়েও অবশ্য বিন্দুমাত্র ঘাঁটাঘাঁটি করেন নি লেখক। স্রেফ একুশে ফেব্রুয়ারির আগের প্রহর ও একুশে ফেব্রুয়ারির দিনটায় কয়েকজন মানুষ ঐ বিশেষ দিনটি নিয়ে কি ভাবছিল, কি কি করছিল, দেশের ক্রান্তিকালে তাদের মনে কি ঝড় চলছিল, ব্যক্তি জীবন ও জাতীয় জীবনের দ্বন্দ্ব তাদের মনে কিরকম দোলাচলের সৃষ্টি করছিল তা কোন অলংকার ছাড়াই তুলে ধরেছেন লেখক। প্রয়োজনে সেই মানুষগুলোর ব্যক্তিগত জীবনকে একটু একটু করে ছুঁয়ে গেছেন তিনি। ঐ মানুষগুলোর ব্যক্তি সত্ত্বার সাথে একুশে ফেব্রুয়ারির চলমান পরিস্থিতি ঠিক কিভাবে একই সাথে প্রবাহিত হচ্ছিল, আর কিভাবে তাদের জীবনের প্রেক্ষাপট ও সামগ্রিক জীবন এই দুই-ই এক মোহনায় এসে মিলল, কিভাবে নিজেদের অজান্তেই তারা এক অমোঘ লড়াইয়ের সাথে জড়িয়ে পড়ে প্রাণ বিসর্জন দিল - সেসব কথার সাবলীল ধারাবর্ণনা স্থান পেয়েছে এই রচনায়। একুশের চেতনাকে পুঁজি করে, কাব্যধর্মী এক অসামান্য শৈল্পিক দৃষ্টিকোণ থেকে শুরু ও শেষ হওয়া এই রচনা পাঠকের চোখের সামনে একুশে ফেব্রুয়ারির চিত্রকে অতি বাস্তবরূপে হাজির করবে।