User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Nice book
Was this review helpful to you?
or
নির্সন্দেহে চমৎকার একটি বই ৩২ পৃষ্ঠার। তবে, বইয়ে বানান ভুল অনেক। যেটা রকমারি থেকে আশা করা যায় না। আশা করবো রকমারি বানান ভুলের বিষয়টা মাথায় রেখে নেক্সট টাইম থেকে নির্ভুল বই ডেলিভারি দিবে।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বইটি। বইটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনারাও পড়তে পারেন। আমি সবসময় বই পড়ি। বই নিজে পড়ুন। অন্যকে পড়তে সাহায্য করুন।
Was this review helpful to you?
or
মাঝে মাঝে আমার স্বপ্ন বিপরীত কথা বলে । একবার স্বপ্নের ফল যা হয়েছে পরে /পরবর্তীতে তা পরিবর্তন হতে পারে । সব কিছুই আল্লাহ ইচ্ছা ।
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হানের এই উপন্যাসিকাটির সত্যিই এক অসাধারণ। সমাজের বাস্তব চিত্রগুলো উপন্যাসে ফুটিয়ে তুলেছেন। বইটি খুব সুন্দর। এই বই পড়ার পরে জহির রায়হানের অন্যান্য বই পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। ? Rating: 8.5/10
Was this review helpful to you?
or
Darun boi...
Was this review helpful to you?
or
goog
Was this review helpful to you?
or
❤️❤️❤️
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই। জহির রায়হানের অনবদ্য সৃষ্টি এ উপন্যাসটি। বইয়ের কোয়ালিটিও ভালো। রিকমন্ডেড। ❤️
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হান অসাধারণ একজন লেখক।
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার
Was this review helpful to you?
or
Bhalo chilo onek
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো লেখনী
Was this review helpful to you?
or
ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
ভালো একটি উপন্যাস, খুব সাবলিল আর সহজ ভাষায় উপন্যাসটি লেখা হয়েছে
Was this review helpful to you?
or
বইঃ কয়েকটি মৃত্যু লেখকঃ জহির রায়হান ছোট একটা লিখা। কিন্তু এতে রয়েছে প্রচুর বাস্তবচিত্র এবং মেসেজ। মৃত্যু আসন্ন ভেবে মানুষের মন যেমন করে, তখন আপন মানুষদের যেভাবে চেনা যায়- তারই নিঁখুত এবং বাস্তব বর্ননা আছে এই বইয়ে।
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হান-একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক, এবং গল্পকার। বাংলা সাহিত্যের গল্প শাখায় অবদানের জন্য তিনি ১৯৭২ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।এছাড়াও চলচ্চিত্র আর সাহিত্যের অবদানে অনেক অনেক পুরষ্কার লাভ করেন। “কয়েকটি মৃত্যু” হচ্ছে জহির রায়হানের একটি ছোট গল্প। গল্পের প্রধান চরিত্র আহমদ আলী শেখ; সংসার, সন্তান, সম্পদ সব কিছু নিয়ে তিনি খুব সুখী মানুষ, সর্বক্ষেত্রেই পেয়েছেন সাফল্যের ছোঁয়া। তিনি চোখ ভরে মন ভরে নিজ সংসারের দিকে তাকিয়ে থাকেন। শেষ বয়সে যখন মৃত্যু তাকে হাতছানি দেয় তখন তিনি স্বপ্নে দেখতে থাকেন তার মৃত পূর্ব পুরুষরা তাকে সাথে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছে; এবং তখনই তার পরিবার পরিজনদের আসল রূপ প্রকাশ পেতে থাকে। গল্পটি শেষ হয় খুব চমৎকার ভাবে। আমরা জীবন থেকে মূলত কি চাই ! আমাদের এতো চাওয়া – পাওয়া কিন্তু মৃত্যুই হচ্ছে কঠিন সত্য, আমরা মৃত্যুকে ভুলে থেকে সব করতে চাই আর যখন মৃত্যু ঘনিয়ে আসে তখন বুঝতে পারি নিজেদের ভুল গুলো। “মানুষ শ্রেষ্ঠ জীব” এই তত্ত্ব থেকে মানুষ কতোটা সরে এসেছে সেটা লেখক এই গল্পের মধ্য দিয়ে আমাদের মানসিকতার গালে চড় মারার মতো করে বুঝিয়েছেন; ছোট বড় সবারই উচিৎ একবার হলেও ‘জহির রায়হান’ এর ছোট গল্প “কয়েকটি মৃত্যু” পড়ে দেখা। তাই বইটি সংগ্রহ করুন এবং পড়ুন। শুভ হোক আপনার পাঠ্য কার্যক্রম।
Was this review helpful to you?
or
বউ ,ছেলে-মেয়ে, নাতি নাতনি, ছেলে বউদের নিয়ে সাজানো একটি সংসার আহমদ আলী শেখের। হঠাৎ মৃত্যু নিয়ে দুঃস্বপ্ন দেখে আহমদ আলী শেখের মনে পড়ে এইরকম স্বপ্ন দেখার পর তার বাবা আর ভাই মারা যায়। তার মধ্যেও মৃত্যু ভয় চলে আসে। স্বপ্ন দেখে তার মনে হয় বাড়ির যেকোনো দুজন মানুষ মারা যাবে। এই কথা বাড়ির সকলকে জানালে সবাই ভয় পেয়ে যায়। বাড়ির বউগুলো তাদের অভ্যাস মত নিজের স্বামীদের বাবার সম্পত্তির জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেয়। ছেলেরা তাদের নিজেদের জীবনে করা পাপগুলোর কথা মনে করে অনুতপ্ত হয়। এই ভাবেই গল্পটা আস্তে আস্তে গড়াতে থাকে। এই গল্পের আকার খুবই ছোট। কিন্তু অনেক অর্থপূর্ণ গল্প।
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হানের নাম শুনলে হাজার বছর ধরে উপন্যাসের পর চোখে ভেসে আসে বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, রক্ত-লাশ আর সাহিত্যের সম্ভার। তাঁর লেখা কয়েকটি মৃত্যু উপন্যাসটি সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পড়তে শুরু করলেও শেষ অন্য কোথায় গিয়ে ঠেকেছিলো। শিরোনাম দেখে ভেবেছিলাম পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বর্বরতা আর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বেওয়ারিশ লাশ নিয়ে লেখা থাকবে। কিন্তু প্রেক্ষাপট মুক্তিযুদ্ধের সময়কার হলেও এমন কিছু বলা হয় নাই উপন্যাসটিতে। কিন্তু ছোট্ট একটা বই অসাধারণ এই উপন্যাসটি মনে দাগ কেটে গেছে।
Was this review helpful to you?
or
,
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ কয়েকটি মৃত্যু লেখক: জহির রায়হান ------------------------------ জহির রায়হানের লেখা ‘কয়েকটি মৃত্যু’ উপন্যাসটি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংযোজন। আমরা প্রতিদিনের জীবনে সব সময় মৃত্যুর বাস্তবতাকে ভুলে থাকি বা ভুলে থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু এই সত্য যখন মানুষের খুব কাছে এসে দাঁড়ায় তখন নিজের জীবন বাঁচানোর জন্যে মানুষ কতটা স্বার্থপর হতে পারে সেই ছবিই লেখক কয়েকটি মৃত্যু উপন্যাসটিতে অসাধারণ ভাবে তুলে এনেছেন। উপন্যাসিকাটি পড়ার পর যে কোন পাঠকই অন্তত কয়েক মুহূর্তের জন্যে স্তব্ধ হয়ে যাবেন। একবার হলেও নিজের মৃত্যু নিয়ে ভাবতে বাধ্য হবেন।
Was this review helpful to you?
or
আমরা প্রতিদিনের জীবনে সবসময় হাজারও কাজের ভিড়ে মৃত্যুর বাস্তবতাকে ভুলে থাকি বা থাকতে চেষ্টা করি। কিন্তু কখনও এই চিরসত্য পরিণতিকে এড়ানো সম্ভব হয় না। এই সত্য যখন মানুষের খুব কাছে এসে দাঁড়ায় তখন নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য এই মানুষ কতটা স্বার্থপর হতে পারে, সেই চিত্রই লেখক অসাধারণভাবে তুলে ধরেছেন এই উপন্যাসটিতে।
Was this review helpful to you?
or
এতো কম পৃষ্ঠার বইটিতে তিনি কিভাবে এতো গভীর কাহিনী তুলে ধরেছেন তা ভাবলে অবাক লাগে। অল্প সময়ে খুব সুন্দর কিছু পড়তে চাইলে পাঠকের জন্য বইটি অবশ্যই সাজেস্ট করবো। ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
আহমদ আলী শেখ অবাক দৃষ্টি মেলে স্ত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন অনেকক্ষণ। অনেকক্ষণ ধরে। সহসা বাড়ির পুরোনো চাকর আবদুলের গলা ফাটানো কান্না আর চিৎকারে সম্বিত ফিরে পেলেন বুড়ো কর্তা। আম্মাজান আম্মাজান গো। মইরা গেছে। মইরা গেছে। হন্তদন্ত হয়ে এ ঘরে এসে ঢুকলো আবদুল। ছুটে গিন্নীর দিকে এগিয়ে গেলো। মইরা গেছে। মইরা গেছে গো আম্মাজান। কি হয়েছে। জায়নামাজ ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন জোহরা খাতুন। আবদুল বললো, বউডা কেমন কেমন করতেছে। হাতপা খিইচা চিল্লাইতাছে, শরীর ঠাণ্ডা অইয়া গেছে আম্মাজান গো। আম্মাজান জলদি কইরা চলেন। আম্মাজান। কি হয়েছে। কর্তা অবাক হলেন। বউডা কেমন কেমন করতাছে। শরীর ঠাণ্ডা অইয়া গেছে আম্মাজান গো। কি হয়েছে। এবার স্ত্রীর দিকে তাকালেন আহমদ আলী শেখ। কি আর হবে। জোহরা খাতুন উত্তর দিলেন। ওর বউয়ের বোধ হয় ডেলিভারি পেইন উঠেছে। কদিন ধরে বলছি হাসপাতালে দিয়ে আয়। কিন্তু কে কার কথা শোনে। কথাটা সম্পূর্ণ না করেই পাশের ঘরের দিকে ছুটে চলে গেলেন জোহরা খাতুন। আবদুল তখনো চিৎকার করছে। আম্মাজান গো মইরা যাইবো। মইরা যাইবো আম্মাজান। বউ আমার মইরা যাইবো। ওর চিৎকার শুনে বাড়ির সবাই এ ঘরে ছুটে এসেছে ততক্ষণে। চার ছেলে। তিন বউ। একমাত্র মেয়ে আমেনা। কি হয়েছে? আবদুল চিৎকার করছে কেন? কিরে কি হয়েছে আবদুল? চিৎকার কবি, না বলবি কি হয়েছে। কি আর হবে। বুড়ো কর্তা আহমদ আলী শেখ আবদুলের হয়ে জবাব দিলেন। ওই উল্লুকটার কোন কাণ্ডজ্ঞান আছে নাকি। বউয়ের বাচ্চা হবে, হাত পা খিচোচ্ছে তাই দেখে হল্লা শুরু করে দিয়েছে। অপদার্থ কোথাকার। এ এমন সময় গিন্নী জোহরা খাতুন আবার এ ঘরে ফিরে এলেন। তার চোখেমুখে উৎকণ্ঠা। হায় হায় হায়। মেয়েটা মারা যাবে গো। এই তোরা কেউ এক্ষুণি ছুটে গিয়ে আশেপাশে কোথাও থেকে একটা ডাভার ডেকে নিয়ে আয় না। মা তার ছেলেদের সবার মুখের দিকে তাকালেন একবার করে। তারা দাঁড়িয়ে রইলি কেন। জলদি যা– আবদুল তখনো কাঁদছে। মইরা গেছে। মইরা গেছে গো আম্মাজান। চিৎকার করছিস কেন উল্লুক। এখানে চুপচাপ বসে থাক। হঠাৎ রেগে গেলেন বুড়ো কর্তা। তারপর স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললেন, ইয়ে হয়েছে। এখন এত রাতে কোথা থেকে ডাক্তার ডাকবো শুনি। বড় ছেলে পাশে দাঁড়িয়েছিলো। সে বললো, ডাক্তাররা কি সারারাত জেগে থাকে নাকি। মেজ ছেলে বললো, হাজার টাকা দিলেও এখন কোন ডাক্তার আসবে না। সবার মুখের দিকে অসহায়ভাবে তাকিয়ে যেদিক থেকে এসেছিলেন সেদিকে আবার ফিরে গেলেন গিন্নী জোহরা খাতুন। আবদুল ততক্ষণে মাটিতে বসে পড়ে কাঁদছে। মইরা গেছে গো আম্মাজান। মইরা গেছে। আহা, কাদিস না, কাদিস না। হায়াত মওত সব আল্লার হাতে, আল্লা আল্লা কর। সরে এসে বিছানার ওপর বসলেন আহমদ আলী শেখ। সহসা তিন বউয়ের দিকে চোখ পড়তে ঈষৎ বিরক্তির সঙ্গে বললেন। তোমরা সব এখানে হা করে দাঁড়িয়ে কেন। গিয়ে একটু দেখো না মেয়েটা বেঁচে আছে, না মরে গেছে। শ্বশুরের ধমক খেয়ে তিন বউ তাড়াতাড়ি সেখান থেকে সরে পড়লো। আমেনা অনুসরণ করলো তাদের। চার ভাই পরস্পরের দিকে একবার করে তাকালো। বুড়ো কর্তা কপালে হাত রেখে বিছানার ওপর চুপচাপ বসে। অনেকক্ষণ কেউ কোন কথা বললো না। সহসা আহমদ আলী শেখ নীরবতা ভঙ্গ করলেন। বললেন। ইয়া আল্লাহ। ওই দুঃস্বপ্ন। কি এমনিতে দেখেছি আমি, তখন বলিনি তোমাদের? তোমরা তো বিশ্বাসই করতে চাইলে না। ছেলেদের সবার মুখের ওপর একবার করে চোখ বুলিয়ে বললেন বুড়ো কর্তা। আবদুল তখনো কাঁদছে। বড় ছেলে মনসুর সহানুভূতির স্বরে বললো, কাঁদিস না আবদুল। কেঁদে কি হবে। সামান্য সান্ত্বনায় আরো ভেঙ্গে পড়লো আবদুল। ভাইসাব গো ভাইসাব। পোলার লাইগা। নিজের হাতে ছোট ছোট কাঁথা সিলাই কইরা রাখছিলো গো ভাইসাব। আবদুল কাঁদছে। আবার নীরবতা নেমে এলো সারা ঘরে। চার ভাই আবার পরস্পরের দিকে তাকালো। তাদের চোখেমুখে আগের সেই উৎকণ্ঠা এখন আর নেই। মনে হলো ঘুম পাচ্ছে তাদের। সহসা মেজ ছেলে বললো, মানুষের কার যে কখন মউত এসে যায় কেউ বলতে পারে। বড় ছেলে বললো, ওর বউটা স্বভাবে চরিত্রে বেশ ভালই ছিলো। সেজ ছেলে তাকে সমর্থন করে বললো, সারাদিন চুপচাপ কার্জ কর্ম করতো। আবার নীরবতা। বুড়ো কর্তা মুখ তুলে আবদুলের দিকে তাকালেন। কাঁদিস না। কাঁদিস কেন। এখন আর কেঁদে কি হবে। তার কণ্ঠস্বরে গভীর সহানুভূতির ছোঁয়া। সহসা পাশের ঘর থেকে সদ্যজাত শিশুর কান্নার শব্দে চমকে উঠলো সবাই। পরক্ষণে গিন্নী জোহরা খাতুন ছুটে এলেন এ ঘরে। সঙ্গে তিন বউ আর আমেনা। ওগো শুনছো। যমজ বাচ্চা হয়েছে গো। যমজ বাচ্চা হয়েছে। ওদের সবার চোখে মুখে হাসির ঝিলিক। আবেগের সঙ্গে বললো। আবদুল ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে রইলো ওদের দিকে। আঁ উল্লুকটার কাণ্ড দেখেছো। বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বললেন আহমদ আলী শেখ। একসঙ্গে দু দুটো ছেলের বাপ হয়ে গেছে হারামজাদা, আবার দাত বের করে হাসে দ্যাখো না। আবদুলের দিকে তেড়ে এলেন বুড়ো কর্তা। যেন হাতের কাছে পেলে এক্ষুণি তাকে দুটো চড় মেরে বসবেন, তিনি। গিনী হেসে বললেন, দাঁড়ায়ে রইলে কেন অজু করে এসো তাড়াতাড়ি আজান দাও। বুড়ো কর্তা কি বলবেন, কি করবেন ভেবে না পেয়ে বোকার মতো সবার দিকে এক পলক তাকিয়ে নিলেন। তারপর দ্রুতপায়ে এগিয়ে গেলেন কলতলার দিকে। খুব চমৎকার একটি উপন্যাস এই ‘কয়েকটি মৃত্যু’। সবার এই বইটি পড়া উচিৎ। যারা এখনো পড়েন নাই তারা পড়ে ফেলুন ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
বইঃ কয়েকটি মৃত্যু লেখকঃ জহির রায়হান প্রকাশনিঃ অনুপম প্রকাশনী মূল্যঃ ৫৪ টাকা পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ জহির রায়হান-একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক, এবং গল্পকার। বাংলা সাহিত্যের গল্প শাখায় অবদানের জন্য তিনি ১৯৭২ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।এছাড়াও চলচ্চিত্র আর সাহিত্যের অবদানে অনেক অনেক পুরষ্কার লাভ করেন। “কয়েকটি মৃত্যু” হচ্ছে জহির রায়হানের একটি ছোট গল্প। গল্পের প্রধান চরিত্র আহমদ আলী শেখ; সংসার, সন্তান, সম্পদ সব কিছু নিয়ে তিনি খুব সুখী মানুষ, সর্বক্ষেত্রেই পেয়েছেন সাফল্যের ছোঁয়া। তিনি চোখ ভরে মন ভরে নিজ সংসারের দিকে তাকিয়ে থাকেন। শেষ বয়সে যখন মৃত্যু তাকে হাতছানি দেয় তখন তিনি স্বপ্নে দেখতে থাকেন তার মৃত পূর্ব পুরুষরা তাকে সাথে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছে এবং তখনই তার পরিবার পরিজনদের আসল রূপ প্রকাশ পেতে থাকে। গল্পটি শেষ হয় খুব চমৎকার ভাবে। আমরা জীবন থেকে মূলত কি চাই ! আমাদের এতো চাওয়া – পাওয়া কিন্তু মৃত্যুই হচ্ছে কঠিন সত্য, আমরা মৃত্যুকে ভুলে থেকে সব করতে চাই আর যখন মৃত্যু ঘনিয়ে আসে তখন বুঝতে পারি নিজেদের ভুল গুলো। “মানুষ শ্রেষ্ঠ জীব” এই তত্ত্ব থেকে মানুষ কতোটা সরে এসেছে সেটা লেখক এই গল্পের মধ্য দিয়ে আমাদের মানসিকতার গালে চড় মারার মতো করে বুঝিয়েছেন; ছোট বড় সবারই উচিৎ একবার হলেও ‘জহির রায়হান’ এর ছোট গল্প “কয়েকটি মৃত্যু” পড়ে দেখা। তাই বইটি সংগ্রহ করুন এবং পড়ুন। শুভ হোক আপনার পাঠ্য কার্যক্রম
Was this review helpful to you?
or
রাইটারদের মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় এবং ভালোবাসা রাইটার হচ্ছে জহির রায়হান জহির রায়হানের শেষ বিকেলের মেয়ে বইটা দিয়ে আমার প্রেমের উপন্যাস পড়া শুরু করি হয়তো তার বই থেকেই আমার বই পড়া ভাল লাগতে শুরু করে তাই ওনার সব বই আছে কেন জানি ভালো লাগে আমি নিজেও জানিনা
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হানের লেখা ‘কয়েকটি মৃত্যু’ উপন্যাসটি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংযোজন। আমরা প্রতিদিনের জীবনে সব সময় মৃত্যুর বাস্তবতাকে ভুলে থাকি বা ভুলে থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু এই সত্য যখন মানুষের খুব কাছে এসে দাঁড়ায় তখন নিজের জীবন বাঁচানোর জন্যে মানুষ কতটা স্বার্থপর হতে পারে সেই ছবিই লেখক কয়েকটি মৃত্যু উপন্যাসটিতে অসাধারণ ভাবে তুলে এনেছেন। উপন্যাসটি পড়ার পর যে কোন পাঠকই অন্তত কয়েক মুহূর্তের জন্যে স্তব্ধ হয়ে যাবেন। একবার হলেও নিজের মৃত্যু নিয়ে ভাবতে বাধ্য হবেন-এই আমার মত।
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিও যেহেতু পুস্তক সমালোচনা সেহেতু অতি প্রশংসা বা সমালোচনা বাদ দিয়ে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দুচারটে কথা বলাই শ্রেয়। প্রথমে "কয়েকটি মৃত্যু" উপন্যাসটির ভালোদিক নিয়ে কথা বলছি। জহির রায়হান নামটা আমার কাছে বেশ পরিচিত হলেও তার কোনো লেখা পড়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। প্রথমত তার 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসটি পড়ে মোটামুটি তার লেখা সম্পর্কে ধারণা জন্মালো অতপর রকমারি থেকে কয়েকটি মৃত্যু উপন্যাসটি আনলাম। প্রশংসনীয় দিক হচ্ছে, উপন্যাসটি আমি দুই বারেই শেষ করেছি আর শেষ করার পরে একটা পরিতৃপ্তিও পেয়েছি। এ উপন্যাসের মূল চরিত্রে আছেন আহমদ আলী শেখ। তার স্ত্রী চরিত্রে ছিলেন জহোরা খাতুন। ভালো লাগার বিষয় হলো লেখক এখানে কয়েকটি আয়াত কোর্ট করেছেন যা বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল। আর সমালোচনার বিষয় হচ্ছে, লেখক উপন্যাসটির নামের সাথে সামাঞ্জস্যতা রাখতে পারেন নি। এবং অতি সংক্ষিপ্ত করে ফেলেছেন। সবমিলিয়ে বলা যায় এটি খুব মানের।
Was this review helpful to you?
or
“কয়েকটি মৃত্যু” হচ্ছে জহির রায়হানের একটি ছোট গল্প। গল্পের প্রধান চরিত্র আহমদ আলী শেখ; সংসার, সন্তান, সম্পদ সব কিছু নিয়ে তিনি খুব সুখী মানুষ, সর্বক্ষেত্রেই পেয়েছেন সাফল্যের ছোঁয়া। তিনি চোখ ভরে মন ভরে নিজ সংসারের দিকে তাকিয়ে থাকেন। শেষ বয়সে যখন মৃত্যু তাকে হাতছানি দেয় তখন তিনি স্বপ্নে দেখতে থাকেন তার মৃত পূর্ব পুরুষরা তাকে সাথে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছে; এবং তখনই তার পরিবার পরিজনদের আসল রূপ প্রকাশ পেতে থাকে। গল্পটি শেষ হয় খুব চমৎকার ভাবে।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ কয়েকটি মৃত্যু লেখকঃ জহির রায়হান ভাষাঃ বাংলা ঘরনাঃ চিরায়ত উপন্যাস বইয়ের পৃষ্ঠাঃ ২৮ মূল্যঃ ৫৪ টাকা প্রকাশনীঃ অনুপম ব্যক্তিগত অনুযোগ (রেটিং): ৪.৮/৫ “সেটা ছিলো উনিশশো সাতচলিল্লশের কথা। এটা উনিশশো আটষট্টি। মাঝখানে একুশটা বছর পেরিয়ে গেছে।” বাংলা সাহিত্যের উপন্যাসে ভাগে আঠাশ পৃষ্ঠা কোনো লেখা পড়েছেন, কোনো চিরায়ত উপন্যাস পড়েছেন কি? যে উপন্যাসে জীবন জীবন্ত হয়ে উঠে মাত্র আঠাশ পৃষ্ঠা, মৃত্যুর বিধিরেখা বলিষ্ঠ হয়ে ফুটে সবর্ত্র। পড়েছেন কি? আমি পড়েছি, এক কিংবদন্তী, এক প্রিয় মানুষ, শব্দ মোহের জাদুকরী লেখকের বই পড়েছি আমি। আমি প্রতিবার অভিভূত হই, অবাক হই, অবশেষে কেঁদে ফেলি! ইশশশ!! উনি এখনো পর্যন্ত বেঁচে থাকলে....! আমি নিশ্চুপ, নিস্তদ্ধ হয়ে পড়ি। বইয়ের শুরু.... মৃত্যুর খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়ে জীবনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মানুষ কতটা স্বার্থপর হতে পারে, তার এক নিষ্ঠুর কিন্তু বাস্তব চিত্র লেখক জহির রায়হান এঁকেছেন উনার কয়েকটি মৃত্যু, এই উপন্যাসে। কথা সাহিত্যিক, জহির রায়হানের লেখা ‘কয়েকটি মৃত্যু’ উপন্যাসিকা বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংযোজন। কারণ, আমরা প্রতিদিনের জীবনে সব সময় মৃত্যুর বাস্তবতাকে ভুলে থাকি বা ভুলে থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু এই সত্য যখন মানুষের খুব কাছে এসে দাঁড়ায়, তখন নিজের জীবন বাঁচানোর জন্যে মানুষ কতটা স্বার্থপর হতে পারে, কি কি করতে পারে... তার সবকিছু লেখক ‘কয়েকটি মৃত্যু’ উপন্যাসিকায় অসাধারণ ভাবে তুলে এনেছেন। উপন্যাসটি আহমদ আলী শেখ ও তার পরিবারকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে। দেশ ভাগ হয়ে যাওয়ার পর তাঁর চব্বিশ-পরগণার ভিটেবাড়ি, জমিজমা, পুকুর সবকিছুরর বিনিময়ে তিনি এদেশে একখানা দালানকোঠার মালিকানা পেয়েছেন। মূল্যায়নের দিক থেকে হয়তো এতে তার বেশকিছু লোকসান হয়েছে, তবুও অজানা দেশে এসে মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই পাওয়া গেছে এটা ভেবে তিনি আল্লাহর দরগায় হাজার শোকর জানিয়েছেন। সেটা ছিল উনিশশো সাতচল্লিশ এর কথা। বর্তমানে, এখন চলছে উনিশশো আটষট্টি। আহমদ আলী শেখ বৃদ্ধ। বয়স তার ষাটের কোঠায়। তার পরিবারটা অনেক বড় ছেলে, মেয়ে, ছেলের বউ, নাতি-নাতনী নিয়ে তার বিশাল পরিবার। আহমদ আলী শেখ এর চার ছেলে এক মেয়ে। তিন ছেলে বিয়ে করেছে, মেয়ের ও বিয়ে দিয়েছেন। আহমদ আলী শেখ এর নাতি-নাতনীর সংখ্যা অনেক। বড়ের ঘরে পাঁচজন। মেজোরর দুই ছেলেমেয়ে সেজো পরে বিয়ে করলেও তার ঘরে আটমাসের খুকিকে নিয়ে তিনজন হলো। তিনি মাঝে মাঝেই পরিবারের সবাইকে এক ঘরে ডেকে নিয়ে এসে তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকেন। যেন তার সারা জীবনের পরিশ্রমে ক্ষেতে যে ফসল ফলেছে তা দেখছেন। একইসাথে, তখনকার উত্তাল সময়ে, দেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে তার কোনো উৎসাহ নেই, আগ্রহ নেই। কিন্তু, আহমদ আলী শেখ মামলা-মোকদ্দমার খবরগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়েন, সাথে মনোযোগ দিয়ে পড়েন পাটের বাজারের উঠতি খবর, নতুন দালান-কোঠা, ব্রিজ তৈরির খবর। কারণ...... নিজের ব্যক্তিগত পাঠ প্রতিক্রিয়া বেশ উজ্জ্বীবিত এই উপন্যাসের। এখানে সবাই ব্যস্ত অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যতের হিসেবে রয়ে গেছে। মৃত্যুর মত অব্যর্থ বাস্তবতা যখন মানুষের সামনে এসে দাঁড়ায় তখন মানুষ নিজের স্বার্থ কত রকমভাবে সংরক্ষণের চেষ্টা করতে পারে তা লেখক চোখে আঙুল তুলে দেখিয়েছেন। ছোট্ট এই বইয়ের প্রতি পাতায় পাতায় যে উৎসাহ আর প্রাপ্তি আছে, পাঠকের কাছে তা অনায়সে গ্রহণযোগ্য হবে। বইয়ের পুরো কথা মুষ্ঠিমেয় বলে সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যেতে থাকে স্বপ্ন। আহমদ আলী শেখের স্বপ্ন? সেই স্বপ্ন কি সত্যি হবে? নাকি, সত্যি সত্যি কি আবার কোন দূর্ঘটনা ঘটবে? জানার কৌতূহলে মিটিয়ে দেবার জন্য সাহিত্য প্রেমী পাঠকদের বইটি পড়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি......
Was this review helpful to you?
or
জীবন, মৃত্যু, পরিবারের গুরুত্ব
Was this review helpful to you?
or
দারুণ একটা উপন্যাস ! যদিও এটা ছোটোগল্পের মতো তারপরও অর্থ অনেক বিস্তৃত।
Was this review helpful to you?
or
বইটি আমি এক বসায় শেষ দিয়েছিলাম। অসাধারণ বই ?
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ কয়েকটি মৃত্যু লেখকঃজহির রায়হাম প্রকাশনীঃঅনুপম প্রকাশনী মূল্যঃ৫৪টাকা বইটি পড়া শুরু করার সাথে সাথে খুঁজে পেলাম সেই চিরচেনা জহির রায়হান। অভাবনীয় প্লট আর দুর্দান্ত ক্লাইম্যাক্স প্রকাশের মাধ্যমে নাড়া দিয়ে দেন বিবেকটাকে। ছোট্ট একটা গল্প, মৃত্যুভীতি নিয়ে একটা যৌথ পরিবারের বিভিন্ন সদস্যরা কেমন মানসিকতা প্রদর্শন করছে, তাই নিয়ে গল্পটি সাজানো হয়েছে। মৃত্যু মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় সত্য। আর এজন্যেই বোধহয় আসন্ন মৃত্যুভীতির মাধ্যমে মানুষের অন্তরের আসল রূপটা যে প্রকাশিত হয়ে পড়ে, তা লেখক বুঝিয়ে দিয়েছেন একদল স্বার্থপর তথাকথিত শিক্ষিত ব্যক্তি, একজন নিঃস্বার্থ মাতা জোহরা আর বোকা চাকর অথচ নির্ভেজাল ভালোমানুষ আবদুলের মাধ্যমে।একই সাথে, মানুষ যে শ্রেষ্ঠতম জীব, এই বহুল জনপ্রিয় থিয়োরিটাকেও অদ্ভূত ভঙ্গিমায় একই সাথে সমর্থন করলেন এবং বুড়ো আঙ্গুল দেখালেন লেখক জহির রায়হান। গল্পের সমাপ্তিতে ক্লাইম্যাক্স প্রকাশের সময় অভাবনীয় ঢঙে ইতি টানায় বরাবরের মতই জহির রায়হানের গল্পে মোপাসীঁয় শৈলী প্রকাশ পেয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে। আর এজন্যেই সবমিলিয়ে এত ভালো লেগেছে গল্পটি।
Was this review helpful to you?
or
কাহিনীটা খুব গোছানো। একজন 'আহমদ আলী শেখ' এর গল্প। এই আহমদ আলী শেখ এর স্বপ্ন অনেক সময় মিলে যায়। বিশেষ করে বলা হয়েছে মৃত্যু ব্যপারে। সেবার যখন স্বপ্নে মৃত্যু দেখলো, তখনই মারা গেলেন তার বাবা। আবারো একটি স্বপ্নে দেখেন মৃত্যু। কিন্তু কে? কে মারা যাবে এবারে? সেই মৃত্যুকে ঘিরেই চেহারা পালটে যায় অনেকের। আর এই অনেকের গল্প নিয়েই 'কয়েকটি মৃত্যু' । একটাই মতামত, দাম বেশি না, সো, পড়ে ফেলুন।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ কয়েকটি মৃত্যু লেখকঃ জহির রায়হান প্রকাশনীঃ অনুপম প্রকাশনী আব্বার জায়নামাজটা কোথায়? নিয়ে এসো তো। জায়নামাজ দিয়ে কি করবে? বিস্ময়ভরা দৃষ্টিতে স্বামীর মুখের দিকে তাকালো বড় বৌ। মনসুর আলী সংক্ষেপে জবাব দিলো-- নামাজ পড়বো। সেকি! আজ হঠাৎ নামাজ পড়তে চাচ্ছো? না মানে কিছুক্ষণ ইতস্তত করলো মনসুর আলী। তার পর স্ত্রীর উপর রেগে গিয়ে চিৎকার করে উঠলো সে। তোমার ওই মুখে মুখে তর্ক করার অভ্যেসটা এখোনো গেলো না। যা বলছি তাই করো। জায়নামাজটা কোথায় আছে খুজে নিয়ে এসো। অনেক্ষন ধরে একটা বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছেন মেঝো ছেলে আহসান কিন্তু কিছুতেই বইয়ে মন বসছে না তার। অথচ ঘুমও আসছে না।মেঝো বউ কিছুক্ষণ পাশে দাঁড়িয়ে উসখুস করে বললো-- হ্যাগো। তুমি না একটা ইন্সিওরেন্স করেছিলে? হ্যা করেছিলাম তো। কিন্তু কেনো বলো তো? না এমনি। হঠাৎ মনে পড়লো তাই তোমাকে জিজ্ঞেস করলাম। বইটা বন্ধ করে স্ত্রীর মুখের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে রইলো আহসান। ধীরে ধীরে একটা মৃদু হাসি জেগে উঠলো তার ঠোটের কোনে। বাড়ির সেজোছেলে মকবুল একটা সিগারেট ধরিয়ে ঘন ঘন টানছে আর হিসেবের খাতা দেখছে। ছোটবউ তার পিঠের কাছে এসে দাঁড়ালো। মাথার মধ্যে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো-- কই উত্তর দিলে না? কিসের উত্তর? আমি মারা গেলে তুমি আরেকটা বিয়ে করবে তাই না??? কিন্তু এ বাড়ি এমন ছিলো না। ছেলে বৌ নাতি নাতনী নিয়ে সুখের সংসার ছিল আহমদ আলী শেখের। সেদিন রাতের সের ভয়াবহ ঘটনার আগেও সব ঠিকই চলছিল। না, কোন মৃত্যু না, এমনকি পুরো কাহিনীতে কোন মৃত্যুই নেই! তবে...! তবে কি ছিল সেই ভয়াবহ ঘটনা??? অনুভূতিঃ এমন এক ছোট্ট পরিসরেও যে এতো বিশাল রেশ সৃষ্টি করে দেয়া যায় তা জহির রায়হান ছাড়া আর কেই বা পাড়বে! বইটা হয়তো হাতে নিতেই শেষ হয়ে যাবে তবে রেশ রয়ে যাবে অনেক্ষণ।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ কয়েকটি মৃত্যু লেখকঃজহির রায়হান প্রকাশনীঃঅনুপম প্রকাশনী ধরনঃচিরায়ত উপন্যাস মূল্যঃ৬০ টাকা(রকমারি মূল্যঃ৪৫ টাকা) . উপন্যাসটি আহমদ আলী শেখ ও তার পরিবারকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে।দেশ ভাগ হয়ে যাওয়ার পর তাঁর চব্বিশ-পরগণার ভিটেবাড়ি, জমিজমা, পুকুর সবকিছুরর বিনিময়ে তিনি এদেশে একখানা দালানকোঠার মালিকানা পেয়েছেন।মূল্যায়নের দিক থেকে হয়তো এতে তার বেশকিছু লোকসান হয়েছে,তবুও অজানা দেশে এসে মাথাগোঁজার একটা ঠাঁই পাওয়া গেছে এটা ভেবেই তিনি আল্লাহর দরগায় হাজার শোকর জানিয়েছেন। সেটা ছিল উনিশশো সাতচল্লিশ এর কথা। . আর এখন আহমদ আলী শেখ বৃদ্ধ। বয়স তার ষাটের কোঠায়।তার পরিবারটা অনেক বড় ছেলে,মেয়ে, ছেলের বউ,নাতি-নাতনী নিয়ে তার বিশাল পরিবার। আহমদ আলী শেখ এর চার ছেলে এক মেয়ে।তিন ছেলে বিয়ে করেছে,মেয়ের ও বিয়ে দিয়েছেন।আহমদ আলী শেখ এর নাতি-নাতনীর সংখ্যা অনেক।বড়র ঘরে পাঁচজন। মেজোরর দুই ছেলেমেয়ে সেজো পরে বিয়ে করলেও তার ঘরে আটমাসের খুকিকে নিয়ে তিনজন হলো। তিনি মাঝে মাঝেই পরিবারের সবাইকে এক ঘরে ডেকে নিয়ে এসে তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকেন। যেন তার সারা জীবনের পরিশ্রমে ক্ষেতে যে ফসল ফলেছে তা দেখছেন। . কিন্তু এই সুখের সংসারে হঠাৎ করে একদিন মৃত্যুর ঘণ্টাধ্বনি বেজে উঠলো। তিনি স্বপ্নে দেখলেন তার মৃত আত্মীয়-স্বজন তাকে নিয়ে যেতে এসেছে।ঠিক এ রকমই একটি স্বপ্ন আহমদ আলী শেখের বাবা দেখেছিলেন। এবং তা দেখার পর তিনি ও তার মেজ ছেলে মারা গিয়েছিলেন। এই স্বপ্ন দেখার পর আহমদ আলী শেখ অত্যন্ত উৎকণ্ঠিত হয়ে সব ছেলে এবং তাদের বউদের ঘরে ডেকে এনে স্বপ্নের কথা বললেন। ছেলেরা মুখে বলল, ও সব স্বপ্ন কিছু না।কিন্ত তাদের মৃত্যু ভয় পেয়ে বসল।স্বপ্নের কথা জানার পর আহমদ আলী শেখের ছেলেমেয়ের কথোপকথন_ . #বড় ছেলে_ও তার_বউঃ বড় ছেল হঠাৎ করেই ভাবতে লাগল সে তো দিনরাত ওকালতির দলিল-দস্তাবেজ আর বইপত্র নিয়ে মশগুল ছিলেন।রোজগার প্রচুর করেছেন।কিন্তু সব ইহকালের জন্য। পরকালের জন্য তিনি কিছুই করেন নি।তাই স্বপ্নের পরেই হঠাৎ তার নামাজ এর কথা মনে পরল তিনি তার স্ত্রীকে তার বাবার জায়নামাজ এনে দিতে বললেন।আর তার বউ ভাবছে যে তার শুশুর যদি মারা যায় তাহলে তার স্বামীর ভাগে সম্পত্তি বেশি পরবে তো। . #মেজো ছেলে_ও তার_বউঃ মেজ বউ তার ভবিষ্যতের কথা ভেবে মেজ ছেলেকে ইন্সিওরেন্সের টাকা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে বসল। তখন মেজ ছেলে দুনিয়ার নিষ্ঠুর বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পারলো। যে পরের মেয়েকে সে এখন সবচেয়ে আপন ভাবছে, সেই মেয়ে তার মৃত্যুর পর কীভাবে খাবে-পড়বে সে চিন্তায় ব্যস্ত। তার মৃত্যু নিয়ে মোটেও চিন্তিত না। . সেজো ছেলে_ও তার_বউঃবাড়ির সেজোছেলে বসে ঘনঘন সিগারেট টানছে।তার বউ এসে থাকে জিজ্ঞাস করছে যে যদি সে মারা যায় তাহলে সে আবার বিয়ে করবে কি না।ছেলে বলল সে আবার বিয়ে করবে এবং সে আবার বিয়ে করবে এতে তাদের মধ্যে মান অভিমান চলতে থাকে। . শুরু হয় পারিবারিক হিসেবের দ্বন্দ। সবাই ব্যস্ত অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যতের হিসেবে। মৃত্যুর মত অব্যর্থ বাস্তবতা যখন মানুষের সামনে এসে দাঁড়ায় তখন মানুষ নিজের স্বার্থ কত রকমভাবে সংরক্ষণের চেষ্টা করতে পারে তা লেখক চোখে আঙুল তুলে দেখিয়েছেন। আহমদ আলী শেখের স্বপ্ন কি সত্যি হবে? সত্যি সত্যি কি আবার কোন দূর্ঘটনা ঘটবে? জানতে হলে পড়ত হবে সুন্দর এই বইটি। . #পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ জহির রায়হানের লেখা ‘কয়েকটি মৃত্যু’ উপন্যাসিকাটি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংযোজন। আমরা যে মৃত্যুর বাস্তবতাকে ভুলে থাকি বা ভুলে থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু এই সত্য যখন মানুষের খুব কাছে এসে দাঁড়ায় তখন নিজের জীবন বাঁচানোর জন্যে মানুষ কতটা স্বার্থপর হতে পারে সেই ছবিই লেখক ‘কয়েকটি মৃত্যু’ উপন্যাসিকায় অসাধারণ ভাবে তুলে এনেছেন।মৃত্যু আছে বলেই হয়ত আমরা ভাবতে শিখি, চলতে শিখি, কিছু একটা করতে শিখি। নির্মম আর ভয়াবহ একটি সৌন্দর্য জহির রায়হান কালিতে তুলে এনেছেন অসাধারণ ভঙ্গিতে।চমৎকার একটা বই। পড়ে দেখতে পারেন।আশা করি ভাল লাগবে। হাপি রিডিং.....
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই - কয়েকটি মৃত্যু লেখক - জহির রায়হান প্রকাশনী - অনুপম প্রকাশনী মূল্য - ৬০/- (মুদ্রিত) রেটিং - ৪/৫ প্রথম প্রকাশ - ১৯৯৮ ..... একটা মানুষ যখন নিশ্চিত মৃত্যুর সামনে তখন তার মনের চিন্তা ভাবনা কেমন হয়? কেউ ভাবে তার পরিবার নিয়ে, কেউ অর্থ, কেউ পরকাল নিয়ে ভাবে আবার কেউ ব্যস্ত হয়ে যায় হিসাবের কাগজে। এটাই জীবনের সৌন্দর্য্য। মৃত্যু আছে বলেই হয়ত আমরা ভাবতে শিখি, চলতে শিখি, কিছু একটা করতে শিখি। নির্মম আর ভয়াবহ একটি সৌন্দর্য জহির রায়হান কালিতে তুলে এনেছেন অসাধারণ ভঙ্গিতে। বইটার নাম 'কয়েকটি মৃত্যু' ... বৃদ্ধ আহমদ আলী শেখ। তিন জন সুপুত্রের বাবা, একজন স্ত্রী, পাত্রস্থ করা মেয়ে, তিনজন গুণবতী পুত্রবধূ, একজন বিশ্বস্ত চাকর, অবসর আর নিজের একটা বাড়ি। জীবনের পড়ন্ত বেলায় আহমদ আলী শেখ তাই অনেক সন্তুষ্ট। খোদার কাছে শুকরিয়া জানাতে কার্পণ্য করেন না। এরইমাঝে একদিন তার মেয়েও হাজির শ্বশুড়বাড়ি থেকে। সাথে ছিলেন আহমদ আলীর শ্যালক মফিজ আর তার স্ত্রী। এমনই পরিপূর্ণ রাতে তিনি স্বপ্ন দেখেন অশুভ কিছুর। অনেক বছর আগে যে স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছি তার বাবা এবং এক চাচা। শুরু হয় পারিবারিক হিসেবের দ্বন্দ। সবাই ব্যস্ত অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যতের হিসেবে। নামাযও পড়েন কেউ কেউ। এভাবেই এগিয়ে যায় জহির রায়হানের আরেকটি অসাধারণ লেখা। ... বিশেষ কিছুই বলার নেই। এরকম ভালো বইয়ের জন্যই আসলে আমাদের অপেক্ষা। এমন বই পাইনা বলেই আমাদের আক্ষেপ। জহির রায়হানকে ধন্যবাদ। স্বল্প জীবনে আমাদের এতকিছু উপহার দেয়ার জন্যে।
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হানের লেখা ‘কয়েকটি মৃত্যু’ উপন্যাসিকাটি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংযোজন। আমরা প্রতিদিনের জীবনে সব সময় মৃত্যুর বাস্তবতাকে ভুলে থাকি বা ভুলে থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু এই সত্য যখন মানুষের খুব কাছে এসে দাঁড়ায় তখন নিজের জীবন বাঁচানোর জন্যে মানুষ কতটা স্বার্থপর হতে পারে সেই ছবিই লেখক ‘কয়েকটি মৃত্যু’ উপন্যাসিকায় অসাধারণ ভাবে তুলে এনেছেন। আহমদ আলী শেখের পরিবারকে কেন্দ্র করেই এই উপন্যাসিকার কাহিনী আবর্তিত হয়েছে। আহমদ আলী শেখের সুখের সংসার। তার বড় ছেলে শহরের নামকরা উকিল, মেজ ছেলে ইঞ্জিনিয়ার, সেজ ছেলে পাটের ব্যবসা করে আজকাল ভালোই আয়-রোজগার করছে। তিনি তিন ছেলেকেই সুন্দর, সৎ চরিত্রের তিনটি মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়েছেন। নাতি-নাতনী দিয়ে তার ঘর ভরা। তার সংসারে কোন রকম কষ্ট নেই, অভাব নেই। তিনি মাঝে মাঝেই পরিবারের সবাইকে এক ঘরে ডেকে নিয়ে এসে তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকেন। যেন তার সারা জীবনের পরিশ্রমে ক্ষেতে যে ফসল ফলেছে তা দেখছেন। কিন্তু এই সুখের সংসারে হঠাৎ করে একদিন মৃত্যুর ঘণ্টাধ্বনি বেজে উঠলো। তিনি স্বপ্নে দেখলেন তার মৃত আত্মীয়-স্বজন তাকে নিয়ে যেতে এসেছে। ঠিক এ রকমই একটি স্বপ্ন আহমদ আলী শেখের বাবা দেখেছিলেন। এবং তা দেখার পর তিনি ও তার মেজ ছেলে মারা গিয়েছিলেন। এই স্বপ্ন দেখার পর আহমদ আলী শেখ অত্যন্ত উৎকণ্ঠিত হয়ে সব ছেলে এবং তাদের বউদের ঘরে ডেকে এনে স্বপ্নের কথা বললেন। ছেলেরা মুখে বলল, ও সব স্বপ্ন কিছু না। কিন্তু তাদের মৃত্যু ভয় পেয়ে বসল। বড় ছেলে নিজের ঘরে গিয়ে চিন্তা করতে বসল, সে সারা জীবন শুধু পাপই করে গেছে। পরকালের জন্যে কিছুই করে নি। সে তার বউয়ের কাছে নামাজ পড়ার জন্যে জায়নামাজ চাইলো। ওদিকে মেজ বউ তার ভবিষ্যতের কথা ভেবে মেজ ছেলেকে ইন্সিওরেন্সের টাকা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে বসল। তখন মেজ ছেলে দুনিয়ার নিষ্ঠুর বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পারলো। যে পরের মেয়েকে সে এখন সবচেয়ে আপন ভাবছে, সেই মেয়ে তার মৃত্যুর পর কীভাবে খাবে-পড়বে সে চিন্তায় ব্যস্ত। তার মৃত্যু নিয়ে মোটেও চিন্তিত না। এইদিকে বাড়ির অসুস্থ ছোট ছেলেটাও আহমদ আলী শেখের মত একই স্বপ্ন দেখলো। তখন সবাই এই ভেবে আশ্বস্ত হল যে তাহলে বাবা আর ছোট ভাই-ই মারা যাচ্ছে। কারণ আগেরবারও যে দুজন স্বপ্ন দেখেছিল তারাই মারা গিয়েছিলো। সবাই এই ব্যাপারে যখন মোটামুটি নিশ্চিত তখন আহমদ আলী শেখ আবার স্বপ্ন দেখলেন। এবার তাকে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে, তার যে কোন দুইটা ছেলের নাম বলার জন্যে যাদের জান কবচ করা হবে। তখন আহমদ আলী শেখ অত্যন্ত স্বার্থপরের মত বললেন, তার দুইটা ছেলের জান কবচ না করে যেন ঘরে যেই তিনটা বউ আছে তাদের জান কবচ করা হয়। এভাবে মৃত্যুর মত অব্যর্থ বাস্তবতা যখন মানুষের সামনে এসে দাঁড়ায় তখন মানুষ নিজের স্বার্থ কত রকমভাবে সংরক্ষণের চেষ্টা করতে পারে তা লেখক চোখে আঙুল তুলে এই উপন্যাসিকায় দেখিয়ে দিয়েছেন। জহির রায়হানের লেখার সহজাত বৈশিষ্ট্য হল, ছোট ছোট জোরালো বাক্যের ব্যবহার। সেই বিষয়টি এই উপন্যাসিকায় আরও স্পষ্ট ভাবে বোঝা গিয়েছে। আর অসাধারণ সাবলীল বাস্তবধর্মী বর্ণনাভঙ্গি এই বইয়ের গল্পকে আরও মোহনীয় করে তুলেছে, আরও হৃদয়স্পর্শী করে তুলেছে। ‘কয়েকটি মৃত্যু’ উপন্যাসিকাটি পড়ার পর যে কোন পাঠকই অন্তত কয়েক মুহূর্তের জন্যে স্তব্ধ হয়ে যাবেন। একবার হলেও নিজের মৃত্যু নিয়ে ভাবতে বাধ্য হবেন।
Was this review helpful to you?
or
অনেকেই কথায় কথায় বলে থাকেন, "আমি মানুষ দেখলেই বুঝে ফেলি কে কেমন!"। আদৌ কি বোঝা সম্ভব? একজন মানুষের সাথে বছরের পর বছর একত্রে থেকেও কখনো কখনো মানুষ চেনা যায় না। মানুষ চেনা যায় কিছু বিশেষ মূহূর্তে। (গল্প পড়ার পর ব্যাক্তিগত মতামত) #রিভিউ বইয়ের নামঃ কয়েকটি মৃত্যু লেখকঃ জহির রায়হান প্রকাশকালঃ ১৯৬৮ আহমদ আলী শেখ একজন বৃদ্ধ ব্যাক্তি। চার ছেলে এক মেয়ে ছোটছেলে শামসু বাদে সকলের বিয়ে হয়েছে। চার ছেলে আর দশ নাতিনাতনি নিয়ে শুখেই আছেন বুড়ো। ছেলেবউরা প্রত্যেকে সুন্দরী আর সুন্দর ব্যবহার। লোকের প্রশংসায় রাঙা হয় তিন বউ। একদিন রাতে হঠাৎ স্বপ্ন দেখলেন তার মৃত পূর্বপুরুষরা এসেছে। প্রত্যেকে বলছে "তোমাকে নিতে এসেছি"। ভয়ে ঘুম ভেঙে গেলো আহমদ আলী শেখের। তার বাবা আর চাচাও মৃত্যুর পূর্বে একই স্বপ্ন দেখেছে। চিৎকার চেঁচামেচি করে বাড়ির লোকদের এক করলেন। বাড়ির সকলের মধ্যে একটা পরিবর্তন এলো। বড়ছেলে মনসুর হঠাৎ করেই বউয়ের কাছে জায়নামাজ চেয়ে নামাজ পড়া শুরু করলো। মেজো ছেলেও টেনশনে। এরই মধ্যে একদিন ছোটছেলে শামসু একই স্বপ্ন দেখলো। স্বপ্ন বুড়োর স্বপ্নের সাথে হুবহু মিলো গেলো। সেজো ছেলে ইদানিং ঘনঘন সিগারেট খায়। প্রত্যেকেই একটা দুর্ঘটনার জন্য প্রস্তুত। আর বাড়ির বউয়েরা? তাদের কি পরিবর্তন! এই সুন্দর চরিত্রের বউদের পরিবর্তন জানতে আপনাকে বইটা পড়তে হবে। এখানেই বইটার মজা। আর কি দুর্ঘটনা ঘটলো শেষ পর্যন্ত? এত চিন্তা না করে ছোট্ট এই বইটি পড়ে ফেলুন। পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ আমাকে কেউ প্রিয় লেখকের নাম জিজ্ঞাস করলে বলতে পারবো না। তবে খুব চাপাচাপি করলে যাদের নাম আসবে তাদের মধ্যে জহির রায়হান অন্যতম। এই মানুষটার দেখার চোখ ছিলো আলাদা। কয়েকটি মৃত্যু গল্পেও সেই আলাদা দৃষ্টিভঙ্গির দেখা পাই। গল্পটা বেশ ছোট হলেও মনে দীর্ঘস্থায়ী দাগ কেটে যাবে। খুব চমৎকার ভাবে সমাজের ও পরিবারের এক নির্মম সত্যকে দেখতে পাবেন। আর লেখকের লেখনি সম্পর্কে কি বলবো! একজন জাত শিল্পির লেখা নিয়ে আমি মন্তব্য করতে পারি!!!