User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Habibur Rahaman

      17 Nov 2019 12:41 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বুক রিভিউ বইয়ের নামঃ আঙ্গারধানি লেখকের নামঃ কিঙ্কর আহ্সান বইয়ের ধরনঃ সমকালিন উপন্যাস প্রচ্ছদঃ শিবু কুমার শীল প্রকাশনীর নামঃ জাগৃতি প্রথম প্রকাশঃ ২০১8 উৎসর্গঃ মাও বাবাকে পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৯৫ মুদ্রিত মুল্যঃ ১৭৫ টাকা। প্রতিটি পরিবারে সবচেয়ে ছোট ভাই হোক কিংবা বোন হোক সে থাকে সকল ভাইবোনের কাছে আদরে। এমনকি বাবা মায়ের কাছেও তাদের আবদার একটু বেশীই থাকে। এমনই একটি গ্রামীন পরিবারের সবচেয়ে ছোট ও আদরের বোন পুতুল। পুতুলকে দিয়েই লেখক উপন্যাসের শুরু করেন। উত্তম পুরুষে নায়কের মুখের বর্ণনামুলক এই উপন্যাস। যেখানে পুরো বইয়ে নায়কের কোন নাম পাওয়া যায়নি, পাওয়া যায়নি আরেক অন্যতম চরিত্র ভাইজানের নাম। আদরের ছোট বোন পুতুলের মৃত্যুর দীর্ঘ আট বছর পরে নিজ বাড়িতে ফিরতে বাধ্য হন ভাইজান। মুখোমুখি হন যে নিশা আপাকে কেন্দ্র করে আট বছর আগে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে ভাইজানকে। বন্ধু কমলেশ। খুব ভাল লাগার মত চরিত্র। যেখানে যান সবকিছু আপন করে নেন। দেশটাকে খুব ভালবাসেন। পুরো পরিবার দেশ ছেড়ে যেতে চাইলেও সে এই মাটি ছেড়ে যেতে নারাজ। যে মাটিতে তার জন্ম ভেড়ে উঠা সে মাটি ছেড়ে কি করে যাবেন ? নিশা আপুর প্রথম সন্তান আগমন উপলক্ষে বড় অনুষ্ঠান আজ। জওহর ভাই নিশা আপুর স্বামী। ব্যবসায়ী মানুষ, অর্থ বিত্তের অভাব নেই। তাই সন্তান আগমনের খুশিতে এত বড় অনুষ্ঠান। অন্যদিকে ভাইজান প্রায় বিদেশে ফোনে কথা বলেন। কথা বলা শেষে তার চোখ ছলছল করে উঠে। সেই দৃশ্য এড়ায় না কমলেশের ও। প্রায় শুনতে পাওয়া যায় ভাইজান তার অপরাধের শাস্তি পেয়ে গেছেন। একদিন বাড়িতে হঠাৎ নতুন অতিথির আগমন। অতিথির নাম মিরাজ। কে এই মিরাজ ? যার কাছ থেকে জানা যায় ভাইজানের জটিল রোগের খবর। যা ভাইজানকে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। নিশা আপু কে ? ভাইজানের সাথে কি ছিল তার সম্পর্ক ? কেন তাকে বাড়ি ছেড়ে পালাতে হল ? মিরাজই বা কে ? কেন তার হঠাৎ বাড়িতে আসতে হল ? ভাইজানের শাস্তিটা কি ছিল ? এইসব অজানা সব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে লেখক কিঙ্কর আহ্সান এর আঙ্কারধানি। পাঠ অনুভূতিঃ গ্রামবাংলার চিরাচরিত ঐতিহ্য, মানুষের ভ্রাতৃত্ব,নৌকাবাইচ, সারি গান, জাম্বুরা দিয়ে ফুটবল খেলা, সুপারি গাছের খোল দিয়ে গাড়ি চালানো যা আমাকে আমার শৈশব স্মৃতিকে মনে করিয়ে দেয়। কমলেশ চরিত্রটি মনের মধ্যে গেথে আছে। নিশা চরিত্রটি আমাকে মাঝে মাঝে ধাঁধাঁয় ফেলে দিয়েছে। পুতুল চরিত্রটি প্রথম কয়েক পৃষ্ঠার পরে আর পাওয়া যায়নি। তবে খুজেছি প্রতিটি পৃষ্ঠায়। শেষটা খুব করুন ভাবেই শেষ হয়েছে। সমালোচনাঃ লেখক উপন্যাসের একেবারে শেষ প্রান্তে এসে বলেছেন "বেঁচে থাকার জন্য পিছুটান দরকার" তার এ কথাটির সাথে আমি পুরোপুরি একমত নই। আমার মনে হয় পিছুটান মানুষকে স্বাভাবিক ভাবে চলার জন্য মানসিক ভাবে বাঁধা গ্রস্ত করে। পিছুটান মানুষকে শরীরীকভাবে ভঙ্গুর করে ফেলে। লেখক পরিচিতিঃ লেখক কিঙ্কর আহ্সান সম্পর্কে বইয়ের ফ্লপে তেমন কোন লেখা পাওয় যায় না। তবে এতটুকিু পাওয়া যায় - ‘মাটির মানুষ ছেলেটা তবুও আকাশে ডানা মেলে ওড়ার আজন্ম সাধ তার।’ -বুবু । আমি যতটুকু জানি লেখক দেশের নামকরা বেশ কয়েকটি পত্রিকায় কাজ করেছেন। ফিল্ম নিয়ে কাজ করেন। বর্তমানে কাজ করছেন ‘সান কমিউনিকেশন’ নামে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায়। সবকিছুর পরেও লেখালেখিই কিঙ্কর আহ্সানের আসল জায়গা।

      By Ruponti Shahrin

      29 Dec 2018 07:11 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আঙ্গারধানি --কিঙ্কর আহসান --- সমকালীন, রহস্য, সাসপেন্স জুন মাসে পড়েছিলাম আঙ্গারধানি।আঙ্গারধানি শব্দটার সাথে আমি পরিচিত হতে চেয়েছিলাম।কিন্তু পরিচিত হওয়ার মতো কোনো সংজ্ঞা আমি পাইনি।নাহ, গুগল করেও কিছু জানতে পারলাম না।সেসময় হাতে সময় কম ছিল, তাই খুঁটিনাটি ঘাটাঘাটি করে পড়তে পারি নি।কিন্তু কাহিনীটা আমার মনের গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছিলো।সাধারণ সব বইয়ের রিভিউ তো আর লেখা সম্ভব নয়, তবে এরকম একটা নাতিদীর্ঘ বইয়ের গভীর উপলব্ধির জন্যই রিভিউ লিখতে বসলাম।যদিও আজকে তেমন বড় করে কিছু লিখবো না। কাহিনী সংক্ষেপ: বড় ভাইয়ের কাছে তার ছোট বোনের অকস্যাৎ মৃত্যুর চাইতে বিষাদ আর পৃথিবীর কোনো কিছু দিয়েই পূরণ করার নয়।সাপের কামড়ে স্যাঁতসেঁতে পুকুর পাড়টায় মারা গেছে পুতুল। সন্ধ্যের দিকে বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানের কাছটাতে হঠাৎ করে বলা নেই কূয়া নেই সেই ছোট্ট মেয়েটির প্রাণটাই যাওয়ার ছিল।এইতো সেদিন ঘর আলো করে এলো ছোট্ট পুতুল দুই ভাইয়ের আদরের বোনটি হয়ে।সেইটা আনন্দ ঘেরা বাড়িটির হাহাকারের এখন একমাত্র কারণ এখন পুতুলের চলে যাওয়া।পুতুলের বড় ভাইজান দেশের বাইরে ছিলেন বহু বছর।আজ এই বিষাদের দিনে গ্রামের লোকের একটাই আলোচনা বড় ছেলে বাড়ি ফিরবে তো।তার পেছনের কাহিনীটা যাইহোক গ্রামের লোকের কান কথাই যেন বাড়তি।এদিকে পুতুলের আরেক ভাই কখনো বাবার শোকে কাতর মুখের দিকে চেয়ে গোপনে লুকায় তার হতবিহ্বল চেহারা।কখনো মায়ের মনের খবর জানার আকুলি-বিকুলি।বড় ভাইজান কি পাল্টে যাওয়ার মানুষ? এই প্রশ্নে তার উত্তর মেলে না। তার ভাইজানই তার কাছে প্রবাদ প্রতিম, সবচেয়ে সহজ-সরল মানুষ। কিন্তু বহুআগেই মনে তালা দিয়ে বসে আছে গল্পকথক।সে আর তার ভাই শ্যামলা দেখতে পচা চেহারার পাগলী মেয়ে নিশা অপার প্রেমেই পড়ে গিয়েছিলো।যার মা মারা যাবার পর থেকে সে এই বাড়িতেই বড় হয়েছে। আসলে ব্যাপারটা হজম করতে পারলেও গোপন থাকে নি অনেক কিছুই। এ কাহিনীর শেষ কি? পরিণতিই বা কি? বাস্তবতা কি এটি সহজ, বললাম আর হয়েই গেলো। ভাবাবেগ: বাস্তব আর সত্য কখনোই কারো পেছন ছাড়ে না। তাই সাধু সাবধান।প্রথম থেকেই বিষাদে ছেয়ে যাওয়া একটা কাহিনী শেষটা হতভম্ব করে ছেড়েছে আমাকে।আসলেই পরিস্থিতির সাথে মানুষ পরিবর্তন হয় সেকথা সবাই জানে।কিন্তু কখনো এভাবে এক সত্যের সামনে দাঁড় করে যে আসলে কে বিজয়ী তা ভাববার চাইতেও কঠিন প্রশ্ন জাগে কি হারালাম এ জয়ের মুখে। এক বুক হাহাকার ছেয়ে গেলো। আমি যদি এমন বাস্তবতার মুখোমুখি হই তবে আমার জবাবটা কেমন হতো আমার ঠিক জানা নেই। এবার আসি কাহিনী বর্ণনা প্রসঙ্গে।আপনি ভাবছেন গল্পের নায়ককে নিয়ে এতো কথা সেই নায়কের নাম কই! আচ্ছা, আপনি নিজেই খুঁজে দেখুন তো তার নাম কি। পুতুলের মৃত্যুর বাড়িতে গ্রামীণ মরাবাড়ির যে পরিবেশ তাতে বর্ণনার নিখুঁত প্রয়াস ছিল লেখনীতে।কোনো কিছুই বাদ যায় নি।আর তাতেই আমার নজর কাড়ে। যে হ্যা, বইটা আমার এখুনি শেষ করা চাই। তারপর যে নিশি আপাকে নিয়ে এতো কাহিনী তার মর্যাদার প্রশ্ন যেকোনো নারীর এক জটিল অধ্যায় হতে পারে। প্রত্যেকটা অধ্যায় আপনাকে কিছু জটিল প্রশ্নের সম্মুখীন করবে। হতাশ করবে না, বরং কিছু ক্ষেত্রে আপনি হয়ে উঠবেন আবেগপ্রবণ।আসলে সেই বুক চিরে বের হওয়া আর্তনাদ যা প্রতিফলিত হয়ে আবার নিজের বুকেই ফেরত আসে।যে ধ্বনি প্রতিফলিত হয় আমাদের কলংকের কারণে, ব্যাথাতুর হৃদয়ে বিষের বাঁশি হয়ে। আমার এই কাহিনী পড়ে এইটুকু বলতে ইচ্ছে করছে অন্তত, আমরা প্রত্র্যেকে সবার ভালো চাই, কিন্তু আমরা নিজের মন্দ চাই না, মোটেও চাইনা।

      By mahadi hasan

      11 Oct 2018 10:54 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      best

      By Nahid Farhana

      08 Mar 2017 05:57 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা রিভিউঃ উত্তম পুরুষে রচিত এ উপন্যাসের বক্তার নাম বইয়ের কোথাও উল্লেখ করা হয়নি; উহ্য রাখা হয়েছে বক্তার বড় ভাইয়ের নামটাও, পুরো উপন্যাসে তিনি ভাইজান নামেই হাজির হয়েছেন। কাহিনীর শুরুটা হয় পুতুলের মৃত্যু দিয়ে, সাপে কাটার পরিণতিতে এক ছোট্ট বালিকার মর্মান্তিক মৃত্যু। পুতুলের মৃত্যু উপলক্ষ্যে দীর্ঘ আট বছর পরে বাড়িতে আসে পরিবারের বড় ছেলে, পুতুলের বড় ভাই। আসে নিশা আপাও। পুতুলের খালাতো বোন এই নিশা আপাকে কেন্দ্র করেই কিছু একটা ঘটেছিল আট বছর আগে, আর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই বাড়ির সাথে সব সম্পর্ক শেষ হয়ে যায় ভাইজান অর্থাৎ পুতুলের বড় ভাইয়ের। নিশা আপাকে ভালবাসত পুতুলের বড় দুই ভাইই, কিন্তু বয়সে ছোট হওয়ায় ছোট ভাইয়ের ভালবাসাটা কখনো গুরুত্বই পাইয়নি, সে অবশ্য অতটা প্রকাশও করেনি তার ভালবাসা। অপরদিকে ভাইজানের সাথে নিশা আপার হৃদয় বিনিময় হয়েছিল, এমনকি গ্রামের সবাইও ধরে নিয়েছিল যে বড় হয়ে এই দুটি ছেলেমেয়ে পরষ্পরের গলায় মালা দিবে; কিন্তু আদতে সেরকম কিছুই হয়নি। কোন এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা তাদের শান্ত-স্নিগ্ধ জীবনে ফেলে দেয় অমঙ্গলের কালো ছায়া। বাড়িছাড়া হয় পুতুলের ভাইজান। নিশা আপার হয়ে যায় বিয়ে। তারপর......... ?? কেটে যায় দীর্ঘ আটটি বছর। পুতুলের মৃত্যু আবার মুখোমুখি দাড় করিয়ে দেয় অতীতের দুই ভালবাসার মানুষকে। নিশা আপা এখন জহুর ভাইয়ের স্ত্রী, আর ভাইজানও বিয়ে করেছেন অন্য এক নারীকে। দুজনের জীবন মোড় নিয়েছে দুটি ভিন্ন পথে। তবে কেউই মনে হয়না সুখী হতে পেরেছে, অন্তত ভাইজান তো পারেইনি। বিধাতা তাকে তার পাপের শাস্তিস্বরূপই কি না কে জানে, নিঃস্ব করে দিয়েছেন জীবনের প্রতিটি প্রাপ্তি থেকে, এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি তার সেই শাস্তির মেয়াদ। কিন্তু কি পাপ করেছিল ভাইজান, যার জন্য ধ্বংস হয়ে গেল তাদের সব সাজানো স্বপ্ন??? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে উপন্যাসটির একদম শেষে। তাই দেরি না করে পড়ে ফেলতে পারেন। ব্যক্তিগত মতামতঃ এই বইটি কেমন লেগেছে তা নিজেও ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। কখনো ভাল লেগেছে, কখনো আবার খারাপও লেগেছে। খারাপ লাগাটা এসেছে শেষের দিকে, গল্পের শেষে বর্ণিত প্রথমদিকের কাহিনীটা ভাল লাগেনি, এরকমটা যেন মেনে নেয়া যায়না। তবে প্রথম থেকেই ভাইজানকে অপরাধী হিসেবে দেখানো হলেও কষ্ট আমার নিশা আপা ও ভাইজান, দু’জনের জন্যই হয়েছে।

      By faijatul farha

      16 Feb 2016 12:37 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভালো।

      By Farabi Hasan

      03 Jun 2015 08:03 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারন লেখনী। কেউ ঠকবেনা বই পড়ে।

      By rabbi khan

      21 Feb 2014 11:53 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অন্যরকম একটি উপন্যাসের দেখা পেলাম ।বইটা কিনে কারো আফসোস করতে হবে না ।

      By Mahin saleh

      18 Feb 2014 02:56 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ একটি বই। যে কোনো পাঠকের ভালো লাগবে। সুখপাঠ্য, হৃদয়ছোয়া ভাষা শৈলীর এক অসাধারণ উপন্যাস।

      By Shakib

      17 Feb 2014 03:14 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বহু প্রতীক্ষিৎ একটি বই। অসাধারণ উপন্যাস।

      By sami

      14 Feb 2014 08:18 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      nice

      By Monatisa sithi

      12 Feb 2014 02:58 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারন একটা উপন্যাস

      By pritul

      12 Feb 2014 12:20 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারন

      By Rafatur Nabi

      19 Feb 2014 02:34 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      gud 1

      By towhidur rahman

      13 Feb 2014 06:18 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এ উপন্যাস আলগী নদীর তীরে গড়ে ওঠা ছোট্ট একটি গ্রামের মানুষের কথা বলে। গ্রামের একটি পরিবারের সুখ, দুঃখ জীবনের প্রতি মুহূর্তের গল্প হয়ে ওঠার মতন গল্পগুলোর কথা বলে। পরিবারটির সবার জীবন যেন আগুন রাখার পাত্রের মতন (আঙ্গারধানি)। সবসময় যন্ত্রনা। পুড়ে পুড়ে ছাই হওয়া। উপন্যাসের নায়কের বড় ভাই, একমাত্র বড় ভাই দীর্ঘদিন ধরে পলাতক। সাপের কাপড়ে ছোট বোনের মৃত্যুর দিনই ফিরে আসে ভাইটা। উপন্যাসটা এখান থেকেই শুরু। ভাইকে ঘিরে, ভাইয়ের চারপাশের মানুষগুলোকে ঘিরে এরপর ঘটতে থাকে একের পর এক ঘটনা। উপন্যাসের নায়ককে শৈশব তাড়া করে ফেরে। সেই ছোটবেলায় মেঝ খালা মারা যাবার পর খালাত বোনকে তাদের বাড়িতে ফেলে রেখে গিয়েছিলো মেঝ খালু। সেই থেকে খালাত বোনের প্রেমে পড়ে দুই ভাই। একই সাথে। বয়সে ছোট বলে উপন্যাসের নায়ক পাত্তা পায়না খালাত বোনের কাছে। হয়ত পাত্তা পাক তা চায়ওনা। কিছু ভালোবাসায় চাওয়া পাওয়ার ব্যাপারগুলো উহ্য থাকলেই যেন ভালো। তার বরং ভালো ছাত্র, শান্ত-সুবোধ বড় ভাইয়ের সাথে খালাত বোনের প্রেম দেখতেই ভালো লাগে। তাদের পাশে না থাকার মতন করে থাকতেই ভালো লাগে। ভ্যাগাবন্ড নায়কের আবোল তাবোল ভাবনায় মন উচাটন হয়। আজ এতদিন পর কেন এল তার বড় ভাই তা মাথায় ঢোকেনা। ছোট বোনের মৃত্যু শোকের জন্যেই কি এ আসা নাকি অন্য কোন কারন? বিদেশে ছিলো এতদিন বড় ভাইটা। সেখানেও কোন একটা গল্প অসমাপ্ত রেখে চলে এসেছে সে। বড় ভাইয়ের বিষাদ মাখানো মুখ দেখে বোঝা যায় তা। অনেক দিন পর ভাই, মা, বাবা, খালাত বোন মুখোমুখি হয়। তাদের ভেতর পাশাপাশি থেকে প্রতিশোধ, ভালাবাসা, কষ্ট বসবাস করতে শুরু করে। উপন্যাসের নায়ক চারপাশের কাছের মানুষগুলোর বদলে যাওয়া দেখে অবাক হয়। বদলে যাবার দৈাড়ে পাল্লা দিতে না পেরে আর সবকিছু তার কাছে ধাঁধার মতন লাগে। এই সবকিছু ভেতরেও বারেবার ফিরে আসে একটা প্রশ্ন- কেন পালিয়েছিলো বড় ভাই। খালাত বোনের গর্ভের সন্তানকে হত্যা করা হলো কেন? কার ছিলো দোষ? উপন্যাসের নায়ক এসব ভেবে একসময় হাল ছেড়ে দেয়। প্রশ্নের উত্তর পেয়ে কি’ই বা হবে শুনি? কি হয়? তার চেয়ে বরং অন্য পথে হাটা হোক। আজ না হয় অন্য পথেই হাটুক সে…। উপন্যাস : আঙ্গারধানি জাগৃতি প্রকাশনী প্রচ্ছদ: শিবু কুমার শীল

      By Bibi Rasheda Afrin Rumi

      03 Dec 2017 06:54 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতাঃ #ডিসেম্বরঃ (৫) বইঃ আঙ্গারধানি লেখকঃ কিঙ্কর আহসান প্রকাশনঃ জাগৃতি প্রকাশনী প্রথম প্রকাশঃ বইমেলা(২০১৪) ধরণঃ সমকালীন পৃষ্ঠাঃ ৮৫ রকমারি মূল্যঃ ১৫৪ উত্তম পুরুষে রচিত হয়েছে এ উপন্যাস।উপন্যাসের কোথাও কথকের নাম উল্লেখ করা হয়নি,কথকের বড় ভাইয়ের নামটাও উহ্য রাখা হয়েছে।পুরো উপন্যাসে তিনি ভাইজান নামেই পরিচিত ছিলেন। রিভিউঃ এ উপন্যাস আলগা নদীর তীরে ছোট একটি পরিবারকে ঘিরে।এই পরিবারের সবার জীবন যেন আগুন রাখার পাত্রের মতন,সবসময় যন্ত্রণায় পুড়ে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে।উপন্যাসে কথকের বড় ভাই দীর্ঘদিন ধরে পলাতক।তার একমাত্র ছোটবোন পুতুল একদিন সাপের কামড়ে মারা যায়।মৃত্যু বুঝি অনেক দূরের মানুষকেও কাছে টেনে আনে।অনেকদিন আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া বড়ভাই ফিরে আসে। ছোটবেলায় মেজখালা মারা যাবার পর খালাত বোনকে তাদের বাড়ি ফেলে রেখে গিয়েছিলেন মেজখালু।সেই থেকে খালাতো বোন তাদের ঘরেই বড় হয়।খালাত বোনটি আহামরি কোন সুন্দরী ছিল না।কিন্তু তারা দুভাই একসাথে প্রেমে পড়ে।বয়সে ছোট হওয়ায় সে পাত্তা পাইনা।পাত্তা পাওয়ার জন্য কোন চেষ্টাও সে কখনও করেনা।বন্ধু কমলেশের সাথে তার দিন দিব্যি কেটে যায়।এতদিন পর বড় ভাইয়ের হঠাৎ আগমন সে বুঝতে পারেনা।বড়ভাই একদিন খালাতো বোনের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে দায়িত্ব নেবার ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিলো।জহুর ভাই খুব ভালো মনের মানুষ তাই তিনি সব জেনেও খালাতো বোন নিশা আপাকে বিয়ে করেন।পুতুলের মৃত্যুর খবর পেয়ে নিশা আপাও তাদের বাড়িতে এসেছিল।অনেকদিন পর ভাই,মা,বাবা, খালাতো বোন মুখোমুখি হয়।তাদের মধ্যে পাশাপাশি প্রতিশোধ,ভালোবাসা,কষ্ট বসবাস করতে শুরু করে।সে চারপাশে মানুষদের বদলে যাওয়া দেখে অবাক হয়।বদলে যাবার দৌড়ে পাল্লা দিতে না পেরে তার কাছে সবকিছু ধাঁধার মতো লাগে। পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ এটা আমার পড়া লেখকের প্রথম বই।এর আগে লেখকের আর কোন বই পড়া হয়নি।এটা লেখকের প্রকাশিত প্রথম বই।প্রথম বই হিসেবে লেখার কোথাও সেই ছাপ পরেনি।লেখার মান ছিল অসাধারণ ও প্রাঞ্জল।বইটি পড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে।কখনও ভালো লেগেছে,কখনও মন খারাপ হয়েছে।লেখকের অসাধারণ লেখনির ছোঁয়ায় চরিত্রগুলোর সাথে মিশে গিয়েছিলাম।চরিত্রগুলোর দুঃখে নিজের অজান্তেই চোখের কোণে ভিজে উঠেছিলো।অসাধারণলেগেছে উপন্যাস টি। রেটিং: ৪.৫/৫

      By Asheque Mahmud Shohan

      24 Jan 2017 01:04 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      লেখকের লেখা বইগুলোর মধ্যে আমার পড়া দ্বিতীয় বইটি হলো 'আঙ্গারধানি'।একটি পরিবার এবং তার সাথে জুড়ে থাকা মানুষগুলির জীবনের উত্থান-পতনের দৃশ্য লেখক নিজের মতন করে সাজিয়েছেন উপন্যাসটিতে।লেখকের বর্ণনা করা গ্রামবাংলার মানুষের ভ্রাতৃত্ব,নৌকাবাইচ,সারি গান,জাম্বুরা দিয়ে ফুটবল এগুলো আমার মন কেড়ে নিয়েছে।তবে পরিবারের সাথে জুড়ে থাকা মানুষগুলোর মধ্যে কমলেস ঢুকে গেছে মনের মধ্যে।ভালো লাগার মতন এক অদ্ভুত চরিত্র কমলেসের।লেখক শুধু কমলেসের জন্যই আমার কাছ থেকে একশতে একশো পেয়ে গেছেন।তবে শুরুর কয়েকপৃষ্ঠা পরেই পুতুলকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম।বাকি পৃষ্ঠাগুলিতে পুতুলকে খুজেছি,মিস করেছি।ভাইজানের কন্ঠকাকীর্ণ জীবন নাড়া দিয়েছে মনে।প্রতিটি চরিত্রের মাঝে নিজের পরিবার,কাছের মানুষদের মিলাতে চেষ্টা করেছি।তবে শেষটায় সবকিছুর ওলটপালট চোখের অশ্রু টেনে আনল।জীবন বড়ই নিষ্ঠুর। লেখক 'আঙ্গারধনি' আমার ভেতর ঢুকিয়ে দিয়েছেন।বড় দোষ করে ফেললেন জনাব কিঙ্কর আহসান।বইটিকে ভালবেসে ফেলেছি,পচানব্বই পৃষ্ঠাকে এবার যে কতবার জ্বালাবো তার হিসেব নেই।পছন্দের বইয়ের অন্যতম এক স্থানে রীতিমতো রাজ করবে এবার 'আঙ্গারধানি' # উপন্যাসের দুইটি অসাধারণ ভালোলাগার জায়গা না উল্লেখ করলেই নয়: * দুর বউডা খালি ঘ্যানর ঘ্যানর করে।খালি এক কথা,"সংসারে মন দেও,সংসারে মন দেও"।আরে বাপ,বিয়া কইরা মনতো দিছি বউরে।একমন আমি কয়জনরে দিমু। *এই শামুকের জীবন ভালো লাগে না একদম।খোলস ভেঙে মুখ তুলে একবার আকাশটা দেখতে চাই,একবার। জানি,ও সাধ আর এ জীবনে পূর্ণ হবেনা আমার।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!