Our User Product Reviews

অল্প কিছু লেখক আছেন যারা সময়ের স্পন্দন ধরতে পারেন মানুষের সাইকোলজিক্যাল প্যাটার্ন বুঝতে চেষ্টা করেন... আহমেদ ফারুক এর পরাবাস্তব উপন্যাস ”শয়তান” আমাদের মনোজগৎ এর লুকোচুরির গল্প...মোহ মায়া ভালোবাসার গল্প... গল্পের কোথাও কোথাও আহমেদ ফারুকের ভেতর অন্য এক আহমেদের ছায়া পড়েছে....অসাধারণ উপন্যাস। যারা এখনো পড়েননি তারা আজই বইটি সংগ্রহ করুন। শুভ হোক আপনার বই পড়া।

এখানে ইবু নামের এক চরিএ যাকে ঘিরে অনেকগুলো চরিএ রয়েছে। ইবু নানার বাড়ির উত্তরাধিকার সূএে পাওয়া বাড়িতে থাকে। সে জন্মের পর তার মা মারা যায় জন্মান্ধ হয়ে জন্মায় ইবু। টাকাপয়সার অভাব নেই বাড়ি ভর্তি ৮ জন লোক তাকে দেখবাল করে।বাড়িতে কোন নারী কাজের লোক নেই বাড়ির ম্যানেজার নুফেল সে প্রায় ইবুর বয়সি তাকে সবাই ভয় পায়।সে ইবুকে সংবাদপএ পড়ে শুনায় যাবতীয় দেখবাল করে।ইদানীং নুফেল খাটের নীচে মেয়েলী কন্ঠে কেও হাসে এরকম আওয়াজ শুনতে পায়,সে এটা নিয়ে খুব চিন্তিত। তাই সে এক ফকির বাবার কাছে যাবে যে নাকি বোতলে জীন ধরে রাখে। ইবু হঠাৎ মেয়েলী হাসি শুনে চমকে উঠলো নুফেল প্রায়ই বলে তাকে সে বিশ্বাস অবিশ্বাস কোনটাই করে না যে চোখে দেখে না তার কাছে মানুষ যা জীন ভুত ও তা। হঠাৎ হাসিটা পুরুষ কন্ঠে পরিনত হয় ইবু বলে কে কে কে তুমি হাসিটা থেমে গিয়ে উত্তর আসে আমি শয়তান। ইবু বলে শয়তান মানে ইবলিশ শয়তান আওয়াজটা বলে হ্যা আমি ইবলিশ শয়তান। বলে আমি তোমাকে দুইটা জিনিস দিতে চাই এক তুমি কাল হতে চোখে দেখবে দুই কাল হতে রানু নামের একটা মেয়ে তোমার প্রেমে পরবে।ইবু বললো এতে তোমার কি লাভ আর রানু নামের কাওকেতো আমি চিনি না বললো চিনতে হবে না সেটা আমার ব্যাপার আমি সব জানি আমার অনেক ক্ষমতা। তা বোঝলাম তোমার লাভ কি তাতে তুমি চোখে দেখতে পাওনা তোমার জগৎ সম্পর্কে লোভ নেই তোমাকে লোভে ফেলানোটাতেই আমার লাভ। হাসতে হাসতে আওয়াজটা মিলিয়ে যায়। সেদিন সত্যিই সকালে ইবু চোখ মেলতেই হাজার হাজার আলো তার চোখভেদ করে প্রবেশ করে সে কিছুই যে চিনতেছে না এরকম না সে বোঝে নিচ্ছে কোনটা কি সে উপলব্ধির করলো পৃথিবী সুন্দর। রানু নামের এক মেয়ে ফোন করলো সে এত লেট কেন করছে বকাঝকাও করলো জলদি যেতে বললো

চামচিকা টাইপের একটা ভূত নাকি প্রায়ই খাটের চিপায় বসে থাকে। ফিসফিস করে মেয়েলি কণ্ঠে কথা বলে। নুহেল ইদানিং এই ব্যাপার নিয়ে বেশ ব্যস্ত। যে করেই হোক ভূতটাকে বোতল বন্দী করতে হবে। নইলে সামনে ঘোরতর অমঙ্গল। মৃত্যুযোগ আছে বলেও তার ধারণা। তবে মৃত্যুটা কার হবে বা কিভাবে হবে এই বিষয়ে সে নিশ্চিত না। নুহেলের ধারণা সে পাপী মানুষ। ধর্মকর্মের ধারে কাছে সে নাই। নার পুরা নাম সোলায়মান পাটোয়ারী। নুহেল তার মূল নাম না। বলা যায় অগাছা নাম। এই বাড়িতেও সে আগাছা। সম্ভবত এ কারণেই এই বাড়িতে আসার পর ইবু তাকে এই নাম দিয়েছে। কাঁনার কুটবুদ্ধির অভাব নাই। তবে নুহেল নামের অর্থ কি? তা জানা হয়নি। একদিন ইবুকে অর্থটা জিজ্ঞেস করতে হবে। পাপী মানুষের মৃত্যু নাকি সহজে হয় না। সে অর্থে ভূত প্রেত দ্বারা তার মৃত্যুযোগ নাই। তারপরও ভূতটাকে যে করেই হোক খেতাতে হবে। বেটা বদমাশ। চড়িয়ে চাঁপার দাঁত ভেঙে দেয়া দরকার। গভীর রাতে হঠাৎ ঘুম ভাঙলে দেখা যায় ফিসফিস করে কি যেন বলছে। একদিন মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। কিন্তু সেদিনই নুহেল নিশ্চিত হলো এটা মেয়েভূত। সম্ভবত পিচকা টাইপের পরী। বজ্জাতের হাড্ডি হবার সম্ভবনাই বেশি। ভয়টা সেখানেই। কারণ তার চেহারা সূরত বেশ ভালো। ভালো চেহারার পুলাগো ওপর পরীদের বিশেষ সেক্সচুয়াল আকর্ষণ থাকে। ভূতটা যেহেতু মেয়েলী কণ্ঠে কথা বলে তাই ওটা পেতœীও হতে পারে। পরী হলে তাও মেনে নেয়া যায়। কিন্তু পেতœী হলে বিপদ আরো বেশি। এরা মানুষ মারে একটা বিশেষ পদ্ধতিতে। গলার নলী চেপে আল-জিহ্বা টেনে ছিড়ে খায়। কী ভয়াবহ! নুহেল তার নতুন জিন্সের প্যাণ্ট পড়ল। তাকে বেশ মানিয়েছে। নিজেকে রাজপুত্র রাজপুত্র মনে হচ্ছে। অবশ্য রাজপুত্ররা মনে হয় জিন্স পড়ত না। তারা পড়ত পায়জামা। মেয়েদের মতো ঢোলা পায়জামা। ফাঁক ফোকর দিয়ে ঠাণ্ডা বাতাস ঢোকার বিশেষ ব্যবস্থা থাকত।