Our User Product Reviews

রাসেল, আমি একটা শাড়ি পরি? - রাতের বেলা আবার শাড়ি পরবে কেন? এখন যা পরে আছ তাতে কি সমস্যা? -আহা... আমি গ্রামে এসেছি। এখানে যতক্ষন আছি শাড়ি পরে থাকব। জিন্স টপস বাদ। -কিন্তু এখন তো ঘুমাব। এই সময়ে আবার শাড়ি পরাপরি কি? -এমন কর কেন? পরি না... বললাম না গ্রামে এসেছি। -গ্রামে এসেছি তো কি হয়েছে? তাহলে আমিও একটা লুঙ্গি পরি, কাছা দিয়ে তোমার পাশে বসে থাকি। কি বল? -চুপ কর। আমি এখন শাড়ি পরে তোমার সাথে জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকব। -জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকার জন্য যে ড্রেস কোড আছে তা তো জানতাম না। আচ্ছা পরবে যখন পরেই ফেল। রাসেল আবার জানালা দিয়ে বাইরে তাকাল। কেন যেন তার কিছুই ভাল লাগছে না। গতকাল থেকে খুব ছোটাছুটি হচ্ছে। এবং ছোটাছুটি করতে হচ্ছে অন্যের ইচ্ছায়, এটা তার মেজাজ খারাপের একটা বড় কারন। জানালার পাশেই একটা বড় আয়না ঝুলছে। এই রুমে দুইটা বড় আয়না। একটা এই জানালার পাশে। অন্যটা ডেসিং টেবিলে। স্নেহা ড্রেসিং টেবিলের সামনে দড়িয়ে শাড়ি পড়ছে। শাড়ির রঙ সবুজ। ঠিক সবুজ না। সবুজের মত। এটাকে কি রঙ বলে কে জানে। জানালার পাশের আয়নায় স্নেহার ছায়া পড়েছে। রাসেল এখন সেদিকে তাকিয়ে আছে। বিয়ের পর স্নেহা বদলে গেছে। বিয়ের আগে আর যাই হোক, স্নেহাকে সুন্দরি বলা যেত না। এখন এত সুন্দর কিভাবে হলো? রহস্য। তবে এই রহস্য ভেদ করার ইচ্ছা রাসেলের নেই। রাসেল আয়নার দিকে তাকিয়ে আছে। চাইলেই ঘাড় ফিরিয়ে স্নেহাকে দেখা যায়। কিন্তু পুরোপুরি দেখার চেয়ে আয়নায় যে ছায়া পড়েছে সেটা দেখতেই বরং বেশি ভাল লাগছে। স্নেহাকে সম্পুর্ন দেখা যাচ্ছে না। স্নেহার শরীরের একটা অংশ শুধু দেখা যাচ্ছে। অর্ধেক দেখাই ভাল। অর্ধেক মানবী তুমি অর্ধেক কল্পনা... # ছায়ামানবী। ভয় ও ভালবাসার এক রোমাঞ্চকর উপন্যাস। জাগৃতি Stall :134,135,136