User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম:অপ্সরা লেখক :আসিফ মেহদী পৃষ্ঠা :৬৪ . উপন্যাসের শুরুতে দেখা যায় বুয়েটে পড়ুয়া মেধাবী ছাত্র অজিকে।হুট করে একই ডিপার্টমেন্টে পড়া লুমুন নামের এক মেয়ের প্রেমে পড়ে যায়।তারপর থেকে তার দিন কাল পার হয় লুমুনের কথা ভেবে। অজির দুই বোন হৃদি আর সিঁথি। সিঁথি বিয়ে করেছে রকিকে।কিছু দিন থেকে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। সন্দেহ এসে ভর করেছে সম্পর্কের উপর। অনিন্দ্য সুন্দরী হৃদি ভলোবাসে রাজীবকে। সব কিছুই খুব ভালো চলছিলো তাদের মধ্যে।হঠাৎ করেই একদিন রাজিবের মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাজিবের জন্য একজন ব্যবসায়ী বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসলে তার মা রাজি হয়ে যায়।কি করবে রাজিব?কি হবে হৃদির ভালোবাসার?অজি আর লুমুনের ভালোবাসা কি পূর্ণতা পায়?প্রশ্নের উত্তর পেতে পড়তে হবে "অপ্সরা" সিরিজের প্রথম উপন্যাস টি। প্রতিটি পরিবারের সকল সদস্যদের জীবনের একটা গল্প থাকে।এই উপন্যাসে লেখক তাই দেখিয়েছেন। লেখক এখানে একই সমান্তরালে একাধিক কাহিনি দারুণ ভাবে বলে গেছেন।ভালো লাগার মতো একটি উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
“মুখের পানে চাহিনু অনিমেষে, বাজিল বুকে সুখের মত ব্যথা।” ভার্সিটি বাসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটিকে দেখে অজি এই বাক্যের অর্থ খুঁজে পেল। কী তার নাম, কোন বর্ষে পড়ে কিছুই জানে না, কেবল মন দিয়ে ফেলল অচিনপুরের রাজকন্যেকে। ভালোবাসার জালে জড়িয়ে গেছে হৃদি আর রাজীবও। রাজীব তার অপ্সরাকে একদিন সমুদ্র-দর্শনে নিয়ে যাবে, এমন কত-শত স্বপ্নে বিভোর দুজন। সিঁথির সংসারটা ভেঙে যাবে হয়তো, রকিকে আর বিশ্বাস করতে পারছে না সে। মনের ভেতর যখন ঘাঁটি গাড়ে সন্দেহের পোকা, সবকিছুই অসাড় হয়ে যায়। তিন ভাইবোন, সিঁথি, হৃদি আর অজিকে নিয়ে জীবনমুখী উপন্যাস 'অপ্সরা'। তাদের সুখ-দুঃখের অনুভূতিই এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য। সরল কিছু ঘটনা লেখক পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন, যেগুলো পড়লে মনে হয় আমাদেরই দৈনন্দিন জীবন থেকে নেওয়া। সম্পর্কের মূল ভিত্তিই হলো বিশ্বাস, এই রেশটা গল্পের শেষ অবধি থাকবে। অপ্সরার কষ্ট অনুভব করবেন পাঠকও। লেখকের চিরাচরিত রসবোধের প্রতিফলন ছিল উপন্যাসে। শেষাংশে তাড়াহুড়োর ছাপ ছিল, হুট করেই যেন সমাপ্তি টেনে দেওয়া হলো। তাতে উপন্যাসটি কিছুটা দূর্বল হয়ে গেছে। শুরুতে যে গতিতে গল্প এগিয়েছে, সেভাবেই বিস্তারিতভাবে শেষ করলে পড়তে আরো ভালো লাগতো। 'অপ্সরা' সিরিজের আরো দুটি উপন্যাস রয়েছে, সেগুলো পড়ার ইচ্ছে রইলো।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারী_ন্যানো_রিভিউ বইঃ- অপ্সরা ধরণঃ-সমকালীন উপন্যাস প্রকাশণীঃ-শুভ্র প্রকাশ পরিবারগুলো কিসে বাঁচে জানেন?ভালোবাসায়, বিশ্বাসে! যখনই এগুলোর যে কোনো একটায় টান পরে তখনই সব বাঁধন ছিড়ে যায়, মানুষ হয়ে উঠে অন্যমানুষ। গল্পে সাধারণ পরিবারের তিন ভাই বোন সিঁথি,হৃদি,অজি।বড় মেয়ে সিঁথি, ভালোবাসে ঘর বাঁধে রকিবের সাথে। সেই রকিবের শার্টে পায় একটি ববকাট মেয়ের চুল! স্বামীকে সন্দেহ করে বাপের বাড়ি চলে আসে সে,অপরদিকে ভাই অজি এমন একটি মেয়েকে তার দুলাভাইয়ের সাথে দেখে! সিঁথির ভালোবাসা কি তবে ধোঁকা দিলো ? হৃদির জীবনে প্রথম ভালোবাসা রাকিব। রাকিব ভালোবেসে তাকে ডাকে অপ্সরা বলে। রাকিবের মা বাবার দ্বিতীয় বিয়ের কারণে ঘর ছেড়েছেন রাকিবকে নিয়ে। বহু কষ্টে মানুষ করেছেন তিনি ছেলেকে। এখন চাকরি পেয়েছে কিন্তু ছেলের ব্যবসার ইচ্ছে। রাকিবের জন্মদিনে অপ্সরা তার সাথে দেখা করে রাকিব জানায় তার মা অসুস্থ সে বাড়ি যাবে,তারপর চলে যায় রাকিব। আর তাদের যোগাযোগ হয় না! এ প্রস্থান কি তবে চিরবিদায়?নাকি অন্যকিছু? কি হয় অপ্সরার? বুয়েট পড়ুয়া অজি প্রেমে পড়ে লুমুনের,কিন্তু লুমুন তাকে এড়িয়ে চলে,কি হয় তাদের পরিণতি? এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে পড়তে পারেন দারুণ এই বইটি। লেখকের ভাষা চয়ণ আলাদা মাত্রা যোগ করেছে লেখনিতে,জানার মতো বেশ কিছু তথ্য তার বইগুলোতে পাওয়া যায়।সেইসাথে চরিত্রগুলো নিজের অবস্থানে সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন।
Was this review helpful to you?
or
★রকমারি ন্যানো রিভিউ প্রতিযোগ বইয়ের নাম: অপ্সরা; লেখক: আসিফ মেহ্দী; ধরন: সমকালীন উপন্যাস। একটা পরিবারের উপর কিভাবে বিচ্ছেদের কালো ছায়া নেমে আসে,আগে তা শুধু মানুষের মুখেই শুনেছি। কখনো নিজের কল্পনায় আসেনি। আজ "অপ্সরা" পড়ে সেই শোনা গল্প গুলোকে নিজের ভেতরে উপলব্ধি করতে পারছি। আর সবই সম্ভব হয়েছে আসিফ ভাইয়ের দক্ষ হস্তে লেখা "অপ্সরা" পড়ে। বুয়েটের EEE তে পড়ে অজি। হঠাৎ লুমুন নামক এক মেয়ের ভালোবাসার হাওয়া স্পর্শ করলো অজির হৃদয়কে। লুমুনকে পেয়ে অজি পেয়েছে তার স্বপ্নের রাজরাণীকে। যে রাজ্যে অজি মুকুটহীন সম্রাট,আর লুমুন তার রাজরাণী। অজির বোন হৃদি। দেখতে পরির মতো সুন্দর।তাই অজি তাকে ডাকে পরিপু বলে। এই পরিপুর কল্পনায় ও আছে এক রাজকুমার। নাম রাজীব। সম্পর্কটা ২ বছরের।শেকড় ছড়িয়েছে অনেকদূর। হৃদি স্বপ্ন দেখে ভালোবাসায় ভরা দুখানা হাত ধরে সংসার সমূদ্রের বহু পথ পাড়ি দেওয়ার কিন্তু সত্যের আঠা প্রলেপে বারবার থমকে যায়। অজিও স্বপ্ন দেখেছিলো লুমুনকে নিয়ে। কিন্তু সত্যের নির্মম পরিহাসে অজি আজ দূর আকাশের তারা। অজির মৃত্যুর পর ও নাকি অজি,লুমুনের সাথে দেখা করে,কথা বলে। সত্যিই কি অজির সাথে লুমুনের যোগাযোগ হয়? নাকি এগুলো লুমুনের কল্পনা? শেষ পরিণতি-ই বা কি হয়েছিলো? জানতে চান? জানতে হলে আজই সংগ্রহ করুন বইটি আর ডুব দিন "অপ্সরা" র হাসি-কান্না আর সুখ-দুঃখের মিশ্রণ সলিলে।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ এক বই পড়ে শেষ করলাম।এই বইয়ে আসীম মায়া মিশে আছে।
Was this review helpful to you?
or
আজি যখন প্রথম ভার্সিটি তে উঠলো তখন অন্যদের মত তাকেও ভালোবাসার হাওয়া স্পর্শ করলো। বুয়েটের এক সুদর্শন স্মার্ট এবং হ্যান্ডসাম ছেলের মনে জেগে উঠতে শুরু করলো আবেগের মায়াছন্দ। সেই ভালোবাসার নাম হলো লুমুন। অজি র কল্পনার রাজকন্যা। অজি র কল্পনার রাজকন্যা যখন তাকে ধরা দিয়েছে তার কিছু আগেই হৃদি তার রাজকুমার কে খুঁজে পেয়েছে। অজি র বড়ো বোন হৃদি। নিতান্তই পরির মত দেখতে বলে ওজি তাকে পরীপু বলে ডাকে। সেই পড়িপুর কল্পনায় ও এক রাজকুমার আছে। তার নাম রাজীব। প্রেমে পড়ার থেকে এক কথায় মানা থাকার পরেও রাজীবের সৌন্দর্যে তাকে প্রেমে পড়তে হয়েছে। সম্পর্কটা বেশিদিনের না হলেও দুই বছরের । সম্পর্কের শিকড় ছাড়িয়েছে অনেক দূর। ভালোবাসার পথে হাটতে হাটতে তারা নতুন জীবনের দরজায় পৌঁছেছে। কিন্তু অন্যদিকে সেই দরজার চৌকাঠ পেরিয়ে সীথি তার রাজকুমার রকির সাথে শুরু করেছে তাদের সংসার। কিন্তু সংসারের নিওম অনুযায়ী তাদের জীবনেও শুরু হয়েছে এক ঝড়। টনাপরার পরিস্থিতিতে সিথীর মনে জন্ম নিয়েছে রকির প্রতি সন্দেহের দেয়াল। আলাদা হতে হয়েছে সীথিকে রকির থেকে। কিন্তু তবুও সত্তি টা লুকিয়ে রকি তার ভালোবাসার মানুষকে খুঁজে পেতে চেয়েছে। প্রকৃতির অপুরুপ পরিহাসে অজি যখন লামুনের সাথে ভালোবাসার পথে হাত দরেছে হাটতে নেমেছে তখন প্রকৃতি তাকে কেরে নিয়েছে। অন্যদিকে হৃদি যখন তার নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখছিল ঘোখন পরিস্থিতি তার হাত থেকে রাজীবের হাত কে ছুটিয়ে নিয়েছে। ধরতে হয়েছে রাজিব কে অন্য হাত। আর সীথি এবং রাজীবের সংসারের মধ্যে তৈরি হয়েছে এক অন্য সংশয়ের দেয়াল। প্রকৃতি এভাবেই অপ্সরা দের সুখ কেরে নেয়। সকল অপ্সরার জীবনে যেমন ভালোবাসার ফুল ফুটে তেমনি সৃষ্টি করে শূন্যতা। প্রকৃতি যেনো সেই অপ্সরা দের শূন্যতা নিয়েই বেঁচে থাকে । যেনো সেই শুন্যতার মধ্যেই রয়েছে তার সৌন্দর্য।
Was this review helpful to you?
or
আসিফ মেহদী'র প্রথম সামাজিক ঘরানার উপন্যাস অপ্সরা। লেখকের অন্যান্য লেখার মতো এই উপন্যাসটিও বেশ সাবলীল। সিঁথি ও হৃদির একমাত্র ভাই অজি। হাসি কান্না আর মান অভিমানের জীবন নিয়ে, তিন ভাইবোনের বেশ ভালোই দিন কাটছিল। মেধাবী ছাত্র 'অজি ' বুয়েটে পড়ছে। ওর ভীষণ পছন্দ সহপাঠী মেয়েকে, যার নাম 'লুমুন।' সুখ দুঃখ মানুষের জীবনে সমান্তরাল ভাবে চলে। একদিন সিঁথি স্বামী রকির রাগ করে বাবার বাড়ি চলে আসে। স্বামী রকিকে আজকাল কেমন সন্দেহ হয় তার। তাই ভালবাসার কাছে পরাজিত হয়ে যায় সন্দেহ। দেখতে সুন্দর বলে হৃদিকে 'পরিপ্পু' বলে ডাকে অজি। তার প্রেমিক রাজীবের পাগলামিতে বরাবরই মুগ্ধ থাকে হৃদি। হঠাৎ করে কোন খোঁজ নেই রাজিবের। তবে কি রাজীব হৃদিকে ছেড়ে কোন ধনীর দুলালীকে বেছে নিলো? লুমুনের ভালবাসায় যখন অজি জীবনের সুন্দর একটা মানে খুঁজে পেয়েছে। ঠিক তখনই অসুস্থ হয়ে পরে অজি। দিনগুলি সব থমকে যেতে থাকে। পরিচিত পৃথিবীও হয়ে যায় অচেনা। লুমুন কি পারবে তার ভালবাসা দিয়ে অজিকে ধরে রাখতে? ছোট পরিসরে লেখা হলেও বইটিতে আছে তিনটি ভিন্ন কাহিনী। অজি, হৃদি, সিঁথি তিনজনকেই সমান গুরুত্বের সাথে দেখা পাওয়া গেছে উপন্যাসে। বইটি পড়তে গিয়ে অনেকবার যেমন এদের কষ্টে কষ্ট পেয়েছি। তেমনি ওদের ভালবাসার খুনসুটিতে হেসেও ফেলেছি। ভাই বোন পৃথিবীর সবচেয়ে আপন কাছের মানুষ। একজনের আনন্দে যেমন একজন আনন্দিত হয় একে অপরের কষ্ট দেখে ব্যাথাও অনুভব করে সবার আগে। ভালবাসার মানুষ এমন হয় , যে আপন না হয়েও হয়ে যায় সব চেয়ে আপন। সম্পর্কের টানাপোড়ন , ভালবাসার উত্থান পতন, সব মিলিয়ে অনন্য এক কাহিনীর নাম অপ্সরা।
Was this review helpful to you?
or
একটু সুখী পরিবার সব দিক থেকে যে এইভাবে ভেঙ্গে পরবে ধারণা করতে পারি নি। অনেক অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম বই টি পড়ে। জীবনে আমাদের কোথায় নিয়ে যায় কেউ জানে না। এই বই টি তে মানুষের জীবনের বিচিত্র ফুটে উঠেছে
Was this review helpful to you?
or
সংসার গড়ে ওঠে মানুষের সুখ দুঃখের গল্প নিয়ে।মানুষগুলো একই বন্ধনে আবৃত থাকলেও গল্পগুলো থাকে নিজের মতো। হৃদি, দেখতে পরীর মতো সুন্দর।ছোট ভাই রীতিমত "পরীপ্পু" ডাকে।বাবা,মা,বড় বোন আর একমাত্র ছোট ভাইকে নিয়ে গোছানো সংসার।আরো আছে হৃদির ভালোবাসার মানুষ রাজীব। সম্পর্কের শুরুটা প্রতিটা মানুষকেই ভাবায়। হৃদিরও ব্যাতিক্রম নয়,সেগুলো মনে করলে,কল্পনার জগতে হারিয়ে যায়। রাজিবের পাগলামো হৃদি যতো দেখে,রাগ দেখাবে কি! মুগ্ধতার সীমা থাকেনা।এগিয়ে যায় ওদের গল্পটাও। সবসময় গল্পগুলোর সমাপ্তি কি সুন্দর হয়? নাকি নতুন করে মোড় নেয় অন্য কোথাও! অজি, হৃদির ছোট ভাই। ভালোবাসাকে সব থেকে অকাজের অধ্যায় মনে হলেও তার জীবনে সেই শুভক্ষনের আবির্ভাব হলো। মেয়েটি কে? যাকে ভেবেই কাটছে অজির দিনরাত। অন্যদিকে শিথী, হৃদির বড় বোন। কিছুদিন হলো, স্বামীর সাথে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছেনা, সন্দেহ বাসা বেধেছে মনে।শেষ পর্যন্ত প্রিয় মানুষটার হাত ছাড়তে হবে না তো! বইটি যখন পড়েছি, গল্পের গতি সামনের দিকে টেনে নিয়েছে। সবসময় চোখে যা দেখি সেটার পেছনে অন্য কোন গল্পের কি আমরা খোঁজ করি?? জানারও চেষ্টা করিনা সত্যিটা। মানুষ হিসেবে বড় ভুল কাউকে অন্ধবিশ্বাস করা।তার উপর একটু ভুলের জন্য যদি বাকি জীবন মাশুল গোনা লাগে, কেমন হয় জীবনটা?উত্তরগুলোর জন্য পড়তে হবে "অপ্সরা" উপন্যাসটি।কাহিনি সাদামাটা,তবে সাদামাটা কাহিনীর পরিপক্কতা দিতে পারে কয়জন??
Was this review helpful to you?
or
অজি বুয়েটের ট্রিপল-ই এর ছাত্র হঠাৎ করেই ভাল লেগে যায় লুমুন নামের এক মেয়েকে। শয়নে স্বপনে শুধু ওই মেয়েটা। বড়বোন পরীর কাছ থেকে টিপস নিয়ে অপেক্ষায় আছে লুমুনের। পরী আর রাজিবের সম্পর্ক অনেকদিনের। দুজনেই দুজনকে খুব ভালবাসে। হঠাৎ করেই রাজিবের মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রতিষ্ঠিত মেধাবী ছেলেকে জামাই হিসেবে পাবার জন্য একজন ব্যবসায়ী বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসলেন। মাও চায় রাজিব বিয়ে করুক। কিন্তু পরী... পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ অপ্সরা গল্পে তিনটা চরিত্র সমান্তরাল ভাবে এগিয়ে গেছে। যদিও আমি মাত্র দুইটা বললাম। এটা লেখক আসিফ মেহ্দীর প্রথম জীবনঘনিষ্ঠ লেখা। এজন্য লেখা কিছুটা দুর্বল মনে হয়েছে। তবে তার নিজস্ব স্ট্যাইল যেটা, সেই রম্য ঠিকই ছিলো। কষ্টের মাঝেও হাসি আসবে। আর লেখকের সবচেয়ে ভাল যেটা সেটা হলো হিউমার। এখন পর্যন্ত আসিফ ভাইয়ের তিনটা বই পড়লাম। প্রত্যেকটা বইয়ে যথেষ্ট হিউমার। আপনি কখনো একঘেয়েমিতে ভুগবেন না।
Was this review helpful to you?
or
বই টি আসাধারন । এটি একটি জীবনঘনিষ্ঠ উপন্যাস । বইটি পড়ে যেমন হেসেছি তেমন কেঁদেছিও । পড়ে দেখেন , ভালো লাগবে ।
Was this review helpful to you?
or
‘অপ্সরা’ আসিফ মেহদীর লেখা প্রথম জীবনঘনিষ্ঠ উপন্যাস। তার অন্যান্য সব লেখার মত এই লেখাটিও আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। তবে এই ধরনের উপন্যাস প্রথম লেখার কারণেই বোধহয় লেখায় কিছু দুর্বলতা ছিল। ‘অপ্সরা’ উপন্যাসটি শুরু হয় অজিকে নিয়ে। অজি মেধাবী ছাত্র। সে বুয়েটে পড়ে। তার জীবন বেশ ভালোই চলছিলো। কিন্তু হঠাৎ করে তার সব কিছু এলোমেলো হয়ে গেল, ক্যাম্পাসে এক মেয়েকে দেখে। তারপর অজি খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারলো মেয়েটির নাম লুমুন। সে তার ডিপার্টমেন্টেই পড়ে। এক বছরের জুনিয়র। এরপর থেকে অজির দিন কাটতে লাগলো কীভাবে লুমুনকে দেখা যায়, কীভাবে কোন উছিলায় লুমুনের সাথে একটু কথা বলা যায় এসব ভাবতে ভাবতে। পরে এক সময় নোট দেয়া-নেয়ার সুবাদে অজির সাথে লুমুনের বেশ খাতির হয়ে গেল। অজির কাহিনীর সাথে এই উপন্যাসে সমান্তরাল ভাবে তার দুই বোন সিঁথি এবং হৃদির কাহিনীও দেখানো হয়। অজির বড় বোন সিঁথি তার জামাই রকিকে ভুল বুঝে বাবার বাড়ি চলে আসে। আর হৃদির ভালোবাসার মানুষ রাজীবের খবর কিছু দিন থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই হৃদির খুব মন খারাপ। পরে দেখা যায়, রাজীব তার মার কথা রাখার জন্যে হৃদিকে ছেড়ে এক ধনীর দুলালিকে বিয়ে করে। আর লুমুনের সাথে যখন অজির ভালোবাসা তুঙ্গে তখন অজির লিউকোমিয়া ধরা পড়ে। এবং এক সময় লুমুনের হৃদয় ভেঙে দিয়ে অজি মারা যায়। এভাবে খুব দুঃখজনক পরিসমাপ্তি হয় ‘অপ্সরা’ উপন্যাসের। আসিফ মেহদীর লেখার সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হল অসাধারণ হিউমারের ব্যবহার। কিছু কিছু লেখকের লেখা পড়ার সময় কাহিনীর বাঁকের জন্যে অপেক্ষা করতে হয়। মাঝখানের পাতাগুলো শুধু পড়া লাগবে বলেই পড়া, এ রকম একটি অবস্থার সৃষ্টি হয়। কিন্তু আসিফ মেহদীর লেখা পড়ার সময় পাঠককে প্রতিটি লাইন নিয়েই আলাদাভাবে ভাবতে এই হিউমারের কারণে। এর ফলে কখনোই একঘেয়েমি লাগে না। তবে ‘অপ্সরা’ উপন্যাসের দুর্বল দিক হল, এখানে তিনটি কাহিনী নিয়ে সমান্তরাল ভাবে এগোনো হয়েছে। কিন্তু এত ছোট পরিসরের উপন্যাসে একসাথে তিনটি কাহিনী চলায় কোনটাই সঠিকভাবে বিকাশ লাভ করতে পারে নি। ফলে উপন্যাসের চরিত্রগুলোর জন্যে পাঠক মনে আলাদা কোন ভালোবাসার সৃষ্টি হয় নি। সেই কারণে এত দুঃখজনক পরিসমাপ্তির পরও তেমন দুঃখবোধ হয় না, অন্তত আমার হয় নি। লেখকের মনে হয় এই ব্যাপারে আরেকটু মনোযোগ দেয়ার অবকাশ আছে। সবশেষে বলতে হয়, আসিফ মেহদীর লেখা ‘অপ্সরা’ উপন্যাসটি পড়তে সব পাঠকেরই ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।