User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ভালো
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার গল্প ?? জহির রায়হান ❤️? বইয়ের মানও ভালো ছিল
Was this review helpful to you?
or
মানুষের জীবনটা কি অদ্ভুত। মনের কথাগুলা মনে না রেখে বলে দিলে অনেক সমস্যাই সমাধান হয়ে যায়। অযথাই কথা চেপে রেখে নিজেদের জটিলতা বাড়িয়ে তুলি। আর বছরের পর বছর ধরে যা আমাদের সামনে তা গ্রাহ্য করার ফুসরত যেন নেই আমাদের। কাসেদ, জাহানারা, শিউলী,নাহার একেকজনের জীবনের প্রেক্ষাপট একেক রকম। কিন্তু ঘটনার বেড়াজালে তারা কিভাবে কিভাবে যেন ওতোপ্রতভাবে মিশে গেছে। কাসেদ জাহানারাকে যা ভাবছে তা বললে বা কাসেদ আর শিউলীর বোঝাপড়ায় মিল থাকলে বা কাসেদ নাহারকে কখনও লক্ষ্য করলে হয়ত কাহিনীটার ভিত্তই গিড়ে উঠত না। জীবনটা এমনই। সহজভাবে কিছু হয়ে গেলে জীবনটাকে রঙ্গীন বলা যেত না।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম : শেষ বিকেলের মেয়ে লেখক : জহির রায়হান বইয়ের পাতা : ৮০ ব্যক্তিগত রেটিং : ৩.৬/৫ এইটা জহির রায়হানের লেখা প্রথম উপন্যাস, যা ১৯৬০ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়েছে । তবে লেখাটা সময় অনুযায়ী অনেক আধুনিক লেগেছে । গল্পটা প্রেমের কাহিনী না মনে হয়ে প্রেমহীনতার কাহিনী বেশি মনে হয়েছে । গল্পের শুরুটা যতটা আকর্ষণীয় ছিল পরে এসে সেই আকর্ষণটা ধরে রাখতে পারে নি । মাঝে মাঝে মনে হয়েছে কাসেদকে (গল্পের মূল চরিত্র) যদি একটা থাপ্পর মেরে আসতে পারতাম । আসলে সে কি চায় সেইটা মনে হয় সে নিজেই জানে না । কল্পনার জগতে বাস করে । আমিই বা আবার কাকে বলছি, তার স্বভাবের সাথে আমার অনেকাংশেই মিলে যায় । বলা চলে প্রায় ৮০% মিলে যায় । গল্পটি "বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না" কথাটার সাথে সম্পূর্ণ প্রতিফলিত হয়েছে । জাহানারার তুলনায় শিউলির চরিত্র বেশি ভালো লেগেছে । তবে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে নাহারকেই বেছে নিবো । গল্পের শেষ পাতায় যাওয়ার আগপর্যন্ত কাসেদের শেষ পরিণতি অনুমান করতে পারি নি । কাসেদের শেষ বিকেলের মেয়েকে দেখে একটু অবাকই হলাম বটে, তবে এইটা নিয়ে ব্যক্তিগত কোনো মন্তব্য করতে চাই না । তবে লেখক গল্পটা যেভাবে উপস্থাপন করেছে তার প্রশংসা যতই করবো ততই কম । জহির রায়হান মনে হয় এর জন্যই অনেক জনপ্রিয় । পরিশেষে বলা যায়, গল্পটা ভালো লাগার মতো । একটুও টাইম ওয়েস্ট মনে হয় নি । আশা করি সবার জীবনের সাথে একটু হলেও মিলে যাবে । হ্যাপি রিডিং
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
যেসব পুরুষের বিয়ে করতে একটু দেরী হচ্ছে বা বিয়ে করতে পারছেন না যেকোন কারণে, শেষ বিকেলের মেয়ে উপন্যাসটি আপনাদের হৃদয় ছুয়ে যাবে।
Was this review helpful to you?
or
আমার তো কান্নাই চলে আসছে বইটি পড়ে। খুব ভালো লাগলো । যারা কিনতে চান অবশ্যই আমি রিকমান্ড করবো।ধন্যবাদ?
Was this review helpful to you?
or
khubi valo laglo boi ti pore ?♥️
Was this review helpful to you?
or
Boi tar lekha beshi shundor. boita pore beshi Moja pelam .akkotay osadaron boi. boita kinle tk nosto hobe na eta bolte pari.
Was this review helpful to you?
or
যেমনটা আশা করছি তারচেয়ে ভালো ?
Was this review helpful to you?
or
বই টা অনেক সুন্দর
Was this review helpful to you?
or
এটি ছিলো জহির রায়হানের প্রথম এবং অসাধারণ একটি উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
thanks to rokomari. ?
Was this review helpful to you?
or
Nice
Was this review helpful to you?
or
পছন্দের একটি বই, আমরা আমাদের জীবনে ভালোবাসা যেভাবে পেতে চাই, ভালোবাসা তার থেকে ও সুন্দর হয়ে আসে আমাদের জীবনে।
Was this review helpful to you?
or
অত্যন্ত সুন্দর একটি বই। পড়ে খুব ভালো লেগেছে। এটি জহির রায়হানের প্রথম উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
Extremely overrated book.
Was this review helpful to you?
or
ভালো তবে আমার মনে হয়েছে একটু বেশি নাটুকে নায়কের চরিত্রটা।
Was this review helpful to you?
or
best books ever
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
sad story
Was this review helpful to you?
or
Best
Was this review helpful to you?
or
ইস! বেঁচে থাকলে আরো কত মাস্টারপিস পেতাম!
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ে বেশ ভালো লেগেছে✨
Was this review helpful to you?
or
সত্যিই অসাধারণ একটা বই। চরিত্রের বিন্যাস এবং কাহিনি এগিয়ে যাওয়া সব কিছু মিলিয়ে পাঠকের সবটুকু চাহিদা পুরন করবে এই বই। হতাস হবেন না কেও গ্যারান্টি।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
অন্যরকম উপন্যাস
Was this review helpful to you?
or
আমি এই বইটি মাত্র ২ দিন এ হাতে পাইছি
Was this review helpful to you?
or
⭐⭐⭐
Was this review helpful to you?
or
valo
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হানের উপন্যাসের মধ্যে তরুণসমাজ যেন নিজ জীবনকেই খুঁজে পায়। এ উপন্যাসের শেষটি পাঠককে যে চমক উপহার দিবে, তা কোনো থ্রিলার মুভির থেকে কম কিসে, বরং বেশিই।
Was this review helpful to you?
or
ধন্যবাদ রকমারি। বই বুঝে পেলাম।শেষ বিকেলের মেয়ে। বোনাস হিসেবে করতোলে জোনাক জ্বলে।
Was this review helpful to you?
or
মেয়েরা যাকে ভালোভাসে তাকে অনেকটা সার্থপরের মতো ভালোবাসে।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া অন্যতম সেরা উপন্যাস এটা
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
khubb shundor ??
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর উপন্যাস
Was this review helpful to you?
or
Very Good
Was this review helpful to you?
or
Alhamdullillah
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো মানের বই
Was this review helpful to you?
or
অনেক অনেক সুন্দর বই।
Was this review helpful to you?
or
Excellent Book
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
Awsome
Was this review helpful to you?
or
Valo
Was this review helpful to you?
or
Beautiful ❤️
Was this review helpful to you?
or
love it.
Was this review helpful to you?
or
you will feel the book is just written a few days back
Was this review helpful to you?
or
প্রিয় একটা বই
Was this review helpful to you?
or
বাংলাদেশের নিজস্ব কবিদের লিখা উপন্যাসগুলোর মধ্যে এ উপন্যাসটির অবস্থান নিঃসন্দেহে খুবই উপরে। অসাধারণ একটি বই। জহির রায়হানের অনবদ্য সৃষ্টি এ উপন্যাসটি। বইয়ের কোয়ালিটিও ভালো। রিকমন্ডেড। ❤️
Was this review helpful to you?
or
ছোট্ট উপন্যাস কিন্তু কী নিদারুন বাস্তবতা, আহা।
Was this review helpful to you?
or
হঠাৎ জীবন হোঁচট খায়, বাস্তবতা শিখে নেয়।পশ্চাতে অতিবাহিত জীবনের কিয়দাংশ ছিল মিথ্যে মোহ,কিয়দাংশ সত্য অথবা পুরো অংশই সত্য বা মিথ্যে-তে মোহিত ছিল,সেটাও বুঝতে পারে!তখন জীবন খোলসে ঢাকা শামুকের মতো তার চপলতা আচ্ছন্ন করে দেয় মৌনতার চাদরে। আকস্মিকভাবে জীবনে অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন ঘটে! নেই উচ্ছ্বাস! নেই আওয়াজ! কিন্তু জীবন থাকে প্রবাহিত নদীর ন্যায় ধাবমান।নানান চরিত্র এখানে জোয়ার ভাঁটার মতো আসে আবার যায়।জীবনের শেষ লগ্ন অবধি সবাই থাকে না। কিন্তু যে থাকার সে থেকে যায়।ঠিক তেমনই কাসেদের জীবনে আসা কয়েকজন নারীর ভিতরে দিনের ক্রান্তিলগ্নে শেষ বিকেলে আসা শেষ মেয়েটির কথা বলা হয়েছে 'শেষ বিকেলের মেয়ে ' উপন্যাসে।তবে এখানে শেষ বিকেলের নাটকীয়তাই মূখ্য। শেষ বিকেলের মেয়েটি কে তা জানতে হলে আপনাকে শেষ অবধি পড়ে যেতে হবে। ভালো লাগার মতো কিছু কথাঃ লড়াই শুধু রাজার সঙ্গে রাজার,একজাতের সঙ্গে অন্য জাতের আর একদেশের সঙ্গে অন্য দেশেরই হয় না।একটি মনের সঙ্গে অন্য একটি মনেরও লড়াই হয়। লেখা: তৌফিকুর রহমান অমি
Was this review helpful to you?
or
Onek valo ekta golpo
Was this review helpful to you?
or
বইটি বেশ ভালো ছিলো, এবং বই এর কোয়ালিটিও ভালো
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হান আমার পছন্দের লেখকদের মধ্যে একজন। তবে এই উপন্যাসটা পড়ে আমি হতাশ হয়েছি। গল্পটা ভালো লাগেনি। হয়তো বয়সজনিত কারণ।
Was this review helpful to you?
or
মনের গহীনে লুকনো ভালোবাসা। সত্যি কারের ভালোবাসাগুলো সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে।
Was this review helpful to you?
or
??Very
Was this review helpful to you?
or
excellent delivered by rokomari
Was this review helpful to you?
or
ভালো
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো বই,, আগেও পড়েছি পিডিএফ এ কিন্তু এখন কিনেই ফেললাম
Was this review helpful to you?
or
"শেষ বিকেলের মেয়ে" নামটি দেখেই মানসপটে ভেসে উঠেছিলো একটি মেয়ে চরিত্র.. কিন্তু আবেগ,ভালোবাসা,বাস্তবতা আর রোমান্টিকতায় পূর্ণ এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রে আছে কাসেদ নামের এক যুবক! পুরোটা উপন্যাস সাজানো হয়েছে কাসেদের ভালোবাসা,কর্ম জীবন, পরিবার,আর মন ভালো -খারাপে কানিহী দিয়ে। কাসেদ একজন বাধ্যগত সামান্য কেরানি!বাসায় আছেন বৃদ্ধ মা আর নাহার নামের দুঃসম্পর্কের এক বোন।ছিপছিপে দেহ,মিষ্টি চেহেরা, স্বল্পভাষী নাহার এই এই সংসারের দায়িত্বে.. কাসেদ ভালোবাসে শিক্ষিত-আধুনিক মেয়ে জাহানারা কে।তাকে নিয়েই ঘর বাধতে চাই কাসেদ.. তবে কাসেদের মনের কথা বলতে পারে না জাহানারাকে।জাহানারার সূত্রেই কাসেদের পরিচয় হয় প্রানচঞ্চল -বন্ধুসুলভ শিউলি র সাথে।কাসেদ আর শিউলির সম্পর্ক টা বন্ধুত্বের থেকে একটু বেশি গাঢ় সম্পর্কে পরিণীতি পায়।এরমধ্যে হাজির হয় কাসেদের খালাতো বোন সালমা!সে ছোট বেলা থেকে কাসেদ কে মনে প্রাণে ভালোবাসে। কিন্তু কাসেদের অবহেলায় আর ঘরবাধা হয়নি।সালমা এক কন্যা সন্তানের জননী হওয়ার পরেও কাসেদ কে বলে দূরে কোথাও পালিয়ে যেতে।তবে কাসেদ জাহানারার কথা ভেবে সালমা কে ফিরিয়ে দেয়। পরে কাসেদ জানতে পারে তার ভালেবাসা প্রকাশ করার আগেই জাহানারার সাথে তার সেতার মাষ্টারের গভীর প্রণয় চলছে! স্বপ্নে মত্ত থাকা জাহানারার কাছ থেকে ব্যার্থ হয়ে শিউলিকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।শিউলিও কাসেদ কে রিজেক্ট করে।কাসেদের মনে তার অফিস কলিগ মকবুল মিয়ার মেয়েরও আগমন ঘটেছিল। ক্ষণিকের দেখা কৃষ্ণবর্ণ -লম্বা চুলের মায়ায় পরেছিলো কাসেদ! সেই মেয়ে এখন তার বসের বউ।পরের অংশে কাসেদের মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে যান।মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি! নাহারের বিয়ে ঠিক করেও দেখে যেতে পারেন না।মায়ের মৃত্যুর কিছুদিন পর কাসেদের খালু নাহার কে বিয়ের জন্য তাদের বাড়ি নিয়ে যায়।কাসেদের পৃথিবী টা শূন্য হয়ে যায়।শেষ বিকেলের আকাশের দিকে তাকিয়ে কাসেদ যখন নানা কথা ভাবতে থাকে তখন দরজায় করাঘাত হয় !কে সে!? জাহানারা,শিউলি, সালমা নাকি অন্য কোনো মেয়ে!কাসেদ দরজা খুলে যাকে দেখে তাকে সে স্বপ্নেও কল্পনা করেনি।ভাবতেও পারেনি এই মেয়েটি তাকে অগোচরে এতদিন ভালোবেসে গেছে।গায়ে হলুদের সাজে কাসেদের জীবনে শেষ বিকেলের মেয়ে হয়ে আবিভূত হয় পুরো উপন্যাসের নিষ্ক্রিয় থাকা নাহার! কাসেদ নাহারে কে অন্য পাশের ঘরে যাবার কথা টির মধ্য দিয়ে কাসেদের জীবনের অপ্রাপ্তি যুগের শুভ সমাপ্তি হয়...... এরকম দোটানা ভালোবাসার বিষয় আমার খুবই অপছন্দের। তবে এই উপন্যাসে জহির রায়হানের গতিশীল বর্ণনা, সহজ -সরল শৈল্পিকউপমা,নারী চরিত্রে বৈচিত্র্যময়তা,ভালোবাসা সম্পর্কে বর্ণিল-বণহীন অনুভূতির প্রকাশ, উপন্যাসে কাসেদের মায়ের আল্লাহ ভীতি আর মৃত্যুর চমৎকার বর্ণনা, মকবুল সাহেবের শেষ জীবনে স্থায়ী অবলম্বন পাওয়া,বড় বসের সুখের জীবনের সূচনা, নাহারের চুপস্বভাব আর সঠিক সময়ে হৃদয়বাক্যের প্রকাশ,কাসেদের শেষ বিকেলের মেয়ের থ্রিলিং আগমনে উপন্যাসের শুভ সমাপ্তি সবমিলিয়ে চমৎকার লেগেছে... written by: my cousin Israt Jahan Rinky
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
I didn't like the story that much, but the ending was satisfying...I really liked the ending.
Was this review helpful to you?
or
বই টা খুব সুন্দর
Was this review helpful to you?
or
onaki valo boi
Was this review helpful to you?
or
এককথায় অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো বই।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই রিভিও এর ভাষা হারিয়ে ফেলেছি
Was this review helpful to you?
or
সরাসরি বলে দেই,নাহারের সাথেই কাসেদের বিয়ে হবে।যদিও প্রথম থেকে পড়ে বুঝার কোনও উপায় নাই।
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হানের অসাধারণ লেখার একটি।
Was this review helpful to you?
or
ধন্যবাদ রকমারিকে বই সঠিক ভাবে পেয়েছি।
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হান এর প্রথম উপন্যাস। মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন অবিবাহিত পুরুষ যে চায় ভালোবেসে কারো সাথে ঘর বাঁধতে। কিন্তু কে সে? মেয়েদের মন বোঝা কি অতোই সহজ? সে ভালোবাসলেও তাকে কি কেউ ভালোবাসবে? জাহানারা নাকি শিউলি? দুজনের একজন কি তাকে ভালোবাসে? দুজনই কি বাসে নাকি কেউই বাসে না। শেষ বিকেলে হঠাৎ কে এলো তার সাথে ঘর বাঁধার জন্য? সেতো জাহানারা কিংবা শিউলি নয়- অন্য এক মেয়ে। শেষ বিকেলের মেয়ে।
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার বই
Was this review helpful to you?
or
অসাধরণ বই, জহির রায়হান মানেই অন্যরক, ভালো লাগা
Was this review helpful to you?
or
BEST STORY I'VE EVER READ. my favorite book FOREVER 3
Was this review helpful to you?
or
গল্পের শুরুটা উপভোগ করতে করতে মাঝে এসে আর তেমন আকর্ষন পাচ্ছিলাম না শুরুর মত। আর গল্পের শেষে যা ঘটল তা আমি প্রথম থেকেই ভাবছিলাম, তবে সেটাকে আমার অদ্ভুত চিন্তা ভেবে পাত্তা দেইনি। কিন্তু গল্পের শেষে ঠিক ঠিক তাই-ই ঘটল দেখে অবাক হতে হয়েছে। গল্পের উপস্থাপনা ও প্রবাহ এতই চমৎকার ভাবে আমাকে ঐ ভাবনা থেকে দূরে রেখেছিল যে ভাবনাটা আর মাথায় আসেনি। তবু মাত্র ২ টা স্টার কেন দিলাম? আসলে, রেটিং এর বিষয়টা বেশ কঠিন। আর ঐ ২ টা স্টার দিয়েছিই লেখার সাবলীলতা আর আকর্ষণ ক্ষমতার জন্য। বাকি তিনটা ঘর খালি রেখেছি কারন- আমার আসলে ঠিক এমন ধরনের উদাস উদাস গল্প ভালো লাগে না। যেখানে প্রেমিক প্রেমিকা বা নায়ক নায়িকা সহজে মুখ ফুটে কিছু বলে না এবং এতে নানা রকম নাটকীয় জটিলতা সৃষ্টি হয়; দুজনেই খুব উদাস; এরকম গল্প আমার সময় নষ্ট মনে হয়। তবে লেখকের লেখার ভঙ্গী আমার পছন্দ
Was this review helpful to you?
or
one of the best story
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই
Was this review helpful to you?
or
Nice Story
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ ?
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভাল লেছে বইটি পড়ে। কিন্তু লেখক শেষটা আর একটু অন্য রকম করলেও খারাপ হতো না। যাই হোক চমৎকার একটি গল্প ছিলো....
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো
Was this review helpful to you?
or
অসাধরন
Was this review helpful to you?
or
valo
Was this review helpful to you?
or
khub valo
Was this review helpful to you?
or
Valo legese onek
Was this review helpful to you?
or
বেশ ভালো অনুভূতি হলো বইটি পড়ে।
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার ?
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর একটি গল্প
Was this review helpful to you?
or
The storyline is simple and sweet. It was hard to define the end, It is classic fiction.
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ে খুব ভাল লেগেছে। শেষতা অপ্রত্যাশিত কিন্তু চমৎকার হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো একজন লেখক জহির রায়হান ???
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হানের সব লেখাই পড়তে ভালো লাগে। শেষ বিকেলের মেয়ে উপন্যাসটিও এর ব্যতিক্রম নয়।
Was this review helpful to you?
or
❤
Was this review helpful to you?
or
খুব সুন্দর একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
লেখক এর প্রথম উপন্যাস হিসেবে যথেষ্ট ভালো ছিলো। এই উপন্যাসে উপলব্দির বিষয় হলো!! সীমার বাহিরে গিয়ে স্বপ্ন দেখা, নিজের অবস্থান পরিবর্তনের জন্য অন্যের উপর ভরসা করা আর বিশ্বাসী মানুষ গুলো কে ঠকানো চরম বোকামি! আমাদের যা অাছে যেই অবস্থায় আছি তাতে সন্তুষ্ট থাকা শ্রেয়!! সেটা না করতে পারলে জীবন বরফ গলা নদী হয়ে যাবে!!!? পড়ে দেখতে পারে, আশা করি হতাশ হবেন না। বই: বরফ গলা নদী লেখক: জহির রায়হান প্রকাশনী: অনুপম প্রকাশনী মুদ্রিত মুল্য: ১৬০৳
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
আপনাদের পন্য গুলো অনেক ভালো।বাট ভেলিভারি টা সন্তোষ জনক নয়।।
Was this review helpful to you?
or
খুবই ভালো একটি বই
Was this review helpful to you?
or
লেখা গুলো স্পষ্ট হওয়া দরকার এব্যাপারে রকমারি ব্যবস্তা নেওয়া উচিত
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি রোমান্টিক উপন্যাস, বিশেষ করে আমাদের প্র্যাত্যেহিক জীবনে কি ধরনের মানুষ আসে যায়, তার সুন্দর উদাহরণ দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
বইগুলো থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি
Was this review helpful to you?
or
প্রিয় একটা বই! ❤️
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো একটা বই...আমারা জহির রায়হানকে অনেক মিস করি?
Was this review helpful to you?
or
excellent
Was this review helpful to you?
or
যারা পড়েন নি ,এখনি পড়ে নিন
Was this review helpful to you?
or
Excellent Book.
Was this review helpful to you?
or
Faltu lekha
Was this review helpful to you?
or
Prothom thekei ekta agroho chilo johir rayhan er boi porbo. Eta amr pora johir raihan er prothom boi.onkgulo abegpurno character. Ektu khani mystery of ache j,k kar hobe .shesh ta valo chilona. Jake ami count e kori ni she ee mukkho hoye gelo ?..oplo kichu eka shomoy katanor jonno motamuti thikthak ekta boi?
Was this review helpful to you?
or
Osadaron
Was this review helpful to you?
or
৫
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়লাম, ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
"শেষ বিকেলের মেয়ে" জহির রায়হানের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে একটি। এটি মূলত রোমান্টিক ক্যাটাগরির গল্প। গল্পটির মূল চরিত্রে রয়েছে কাসেদ নামের একজন ব্যক্তি। কাসেদ জাহানারাকে অত্যন্ত ভালোবাসে। এতোটাই ভালোবাসে যে, প্রতিটি মুহূর্তেই তাকে নিয়ে ভাবে সে। প্রত্যেক মুহূর্তেই একটি কল্পনাময় জগতে কাসেদ জাহানারার সাথে কথা-বার্তা বলে। কিন্তু একদিকে কাসেদের প্রতি জাহানারার অবহেলা ভালোই ছিলো, যদিও সেটা বোঝাটা এতোটাও সহজ না। কিন্তু কাসেদ শুধু এক মনে জাহানারাকেই চাইতো। কিন্তু কাসেদের জীবনে আরেকটি নতুন মোড় নিয়ে আসে শিউলি নামের একজন মেয়ে যে কিনা সম্পর্কে জাহানারার কাজিন হয়। শিউলি কাসেদের সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আচরণ করতো, যদিও কাসেদ এতে বিব্রতবোধ করতো। তার মনে শুধু জাহানারা ছাড়া অন্য কেউ নেই। তবে দিন যত যেতে থাকে, কাসেদ শিউলির প্রতি আবেগপ্রবণ হয়ে যায়, যদিও এট লাস্ট মোমেন্টে সেটা বিপরীত-ধরা দেয়। জাহানারার সাথে অন্য আরেকজনের সাথে সম্পর্ক হয়ে যায় যে কিনা জাহানারাকে সেতার শেখাতে প্রতিনিয়ত আসে। কিন্তু কাসেদের এটা বুঝতে অনেক সময় লাগলো। পরোক্ষণে, শিউলির কাছে যখন সে নিজের অভিমত (দ্বিতীয় পথ) ব্যক্ত করলো (যেহেতু শিউলির দ্বারাও সে আবেগ-আপ্লুত), সেখানেও সে অবহেলিত হলো। রোমান্টিকতা এমন একটা বিষয়, সেখানে মন মতো নিজেকে একটি কাল্পনিক মায়াবী উষ্ণতায় মাতিয়ে রাখা যায়। এই জগতটি বড় আশ্চর্যময়, বড় রহস্যময়।
Was this review helpful to you?
or
এন্ডিংটা অন্যরকম ছিলো।
Was this review helpful to you?
or
Good but not Super class
Was this review helpful to you?
or
শেষ বিকেলের মেয়ে জহির রাইহানের লেখা একটি প্রেমের উপন্যাস । এই উপন্যাসে দেখা গেছে একটি নিম্ন বেতনের চাকুরি জীবি কাশেদের কাহিনী । কাশেদ সহজ সরল একজন যুবক । সে ধনি ঘরের মেয়ে জাহানারা কে অনেক ভালোবাসে । কিন্তু মনে বিভিন্ন ভয় থাকায় তার মনের কথা বলতে পারে না । অবশেষে জাহানারার জন্ম দিনে পরিচয় হয় শিউলির সাথে । শিউলি কাশেদের সাথে বদ্ধু সুলভ আচরন করে । কিন্তু কাশেদ তাকেও ভালোবেসে ফেলে । কিন্তু তার সাথেও সম্পর্ক হয় না । এই কষ্টের সময় তার মা ও মারা যায় । তার আপন বলতে থাকে শুধু নাহার ।নাহার কশেদের দূর সম্পর্কের আত্মিয় । শেষে নাহারের ও বিয়ে ঠিক করে । এখন কাশেদ একা ঘরে।বাকি টুক বই কিনলেই পাবেন
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
ভালো
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ ফিনিশিং
Was this review helpful to you?
or
খুবই অসাধারণ একটি কাহিনীর শুরু এবং ইতি টানা "জহির রায়হানের" এই বইটা পড়ে ভালো লাগলো।
Was this review helpful to you?
or
প্রকৃত ভালোবাসার শেষ পরিণয় ?☺
Was this review helpful to you?
or
অনেক আগের লেখা বই।পড়ার আগে মনে হয়েছিল সেকেলে বই তেমন ভালো লাগবে না।পড়ার পর এতোই ভাল লাগেছে যে মনেই হয়নি বইটি এতো আগের। মনে হচ্ছে এখনকার সময়ের কোন লেখক বইটি লিখেছেন। বইটি হৃদয় স্পর্শ করার মতো একটি বই।অনেক জায়গায় পড়তে গিয়ে নিজের অজান্তেই চোখে জল এসে গেল।এরকম কিছু বই আছে বলেই আমরা পাঠক সমাজ বইপড়ার নেশায় বারবার মাতাল হই।
Was this review helpful to you?
or
onik sundor book ta
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া অন্যতম সেরা একটা বই। জিবনের কিছু মিল পেয়েছি
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই,খুবই ভাল লাগলো পড়ে
Was this review helpful to you?
or
#বুক_রিভিউ #বই_শেষ_বিকেলের_মেয়ে #লেখক_জহির_রায়হান জহির রায়হানের কালজয়ী উপন্যাস শেষ বিকেলের মেয়ে প্রকাশিত হয় ১৯৬০ সালে। মধ্যবিত্ত ঘরানার এই প্রেমের উপন্যাসটি ১৯৬০ সালের দিকে লেখা হলেও এর বিষয় বস্তুকে আধুনিক বলতে কোন দ্বিধা থাকে না। সাদামাটা একটি কাহিনীকে লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন তার শব্দের খেলায় সাবলীল ভাবে। উপন্যাসটি হাতে নিয়ে, বইটির নাম দেখে আপনি যদি ভেবে থাকেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে কোনো নারী, তো প্রথমেই আপনার ভুল হবে। উপন্যাসেটির কেন্দ্রীয় চরিত্র বা নায়ক মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে কাসেদ। পেশায় একজন কেরানি, তবে সে নিজেকে একজন কবি হিসেবেও দাবি করে। মূলত তাকে ঘিরেই কিছু নারী চরিত্রের আর্বিভাব ঘটেছে। তার ছোট পরিবারে মা ছাড়াও আছেন দূর সর্ম্পকের বোন নাহার। উপন্যাসের নায়ক কাসেদ হলেও নায়িকাকে খুঁজে পেতে পাঠককে অপেক্ষা করতে হবে শেষ পৃষ্টা পর্যন্ত। শুরুতেই মনে হয়ে জাহানারা, কিছু দুর যেতেই মনে হবে শিউলি। কিন্তু শেষ পৃষ্টায় এসে অভিনব ভাবে নায়িকার আর্বিভাব ঘটে। উপন্যাসের শুরুতেই ফুঁটে ওঠে, জাহানারা নামের এক আধুনিক মেয়ের প্রতি কাসেদের প্রেমের আকুতি। তার চিন্তার রাজ্যের অনেকটা জায়গা দখল করে আছে জাহানারা। মনের অজান্তে খাতার পৃষ্টায় লেখা পড়ে জাহানারার নাম। অন্যদিকে জাহানারার মনেও কাসেদের জন্য ভালোবাসা জাগে। তবে তাদের কারোরি বলা হয়ে উঠে না ভালোবাসার কথা। একটা সময় শিউলিকে নিয়ে জাহানারা কাসেদকে ভুল বুঝে। অভিমানের বসে নিজেকে আড়াল করে রাখে। স্বচ্ছল পরিবারের আধুনিক মেয়ে শিউলি। জাহানারার জন্মদিনের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কাসেদের সাথে পরিচয় হয় তার। শুরু থেকেই বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয় কাসেদের প্রতি। ইঙ্গিতের মাধ্যমে বুঝাতো তার ভালোবাসার কথা। কিন্তু জাহানার প্রেমে বিভোর কাসেদ তাতে গুরুত্ব দিতো না। কিন্তু যখন কাসেদ জাহানারার প্রতি অভিমান করে বিয়ের প্রস্তাব দেয় শিউলিকে, সে তাকে প্রত্যাখান করে এমনকি অপমান করেছে তাকে। উপন্যাসের আর একটি চরিত্র সালমা। কাসেদের খালাতো বোন সালমা। ছোটবেলা থেকে ভালোবাসতো কাসেদকে। কিন্তু তারও কাসেদের ঘর বাধা হয় না। তার বিয়ে হয়ে যায় অন্যখানে। কিন্তু সে তার কাঙ্খিত ভালোবাসাকে পায় না। তাই বিয়ের পরেও কাসেদকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া কথা জানিয়ে দেয় কাসেদকে। কিন্তু কাসেদ তার মধ্যবিত্ত বাস্তবতাকে আকড়ে ধরে। শেষ বিকেলের একটুকরো রোদ যখন কাসেদের ঘরের জানালা দিয়ে প্রবেশ করে, তখনি আর্বিভাব হয় নায়িকার। নাহার! কাসেদকে নিয়ে যে গোপনে ভালোবাসার জাল বুনে গেছিল। অভিমান কিংবা আত্মমর্যাদাবোধ তার ভালোবাসাকে হার মানাতে পারেনি। হলুদের আসর ছেড়ে হলুদ মাখানো শরীর নিয়েই ছুটে আসে কাসেদের কাছে। কাসেদের জীবনে আসে শেষ বিকেলের মেয়ে হয়ে।
Was this review helpful to you?
or
শেষ বিকেলের মেয়ে ? উপন্যাসটার নাম "শেষ বিকেলের মেয়ে", এটি একটি অতি পরিচিত উপন্যাস যারা কিনা গল্প বা উপন্যাসের সাথে সম্পর্ক রাখেন। এটি একটি বিখ্যাত উপন্যাস, যা উপন্যাসিক জহির রায়হানের সৃষ্টি। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিল কাসেদ। তার মা, দুর সম্পর্কের এক খালাতো বোন নাহার, এই নিয়ে কাসেদ এর খুব ছোট পরিবার। এছাড়াও জাহানারা, সালমা এবং শিউলি অন্যান্য কেন্দ্রীয় চরিত্র এই উপন্যাসের। কাসেদ একজন কেরানি মানুষ (মানে আমার সমগোত্রীয় ?)। কেরানিগিরি করার পাশাপাশি লেখালেখির তার একটু শখ আছে। জীবনের প্রথম দিকে তার খালাতো বোন সালমা তাকে মনে মনে ভালবাসলে কাসেদ সেটা বুঝতে পারে নাই, এবং সেটি বুঝবার চেষ্টাও করে নাই। সেটা অনেক পরে তার খালাতো বোন সালমার যখন বাচ্চা হয় সেখানে গেলে সেই ব্যাপারটা বুঝতে পারে। এক সময় সালমা তাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা বললেও কাসেদ সেদিকে পা এগোয় না। এরও অনেক আগে থেকে কাসেদ জাহানারাকে অনেক পছন্দ করলেও কখনো মুখে বলতে পারে নি। অনেক বার বলবে বলবে করেও আর বলা হয়নি। কাসেদ জাহানারাকে নিয়ে কত শত স্বপ্নের জাল বুনে, তার কোন ইয়াত্তা নাই। কতবার জাহানারা বাড়ি গিয়ে চা- কফি খেয়েছে কাসেদ। কিন্তু সেই ভালবাসার কথাটা আর জাহানারাকে বলা হয় নি। নানা ভাবে জাহানারকে কাসেদ সাহায্য করলেও যেমন সাতার কাটা শিখবে তার জন্য মাস্টার লাগবে, সেতারা শিখবে তার জন্য মাস্টার লাগবে ইত্যাদি ইত্যাদি। একদিন জাহানারার জন্মদিন উপলক্ষে তার বাসায় যায় কাসেদ সেখানে গিয়ে শিউলি সঙ্গে পরিচয় হয় কাসেদের, শিউলি জাহানারার চাচাতো বোন। এরই মাঝে ঘটতে থাকে নানা ঘটনা যার কারনে জাহানারা ও কাসেদের সম্পর্কের মধ্যে শীতলতা আসে। এদিকে জাহানারা তার সেতারা বাদকের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। সেটি তার চাচাতো বোন শিউলি কাসেদকে জানায়। একদিন কাসেদ সব কথা জাহানারাকে বলবে বলে তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে জাহানারার শরীর খারাপ বলে বাড়ির চাকরকে বলে পাঠায়। যার কারনে কাসেদ অনেক লজ্জা ও অপমানিত বোধ করে। জাহানারাকে আর কাসেদ আপন করে পায় না। এরই মধে কাসেদ ও শিউলি বিভিন্নভাবে সময় অতিবাহিত করার কারনে তাদের মধ্য ভাল সম্পর্ক তৈরী হয়, কিন্তু কাসেদ শিউলি কে নিয়েও স্বপ্ন দেখা শুরু করে। যার ফলে কাসেদ যেদিন জাহানারার কাছে প্রত্যাখান হয়েছিল সেদিনই আবার শিউলিকে তার ভালবাসার কথা বলে এবং বিয়ে করবে বলে শিউলিকে বলে সেখানেও ব্যর্থ হয় মানে শিউলিও তাকে প্রত্যাখান করে। এর ফলে কাসেদের দিন খুব এলেমেলো ভাবে কাটতে থাকে। আর অন্য দিকে তার মাও অসুস্থ হতে থাকে। একই সাথে তার খালাতো বোন নাহার এর বিয়ের কথাবার্তা চলতে থাকে। এর মধ্যে কাসেদের মা মারা যায়, তার খালাতো বোন সারাদিন ঘরের মধ্যে কাঁদতে থাকে। এর কিছুদিন পর নাহারের বিয়ে বলে কাসেদের খালু নাহারকে নিয়ে তার খালুর বাসায় নিয়ে যায়। কাসেদের মা মারা যাওয়ার পর কিছুদিনের মধ্যে কিছু আত্নীয় স্বজনের আগমন হলেও সেটি কিছুদিন পর থেমে যায়। যার ফলে কাসেদ সারাদিন একাই থাকে বাড়িতে। একদিন এক বিকেল বেলা হঠাৎ করে কেউ দরজা নারা দেয় কাসেদ ভাবতে থাকে কে হবে এই অসময় হলুদ শাড়ী পরা, হাতে মেহেদী রাঙ্গনো হাত নিয়ে নাহার হাজির। কাসেদ তো হতবাক কাল তোমার বিয়ে হলো আজ তুমি এখানে? নাহার নির্বিকার গলায় বল্লো আমার বিয়ে হয়েছে। কাসেদ বললো কার সাথে? নাহার বল্লো যার সাথে বিয়ে হয়েছে তার কাছেই তো চলে এসেছি। তারিয়ে দিবেনতো চলে যাই। কাসেদ ফ্যালফ্যাল করে নাহারের হলুদ মাখানো মুখের দিকে চেয়ে রইল।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা উপন্যাস। আমার খুব ভাল লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হানের সম্মোহনী লেখার স্টাইল,গতিশীল বর্ণনা,সহজ-সরল শৈল্পিক উপমা মুগ্ধ করেছে।উপন্যাস এগিয়ে গেছে এক সাধারণ মধ্যবিত্ত যুবককে কেন্দ্র করে ,যার পরিধির ভেতরে এসেছে বেশ কিছু বৈচিত্র্যময় নারী চরিত্রেরা।নারী-পুরুষের ভালোবাসার সম্পর্কের নানা বর্ণিল ও বর্ণহীন দিকই আকর্ষণ করবে বই শেষ না করে ওঠা পর্যন্ত।উপন্যাসের শেষটাও করেছেন চমৎকার ভাবে।সবমিলিয়ে বলবার মত ভালো লেগেছে।এমনিতে সাদামাটা উপন্যাস। কোন ছটা নেই,উচ্চ ভাব নেই, ভাবনা নেই, কোন ভাবুক উক্তি দেননি, প্রকৃতি দেখে মুগ্ধ হননি। কিন্তু লেখক হিসেবে পাঠককে ঠিকই ধরে রেখেছেন।
Was this review helpful to you?
or
বইঃ শেষ বিকেলের মেয়ে লেখক: জহির রায়হান ক্যাটেগরি : চিরায়ত উপন্যাস প্রকাশক: অনুপম প্রকাশনী আবেগ এবং ভালোবাসায় পূর্ণ প্রেমের এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র কাসেদ নামে এক যুবক, পেশায় যে কেরানী। বাড়িতে বৃদ্ধ মা আর নাহার নামে দুঃসম্পর্কের এক বোন। কাসেদ মনে মনে ভালোবাসে জাহানারা নামের বড়লোকের মেয়েকে। জাহানারাও কাসেদকে পছন্দ করে। একদিন জাহানারার জন্মদিনে কাসেদের পরিচয় হয় জাহানারার কাজিন শিউলির সাথে। ভাললাগা-ভালবাসা-প্রেম-প্রত্যাখ্যান এর মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় গল্পের কাহিনী। গল্পে শেষ বিকেলের মেয়েটি কে? কে কাসেদকে সত্যিকার ভালোবাসে এবং শেষ পর্যন্ত কাসেদের জীবনে আসে সে জানতে পড়ুন জহির রায়হানের অসাধারণ এই উপন্যাসটি। উপন্যাসটি আপনাকে বিমোহিত করবে!
Was this review helpful to you?
or
মনে রাখার মত ছোট্ট একটি উপন্যাস। গল্প বলে যাওয়ার দারুণ ভঙ্গি। কিন্তু কাসেদের 'মেয়ে দেখলেই প্রেমে পরে যাওয়া' ভাবভঙ্গি খুব বেশি অবাস্তব মনে হল, বৃহদার্থে মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেরা কি আসলেই এমন? কিছুটা মেলোড্রামা মনে হল। তবে উপন্যাসের মাঝে মাঝে সারা জীবন মনে রাখার মত কিছু কথা আছে, যেমন-'শিউলির ঠোঁটের একটি কোণে একসুতো হাসি জেগে উঠলো সহসা। সে হাসি ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়লো তার পুরো ঠোঁটে। চিবুকে। চোয়ালে, চোখে সারা মুখে' বা'একটু আগে এখানে তিনটি প্রাণী ছিল। এখন দুটো। একটি হারিয়ে গেছে সময়ের স্রোতে'। দারুণ :)
Was this review helpful to you?
or
ভাল বই
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম: শেষ বিকেলের মেয়ে লেখক: জহির রায়হান প্রকাশনী অনুপম প্রকাশনী প্রচ্ছদ মূল্য:১৩০ টাকা ছাড়কৃত মূল্য: ১১৪ টাকা জহির রায়হানের আরো একটি বই পড়ে ফেললাম। প্রতিটি ছেলের প্রেম ঘটিত হিংসার মনমানুসিকতা এখানে ফুটে উঠেছে। জাহানার সেতারা শিক্ষকের সেতারা শিক্ষা দেখে কাসেদের ভিতরে যন্ত্রণার আগুন ধরে যাওয়া,শিউলির একটু আন্তিরিকতায় সেটিকে প্রেম ভেবে কাসেদের ভুল করা এবং শিউলিকে নিজের অজান্তে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে শিউলির কাছে আজীবন বেঈমান হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাওয়া। সত্যি বলতে বইটি আমাদের ছেলেদের মানুসিক বেপার নিয়ে লেখা হয়েছে যা কম বেশি সব ছেলেদের সাথেই ঘটে থাকে। তাই ছেলেদের বলবো অবশ্যই বইটি পড়বেন আর মেয়েরা যারা প্রেম করে বা বিবাহিত তাদেরকেও পড়তে বলবো বইটি কারণ তাহলে তারা এটা বুঝতে পারবে যে শুধু তার বয় ফ্রেন্ডই বা স্বামী নয় দুনিয়ার কোনো ছেলেই তার জীবনসঙ্গীকে আরেকজনের সাথে স্বাভাবিক ভাবে থাকলেও হিংসের আগুনে জ্বলবে তাই এটি নিয়ে তাদেরকে ছোট না করে বোঝাবেন আর যেহেতু আপনি আপনার বয় ফ্রেন্ড বা স্বামীকে ভালোবাসেন তাই সিঙ্গেল জীবনে যেভাবে ছিলেন সেভাবে না থেকে নিজের জীবন সঙ্গীর ব্যাপারটা ভাববেন বিস্তারিত বলবো না বললে বই পড়ে মজা পাবেন না। বইটির শেষের অংশ সবাইকেই পুলকিত করবে। উপন্যাসটি বর্তমান সমাজের জন্য বাস্তবিক আমাদের সমাজে বই মানুষ খুব কম পড়ে তাই সন্দেহ,দাম্পত্য জীবন ঝামেলা লেগেই থাকে বই পড়লে একজন আরেকজনের সম্পর্কে জানা যায় বিশেষ করে প্রেমের বই। প্রেমের বই অনেকটা মনোবিজ্ঞানের মতন কাজ করে বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে। সবাই বই পড়বেন। সর্বশেষ লেখলে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম একটি বাস্তব সম্পর্কিত বইটি আমাদের পাঠকদের উপহার দেবার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
প্রতিটি মানুষই ভালোবাসার ছায়াতলে আশ্রিত হতে চায়, কেউ চায় ভালোবাসা পেতে আর কেউ জানে শুধু দিতে। জীবনের এই সময়গুলোতে কত মানুষেরই আনাগোণা হয় তার নির্দিষ্টতা নেই। তার মাঝে কত সম্পর্কই অভিমানী ঝড়ে না বলা রয়ে যায় আর কত সম্পর্কই তো স্বপ্ন দেখিয়ে ভাঙে।শেষ বিকেলে কে-ই বা এসে হাতটি ধরবে তা ও বা কে জানে। শেষ বিকেলের মেয়ে এমনই একটি গল্পো, যেখানে নীরব থাকা মেয়েটেই সবশেষে সরব হয়ে ওঠে। আর রং ছড়িয়ে বেড়ানোরাই হারিয়ে যায়।
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হানের শেষ বিকেলের মেয়ে উপন্যাসটি পড়বো পড়বো করে পড়া হয় নাই। অবশেষে পড়লাম। অসম্ভব রোমান্টিক একটা উপন্যাস। নায়কের মানষিক অবস্থা নায়িকার ভাবনা সব মিলেই অসম্ভব ভালো লেগেছে। যারা অর্ডার করেন নাই করে ফেলেন, বাংলা সাহিত্যের ভালো একটা উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম- শেষ বিকেলের মেয়ে লেখক-জহির রায়হান কাহিনী সংক্ষেপে- কাসেদ একজন সামান্য কেরানি। বাড়িতে মা আর এক দূরসম্পর্কের বোন নিয়ে তার বসবাস। অন্য সব কেরানির থেকে ব্যতিক্রম নয় তার জীবন। সকালে অফিসে,বিকেলে হেঁটে বাসায় ফেরা অতঃপর পরেরদিন আবার একই রুটিনমাফিক কাজ করা। জাহনারাকে রাশেদের বন্ধু বলা যায় যদিও তারা দুজন দুজনকে আপনি করে বলে। অবশ্য যে সময়ের প্রেক্ষাপটে এই উপন্যাসিকাটা লেখা সে সময় হয়ত একজন ছেলে বন্ধু তার মেয়ে বান্ধবীকে আপনি করে বলত,আমি যদিও ঠিক জানি না। জাহানারার বাসায় কাসেদ নিয়মিত যায় এবং জাহানারও নিয়মিত আসে তাদের বসায়। কাসেদের মা চান জাহানারা কে বউ করে আনতে। কাসেদের মনের সুপ্ত বাসনাও তাই। ওদিকে কাসেদের প্রাক্তন প্রেমিক সালমা যার আবার একটি বাচ্চাও আছে; সে কাসেদের সাথে পালিয়ে যেতে চায় কিন্তু কাসেদ তা প্রত্যাখ্যান করে। জাহনারার জন্মদিনে কাসেদের পরিচয় হয় শিউলির সাথে। কাসেদ আর শিউলির সম্পর্ক আস্তে আস্তে সামনের দিকে অগ্রসর হয়। ওদিকে কাসেদের মা শয্যাশায়ী অবস্থায় দূরসম্পর্কের সেই খালাতো বোনের বিয়ে ঠিক করে। তারপর? পাঠ পতিক্রিয়া- কাসেদ চরিত্রটাকে আমার কেমন যেন একটা কনফিউজিং ক্যারেক্টার লেগেছে। লোকটা যে কাকে ভালবাসে কে জানে! সে কি চায় সে নিজেই জানে না! জাহনারার মধ্যেও কিছুটা বৈচিত্র্য রয়েছে। সে মুখে কিছু বলে না যদিও। তবে হ্যাঁ এটা পড়ে একটা জিনিস বুঝতে পেরেছি, বিপরীত লিঙ্গের কিছু মানুষের সাথে সহজভাবে মেলামেশা করলে তারা উল্টাপাল্টা বুঝে ঝামেলা লাগায় ফেলে। হয়ত তারা ইচ্ছা করে করে না । কিন্তু করে ।
Was this review helpful to you?
or
শেষ বিকেলের মেয়ে লেখক জহির রায়হান আমি উনার বইটা পড়ে উনার ভক্ত হয়ে গেলাম তারপর আরো অনেক বই অর্ডার করলাম উনার গল্পে অনেক চরিত্র থাকলেও সব দেখেছে চরিত্রটি পারে লেগেছে সে চরিত্রটি নাম হচ্ছে নাহার যা আপনি এই বইটি না পড়ে থাকলে বুঝবেন না সবাই এতো হৈ হুল্লা ভালোবাসা সাঁতারের মাস্টার কেউবা রিক্সা নিয়ে ঘুরে কেউবা বলে চলো পালিয়ে যাই আর কেউ কাছে থেকে কিছুই বলে না বলবে কি করে সে মনে মনে ভাবে তার সাথে তার বিয়ে হয়ে গেছে তাই সে ফিরে আসছে যাই হোক নতুন যারা রিভিউ দেখে তারপর বই কিনতে চায় আমি মনে করি আপনার কোন রিভিউ দেখার দরকার নেই সরাসরি আপনি যদি কিনতে পারেন যা পড়ে আপনার অনেক ভালো লাগবে
Was this review helpful to you?
or
ভালো লাগলো পড়ে।
Was this review helpful to you?
or
গল্পটি কাসেদকে নিয়ে। কাসেদ একজন কেরানি। সাথে এক কবিও। কেরানি পরিচয়টি যতটা প্রকাশিত, কবি পরিচয়টি ততটাই অনুচ্চারিত। কবি শুধু সে তার নিজের মনেই। বাবা গত হয়েছে অনেক আগেই। বাড়িতে শুধু তার মা, এবং দূর সম্পর্কের একবোন নাহার। এই নিয়েই পরিবার তার। বাস্তবতার সাথে যেমন এগিয়ে চলছে, সেই সাথে তার কবি মনে ভালোওবাসছে একজনকে। ভালোবাসায় কথোপকথন সাজাচ্ছে। ঝগড়া করছে, অভিমান করছে, অভিমান ভাঙ্গাচ্ছে, কখনো দুর্বল হয়ে যাচ্ছে মানুষটির কাছে। তার এই মানুষটির নাম জাহানারা। জাহানারাকে সে ভালোবাসলেও কখনো এটা ভালভাবে প্রকাশ করতে পারেনি মেয়েটির কাছে। মনের কথা মনেই পড়েছিল তার। কিন্তু জাহানারা তার জন্য শুধুই এক মরিচীকা হয়েই ছিল। মরিচীকা কখনো আপন করে নেয়া যায় না, কাসেদও পারেনি তা। শুধু জাহানারাকে ভালবাসলেও তার প্রেমিক মনের দুর্বলতা থেমে পড়েনি। শিউলি, সালমা, শেষ বিকেলে দেখা নাম না জানা সেই মেয়ে। তবে, ওগুলো শুধু ক্ষণিকের। দুঃখের সময়ে আক্ষেপের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্যই। সালমা তার জ্ঞাতি বোন। মেয়েটি ভালবাসতো তাকে। সেই ছোট থেকেই। কখনো সেই ভালোবাসাকে গ্রাহ্য করেনি কাসেদ। এর মানে এই না যে, সালমাকে সে ভালোবাসতো না। বাসতো, তবে ভালোবাসার মত ভালোবাসা ছিল না সেটা। নাকি ছিল? এক্ষেত্রে, দ্বিধান্বিত কাসেদ। তাই তো, সালমার প্রস্তাবকে সে সরাসরি ফিরিয়ে দিতে পারেনি। আরেক দিকে, শিউলি। জাহানারার জ্ঞাতি বোন। চঞ্চল স্বভাবের মেয়ে। ছেলে-মেয়েতে ঘুরাঘুরি মানেই প্রেম নয় তার কাছে। কাসেদের সাথেও এমনই সম্পর্ক তার। শুধুই কি এমনই সম্পর্ক? না আরো কিছু ছিল? মেয়েটি রহস্যময়, তার কথাবার্তাও রহস্যময়, তার আচরণ, তার অনুভূতিও। কাসেদের মনে হয়েছিল, মেয়েটি তাকে ভালোবাসে। জাহানারা নামক মরিচীকায় ব্যর্থ হয়ে তার কাছেই ছুটে আসে সে। যেই কথাগুলো জাহানারাকে কখনো বলতে পারেনি, সেই কথাগুলোই বিনা সঙ্কোচে বলে দেয় শিউলিকে। কিন্তু রহস্যময় শিউলি ফিরিয়ে দেয় তাকে। কেন ফিরিয়ে দেয় সেটা রহস্যই। জাহানারা থেকে ব্যর্থ হয়ে তার কাছে এসেছে বলে নাকি কাসেদের ভালোবাসার মন স্থির না বলে নাকি সেই ভালোবাসতো না কাসেদকে। ব্যাপারটা অব্যক্তই থেকে যায়। তারপর, এক শেষ বিকেলে – আক্ষরিক ও রূপক দুই অর্থেই শেষ বিকেল, ব্যর্থ কাসেদ পরাজয়গুলো মেনে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল। পরাজিত সে ঠিকই, তবে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিল না। শেষ বিকেলের আলোর মত তখনও কিছুটা আলো ছিল তার জীবনে। তখনই এসে উপস্থিত হয় মেয়েটি। শেষ বিকেলে, কাসেদের পুরোপুরি নিজেকে হারিয়ে ফেলার ক্ষণিক আগে। সেই মেয়েটিই ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’। আক্ষরিক ও রূপক - দুই অর্থেই। . . ছোট কলেবরে সৃষ্ট অন্যরকম মোহনীয় এক গল্প এটা। প্রেমের গল্প। জহির রায়হান উনার মোহনীয় লেখনীতে আরো মোহনীয় করেছেন লেখাটিকে। পড়তে গিয়ে কখন হারিয়ে গিয়েছিলাম গল্পের মাঝে নিজেও টের পাইনি। গল্পে ফুঁটে উঠেছে এক প্রেমিকের দুরাবস্থার দিকটা। সাথে সাথে প্রেমে পড়লে একজন প্রেমিকের মানসিক অবস্থা কী হয়ে পড়ে সেটা। গল্পগুলোতে সাধারণত প্রেমিকদেরকে ‘সুপারহিরো’ বানিয়ে দেওয়া হয়। ‘একই সব’ জাতীয় রীতি। কিন্তু এই গল্পের প্রেমিক ঐ সুপারহিরো না। একেবারে বাস্তবের প্রতিচ্ছবিই যেন। হয়তো উদ্ভট লাগবে চরিত্রটিকে, তবে বাস্তব কবে উদ্ভট ছিল না। গল্পের কিছু কিছু বাক্য মনকে নাড়া দেওয়ার মত। সেগুলো শুধুময় প্রেমময় অর্থকেই শুধু প্রকাশ করেনি, করেছে কঠিন বাস্তবতাকেও। গল্পটি পড়ে আমি কিছুটা অবাক হয়েছি। আজ থেকে ৫৭ বছর আগে লেখা একটা গল্পে যেন বর্তমান দিনের প্রতিচ্ছবিই ফুঁটে উঠেছে। ৫৭ বছর আগের লেখা শুনে প্রাচীন মনে হতে পারে, কিন্তু এটি আসলে আধুনিক। জহির রায়হানের চিন্তাভাবনা অনেক বছর আগেও কতটা আধুনিক ছিল, তা এই গল্পেই বুঝা যায়। একটা উজ্জ্বল নক্ষত্র হারিয়েছি আমরা। ভাবতে অবাক লাগে – এই মানুষটার উপন্যাস বই মাত্র পাঁচটি, আরেকটি ছোটগল্প সংকলন।
Was this review helpful to you?
or
ষাটের দশকের একজন নিম্নপদস্থ সরকারি কর্মচারী কাসেদের জীবন এবং তার জীবনে আসা কয়েকজন নারী চরিত্রের এক সুন্দর মিশ্রণ উপন্যাসটি। এদের মধ্যে একজন জাহানারা। যাকে কাসেদ মনে মনে ভালোবাসলেও জাহানারা পরিস্কার করে কিছু বলেনা তাকে। তার আচার ব্যাবহারও রহস্যজনক। দিনশেষে জাহানারার সাথে তার সম্পর্কের কোনো অবস্থান দার করাতে পারেনা কাসেদ । অপরজন সালমা, কাসেদের খালাতো বোন। সালমা সেই কৈশোর থেকে কাসেদকে ভালোবেসে আসলেও কাসেদ কখনো পারেনি বাবাহারা পরিবারের বোঝা অপেক্ষা সালমার প্রেমকে বড় করে দেখতে। ফলে একসময় সালমার বিয়ে হয়ে যায় বড় চাকুরে কোন ছেলের সাথে এবং সেই সংসারের শো-পিস হয়ে থাকতে হয় সালমাকে। তার অফিসের কলিগের কৃষ্ণবর্ণ মেয়েটির প্রেমেও পড়েছিলো কাসেদ। সেটাও শুধু ভালোলাগাতেই আটকে থাকে। এগোয় না সামনে। শিউলিকেও তার ভালো লাগে। আধুনিক প্রকৃতির মেয়েটির ইচ্ছা সে সবাইকে বন্ধু বানাতে চায়। প্রেমিক হিসেবে সে কাসেদকে চায়নি। সব জায়গা থেকে বঞ্চিত হয়ে গোধুলী লগ্নে তাদের বাড়ির অাশ্রিত নাহার যে কিনা রাসভারি স্বভাবের, যার কথা কবি এমন ভাবে উল্লেখ করেছেন যেনো কেউ বুঝতে না পারে শেষ বিকেলের মেয়েটি আসলে কে তার সাথেই কাসেদের শেষ পরিনতি হয় । চরিত্রের এমন টানটান ভাবের মাধ্যমে উপন্যাসের পাঠকদের আটকে রাখার পদ্ধতিটা আমার ভালো লেগেছে। আমাদের সমাজের অনেক মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেদের এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। কখনো পরিবাবের দায়িত্ব কর্তব্যের জন্য ভালোবাসাকে দুরে ঠেলতে হয় আবার কখনো কখনো নিজের পছন্দকে হারাতে হয় অনাকাঙ্ক্ষিত কারনে। দিনশেষে আপন হয় শেষ বিকেলের মেয়ে।
Was this review helpful to you?
or
মোটামুটি ভাল লেগেছে। নামটা ভীষণই সুন্দর! আসলে জহির রায়হানের অনন্য সৃষ্টি হাজার বছর ধরে কিংবা বরফ গলা নদীর মত অতোটা দুর্দান্ত লাগেনি। তারপরও বলবো একবার পড়াই যায়। যারা ঐ সময়ের রোমান্টিক উপন্যাস পছন্দ করেন তারা পড়ে দেখতে পারেন। অনেকেরই হয়তো ভাল লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ শেষ বিকেলের মেয়ে লেখকঃ জহির রায়হান ভাষাঃ বাংলা ঘরনাঃ চিরায়ত উপন্যাস বইয়ের পৃষ্ঠাঃ ৮০ বিনিময় মূল্যঃ ১০৬ টাকা প্রকাশনীঃ অনুপম ব্যক্তিগত অনুযোগ (রেটিং): ৪.৭/৫ “ছোট একটা বাড়ি থাকবে তার, শহরে নয়, শহরতলীতে; যেখানে লাল কাঁকরের রাস্তা আছে আর আছে নীল সবুজের সমারোহ। মাঝে মাঝে দু’পায়ে কাঁকড় মাড়িয়ে বেড়াতে বেড়ুবে ওরা। সকাল কিম্বা সন্ধ্যায়। রাস্তায় লোকজনের ভিড় থাকবে না। নিরালা পথে মন খুলে গল্প করবে ওরা, কথা বলবে। আজকের বিকেলটা অনেক সুন্দর তাই না? কালও এমনটি ছিলো। চিরকাল যদি এমন থাকে?” চমকপ্রদ, নিরন্তন এক ঘরুয়া সাদামাটা প্রেমের এক অনিন্দ্য রূপ। সাদাসিদে জীবনের রঙিন আকাশের উপরোক্ত সংলাপগুলো প্রিয় লেখক, প্রিয় মানুষ জহির রায়হানের লেখা প্রথম উপন্যাস “শেষ বিকেলের মেয়ে” এর অংশবিশেষ। প্রেমের উপাখ্যান হিসেবে উপন্যাসের জুড়ি মেলা ভার, আর সেখানে পুরো গল্প জুড়ে লেখক নায়কের মানসিক দোদুল্যমান ভাবটা খুব বাস্তবিক এবং সবশেষে প্রেম উপাখ্যানের যে পরিণতি ঘটিয়েছে, তা পাঠককে আচমকা পুলকিত করে তুলবে। জহির রায়হান প্রসঙ্গের এবং মানবিক আবেদনগুলোর বিশ্লেষণ যে নিপুণ হাতে এঁকেছেন, তা সিদ্ধহস্ত। পাঠক কোনো সাহিত্য পড়ার পর যদি সেই সাহিত্যের গভীরতা ও অনুযোগতা নিজের মনের ভেতর অনুরনন করে নিয়ে পারে, তবে লেখকের পূর্ণ সার্থকতা। আর, এখানে জহির রায়হান পূর্ণভাবে সার্থক, পরিপূর্ণ ভাবে সফল। এই আখ্যানে পাঠক কখনো রহস্যের জালে জড়ায় না, অথচ, জীবনবোধের রস ও সহজ, সরল সাবলীল ভাষায় আটকা পড়ে যায়, শব্দের মোহে ভালোবাসায় ডুবে যায় উপন্যাসের চরিত্রের। কাহিনীর সমাপ্তিতে পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগে-এই কি জীবন? এই কি নিয়তি? নিয়তিকে সুচিন্তিত প্রশ্নের জালে আবদ্ধ করতেই যেন জীবনরসের কারিগর সৃষ্টি করেছেন ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’ উপন্যাসে। উপন্যাসের নায়ক ছোটখাটো কেরানির চাকুরিজীবি মধ্যবয়সী কাসেদ, পরিবারে আছে মা আর দূরের সম্পর্কের অনাথ খালাতো বোন নাহার। কাসেদের মা স্বপ্ন দেখেন নাহারকে ভালো একটি ছেলের হাতে তুলে দিয়ে নিজের কাছে রেখে দিবেন। চাকুরির ব্যস্ততা ছাড়াও কাসেদ নিজেকে জড়িয়ে রাখে ভালোবাসায় মায়ায়, প্রেমিকার ছায়ায়, নাম যার ‘এক ছন্দ!’ এরমাঝে তার লেখা কবিতা বিভিন্ন জায়গায় দারুন প্রশংসিত হতে থাকে। প্রেমিকার হাত ধরে কাসেদের জীবনে তার মানসী জাহানারার আগমন। সেখানে সে অর্থের লোভে নয় বরং জাহানারার হাসির ঝংকারে মোহে পড়ে যায়। নিজের ব্যক্তিগত পাঠপ্রতিক্রিয়া লিখতে গেলে বেশ আবেগী হয়ে যাবো! বাঙালি জীবন ঘনিষ্ঠ রচনার অন্যতম কারিগর জহির রায়হানের লেখায় যেমন উঠে এসেছে আবহমান বাংলার গ্রামীণ ও শহুরে জীবন, ঠিক তেমনি করেই উঠে এসেছে সাদামাটা প্রেমিক মনের এক আখ্যান। জহির রায়হানের এই প্রথম উপন্যাসের প্রেক্ষাপট হৃদয়মর্মী স্পর্শ করে, সেখানে উনার ভাষার অনন্যতা, অনবদ্যতা ও শব্দশৈলীতা উনার লেখার মাত্রাকে বহুগুণ শ্রেষ্ঠত্বকে তুলে দিয়েছেন। সাবলীল শব্দের প্রয়োগে উনি উপন্যাসটিকে মার্ধুযময় করে তুলেছে। কাসেদ নিজে নিজে স্বপ্নের জাল বুঁনে। ভাবে শহরতলীতে লাল সবুজের সমারোহের মাঝে এক বাড়ি করবে, যার পাশে থাকবে কাঁকড় মেশানো পথ। দু’জন মিলে সেই পথে কাঁকড় মাড়িয়ে বেড়াবে। কিন্তু, কাসেদ কখনো ই বলতে পারে না তাকে। এক সময় সে নিজে তার অনুভূতি নিয়ে সন্দিগ্ধ হয়ে পড়ে, ভাবতে থাকে সে কেনো তালে ভালোবাসে? গল্পের আঙ্গিকে নাকি তার বাচনভঙ্গিকে? কথাসাহিত্যের শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী জহির রায়হানের ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’ উপন্যাসটি সাহিত্যপ্রেমীদের পড়ার সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি....
Was this review helpful to you?
or
মূলত কয়েক বছর আগে মাধ্যমিকে থাকা হাজার বছর ধরে'র মতো কালজয়ী লিখনির মাধ্যমেই জহির রায়হানের সাহিত্য জগতের সাথে আমার পরিচয় । "শেষ বিকেলের মেয়ে" জহির রায়হান রচিত একটি রোমান্টিক প্রেমের আখ্যান হলেও যদি বলি অপ্রেমের আখ্যানও বটে তাহলে যে সেটা খুব বেশি ভুল বলা হবে না উপন্যাসটির শেষে এসে সেটি উপলব্ধি করবেন ।যদিও উপন্যাসের মূল চরিত্র কাসেদ পেশায় একজন কেরানী কিন্তু লেখক এখানে তার অসাধারণ লিখনির দ্বারা অতি সহজেই তাকে নায়ক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন ,পাশাপাশি তাকে অতি মাত্রায় মার্জিত এবং রুচিবোধ সম্পন্ন চরিত্র হিসেবে তুলে ধরেছেন। মধ্যবিত্ত শ্রেণির আধুনিকতা উপন্যাসটির পুরো অংশ জুড়েই দারুনভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। জহির রায়হানের সম্মোহীনি লিখার ধরন,গতিশীল বর্ণনা,সহজ-সরল শৈল্পিক উপমা আপনাকে মুগ্ধ করবে। উপন্যাসটিতে কাসেদের জীবনে আসা ৩ জন নারী জাহানারা,শিউলি এবং সালমা কাউকেই সে ভালবাসার অমোঘ বন্ধনে বাধতে পারে নি।ষাটের দশকের স্বচ্ছল ও আধুনিক পরিবারের মেয়ে জাহানারা ও শিউলি।উচ্চবিত্ত শ্রেণির জাহানারা তার হৃদয় এ কাসেদের জন্য ভালবাসার বীজ বপন করলেও পরবর্তীতে কাসেদকে ভুল বুঝে বা তীব্র আত্মমর্যাদাবোধের জন্য না তীব্র অভিমানে আত্মদগ্ধ হয়ে নাকি কিসের জন্য নিজেকে আড়াল করে নেন লেখক এখানে তা পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করেন নি। লেখক এখানে দেখিয়েছেন মধ্যবিত্তসত্ত্বার বাইরে এসে কাসেদরা কখনোই উচ্চবিত্ত জাহানারাদের কাছে নিজেদেরকে মেলে ধরতে পারেন না। একে একে সালমা,শিউলি যখন কাসেদকে দূরে হারিয়ে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানায়,কাসেদ ঐ সময় চরম নির্লিপ্ততা প্রকাশ করে,এই নির্লিপ্ততা আপনাকে খানিকট বিরক্ত করবে।একপর্যায়ে কাসেদ শিউলির কাছ থেকেও বিতাড়িত হয় এবং এই তিন চরিত্রের কেউই নায়িকার ভুমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেন নি । জীবন ও জীবনস্রোতের এতো চাপ যখন কাসেদ সামলাতে পারছিলো না তখন কুলবিহীন পাথারে নিজেই নিজের দর্শক হয়ে সবকিছু উপভোগ করতে বাধ্য হচ্ছিলো । আমাদের জীবনে অনেক মেয়েই আসতে পারে যারা নিজেদের রঙে আমাদেরকে তাদের মতো করে রাঙ্গিয়ে দিবে,তেমনিভাবে উপন্যাসের শেষের দিকে প্রবল ট্রাজেডিতে প্রিয়জনরা সবাই যখন কাসেদকে ত্যাগ করছিলো,ঠিক ওই মুহূর্তে শেষ বিকেলের মেয়ের মতো হুট করে নক না করেই কাসেদের জীবনের সাথে এমন একজন জড়িয়ে যাবে যাকে পাঠক ভাবতেই পারবে না,উপন্যাসটি না পরলে শেষের অংশের এরকম বড়ও টুইস্টটি মিস করবেন । শেষের দিকে এসে লেখক প্রমান করছেন যে, ভুলবোঝাবুঝি,অহংবোধ এবং অভিমান সবকিছুর ঊর্ধেই ভালোবাসা।
Was this review helpful to you?
or
valo....
Was this review helpful to you?
or
This book is about a love story.I read this book in my school library.The finishing of this story was realy sad and this story is heart touching. I was realy sad for the girl in this story.She tolerate a lot.But she find happiness.The end of the story both girl and boy was happy.This story realy touched my heart.This was the first book on love story I have read.
Was this review helpful to you?
or
একাধারে ঔপন্যাসিক, গল্পকার, চলচ্চিত্রকার - কী ছিল না তাঁর পরিচয়! বলছি জহির রায়হানের কথা। এক সোনালী জগতের পথিক ছিলেন তিনি। শেষ বিকেলের মেয়ে ছিল তাঁর লেখা প্রথম উপন্যাস। অথচ এটি পড়লে আপনার মনেই হবেনা কোনো কাঁচা হাতের লেখা এটি। উপন্যাসের পাঠ পরিক্রমায় আপনি তিনটি প্রধান নারী চরিত্রকে খুঁজে পাবেন- জাহানারা, শিউলি এবং নাহার। তিনজনের সাথেই স্বকীয়ভাবে কাহিনী গড়ায় নায়ক কাসেদের। কে এই উপন্যাসের নায়িকা হয়ে ধরা দেয়, তা বুঝতেই পারবেন না সহজে। উপন্যাসের সবচেয়ে সেরা দৃশ্যায়ন শেষাংশটি। শেষ বিকেল। কাসেদের দরজায় কড়া নাড়ে কেউ। কে সেই শেষ বিকেলের মেয়ে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন শেষাংশে। এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলবার মত একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
ষাটের দশক, পূর্ববঙ্গে কেরানি তথা মধ্যবিত্ত জীবন তখন জীবন সংগ্রামের অধুনা রূপটি নিয়ে দাঁড়িয়ে গেছে। স্বপ্ন তখন সংগ্রামের শর্ত। উপন্যাসটি ঠিক এই প্রেক্ষাপটে তরুণ কেরানি কাসেদের গল্প বলে যার কাছে স্বপ্নটা তখনো সংগ্রাম থেকে দূরে বা স্বপ্নকে সংগ্রামের গ্রাস থেকে বাঁচাতে যে তখনো নিজের সাথে নিজে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। গল্প-বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দু যদি কাসেদ হয়, তাহলে গল্পের পরিধি হচ্ছে কাসেদকে ঘিরে উঠে আসা পাঁচজন মেয়ে। এদের একজন জাহানারা, যে দেখে একদিকে যেমন একঘেয়ে যান্ত্রিকতার ভীড়ে একমাত্র কাসেদের মত মধ্যবিত্তরাই তাকে স্বপ্নে স্থান দিতে পারে; অপরদিকে তেমন মধ্যবিত্তসত্ত্বার বাইরে এসে কাসেদরা কখনোই উচ্চবিত্তের জাহানারাদের কাছে নিজেদের মেলে ধরতে পারে না। তাই দিনশেষে কারো প্রেয়সী নয়, বরং তার নিজের মত উচ্চবিত্ত কারো ঘরের পুতুল হওয়ার প্রস্তুতিই তাকে নিতে হয়। অপরজন সালমা, কাসেদের খালাতো বোন; সালমা সেই কৈশোর থেকে কাসেদকে ভালোবেসে আসলেও কাসেদ কখনো পারেনি বাবাহারা পরিবারের বোঝা অপেক্ষা সালমার প্রেমকে বড় করে দেখতে। ফলে একসময় সালমার বিয়ে হয়ে যায় বড় চাকুরে কোন ছেলের সাথে এবং সেই সংসারের শো-পিস হয়ে থাকতে হয় সালমাকে। তবে বিয়ের পরও নিজের শো-পিস সত্ত্বার বাইরে এসে সালমা যখন কারো ভালোবাসা পাওয়ার তৃষ্ণায় কাতর হয়েছে, তখনো সে কাসেদ ছাড়া এই যান্ত্রিক সমাজে কাউকে খুঁজে পায়নি। কিন্তু কাসেদ নিজের মধ্যবিত্তসত্ত্বার সীমারেখা পার হয়ে তখনো সালমাকে তার প্রাপ্য ভালোবাসা দিতে পারেনি। এরপর আসে কাসেদের সিনিয়র এক কলিগের মেয়ে, উপন্যাসে তার পরিচয় “কৃষ্ণবর্ণ মেয়েটি”।
Was this review helpful to you?
or
একথায় অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
শেষ বিকেলের মেয়ে রিভিউঃ হাজার বছর ধরে এর পরে আমার পড়া জহির রায়হান এর লেখা ২য় উপন্যাস ছিল এটি। এক বসাতে শেষ করা যায় এমন উপন্যাস এটি। জহির রায়হান এর যে নিজস্ব লেখার ধরন ছিল তা এই ঊপন্যাস থেকে বোঝা যায়। আমার মতে তার এই লেখার ধরন এর জন্যই সে সবার থেকে আলাদা। উপন্যাসে কাসেদ, জাহানারা, শিউলি, নাহার, সালমা সহ অনেক চরিত্র থাকলেও আমার কাছে সবথেকে ভালো লেগেছে মকবুল সাহেবের ২য় মেয়ের চরিত্রটি। বিশেষ করে তার চরিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য লেখক যেভাবে পরিবেশ তৈরী করেছেন তা একথায় অসাধারণ। লেখক তার লেখায় যে নিখুঁত বর্ননা এর পরিচয় দিয়েছেন তা না পড়লে বোঝা যাবে না। পাঠক হিসেবে যদি এই বই না পড়েন তাহলে জীবন বৃথা।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন একটা বই,যতবারই পড়েছি ততবারই ভালো লেগেছে
Was this review helpful to you?
or
'হাজার বছর ধরে' এই উপন্যাসটির মাধ্যমে জহির রায়হানের উপন্যাস পড়া শুরু করেছিলাম। 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসটির মুগ্ধতাকে সাথে নিয়ে পড়তে শুরু করি 'শেষ বিকেলের মেয়ে'। নামটার মধ্যেই যেন এক প্রকার মায়া জড়ানো আছে। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে কাসেদ যে কেরানীর চাকরি করে। মা, দুর সম্পর্কের খালাতো বোন নাহার আর কাসাদ এই তিনজনের পরিবার। জাহানারাকে অসম্ভব ভালোবাসে কাসেদ। কিন্তু সেটা মুখ ফোটে কোনোদিন ই বলতে পারে না সে। কল্পনায় হাজারো জাল বুনে যায়, শহরতলীতে বাসা থাকবে তাদের, বিকেলে দুজন এক পথে হেটে এসে বারান্দায় বসে একসাথে চা খাবে। কোনো এক বর্ষণমুখর দিনে জাহানারার কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়ে কাসেদ জাহানারার বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে পরিচয় হয় মুখর এক মেয়ে শিউলির সাথে। শিউলির আচরণে মনে হয় শিউলি কাসেদকে পছন্দ করে। কিন্তু কোনো একদিন জাহানারা কাসেদের বাড়িতে এসে জানায় শিউলির পছন্দের মানুষ আছে যে কিনা দেশের বাইরে থাকে। আবার শিউলির কাছে কাসেদ জানতে পারে জাহানারার সম্পর্ক রয়েছে তার সেতারা মাস্টারের সাথে। কাসেদের মনে তখন ভাবনা সকল মেয়েই এক, ভিন্ন দেহ এক মন। কিন্তু ব্যাতিক্রম তার আরেক খালার মেয়ে সালমা যে তাকে শুধু ভালোবেসেই গিয়েছে। আর কাসেদ শুধু তাকে আঘাত দিয়ে গিয়েছে। সালমা চেয়েছিলো বিয়ের পর ও কাসেদের হাত ধরে হারিয়ে যেতে। কাসেদ সেটা করতে পারেনি। কাসেদের অফিসের হেডক্লার্ক মকবুল সাহেবের বাসায় গিয়ে শেষ আলোয় দেখা যে কালো মেয়েটি তাকেও সে আপন করতে পারেনি। তার চেহারার দিকে তাকানোর সাহস দেখানোর আগেই সে বিয়ে করে ফেলে কাসেদের অফিসের বসকে। শেষে কাসেদের মা মারা যাওয়ার আগে নাহারকে তার খালুর কাছে দিয়ে যায় বিয়ের আয়োজন ও করা হয়ে যায়। সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব কাসেদ শেষ বিকেলে যখন একাকী এ শহর এবং আকাশটা দেখছে, তখন হঠাৎ দরজায় কড়া নাড়ার আওয়াজ। কে ফিরে এলো তার কাছে? জাহানারা? শিউলি? সালমা? নাহার? নাকি অন্য কেউ?? কে শেষ বিকেলের মেয়ে হয়ে তার কাছে সব ছেড়ে চলে এলো? সেটা নাহয় উপন্যাস পড়েই জেনে নিবেন.... চমক আছে বেশ!!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
আপনার জীবনে অনেক মেয়েই আসতে পারে যারা নিজেদের রঙে আপনার শেষ বিকেলকে তাদের মত রাঙিয়ে দেবে। কিন্তু দিনশেষে শেষ বিকেলের মেয়ে তাকেই বলতে হয় যে দিনশেষে আপনার আশ্রয় হয়।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_ডিসেম্বর উপন্যাসঃ শেষ বিকেলের মেয়ে লেখকঃ জহির রায়হান প্রকাশনঃ অনুপম ধরনঃচিরায়ত মুল্যঃ১২০ টাকা কাহিনী সংক্ষেপঃ মুল চরিত্র কাসেদ, যে কি না একটি কেরানী পদে চাকরি করে। কিন্তু এই পদে চাকরি করলেও সে স্বপ্ন দেখতে থাকে সুন্দর করে বাঁচার। ভালোবাসতে চাই সে। কেরানী পদে চাকরি করলেও তার জীবনে এরই মধ্যে আবির্ভাব হয়েছে কিছু মানুষের। জাহানারা নামের একটি মেয়ের অস্তিত্ব রয়েছে কাসেদের জীবনে। সে মনে মনে প্রায় ভাবে তাকে সব খুলে বলার কথা এবং স্বপ্নে বিভোর হয়ে থাকে। কিন্তু বলা বলা করেও শেষ পর্যন্ত আর বলা হয়ে ওঠেনি। অবশেষে সে একদিন জাহানারা র বাড়িতে পা বাড়ালো। সেখানে গিয়ে সে আবিষ্কার করলো বাড়ির সামনে অনেক মানুষ। ওদিকে জাহানারা ও তার জন্য অপেক্ষা করছে অধীর আগ্রহে বারবার বারান্দায় এসে আবার নিজের রুমে চলে যাচ্ছে। অবশেষে কাসেদকে দেখতে পেয়ে জাহানারা তার কাছে এগিয়ে গেলো এবং তাকে নিয়ে জাহানারা তার বান্ধবীদের সাথে পরিচয় করে দিলো। এবং সবশেষে বান্ধবী দের মাঝে বসিয়ে রেখে সেখান থেকে চলে গেল জাহানারা এবং ব্যাস্ত হয়ে পড়লো অন্য কাজে। এদিকে কাসেদ জাহানারার আচরন একদম ই বুঝে উঠতে পারেনা। কখনো তার মনে হয় জাহানারাও বুঝি পছন্দ করে কাসেদ কে। আবার মনে করে সে হয়তো একাই পছন্দ করে। সে কেমন জানি মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দে ভোগে যার ফলাফল নিজেও ঠাহর করতে পারেনা। সেই জাহানারার বাড়ি থেকেই তার হঠাৎ পরিচয় হয় শিউলী নামের এক বান্ধবীর সাথে,জাহানারার। তবে শিউলি মেয়ে টাকে দেখে কাসেদ অবাক হয় একরকম। কেমন গায়ে পরে কথা বলে, যতক্ষণ আশেপাশে থাকে তার দিকে তাকিয়ে থাকে। প্রথমে সহজ হতে না পারলেও আস্তে আস্তে কথা বাড়িয়ে সহজ হয়ে নেয় দুজন। শিউলির সব আচরন ই কাসেদের ভালো লাগা শুরু করে। শিউলিকে নিয়েও সে স্বপ্নের জাল বোনে। আর রয়েছে সালমা। সালমা কাসেদের খালাতো বোন। ছোটবেলায় কাসেদের সাথে অনেক খুনসুটি চলতো সারাদিন কিন্তু বড় হওয়ার পরে আর অতটা যোগাযোগ নেই। তবে ছোটবেলা থেকে সালমার আচরনে এতোটুকুই স্পষ্ট ছিলো যে সে কাসেদকে মনে প্রানে ভালো বাসে। আজ অনেক দিন পর যখন কাসেদের খালু নাতনীর আকিকা র দাওয়াত দিতে আসলো কাসেদ তখন ছোটবেলার স্মৃতি গুলো স্পষ্ট মনে পড়ে গেলো। আরো মনে পড়লো সালমার অভিমান, ঝগড়া, কাসেদ কে নিয়ে করা শত অভিযোগের কথা। এই সবকিছুর মাঝে কাসেদ বাধা। কোন ঘটনায় তার জীবনে স্পষ্ট নয়। এ যেন এক ধোয়াসা বাসা বেধেছে তার মনে। কি হবে শেষ পর্যন্ত?? কাসদের জীবনে কোন নারীর আবির্ভাব ঘটবে?? নাকি কাসেদের সারাজীবন শুধু নারীদের নিয়ে ভাবতে ভাবতে সন্দিহান হয়ে যাবে?? সব জানা যাবে বইটি পড়ে। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ উপন্যাস গুলোতে বেশীরভাগ দেখা যায় মেয়ে চরিত্র প্রধান থাকে। কিন্তু এই উপন্যাস টি একটু আলাদা ধাচের। একটা ছেলে মানুষ তার পুরো জীবনে কি পরিমান মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বে ভোগে, কাসেদ নামের চরিত্র যেন তার জ্বলন্ত উদাহরন। বাস্তবতা আবেগ সবকিছু মিলিয়ে বলবো খুব ভালো একটি উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
এই বই সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছুই নেই, অনেক ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার লেখা! !এতদিন পর নিয়ে আফসোস হচ্ছে
Was this review helpful to you?
or
-বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম- অসাধারণ একটি মধ্যম জীবনের কাহিনী। অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় এবং সহজ ভাবে জীবনের কঠিন বাস্তবতাকে বোঝানো হয়েছে। ভালোবাসার নানান দিক এবং অপ্রকাশিত ভালোবাসা কেমন তাও কবি বুঝিয়েছেন। কবি মানুষকে বলে গেলেন যে ভালোবাসাতে কখনই অর্থ প্রাধান্য পায় না। কবিকে এরকম বর্ণাট্য জীবন কাহিনি আমাদের দেওয়ার জন্য অন্তরের অন্তস্থ থেকে ভালোবাসা এবং আপনি যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন। আমিন।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিও প্রতিযোগিতা বইটি এক কথায় অসাধারণ !!!
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ শেষ বিকেলের মেয়ে লেখকঃ জহির রায়হান প্রকাশনীঃ অনুপম বইয়ের পাতাঃ ৮০ বইয়ের ধরণঃ উপন্যাস মুদ্রিত মূল্যঃ ১৩০ টাকা অনেকগুলা মেয়ে। একজন বাবা-মা হারা নাহার, যিনি কাসেদ আর তার মায়ের সাথে এই সংসারেই আছেন দীর্ঘদিন ধরে। জাহানারা, যাকে নিয়ে সব সময়ই স্বপ্নরা খেলাধুলা করে কাসেদের বুকে। হঠাত এক জন্মদিনে পরিচয় হয়ে যায় জাহানারার চাচাত বোন শিউলির সাথে। সে লেগে আছে পরগাছার আঠার মত কাসেদের প্রেমে। সালমা হলো শৈশবের দুষ্টু মিষ্টি সম্পর্কের খেলার সাথী। অন্যের ঘরে সংসার করেও তার মনে শান্তি নাই, নিজের মেয়েকে ডাকে কাসেদের দেওয়া নামে। হঠাত একদিন সালমা আচমকা বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পৌছে দেয় কাসেদকে। অফিস সহকারী পান চিবানো বুড়ো মকবুলের পাংশু বর্ণের কন্যাও বাদ যায়নি কাসেদের ভাবনার অরণ্য থেকে। উপন্যাসের শেষাংশে কাসেদের প্রণয়লীলা যে কার সাথে হলো সেটা বলা মনে উচিত হবেনা। পড়ুন। পড়েই কসেদের শেষ বিকেলের মেয়েকে খুজে বের করুন। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের সাথে ওতপ্রোতভাবে মিশে থাকা লেখক জহির রায়হানের এ উপন্যাস বাঙালি জাতী সম্মানের সাথে স্বরণ করে। পড়ে দেখতে পারেন। চাপা উৎকণ্ঠের সাথে রোমাঞ্চকর এক মিশ্র-অনুভূতির সরাব পান করতে পারবেন। #হাবিবুর_রহমান
Was this review helpful to you?
or
আবেগ এবং ভালোবাসায় পূর্ণ প্রেমের এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র কাসেদ নামে এক যুবক, পেশায় যে কেরানী। বাড়িতে বৃদ্ধ মা আর নাহার নামে দুঃসম্পর্কের এক বোন। কাসেদ মনে মনে ভালোবাসে জাহানারা নামের বড়লোকের মেয়েকে। জাহানারাও কাসেদকে পছন্দ করে। একদিন জাহানারার জন্মদিনে কাসেদের পরিচয় হয় জাহানারার কাজিন শিউলির সাথে। আধুনিকমনা এই মেয়েটি নানা ছলা কলায় একসময় কাসেদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। এভাবেই চলতে থাকে ত্রিভূজ প্রেম কিংবা বন্ধুত্বের গল্প! কিন্তু গল্পটা আর ত্রিভূজ থাকেনা যখন কাসেদের ছোট বেলার সাথী বিবাহিত সালমা ঘর সংসার ফেলে কাসেদকে তাকে নিয়ে দূরে কোথাও পালিয়ে যেতে বলে। ভাললাগা-ভালবাসা-প্রেম-প্রত্যাখ্যান এর মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় গল্পের কাহিনী। গল্পে শেষ বিকেলের মেয়েটি কে? কে কাসেদকে সত্যিকার ভালোবাসে এবং শেষ পর্যন্ত কাসেদের জীবনে আসে সে জানতে পড়ুন জহির রায়হানের অসাধারণ এই উপন্যাসটি। উপন্যাসটি আপনাকে বিমোহিত করবে!
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার একটি উপন্যাস, একটা সময় শুধু অপেক্ষা করছিলাম, কে হবে শেষ বিকেলের মেয়ে। শেষটায় যখন পৌছলাম, অবিশ্বাস্য রকমের ধাক্কা খেলাম। এক কথায় সমাপ্তি টা ছিলো অসাধারণ, সম্পূর্ণ ভাবনার অতিত।
Was this review helpful to you?
or
#রিভিউ বইয়ের নাম : শেষ বিকেলের মেয়ে লেখক : জহির রায়হান ঘরানা : রোমান্টিক উপন্যাস কাসেদ জাহানারাকে ভালোবাসে । অবশ্য সে তার এই ভালোবাসার কথা জাহানারাকে কখনো জানায় নি । কাসেদ স্বপ্ন দেখে একদিন সে জাহানারাকে বিয়ে করবে । তাদের ছোট্ট বাড়ি হবে, শহরে না, শহড়তলীতে, যেখানে লাল কাঁকরের রাস্তা আছে আর আছে নীল সবুজের সমারোহ । মাঝে মাঝে সকাল কিংবা সন্ধ্যায় দুপায়ে কাঁকর মাড়িয়ে বেড়াতে বেরোবে । রাস্তায় লোকজনের ভিড় থাকবে না । নিরালা পথে মন খুলে গল্প করবে, কথা বলবে । রাতের বেলা বাকাঁনো বারান্দায় বসে দু'জন চায়ের কাপে ঠোঁট ছোয়াবে । নাহার । কাসেদের খালাত বোন। ছোটবেলায় মা মারা যাবার পর মেয়েটাকে কাসেদের মা নিজের কাছে রেখে মেয়ের আদরে বড় করেছে । কাসেদ নাহার কে তার আপন ছোট বোন হিসেবেই দেখে । কিন্তু নাহারের মনে কাসেদের জন্য রয়েছে অফুরন্ত ভালোবাসা । নাহারের এই ভালোবাসার কথা না জানে কাসেদ, না জানে কাসেদের মা । কাসেদ কি জাহারানাকে তার ভালোবাসার কথা জানাতে পারবে ? যদিও জানিয়েই দেয় তবে জাহনারা কি কাসেদের প্রস্তাবে রাজি হবে ? আর কাসেদের জন্য নাহারের অফুরন্ত ভালোবাসা কি শুধুই গুমড়ে গুমড়ে কাঁদবে কখনো প্রকাশিত হবে না ? উত্তরগুলো জানাতে পড়ে ফেলতে পারেন বইটি । ব্যক্তিগত মতামত : জহির রায়হান গল্প উপন্যাসের পাশাপাশি চিত্রনাট্যও লিখতেন । তাই তাঁর গল্প কিংবা উপন্যাসে একটু অন্যরকম ভাষার প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায় । একেবারেই তরল ভাষা । ছোট ছোট বাক্য এবং দৃশ্যাবলীর সহজ সরল বর্ণনা । এরকম ভাষা ব্যবহারের কারণে যে কেউ চাইলে খুব সহজেই তাঁর গল্প বা উপন্যাসকে সিনেমায় রুপ দিতে পারবে । জহির রায়হানের এই উপন্যাসটিতেও সেই তরল ভাষার ব্যবহারটাই পেয়েছি । বইটাতে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় চরিত্র কাসেদ খুব দ্রুত ভাবনা থেকে বাস্তবের জগতে আবার বাস্তবে থেকে ভাবনার জগতে যাওয়া আসা করছে । এই যাওয়া আসাটা এত দ্রুত হয়েছে যে কাসেদ কখন ভাবনার জগতে আছে আর কখন কল্পনার জগতে আছে বিষয়টা বুঝতে প্রায়ই হিমসিম খেতে হয়েছে । কাসেদের এই দ্রুত ভাবনা ধরা ছাড়ার বিষয়টা বুঝতে হলে চেতনা প্রবাহ বা Stream of consciousness ব্যাপারটা জানতে হবে । যারা ভার্জিনিয়া উলফ অথবা জেমস জয়েস পড়েছেন তারা হয়তবা Stream of Consciousness টার্মটার ব্যাপারে খুব ভালো করেই জেনে থাকবেন । উপন্যাসটিকে সাইকোলজিক্যাল উপন্যাসও বলা যেতে পারে । লেখক ভালোবাসা নিয়ে নরনারীর মনের নানান দিক ব্যাখা করার চেষ্টা করেছেন । সবমিলিয়ে বলব- অতি সুখপাঠ্য হবে বইটি এবং ভাবনার অনেক খোরাকও পেয়ে যাবেন । ও, হ্যাঁ ফিনিসিং টাচটা একেবারে অচিন্তনীয় ছিল ।
Was this review helpful to you?
or
'শেষ বিকেলের মেয়ে' লেখক- জহির রায়হান। উপন্যাসের জাহিনী এই রকম- কাসেদ । মধ্যবয়সী এক যুবক । কেরানিগিরি তার পেশা । মা ছাড়াও তার ছোট্ট পরিবারে আছে নাহার । নাহার তার কেউই নয় । ছোট্টবেলায় বাবা-মাকে হারিয়ে কাসেদদের বাড়িতে তার আশ্রয় হয়েছে । কাসেদের মা এই মেয়েকে নিজের সন্তানের মত মায়া-মমতা দিয়েই বড় করেছেন । কাসেদের মত নাহারকে নিয়েও মায়ের সমান চিন্তা । ভালো দেখে একটা পাত্র জুটিয়ে নাহারকে বিয়ে দিবেন, মেয়েটি যেন তার চিরকালই সুখে থাকে । বেশিরভাগ সময় কেরানিগিরি নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও কাসেদের ভিতরে আছে এক রোমান্টিক মন । মাঝেমধ্যে টুকটাক কবিতাও লেখে কাসেদ । অবসর পেলেই সে জীবিকার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে এক অন্যরকম রোমান্টিক ভাবসাগরে আত্মনিমগ্ন হয় । জাগিয়ে তোলে কল্পনার চিত্রপটে আঁকা তার মানসীর ছবি । মানসীর নাম জাহানারা।বইটি আপনাকে কাহিনির চরম চরাই উতরাই এ নিয়ে যাবে,যা আপনি উপভোগ করবেন।নায়কের কল্পনা আর বাস্তবের পরিস্থিতি মিলিয়ে সেরা এক লেখনি উপহার দিয়েছেন লেখক।
Was this review helpful to you?
or
হাতে পাইছি পরে পড়মু নে
Was this review helpful to you?
or
Jahir Rayhan was my most favourite but after buying this book Now I am really happy for such a best gift from boss,,,, love u boss,,,a nice love story with a lot of tragedy!!
Was this review helpful to you?
or
সাধারণ কিছু প্রেমের দিকগুলোকে লেখক সাহিত্যের জাদুতে তুলে ধরেছেন। দেখিছেন আবার বুঝিছেন অনেক প্রেম সার্থক হয় না;অনেক চাওয়া-পাওয়া অসম্পূর্ণ থেকে যায়;অনেক কথা মনের গভীরে দাফন করা থাকে;আবার না পাওয়া থেকে পাওয়ার বাসনা এবং প্রাপ্তি।যা আমাদের অনেকের বাস্তবজীবন চিত্র।
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ে কি যে ভাল লেগেছে তা লিখে প্রকাশ করতে পারব না। জহির রায়হান স্যার আপনি সত্যি বাংলার অনেক বড় মাপের একজন সাহিত্যিক ছিলেন। আজ বেচেঁ থাকলে আপনার আরো অনেক কৃতি দেশ পেত।
Was this review helpful to you?
or
বই- শেষবিকেলের মেয়ে লেখক –জহির রায়হান প্রকাশনী- অনুপম মূল্য-১২০৳ (ছাড়ে ৯০৳) পৃষ্ঠা -৮০ কাহিনিঃ কাসেদ, উপন্যাসের কেন্দ্রীয় পুরুষ চরিত্র, পেশায় কেরানি। গল্পকার সে নিজেই। নানাভাবে কাসেদের জীবনে আসে সালমা,মিলি, শিউলি,জাহানারা, নাহার নামের নারী, ভিন্ন চরিত্র আর স্বভাবের ভিন্ন নারী। কিন্তু, কাসেদ অন্যরকমের এক চরিত্র, সালমা যখন তাকে চাইলো সে তাকে দূরে ঠেলে দিল, আবার জাহানারা, শিউলি এরা কাসেদের প্রতি দুর্বল। অফিসের মকবুল সাহেব, কাসেদ কে নিজের বাসায় নিতে বেশ ব্যাতিব্যস্ত।হঠাৎ আক্রান্ত পক্ষাঘাত গ্রস্থ রোগে। অফিসের বড় সাহেব, সব থেকেও চির অসুখী। নাহার নিরুত্তাপ এক মেয়ে। বিয়ে ঠিক হয় তার। কাসেদ কখনও জাহানারা কে চাইছে, কখন ও নাম না জানা মকবুল সাহেবের মেজো মেয়েকে! আসলে কাকে চাই সে? কে তার মনের মত মেয়ে? কে তার যথার্থ সঙ্গী?শেষ অংশটা খুব আনপ্র্ডিক্টেবল না, কিন্তু সুন্দর। পাথ_প্রতিক্রিয়াঃ আমি শুনেছিলাম শেষ বিকেলের মেয়ে নাকি বরফ গলা নদী থেকেও সুন্দর, আগে পড়েছি,কিন্তু পুরাটা শেষ করা হয়নি, আজ শেষ করলাম, আমি মুগ্ধ। শিউলি আর জাহানারা চরিত্র দুটো বিরক্তিকর লেগেছে, এক বিন্দু ভালো লাগেনি আমার। শিউলি চরিত্র বিশেষ করে। রেটিংঃ ৫/৫ রকমারিঃ
Was this review helpful to you?
or
বইটা পড়ে শেষ করলাম। এই বইটা পড়তে পড়তে আমি যেন ঠিক কাহিনীর গভীরে হারিয়ে যাই। বলতে গেলে জহির রায়হান খুবই ভালোই লিখেছেন। তিনি যেরকমভাবে সাধারণ দৃশ্যপট, কাহিনী চরণ কে অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন সাথে গল্পের নামের সাথে অনেক মিল ও পেয়েছি। তবে পুরো বই শেষ না করে আমি অনেক দ্বিধাদ্বন্দে ছিলাম। বইটা পুরোটা শেষ করার পর অবশ্য বুঝলাম। তবে মাঝেমধ্যে কাসেদের ওপর মাঝখান দিয়ে বিরক্ত হয়েছিলাম। বই টা পড়ব কিনা তা ও ভাবছিলাম। যাই হোক অবশেষে পড়লাম আর সন্তুষ্টও হয়েছি অনেক দিন পর ইকটু রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হলো। প্রথমে ভেবেছিলাম নাহার হয়তবা নায়িকা থাকবে তার সাথে প্রণয়ের বন্ধন চিরায়ত থাকবে কাসেদের :D কিন্তু পরে জাহানারা এলো অবশ্য কিছু পৃষ্ঠা পড়ার পর আর তাকে মনে ধরছিলোনা। নাহার নাহার করছিলো মন টা। কিন্তু সেই কাসেদ তো পাত্তাই দিলোনা আড়ালে লুকিয়ে থাকা শেষ বিকেলের মেয়েকে। এরপর সালমার কথা আাসার ভেবেই নিয়েছিলাম সালমা চরিত্র বেশীক্ষণ রাজত্ব করতে পারবেনা। অগত্য সে ও বিদার তবে মাঝখানে সহসা তার আগমন ভাবানার রুপ দিলেও পরক্ষণে বুঝে উঠতে পারি। তবে শিউলি মেয়েটাকে ইকটু ভালো লেগেছিলো শুধু কাসেদের জন্য। ভেবেছিলাম কাসেদ বুঝবে কিন্তু কি আর করার। তারও বিদায় তবে আমার খারাপ লাগেনি। তবে রাগ লাগছিলো কাসেদ যে আবার সেই মকবুল সাহেবের মেয়েটিকে মনে জায়গা করে নেয়। কেন তার মনে না জাহানারা আছে? বার বার প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। আম্মাজানের বিদায়বেলা আমার বাবার কথা মনে পড়ে যায় এভাবেই তিনিও পরলোক গমন করেছিলেন। তবে ভালো লেগেছিলো নাহারকে আমার স্বপ্নের নায়িকা হিসাবে শেষে তাকে শেষ বিকেলের মেয়ে পরিচিতির জন্য। নাহারই কাসেদের জন্য উপযুক্ত। কিন্তু মনে হচ্ছিলো তাদের সংসার গল্প আরেকটু লিখতো জহির রায়হান সাহেব :D
Was this review helpful to you?
or
***বুক রিভিউ***। ***বইয়ের নাম --- শেষ বিকেলের মেয়ে। ***লেখক--- জহির রায়হান। 'শেষ বিকেলের মেয়ে' জহির রায়হান রচিত বিখ্যাত একটি প্রেমের উপন্যাস।উপন্যাসটি 'কাসেদ' নামক এক মধ্যবিত্ত যুবকের মনোজাগতিক বিশ্লেষণের আশ্চর্য বহিঃপ্রকাশ। কাসেদ - সে কবিতা লিখে; অফিসের তিন নম্বর কেরানি।বিধবা মা ও দূরসম্পর্কীয় খালাতো বোন - নাহারকে নিয়ে তার সংসার। কাসেদের মায়ের চরিত্রে ঔপন্যাসিক বাঙালি শ্বাশত মায়ের চিরচেনা রূপটিকেই তুলে ধরেছেন ।সেই মা সন্তানের শিশুসুলভ আচরণে সন্তানকে ভৎসনা করেন আবার পুত্রের ভবিষ্যৎ ভেবে একমনে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেন। উপন্যাসের নাহার চরিত্রটি বড়ই রহস্যময়। ছিপছাপ দেহ,ময়লা রঙ আর মিষ্টি চেহারার নাতিদীর্ঘ মেয়েটি খুব কম কথা বলে।সে কাসেদের বই খাতা গুছিয়ে রাখে,গোসলের সময় সাবান এনে দেয়,তাকে ভাত খাওয়ানোর জন্যে রাত জেগে অপেক্ষা করে, কাসেদের সাথে কোনো মেয়ে দেখা করতে এলে সে আরো গম্ভীর হয়ে যায়,কিন্তু মুখ ফুটে নিজের ভালোবাসার কথাটি তাকে বলতে পারে না। কাসেদ ভালোবাসে জাহানারাকে। দিনরাত তার কথা ভেবেই সে সপ্নঘুড়ি উড়ায় আকাশে।কিন্তু ধনী পরিবারের শিক্ষিতা - সুন্দরী তরুণী কেনো ভালোবাসতে যাবে কাসেদের মতো অখ্যাত এক কবিকে? সালমা- কাসেদের চিরচেনা পরিচিত মেয়েটি ভালোবাসে তাকে।আজ নয়,সেই সুদূর কৈশোর থেকেই কাসেদের প্রতি এই ভালোবাসা সে লালন করে আসছে হৃদয়ের গহীন কোনো অরণ্যে।কিন্তু এই ভালোবাসার দাম দিতে কাসেদ অক্ষম,কারণ সে কাপুরুষ!!!!! বুড়ো মকবুল - পঞ্চাশোর্ধ্ব এই বৃদ্ধ কাসেদের অফিসেই চাকরি করেন।বিরাট পরিবারের ভার একাই বহন করে চলেছেন তিনি।বিবাহ উপযুক্ত তিন কন্যার কাউকে ভালো পাত্রস্থ করার বাসনা থেকেই কাসেদকে নিজ বাড়িতে নেমন্তন্ন করেন তিনি।ঠিক সময়ে আগ্রহ প্রকাশ করলে হয়তো তার মেজো মেয়ের সাথে কাসেদের বিয়েও হতো।কিন্তু না,,,,, অফিসের বড় সাহেবের সাথে বিয়ে হয় মেয়েটির!!! জাহানারাকে নিয়ে দেখা সপ্নগুলো ভেঙে গেলে কাসেদ বিয়ের প্রস্তাব দেয় শিউলিকে। হাসিখুশি মিশুক স্বভাবের শিউলিও কাসেদের সাথে তার জীবনকে জড়াতে রাজি হয়নি। শেষ বিকেলের আলোয় নাহারই জোনাকি হয়ে ধরা দেয় কাসেদের অন্ধকার মনে। কাসেদের প্রতি নাহারের গোপনে লালিত প্রেমেরই জয় হয় সবশেষে। ***ব্যাক্তিগত মতামত--- আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে দেখতে তোমায় পাইনি,,,, এই গানটিকেই বারবার স্মরণ করিয়ে দেয় উপন্যাসটি ; যার কাহিনী চরিত্র কখনো পুরনো হয় না।।
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
মেয়ে দেখতে গিয়ে শেষ বিকেলের মেয়ের সাথে। কারো ফেসবুক আইডি যে জহির রায়হানের এই উপন্যাসের নাম হতে পারে প্রথম দেখা। তারপর মেয়েটির সাথে কথা বলে জানলাম এটি তার প্রিয় উপন্যাস। যেহেতু বিয়ের জন্য মেয়ে দেখা সুতরাং মেয়ের পচন্দটাকে পরখ করতে গিয়ে এই উপন্যাসের স্বাদ নেওয়া। কি বলবো সত্যি অসাধারণ। যাহোক, শেষ বিকেলের মেয়ের মত আকাশের রং বদলে যায়। বই পাগলী এই মেয়েটিকে জীবন থেকে হারাই।
Was this review helpful to you?
or
আমি আগে কখনো উপন্যাস পড়িনি, জাহির রায়হানের শেষ বিকেলের মেয়েই আমার পড়া প্রথম উপন্যাস, দুইদিনে পরে শেষ করলাম, অত্যন্ত ভালো একটি উপন্যাস শেষের দিকের লাইন গুলো পড়লে গায়ে কাটা দেয় এনং আসলেই কে হবে শেষ বিকেলের মেয়ে এবং পাঠক কাকে শেষ বিকেলের মেয়ে ভাবে তার মধ্যে রয়েছে বিশাল একটা টুইস্ট যেটা আপনারা একদম শেষের পাতায় আসলে বুঝতে পারবেন
Was this review helpful to you?
or
আমাদের জীবনের ঘটনাগুলির প্রতিচ্ছবি " শেষ বিকেলের মেয়ে " ।জীবনের চাওয়া পাওয়া যেন সাপে নেউলে সম্পর্ক । বিকেল বেলার জানালার দিকে তাকিয়ে থাকা বা বৃষ্টির শব্দ ।গল্পের শুরুতেই আকাশের রং বুঝি বারাবার বদলায়, কখনো নীল , কখনো হলুদ ,কখনো টকটকে লাল। গল্পের নায়ক কাসেদ একজন কেরানী কিন্তু তার কর্মকে গল্পের কোথাও ছোট করে উপস্থাপন করা হয় নি । সালমা,জাহানারা,শিউলি এই তিনজন নারীকে নিয়ে গল্প এগুতে থাকে । সালমা যেমন কাসেদকে ভালবাসার কথা বলতে পারে নি ঠিক তেমনি কাসেদ এক বুক আশা নিয়ে ভালোবাসার কথা বলতে পারেনি জাহানারাকে । অতঃপর জীবনের সাথে লড়াই করে যেন পরাজিত সৈনিক কাসেদ ।তার এই পরাজয় যেন ২য় পরাজয়ে পরিণত করে শিউলী । এই যেন এক কঠিন নির্মম সত্য । ভালবাসি এই শব্দটি যেন একবারের মত না বলেও জাহানারার জন্য ছিল সযত্নে রাখা । পাঠক গল্পের শুরুতেই বুঝতে পারবেন না যে গল্পের নায়িকা কে? কখনো মনেও হবে না। লেখক এই চরিত্রটিকে উপস্থাপন করেছেন অত্যন্ত নিপুনতার সাথে । কাসেদ চরিত্রটি যেন সমাজের মধ্যবিত্ত যুবকের প্রতিচ্ছবি আর সেই ছবিতে ফুটে উঠেছে বাস্তবতা । শুধু বলতে ইচ্ছা করে গল্পের শুরু আর গল্পের শেষ যেন এক সাথে মিলে যায় " বাইরের আকাশটা মেঘে ছেয়ে আছে । কোথাও মেঘের রং কালো । কোথাও সাদা , কোথাও ঈষৎ লাল "
Was this review helpful to you?
or
"শেষ বিকেলের মেয়ে" বইটি পড়েছিলাম গত রোজার ঈদের দিন এক চায়ের দোকানেবসে। একবসাই চায়ের দোকানে বসে বইটি শেষ করলাম। বইটি আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছ। এক কথায় অসাধারণ যারা এই বইটি কিনতেচান তারা কিনতে পারেন। আশাকরি আপনাদের টাকা বিফলে যাবে না। আর কেউ একজন বলে গেছে "ভালো খাদ্য বস্তুতে মানুষের পেট ভরে আর ভালো বই পড়লে আত্মার তৃপ্তি পায়"
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা নাম: শেষ বিকেলের মেয়ে লেখক: জহির রায়হান(১৯৩৫-১৯৭২) প্রকাশনা: অনুপম প্রকাশনী মূল্য:১০০৳ বাঙালি জীবন ঘনিষ্ঠ রচনার অন্যতম কারিগর জহির রায়হানের লেখায় যেমন উঠে এসেছে আবহমান বাংলার গ্রামীণ ও শহুরে জীবন,ঠিক তেমনি করেই উঠে এসেছে সাদামাটা প্রেমিক মনের এক আখ্যান।যে আখ্যানে পাঠক কখনো রহস্যের জালে জড়ায় না,অথচ জীবনবোধের রস ও সহজ,সরল সাবলীল ভাষায় গ্রহণ করতে বাঁধা পায় না।কাহিনীর সমাপ্তিতে পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগে-এই কি জীবন?এটাই কি নিয়তি? নিয়তিকে সুচিন্তিত প্রশ্নের জালে আবদ্ধ করতেই যেন জীবনরসের কারিগর সৃষ্টি করেছেন "শেষ বিকেলের মেয়ে" নামক উপন্যাস। উপন্যাসের নায়ক ছোটখাটো কেরানির চাকুরিজীবি মধ্যবয়সী কাসেদ।তার পরিবারে আছে মা আর এক দূরসম্পর্কীয়া অনাথ খালাতো বোন নাহার।কাসেদের মা স্বপ্ন দেখেন নাহারকে ভালো একটি ছেলের হাতে তুলে দিয়ে নিজের কাছেই রেখে দিবেন। চাকুরির ব্যস্ততা ছাড়াও কাসেদ নিজেকে জড়িয়ে রাখে রোমান্টিক প্রণয়ের ছায়ায়,যার নাম কবিতা।এরই মধ্যে তার লেখা কবিতা বিভিন্ন জায়গায় দারুন প্রশংসিত হয়েছে।এই কবিতার হাত ধরে কাসেদের জীবনে তার মানসী জাহানারার আগমন।না,সে অর্থের লোভে নয় বরং হাসির ঝংকারে ভালোবাসে জাহানারাকে। নিজে নিজে স্বপ্নের জালবোনে কাসেদ।ভাবে শহরতলীতে লাল সবুজের সমারোহের মাঝে এক বাড়ি করবে,যার পাশে থাকবে কাঁকড় মেশানো পথ।দুইজন মিলে সেই পথে কাঁকড় মাড়িয়ে বেড়াবে।কিন্তু কাসেদ কখনোই বলতে পারে না জাহানারাকে।এক সময় সে নিজেই জাহানারার অনুভূতি নিয়ে সন্দিগ্ধ হয়।যে জাহানারা কাসেদের সাথে গল্প করতে ভালোবাসে সে কি কাসেদকে না তার বাচনভঙ্গিকে ভালোবাসে? ভাবনার এই দোলাচালের মধ্যেই কাসেদের জীবনে আসে জাহানারার কাজিন শিউলি।তার রহস্যময় চরিত্র কাসেদকে মুগ্ধ করলে ঘনিষ্ঠ হয় তারা।কিন্তু কাসেদ কখনোই জাহানারাকে ভুলতে পারে না,তাই তো তার বাঁধা ও ডিঙাতে পারে না। একদিন কাসেদের জীবনে আগমন ঘটে তার বাল্যবন্ধু সালমার।এক সন্তান থাকার পরেও পারিবারিক নিঃস্পৃহতায় সে চলে আসতে চায় কাসেদের হাত ধরে।এবার কাসেদ কি করবে?কাকে সে বেছে নিবে জীবনসঙ্গীনী হিসেবে? এসব ভাবনায় খেই হারিয়ে ফেলা কাসেদের একদিন নিউ মার্কেটে দেখা হয় শিউলির সাথে।তার কাছেই জাহানারার অন্য এক প্রণয়ের কথা জানতে পারে।মুহুর্তেই কাসেদ ভেঙে পড়ে,শিউলির হাতে হাত রেখে বলে,"কেন আমার সাথেই এমন হয়,বলতে পারেন?" কাসেদের জীবনে এই বিরহের মাঝেই নাহারের বিয়ে ঠিক হয় কিন্তু বিয়ের দুইদিন আগে কাসেদের মা মারা যান।পরদিন বিয়ে উপলক্ষে নাহার তার খালুর বাড়িতে চলে যায় আর কাসেদ রয়ে যায় একা।জীবনের এসব পতনের কথা ভাবতে ভাবতে কাসেদ শুনতে পায় দরজার কড়ানাড়া।দরজা খুলে কাসেদ দেখে,বাইরের আকাশের কালো,সাদা,ঈষৎ লাল মেঘের আড়ালে হারিয়ে যাওয়া সূর্যের সোনালি আভায় গাঢ় লাল মেহেদি পরে একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।কে ছিল কাসেদের সেই শেষ বিকেলের মেয়ে?জাহানারা,সালমা,শিউলি না অন্য কেউ? পাঠ প্রতিক্রিয়া : জহির রায়হান আমার অত্যন্ত প্রিয় একজন সাহিত্যিক।"শেষ বিকেলের মেয়ে" উপন্যাসটি তাঁর লেখা অন্যান্য উপন্যাসগুলোর চেয়ে ব্যতিক্রমধর্মী হলেও নিয়তি আর প্রেমকে যেভাবে এক রেখায় এনেছেন তা শুধুমাত্র জহির রায়হানের মতো লেখকরাই পারেন।উপন্যাস পড়ার সময় কাসেদের চরিত্রকে প্রথমে বিরক্ত লাগলেও পরবর্তীতে কাসেদের জীবনের গভীরতা অনু্ভব করে আমি মুগ্ধ হয়েছি। তাই উপন্যাসখানার রেটিং ৪.৮৫/৫।
Was this review helpful to you?
or
“হাজার বছর ধরে” উপন্যাস পড়ে ভক্ত বনে গিয়েছিলাম জহির রায়হানের। কিন্তু এরপর আর কোনো লেখা পড়া হয়নি। এত বছর বাদে এই উপন্যাস ধরেছিলাম। এক নিঃশ্বাসে পারিনি বটে, তবে টানা তিনদিনে পড়ে শেষ করলাম লেখাটা। বেশ তৃপ্তি পেলাম। “কবি”, “পুতুল নাচের ইতিকথা” পড়ার পর প্রেমের উপন্যাসের মানদণ্ডই বদলে গেছে আমার কাছে। সেই মানদণ্ডে যাচাই করলে “শেষ বিকেলের মেয়ে” আমাকে ভালোই তৃপ্তি দিয়েছে। উপন্যাসের নায়ক কাসেদের মনের ব্যবচ্ছেদ যেভাবে করেছেন লেখক, আমি মুগ্ধ। তবে উপন্যাসের নারী চরিত্রগুলো তেমন খোলাসা মনে হয়নি আমার কাছে। বারবার মনে হয়েছে, কাসেদের চরিত্রের মত আরও বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা দরকার ছিল নারীদেরকে। এই উপন্যাসের নাম "শেষ বিকেলের মেয়ে" দেখে ভেবেছিলাম, কোনো মেয়ের জীবন কাহিনি নিয়ে রচিত প্রেমোপাখ্যান। কিন্তু না, পুরো কাহিনি জুড়ে ছেলে-মেয়ের সম্পর্কের জটিলতা, মান-অভিমান, একতরফা প্রেম, বন্ধুত্বের খোলসে ফ্লার্টিং ইত্যাদি বিষয় নিয়ে লেখা হয়েছে। আর সব কাহিনির মূলে বসে রয়েছে কাসেদ। ভালো লেগেছে মানুষের জীবনের বিভিন্ন সম্পর্কের টানাপোড়েন আর প্যাঁচগোছ নিয়ে লেখকের চিন্তাভাবনা। পড়তে পড়তে ভাবছিলাম, নিজের জীবনে না ঘটলে এভাবে মানুষের মনস্তত্ত্ব নিয়ে লেখা সম্ভব না। তাহলে কি জহির রায়হানের জীবনে এতো ধরনের কাহিনি ঘটেছিলো? তারপরই মনে হল, ঘটেছে তো আমার জীবনেও! ঘটেছে কম বেশি সবার জীবনেই। শুধু কেউ পারে অভিজ্ঞতাগুলোকে চমৎকারভাবে উপন্যাস হিসেবে ফুটিয়ে তুলতে, আর বাকিরা পারে সেই উপন্যাস পড়ে মুগ্ধ হতে। ক্ষেত্রবিশেষে নিজের জীবনের সাথে মিলিয়ে দেখতে।
Was this review helpful to you?
or
বিশেষ কিছুই নেই উপন্যাসটি তে। তবুও কেন জানি ভাল লেগে গেল। আসলে আমাদের চারপাশে আমাদের জন্যে যে ভালবাসা কিংবা অনুভূতি ছড়িয়ে আছে তা স্বভাবতই আমাদের চোখ এড়িয়ে যায় আর যা পাওয়া সম্ভব নাহ তার দিকেই হাত বাড়াতে চাই বারবার। এই জিনিসটাই একটি ত্রিভূজ(কিম্বা চতুর্ভূজ) প্রেমের মাধ্যমে তুলে ধরতে চেয়েছেন জহির রায়হান। উপন্যাস এর শেষে কাসেদ এর অসহায়ত্ব খানিকটা সহমর্মিতা জাগায় ওর জন্যে। তবে একটা কথা আমিও বুঝতে পারলাম, যেই সময়ে লেখা উপন্যাসটি, তার তুলনায় এর প্লটটি অনেক আধুনিক।
Was this review helpful to you?
or
অনেক আগে অর্ডার করেছিলাম, হাতেও পেয়েছি এবং সম্পূর্ণ পড়েও শেষ করলাম। অসাধারণ এবং রকমারি সার্ভিস ও ভাল আর বইটির কভার ও পাতা গুলো উন্নত, পুরাটাই ভাল।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃশেষ বিকেলের মেয়ে লেখকঃজহির রায়হান ধরনঃচিরায়ত উপন্যাস প্রকাশনীঃঅনুপম প্রকাশনী মূল্যঃ১২০ টাকা(রকমারি মূল্যঃ৯০ টাকা) . ''শেষ বিকেলের মেয়ে'' জহির রায়হান রচিত একটি রোমান্টিক প্রেমের উপাখ্যান।br উপন্যাস এর প্রধান চরিত্র, কাসেদ,জাহানারা,শিউলি, সালমা,নাহার,br .br উপন্যাসের নায়ক কাসেদ, পেশায় একজন কেরানি। কিন্তু লেখক তার লেখনীর মাধ্যমে কাসেদকে নায়কের মর্যাদা দেয়ার পাশাপাশি, তাকে বেশি মাত্রায় মার্জিত ও রুচিবোধ সম্পন্ন ব্যক্তি হিসাবে পাঠকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। . #জাহানারাঃ জাহানারা স্বচ্ছল পরিবারের আধুনিক মেয়ে। কিন্তু কাসেদের প্রতি দুর্বলতা পাঠককে বিস্মিত করে,জাহানারা তার হৃদয় গহীনে কাসদেরে জন্য ভালোবাসার বীজ বপণ করলেও, কখনও প্রকাশ করেনি। এক পর্যায়ে জাহানারা কাসেদকে ভুল বোঝে এবং নিজেকে আড়ালে নিয়ে যায়। জাহানারা কেন এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয় নিজের আত্নমর্যাদাবোধ বজায় রাখার জন্য নাকি কাসেদের কাছ থেকে অনাকাঙ্খিত আচরণের জন্য ? . #শিউলিঃ শিউলি সেও পুরোপুরি সংস্কারমুক্ত এবং আধুনিক মেয়ে।জাহানারা জন্মদিন এ শিউলির সাথে পরিচয় হয় কাসেদের। . #সালমাঃ কাসেদের খালাতো বোন সালমা।খুব ছোটবেলা থেকেই দুজনে খুনসুটি আর ঝগড়া করে বেড়ে উঠেছে। . কাসেদের জীবনে আসা এই তিনজন নারী জাহানারাbr শিউলি এবং সালমা কাউকেই সে ভালোবাসার বান্ধনে বাঁধতে পারেনি। সালমা যখন কাসেদের সাথে দূরে নিরুদ্দেশ হয়ে যাবার প্রস্তাব দেয়, তখনও কাসেদ নির্বাক ছিল। এমনকি সে জাহানারাকেও ঘরের স্ত্রী বানাতে ব্যর্থ হয়, একই সাথে সে শিউলির কাছ থেকে বিতাড়িত হয়।কেন? কিসের জন্য সে এদের তার ভালোবাসার বান্ধনে বাঁধতে পারেনি তা আপানারা উপন্যাসটি পড়লেই বুঝতে পারবেন। . #নাহার নাহার সর্ম্পূণ ব্যতিক্রম একটি চরিত্র। লেখক তার লেখনীর সব রহস্য লুকিয়ে রেখেছেন এই নাহার চরিত্রটির মাঝে।নাহার কাসেদের মায়ের দূরসম্পর্কীয় এক খালাতো বোনের মেয়ে।ছোটবেলায় ওর মা মারা যান।ওর বাবা একটা কোম্পানিতে চাকরি করতেন স্ত্রী মারা যাবার পর কাসেদের মায়ের কাছে নাহারকে রেখে মিলিটারিতে যোগ দেন।কাসেদের মা এই থাকে ছোটবেলা থেকে লালন পালন করেছেন। . নাহার চরিত্রটির মাধ্যমেই নারীদের মাঝে থাকা অদম্য সাহস ও বিরত্ব প্রকাশ করেছেন, নাহার প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে যে সকল ভুল বোঝাবুঝি, অহংবোধ এবং অভিমানের উর্দ্ধে ভালোবাসা। . নাহার তার প্রকৃত ভালোবাসার টানে অসম্ভবকে সম্ভব করতে পেরেছে।এভাবে করে নাহার হয়ে যায় উপন্যাসের “শেষ বিকেলের মেয়ে”।কিভাবে সে শেষ বিকেলের মেয়ে হল সেটা নাহয় বইটা পড়ার পরই বুঝতে পারবেন। . #পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃজহির রায়হানের বিচিত্র জীবন-সংঘাত ও আত্মাপ্রতিষ্টা সংগ্রামের মতোই তার সাহিত্য-শিল্প বর্ণাঢ্য এবং বৈচিত্র্যে ভরা।তাঁর রচিত গল্প বা উপন্যাস কখনোই জীবনের চেয়ে শিল্পকে বড় করে তুলে ধরে নি,বরং শিল্পের চেয়ে জীবনই তার কাছে প্রধান উপজীব্য বিষয় বলে মনে হয়েছে। ভালো লেগেছে মানুষের জীবনের বিভিন্ন সম্পর্কের টানাপোড়েন আর প্যাঁচগোছ নিয়ে লেখকের চিন্তাভাবনা।ছেলে- মেয়ের সম্পর্কের জটিলতা, মান-অভিমান, একতরফা প্রেম, বন্ধুত্বের খোলসে ফ্লার্টিং ইত্যাদি।সব মিলায়ে অসাধারণ একটি উপন্যাস। পড়ে দেখতে পারেন। আশা করছি ভাল লাগবে। হাপি রিডিং....
Was this review helpful to you?
or
osadharon akta boi........
Was this review helpful to you?
or
শেষ বিকেলের মেয়ে-বুক মিভিউ ভূমিকা থেকেই বলি বিকাশমান বাংগালি মুসলমান মধ্যবিত্ত সমাজ, যারা সমাজের প্রতি প্রচন্ড দায় বোধ করেছে, তাদের আত্মপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম তুলে ধরেছেন জহির রায়হান। হুমায়ুন আহমেদ, আবু ইসহাক, শহীদুল্লাহ কায়সার একই ধারায় লেখার চেষ্টা করেছেন। এবারে খাটি মিভিউ। পড়ে মনে হয়েছে কাসেদ একটা লুইস। ডিজুস বাংলায় যা বলে আরকি। আরে পরার কত কিছু আছে-বারবার প্রেমে পড়তে হবে? সেই সালমা থেকে শুরু, জাহানার শিউলি, এমনকি মজিবর সাহেবের মেজো মেয়ে-যাকে নাকি একবার মাত্র দেখেছে! তারো প্রেমে পড়া লাগবে? কাপুরুষের মত এড়িয়ে চলেছে সালমা কে, জাহানারাকে ত মুখ ফুটে বলতেও পারেনি। বাকি আর বর্ণনা না দেই। আরে বেটা তুই কেরানি, কেরানীর মত থাকবি। ওহ ভুলে গেছিলাম, কাসেদ ভাই তো আবার কবি। তখন কার কবি, কবিতা ছিল প্রেমিকাদের অমৃত। আজকাল যেমন ডিসলার আর গিটার। তা কবি ভাই তুমার ভাগ্যি ভাল-দিনশেষে তোমার......।স্পয়লার হয়ে যাবে তাই দিলাম না। এমনিতে সাদামাটা উপন্যাস। কোন ছটা নেই,উচ্চ ভাব নেই, ভাবনা নেই, কোন ভাবুক উক্তি দেননি, প্রকৃতি দেখে মুগ্ধ হননি। কিন্তু লেখক হিসেবে পাঠককে ঠিকই ধরে রেখেছেন।
Was this review helpful to you?
or
"Jahir Rayhan", Amon akjon lekhok, jini likhechen bastob jiboner Kotha. Tar lekhoni shoili, manusher morme, morme aghat kore. Tini chokhe angul diye dekhie diechen je, prem = dukho+koshto+hotasha+ etc. Aei biotite dekhano hoeche, meyera kivabe cheleder thokay.
Was this review helpful to you?
or
রায়হানের ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’ যত না প্রেমের উপন্যাস, আসলে এটি তার চেয়ে বেশী করে প্রেমহীনতার উপন্যাস! কাহিনীর মুখ্য চরিত্র কাসেদ আহমেদ একজন ক্লার্ক, অবশ্য তার সাথে সে কবিও! তবে তার প্রথম পরিচয় যতট না উচ্চকিত, দ্বিতীয় পরিচয় ততটাই অবদমিত! কবি সে আপন মনে, নিজের ভাবনার ঘোরে। কাসেদ স্বপ্ন দেখে জাহানারা কে বিয়ে করার, ঘর পাতার! কিন্তু জাহানারার নাগাল সে পায় না। জাহানারার প্রেম তার জীবনের মরুভুমি তে আলেয়ার মত, তাকে ছুটিয়ে মারে, ধোঁকা খাওয়ায় অথচ কাসেদ তৃষ্ণার্তের মত সেই মরুদ্যানের আশা ছাড়তে পারে না। কাসেদের সহায় হতে পারত শিউলি যে কাসেদকে হয়তো চেয়েছিল। কিন্তু জাহানারার প্রতি কাসেদের অন্ধটান শিউলিকেও তার মৃদু সৌরভটুকু ছড়াতে দেয় না। শিউলি এগিয়ে এসেও ফিরে যেতে বাধ্য হয়, নিজেকে সম্মানের সাথে সরিয়ে নিতে সে তার চোখের জলের সাথে হাসির হররা টুকু মিশিয়ে নেয়! শিউলির প্রেম চিনতে না পারার দায়টুকুও একান্তভাবে কাসেদের। এমন বিভ্রান্ত কাসেদের সহায় হয়ে দাড়ায় শেষ পর্যন্ত নাহার, যে কিনা শেষ বিকেলের পড়ন্ত আলোয় কাসেদ কে পথ দেখাতে ছুটে আসে! সুপাঠ্য এই উপন্যাসে পুরুষের ছেলেমানুষীর সাথে নারীর রহস্যময়তা মিশে গিয়েছে। পুরুষ শুধু তার আকাঙ্খিত নারীর প্রেমটুকুই চায় না, সে নারীর সোচ্চার উজ্জ্বল উপস্থিতির সাথে নারীর আলো-আবছায়া মাখা শ্যামলিমা টুকুও চায়। সে নারীর ভেতর ঘর দেখতে চায়, সে নারীর ভেতর বাহিরটুকুও দেখতে চায়। সে নারীর মধ্যে ঘরনী কে খোঁজে, সে প্রেমের অবসরে ঘরনীর মধ্যে জননীকেও খোঁজে! আসলে পুরুষের খোঁজ কোথাও শেষ হয় না, ছেলেমানুষের মতই সে বিভ্রান্ত। শেষ বিকেলের আলো-আধাঁরে তাকে পথ দেখানোর দায়িত্বটুকুও শেষ পর্যন্ত তাই কোনো নারীকেই নিতে হয়! জহির রায়হানের 'শেষ বিকেলের মেয়ে’ উপন্যাসের সাথে ‘বরফ গলা নদী’র কিছু সাদৃশ্য আছে। উভয় ক্ষেত্রেই নায়ক কাসেদ বা আহমদ কিছুটা বিপর্যস্ত, সে হৃদয়ের দিক থেকে হোক বা জীবনের আর পাচঁটি চাহিদার দিক থেকে হোক! তাছাড়া, লেখক লিলির মতই নাহার চরিত্রটি সম্মন্ধে বেশী কিছু বলেন না। একটি হঠাৎ অঘটনের পর তাদের কে চমকের মত হাজির করেন মসীহা রূপে। উভয় ক্ষেত্রের এই সাদৃশ্যগুলি বোধহয় লেখক জহির রায়হানের কুশলী কলমের পাশাপাশি পরিচালক জহির রায়হানের মেলোড্রামাটিক অবদান!
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাসটা পড়া শুরু করতেই ভাল লেগে যায়। আকাশ-আকাশের রং-বৃষ্টি থেকে হাঁটু পানির বাস্তবতায় নেমে আসাটা বেশ ভাল লেগেছে। ছোট কলেবরের উপন্যাসটি শেষ করতে বেগ পেতে হয়নি কোথাও। মধ্যবিত্ত শ্রেণীর যে আধুনিকতা লেখাটিতে প্রকাশ পেয়েছে তাকে যদি সে সময়ের বাস্তবতা হিসেবে ধরে নিই, তাহলে আমাকে বলতেই হবে যে বর্তমান মধ্যবিত্ত সমাজ এর চেয়ে কম আধুনিক। কাহিনীর ব্যাপারে বলতে গেলে বলতে হবে, কাহিনীর একেবারে শেষপ্রান্তে মাত্র দুটি সংলাপে লেখক যখন নাহারকে উপন্যাসের নায়িকার আসনে বসান, সেটা অনুমানযোগ্য হলেও নাড়া দেবার মত। তবে উপন্যাসের নায়ক কাসেদের আগাগোড়া নির্লিপ্ততা পীড়াদায়ক। সব মিলিয়ে এই উপন্যাসটি হাতে আমার বিকালটি সুন্দর ছিল... :)
Was this review helpful to you?
or
বেশ ভালো লাগলো উপন্যাসটি পড়ে। পুরো লেখা জুড়েই একটি মধ্যবিত্ত (অথবা নিম্ন মধ্যবিত্ত) পরিবারের ছেলের নানা স্বপ্ন লেখক খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। কখনো উপমা, কখনো বাস্তবতা- সব মিলিয়ে বেশ ভালোই লাগলো। তবে সবচেয়ে ভালো ছিলো শেষের চিত্রকল্পটুকু- "খোলা জানালা দিয়ে একটুকরো রোদ এসে পড়েছে ঘরের মাঝখানে।...। বাইরের আকাশটা মেঘে ছেয়ে আছে। কোথাও মেঘের রঙ কালো, কোথাও সাদা, কোথাও ঈষৎ লাল। এখন শেষ বিকেল। লাল সূর্যটা হারিয়ে গেছে উঁচু দালানের ওপাশে। ওটাকে এই জানালা থেকে দেখা যাচ্ছে না। শুধু তার শেষ আভাটুকু বাড়িগুলোর মাথার দিয়ে আকাশে ছড়িয়ে আছে। মনে হচ্ছে দূরের দিগন্তে কোথাও যেন আগুন লেগেছে। তার উত্তাপ থেকে বাঁচবার জন্যে টুকরো মেঘগুলো উর্ধ্বশ্বাসে ছুটছে আরেক দিগন্তের দিকে..."
Was this review helpful to you?
or
''শেষ বিকেলের মেয়ে'' জহির রায়হান রচিত একটি রোমান্টিক প্রেমের উপাখ্যান। উপন্যাসের কথক কাসেদ, পেশায় একজন কেরানি। কিন্তু লেখক তার লেখনীর মাধ্যমে কাসেদকে নায়কের মর্যাদা দেয়ার পাশাপাশি, তাকে বেশি মাত্রায় মার্জিত ও রুচিবোধ সম্পন্ন ব্যক্তি হিসাবে পাঠকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন এবং চরিত্রটিকে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে একজন কেরানির ক্ষেত্রে। এছাড়া কেরানি কাসেদের জীবনে আসা তিনজন নারী জাহানরা, শিউলি এবং সালমা কাউকেই সে ভালোবাসার বান্ধনে বাঁধতে পারেনি। সালমা যখন কাসেদের সাথে দূরে নিরুদ্দেশ হয়ে যাবার প্রস্তাব দেয়, তখনও কাসেদ নির্বাক ছিল। এমনকি সে জাহানারাকেও ঘরের স্ত্রী বানাতে ব্যর্থ হয়, একই সাথে সে শিউলির কাছ থেকে বিতাড়িত হয়। এসকল দিক কাসেদ চরিত্রটিকে পাঠকের হৃদয়ে হতাশার ছাপ ফেলেছে। জাহানারা ও শিউলি দুইজনই স্বচ্ছল পরিবারের আধুনিক মেয়ে। কিন্তু কাসেদের প্রতি দুর্বলতা পাঠককে বিস্মিত করে, আবার জাহানারা তার হৃদয় গহীনে কাসদেরে জন্য ভালোবাসার বীজ বপণ করলেও, কখনও প্রকাশ করেনি। এক পর্যায়ে জাহানারা কাসেদকে ভুল বোঝে এবং নিজেকে আড়ালে নিয়ে যায়। জাহানারা কেন এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয় নিজের আত্নমর্যাদাবোধ বজায় রাখার জন্য নাকি কাসেদের কাছ থেকে অনাকাঙ্খিত আচরণের জন্য ? জাহানরা কি তবে অভিমানকেই বেশি গুরুত্ব দিল, প্রকৃত ভালোবাসার কাছে নত না হয়ে? লেখক ইচ্ছা করলে এই বিষয়টা পরিষ্কার ভাবে উপস্থাপন করতে পারতেন। আবার শিউলি চরিত্রটিও পাঠকের হৃদয়ে স্থান করে নিতে পারেনি, যদিও সে পুরোপুরি সংস্কারমুক্ত এবং আধুনিক মেয়ে। অন্যদিকে, নাহার সর্ম্পূণ ব্যতিক্রম একটি চরিত্র, যার মাধ্যমে লেখক তার লেখনীর সব রহস্য লুকিয়ে রেখে, সর্বশেষে রহস্যের উদঘাটন করেছেন। এবং নাহার চরিত্রটির মাধ্যমেই লেখক নারীদের মাঝে থাকা অদম্য সাহস ও বিরত্ব প্রকাশ করেছেন, নাহার প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে যে সকল ভুলবোঝাবুঝি, অহংবোধ এবং অভিমানের উর্দ্ধে ভালোবাসা। জাহানারা যা পারেনি, নাহার তার প্রকৃত ভালোবাসার টানে অসম্ভবকে সম্ভব করতে পেরেছে।এভাবে করে নাহার হয়ে যায় উপন্যাসের “শেষ বিকেলের মেয়ে”। লেখক ইচ্ছা করলে জাহানারাকে কাসেদের ঘরের স্ত্রী করে দিতে পারতো। কিন্তু, লেখক এই পন্থা অবলম্বন করেনি, যা উপন্যাসকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছে এবং পাঠকের হৃদয়ে অন্যরকম ভালোলাগার অনুভূতি সৃষ্টি করেছে। কেরানি কাসেদ কি কখনও জানত যে তার ঘরে থাকা মেয়েটিই হবে, কাসেদের জীবনসঙ্গী ? হয়ত, না। “শেষ বিকেলের মেয়ে” উপন্যাসে জহির রায়হান সাধারণ এই ব্যাপারটিই তার সুনিপুন লেখার মেধ্যমে পাঠকের কাছে চমৎকার ভালে তুলে ধরেছেন।
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হানের লেখা প্রথম উপন্যাস "শেষ বিকেলের মেয়ে"। প্রেমের উপাখ্যান হিসেবে উপন্যাস্টির জুড়ি নেই। পুরো গল্প জুড়ে নায়কের মানসিক দোদুল্যমান ভাবটা খুবই বাস্তবিক এবং সবশেষে প্রেম উপাখ্যানের যে পরিণতি তা পাঠক মাত্রেই পুলোকিত করে। তবে এই উপন্যাসট দিয়ে লেখকের যে ঔপন্যাসিক হিসেবে হাতেখড়ি তা লিখনীতে একটু বোঝা যায়। জহির রায়হান প্রসঙ্গের এবং মানবিক আবেদনগুলোর বিশ্লেষণে যে সিদ্ধহস্ত তা উক্ত উপন্যাসেও বোঝা যায়। এক কথায় উপন্যাসটি অসাধারণ। একজন পাঠক কোন সাহিত্য পড়বার পর ঐ সাহিত্যের যে মৌলিক চিন্তাধারা নিয়ে যদি মনের ভেতর অনুরণন করে তবেই লেখকের সার্থকতা, আর এ ক্ষেত্রে জহির রায়হান পূর্ণ সার্থক।