Our User Product Reviews

অত্যন্ত সাবলীল ভাবে লেখা ও আঁকা।কার্টুন ছাড়াও ড্রয়িং সেন্স বাড়ানোর অনেক কনটেন্ট আছে।

কার্টুন শেখার জন্য চমৎকার একটি বই!

বইটা অনেক ভালো

এই প্রথম কোন বই পেয়ে এত খুশি হলাম। জনাব মেহেদী ভাই এর কাছে অনুরোধ আর কিছু বই বের করুক উনি। এই বই এর উপকারিতা লিখে শেষ করা যাবেনা।

খুবই ভালো বই....

good book

we want more like it.

বই গুলো খুভ ভালো ছিল

বইটা খুবই ভালো,নিতে পারেন

অতি চমৎকার উদ্যোগ। যদিও আমি আঁকতে পারি না এবং আঁকা শিখে ফেলার সম্ভাবনা কম, কিন্তু বইটার উদ্যোগ দারুণ লেগেছে। মেহেদী হক দুর্দান্ত!

good

কিশোর কিশোরীদের জন্য ভালো

Great

Best

Average

কার্টুন আঁকা খুব সহজ একটি ব্যাপার। শুধু লাইন টানা আর জ্যামিতিক আকৃতি সম্পর্কে ধারণা থাকলেই কার্টুন আঁকা যায়। কিন্তু সবাই মনে করে কার্টুন আঁকা বুঝি খুব জটিল ! এই ব্যাপারটাই লেখক ভেঙে দিয়েছেন এই বইয়ে। প্রিন্ট কোয়ালিটি আর প্রচুর ড্রয়িং বিধায় দামটা একটু বেশি। তবে যারা পত্রিকার পাতায় কার্টুন গুলো দেখে ভাবেন, “ইশ! আমিও যদি এমন কার্টুন আঁকতে পারতাম।” তাদের জন্য আদর্শ বই হবে এটা। লেখকের ভবিষ্যতের বইগুলোর আশায় থাকব।

Good

good for beginners like me

অনেকদিন ধরে খুঁজছিলাম। শেষ পর্যন্ত রকমারি থেকে বইটি পাই। অনেক ভালো একটা বই। ধন্যবাদ।

যারা কার্টুন আঁকা নিয়ে কাজ করতে চান তারা বেসিক অনেককিছু শিখতে পারবেন এ বইটা থেকে।

খুব ভালো একটা বই। ইতিমধ্যেই আমি কার্টুন আঁকা শুরু করে দিয়েছি।

বইটি স্রিজনশীল মনন জাগিয়ে তুলবে

অসাধারন একটি বই। যারা কার্টুন আঁকাআঁকি করেন বা শিখতে চাচ্ছেন তাদের জন্য পারফেক্ট একটি বই বলবো আমি এটাকে । আমি কার্টুন আঁকা শেখার চেষ্টা করি সময় পেলেই। মেহেদী ভাইয়ের ব্লগ ফলো করি অনেকদিন ধরেই। কার্টুন আঁকাআকির জন্য এই বইটি অনেক সহায়ক। বেশ সহজভাবেই কার্টুনিং এর অনেক জটিল ব্যাপার ব্যাখ্যা করা হয়েছে এই বইতে। এককথায় দশে দশ পাওয়ার যোগ্য একটি বই।

আমরা প্রত্যেকেই জীবনে কোনো না কোনো একসময় কিছু ফিগার এঁকে তাকে কার্টুনে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করেছি; কখনো সফল,কখনো বা ব্যর্থ হয়েছি। কখনো কখনো কার্টুন আঁকা শেখার ইচ্ছা জন্মাতে পারে পত্রিকায় দেখা বিচিত্র সব কার্টুন দেখতে পেয়ে। ড্রয়িং শেখার হাজারো বই বাজারে উপস্থিত থাকলে কার্টুনের মতো কৌতূহলোদ্দীপক শিল্প শিখে নেয়ার জন্য কোনো বই হাতের নাগালে ছিল না। কিন্তু মেহেদী হকের লেখা “কার্টুন আঁকিবার ক খ গ এবং ক্ষ” বইটি এই অভাব পূরণ করেছে। কার্টুন আঁকায় যাদের মাত্র হাতে-খড়ি হলো, তাদেরকে মাথায় রেখেই এই বইটি লেখা হয়েছে বলে লেখক ভূমিকায় জানিয়েছেন। মেহেদী হক নিজেও একজন প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট। তিনি উন্মাদ ম্যাগাজিন পরিচালিত কার্টুন এপ্রিসিয়েশন কোর্সে ক্লাস নেন। এই বইটি সেই ক্লাসেরই বাই-প্রডাক্ট। বইটিতে কী কী বিষয় ঠাই পেয়েছে তা একে একে আলোচনা করা যাক। যে কোনো কার্টুনের দিকে তাকালেই শুরুতেই যে অংশটুকু নজর কাড়বে তা হলো মাথা এবং এক্সপ্রেশন। কার্টুনিস্ট গ্রন্থকার তাই শুরুতেই এ ব্যাপারটি নিয়ে বিস্তারিত একটি অধ্যায় রেখেছেন। নানান ধরনের চেহারা আঁকার জন্য নানান ধরের শেইপের ব্যবহার এঁকে দেখিয়েছেন। চেহারা সহজে আঁকার সুবিধার্থে কীভাবে তিনটি স্তরে ভাগ করে নিতে হয় তার কায়দাও হাতে কলমে দেখিয়ে দিয়েছেন। এরপর কার্টুনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ- এক্সপ্রেশন, নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন লেখক! আক্ষরিক অর্থেই ছেলেখেলা করেছেন; কারণ এই অংশটুকু এতোই সহজভাবে লেখা যে যে কোনো বয়সী কার্টুন-প্রেমী অংশটুকু দেখে নিজে নিজেই নানা এক্সপ্রেশন দিতে এবং সৃষ্টি করতে শিখে যাবেন। কীভাবে ঠোঁট এবং ভ্রু’তে মাত্র কয়েকটি রেখা অদলবদল করে একেবারে ভিন্ন ভঙ্গীর জন্য দেয়া যায় তা দেখে অনভ্যস্ত চোখ অবাক হতে বাধ্য। এ অধ্যায়ে এরপরে যে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তাতে প্রায় সব নবীন কার্টুনিস্টই পড়ে থাকেন-কীভাবে ছেলেও মেয়ের চেহারা আলাদা করে বুঝানো যায় এবং কীভাবে দেশি ও বিদেশি চেহারার পার্থক্য ফুটিয়ে তোলা যায়। এই অংশটুকু খুবই মজার, নবীন কার্টুনিস্টরাও নকল করতে গিয়ে বেশ আনন্দ পাবেন বলেই ধারণা করি। ‘চেহারা’ অধ্যায়ে উপরোক্ত বিষয়াবলী ছাড়াও চোখ, নাক, ঠোঁট-ইত্যাদি অঙ্গের নানা বৈশিষ্ট্য, ভঙ্গী প্রচুর উদাহরণসহ উপস্থাপিত হয়েছে, যা সন্তোষজনক। চেহারা আঁকা তো হয়ে গেল, কিন্তু পুরো শরীর কি ঠাই দাঁড়িয়ে থাকবে? কার্টুনের অন্যতম উপাদানই তো এর অঙ্গভঙ্গি। মেহেদী হক বিভিন্ন ভঙ্গী আঁকার সহজ ও মোক্ষম কিছু উপায় বাতলে দিয়েছেন। যেমন- লাইন অব একশন ব্যবহার করে কীভাবে ফিগারকে নাড়াচাড়া করানো যায়। তার আগে অবশ্য শরীরের সাধারণ গঠন নিয়েও ছোটখাটো আলোচনা রয়েছে যা না পড়লে পরবর্তী অধ্যায়গুলো ভালোভাবে আয়ত্তে আনা যাবে না। ‘কাঠি-মানুষ’ নামের এই অধ্যায়ে আরো আছে কীভাবে অনুপাত হিসেব করে হাত-পা আঁকতে হয়, কীভাবে কোনোকিছু গ্রিপ করতে হয়। আলো-ছায়ার ব্যাপারটি স্কেচ বা পেইন্টিং এর ক্ষেত্রে যেমন গুরুত্বপূর্ণ, কার্টুন আঁকার ক্ষেত্রেও ঠিক তা-ই। ‘আলো ছায়া’ অধ্যায়ে লেখক সহজ উদাহরণের মাধ্যমে আলোছায়ার খেলা বুঝানোর চেষ্টা করেছেন। বিশেষ করে বিভিন্ন তলে ছায়া কীভাবে তলের আকার ধারণ করে সেটা দারুণ উদাহরণের মাধ্যমে দেখিয়েছেন। এরপর কোনো বস্তুকে সামনে থেকে না দেখে অন্য কোনো কোণ থেকে দেখলে কেমন দেখাবে বা ফোরশর্টেনিং নিয়ে ছোট্ট একটি অধ্যায় আছে। এই অংশটুকু আরেকটু বিস্তারিত বুঝানো যেত বলেই আমি মনে করি। মাত্র দুই পৃষ্ঠায় অল্প কিছু ফিগারের মাধ্যমে নবীনদের ফোরশর্টেনিং শিখতে বেগ পেতে হবে। কার্টুন স্ট্রিপে চরিত্রগুলো মুখে কথা গুঁজে দেবার জন্য ব্যবহৃত হয় ডায়লগ বাবল। বিভিন্ন ধরের ডায়লগ বাবল এবং তাদেরকে বিন্যস্ত করার কায়দা শেখা যাবে ‘ডায়লগ বাবল ও লেটারিং’ অধ্যায় থেকে। অবাক হয়ে লক্ষ করেছি যে, শুধুমাত্র ডায়লগ বাবলার লেটারিং দিয়েই একটি চরিত্রের ভাবনা, বক্তব্য, উত্তেজনা ইত্যাদি প্রকাশ করা সম্ভব যা আগে বহুবার বহু কার্টুনে ব্যবহৃত হতে দেখেও অদেখা রয়ে গেছে। এতক্ষণ আলোচনা করলাম বইয়ের ‘ক খ গ’ অংশ নিয়ে। এবার আসি ‘ক্ষ’ অংশটিতে। এই অংশটুকু ঝানু কার্টুনিস্টদের কাজে আসবে, অর্থাৎ যারা ইতোমধ্যেই ‘ক খ গ’ স্তর পার হয়ে কিছুটা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তারা এই অংশে এসে দারুণ উপকৃত হবেন। এখানে স্কেল আর অনুপাতের ওপর বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। এরপর সবচেয়ে বড়ো টুকরো বরাদ্দ রয়েছে এনাটমির জন্য। না, মেডিক্যালের বইয়ের নিরস এনাটমি নয়, কার্টুনের সরস এনাটমি। মানুষের ফিগার আঁকার এক্সপার্ট হতে হলে এসব বিষয় জানতেই হবে। মানবদেহের বিভিন্ন হাঁড়ের মধ্যকার সংযোগ, সংযোগের রকমফের, মাংসপেশি গঠন ও তাদের সংকোচন-প্রসারণের প্রভাব ইত্যাদি নিয়ে বিশাল বিশেষণ আছে এই অধ্যায়ে। এছাড়াও ফিগার আঁকতে গিয়ে প্রয়োজনীয় একশন লাইন, প্লাম্ব লাইন ও গ্রাউন্ড লাইনের গুরুত্ব আলাদাভাবে বুঝানো হয়েছে। সবশেষে যে কোনো কার্টুনের নান্দনিকতার জন্য অপরিহার্য ‘কম্পোজিশন’ নিয়ে রয়েছে আলাদা অধ্যায়। Golden proportion এবং Rule of third এর মতো যে নিয়মগুলো আলোকচিত্রীদের কাজে লাগে তা একটি সুন্দর কার্টুন উপহার দেবার পূর্বশর্তও বটে। সত্যি বলতে কী, যারা পুরো বইয়ের কৌশলগুলো আয়ত্ত করে নিয়ে ‘ক্ষ’ অংশের বিষয়গুলোতে হাত পাকাতে পারবেন তারা রীতিমতো দক্ষ কার্টুনিস্ট হয়ে উঠবেন বলেই আমার বিশ্বাস। “কার্টুন আঁকিবার ক, খ, গ এবং ক্ষ” বিছানায় শুয়ে বসে পড়ার বই নয়, বরং হাতের কাছে কাগজ-পেন্সিল নিয়ে আঁকতে আঁকতে পড়ার বই। নিঃসন্দেহে বইটি পড়ার অভিজ্ঞতা সবার জন্য হবে আনন্দদায়ক, যেমনটি আমার ক্ষেত্রে হয়েছে। আঁকাআঁকির বইয়ের মুদ্রণ হতে হয় ঝকঝকে এবং পরিষ্কার। এই বইটির মুদ্রণ অসাধারণ। প্রতিটি ছবি একেবারে স্পষ্ট বুঝা যায়। বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠায় একাধিক ছবি রয়েছে যা তাত্ত্বিক জ্ঞানের চেয়ে প্র্যাক্টিক্যাল জ্ঞান অর্জনের দিকেই অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। কার্টুনের উপর লেখা এটাই প্রথম ‘হাউ টু ডু’ টাইপ বই। স্বীকার করতেই হয় লেখক মেহেদী হক তাঁর প্রচেষ্টায় প্রায় শতভাগ সফল। তাঁর জন্য অভিনন্দন বরাদ্দ রইল। যে কোনো রেটিং এ শতভাগ সফল "কার্টুন আঁকিবার ক, খ, গ এবং ক্ষ"। কার্টুনপ্রেমী এবং নবীন কার্টুনিস্টদের জন্য এটি অবশ্যপাঠ্য একটি বই।