User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
প্রতিটা গল্পই অসাধারণ। লেখক বেঁচে থাকলে হয়ত আরো অনেক সুন্দর গল্প উপন্যাস পাওয়া যেত।
Was this review helpful to you?
or
One of the Great book
Was this review helpful to you?
or
On time delivery peye ame khub e khusi
Was this review helpful to you?
or
ভালো
Was this review helpful to you?
or
Awesome
Was this review helpful to you?
or
Vallagse.tobe almost sobgului language movement oriented.
Was this review helpful to you?
or
the book was great but there was some missing pages at a crucial part of a story
Was this review helpful to you?
or
Sob gulo golpoi valo lagce, dui ekta sara.. Jahir rayhan er lekha emnitei bastob dhormi.
Was this review helpful to you?
or
প্রতিটা গল্পই অসাধারণ। ছোট ছোট সরল বাক্যের মাধ্যমেই তিনি অসাধারণ মায়াজাল সৃষ্টি করেছেন। বর্ণনায় কোথাও কোনো মেদ নেই, নিতান্ত যেটুকু বলতে চান তাই একদম স্পষ্ট করে মুখের উপর বলে দিয়েছেন। তাইতো পড়তে কখনোই বিরক্তি আসে বরং বিষয়ের বৈচিত্র এবং ভাষার মুন্সিয়ানা ধাক্কা দেয় মনোজগতে। তো স্বাগতম সবাইকে এক জাদুকরের সান্নিধ্যে !
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হানের উপন্যাস "শেষ বিকেলের মেয়ে" পড়েছিলাম। মোটেই ভালো লাগেনি। তার লেখনীও এতটা উঁচু দরের মনে হয়নি। আর এমন একটি ধারণা থেকেই তার গল্পসমগ্ৰ হাতে নেয়া। কিন্তু আমি বিস্মিত হলাম তার ছোট গল্প লেখার দক্ষতা দেখে। বেশ নাটকীয় গল্প। তার গল্পগুলিতে প্রাধান্য পেয়েছে মানুষের ভন্ডামি, কামনা, দারিদ্র আর রেনেসাঁর এক ছোঁয়া। তাঁর যে গল্পগুলো ভালো লেগেছে সেগুলো হলো- একুশের গল্প(খুব অসাধারণ ও জনপ্রিপ একটি গল্প) কয়েকটি সংলাপ ইচ্ছে অনিচ্ছা জন্মান্তর বাঁধ সময়ের প্রয়োজনে কিন্তু সবচেয়ে ভালো লেগেছে একুশের গল্প। এ গল্পটিতে এক ভাষাশহীদের কঙ্কাল নিয়ে নাটকীয় ও হৃদয়বিদারক কাহিনী বিধৃত। পড়ার পর মনটা মুষড়ে পড়েছিল।
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হান মানেই জাদুকর। এই কথাশিল্পী শুধু লিখেই যাননি, তৈরি করে গেছেন দারুণ কিছু চলচিত্র৷ আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, বাংলা চলচিত্র অস্কারের মুখ যেমন করে দেখেছে সসত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে, তেমনই অস্কারের মুখ দেখত জহির রায়হানের হাত ধরে। ৩৭ বছরের জীবন রায়হান খুব বেশি লেখেননি, কিন্তু যা লিখেছেন তাতে তার সৃষ্টিশীলতার পুরো স্বাক্ষর রেখেছেন। হাজার বছর ধরে, আরেক ফাল্গুন, শেষ বিকেলের মেয়ে লেখকের অমর সাহিত্য। আমরা অনেকেরই জহির রায়হানের উপন্যাসের সাথে পরিচয় থাকলেও তার ছোটগল্পের সাথে নেই। আমি বলব, এটা আমাদের ব্যর্থতা। লেখকের ছোটগল্প লেখার হাত মারাত্মক। একুশের গল্প তার স্বাক্ষর। জহির রায়হানের ছোট গল্পে রয়েছে গ্রাম বাংলার চিরায়ত জীবন, মাটির কথা, মেহনতী মানুষের কথা। এখানে আমি লেখকের কোন গল্প ধরেই আলোচনা করিনি। শুধু বলব, উনার লেখা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি আরাম পেয়েছি তার প্রতিটা অক্ষর পড়ে। গল্প গ্রন্থটিতে মোট একুশটি গল্প আছে, বিশ্বাস পাঠকের কাছে সবগুলোই ভালো লাগবে, কারণ একেক গল্পের স্বাদ একেক রকম।
Was this review helpful to you?
or
ভালো লাগছে
Was this review helpful to you?
or
সাধারণ মানুষের অসাধারণ জীবন যাপনের উপাখ্যান রচয়িতা জহির রায়হান, আপনাকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি বারবার বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হান এক কিংব্দন্তির নাম । এই বইটিতে সবগুলো লেখা একজন পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করে যাবে, একথা নিঃসন্দেহে বলতে পারি ।
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হানের গল্পের বৈশিষ্ট্য হল, আকারে সেগুলো খুবই ছোট। তথাকথিত ছোট গল্পের চেয়েও তাঁর গল্পের আকৃতি সংক্ষিপ্ত। কিন্তু খুব স্বল্প পরিসরেই তিনি সক্ষম হয়েছেন কাহিনীতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে সফলভাবে একেকটা পূর্নাংগ গল্প উপস্থাপন করতে। লেখক জীবনে খুব বেশি গল্প লেখেন নাই তিনি। গল্পের বিষয়বস্তুতেও বৈচিত্র্যের দেখা খুব কমই মিলেছে। প্রধানত একুশের ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধ, গ্রাম্য কুসংস্কার ও ধর্মান্ধতা, সরকার বিরোধী আন্দোলন ও সরকারের কর্মকান্ড নিয়ে স্যাটায়ার তাঁর লেখা গল্পে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে এবং গল্পের মূল উপাদান হিসেবেও ঘুরে ফিরে এগুলোই এসেছে। ছোট ছোট বাক্য, সচেতন শব্দচয়ন আর শক্তিশালী বিশেষণের ব্যবহারে জহির রায়হানের লেখা গল্পসমূহ বাংলা সাহিত্যের শক্তিশালী সংযোজনে পরিণত হয়েছে। জহির রায়হানের লেখা সবগুলো গল্পকে এক মলাটে আনা হয়েছে 'জহির রায়হানের গল্পসমগ্র' গ্রন্থের মাধ্যমে। নিচে এই গ্রন্থের প্রতিটি গল্প নিয়ে অতি সংক্ষেপে আলোচনা করা হল যাতে পাঠক বইটি কেনার আগেই জহির রায়হানের গল্পের লেখনী ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটা সম্যক ধারণা অর্জন করতে পারে। # সোনার হরিণঃ গল্পের নাম কেন এমন হল জানি না। কিন্তু গল্পটি যে একেবারে অন্যরকম সে বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই। অনেক কাল আগের একটা দিনের কথা বলা হয়েছে, যেদিন এক দম্পতি এসেছিল এক দোকানে ফার্নিচার দেখতে। দম্পতির মধে পুরুষটি বলে গেছিল পরের দিন এসে কিছু ফার্নিচারের জন্য এডভান্স দিয়ে যাবে। কিন্তু। দশ বছর পর সেই ফার্নিচারের দোকানের কর্মচারী অন্য এক ফার্নিচারের দোকানে দেখল সেই লোকটিকে। আজও নতুন এক ফার্নিচারের দোকানে এসে সে হুবহু একই কথা বলছে, যা বলেছিল দশ বছর আগে! # সময়ের প্রয়োজনেঃ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অন্যতম সেরা ছোটগল্প। মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে গিয়ে লেখক পড়ছিলেন এক মুক্তিযোদ্ধার রোজনামচা। সেখানে সে তুলে ধরেছে নিত্যকার যুদ্ধজীবনের কাহিনী, কিভাবে সময়ের প্রয়োজনে তারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করছে। রোজনামচার লেখকের অবশ্য তার লেখা পাঠকালে বাঁচার কোন সম্ভাবনাই ছিল না। কারণ পাক হানাদারদের হাতে সে ইতোমধ্যে বন্দি হয়েছে। # একটি জিজ্ঞাসাঃ খুবই অন্তর্ভেদি একটি জিজ্ঞাসা লেখক ছুঁড়ে দিয়েছেন পাঠকের সামনে, একটা ছোট্ট মেয়ের মুখ দিয়ে প্রশ্নটি করিয়ে! হজ্বে গেলে মানুষের সব গুনাহ মাপ হয়ে যাবে, তারা বেহেস্তে যায়। কিন্তু হজ্বে যেতে পারে তারাই যাদের অনেক অর্থ আছে। তারমানে কি শুধু পয়সাঅলারাই বেহেস্তে যাবে, তা তারা যতই গুনাহ করুক না কেন? # হারানো বলয়ঃ মানুষ কত দ্রুতই না বদলে যেতে পারে! নিজের চারপাশে মানুষ নিজস্বতার একটা বলয় তৈরি করে রাখে বটে, কিন্তু পরিস্থিতির চাপে সেই বলয় কিভাবে হারিয়ে যেতে থাকে তাই দেখানো হয়েছে এই গল্পে। # বাঁধঃ ঝড়বৃষ্টি শুরু হলে গাঁয়ের কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ ভোগ বিলাসী এক পীরের পদলেহনে মত্ত হল। কিন্তু মতি মাস্টার তাতে বিশ্বাসী না। তিনি জনা পঞ্চাশেক মানুষ নিয়ে নদীর বাঁধ দিলেন। গাঁয়ের মানুষের ফসল বন্যার হাত থেকে বাঁচল। কিন্তু গাঁয়ের মানুষ কিন্তু সেই পীরেরই জয়ধ্বনি করতে লাগল! এমনই বাস্তবধর্মী গল্প এই 'বাঁধ'। এদেশের অশিক্ষিত গ্রামবাসীর মানসিকতা নিখুঁতভাবে ফুটে উঠেছে। # সূর্যগ্রহনঃ অসাধারণ গল্প। হাসিনা তার স্বামীকে নিয়মিত বাড়ি না আসার অভিযোগ করে চিঠি লিখছে। আনোয়ার সাহেব সেগুলো পড়েন আর স্মৃতিচারণ করেন। কিভাবে বাড়ি যাবে হাসিনার স্বামী তসলীম? সে যে একুশের শহীদ! কিন্তু হাসিনা তো তা জানে না। তসলীমের হয়ে গোপনে আনোয়ার সাহেব যে মাসে মাসে হাসিনাকে অর্থ সাহায্য করে যাচ্ছেন! # পত্তনঃ গ্রামের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা শেখানোর জন্য নিজের সারা জীবন উৎসর্গ করেছেন শনু পন্ডিত। কিন্তু এখন অর্থাভাবে সে স্কুল চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। না সরকার, না জমিদার; কেউই চায় না গ্রামের ছেলেমেয়ারা পড়ালেখা শিখুক। তাই জমিদারের নামে বানানো শনু পন্ডিতের স্কুল বন্ধ হবার জোগাড়। কিন্তু না। এগিয়ে এল গ্রামের মানুষ। নিজেরা খেটে, একটু আধটু সাহায্য করে গড়ে তুলল তাদের নিজেদের তৈরি স্কুল। আর স্কুলের নামকরণ হল শনু পন্ডিতের নামে! আরও একটা চমৎকার গল্প। এ গল্প পড়লে মনে পড়ে যায় সেই গানের লাইন, 'যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে!' # মহামৃত্যুঃ একটা ছেলে মারা গেছে। না, মারা যায়নি, খুন হয়েছে। সে শহীদ। মানুষের জীবন বাঁচাতে সে নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে। তাই তার মৃত্যু নিছকই একটা সাধারণ মৃত্যু না, সাধারণ মানুষের কাছে সেটা কিভাবে পরিণত হয়েছে এক মহামৃত্যুতে তা-ই দেখানো হয়েছে এই গল্পে। # ভাঙাচোরাঃ এই গল্পে উঠে এসে এক কঠিন বাস্তবতার চিত্র। সালাম দেখা করতে গেছে তার সাবেক প্রেমিকা টুনুর সাথে। অনেক পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করছিল সে। কিন্তু টুনুর সংসারে গিয়ে দেখতে পেল বাস্তব কতই না বিচিত্র। আপাতদৃষ্টিতে সেই সংসার বেশ স্বাচ্ছন্দ্যের, তবে সে কেবলই লোকদেখানো। ভেতরে ভেতরে অবস্থা কেমন ভাঙাচোরা তা দেখতে পেল সালাম। # অপরাধঃ সালেহার বয়স আঠেরো। তার স্বামী এক পীর, আশি বছরের বুড়ো। চৌদ্দ বছর বয়সে সালেহাকে বিয়ে করেছিল সে। কিন্তু সে কি আর সালেহার দেহমনের চাহিদা মেটাতে পারে? অন্যদিকে সালেহাকে ঘর করতে হয় পাঁচ সতীনের সাথে। জীবনটা নরক হয়ে উঠেছিল সালেহার। পালিয়ে গেল বাপের বাড়ি। বাপ এমন মার মারল যে রক্তবমি করে মারা গেল সে। সবাই বলতে লাগল, সালেহা কলঙ্কিনী বলে স্বামীর ঘর ছেড়ে এসেছে। তাই পীরের বদদোয়ায় মারা গেছে সে। এই গল্প পড়ার পর একটা কথা বারবার মনে হবে, মেয়ে হয়ে জন্মানোই কি ছিল সালেহার অপরাধ? # স্বীকৃতিঃ মনোয়ারাকে স্বাধীনতার পথ দেখাতে চেয়েছিল জামান। বলেছিল মেয়েদেরও ছেলেদের মত এগিয়ে যাবার যোগ্যতা আছে। মনোয়ারা পারে নি তা। রান্নাঘরেই জীবন কেটেছে তার। আর বছর বছর বাচ্চা জন্ম দিয়ে। আজ তার মেয়ে সেলিনা বড় হয়েছে। সে আজ স্বাধীনতা চায়। অধিকার আদায় করে নিতে চায়। মনোয়ারা কি সেই স্বীকৃতি দেবে? এই গল্প যখন লিখেছিলেন জহির রায়হান, তখন এটি ছিল খুবই যুগোপযোগি লেখা। আর আজ এত বছর পরও এই গল্প খুবই অনুপ্রেরনাদায়ি। # অতি পরিচিতঃ স্যাটায়ারধর্মী গল্প। ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত। সমাজের উপরতলার তথাকথিত শিক্ষিত মানুষের ভাষা নিয়ে ভাবনার বহিঃপ্রকাশ যেমন ঘটেছে, তেমনি দেশের এক ভাবি শিক্ষাকর্তার শিক্ষার দৌরাত্ম্যও ফুটে উঠেছে। # ইচ্ছা অনিচ্ছাঃ খোদার ইচ্ছা অনিচ্ছায় সবকিছু হয়। মানুষ বিপদে পড়ে, তা থেকে পরিত্রাণও পায়। এই বিশ্বাসকে পুঁজি করে কিছু মানুষ নিজেদের আল্লাহর ওলী পরিচয় দিয়ে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থে কিভাবে গরিবের রক্ত শুষে নেয়, তা দেখানো হয়েছে এই গল্পে। # জন্মান্তরঃ মনস্তাত্বিক দ্বন্দ্বমুখর গল্প। মন্তু পকেটমারি করতে শিকার হিসেবে এক লোককে। কিন্তু কাছ থেকে সেই লোকের ব্যক্তিজীবনে উঁকি মারতে গিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেল মন্তুর। যেন জন্মান্তর হল। পকেটমারিই করল সে। কিন্তু কিছু হাতিয়ে নেবার বদলে নিজেই সাহায্য করল লোকটাকে। # পোস্টারঃ পাকিস্তানি আমলের প্রেক্ষাপটে রচিত দারুণ একটা গল্প। আমজাদ সাহেব মনে করেন, পোস্টার লাগিয়ে যারা আন্দোলন প্রতিবাদ করতে চায় সেইসব ছেলেপেলে আসলে বখাটে, দেশের শত্রু। দেশের ভালো তারা চায় না, শুধু শুধু ঝামেলা পাকায়। অথচ ভাগ্যের এমনই নির্মম পরিহাস, পোস্টারের লেখনীর সাথে আমজাদ সাহেবের ব্যক্তিগত জীবনের বিপর্যয় পরবর্তি চাওয়া এক হয়ে গেল! # ইচ্ছার আগুনে জ্বলছিঃ এমন বিষয়বস্তু নিয়েও যে গল্প হতে পারে, জানতাম না। লেখকের আশেপাশে নানা ধরণের লোক আছে। তাদের প্রত্যেকের জীবনেই একটা না একটা গল্প আছে। কি সেই গল্প তাই বলেছেন আর সেই কাহিনী নিয়ে ছবি বানানোর ইচ্ছা পোষণ করেছেন। # কতকগুলো কুকুরের আর্তনাদঃ শহরের চারিদিকে কুকুর আর কুকুরের আর্তনাদ শুনতে পাচ্ছেন লেখক! কুকুরের দেখা পাচ্ছেন মানব চরিত্রের অন্তরালে! # কয়েকটি সংলাপঃ ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে লেখা গল্প। ১৯ বছর আগে মানুষের কন্ঠে যে প্রতিবাদী সংলাপ শুনেছিলেন লেখক, তার সাথে বর্তমানে মানুষের মুখের সুবিধাবাদী সংলাপের তুলনা করেছেন লেখক। এই বছরের পরের কয় মাস দেশ জুড়ে কি হয়েছে, তা আগে থেকে জানলে লেখক এমন লেখা লিখতেন বলে মনে হয় না! # দেমাকঃ রহমত খুবই ঈর্ষাপরায়ন লোক। পাশের বাসার লোকটাকে অনেক ঘৃণা করে সে। কারণ লোকটার আত্মসম্মানবোধ অনেক বেশি। সেটাকেই 'দেমাক' বলে মনে হয় রহমতের। লোকটা দুর্ঘটনায় পড়ে চোখ হারালে রহমতের তার প্রতি করুণা হয়, আবার ভালোও লাগে যে লোকটা আর 'দেমাক' দেখাতে পারবে না। কিন্তু যখন সে জানতে পারল এখনো লোকটার আত্মসম্মানবোধ একই রকম আছে, আবারো সেটাকে 'দেমাক' বলে ধরে নিল রহমত। এভাবেই সমাজের নেতিবাচক মানুষদের চিত্র তুলে ধরেছেন লেখক। # ম্যাসাকারঃ এই গল্পে দেখানো হয়েছে কিভাবে হাজারো মানুষের লাশের স্মৃতি এক নির্বিবাদী ডাক্তারকে শান্তি সংগ্রামে নামতে উদ্বুদ্ধ করে। # একুশের গল্পঃ এ এক অদ্ভুত গল্প। তপু শহীদ হয়েছিল একুশের মিছিলে। কপালে গুলি লেগেছিল। সে পড়ত মেডিকেলে, হলে থাকত। তার লাশ কেউ খুঁজে পায়নি। সেই তপুই চার বছর পর নিজের হলের রুমে ফিরে নতুন এক ডাক্তারি পড়ুয়া ছেলের হাতে কংকাল হয়ে! সবমিলিয়ে বলা যায়, জহির রায়হানের গল্পগুলো পাকিস্তানি শাসনামল, সেই সময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও সামাজিক অবস্থার একেকটা প্রামাণ্য দলিল। প্রতিটি গল্পই অপূর্ব সুন্দর। যেকোন সাহিত্যপ্রেমীর জন্য তাই এই বইটি সংগ্রহে রাখার মতন।
Was this review helpful to you?
or
খুব সুন্দর বই। টেকশই। পড়েও ভালো লাগলো
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হান একজন প্রখর প্রতিবাদ প্রগতিশীল মানুষ।তিনার লেখায় তা স্পষ্টভাবে ফুঁটে উঠেছে।এই বইয়ের প্রত্যেকটা গল্প বাস্তবতার নিরিখে লেখা-যা একজন মানুষকে প্রতিবাদি এবং প্রগতিবাদী হতে শেখায়।
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হান নিজেকে অনেক জ্ঞানী জ্ঞান করতেন, তার লিখা পড়ে তাই মনে হয় এবং অনেকক্ষেত্রে তার লিখা বিরক্তিকরও বটে।
Was this review helpful to you?
or
great
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হান বাংলা সাহিত্যের এক দিগন্তের নাম আমার মতে তিনি আরো ১০/১৫ বছর বেঁচে থাকতেন তবে অনেক সাহিত্যিক কে পেছনে ফেলতে পারতেন। উনার লেখায় প্রায় জীবনের বাস্তবতা ফুটে উঠতো। রকমারি কে ধন্যবাদ এমন একটি বিশেষ বই সংযোজনের জন্য।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারী_বইপোকা_বই_রিভিউ_প্রতিযোগিতা "কুকুরগুলো একসঙ্গে চিৎকার জুড়ে দিল। সাদা কুকুর। কালো কুকুর।... ....... তাদের চিৎকারে শহরে যত ভদ্রলোক ছিল সবার ঘুম ভেঙে গেল।" এটা কোন একটা গল্পের শুরু। প্রথমে পড়তে গিয়ে হোঁচট খেলেও শেষে গিয়ে ধরতে পাড়লাম আসল কাহিনী। কুকুরের চিৎকারের মাধ্যমে লেখক এদেশের ক্ষমতাযুক্ত মানুষ আর ক্ষমতার পালাবদলে চেহারা পাল্টানো ভদ্রলোকদের তুলে ধরেছেন। এতক্ষণ আঁধারে রেখে যে গল্প আর গল্পের লেখকের কথা বলছিলাম তিনি আর কেউ নন সেই " রাত বাড়ছে, হাজার বছরের পুরনো রাত" উক্তিবাক্য বলিয়ে জহির রায়হান। বাংলাসাহিত্যে যতজন ক্ষণজন্মা লেখক তাদের লেখনশৈলী দ্বারা পাঠকের মন জয় করেছেন জহির রায়হান তাদের অন্যতম। সর্বক্ষণ সৃষ্টির প্রেরণায় অস্থির এই মানুষটি চলচ্চিত্র ও সাহিত্য দুই অঙ্গনেই ছিলেন সমান সক্রিয়। আমাদের ভাষা সংগ্রাম থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত আন্দোলন অভিযাত্রার প্রতিটি পর্যায়ে ইতিহাসের পালাবদলগুলো জীবন্ত হয়ে উঠেছে তাঁর রচনায়। তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ' হাজার বছর ধরে' আর দুইটা গল্প পাঠ্য হিসেবে থাকার কারণে অনেকদিন আগে পড়েছিলাম। এই এতবছর পেরিয়ে হাতে জমে থাকা তাঁর গল্পসমগ্র বইটাকেই আবার চোখের সামনে তুলে ধরলাম। শুরু হল তাঁর গল্পের সাথে আরো ভালো করে বন্ধুত্ব করার, তার সৃষ্টিকে নির্মোহ চোখে দেখার। গল্পগুলো পড়েছি, শেষ করেছি আর চোখ বুজে ভেবেছি এভাবেও কি গল্প হয়!! কত ছোট ছোট এক একটা বাক্য, কি ঐন্দ্রজালিক তার ভাষার ব্যবহার। কোন গল্পেই চোখে পড়ল না একটা দীর্ঘ বাক্যও। অথচ বাক্যগুলো পড়লে মনে হয় মনে ঘাঁ দেয়া এক একটা চাবুক। প্রতিটা নাতিদীর্ঘ বাক্যই যেন এক একটা গল্প। "আহা! আমি যদি সেই তরুণকে নিয়ে একটা ছবি বানাতে পারতাম!! যার জীবন সহস্র দেয়ালের চাপে রুদ্ধশ্বাস। আইনের দেয়াল। সমাজের দেয়াল। ধর্মের দেয়াল।.. " এই তিন - চারটা ছোট ছোট কয়েকটা বাক্যেই জহির রায়হান ' ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি ' গল্পে তুলে ধরেছেন একজন তরুণের হতাশার কথা। ' ইচ্ছা অনিচ্ছা', ' বাঁধ', ' অপরাধ' গল্পের মাধ্যমে তিনি তুলে ধরেছেন এদেশের ভন্ড পীরদের আসল মুখোশ। এদেশের সহজ- সরল সাধারণ মানুষ আদিকাল থেকেই ধর্মভীরু। ধর্ম সম্বন্ধে কোন কথা উঠলেই তারা ভয়ে ভীত হয়ে থাকে। আর এই ভয়কে কাজে লাগায় কতিপয় ভন্ড পীরেরা। তাই তো ' অপরাধ' নামক গল্পে দেখি এক তথাকথিত পীর পলাশপুরের গ্রামে আসে ঘুরতে। সেখানকার বাসিন্দারা পীরকে গ্রামে খেদমত করতে লেগে যায়। একজন মুরীদের ঘরে তার থাকার ব্যবস্থা হলে সেই মুরিদের ১৪ বছর বয়স্কা তরুণী সালেহাকে তার পছন্দ হলে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সালেহার বাবা- দাদারা জোড় করে ৮০ বছরের বৃদ্ধ পীরের সাথে তার বিয়ে দেয়। কিন্তু ৪ বছরের সংসারে তার তরুণী মন টিকতে না পেরে সে চলে আসে বাপের বাড়ীতে রাতের আঁধারে। কিন্তু সেখানেও চলে তার উপর অত্যাচার। অবশেষে সালেহার করুণ পরিণতির মাধ্যমে গল্পের যবনিকা ঘটে। জহির রায়হানের বেশিরভাগ গল্পই আন্দোলন সংগ্রামযুক্ত। তবুও ' সোনার হরিণ' গল্পের স্ত্রী হারানো স্বামী, ' নয়া পত্তন ' গল্পের শিনু পন্ডিতের একটা স্কুল বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা, ' একটি জিজ্ঞাসা' গল্পের ছোট মেয়েটির বাবার কাছে বেহেশত আর দোযখ নিয়ে করা সরল প্রশ্ন কোথাও যেন অজান্তেই মনকে ধাক্কা দেয়। এমনিভাবে অন্যান্য গল্পগুলোতে জহির রায়হান ফুটিয়ে তুলেছেন আবহমান বাংলার শাশ্বত রূপ, আন্দোলনমুখী সাহসী ছাত্র- ছাত্রীকে, সংসার জীবন প্রভৃতি তাঁর আপন বৈশিষ্ট্যময় ভাষায়। বইটা পাঠ শেষে বলতে চাই জহির রায়হানের গল্পপাঠ শুধু নিছকই গল্প পড়াই নয় এটা এদেশের আন্দোলন - সংগ্রাম, রাজনীতিক আর ভন্ড পীরদের লুকানো চরিত্র সর্ম্পকে জানারও দলিল বটে। সবার জহির রায়হান পাঠ আনন্দময় আর সৌকর্যমন্ডিত হোক এই কামনা করি। # বইয়ের_নাম : গল্পসমগ্র লেখক : জহির রায়হান প্রকাশক : অনুপম গায়ের দাম : ১৬০ টাকা
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হানের লেখা ছোটগল্পগুলো বেশিরভাগ সময়ই খুব ছোট পরিসরের হয়। কিন্তু গল্পগুলোর আবেদন হয় অসীম। জহির রায়হান তুলনামূলক ভাবে খুব অল্পসংখ্যক ছোটগল্প লিখলেও লেখার গুণগত মানের কারণে একজন সফল ছোটগল্পকার হিসেবে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন। ‘গল্পসমগ্র’ বইটিতে জহির রায়হানের লেখা অসাধারণ সব ছোটগল্পগুলো সংকলিত হয়েছে। এখানে ‘হারানো বলয়’ ছোটগল্পটি নিয়ে আলোচনা করা হল। ‘হারানো বলয়’ জহির রায়হানের লেখা একটি অত্যন্ত শক্তিশালী ছোটগল্প। এই গল্পের মূল চরিত্র দুইটি – আলম আর আরজু। কলেজে পড়ার সময় আলম আর আরজু পরস্পরকে ভালোবাসতো। আরজুর খুব শখ ছিল গহনার। একবার স্কলারশীপের টাকা পাওয়ার পর আরজু আলমকে নিয়ে গহনার দোকানে যায়। তার পুরনো বালা ভেঙে একটা ছোট পাথর বসানো নতুন ডিজাইনের বালা নেয়। তারপর সে আলমকে বলে, এই চকচকে পাথর-বসানো বালাটা সে নিয়েছে এই জন্যে যাতে তারা দু’জন কখনও অন্ধকারে পথ হারালে সেই বালাটি যেন তাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু তাদের আর একসাথে পথচলা হয় নি। হঠাৎ কয়েক বছর পর একদিন আলমের সাথে আরজুর দেখা হয়। তখন আলম জানতে পারে, আরজুর বড় ভাই জেলে যাওয়ার পর পুরো পরিবারের ভার এখন আরজুর উপর। এদিকে ছোট বোনটার শরীর খুব খারাপ। কিন্তু সে তাকে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না। আলমের নিজেরও কেরানির চাকরি, সেই বা কী সাহায্য করতে পারে। এর দু’সপ্তাহ পর আলমের আবার আরজুর সাথে দেখা হয়। তখন সে জানতে পারে, আরজু গোরস্থান থেকে আসছে। তার বোন মারা গেছে। তারা পুরো পরিবার দু’দিন ধরে না খেয়ে আছে। সে রাতে মেসে এসে আলম আর ঘুমাতে পারে না। কয়েকদিন পর আলম বেতন পেয়ে বিভিন্ন জায়গার ধার শোধ করতে এক বিকেলে বের হয়। কিন্তু রাস্তার মোড়ে একটা জটলা দেখে থমকে দাঁড়ায়। কাছে গিয়ে জানতে পারে, একজন মেয়ে নাকি চুরি করার কারণে তাকে পুলিশে ধরেছে। আলম আরেকটু কাছে এগিয়ে যায়। তখন ভিড়ের মাঝে সে আরজুকে দেখতে পায়, তার হাতের হাতকড়ায় শেষ বিকেলের তির্যক রোদ এসে পড়ে তা সেই বালাটির মত চক চক করছে – যে বালা তাদের দু’জনকে অন্ধকারে পথ দেখাবে। এই গল্পে জহির রায়হান সুদক্ষ শিল্পীর মত জীবনসংগ্রামের বাস্তবতার কাছে ক্ষয়ে যাওয়া স্বপ্নগুলো যে কতটা অসহায় সে চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। জহির রায়হানের লেখা প্রায় প্রতিটি ছোটগল্পই অসাধারণ চিন্তা-উদ্রেককারী। লেখকের ছোটগল্পের সংকলন ‘গল্পসমগ্র’ বইটি সবারই ভালো লাগবে আশা করি।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ গল্প সমগ্র লেখকঃ জহির রায়হান প্রকাশনীঃ অনুপম প্রকাশনী প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারী, ১৯৯৮ (অনুপম সংস্করণ) প্রচ্ছদঃ ধ্রুব এষ পৃষ্ঠাঃ ১২৪ মুদ্রিত মুল্যঃ ১৬০৳ #রিভিউঃ জহির রায়হান মূলত চলচ্চিত্রকার হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি একজন অসাধারণ গল্পকারও বটে। বাংলা কথাসাহিত্যে রয়েছে তার অসামান্য অবদান। তিনি ছিলেন একজন দায়বদ্ধ মানুষ ও লেখক। ভাষা আন্দোলন হতে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ- সংগ্রামের প্রতিটি পর্যায়ে যেমন যুক্ত ছিলেন তেমন সে অর্জিত অভিজ্ঞতাগুলো ফুটিয়ে তুলেছেন তার লেখায়। তার গল্পে ওঠে এসেছে বাংলার রূপ-বৈচিত্র্যের কথা, মেহনতি মানুষের কথা। তিনি বলেছেন সামাজিক বৈষম্যের কথা, কুসংস্কারের কথা, অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে কথা। তার রচিত রোমান্টিক গল্পগুলো হয়ে আছে যুবকযুবতির প্রেমের সুখ-দুঃখের এক অনন্য উপাখ্যান। মা-নারী, রাজনৈতিক কর্মী, কবিসাহিত্যিক, আন্দোলনমুখী ছাত্রছাত্রী- এদের গল্পে প্রতিষ্ঠা করেছেন আপন প্রতিভায়। এই গল্পসমগ্রে আপনি পাবেন মোট একুশটি গল্প। ভাষা চমৎকার ও সাবলীল। গল্পগুলো একটি হতে অন্যটি আলাদা ও ভিন্ন। গল্পগুলো আপনার মনে জাগাবে ঢেউ, আপনি পাবেন ভিন্ন আমেজ। পড়ে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই। যদি বইটি না পরে থাকেন তবে জলদি সংগ্রহ করে পড়ে ফেলুন। চাইলে রকমারি.কম হতেও সংগ্রহ করতে পারেন। লিঙ্কঃ https://www.rokomari.com/book/7651/গল্প-সমগ্র