Our User Product Reviews

ভালো লেগেছে।

এতো সুন্দর লেগেছে যা বলার মতো না। বার বার পড়তে ইচ্ছে করে কখনো বিরক্তি আসে না?

অসাধারণ একটা বই।

sundor premer uponash

গার্সিয়া মার্কেস লেখকের প্রিয় সেটা আগে থেকেই জানতাম এই জন্য কিনা জানিনা তবে আমার কাছে তার লেখনীর সাথে অনেক মিল পেতে ইমদাদুল হক বাধ্য করেছেন। সচরাচর এখন যেমন প্রেম কাহিনী হয় এই বইটিও তেমন। নিজের জীবনের একটা গল্প তুলে ধরেছেন মনে হতে পারে। লেখক তার লেখার প্লট খুঁজতে আমেরিকা গেছেন। সেখানে ইভা নামের এক মেয়ের সাথে তার পরিচয়, এবং মূলত সেই মেয়েটির কাহিনী শুনেই লেখকের এই লেখা! বর্তমান যুগের ফেসবুক, বিয়ে আগে সংগম উঠে এসেছে তার এই লেখায়! লেখক শক্তি চট্টোপাধ্যায় এর উক্তি দিয়েছেন, কোট করেছেন আরো কিছু লেখকের উক্তি। তবে আমার পড়া আনিসুল হকের প্রথম ককাব্যধর্মী প্রেমের উপন্যাস এটি। তাই এই অভিজ্ঞতাটা আমার কাছে অন্যরকম। বইটি না পড়েই বাতিলের খাতায় রেখে দেয়াটা অবশ্যই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। লেখকের অন্যান্য বই থেকে এই বইটির লেখনী একদম ই অন্যরকম। সে জন্য বই পাগল মানুষদের এই বইটি পড়া উচিৎ। আলোচনা করুন, সমালোচনা করুন তবে তার আগে বইটি পড়ুন!

আমারও একটা প্রেমকাহিনী আছে বইটি পড়ার আগে আমি অন্যান্য রোমান্সধর্মী উপন্যাস পড়েছিলাম। অন্যান্য রোমান্সধর্মী উপন্যাস পড়ে একঘেয়েমি লাগে। সেসব বইতে সমসাময়িক জীবনের কোনো লেখা থাকে না। বইটি যতই কল্পকাহিনী হোক, পড়ে আমার কাছে বাস্তবসম্মত লেগেছে। আরও ভালো লেগেছিলো উপন্যাসের নায়িকা ইভাকে। উপন্যাসের শেষ পর্যায়টা আমার কাছে অসম্ভব ভালই লেগেছে। কারণ শেষ অধ্যায়ের ফিনিশিংটা তিনি পাঠকের হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন। তবুও আমার কাছে প্রশ্ন জাগে, "শুভ কি ইভার কাছে ফিরে গেছে?"

রোমিও-জুলিয়েট টাইপ না-হোক, আমাদের সবারই একটি করে প্রেম কাহিনী আছে স্কুল-জীবনে অথবা কলেজ-জীবনে। হয়তো অনেকে সাহসী হয়ে বলতে পেরেছি ভালবাসার কথাটি। কেউ হয়তো বলতে পারিনি গোপন কথাটি। নিজের ভেতরই রয়ে গেছে না-বলা কথাটি। বইটি হাতে নিয়ে সেধরনেরই একটি কাহিনী পড়ার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত হয়েছিলাম। প্রেম-ভালবাসার বই এখন আর ভাল লাগে না। ফালতু পেচাল বলে মনে হয়। উপহার হিসেবে পেয়েছি, আর লেখক নিজেই যেভাবে ঢোল পিটিয়েছেন তাই না-পড়ে থাকতে পারলাম না। পড়ার পরে স্বীকার করতে বাধ্য হলাম, ফালতু প্রেম-ভালবাসার কাহিনী মনে করে বইটি না-পড়ে ফেলে রাখলে নিজেই ঠকতাম। আসলে এটি লেখকের কোন কাহিনী না। একজন মেয়ের কাহানী। লেখক শুধু গল্পটি মেয়েটির মুখ থেকে শুনছেন। আসাধারন, বইটি একেবারেই অন্যরকম। জীবিকার প্রোয়োজনে একসময় লেখককে আমেরিকার প্রভিডেন্সে থাকতে হয়েছিল। সেই সময় ইভা নামের একটি মেয়ে লেখককে শোনায় এই অদ্ভুদ প্রেম কাহিনীটি। লেখক শুধু শুনে গেছেন, পরে তিনি ইভার বলা কথাগুলো পাঠকদের জন্য বই আকারে প্রকাশ করেছেন। গল্পটি আনিসুল হক শেষ করেননি। পাঠকদের জন্য রেখে দিয়েছেন। বইটি শেষ করার পর পাঠকদের প্রথম যে প্রশ্নটি মাথায় আসবে তা হলো শুভর সাথে ইভার আবার কি আগের মত সম্পর্ক হবে ? আমারও একটা প্রেমকাহিনী আছে বইটি পড়ার আগে আমি অন্যান্য রোমান্সধর্মী উপন্যাস পড়েছিলাম। অন্যান্য রোমান্সধর্মী উপন্যাস পড়ে একঘেয়েমি লাগে। সেসব বইতে সমসাময়িক জীবনের কোনো লেখা থাকে না।

বইটা ভালো লেগেছে পড়ার জন্য। তবে শেষের দিকে লেখক ছেড়ে দিলেন পাঠকের হাতে, ব্যাপারটা একটু কেমন লাগলেও ছোটো গল্পের সঙ্গানুসারে লেখকরা এটা করে থাকেন। একটা প্রশংসা না করে পারছিনা, সাধারণ একটা গল্পকে লেখক কিভাবে তাঁর শিল্প দিয়ে অলংকৃত করতে পারেন, এই বইটা তারই একটা প্রমাণবহ। তবে পুরো উপন্যাসটা নিয়ে গভীর চিন্তার কোনো সুযোগ নাই। উপন্যাসের কেন্দ্রিয় চরিত্রের চরিত্রায়ণটা বেশ ভালো হয়েছে, একটা স্বাধীনচেতা মনোভাব যা প্রশংসার দাবিদার।

I read this book with joyful...

বইয়ের নামঃআমারও একটা প্রেমকাহিনী আছে লেখকঃআনিসুল হক প্রকাশনীঃপ্রথমা প্রকাশন মূল্যঃ৩২৩টাকা এই উপন্যাসটি আনিসুল হকের নিজের প্রেম কাহিনী বিবরণের মাধ্যমে লেখা অত্যন্ত আকর্ষণীয় রোমান্টিক উপন্যাস।আমেরিকায় অবস্থান কালে লেখক এর পরিচয় হয় এক বাঙালি মেয়ে ইভার সাথে।এই ইভা উপন্যাসটির মূল চরিত্র।প্রথমত লেখক এর ইভার কাহিনীটিতে ইন্টারেষ্ট না থাকলেও পরে এক পর্যায় খুব নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে লেখক ইভার কাহিনী র জন্য।এই গল্পটিতে একসাথে দুটি গল্প একটি ইভার অতিত একটি বর্তমান।ইভার বাসায় একদিন আগমন ঘটে তার বাবার পুরোনো বন্ধুর ছেলে শুভ। সে ইন্জিনিয়ার। ইভার মা বাবা আজ থেকে ২০ বছর আগে ঠিক করে রেখেছিল তার বিয়ে হবে শুভ এর সাথে।প্রথমত্ব ইভা রাজি ছিল না কিন্তু এক পর্যায় ইভা আর শুভর প্রেম হয়ে যায়।দুজন দুজনকে অনেক ভালোবেসে ফেলে।শুভ এর মা একটু ইগো দেখালেও পরে রাজি হয় বিয়ে তে।তারপর একদিন ইভার মা বাবা ঢাকার বাইরে যাওয়ায় ইভা শুভকে তলব করে তার বাসায় এবং ঠোঁট পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে।কিন্তু সে দিন কি এমন হয়েছিল যার জন্য ইভা ভেঙ্গে দিয়েছিল তার ভালোবাসা।ভালোবাসা টা ভেঙ্গেছে ঠিক সেই পর্যায় যখন ইভা আর শুভ এর বিয়ে। তখন জীবন নিয়েছিল অন্য এক মোড়।এমনই এক জটিল জীবন ও প্রেম নিয়ে লেখা এ বইটি। আমার কাছে বেশ বাস্তবধর্মী মনে হয়েছে।

বইমেলা চলাকালীন প্রায় রোজই পত্রিকার পাতায় বেশ বড় কলেবরে 'আমারও একটা প্রেমকাহিনী আছে'র বিজ্ঞাপন দেখেছি। ফেসবুকে আনিসুল হক স্যারের স্ট্যাটাস বা ছবির অনেক পোস্টেই ঘুরেফিরে এই বইটার কথার উল্লেখ পেয়েছি। আমি নেগেটিভ মাইন্ডের লোক নই। কিন্তু অনেককেই দেখেছি কোন রকম রাখঢাক না রেখে সরাসরিই শ্লেষাত্মক মন্তব্য করেছে, এই বই নিয়ে এত বাড়াবাড়ি করার কি আছে। কিই বা এমন আছে বইটাতে। এধরণের মন্তব্য দেখে যারা বিভ্রান্ত হয়েছিলেন, প্রথমে তাদের বলতে চাই - এই বইটা পড়ার আগেই এর গুনাগুণ সম্পর্কে কোন বিভ্রান্তি থাকা উচিৎ না। আমি কোন রকম সঙ্কোচ ছাড়াই বলে দিতে পারি, এবারের বইমেলায় প্রকাশিত মানবিক সম্পর্ক নির্ভর ফিকশনধর্মী বইগুলোর মধ্যে যে কয়টা আমার পক্ষে এযাবত পড়া সম্ভব হয়েছে, তাদের মধ্যে কোন রকম তুলনামূলক বিচার ছাড়াই নিঃসন্দেহে 'আমারও একটি প্রেমকাহিনী' সেরা। বইটা পড়তে শুরু করার আগে আমিও যে একটু সংশয়ে ছিলাম তা গোপন করব না। আমি ভেবেছিলাম, নিছকই হয়ত একটা ভালোবাসাবাসির উপন্যাস হবে এটি। আরও একটা! সাধারণত যে ধরণের লুতুপুতু প্রেম ভালোবাসার কাহিনী পড়ি, সেরকমই। কিন্তু বইটা পড়া শেষে এখন আমি নিজেকে ধিক্কার দিচ্ছি। হায় রে, আমি কি ভুলে গেছিলাম এটা সাধারণ কোন গল্পকারের অতি সাধারণ কোন প্রেমের গল্প না। এটি বাংলাদেশে এসময়ের সবচেয়ে শক্তিশালী লেখকদের অন্যতম, শত শত দেশি বিদেশী পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক আনিসুল হকের লেখা! তাই এই বই না পড়েই যারা শুধু প্রেমকাহিনী বিধায় বইটিকে বাতিলের খাতায় ফেলবে, তারা অন্তত আমার দৃষ্টিতে বিশাল বড় ক্রিমিনাল হিসেবে গণ্য হবে! বইটার সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হবে, আঙ্গিক গঠনের দিক থেকে এই বইটি একেবারেই অন্যরকম। এর আগে অন্তত আনিসুল হকের বর্ণনায় কোন কাব্যধর্মী প্রেমের উপন্যাস আমি পড়ি নাই। এটিই প্রথম অভিজ্ঞতা। আর সেই অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ। অনেককে দেখি, নিজেদের লেখা যেকোন মানের প্রেমকাহিনীকেই তারা 'রোমিও-জুলিয়েট' টাইপ বলে আখ্যা দিতে চেষ্টা করে। আনিসুল হক সেধরনের কোন ঝুঁকিই নেন নি। গল্প বলার শুরুতেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, গল্পটা তার নিজের নয়। উপন্যাসের নায়িকার। কাহিনীটি তিনি শুনিয়েছেনও নায়িকার নিজের ভাষায়। আনিসুল হকও এখানে আমাদের মতই গল্পের একজন পাঠক। না না ভুল বললাম। আমরা শুধু পাঠক, আর তিনি ছিলেন শ্রোতাও। ইভা নাম আমাদের এই উপন্যাসের নায়িকার। আপাতত আমেরিকার প্রভিডেন্স শহরে তার বাস। সেইম ঘটনা আনিসুল হকেরও। নিজ নিজ পেশার প্রয়োজনে তারা প্রবাস জীবন যাপন করছেন। এরকম একটা সময়ই ইভা এসে লেখকের কাছে বললেন, 'আমার একটা প্রেমকাহিনী আছে।' লেখক মাত্রই গল্পও শোনার জন্য সদা উৎসুক জীব। আনিসুল হকও তার ব্যতিক্রম নন। তাই সাথে সাথে রাজি হয়ে গেলেন গল্পটা শুনতে। অবশ্য তিনি নিশ্চিত ছিলেন, গল্পটা খুব একটা কৌতূহলোদ্দীপক হয়ত হবে না। কারণ প্রত্যেকেই তাদের নিজের জীবনের কাহিনীকে খুব বড় একটা কিছু মনে করে। আদতে তা হয় না। ইভার ক্ষেত্রেও ব্যাপার হয়ত তা-ই। তবু তিনি শুনে যেতে লাগলেন। ইভা বলতে লাগল। প্রথমেই এল বাস স্টপে রোজ রোজ ইভার সাথে দেখা হতে থাকা এক যুবকের কথা। তাকে দেখে ইভার বুকে কাঁপন ধরতে লাগল। কারণ যুবকটি দেখতে অবিকল তার অতি চেনা আরেক যুবক শুভর মত। এবারে ইভা ফ্ল্যাশব্যাকে করে চলে গেলেন কিছুটা সাম্প্রতিক অতীতে। যেখানে তার সাথে আলাপ হয়, পরিচয় হয়, ঘনিষ্ঠতা হয়, ভালো লাগালাগি থেকে হৃদয়ের দেয়া নেয়া পর্যন্ত হয় শুভ নামের ছেলেটির। একই সমান্তরালে ইভা বলে যেতে থাকেন বাস স্টপে দেখা ছেলেটির কথা, যার নাম সুদীপ। সুদীপের সাথেও বেশ একটা হৃদ্যতার সম্পর্ক গড়ে উঠতে থাকে ইভার। কিন্তু ইভা কেন হঠাৎ শুভকে ছেড়ে সুদীপের প্রতি আকৃষ্ট হল? সে বিষয়টা জানাতে ইভার ফ্ল্যাশব্যাকে চড়ে আবারো অপেক্ষাকৃত পুরনো ঘটনাটি শুনতে হবে, যেখানে কাহিনী প্রবাহের এক পর্যায়ে শুভর সাথে সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে ইভার। তারপরই কোন এক জটিল মানবীয় কারণে ইভা এবার চাচ্ছিল সুদীপকে কাছে পেতে। কিন্তু সুদীপ এক সময় সব জানতে পারবে। জানবে কেন ইভা তাকে ভালবাসেছে। ইভার ভালোবাসা তখন প্রত্যাখ্যান করবে সে। তবে প্রেমিক না হয়ে, বন্ধু হয়ে ইভার পাশে থাকবে সুদীপ। সুদীপ দেবে ইভাকে তার মনের আসল ঠিকানা। কিন্তু নিজের মনের ঠিকানা যতই জানতে পারুক ইভা, শেষমেশ শুভর সাথে অর্ধসমাপ্ত সম্পর্কের শেষ ঠিকানায় কি পৌঁছুতে পারবে ইভা? জানতে হলে পাঠককে শেষ অব্দি পড়তে হবে এই উপন্যাসের। তারপরও জানা যাবে কিনা, আমি জানি না। পাঠক হয়ত ছোটগল্প হিসেবেই উপন্যাসটি পড়ে রেখে দিতে পারেন। কিংবা পরের কাহিনীটুকু নিজেদের মত করেও সাজাতে পারেন। সেই অধিকার লেখক স্বয়ং তার পাঠকদের দিয়েছেন। একটা কথা আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, উপন্যাসটি পড়তে পড়তে মানসিক অনেক সূক্ষ্ম অনুভূতির আক্রমনের শিকার হবেন পাঠক। ইভার সাথে শুভ বা সুদীপের প্রেমকাহিনী পড়তে পড়তে পাঠকের মনশ্চক্ষে দ্বার উন্মোচিত হবে নিজেদের জীবনের সম্পর্ক নিয়েও কল্পনা করার। সবমিলিয়ে হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এক প্রেমের উপন্যাস এটি। আর দশটা ভালোবাসার উপন্যাসের চেয়ে বেশ আলাদা ঘরানার, বহুস্তর বিশিষ্ট কাহিনী বিন্যাসে বিন্যস্ত উপন্যাস 'আমারও একটি প্রেমকাহিনী আছে'।

সুন্দর প্রেমের উপন্যাস ।বইটা কিনে কারো আফসোস করতে হবে না ।

সম্ভব হলে নেগেটিভ মারকিং করতাম । আপনি একজন প্রতিষ্ঠিত লেখক । লিখেছেন - মা , যারা ভোর এনেছিল , ফাঁদ এর মতো কিছু অসাধারণ লেখা । সেই আপনার কলম থেকেই যখন এমন " লুতুপুতু " লেখা বের হয় , কষ্টই লাগে । পুরো বইটার একটা দিকই ভালো লেগেছে । প্রচ্ছদ ।