User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ধন্যবাদ রকসারি ডট কম। দ্রুত সময়ের মধ্যে বইটি পাঠানোর জন্য কৃতজ্ঞতা।
Was this review helpful to you?
or
খুব অল্প কথায় বলি- অসাধারনের উপরে যদি কিছু থাকে, তবে তাই। শুরু করলে শেষ না করে উঠতে মন চায়না। ভালো থাকবেন সবাই।
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হানের সব উপন্যাস এক মলাটে
Was this review helpful to you?
or
ইতিমধ্যেই এই বইয়ের প্রত্যেকটা উপন্যাস, গল্প নিয়ে মতামত দেওয়া আমার শেষ। এটাতে খুব বেশি কিছু বলার আর বাকী নেই। শুধু বলতে চাই একটা সপ্তাহ যেকেউ সুন্দরভাবে কাটাতে পারবে এই বইয়ের সাথে। আর সেই সপ্তাহটা হবে জিবনের একটা ভালো মহুর্তের সঞ্চয়। হয়না এমন যে হঠাৎ কেমন করে যেন কোন এক আদিকালের ঘটনা মনে পড়ে মনটা দুলে ওঠে। হোক সেটা আনন্দের কারনে বা হোক সেটা দুঃখের। আসুক হাসি অথবা আসুক কান্না। এই বইটা ঠিক তেমন। কী নেই এখানে? এখানে শেষ বিকেলের মেয়ের জিবনের অকস্মাৎ পরিবর্তন আছে, আছে মকবুলের বউ দিয়ে হাল চাষ, আছে পরবর্তী ফাল্গুনে দ্বিগুণ হবার মনস্কামনা, আছে জৈবিক তৃষ্ণার কথা, আছে দারিদ্র নিপিড়ীত সংসারের কথা, আছে বেকার যুবকের বুকের হাহাকারের কথা, আছে অগাধ ভালোবাসার কথা, আছে বিশ্ব জুড়ে চলে আসা নিপিড়ীত মানুষের কথা, আছে শত হাহাকারের মাঝে বেঁচে থাকার আশা খোঁজার কথা, আছে নিজ সার্থ নিয়ে পড়ে থাকা সংসারের কথা, আছে আন্দোলন শুরুর কথা। বইটি কখনো হাসাবে, কখনো ভাবাবে, কখনো কাঁদাবে, কখনো দেখাবে আজ অচেনা হয়ে যাওয়া সেই গ্রামীন জিবনের চিত্র, কখনোও বা শহুরে জিবন, সংগ্রাম, অধিকার সব কিছু মিলিয়ে একটা নির্মল সুখ দিবে বইটি। জহির রায়হানের লেখাতেই শুধু জাদু নেই, তিনি নিজেই একটা জাদু। সবকিছু মিলায়ে এইটিকে পাঁচ তারার কম কোনোক্রমেই দেওয়া সম্ভব না। হ্যাঁ ভেতরে দুই একটা গল্প অন্য গুলোর থেকে কিঞ্চিৎ কম ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
ঠিক সময়ে সঠিক পন্য হাতে পেয়েছি। ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন একটি উপন্যাস
Was this review helpful to you?
or
It was good
Was this review helpful to you?
or
ভাল বই। নতুন পাঠকদের উপন্যাস পড়তে উৎসাহিত করবে। জহির রায়হানের উপন্যাস গুলো আপনার পড়ার ধৈর্য্যশক্তি বাড়াতে খুবই সাহায্য করবে।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হান বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তী লেখক।তার উপন্যাস সমগ্রের প্রতিটি উপন্যাস ই কালজয়ী এবং বেশ কিছু পুরষ্কার বিজয়ী।স্বাধীনতা পূর্ববর্তী বাংলার চিরাচারিত সমাজ সংস্কৃতি জানতে উপন্যাসগুলো অতুলনীয়।
Was this review helpful to you?
or
Best
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাস সমগ্র =468 টাকা মাত্র সত্যিই অসাধারণ একটি গল্প ,এ বইটি কিনে সত্যিই আপনার সার্থকতা আসবে /নিজেকে জানার জন্য অনেক কিছুই খানে পাবেন একবার হলেও বইটি পড়ুন/ জহির রায়হান বাংলা সাহিত্য ও চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, যিনি শুধু একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিকই নন, একাধারে ছিলেন ঔপন্যাসিক, গল্পকার, সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি ছিলেন তাঁর সময়ের অন্যান্য সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকারের তুলনায় অগ্রগামী, যার ফলে তাঁর কাজগুলো যুগে যুগে মানুষের দ্বারা হয়েছে প্রশংসিত এখানে অতিরিক্ত কিছু লিখে বইটাকে ছোট করা হবে /না পড়লে কখনোই বোঝা সম্ভব না /আপনার একবার হলেও পড়ুন সত্যিই অনেক আনন্দিত হবেন আপনাদের অনেক ভালো লাগবে /আমার ভালো লেগেছে / বইটি পড়ুন সকলের প্রতি আমার অনুরোধ বইটি পড়লে জাফর ইকবাল স্যারের সার্থকতা আসবে/
Was this review helpful to you?
or
I was looking forward to having this book for a long time and I am satisfied with the quality and shortest delivery time.
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হান এর তৃষ্ণা উপন্যাসটি পড়ে অনেক ভাল লাগল । মারথা ও শওকতের অতৃপ্ত প্রেমের উপন্যাস হচ্ছে তৃষ্ণা । মারথা মন প্রান উজার করে শওকত কে ভালবেসে ছিল । কিন্তু আমার দৃষ্টিতে শওকত মার্ডার সরলতার সুযোগ নিয়ে নর্তকীর সেলিনার হাত ধরে পালিয়ে যায় । নাড়ী লোভি শওকতকে অন্তত বাস্তবের আঙ্গিকেই উপস্থাপন করেছেন ।
Was this review helpful to you?
or
জহির রায়হানের লেখা সবসময়ই জাদুকরী। প্রচণ্ড শক্তিশালী ছোট ছোট বাক্যে ভাব প্রকাশের মাধ্যমে তিনি পাঠককে সম্মোহিত করে রাখেন। ‘উপন্যাস সমগ্র’ বইটিতে জহির রায়হানের লেখা সাতটি অসাধারণ উপন্যাস স্থান পেয়েছে। উপন্যাসগুলো হল ‘হাজার বছর ধরে’, ‘আরেক ফাল্গুন’, ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’, ‘তৃষ্ণা’, ‘কয়েকটি মৃত্যু’, ‘আর কত দিন’ এবং ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’। এই উপন্যাসগুলোর মধ্যে ‘হাজার বছর ধরে’ এবং ‘কয়েকটি মৃত্যু’ উপন্যাস দুটি নিয়ে নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করবো যাতে পাঠক জহির রায়হানের লেখা উপন্যাসগুলো সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন। ১. হাজার বছর ধরে : ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসটি বাংলাদেশের গ্রাম-বাংলার আবহমানকাল ধরে চলে আসা সাধারণ মানুষের জীবন ও সংস্কৃতির এক সূক্ষ্ম ও সুনিপুণ আখ্যান। ক্ষণজন্মা কথাসাহিত্যিক জহির রায়হান এই উপন্যাসে দেখিয়েছেন, কোন রকম শক্তিশালী গল্প ছাড়াও শুধুমাত্র গল্প বলার আশ্চর্য নির্লিপ্ত ভঙ্গি এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষুদ্র সাধারণ বাঁক পরম মমতায় তুলে আনার মাধ্যমে কীভাবে একটি উপন্যাসকে কালজয়ী করে তোলা যায়। হাজার বছর ধরে উপন্যাসের কাহিনী আলোচনায় যাওয়ার আগে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে এই উপন্যাসটি কেন গুরুত্বপূর্ণ সে বিষয়ে একটু আলোকপাত করি। ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসে বাঙালির হাজার বছরের জীবনধারা খুব যত্নের সাথে তুলে আনা হয়েছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রযাত্রার ফলে শেষ দুই দশকে শুধু শহুরে জীবনে নয়, গ্রামীণ জীবনেও আমূল পরিবর্তন এসেছে। এখন বাংলাদেশের বেশিরভাগ গ্রামেই বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় কুপি জ্বালানো সন্ধ্যাগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। ঘরের দুয়ার পর্যন্ত পাকা-রাস্তা চলে আসায় গরুর গাড়ির ঐতিহ্য আর নেই বললেই চলে। ফলে আজ থেকে আর কয়েক দশক পরে হয়তো আলোচ্য উপন্যাসে বর্ণিত গ্রামের মত আর একটা গ্রামও খুঁজে পাওয়া যাবে না। সে সময় ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসটিই হয়ে থাকবে বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্যের অসামান্য দলিল। ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসে জহির রায়হান একটি পরিবারের মাধ্যমে গ্রাম-বাংলার শত শত পরিবারের বাস্তবতা আমাদের সামনে নিয়ে এসেছেন। এই পরিবারের সদস্যরা আটটি পাশাপাশি ঘরে বাস করে। এরা সবাই সুখে-দুঃখে একে ওপরের পাশে থাকে। কখনও হয়তো এদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া বেঁধে যায়। আবার সব ঠিক হয়ে যায়। এই পরিবারের কর্তা মকবুল। এই চরিত্রটির মাধ্যমে লেখক গ্রাম-বাংলার মোড়লের চরিত্রটিকে তুলে আনার চেষ্টা করেছেন। লেখক এই উপন্যাসে আবহমানকালের গ্রাম-বাংলার প্রায় সব দিকই তুলে এনেছেন। এই উপন্যাসে বাল্য বিবাহের প্রসঙ্গ এসেছে, বহু বিবাহের কথা এসেছে। নারীদের অসম্মান করার ব্যাপার উঠে এসেছে, এমনকি বউকে পিটিয়ে মেরে ফেলাও যে তৎকালীন সময়ে এমন অস্বাভাবিক কোন ব্যাপার ছিল না সেটাও লেখক অসাধারণ দক্ষতায় তুলে ধরেছেন। এই বইয়ে সামাজিক কুসংস্কারের কথা উঠে এসেছেন, পরকীয়া প্রেমের কথাও বাদ যায় নি। মোটকথা আবহমানকাল ধরে চলে আসা বাঙালি জীবনের প্রায় প্রতিটি দিকই ঔপন্যাসিক অন্তত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসটি নিঃসন্দেহে বাংলা-সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি এবং জহির রায়হানের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকর্ম। ২. কয়েকটি মৃত্যু : জহির রায়হানের লেখা ‘কয়েকটি মৃত্যু’ উপন্যাসিকাটি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংযোজন। আমরা প্রতিদিনের জীবনে সব সময় মৃত্যুর বাস্তবতাকে ভুলে থাকি বা ভুলে থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু এই সত্য যখন মানুষের খুব কাছে এসে দাঁড়ায় তখন নিজের জীবন বাঁচানোর জন্যে মানুষ কতটা স্বার্থপর হতে পারে সেই ছবিই লেখক ‘কয়েকটি মৃত্যু’ উপন্যাসিকায় অসাধারণ ভাবে তুলে এনেছেন। আহমদ আলী শেখের পরিবারকে কেন্দ্র করেই এই উপন্যাসিকার কাহিনী আবর্তিত হয়েছে। আহমদ আলী শেখের সুখের সংসার। তার বড় ছেলে শহরের নামকরা উকিল, মেজ ছেলে ইঞ্জিনিয়ার, সেজ ছেলে পাটের ব্যবসা করে আজকাল ভালোই আয়-রোজগার করছে। তিনি তিন ছেলেকেই সুন্দর, সৎ চরিত্রের তিনটি মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়েছেন। নাতি-নাতনী দিয়ে তার ঘর ভরা। তার সংসারে কোন রকম কষ্ট নেই, অভাব নেই। তিনি মাঝে মাঝেই পরিবারের সবাইকে এক ঘরে ডেকে নিয়ে এসে তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকেন। যেন তার সারা জীবনের পরিশ্রমে ক্ষেতে যে ফসল ফলেছে তা দেখছেন। কিন্তু এই সুখের সংসারে হঠাৎ করে একদিন মৃত্যুর ঘণ্টাধ্বনি বেজে উঠলো। তিনি স্বপ্নে দেখলেন তার মৃত আত্মীয়-স্বজন তাকে নিয়ে যেতে এসেছে। ঠিক এ রকমই একটি স্বপ্ন আহমদ আলী শেখের বাবা দেখেছিলেন। এবং তা দেখার পর তিনি ও তার মেজ ছেলে মারা গিয়েছিলেন। এই স্বপ্ন দেখার পর আহমদ আলী শেখ অত্যন্ত উৎকণ্ঠিত হয়ে সব ছেলে এবং তাদের বউদের ঘরে ডেকে এনে স্বপ্নের কথা বললেন। ছেলেরা মুখে বলল, ও সব স্বপ্ন কিছু না। কিন্তু তাদের মৃত্যু ভয় পেয়ে বসল। বড় ছেলে নিজের ঘরে গিয়ে চিন্তা করতে বসল, সে সারা জীবন শুধু পাপই করে গেছে। পরকালের জন্যে কিছুই করে নি। সে তার বউয়ের কাছে নামাজ পড়ার জন্যে জায়নামাজ চাইলো। ওদিকে মেজ বউ তার ভবিষ্যতের কথা ভেবে মেজ ছেলেকে ইন্সিওরেন্সের টাকা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে বসল। তখন মেজ ছেলে দুনিয়ার নিষ্ঠুর বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পারলো। যে পরের মেয়েকে সে এখন সবচেয়ে আপন ভাবছে, সেই মেয়ে তার মৃত্যুর পর কীভাবে খাবে-পড়বে সে চিন্তায় ব্যস্ত। তার মৃত্যু নিয়ে মোটেও চিন্তিত না। এইদিকে বাড়ির অসুস্থ ছোট ছেলেটাও আহমদ আলী শেখের মত একই স্বপ্ন দেখলো। তখন সবাই এই ভেবে আশ্বস্ত হল যে তাহলে বাবা আর ছোট ভাই-ই মারা যাচ্ছে। কারণ আগেরবারও যে দুজন স্বপ্ন দেখেছিল তারাই মারা গিয়েছিলো। সবাই এই ব্যাপারে যখন মোটামুটি নিশ্চিত তখন আহমদ আলী শেখ আবার স্বপ্ন দেখলেন। এবার তাকে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে, তার যে কোন দুইটা ছেলের নাম বলার জন্যে যাদের জান কবচ করা হবে। তখন আহমদ আলী শেখ অত্যন্ত স্বার্থপরের মত বললেন, তার দুইটা ছেলের জান কবচ না করে যেন ঘরে যেই তিনটা বউ আছে তাদের জান কবচ করা হয়। এভাবে মৃত্যুর মত অব্যর্থ বাস্তবতা যখন মানুষের সামনে এসে দাঁড়ায় তখন মানুষ নিজের স্বার্থ কত রকমভাবে সংরক্ষণের চেষ্টা করতে পারে তা লেখক চোখে আঙুল তুলে এই উপন্যাসিকায় দেখিয়ে দিয়েছেন। জহির রায়হানের লেখার সহজাত বৈশিষ্ট্য হল, ছোট ছোট জোরালো বাক্যের ব্যবহার। সেই বিষয়টি এই উপন্যাসিকায় আরও স্পষ্ট ভাবে বোঝা গিয়েছে। আর অসাধারণ সাবলীল বাস্তবধর্মী বর্ণনাভঙ্গি এই বইয়ের গল্পকে আরও মোহনীয় করে তুলেছে, আরও হৃদয়স্পর্শী করে তুলেছে। ‘কয়েকটি মৃত্যু’ উপন্যাসিকাটি পড়ার পর যে কোন পাঠকই অন্তত কয়েক মুহূর্তের জন্যে স্তব্ধ হয়ে যাবেন। একবার হলেও নিজের মৃত্যু নিয়ে ভাবতে বাধ্য হবেন। পরিশেষে বলতে হয়, জহির রায়হানের লেখা ‘উপন্যাস সমগ্র’ অবশ্যই সংগ্রহে রাখার মত একটি বই।