User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ইতিহাস ভিত্তিক একই বই কতটা সুন্দর হতে পারে, তার উদাহরণ হলো এটি। বই পড়লে চিন্তার নতুন শাখা বের হয়। তখন প্রথম যেটি মনে হয় - আগে কেন পড়িনি।
Was this review helpful to you?
or
দারুণ বই। ভারত বিভাগ নিয়ে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এবং যশোবন্ত সিং এর বই পড়েছি। তবে আহমদ রফিক এই বইটা লিখতে গিয়ে অনেক বই পড়েছেন, সেগুলোর রেফারেন্স উনি উল্লেখ করেছেন। ভারতভাগের কারন এবং এর প্রতিক্রিয়ার নির্মোহ বর্ণনা পাওয়া যায় বইটাতে।
Was this review helpful to you?
or
বইটিতে পাঠক নতুনত্বের স্বাদ পাবে।
Was this review helpful to you?
or
কালেকশনে রাখার মত বই।
Was this review helpful to you?
or
ভারতবিভাগ (১৯৪৭, আগস্ট) এক ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ট্র্যাজেডি হিসাবে বিবেচিত। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে এ ইতিহাস এক বিরল রক্তাক্ত ঘটনা। এ ট্র্যাজেডি ও তার নায়কদের নিয়ে বিচারি-বিশ্লেষণ কম হয়নি ভারত, পাকিস্তান ও পশ্চিমা বিদগ্ধজনের হাতে। সে প্রক্রিয়া এখনো চলছে। তবে বাংলাদেশের গবেষক ও ইতিহাসবিদগণের মধ্যে এ বিষয়ে আগ্রহ তুলনামূলক ভাবে কম। দেশভাগ শুধু সম্প্রদায়গত বিভাজনেই নয়, স্বাধীনতা ও মানবিক চেতনা বিভাজনেরও এক অমানবিক ইতিহাস। দেশবিভাগের উত্তরপ্রভাব তেমন পরিচয়ও রেখেছে। তাই সে ইতিহাস জানা ও বোঝা ত্রিধাবিভক্ত ভারতীয় উপমহাদেশের রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য, জনগণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে ইতিহাসের অতিসংক্ষেপিত বিবরণসহ বিভাজনের ঠিক-বেঠিক, যৌক্তিকতা ও সঙ্গতি-অসঙ্গতি নিয়ে মুল্যায়নধর্মী গ্রন্থ দেশবিভাগ : ফিরে দেখা এবং তা মূলত একুশ শতকের চিন্তাভাবনা ও বিবেচনায়। এখানে রয়েছে একটি বড় প্রশ্ন : দেশভাগ কতটা অনিবার্য ছিল? পাঠক এ রচনায় দেশভাগের কিছু ভিন্নমাত্রিক বিচার-ব্যাখ্যা দেখতে পাবেন। সেখানেই গ্রন্থটির বৈশিষ্ট্য। বৃটিশ শাষনামলে ঘটে যাওয়া 'ভারত ছাড়' আন্দোলন, 'বঙ্গভঙ্গ'ও 'বঙ্গভঙ্গ রদ' ইত্যাদির পরিপ্রেক্ষিতে একসময় দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতবর্ষ ভেঙ্গে দুটি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের উদ্ভব হয় পাকিস্তান ও ভারত। দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে এই দেশবিভাগ কতটা যৌক্তিক বা অযৌক্তিক, এটি আসলেই অনিবার্য ছিল কিনা, এই দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা রাষ্ট্র ব্যবস্থা কতটা সফল হয়েছে এসব আলোচিত হয়েছে এই বইটিতে। দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা পাকিস্তানে দ্রুতই আঞ্চলিক, ভাষাগত, সামাজিক পার্থক্য এবং দুই অংশের মধ্যে সুবিশাল ব্যবধান দ্বি-জাতি তত্ত্বের ত্রুটিকে মেলে ধরে। এর সুদুরপ্রসারী ফলাফল হিসাবে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে দেশবিভাগের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
ভারত ভাগ নিয়ে জানার কৌতূহল আমার অনেক আগে থেকে। এ বিষয়ে কতিপয় বই জোগাড় করে পড়েছি কিন্তু তৃপ্ত হওয়ার মত তথ্য অন্য বইয়ে পাইনি। নিখিল ভারত মুসলিম লীগ ১৯০৬ সালে ঢাকায় গঠিত হয়। এই মুসলিম লীগ যখন গঠিত হয় তখন জিন্না, লিয়াকত আলী খান এরা কেউ ছিলেন না অথচ একটা সময় জিন্নাহ মুসলিম লীগের সর্বাধিনায়ক হয়ে ওঠেন। গুজরাটি জিন্নাহ কিভাবে তখন কার পূর্ববঙ্গ, বর্তমানের বাংলাদেশের হর্তাকর্তা হয়ে ওঠলেন তার বিশদ ব্যাখ্যা পাওয়া যায় এই বইতে। জিন্নাহ কে ভারত ভাগের মূল নায়ক মনে করা হলেও কংগ্রেস ও সমান ভাবে দায়ী। কারণ, জিন্নাহর মুসলিমলীগের মূল শক্তি ছিল বঙ্গ ও পাঞ্জাব প্রদেশ। বঙ্গ প্রদেশে ১৯৩৭ সালের নির্বাচনে শেরে বাংলা'র "কৃষক প্রজা পার্টি, জিন্নাহ'র মুসলিম লীগ, গান্ধীর কংগ্রেস" কেউই একক ভাবে সরকার গঠন করার মত আসন পায় নি। শেরে বাংলা অসাম্প্রদায়িক ছিলেন। ছিলেন খাটি বাঙ্গালী। কিন্তু কংগ্রেস এর অবহেলায় শেরে বাংলা মুসলিম লীগ কে নিয়ে সরকার গঠন করেন এবং একটা সময় নিজের কৃষক প্রজা পার্টি বিলুপ্ত করে মুসলিমলীগের মধ্যে ঢুকে পড়েন। জিন্নাহর দাপটে হারিয়ে ফেলেন তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। কংগ্রেস ও অনুরূপ। মহাত্মাগান্ধী কংগ্রেসের একক সেনাপতি। তার কথার বাইরে,কেউই যেতে,পারেনি। মাওলানা আজাদ। ভারতের সবচেয়ে আধুনিক সেকুলার হয়েও গান্ধীর বলয়ের বাইরে যেতে পারেন নি। আর নেহেরু। বিলেত ফেরত শিক্ষিত ব্যারিস্টার হয়েও মাঝেমধ্যে মুখ ফসকে কিছু কথা বলে দেশ ভাগ এগিয়ে দিয়েছেন। ভারত ভাগের খেলায় জিন্না-গান্ধী-নেহেরু-প্যাটেল-মাউন্টব্যাটেন এই পঞ্চ পান্ডবের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। জিন্নাহ ভারতের মুসলমানদের একমাত্র প্রতিনিধি সাজেন, গান্ধী অহিংস নীতিতে চললেও অন্তরে হিন্দুত্ববাদের ধারণা পোষণ, নেহেরুর অসার সমাজবাদী চিন্তা, প্যাটেলের চরম সাম্প্রদায়িক মনোভাবের উপর ভিত্তি করে মাউন্টব্যাটেন ভারত ভাগ করে চিরবৈরী দুই দেশ উপহার দিয়ে যান৷
Was this review helpful to you?
or
ভারত বিভাগ (১৯৪৭) দক্ষিন এশিয় ভূখণ্ডে সংঘটিত এক রক্তাক্ত ঐতিহাসিক ট্র্যাজেডি হিসেবে বিবেচিত। এ ঘটনা নিয়ে ভারত,পাকিস্তান ও পশ্চিমাদেশে চলেছে বিস্তর লেখালিখি। বাংলাদেশে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও বিচার -ব্যাখ্যা করেছেন আহমেদ রফিক তার লেখায়। বইটিতে পাঠক নতুনত্বের স্বাদ পাবে।