Our User Product Reviews

বইটি সত্যি অসাধারণ। বইটি একবার পড়তে শুরু করলে শেষ না করে উঠা যায়। এটি সত্যি অসাধারণ।

বইটির প্যাকিং অনেক সুন্দর হয়েছে এবং ভেলিভারি অনেক fast ছিল

আমার সবথেকে প্রিয় গোয়েন্দা ধারাবাহিক উপন্যাস।ধন্যবাদ যাফর ইকবাল স্যারকে ও রকমারিকে।

Excellent

star

Ok

Boi ti khubi Bhalo.Abosor katanor Bhalo upai.Sobar boiti kena uchit.???

আজকে এই বইটি পড়ে শেষ করলাম। খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ রকমারি ও মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার কে।

একগাদা বাচ্চা নিয়ে একটি ভীষণ মজার যৌথ পড়িবার। এদের মধ্যে টুনির (টুনটুনি) বয়স ১১ বছর ৩ মাস যে কিনা শান্তশিষ্ট কিন্তু আসম্ভব বুদ্ধিমতী। আর এই বাচ্চাদের সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে ছোটাচ্চু  শাহরিয়ার যে কিনা একজন প্রফেশনাল ডিটেকটিভ। প্রথমে টুনি একটু জোর করেই ছোটাচ্চুর এসিস্টেন্ট হয়ে যায় কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় ছোটাচ্চুর সব কেস সেই সলভ করে দিচ্ছে। এভাবেই টুনিটুনি আর ছোটাচ্চু দেখিয়ে গেছে মজার কিছু গোয়ান্দাকাহিনী।  বইটিতে সবথেকে মজার ব্যাপার ছিল চরিত্র গুলো এজন্য পড়তে গিয়ে বারবারই হাঁসতে হাঁসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেছে।

khubE chomotkar ekti boi

এটা জাফর ইকবালের অসাধারণ একটা বই

Was good.Recommended for kids.

good

Motamuti

nice

onek mojar boi ??❤️

Shekhar kichu nai

রকমারি রিভিউঃ বইঃ টুনটুনি ও ছোটাচ্চু । লেখকঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল । প্রকাশনীঃ পার্ল পাবলিকেশন্স । মূল্যঃ ২৫০ টাকা । পৃষ্ঠাঃ ১৫২ । জোবেদা খানমের অনেক বাচ্চা-কাচ্চা সহ বিশাল পরিবারের সবথেকে ছোট ছেলে, শাহরিয়ার, যাকে বাচ্চারা ভালোবেসে ছোটাচ্চু ডাকে, যখন বলল সে চাকরি না করে প্রাইভেট ডিটেক্টিভ এজেন্সি দেবে তখন সব বাচ্চারা এটাকে ছাগল রং করার মত মজার ভেবে যোগদান করতে চাইলে ছোটাচ্চু সবাইকে বের করে দেয় । কিন্তু এগারো বছরের টুনি যাকে ছোটাচ্চু টুনটুনি ডাকে, সে ছোটাচ্চুর এসিস্টেন্ট হবে ঠিক করলো । এমনই ভাবে বাসার চুরি হয়ে যাওয়া জিনিসপত্র উদ্ধার, টুম্পার টিফিন চোর বের করা, ডলি খালার জামাইয়ের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া, ছোটাচ্চুর ডিটেক্টিভ এজেন্সি দি আলটিমেট ডিটেক্টিভ এজেন্সির ওয়েবসাইটে আসা প্রথম কেসে ঘরত্যাগী ছেলেকে খুঁজে বের করা এবং ছোটাচ্চুর বান্ধবী ফারিহার বন্ধু তনুর মায়ের ভন্ড গাবড়া বাবার সমস্যার সমাধান টুনটুনি ও ছোটাচ্চু বিশেষ করে টুনটুনি বের করে ফেলে । মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের অসাধারণ এই মজার গোয়েন্দা গল্পগুলো জানতে হলে অবশ্যই বইটি পড়তে হবে ।

chotachhu o tuntuni is a nice book.tuntuni is brilliant child .she solve all the case came to chottachu infection website.

boita onek interesting. pore santi ase.

টুনটুনি ও ছোটাচ্চু সিরিজের সব গুলা বই পড়েছি। খুব ভালো লেগেছে। গোয়েন্দা কাহিনী আসলেই রোমাঞ্চকর। টুনটুনির বুদ্ধিমত্তা বারবারি অবাক করেছে। তুলনাহীন। বইটি আসলেই মুগ্ধ করেছে আমাকে। এক কথায় অসাধারণ। যারা মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এর এই গোয়েন্দা সিরিজ পড়েনি তাদের কে পড়ার অনুরোধ করা হলো। প্রতিবছরই সিরিজের নতুন বই বের হয়। ধন্যবাদ

Bangladesh er bodhao hoi prothom bacchader jonno detective upannash. Golpota pore khub valo legeche.

it's a very nice book...Jafar iqbal sir=excellent,adventure and emotion??

A great detective book for children and teenagers ;) :)

Good book Ekhono pora hoyni but good

Very good book

Boi ta asola এমন যে শেষ না করে উঠা যায় না। আর জাফর ইকবাল স্যারের ক্ষেত্রে তো না ই প্রকাশের ৬ বছর পেরিয়ে গেছে প্রতি বছর নতুন ব ই বের হচ্ছে অবিশ্বাস্ব ছোটাচ্চু খুল্লে ও সংস্থা বা এজেন্সি মুলত টুনির হাতে

ফেলুদার গোয়েন্দাগিরির মতন প্রচ্ছদ। মিলটা বড় দৃষ্টিকটু।

অসাধারণ একটা বই। আমার খুব ভাল লেগেছে। টুনটুনি আর ছোটাচ্চুর দুষ্টু মিষ্টি খুনসুটি, মজার মজার এডভেঞ্চারাস কেস আর কেস সলভ করতে গিয়ে দূর্দান্ত সমাধানগুলো সব এই বইতেই পাওয়া যাবে। টুনটুনি আর ছোটাচ্চু ছাড়াও বইয়ের অন্যান্য মজার মজার চরিত্র গুলোও সবার ভাল লাগবে।

this book is very interesting book.there is a combination of detactive and normal story.it is great.

It is fantastic books for children who are under 19.They understand many real think from it!!

Very nice book . I really love this book.

টুনটুনি ও ছোটাচ্চু বইটি আসলেই অনেক ভালো। প্রথম ১-২ পৃষ্ঠা পড়তে প্রথম প্রথম আমার অনেক বিরক্ত লেগেছিল। কিন্তু যখন পরের পৃষ্ঠাগুলো পরলাম তখন বুঝতে পারলাম বইটা আসলেই অনকে ভালো। বইটিতে বাচ্চাগুলোর চাচা অর্থাৎ ছোটাচ্চুকে যখন টুনি বলল তাকে ছোটাচ্চুর ডিটেকটিভ এজেন্সির অ্যাসিস্ট্যান্ট বানাতে বলল তখন ছোটাচ্চু হাসাহাসি করেছিল। কিন্তু পরে ঠিকই টুনিকে তার এজেন্সির অ্যাসিস্ট্যান্ট বানাতে হয়েছিল। বইটি পড়ে দেখুন আপনারাও অনেক আনন্দ পাবেন।

বইটা অনেক আশা করে কিনেছিলাম।আর কেনার আগে যতটা ভেবেছিলাম পড়ে দেখলাম বইটা তার চেয়েও ভালো।

এই বই সম্পর্কে লিখলে লিখতে হবে বইয়ের সমান, যাদের ভাবনায় দেশপ্রেম, অন্তরে একাত্তর তাদের জন্য লেখা সেরা বই দলের নাম ব্লাক ড্রাগন। মুক্তিযুদ্ধ কেন্দ্রিক বইটির প্রতিটি পাতায় রয়েছে ভালবাসার, চিন্তার এবং দেশপ্রেমের আছন্ন মায়া। একবারে শেষ করে উঠতে মন চাইবে না। মুক্তিযুদ্ধে কিশোরদের ভুমিকা কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ছিলো তা এই বই থেকে পাওয়া যায়, তবে সবচেয়ে বড় কথা। হাসি, কান্না, বুদ্ধি, অভিযান সব মিলিয়ে একটি শ্রেষ্ঠ কিশোর উপন্যাস।

কিশোর আলো ম্যাগাজিন এ ধারাবাহিক উপন্যাস হিসেবে টুনটুনি ও ছোটাচ্চু প্রথম প্রকাশ পায়। এতে মূলত টুনটুনি আর তার ছোট চাচু এর ডিটেকটিভ এজেন্সি নিয়ে নানা মজার ঘটনা লেখা হচ্ছে। অসাধারণ একটি বই। পড়ে খু্ব ভালো লাগলো। মুহাম্মদ জাফর ইকবালের একটি অনন্য সৃষ্টি টুনটুনি ও ছোটাচ্চু।

This is one of the most great detective book.

টু্নটুনি ও ছো্টাচ্চু সিরিজের সবগুলো বইই খুবই অসাধারণ কিন্তু এই বই্টি এই সিরিজের প্রথম বই এবং এই বইটিই এই সিরিজকে জনপ্রিয় করেছে।এই বইটির মাধ্যমে আমাদের কা্ছে টুনটুনি ও ছোটাচ্চু এর পরিচয় ফুটে ওঠে।গোয়েন্দা কাহিনি এর সাথে এই বইয়ে রয়েছে মজার কিছু ঘটনার মিশ্রণ।

জোবেদা খানমের সাড়ে তিনতলা বাড়িতে তিনি তার ছেলে-ছেলের বউ, মেয়ে-মেয়ের জামাই, নাতি-নাতনিসহ বাস করেন। এ বাড়িতে কতজন বসবাস করে তার হিসেব নেই। কার ঘরে কতজন ছেলেমেয়ে আছে তারও হিসেব নেই। সবাই দিন-রাত এঘর ওঘর যায় আসে। রাতে ঘুমানোর সময় মায়েরা বাচ্চাদের বিছানায় না পেলে দুশ্চিন্তা করে না। আবার দুই-চারজন বেশি দেখলেও অবাক হয় না। জোবেদা খানমের ছোট ছেলে শাহরিয়ার। নাম শাহরিয়ার হলেও বাচ্চারা তাকে ছোটাচ্চু বলে ডাকে। যার চাচ্চু হয় সে ছোটাচ্চু ডাকে, আবার যার মামা হয় সেও ছোটাচ্চু ডাকে। ছোটাচ্চু এবার মাস্টার্স পাশ করেছে। তার ইচ্ছা সে চাকরি করবে না। প্রাইভেট ডিটেক্টিভ এজেন্সি খুলবে। এ নিয়ে কেউ তেমন মাথা ঘামায় না। কারন ছোটাচ্চুর কান্ডকারখানা বাচ্চাদের মতোই। যেমন : শরীরে কালি মেখে ভুত সাজা, ছাগলের বাচ্চাকে গোলাপি রং করা ইত্যাদি। তাই বিষয়টি কেউ গুরুত্ব দিলো না। বাচ্চারাও বুঝে উঠতে পারে না বিষয়টি কি। তবে বুঝতে পেরেছিলো টুনি। টুনির বয়স এগারো। চেহারায় গাম্ভীর্য, গোল মেটাল ফ্রেমের চশমা ও লাল ফিতা দিয়ে ঝুঁটি করা চুলের টুনিকে টুনটুনি ডাকলে সে সাড়া দেয় না। কথা বলে কম। কিন্তু এবার টুনটুনির আবদার সে ছোটাচ্চুর এসিস্ট্যান্ট হবে। ছোটাচ্চু ব্যাপারটি তাচ্ছিল্য করলেও খুব দ্রুতই সে টের পায় টুনটুনিকে তার ডিটেক্টিভ এজেন্সির কাজের জন্য দরকার। **** এ সিরিজের এ পর্যন্ত প্রকাশিত ৫টি বইয়ের ১ম বই এটি। ছোট বোনের প্রিয় লেখক জাফর ইকবাল এবং এটি তার প্রিয় সিরিজ। তাই ওর অনুরোধে অবশেষে পড়া শুরু করলাম এ বই। যেহেতু শিশুতোষ বই, তাই খুব একটা ভালো না লাগা অস্বাভাবিক মনে হয়নি। তবে ভালো সময় পার করতে বা রিডার্স ব্লক কাটাতে এ ধরনের বই উপযোগী। বইটি যেহেতু শিশুদের তাই লেখকে ও প্রকাশনীর প্রুফরিডিং এর প্রতি আরেকটু যত্নবান হওয়া উচিত ছিলো। এক চরিত্রের জায়গায় ভুলে অন্য চরিত্রের নাম ছোট পাঠকদের কনফিউজড করে ফেলে সহজেই। গল্পটি মজার ছিলো। তবে আমার ছোট বোনের মতে, "সবকিছু তো টুনটুনিই নিজের বুদ্ধিতে করে। এখানে ছোটাচ্চু কোন কাজেরই না।"

#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_মার্চ রিভিউ নংঃ২৫ বই:- টুনটুনি ও ছোটাচ্চু লেখক:- মোহম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশনি:- পার্ল পাবলিকেশন্স ঘরানা:- কিশোর উপন্যাস রকমারি মূল্য:- ২১৩ বই আলোচনাঃ বাসাটা তিনতলা। কিংবা কে জানে, চারতলাও হতে পারে। আবার তিন কিংবা চারতলা না হয়ে সাড়ে তিনতলাও হতে পারে। এই বাসায় যারা থাকে, তাদের জন্য অসম্ভব কিছু না। এই বাসায় কারা থাকে, সেটা বলে দিতে পারলে মনে হয় ভালো হতো, কিন্তু সেটা সম্ভব হবে না। তা ছাড়া বলে লাভ কী, সবার নাম, বয়স, কে কী করে এত সব কি আর মনে রাখা সম্ভব? শুধু একটা জিনিস বলে দেওয়া যায়, এই বাসায় সবাই এক পরিবারের মানুষ। সংখ্যাটা শুধু আন্দাজ করা যেতে পারে, ৩০-৪০ জন হবে, কিংবা কে জানে, বেশিও হতে পারে। বাসাভর্তি বাচ্চা কিলবিল করছে। এতগুলো বাচ্চার হিসাব রাখা কঠিন, তাদের বাবা-মায়েরাই হিসাব রাখতে পারে না। তাদের বাবা-মায়েরা যে হিসাব রাখতে পারে না, তার অবশ্য একটা কারণ আছে। কারণ, তারা কে কখন কোথায় থাকে, তার ঠিক নেই। হয়তো বাসায় খেতে বসেছে, ডাইনিং টেবিলে খাবারটা কারও পছন্দ হলো না, সঙ্গে সঙ্গে নাক কুঁচকে থালাটা বগলে নিয়ে ওপরে কিংবা নিচের তলায় কিংবা পাশের ফ্ল্যাটে চলে যাবে। হয়তো স্কুলে যাওয়ার সময় হয়েছে, স্কুলের পোশাক খুঁজে পাচ্ছে না তারা, অন্যজনের ফ্ল্যাটে গিয়ে অন্য কারও পোশাক পরে ফেলবে। কাছাকাছি বয়স, সমস্যা হয় না। বড়জোর একটু ঢলঢলে কিংবা একটু টাইট হয়, সেটা নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। রাতে ঘুমানোর সময় মায়েরা যদি দেখে বাচ্চা বিছানায় নেই, তাহলেও তারা দুশ্চিন্তা করে না। আবার যদি দেখে দুই-চারটা বাচ্চা বেশি, তাহলেও অবাক হয় না। মিতভাষী, বুদ্ধিমতী, ভারী চশমা চোখে টুনি জোবেদা খানমের বিশাল বাসার অগুণতি নাতি-নাতনীদের মাঝে একজন । ছোটাচ্চু শাহরিয়ার বাসার সবথেকে ছোট ছেলে, মাস্টার্স পাশ করে 'দি আলটিমেট ডিটেকটিভ এজেন্সি' খুলেছেন । কিন্তু ছোটাচ্চু কি পারবে টুনটুনি (টুনি) কে ছাড়া আদৌ জটিল সব কেসের সমাধান করতে ? লেখক পরিচিতিঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল (জন্ম: ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২) হলেন একজন বাংলাদেশী লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ। তাকে বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখা ও জনপ্রিয়করণের পথিকৃৎ হিসাবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও তিনি একজন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক এবং কলাম-লেখক। তার লেখা বেশ কয়েকটি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত ছিলেন। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ "টুনটুনি ও ছোটাচ্চু" সিরিজটা আমার পড়া বর্তমান সময়ে মুহাম্মদ জাফর ইকবালের লেখা সবচেয়ে ভালো বই। আগের মত অতো অসাধারণ না হলেও, খুব একটা খারাপ না! ছোট ছোট হিউমার গুলা বেশ মজা দেয়। একঘেয়ে ভাবটাও নেই লেখার মধ্যে। বেশ বুদ্ধিমত্তা আছে গল্প গুলার মাঝে।

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই:- টুনটুনি ও ছোটাচ্চু লেখক:- মোহম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশনি:- পার্ল পাবলিকেশন্স ঘরানা:- কিশোর উপন্যাস রকমারি মূল্য:- ২১৩ টাকা মামা-মামী, চাচা-চাচী, খালা-খালু দাদা-দাদী সবাইকে নিয়ে বিশাল এক যৌথ পরিবার টুনটুনিদের। তাদের পরিবার এতটাই বড় যে, পরিবারের সদস্যরাও তাদের একে অপরের সম্পর্ক গুলিয়ে ফেলে। পরিবারের বড়দের মধ্যে সবার ছোট হলেন শাহরিয়ার আহমেদ। তিনি বাসার সব ক্ষুদে সদস্যদের ছোট চাচ্চু সেখান থেকে তারা নাস সংক্ষিপ্ত করে বনিয়েছেন ছোটাচ্চু। ছোটাচ্চু সবার চাচ্চু না। কারো কারো মামাও হয়। কিন্তু সব ক্ষুদে সদস্যরা তাকে ছোটাচ্চু বলে ডাকে। ছোটাচ্চুর পড়াশোনা শেষ। বড়দের ধারনা ছোটাচ্চুকে দিয়ে চাকরি বা ব্যবসা কিছুই হহবে না। একদিন বাসার সব ছোট বাচ্চাদের ডেকে ছোটাচ্চু বললেন, তিনি একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলবেন। আর এই কথাটা যাতে কেউ না জানে। কিন্তু বাসার ক্ষুদে সদস্যরা এক কথা সবাইকে জানিয়ে দেয় এবং বড়রা হাসি-ঠাট্টায় উড়িয়ে দেয়। তেমন গুরুত্বই দেয় না। কিন্তু বাসার সব ছোটরাই ছোটাচ্চুর কথা শুনে ভীষণ খুশি। তারাও ছোটাচ্চুর গোয়েন্দা সংস্থায় যোগ দিবে। কিন্তু চাচ্চু কড়া ভাবে তাদের জানিয়ে দেয় এটা কোন খেলা নয় এটা একটি সিরিয়াস কাজ। টুনটুনি বাসা সবচেয়ে শান্ত মেয়ে, প্রচন্ড বুদ্ধীমতীও বটে। সে নাছরবান্দা নিজের জায়গা নিজেই তৈরি করে নেয় ছোটাচ্চুর ডিটেক্টিভ এজেন্সিতে। অসাধারন মজার একটা বই। টুনটুনি ও ছোটাচ্চুর মজার মজার টিটেক্টিভিটির সাক্ষি হতে পড়ে ফেলুন এই বইটি। #পাঠ_প্রতিক্রিয়া:- কিশোর উপন্যাসের ক্ষেত্রে জাফর স্যার মানেই সেরা কিছু অনুভূতি। আমার দৃষ্টিতে জাফর স্যার বাংলার সেরা কিশোর উপন্যাস লেখক। এখন আপনি তাকে কপিবাজ বলুন। আর যাই বলুন। আমি আপনাকে একটি কথাই বলবো, "গুনি মানুষের একটু আকটু দোষ ক্ষমার যোগ্য"। টুনির(টুনটুনি) বুদ্ধীর কাছে মুগ্ধ। বাচ্চা একটা মেয়ে যার বয়স মাত্র এগার বছর তিন মাস (মেবি)। তার বুদ্ধীর প্রসংশা না করে পারছি না। ছোটাচ্চুর খালার কাছে সে চৌকষতার পরিচয় দিয়েছে(বিয়ে ঠিক হবার সময়)। সবমিলিয়ে অসধারন কিছু গোয়েন্দাগিরি দেখিয়েছেন তাদের আলটিমেট ডিটেক্টিভ এজেন্সি। এবার অপেক্ষা পরের অংশ পড়ার জন্য।

বিশাল এক যৌথ পরিবার। মামা, চাচা, খালা, খালু সবাই একসাথে থাকে। পরিবারের দৈর্ঘ্য এতটাই বড় যে, পরিবারের সদস্যরাও তাদের নিজেদের সম্পর্ক আওলাঝাওলা করে ফেলে। এই পরিবারের সবচেয়ে ছোটজন অর্থাৎ বড়দের মধ্যে যে ছোট তিনি হলেন শাহরিয়ার আহমেদ। তাকে বাসার সব ক্ষুদে সদস্যরা ছোটাচ্চু বলে ডাকে। ছোট চাচার সংক্ষিপ্ত রূপ ছোটাচ্চু। এই ছোটাচ্চু সবার ছোটাচ্চু হওয়ার কথা না। হয়তো কারো ছোট মামাও হওয়ার কথা কিন্তু না সব পিচ্চিগুলাই তাকে ছোটাচ্চু বলে ডাকে। যাই হোক, এই ছোটাচ্চুর পড়াশোনা মাত্র শেষ হলো। তিনি একদিন বাসার সব পিচ্চিদের ডেকে বললেন, তিনি একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলবেন। আর এই কথাটা যেন বড়রা কেউ না জানে। কিন্তু এই পিচ্চিগুলার মাধ্যমেই কথাটা বড়দের কানে চলে যায় এবং বড়রা হাসি-ঠাট্টা করে কথাটা আমলে নেয় না। বাসার সব ক্ষুদে সদস্যরাই ছোটাচ্চুর কথা শুনে ভীষণ খুশি। তারাও ছোটাচ্চুর গোয়েন্দা সংস্থায় যোগ দিবে। কিন্তু চাচ্চু কড়া ভাবে না করায় তাদের উৎসাহ দমে গেলো। কিন্তু টুনি যার ডাকনাম টুনটুনি বাসা সবচেয়ে শান্ত মেয়ে, যার বয়স পাক্কা এগারো বছর তিন মাস সেই মেয়েটি ছোটাচ্চুর এসিস্টেন্ট হতে চায়। কিন্তু চাচ্চু তাকেও নিবে না। কিন্তু টুনি তার নিজের বুদ্ধি দিয়ে জায়গা করে নেয় ছোটাচ্চুর গোয়েন্দা সংস্থা "আলটিমেট ডিটেকটিভ এজেন্সি" তে। আর এই গোয়েন্দা সংস্থা খোলার পরই ঘটতে থাকে একের পর এক মজার কাহিনী!

বইটা পড়তে ভালোই লাগল,অনেক জায়গায় হাসিও পেয়েছে, বই এর ভেতরকার ছবি গুলিও বেশ ভাল। অঙ্ক স্যারের এর নাকানি চোবানি এর কেস টাও ভাল লেগেছে। আমাদের ভুগোল স্যার ও ম্যাডাম এভাবেই রেষারেষি করতেন। একে অপররের ছাত্রদের ফেল করিয়ে দিতেন। গল্প তা পড়ে ছোটোবেলার কথা মনে পড়ে গেল। তাই তিন তারা। কিন্তু গল্পের বাঁধুনি কম, কিছু ক্ষেত্রে গল্প বেশ দুর্বল ও কিছু ক্ষেত্রে গল্প অসমাপ্ত (মাহী কাঞ্চন এর কেস টা)। তাই চার টি তারা দেওয়া গেল না। ঘরের মাঝামাঝি কয়েকটা চেয়ার বসানো হয়েছে, তার একটাতে ফারিহা বসে আছে। টুনি ছোটাচ্চু হাত ধরে তাকে টেনে এনে ফারিহাপুর কাছে আরেকটা চেয়ারে বসিয়ে দেয়। ঘরের বাচ্চা-কাচ্চারা সবাই চোখের কোনা দিয়ে ছোটাচ্চু আর ফারিহাকে লক্ষ করছে কিন্তু আগে থেকে বলে দেয়া আছে কেউ যেন তাদের দিকে সরাসরি না তাকিয়ে থাকে, তাই সবাই বিয়ের হৈ-হুল্লোড়ে ব্যস্ত আছে, এরকম ভান করতে লাগল। ফারিহাপুর কাছে চেয়ারে বসে ছোটাচ্চু গম্ভীর মুখে ফারিহাকে বলল, “কেমন আছ?” ফারিহাপু বলল, “ভালো।” ছোটাচ্চু বলল, “ও।” তারপর দুইজন আর বলার মতো কোনো কথা খুঁজে পেল না। দুইজনই মুখ শক্ত করে সামনের দিকে তাকিয়ে বসে রইল, তাদের দেখে মনে হতে থাকে তারা একজন আরেকজনের চেনে না। টুনি চোখের কোনা দিয়ে দুইজনকে লক্ষ করে তারপর দরজার দিকে তাকায়। সেখানে গুড্ডু দাঁড়িয়ে আছে। টুনি তাকে একটা সিগন্যাল দিল, তখন গুড্ডু ছুটতে ছুটতে ভিতরে ঢুকে চিৎকার করে বলল, “বরযাত্রী এসে গেছে। বরযাত্রী এসে গেছে।”

i loved it

‘টুনটুনি ও ছোটাচ্চু’ উপন্যাসটিকে শিশুতোষ বা ক্ষেত্রবিশেষে কিশোরদের উপযোগী ডিটেকটিভ উপন্যাস বলা যায়। এই উপন্যাসে অত্যন্ত সাবলীলভাবে লেখক টুনটুনি ও তার ছোটাচ্চুর বিভিন্ন গোয়েন্দা অভিযানের বর্ণনা দিয়েছেন। যা শুধু শিশুদের নয়, বড়দেরও ভাল লাগবে বলে আমার বিশ্বাস। এই লেখাটি প্রথমে ‘কিশোর আলো’ নামক মাসিক ম্যাগাজিনে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। তখন বিভিন্ন কারণে পড়বো পড়বো করেও আর আমার লেখাটি পড়া হয়ে ওঠে নি। পরে ২০১৪ এর একুশের বইমেলায় যখন বইটি প্রকাশিত হল, তখন আর দেরি না করে পড়ে ফেললাম এবং খুবই ভাল লাগলো। গল্পটিতে লেখক একটি যৌথ পরিবার দেখিয়েছেন যেখানে চাচা-চাচী, খালা-খালু, ফুফা-ফুফী, মামা-মামী সবাই একসাথে একটা বিল্ডিংয়ে থাকেন। এই পরিবারে অনেক বাচ্চা আছে, আর আছে একজন ছোটাচ্চু। আসলে ছোট চাচুকে বাচ্চারা সংক্ষেপে ছোটাচ্চু বলে ডাকে। এই ছোটাচ্চু একদিন একটা গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে ফেললেন। আর তার সহযোগী হিসেবে যুক্ত হল টুনি যাকে অনেকে আদর করে টুনটুনি বলে ডাকে। তারপর টুনটুনি ও ছোটাচ্চুর বিভিন্ন গোয়েন্দা অভিযান চলতে লাগলো। মজার ব্যাপার হল, প্রতিবারই ছোটাচ্চু কেসগুলোর কোন কূল-কিনারা খুঁজে পান না। আর তখনই টুনটুনি এসে একটা উপায় বের করে ফেলে। এভাবেই তাদের ‘দি আলটিমেট ডিটেকটিভ এজেন্সি’র কাজ চলতে থাকে। এই গল্পে লেখক অত্যন্ত হাস্যরসের সাথে যৌথ পরিবারের বিভিন্ন চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই উপন্যাসটি পড়ার সময় পাঠক একা একা মুচকি মুচকি হাসতে বাধ্য। আর গল্পে ছোটাচ্চুর বিভিন্ন রকম বোকামির যেসব বর্ণনা দেয়া হয়েছে তা পড়ে বাচ্চারা নিঃসন্দেহে খুব মজা পাবে। আর বইয়ের প্রতিটি পরিচ্ছেদে যে অসাধারণ ঝকঝকে ইলাস্ট্রেশন করা হয়েছে তা আলাদাভাবে নজর কাড়বেই। সব মিলিয়ে ‘টুনটুনি ও ছোটাচ্চু’ অসাধারণ একটা শিশুতোষ উপন্যাস। আমাদের দেশে মানসম্মত শিশুসাহিত্য লেখক খুব কমই আছেন। যারা আছেন তাঁদের মধ্যে মুহম্মদ জাফর ইকবাল অগ্রগণ্য। তাই তাঁর লেখা অত্যন্ত মানসম্মত ‘টুনটুনি ও ছোটাচ্চু’ উপন্যাসটি আপনি বিনা দ্বিধায় আপনার সন্তানের হাতে তুলে দিতে পারেন, তাদের সামনে আনন্দের জগতের দরজা খুলে দিতে পারেন।

বইটি আমার প্রিয় বই গুলোর মধ্যে অন্যতম। জাফর ইকবালের প্রতিটি বই খুব সুন্দর। কিন্তু এই বইটি একটু অন্যরকম। এটি টুনটুনি ও ছোটাচ্চু সিরিজের প্রথম বই। এটি খুবই মজার একটি বই। আমার মতে এই বইটি সবার পড়া উচিত। বইটি বাস্তবে অনেক কার্যকরী।

মুহাম্মদ জাফর ইকবালের অন্যতম সেরা বই গুলির মধ্যে এটি একটি। এখানে টুনি এবং তার ছোটমামার মধ্যকার মজার মজার সব কাহিনী বর্ণনা করা আছে। শুধু কাহিনী বললে ভুল হবে তার ছোট মামা একজন প্রফেশনাল ডিটেক্টিভ। বিভিন্ন কেস নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তার ছোট মামা বিপদে পড়ে এবং টুনি তার ছোট মামাকে সাহায্য করে এ বিষয়ে পরিবারের ছোট সদস্যের ও আগ্রহের কোনো কমতি নেই। বইটি অত্যন্ত মজার আপনারাও পড়ুন আশা করি ভালো লাগবে।

কিশোর আলোতে "টুনটুনি ও ছোটাচ্চু" বইয়ের কিছু অংশ পড়েই ভালো লেগে গেল। অধীর আগ্রহে বইটি সংগ্রহ করে পুরো বইটি পড়ে ফেললাম। শিশু কিশোরদের জন্য অসাধারণ একটি বই। এসব বই ছেলে মেয়েদের বই পড়ায় আগ্ৰহী করে তুলবে। অসাধারণ কিছু রোমাঞ্চকর কাহিনীর মাঝে ডুবে থাকতে পারবে পাঠকরা। আমি মনে করি প্রত্যেক নবপাঠকদের বইটি পড়া উচিত। আমার কাছে বইটি পড়ে খুবই ভালো লেগেছে।

সাই-ফাই রচনায় স্যার মুহম্মদ জাফর ইকবাল সবসময়ই নাম্বার ওয়ান। যদিও তার দীপু নাম্বার টু, আমার বন্ধু রাশেদ, বুবুনের বাবা ইত্যাদি কিশোর উপন্যাস বেশি জনপ্রিয়, তারপরও সাম্প্রতিক সময়ে স্যারের কাছ থেকে মানসম্মত কোন কিশোর উপন্যাস আমরা পাচ্ছিলাম না। মানতেই হবে স্যারের প্রতিটা কিশোর উপন্যাসই অতি সহজ, সরল আর প্রাঞ্জল এবং সেগুলোর মধ্য দিয়ে প্রায়ই স্যার কিছু অতি সূক্ষ্ম বার্তা তার খুদে পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চান, তারপরও কিছু কিছু ক্ষেত্রে আজকাল তার কিশোর উপন্যাসগুলো সব প্রায় একই রকম হয়ে যাচ্ছিল। কাহিনী হয়ত ভিন্ন, কিন্তু কাঠামো এক। এরকমটা গত পাঁচ-ছয়টা বইমেলা থেকেই হয়ে আসছিল। এবারও বইমেলায় 'এখন তখন মানিক রতন' নামক স্যারের একটি বই প্রকাশিত হয়েছে, যার কথা আমি এখানে বলতে চাই না। কিন্তু সৌভাগ্যের বিষয়, 'টুনটুনি ও ছোটাচ্চু'র মাধ্যমে আমরা আবারো স্যারের সেই জাদুকরী লেখনিকে একটু হলেও ফিরে পেয়েছি। নিঃসন্দেহে সাম্প্রতিক সময়ে স্যারের কিশোর উপন্যাসসমূহের মধ্যে এইটা সেরা কাজ। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, 'মেয়েটির নাম নারিনা' বইয়ের পর এইটিই আরও একটা সেই বই যা পড়ে পাঠক সম্পূর্ণরুপে বিনোদিত হতে পারবে। কি ছোট কী বড়, সবাই-ই! আলোচ্য উপন্যাসটি প্রধানত পছন্দ করবে বাচ্চারা। এছাড়া কিশোরদেরও ভাল তো লাগবেই, এমনকি বড়রাও বইটি পড়তে শুরু করলে তাদের মুখে ছেলেমানুষি হাসির রেখা ফুটে উঠতে থাকবে। স্যারের লেখা এমনই, আর অনেকদিন বাদে তা আবার ফিরে পেলাম 'টুনটুনি ও ছোটাচ্চু' বইয়ের মাধ্যমে। শুরুতেই বলা হয়েছে এক বিশাল যৌথ পরিবারের কথা। আক্ষরিক অর্থেই যে পরিবারের দৈর্ঘ্য এতই বিশাল যে সেই পরিবারের সদস্যরাও পারস্পরিক সম্পর্কগুলোকে গুলিয়ে ফেলে। বাস্তবিক এমনটা হয় কিনা জানি না। কিন্তু এই উপন্যাসের আজব পরিবারটিকে স্যার এতটা মজা করে ফুটিয়ে তুলেছেন যে সবই বড্ড বাস্তব মনে হয়। পরিবারের সকলের কথা তো আর বলা সম্ভব না কিন্তু তবু কাহিনীতে যাদের দরকার আছে, তাদের চরিত্রকে স্যার যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে তুলে ধরেছেন; এবং অবশ্যই চেষ্টা করেছেন সেইসব চরিত্রকে যতটা সম্ভব হাস্যকর করে তোলা যায়! হাস্যকর কথাটিকে কেউ যেন নেতিবাচক অর্থে না নেয়। বরং বই পড়তে পড়তে সববয়সী পাঠকই নিশ্চিতভাবে মজাদার চরিত্রগুলোকে ভালবেসে ফেলবে। ছোটাচ্চু, টুনটুনি (আসলে টুনি) আর ছোটাচ্চুর সহপাঠিনী ফারিহা প্রধান তিন চরিত্র। আরও আছে এক দঙ্গল বাচ্চাকাচ্চাসহ অসংখ্য চরিত্র - যারা কারুর দাদী, কারুর নানি। কারুর চাচা কারুর মামা। কারুর ফুপু, কারুর খালা। তো যাইহোক, এই আজব পরিবারের সবচেয়ে আজব চরিত্র হল ছোটাচ্চু যে পড়ালেখা শেষ করে কাজকর্ম না করে সিদ্ধান্ত নেয় ডিটেক্টিভ এজেন্সি খোলার। বাড়ির বড়রা ব্যাপারটাকে যেমন ভাবেই নিক না কেন, ছোটরা ব্যাপক উৎসাহিত হয়। সকলেই চায় ছোটাচ্চুর দলে যোগ দিতে। কিন্তু সকলে তা না পারলেও, কিছু মজাদার ঘটনাপ্রবাহের মাধ্যমে টুনটুনি ঠিকই ছোটাচ্চুর দলে ঢুকে পড়ে। তারপর থেকে ছোটাচ্চুর হাতে আসা ছোটখাট যেকোন কেসেই টুনটুনি অগ্রণী ভূমিকা রাখতে শুরু করে। বাস্তববুদ্ধিহীন ছোটাচ্চু বারবার ধরা খেলেও, টুনটুনি তার অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার সাথে সেগুলোর সমাধান করে ফেলে। তবু ছোটাচ্চু নিজের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে টুনটুনিকে তুচ্ছ জ্ঞান করে এবং নিজে কেরদানি দেখাতে গিয়ে বারবার বিপদে পড়ে। তখন বাঁচায় কিন্তু সেই টুনটুনিই। এমনকি উপন্যাসের শেষের দিকে ছোটাচ্চু দুইটা বড় রকমের কেস পায় আর টুনটুনি স্বয়ং সেইগুলো সলভ করে বুঝিয়ে দেয় যে সে ছোট হলে কি হয়েছে, সে ছোটাচ্চুর চেয়ে আসলেই অনেক বুদ্ধিমান। আর এভাবেই সে ছোটাচ্চুর ডিটেক্টিভ এজেন্সিতে তার সত্যিকারের সম্মানজনক পদ লাভ করে! গোটা ব্যাপারটা কিভাবে হয়, সে এক মজার ইতিহাস। সেই ইতিহাসের সাক্ষী হতে বা নিজেরাও যোগ দিতে চাইলে 'টুনটুনি ও ছোটাচ্চু' পড়তেই হবে। পাশাপাশি স্যার এই বইতেও অতি সুক্ষ্মভাবে কিছু মেসেজ দিতে চেয়েছেন তার পাঠকদের। যারা টুনটুনির মত বুদ্ধিমান, তারা আশা করি সেসব মেসেজের অন্তর্নিহিত অর্থ উদ্ঘাটন করতে ও নিজেদের জীবনকে সুন্দর করে সাজাতে পারবে।

One of my favourite bangla series. Started reading this series when I was a kid. A mystery genre book with little humour and Easy writing style of writer made this book a very delighted reading experience. Recommended for reading

Fatafiti

অসাধারণ ডিটেকটিভ গল্পের একটি বই। টুনটুনি নামের একটি ছোট মেয়ে কিভাবে নানান বড় সমস্যার সমাধান সহজেই বের করে ছোটাচ্চুকে তাক লাগিয়ে দেয় তা অসাধারণ ভাবে জনাব জাফর ইকবাল স্যার ফুটিয়ে তুলেছেন। সেইসাথে বড়দের দিয়ে ছোটদের মূল্যায়নের একটি গোপন বার্তাও তিনি এ বইটিতে দিয়ে গিয়েছেন। সেই সাথে গল্প পড়ার আনন্দও।

ড.মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের লেখা অন্যতম সেরা একটি বই এটা। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র হচ্ছে একটি ছোট্ট মেয়ে যার নাম টুনটুনি। আর অন্যতম প্রধান চরিত্র হচ্ছে তার ছোট চাচা শাহরিয়ার যাকে তারা ছোটাচ্চু বলে ডাকে।টুনিদের বাসায় সদস্য অনেক। আর তাদের এই বৃহৎ পরিবারটা একদমই অন্যরকম, যা বইটা না পড়লে বোঝা যাবে না।ছোটাচ্চু একজন প্রফেশনাল গোয়েন্দা।যদিও তা প্রমাণ করতে তাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। গোয়েন্দাগিরি শুরু করার প্রথমদিকে টুনটুনি ছোটাচ্চুর কাছে গিয়ে তার অ্যাসিস্ট্যান্ট হতে চায়।কিন্তু ছোটাচ্চু তার কথার কোন মূল্যই দেয় না।পরবর্তীতে একটি কেস সল্ভ করতে গিয়ে ছোটাচ্চু কোন কূল-কিনারাই পায় না।অথচ,টুনি খুব সহজেই তার সমাধান করে ফেলে।এইবার ছোটাচ্চু টুনটুনিকে মূল্যায়ন করে।এভাবে গল্পের কাহিনী এগোতে থাকে। বইটি কিশোর আলো ম্যাগাজিনে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। এখন পর্যন্ত এই সিরিজের বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। আর,প্রতিটি বইই অসাধারণ। জাফর ইকবাল স্যারকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি বই উপহার দেয়ার জন্য।

জাফর ইকবাল স্যারের কাছ থেকে আমরা পাঠকরা যেমন কিশোর উপন্যাস পেয়েছি তেমনি পেয়েছি সাই-ফাই উপন্যাস।কিন্তু আমাদের গোয়েন্দা উপন্যাসের চাহিদা ছিল অনেক আগে থেকেই।এবার সেই চাহিদা পূরণ করলেন তিনি টুনটুনি ও ছোটাচ্চুর মাধ্যমে আর এটাই সম্ভবত আমার পড়া জাফর ইকবাল স্যারের সেরা বই।এখানে ছোটাচ্চু অর্থাৎ শাহরিয়ার তার বিশাল পরিবারের সবচেয়ে ছোট ছেলে।তার বড় ভাই-বোনেরা সবাই বিবাহিত এবং তাদের ছেলেমেয়েতে সারা বাড়ি ভরপুর।ছেলেমেয়েরা তাদের ছোট চাচা আর মামাকে আদর করে ছোটাচ্চু বলে।ছোটাচ্চুর পড়ালেখা শেষ তাই সে বেকার না থাকার জন্য খুলে বসে একটি প্রাইভেট ডিটেকটিভ এজেন্সি যার নাম দেওয়া হয় দি আলটিমেট ডিটেকটিভ এজেন্সি।টুনি অর্থাৎ সেই বিশাল বাড়ির একটা চরিত্র যার বয়স পাক্কা ১১ বছর তিন মাস।সে বাচ্চা হলেও মুখে বয়স্ক বয়স্ক ভাব।সে ঘটনাক্রমে জোরপূর্বকভাবে আলটিমেট ডিটেকটিভ এজেন্সিতে ছোটাচ্চুর এসিস্ট্যান্ট হয়ে যায়।কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় ছোটাচ্চুর কাছে আসা সব কেস টুনি নিজের বুদ্ধি দিয়ে চমৎকারভাবে সমাধান করে দেয়।তখন সবাই বুজতে পারে যে টুনি সত্যিকার অর্থেই আলটিমেট ডিটেকটিভ এজেন্সিতে ছোটাচ্চুর এসিস্ট্যান্ট।পরবর্তীতে আসা বিভিন্ন কেসে মজার মজার সব ঘটনা হতে থাকে আর টুনি বিভিন্ন উপায়ে সেগুলোর সমাধান করতে থাকে।এই উপন্যাসের আরো কয়েকটি চরিত্র হলো : শান্ত(সবচেয়ে শয়তান),ঝুমু খালা(কাজের লোক),ফারিহা(ছোটাচ্চুর গার্লফ্রেন্ড),টুম্পা(সবচেয়ে শান্ত),দাদি ইত্যাদি।বইটি এতই মজাদার যে প্রত্যেকটা লাইন পড়ে পাঠক হেসে উঠবেন।টুনির বুদ্ধিমত্তা,ছোটাচ্চুর সরলতা আর বাচ্চাকাচ্চাদের দুষ্টুমিতে টাসা এই বইটি সকল বয়সি পাঠকদের মন জুড়াবে।

অসাধারণ একটি বই। টুনটুনি ও ছোটাচ্চু একটি ডিটেকটিভ বই কিন্তুু এতে আরো অনেক হাস্যকর ঘটনা রয়েছে। সব মিলিয়ে একটি কিনার মত বই।

যেকোনো বয়সের জন্য উপযোগী একটি বই। এই উপন্যাস অনুসারে একটি সিনেমা নির্মাণ হলেও অবাক হবো না।

প্রথমে টুনটুনি ও ছোটাচ্চু কিশোর উপন্যাসটি কিশোর আলো ম্যাগাজিনে পড়া শুরু করেছিলাম এবং শেষ ও করে ফেলেছি...যখন জানলাম বই বের হবে...তখন বইটি কিনে আবার পড়লাম ... উপন্যাস টি এত মজার যে বারবার পড়তে ইচ্ছা করে...জাফর ইকবাল স্যার এর লেখা অসাধারন...

ছোটাচ্চু যখন প্রাইভেট ডিটেকটিভ এজেন্সি খুললো টুনি নামের(টুনটুনি) ছোট্ট মেয়েটি সেই সংস্থার মেম্বার বা সহকারী গোয়েন্দা হতে চাইলো। কিন্তু ছোটাচ্চু তাকে কোন পাত্তাই দিলনা। কিন্ত মাত্র দুদিন যেতে না যেতেই দেখা গেল ছোটাচ্চু তেমন কোন সমস্যার সমাধানই করতে পারেনা। উপরন্তু টুনটুনি নামের ছো্ট্ট মেয়েটি খুব সহজেই সব গোয়েন্দাগীরি করে বের করে ফেলে। একদিন দুদিন করতে করতে এক সময় ছোটাচ্চু টুনটুনিকে মোটামুটি মুল্যায়ন করতে শুরু করে। তোমরা কি ভেবেছ? ছোট বলে তুমি গোয়েন্দা হতে পারবেনা? সেটা মোটেই ঠিক নয়। টুনটুনি যদি পারে তুমিও পারবে। কিশোর আলোতে উপন্যাসটি ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে তার পরও বইটি হাতে না পেলে তোমাদেরতো ভাল লাগার কথা নয়। অসাধারণ এই বইটি এই বই মেলায় বেরিয়েছে। চাইলেই ঘরে বসে বইটি রকমারি থেকে কিনে নিতে পার। আর টুনটুনির সাথে তুমিও যোগ দাও গোয়েন্দা দলে।