User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
উৎপল শুভ্র এর লেখার বৈশিষ্ট্য এমন যে একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে ওঠা যায় না।
Was this review helpful to you?
or
Good book. Order korar ekdin porei amake boita diye gese and boitar lekha khub valo thanks utpal shuvro dada
Was this review helpful to you?
or
শচীনের বই পড়া শেষ । রেটিং: ভালোই । কারণ বিশেষণ পদের প্রাচুর্যের আবরণে যথেষ্ট ফাঁকিবাজি ও চালাকি করা হয়েছে পাঠকের সাথে । পরিসংখ্যান নির্ভর, শাহাদুজ্জামানের ' একজন কমলালেবু '-র মতো কোটেশনবহুল এবং ফিচার আমেজের লেখা । শচীনের বইয়ে ব্যক্তি শচীনকে আরেকটু ভালো মতো জানা যাবে, এমন আশা ছিলো । শচীন প্রেমীরা পড়তে পারেন । মন্দ লাগবে না আশা করি ।
Was this review helpful to you?
or
বইটি খুবই ভালো লেগেছে। সহজ ভাষায় লেখা।
Was this review helpful to you?
or
লেখকের ভাষায়- যে বছর খেলোয়াড় হিসেবে শচীন টেন্ডুলকারের আন্তর্জাতিক অভিষেক, সেই একই বছর ‘লেখোয়াড়’ হিসেবে অভিষেক তাঁরও। সেই উৎপল শুভ্র আবার হাজির ছিলেন মুম্বাইয়ে, টেন্ডুলকারের বিদায়ী ম্যাচ দেখতে। সেদিন মাঠ-গ্যালারির মতো ওয়াংখেড়ের প্রেসবক্সও আবেগে টইটম্বুর। সেই আবেগ-তরঙ্গে বসে টেন্ডুলকারকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে শুভ্র আবিষ্কার করলেন, অলৌকিক কিছু যোগসূত্র! যার ফসল এই বইটি। কিছু যোগসূত্র বলে দিয়েছেন প্রথমেই। ১৫ নভেম্বর অভিষেক হয়েছিল টেন্ডুলকারের। দুই যুগ পর সেই ১৫ নভেম্বরেই শেষবারের মতো নামলেন ব্যাট হাতে! ৬৬৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। কিশোর টেন্ডুলকারকে প্রথম আলোচনায় আনা সেই স্কুল ক্রিকেটের বিখ্যাত জুটিটাও ৬৬৪ রানের! টেন্ডুলকার যখন শেষবার ব্যাট হাতে নামেন, ভারতীয় সময়ে ঘড়ির কাঁটায় যখন ৩টা বেজে ৩৪। ১৯৮৯ সালে যখন অভিষেকে ব্যাটিং করতে নেমেছিলেন পাকিস্তানের করাচিতে, ভারতীয় ঘড়িতেও তখন সময় ছিল ৩টা ৩৪! রানের বন্যায় মাঠ ভাসিয়ে, সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরির মালা গেঁথে ক্রমশ হয়ে উঠেছেন ক্রিটারের সমার্থক। এই বই শুধু সেই রান আর সেঞ্চুরির গল্পই নয়, মানুষ টেন্ডুলকারও দেখা দিয়েছেন অন্তরঙ্গ আলোকে। ক্রিকেট ইতিহাসের আয়নায় উঁকি দিয়ে গেছেন ডন ব্র্যাডম্যান, ভিভ রিচার্ডস, সুনীল গাভাস্কার ও ব্রায়ান লারার মতো অনেক রথী-মহারথীও। এঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে লেখকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বইটিতে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। সবশেষে শচীন সম্পর্কে বলতে গেলে- শচীন রোল মডেল। শচীন রূপকথা। শচীন স্বপ্ন। মোট ৬৩১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ৩৩,৮১৪ রানই ক্রিকেটার হিসেবে একমাত্র বিচার্য বিষয়? ডনের সঙ্গে তুলনা এসেছে, কেউ কেউ হয়তো এখন তাঁর থেকে এগিয়েও রাখবেন। কিন্তু ২৩ বছরের ক্রিকেট জীবন। কতবার ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন। সমালোচনা হয়েছে, অতি আবেগে চাপের আগ্নেনয়গিরির উপরেও বসেছেন। এভারেস্টসম প্রত্যাশায় নত হয়েছেন, আবার সব ঠেলে শিখরেও উঠেছেন। শুধু কী তাই? শচীন মানে একটা কোম্পানিও। ১৭টি কোম্পানি তাঁকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করেছে। কিন্তু তিনি অবিচল ছিলেন বলেই অপরাজেয়। জীবন্ত কিংবদন্তী। ক্রিকেটের ঈশ্বর... ...
Was this review helpful to you?
or
'শচীন রূপকথা' বইটি পড়া শুরু করার আগে এমনকি বইয়ের সূচিপত্রে চোখ বুলানোর পরও কেবল একটা কথাই মনে হচ্ছিল - এখানে বুঝি শুধুই শচীনের জয়গান গাওয়া হয়েছে। হ্যাঁ, তা অবশ্যই হয়েছে কিন্তু যেভাবে তা হয়েছে তা আমার কল্পনার বাইরে ছিল। আমি ভেবেছিলাম, হয়ত সেই একঘেয়ে 'শচীন' 'শচীন' টাইপের প্রেডিক্টেবল জয়গান গাওয়া হবে শচীনের যেখানে কেবল আরোপিত ভঙ্গিতে যতটা পারা যায় শচীনকে উপরে তোলা হবে, বাস্তবতাবিবর্জিত কথাবার্তা এনে মূল বক্তব্য থেকে সরে যাওয়া হবে, যেমনটা ঘটেছে শচীনকে নিয়ে লেখা অন্য অনেকের অনেক লেখায়। কিন্তু না। যে বইয়ের লেখক উৎপল শুভ্র, সেই বইয়ে স্রেফ মুখের কথায় একজন ব্যক্তির স্তুতিবাক্য গীত হওয়া অসম্ভব। বইয়ের নামে হয়ত রূপকথার উল্লেখ রয়েছে কিন্তু উৎপল শুভ্র একটিবারের জন্যেও শচীনকে রূপকথার চরিত্রদের মত মাত্রাতিরিক্ত স্নেহদৃষ্টি বর্ষণ করেননি। উৎপল শুভ্র লেখা শুরু করেছেন একদম সেই শুরু থেকে। যেখান থেকে শচীনের শুরু। সেই থেকে শচীনের বিখ্যাত বিদায় ভাষণ, সবই অতি যত্নের সাথে তুলে ধরেছেন। তবু কোথাও একটিবারের জন্য বাগাড়ম্বরকে ঠাই দেননি। অতি সাবলীল ভঙ্গিতে শচীনের 'শচীন' হয়ে ওঠার গল্প শুনিয়েছেন। হ্যাঁ, কখনো হয়ত শচীনের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশকে ঢাকতে পারেননি। কিন্তু তা কি কারো পক্ষেই সম্ভব? 'শচীন টেন্ডুলকার'কে নিয়ে কথা বলতে কার না গলা অনুরণিত হয় না? শচীনকে নিয়ে লিখতে গিয়ে কার না লেখায় আবেগের জোয়ার আসে না? উৎপল শুভ্রের লেখায়ও তা হয়েছে কিন্তু তবু কখনো তিনি আলোচ্য বিষয় থেকে সরে আসেননি। নিরাবেগভাবে হয়ত নয় তবু যথেষ্ট পরিপক্বভাবে এক মহান ক্যারিয়ার ও এক মহান জীবনার্ধের বয়ান দিয়ে গেছেন তিনি। শচীনের সাথে নিজের সরাসরি আলাপচারিতা আর শচীনের ব্যাপারে নিজের স্মৃতি কিংবা স্মৃতিকাতরতার যে দেখা মিলেছে লেখায়, তা পড়ে নিশ্চিতভাবেই পাঠক এই উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সাংবাদিকের চোখে নতুন করে ব্যক্তি ও ক্রিকেটার উভয় শচীনকেই চিনতে সমর্থ হবে। পাশাপাশি এই বইয়ের অসাধারনত্বের পেছনে নতুন মাত্রা নিয়ে এসেছে ব্রায়ান লারা, ভিভ রিচার্ডস আর স্যার ডন ব্রাডমানকে নিয়ে লেখা আলাদা আলাদা তিনটি অধ্যায়। ব্রায়ান লারার সাথে শচীনের দ্বৈরথ, কেন লারাকে অনেকেই শচীনের আগে রাখেন বা রাখতেন এবং কেন একটা সময় সেই তুলনার বেগ স্তিমিত হয়ে আসে, সেসবের কার্যকারণ দারুণভাবে ফুটে উঠেছে এই লারাকে নিয়ে লেখা অধ্যায়টিতে। ক্রিকেট ইতিহাসের মনোযোগী ছাত্র যারা নন, তাদের জন্য নতুন করে ভিভ রিচার্ডস আর ডন ব্রাডমানকে চেনার দ্বার উন্মোচন করবে তাঁদের নিয়ে লেখা অধ্যায়গুলো। কখনো নিজেদের চোখে তাঁদের খেলা যদি কেউ নাও দেখে থাকে, তদসত্ত্বেও স্রেফ লেখকের চমৎকার লেখনীর গুণে পাঠক প্রেমে পড়ে যাবেন তাঁদের। আর এই বইয়ের সবচেয়ে চমকপ্রদ যে দিক তা হল উক্ত তিন লিজেন্ডকে নিয়ে লেখা অধ্যায় তিনটি পড়ার পর অনুমিতভাবেই পাঠকের মনে নতুন প্রশ্ন এসে উঁকি মারবে, আসলে কে সেরা? শচীন কি আসলেই এদের থেকে সেরা? আর তা না হলে কি কারণে এঁদেরকেও সেরার আসনে বসানো যায়? এসব প্রশ্নের উত্তর উৎপল শুভ্র দেননি। তিনি যে কাজটি করেছেন তা হল ব্যক্তি জীবন আর খেলোয়াড়ি জীবনে ঐ তিন কিংবদন্তী কেমন ছিলেন তা বিশদভাবে তুলে ধরেছেন তাঁর লেখায়। বাকি কাজ ছেড়ে দিয়েছেন পাঠকের কাছে এবং আরও বেশি করে মহাকালের কাছে। যাইহোক, শুধু শচীনকে নিয়ে যেটুক লিখেছেন লেখক, তা পড়লে শচীন সম্পর্কে নিঃসন্দেহে নতুন করে ভালো লাগা জন্মাবে, নতুন করে তাঁর শ্রদ্ধায় অবনত হতে হবে। কিছু কিছু জায়গায় চোখে আপনা আপনি জল চলে আসার মত বিব্রতকর পরিস্থিতিও হতে পারে। তবু মনে একটা খচখচানি থেকেই যাবে। শচীনই সর্বকালের সেরা কিনা বা অন্তত ডন ব্রাডমানের পর দ্বিতীয় সেরা কিনা, সে প্রশ্নের জবাব এই বইয়ে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও পাওয়া যাবে না। লেখক নিজে থেকে কোন চেষ্টাই করেননি ক্রিকেট বিশ্বে সেরা কে তা নিয়ে লেগে থাকা চিরন্তন ধাঁধার জট ছাড়াতে। কিন্তু উৎপল শুভ্রের অসামান্য ক্রিকেটীয় বিশ্লেষণ পড়ার পর পাঠক হয়ত নিজেই উদ্যোগি হবে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে। আর এখানেই তো লেখকের সফলতা। তিনি শুধু ১৮০ পাতার একটা বই-ই লেখেননি, তাতে এমন কিছু জাদুকরী উপাদান যোগ করেছেন যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাঠককে বয়ে বেড়াতে হবে জীবনের অনাগত দিনগুলোতে! সবশেষে শচীনের গোটা ক্যারিয়ারের আদ্যপান্ত বিভিন্ন পরিসংখ্যানের সাহাযে যেভাবে দেখানো হয়েছে এই বইতে, তা যে এক অনবদ্য সংযোজন সে কথা অনস্বীকার্য। এই বই পড়ার পর আরও একটা বিষয় পাঠক স্বীকার না করে পারবেন না যে উৎপল শুভ্র হলেন এই দেশের সেরা লিখিয়ে, as far as cricket is concerned!