User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
দ্যা ওয়েলদিয়েস্ট ভ্যাগাবন্ড ইন ইউরোপ খ্যাত আলফ্রেড নোবেল বরাবরই জীবন সম্পর্কে বিতৃষ্ণ, প্রচন্ড সন্দেহ বাতিকগ্রস্ত এক বৈষয়িক সফল নায়ক। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই এতোটুকুও। অনেকটা ধোলাইখালের ইঞ্জিনিয়ার টাইপ।যদিও কাজ শিখেছেন বিখ্যাত লোকদের কাছে। প্রেমের আবেগে ভেসেছেন তিন তিন বার, বিয়েথা করেননি যদিও। প্রথম প্রেমের সলিল সমাধি প্রকাশের আগেই। দ্বিতীয় প্রেমে পড়াও আকস্মিক। ব্যক্তিগত সহকারী বার্সার সাথে। যিনি নোবেলের প্রেমে ধরা দিতে গিয়েও পুরোনো প্রেমিক আর্থার সাথে ঘর বেঁধেছেন চাকুরী ছেড়ে। যদিও আমৃত্যু যোগাযোগ ছিলো নোবেলের সাথে, ছিলো বন্ধুত্ব। নেবেল বানিয়েছেন একের পর এক মরনাস্ত্র আর বার্সা করে গেছেন যুদ্ধবিরোধী আন্দোলন। যেই আন্দোলনের স্বীকৃতি সরূপ তিনি ১৯০৫ সালে পেয়েছেন নোবেল পুরস্কার। আরো একবার ভুল প্রেমের শিকার হন আলফ্রেড নোবেল। সোফির সাথে, যাকে তিনি ফুল পাঠাতেন মিসেস নোবেল লিখে। যদিও সোফিকে মানেননি আবার ছাড়েনওনি। রাজনৈতিক ভাবে সমাজতন্ত্রের প্রতি সমর্থন থাকলেও নিজের ধনবাদী অবস্থান থেকে ডিক্লাসড হননি কখনো। প্রেমের ক্ষেত্রেও তিনি কেবল ভেসে বেড়িয়েছেন, ডাঙায় ঘেঁসতে পারেননি। আলবার্ট আইনস্টাইন। বিজ্ঞানের জগতে এক ম্যাজিক্যাল নাম, এক মহাকাব্যিক নাম। মেধা, প্রজ্ঞা, খ্যাতি, আবিষ্কার কোন কিছুতেই তাঁকে ছাপিয়ে যেতে পরেননি কেউ। E=mc2 তাঁর মহাকাব্যিক আবিষ্কার। পদার্থ বিজ্ঞানের পাশাপাশি তিনি প্রায় সারাটা জীবন ছুটে বেড়িয়েছেন ভালোবাসার পেছনে। নিজের সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়নও তাঁর সাক্ষ্য দেয়। “অবশ্যই কাউকে না কাউকে ভালোবসতে হয় আমাকে”। প্রথম প্রেম মেরি উইন্টেলার সাথে। ভালো বেহেলা বাজাতেন আইনস্টাইন, মেরি বাজাতো পিয়ানো। সুরের যুগল, সাথে প্রেমেও। কিন্তু জুরিখের পলিটেকনিক এ ভর্তির পরপরই আকৃষ্ট হন গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞানে তুখোড় মিলেইভা মেরিক-এর প্রতি। সাথে প্রাইমারী শিক্ষিকা সুজান কিংবা অ্যানার প্রতিও মন টানে। অ্যানার খাতায় একবার লেখেন “কঠিন শাস্তি সেটাই হবে/ চুমুর বদলে দিলে চুমু”। সম্পর্ক এগোয়নি। মিলেইভার সাথেই চলে অবাদ মেলামেশা। গর্ভে আসে সন্তান। প্রস্তুত ছিলেন না আইনস্টাইন। নিজেই জন্মদেন মিলেইভা। নাম রাখেন লিজেরেল। বেশ কিছুদিন পর যখন তাঁরা বিয়ে করেন তখান থেকেই কেউই মুখ খুলেন নি বিবাহপূর্ব সন্তান নিয়ে। কেউ বলে তাকে ছোট বেলাতেই দত্তক দিয়ে দেয়া হয়েছে, কেউ বলে মারা গেছে। বিষয়টি রহস্য ঢাকা। বিয়ের পর গুটিয়ে পড়ে মিলেইভার জীবন। দুই সন্তান জন্মদেন পর পর। ছিটকে পড়েন পড়াশুনা থেকে। আইনস্টাইন-এর খ্যাতির সাথে জ্যামিতিক হারে কমে মিলেইভার আত্মবিশ্বাস। আইনস্টাইন এর জীবনে আবারো প্রেম হানা দেয়। খালতো বোন এলসা। মিলেইভাকে অসহ্য লাগে।তার সম্পর্কে মূল্যায়ন হচ্ছে- মিলেইভা হল আমার এমন এক কর্মচারী যাকে ইচ্ছে করলেই ছাটাই করতে পারছিনা। নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য মিলেইভাকে দিয়ে দিবেন এই শর্তে ডিভোর্স হয় তাঁদের। বিয়ে করেন এলসাকে। জুলিয়া আরেক বান্ধবীর নাম। যে প্রেম সম্পর্কে পরামর্শ চেয়েছিলো আইনস্টাইনের কাছে। তখন বয়স ২০। আইনস্টাইন পরামর্শ দিয়েছিলেন পাকা! “কারো কাছে সুখের প্রত্যাশা করা উচিত হবেনা। এমনকি যাকে ভালোবাসো তাঁর কাছ থেকেওনা। যে মানুষটি আজ তোমাকে ভালোবাসে কালই হয়তো সে বদলে যাবে। আজ যাকে তোমার বিশ্বস্ত মনে হচ্ছে সে কালই হয়তো তোমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে”। জুলিয়া পরামর্শ মেনে সারাজীবন কুমারীই থেকেছেন! অন্যদিকে শেষ জীবনে এসে আইনস্টাইনের মনে হয়েছে তিনি মারাত্মক অবিচার করেছেন মিলেইভার প্রতি। চারজন বিজ্ঞানীর ব্যাক্তিগত প্রেম ও বিজ্ঞান জগতে বিচরণ নিয়ে লিখা বই কোয়ান্টাম ভালোবাসা। প্রদীপ দেবের অসাধারণ লেখনীর স্বতঃস্ফুর্ত সাবলীলতায় আর অসাধারণ গতিতে এটি হয়ে উঠেছে এক অসাধারণ সাহিত্য। যা একবার মনে হবে জীবনিগ্রন্থ আবার মনে হবে প্রেমের উপন্যাস। পাবেন মীরা প্রকাশন এ। অনুরোধ রইলো পড়ার। প্রদীপ দেব চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে কৃতিত্বপূর্ণ ভাবে স্নাতকোত্তর শেষে নিউক্লিয়ার ফিজিক্সে পিএইচডি করেছেন দ্যা ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্নে। শিক্ষকতা করেছেন মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটি, ট্রিনিটি কলেজ, অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটি, ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটি, তাসমানিয়া ইউনিভার্সিটিতে। বর্তমানে রেমিট ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষকতা করছেন।