User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Lovely book
Was this review helpful to you?
or
এ যেন একের ভেতর তিন। আত্মজীবনী মূলক বই হলেও এর পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে রঙ-ঢং, হাসি-তামাশা এবং সুখ-দুঃখের চমৎকার বর্ণনা। আছে জীবন থেকে শেখার মতো নানা উপাদান। সায়ীদ স্যারের লেখা সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। হাসির ঝাঁপি নিয়ে যেন বসে থাকেন পাঠকের জন্য। শৈশবে মা হারানো, গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ফিরে আসার মতো সব ঘটনায় ভরে আছে পুরো বই।
Was this review helpful to you?
or
লেখকের ছোটবেলার গল্প পড়তে পড়তে নিজের অনেক ঘটনা মনে পড়ে গেছে। আমিও স্কুলের দিনগুলোতে ফিরে ফিরে গিয়েছি। মনে হচ্ছিল লেখক আমার সামনে বসে তাঁর জীবনের গল্প বলে যাচ্ছেন আর আমি গোগ্রাসে তাঁর কথাগুলো গিলছি।নিজের ভুলতে বসা নানান স্মৃতি মনে পড়েছে। সবচেয়ে ভাল লাগার কয়েকটি লাইন "যার সম্মান এত্তটুকুন সে-ই সবসময় সেটুকু হারিয়ে ফেলার ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে থাকে। তাই সে ছোট কাজ করতে ভয় পায়। কিন্তু যার সম্মান অনেক তাঁর এই ভয় নেই উল্টো ছোট কাজের ফলে তাঁর সম্মান আরও বেড়ে যায়"
Was this review helpful to you?
or
লেখক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এই বইয়ে তাঁর ছোটবেলার অনেক বর্ণনা দিয়েছেন। অনেকটা স্মৃতিচারণ মূলক লেখা। যারা আগে স্যার আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এর লেখা পড়েছেন তারা আশা করি বুঝতে পেরেছেন তাঁর লেখনীর গভীরতা। এক একটি ঘটনার বর্ণনা এতই সাবলীলভাবে দিয়েছেন, যেন চোখ সুপারগ্লু দিয়ে বইয়ের পৃষ্ঠার সাথে লাগিয়ে দিতে যানেন। আগের লাইন পড়ার পর আপনার অনুভূতি কি সেটা নির্ধারন করতে হবে! তারপর পরের লাইন এ যাবেন! যে কারনে বইটি সবচেয়ে ভালো লেগেছে, আপনাদের লাগবে এবং অনেকের লাগবেনা সেটা হল - ভিজুয়ালাইজেশন। লেখক যে সব দৃশ্যের বর্ণনা দিয়েছেন সেগুলোর মধ্যে কিছু কিছু দৃশ্য খুব সহজেই কল্পনা করা যায়, মনে হয় নিজের চোখে দেখা। আবার কিছু কিছু দৃশ্য যেন শুধু্ই লেখকের ব্যাক্তিগত সম্পত্তি! কোন ভাবেই মাথায় আনতে পারিনা। শব্দচয়ন? এত অস্বাভাবিক সুন্দর কিছু লাইন আছে যে সেটা ছেড়ে পরের লাইনে যেতে ইচ্ছে হবে না। মনে হবে এই বাক্যটাই শুধু পড়তে থাকি! অসাধারণ রসবোধ এই মানুষটির! পড়ার পর বইটি অন্য বই থেকে আলাদা করে রাখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে পারেন। কেন!! এত রসালো একটি বই যদি অন্য বই গুলো ভিজিয়ে দেয়! নিজের অনেক সীমাবদ্ধতা তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন। এজন্যই নিজের গুনের বর্ণনা যখন করেছেন সেটাকে শ্রদ্ধার সাথে মেনে নিতে হয়েছে। এবার বই থেকে ছোট দু-একটি ঘটনার কথা বলি যেন কিছুটা আঁচ দেয়া যায় বইটি সম্পর্কে।
Was this review helpful to you?
or
অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের শৈশবের রঙিন দিনগুলোর গল্পই ‘আমার বোকা শৈশব’ বইটিতে পাওয়া যাবে। এটা একটা আত্মজীবনীমূলক বই। এই বইয়ে স্যার তাঁর শৈশবকালে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা স্মরণ করেছেন এবং গভীর অনুসন্ধানী মন নিয়ে তাঁর শৈশবের বিভিন্ন আচরণের পিছনে কোন কোন প্রবণতা কাজ করেছে তা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের বাবা সব সময় একটা কথা বলতেন। তা হল, ‘বোকা হোস’। এই বোকা হওয়া মানে বেকুব হওয়া নয়। বরং এই বোকা হওয়া মানে জগতের যাবতীয় স্বার্থবুদ্ধিহীন হওয়া। এই বোকা হওয়া মানে নিজের লাভ-লোকসানের কথা ভুলে অন্যের সাহায্যে ঝাঁপিয়ে পড়া। স্যার তাঁর ছোটবেলা থেকেই এমন বোকা ছিলেন এবং বাকি জীবনেও এই বোকামি করে গেছেন। স্যারের ছোটবেলা থেকেই মঞ্চে উঠার খুব আগ্রহ ছিল। একবার স্যারের স্কুলে একটা অনুষ্ঠান হল। সেখানে যারা যারা নাচ, গান, আবৃত্তিতে অংশগ্রহণ করবে তাদের একটা তালিকা তৈরি করা হল। স্যার ছোটবেলায় খুব লাজুক ছিলেন। এ কারণে কোন কিছুই ঠিক মত করতে পারতেন না। তাই সে তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। কিন্তু যাদের নাম তালিকায় নেয় তাদেরও মঞ্চে উঠার একটা ব্যবস্থা করা হল। তারা একটা গানের মাঝখানে মঞ্চের এক পাশে থেকে আরেক পাশে হেঁটে যাবে। এত স্যারের জন্যে এক বিরাট সুযোগ। এক মুহূর্তের জন্যে হলেও তিনি মঞ্চে উঠতে পারবেন। এই উত্তেজনায় স্যার দুপুরে ঘুমাতে পারলেন না। তাঁর মঞ্চে উঠার কথা ছিল সন্ধ্যায়। কিন্তু বিকেল শেষ হতেই ঘুমে তাঁর দু’চোখ বন্ধ হয়ে আসার জোগাড়। তাঁর বাসা স্কুলের কাছেই ছিল। তাই তিনি ভাবলেন একটু ঘুমিয়ে আসা যাক। বাসায় গিয়ে মাকে বললেন তাঁকে একটু পর ঘুম থেকে ডেকে তুলে দিতে। কিন্তু যখন তাঁর ঘুম ভাঙলো তখন দেখেন ঘড়িতে আটটা বাজে। ততক্ষণে অনুষ্ঠান শেষ। মা তার ক্লান্ত ছেলের ঘুম ভাঙাতে চান নি। কিন্তু মা তো আর জানেন না তিনি ছেলের কাছে থেকে কী মহামূল্যবান একটা সুযোগ ছিনিয়ে নিয়েছেন। অভিমানে স্যারের দু’চোখ ফেটে জল চলে আসলো। এই ঘটনার পরবর্তী বিশ্লেষণে স্যার লিখেছেন, মঞ্চের প্রতি তাঁর টান আজন্ম। মঞ্চের আহ্বানে তাঁর রক্ত কলকলিয়ে ছলছলিয়ে উঠে। তাই পরবর্তী জীবনেও তিনি দীর্ঘ সময় মঞ্চের সাথে জড়িত থেকে কাটিয়েছেন। এ রকম স্যারের শৈশবকালের অসংখ্য ঘটনা ও স্যারের জীবনের প্রেক্ষাপটে সে সবের বিশ্লেষণ ‘আমার বোকা শৈশব’ বইটিতে পাওয়া যাবে। স্যারের সম্মোহনী গদ্যের ভাষা আর অসাধারণ ঘটনা পরম্পরা পাঠককে চুম্বকের মত বইটির সাথে আটকে রাখবে। স্যারের লেখার ভক্ত সব পাঠকের জন্যে ‘আমার বোকা শৈশব’ বইটি অবশ্যপাঠ্য।