User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অবশ্য পাঠ্য একটি অসাধারণ বই
Was this review helpful to you?
or
ভালো বই পড়ছি
Was this review helpful to you?
or
আসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
Eloquent account of an amazing professional diplomat who witnessed so many important historical events and great leaders over more than 5 decades. A fantastic piece for someone interested in Bangladesh’s history, her journey in different international context and development story. Highly recommended.
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই
Was this review helpful to you?
or
এক মহতি ব্যক্তির জীবনের সুখপাঠ্য জীবনী।
Was this review helpful to you?
or
জীবনের বালুকাবেলায় ফারুক চৌধুরী সপ্তম মুদ্রণঃ ডিসেম্বর ২০১৮ প্রকাশকঃ প্রথমা প্রকাশন বই পড়াকে যেসকল বিষয়ের সাথে তুলনা করা হয় তার মধ্যে একটি হতে পারে লেখকের চোখ দিয়ে বিশ্বকে অবলোকন করা। অর্থাৎ যখন কোনো দেশ, সমাজ, সংস্কৃতি বা দর্শন সম্পর্কে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা লাভ করা সম্ভব হয় না, তখন আমরা লেখকের চোখ দিয়ে তা দেখার চেষ্টা করি। ‘জীবনের বালুকাবেলায়’ বইটি লেখকের চোখ দিয়ে ধারণকৃত পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রের কতগুলো খণ্ডিত চিত্রের সমন্বয়। কর্মজীবনে উপমহাদেশের রাজনীতিতে নানামুখী পরিবর্তন এবং এই পরিবর্তনে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যাক্তির সাথে লেখকের সান্নিধ্যের কারণে এই খণ্ডিত চিত্রগুলোর মধ্যে এমন কিছু দৃশ্য স্থান পেয়েছে যা রাষ্ট্রগুলোর তৎকালীন শক্তিশালী নেতা এবং তাঁদের পররাষ্ট্রনীতিকে চমৎকারভাবে সামনে নিয়ে এসেছে। ফারুক চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৪ সালে, তিনি ফরেন সার্ভিসে যোগদান করেন ১৯৫৬ সালে এবং অবসর গ্রহণ করেন ১৯৯২ সালে। অর্থাৎ তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন ব্রিটিশ সময়কালে, চাকুরি পেয়েছেন পাকিস্তান সময়কালে এবং অবসর গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশ সময়কালে। এই বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে লেখক যেমন কাজ করেছেন ইয়াহিয়া –ভূট্টোদের সান্নিধ্যে তেমনি স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ প্রমুখ রাষ্ট্রনেতাদের সাথে। প্রশিক্ষণ শেষে লেখক ইতালি, চীন, হল্যান্ড, আলজেরিয়া, ইংল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বেলজিয়াম প্রভৃতি রাষ্ট্রে দায়িত্ব পালনের যে বর্ণনা দিয়েছেন তা আমার অবচেতন মনকে যে কখন লেখকের সফরসঙ্গী করেছে তা বুঝতেই পারি নি। লেখকের চোখে এই দেশগুলোর বিভিন্ন রকম দৃশ্য, রীতিনীতি, যোগাযোগ, খাবার প্রভৃতি যেমন মুগ্ধ হয়ে দেখেছি তেমনি কর্মস্থলগুলোতে কূটনীতিকের চ্যালেঞ্জগুলো আমাকে দারুণ আলোড়িত করেছে। বিশেষত স্বাধীন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নে লেখকের সক্রিয়তার বর্ণনা একটি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার প্রতিচিত্র উপস্থাপন করেছে। দেশীয় রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের তরঙ্গ হাজার হাজার কিমি. দূরে কর্মরত একজন কূটনীতিকের জীবনে যে ভীষণ আলোড়ন তৈরি করতে পারে তার অনেক কিছুই এই বই না পড়লে আমি ধারণাই করতে পারতাম না। আবার, তৎকালীন দেশীয় রাষ্ট্রনেতা সম্পর্কিত বর্ণনায় বইটি প্রকাশের সময়ে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলোর আপেক্ষিক গুরুত্বের যে সুনিপুণ সামঞ্জস্য প্রকাশ পেয়েছে তাতে লেখকের অভিজ্ঞ কূটনৈতিক পারদর্শীতা দ্বারা প্রভাবিত কী না তা আমার স্বল্প জ্ঞানে বিশ্লেষণ করতে পারি নি। বইটির ২০০ পৃষ্ঠায় জানুয়ারি মাসের বর্ণনায় ডিসেম্বর মাসের উল্লেখ ছাপার ভুল বলেই ধরে নিচ্ছি, তবে সময়টি আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের হওয়ায় পরবর্তী সংস্করণে তা ঠিক হয়ে যাবে বলে আশাকরি।
Was this review helpful to you?
or
যারা আমাদের অগ্রজ তারা স্বভাবতই আমাদের চেয়ে বেশি দেখেছেন, জীবনের প্রতি বাঁক পাড়ি দেবার সময় জমিয়েছেন ভালো-মন্দের মিশেলে নানান সব অভিজ্ঞতা,যা সমৃদ্ধ করেছে তাদের জীবন কে। এমন ই একজন অগ্রজ সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও কলামিস্ট ফারুক চৌধুরী, তার ই আশি বছরের সুদীর্ঘ জীবনের কথকতা নিয়ে আত্মস্মৃতি "জীবনের বালুকাবেলায় "। ফারুক চৌধুরী সেই ষাটের দশকে তৎকালীন সিভিল সার্ভিস অফ পাকিস্তানে যোগ দিয়ে কর্মক্ষেত্রে বিদেশে কাটিয়েছেন দীর্ঘকাল সেই সুবাদে পররাষ্ট্র দপ্তর, পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে নানা ঘটনার স্বাক্ষী হয়েছেন, সান্নিধ্য পেয়েছেন অনেক রথী,মহারথীর যা তার লেখায় বেশ ভালো ভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন।স্বাধীনতাপূর্ব কূটনীতি আর স্বাধীন দেশের কূটনীতির পার্থক্যটা ভালোই দেখিয়েছেন।কীভাবে বাঙালি জাতি অন্যের দারস্থ না হয়ে,নিজেদের স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা লাভের মাত্র সাড়ে তিনবছরের মধ্যে বিশ্বের প্রায় সব রাষ্ট্রের স্বীকৃতি অর্জন করেছিল তার বেশ চমৎপ্রদ কিছু বর্ণনা আছে।কৌশলী ফারুক সাহেব বঙ্গবন্ধুর সাথে যেমন কাজ করেছেন তেমনি কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে একনায়কদের শাসনামলেও। যারা দেশের বাইরে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের ক্রিয়াকলাপ নিয়ে জানতে আগ্রহী তারা পড়ে দেখতে পারেন। এক তারকা হাতে রাখব দিবো কারণ- ঘটনার ধারাবাহিকতার বেশ অভাব ছিলো, শব্দ চয়নে সার্থকতার কোনো প্রমাণ পাইনি। ভাষা আন্দোলনের সময়ে তিনি ঢাকা কলেজের ছাত্র ছিলেন, নিজে তো অংশ নেন ই নি এমনকি তার লেখনীতেও সেই উত্তাল গৌরবময় সময় ছিলো অনুপস্থিত। আবার,একই কান্ড ঘটিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের সময়েও। সে সময়ে যখন সারা দেশের মুক্তিকামী জনতা সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলো তখন জনাব ফারুক সাহেব ঢাকায় নিরাপদে নয়মাস অফিস করেছেন আর আত্মস্মৃতি তে সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছেন মুক্তিসংগ্রাম কে।ব্যক্তি আর পরিবার নিয়ে কচকচানি ছিলো বিরক্তি উৎপাদনে যথেষ্ট।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারী_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা অক্টোবর রিভিউ - ১ প্রায় ৪ মাস ধরে অল্প অল্প করে বইটি পাঠ করে মনে হল পাঠসূত্রে এ যেন এক কূটনীতিকের বিশ্বভ্রমণ। সাথে বইটিকে ঐতিহাসিক উপন্যাস ভেবে নিলে আর এ বইয়ের চরিত্রগুলোর দিকে চোখ রাখলেই দেখা যাবে এই ভূখন্ডের দন্ডমুন্ডের কর্তা ছিলেন যাঁরা , তাদেরই আনাগোনায় উপন্যাসটি সচল। ফলে ' জীবনের বালুকাবেলায়' বইটি হাতে নিলে ফারুক চৌধুরীর স্বাদু ভাষার সঙ্গে ইতিহাসের একটি খন্ডিত অংশকেও নিজের করে নেওয়া যায়। ভূমিকায় পাঠককে লেখক জানিয়ে দিয়েছেন বইটি দুই পর্বের। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন ও কূটনীতিক জীবন এবং ২য় পর্বে রয়েছে সরকারি চাকরি শেষে ব্র্যাক এনজিওতে যোগ দেওয়ার পরের গল্প। ছেলেবেলায় ৫ টি স্কুলে পড়ার বর্ণনা থেকে ঢাকা কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার কথায় চলে আসেন লেখক। ১৯৫২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। ছিলেন সলিমুল্লাহ হলের আবাসিক ছাত্র। শহীদ অধ্যাপক জ্যেতিময় গুহঠাকুরতা, মুনীর চৌধুরীর পড়ানোর কথা এসেছে। ফরেন দার্ভিসে চাকরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বোস্টনে যাওয়ার বর্ণনা দিয়ে শুরু হয়েছে কূটনীতিকের সঙ্গে তাঁর বসবাসের কাহিনী। ইয়াহিয়া খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহনান, জিয়াউর রহমান ও এরশাদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই ঝানু কূটনীতিক যে বিষয়গুলোয় গুরুত্ব দেন, সেগুলো আমাদের জাতীয় ইতিহাসের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা। জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধু বাংলায় যে ভাষণটি দিয়েছিলেন তার ইংরেজি তরজমা করে বিশ্বের নেতাদের কাছে তিনি পৌঁছে দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সার্ক প্রতিষ্ঠার সময়ের ঘটনাবলির সাক্ষীও লেখক। বইটি হতে পারত একজন কূটনীতিকের রোজনামচা, যেখানে তিনি নিজেকেই নিয়ে যাচ্ছেন মহান উচ্চতায়। আত্মকথনের বড় অংশজুড়ে থাকতে পারত তাঁর স্বীয় তীক্ষ্ণ, ক্ষুরধার বুদ্ধিবৃত্তির বয়ান।' জীবনের বালুকাবেলায়' বইটির প্রধান বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে ভাষার পরিমিত ব্যবহার। এখানেই হয়ত লেখক সার্থক। বইয়ের নাম : জীবনের বালুকাবেলায় লেখক : ফারুক চৌধুরী প্রকাশক : প্রথমা দাম : ৭৫০ টাকা