User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
।। বুক রিভিউ ।। গ্রন্থঃ শূন্য আকাশ আর মেঘলা নেই লেখকঃ সুজিৎ চন্দ্র সাহা প্রকাশ কালঃ বইমেলা- ২০১৪ প্রকাশনা সংস্থাঃ নন্দিতা প্রকাশ প্রচ্ছদঃ অনুপম কর পৃষ্ঠাঃ ৯৬ মুদ্রিত মূল্যঃ ২০০ টাকা বইয়ের ধরণঃ ব্যতিক্রমধর্মি রোমান্টিক উপন্যাস । উপন্যাসটিকে ব্যতিক্রমধর্মি রোমান্টিক উপন্যাস বলার পেছনে যুক্তিসঙ্গত কারণ আছে বিধায় বইয়ের ধরণে এরুপ বিশ্লেষণ প্রদান করেছি আমি। সংক্ষিপ্ত সারমর্মের মাধ্যমে বিষয়টুকু স্বচ্ছতার সহিত প্রকাশ করছি। প্রিয় ভাবাবেগে আচ্ছন্ন ফ্যান্টাসি জগতের এক উদীয়-মান যুবক। বোনের বিয়েতে সাক্ষাৎ ঘটেছিল তার প্রত্যাশার ন্যায় এক কিশোরীর । মোনালী নামের ঐ কিশোরীকে দেবী রুপে আখ্যায়িত করে সে। দেবীকে তার মনের কথা জানানোর পূর্বেই জ্ঞাত হয়েছিল মোনালী সম্পর্কে অনেক অপ্রত্যাশিত ঘটনা সমূহের অতীত নিয়ে। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রিয় পিছপা হয়নি সম্পর্ক গড়ার লক্ষ্যপথে। অবিরাম ব্যর্থ হওয়ার পরও সম্পর্ক গড়ায় সফল হয়ে উঠে। নিজের ইচ্ছে,খেয়াল খুশি ন্যায় পাগলামি,মনগড়া কাব্যিক বিশ্লেষণ,প্রিয় মানুষের সুখের জন্য অনেক কিছুর ত্যাগ আর নিজের সবটুকু উজাড় করে ভালবাসতে শুরু করে মোনালীকে। সম্পর্কের সততার জন্য যা যা করার দরকার সবটুকু করে যায় প্রিয়। সম্পর্কের কয়েকবার ভাঙ্গনের সম্ভাবনা আসলেও চিরদিনের জীবন সঙ্গীনি করার জন্য মন্দিরের জাগ্রত (লোকশ্রুতি এবং বিভিন্ন প্রত্যক্ষ,পরোক্ষ প্রমাণের সাপেক্ষে) বিগ্রহকে স্বাক্ষী রেখে মোনালীর সিথিতে সিদুর পড়ায় প্রিয় । কিন্তু তারপরই সামাণ্য অযুহাত দেখিয়ে সম্পর্ক ভাঙ্গনের সবরকম প্রচেষ্টায় সফল হয় মোনালী। ভাল কোন বন্ধু না থাকায় আর বিষয়টা সম্পূর্ণ গোপন রাখার কারণে সম্পর্কের পুণরুদ্ধারের জন্য প্রিয় এমন কিছু কাজ করে যেগুলো পূর্ণ অর্থেই মতিভ্রম ব্যতীত অন্য কিছুর সঙ্গে তুলনা চলেনা। খারাপ কিছু মানুষের সহায়তা চেয়ে তাবিজ-কবজ আর কালো জাদু শক্তির আরাধনার উপর বিশ্বাস করে নিজেকে সঁপে দেয় জীবন মৃত্যুর ঝুঁকিপূর্ণ অবিশ্বাস্য রোমাঞ্চকর ঘটনায়। তারপরের ঘটনা বইপড়েই জেনে নিবেন। উপন্যাস সম্পর্কে বিষদ আলোচনাঃ রোমান্টিক উপন্যাসে পাগলামি,সৃজনশিল ও আধ্যাত্মিক বিষয়সমূহ আমি অনেক অনুভব করেছি। কিন্তু এরকম থ্রিল খুব কমই পেয়েছি। হতে পারে প্রিয়’র পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে মতিভ্রম ঘটেছিল,কিন্তু লেখক এখানে প্রিয়’র মাধ্যমে সত্যিকারের প্রণয়ে সততা এবং সম্পর্কের একমাত্র লক্ষ্যকে খুব সুন্দর করে পুঙ্খনাপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। লেখকের প্রথম উপন্যাসের ন্যায় এ উপন্যাসেও লক্ষ্য করেছি লেখায় পূর্ণ আবেগ দিয়ে লিখেছেন। যে কারণে তিনি খুব সহজেই পাঠকের মন জয় করে নিতে পারেন বলে আমার বিশ্বাস। উপন্যাসে প্রিয়’র আত্মনিবেদন যে কোন পাঠককে মুগ্ধ করবে। যা আমাকেও করেছে। উপন্যাস ও চারিত্রিক নামকরণের সার্থকতাঃ মুখ্য চরিত্র প্রিয় ও মোনালী। যেখানে মোনালীর বাবা তাকে মেঘলা নামেও ডাকতো বলে উপন্যাসে পাওয়া যায়। আর সে কারণে মোনালী নিজ থেকেই প্রিয় কে কখনো কখনো আকাশ বলে ডাকতো। আর তাই এ প্রণয় মেঘলা আকাশে ছিল। যে মেঘলা আকাশে বর্ষণমুখর দিনে সৃজনশীল মানুষদের মনে ভিন্ন সত্ত্বা অনুযায়ি ভিন্ন ভিন্ন ভাবনার সৃষ্টি করে । সে ভাবনাগুলো সাকার রুপ মানব মনের অশান্ত চিন্তা শক্তিকে এক শান্তিময় নিবিড় পরম সুখের আশ্রয় দান করে। তেমনি ভাবনা অনুযায়ি প্রিয় তার প্রণয় সঙ্গীকে জীবন সঙ্গীনি করে চেয়েছিল। কিন্তু কে জানে,লেখক হয়তো ত্যাগেই মানুষের শ্রেষ্ঠ মহত্ত নিহীত বলে মেঘ কে মুক্ত করে আকাশ কে শূন্য করে খরা প্রকৃতীর ন্যায় স্থবির করে দিয়েছেন ? উপন্যাসের সমলোচনাঃ বইয়ের প্রিন্টিং দেখে মনে হয় লেখক কিংবা যিনি কম্পোজ করেছেন তিনি খুব তাড়াহুড়ো করে অনেক ফন্ট মিসটেক করেছেন। বানান ভুল বলা যাবেনা,কারণ একই শব্দের বিভিন্ন অবস্থান অনুযায়ি কোথায় বানান ভুল ছিল,আবার কোথাও সঠিক ছিল । যে কারণে তাড়াহুড়ো টাইপিং এ ফন্ট মিসটেক। আর প্রকাশনীও মনে হয় কোন প্রকার প্রুফ চেকিং করেননি। যে কারণে দোষটা অনেকাংশে লেখকের উপর গিয়ে পড়ে। আরেকটা বিষয় দেখে মনে হলো লেখক উপন্যাসটা সম্মোহীত হয়ে লিখেছেন। যেহেতু পুরো উপন্যাসে তেমন কোন প্যারা করেননি। যে কারণে অনেক ক্ষেত্রেই পড়তে পড়তে এক ঘেয়েমি ধরে যায়। রেটিংঃ সবমিলিয়ে আমার রেটিং ৪.২৫/৫