User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
এ বই নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই। সেই ক্লাস সেভেনে প্রথম পড়েই মোহমুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম, যার রেশ এখনো কাটেনি। তৃতীয়বার পড়লাম। আমার পড়া প্রথম ঐতিহাসিক ফ্যান্টাসি রোমান্স, এবং প্রতিটা চরিত্র আমার প্রিয়। ঝিন্দ থেকে আবার ঘুরে এসে ভালই লাগল। সাথে একফাঁকে সিনেমাটাও দেখে নিলাম।
Was this review helpful to you?
or
|| বুক রিভিউ || *নাম:- ঝিন্দের বন্দি *লেখক:- শরদিন্দু বন্ধ্যোপাধ্যায় * প্রকাশন:-অানন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা। *প্রকাশকাল:- ৪র্থ মুদ্রণ ২০১৪ *পৃষ্ঠা:- ১৫৫ *মূল্য:- ১৫০ রুপি মধ্যভারতের ছোট্ট এক স্বাধীন রাজ্য ঝিন্দ। রাজা ভাস্কর সিংহের মৃত্যুন পর শঙ্কর ও উদিত দুই ছেলের মধ্যে সিংহাসন নিয়ে শুরু হলো বিরোধ,অভিষেকের ঠিক আগে শঙ্কর সিং হলেন নিখোঁজ। এদিকে কলকাতার এক বাঙালি ছেলে গৌরীশঙ্কর রায়কে হুবাহু শঙ্কর সিংহের মতো দেখতে। তাকেই শঙ্কর সিং বলে সিংহাসনে বসাতে উদ্যত হলেন ঝিন্দের পুরনো কিছু রাজকর্মী। অভিষেক সম্পন্ন হল,পাশের রাজ্যের রাজকন্যা কস্তুরীরর সাথে বিবাহ পর্যন্ত স্থির! কিন্তু সহজে মেনে নেেবন কেন উদিত সিং? শঙ্কর সিং তো নিখোঁজ নন, বন্দী, কিন্তু কোথায়? তাছাড়া এক বাঙ্গালি যুবার সাথে কিভাবেই বা মধ্যভারতের স্বাধীন রাজ্যের এক যুবার এতো সাদৃশ্য থাকে!? না'কি ইতিহাসের ভিতরেই আছে আরেক ইতিহাস? যে ইতিহাসের চূড়ান্ত সমাপনী ঘটাবে ঝিন্দের বন্দী। পূর্বসূরী বঙ্কিমচন্দ্রের লেখনীতে ইতিহাস বর্ণময় হয়ে উঠেছিল,আর শরদিন্দু বন্ধ্যোপাধ্যায়ের কলমে ইতিহাস গল্পময়। শুধু তাই ই না সমগ্র বাংলা সাহিত্যের একটি অমূল্য রত্ন শরদিন্দু বন্ধ্যোপাধ্যায়। চিরতরুণ ব্যোমকেশ বক্সী তো বটেই আরো কত শত সৃষ্টির স্রষ্টা যে এই ভদ্রলোক "সানডে সাসপেন্স " গল্পগুলো শুনলে কিংবা উইকিপিডিয়া ঘাটলেই পেয়ে যাবেন। ইতিহাস বরাবরই আমার আগ্রহের বিষয় আর ঐতিহাসিক গল্প-উপন্যাস তো সোনায়-সোহাগা ! ঝিন্দের বন্দী বইটি বিদেশী লেখার ছায়া অবলম্বনে লিখা হলেও শরদিন্দু বন্ধ্যোপাধ্যায় নিজ মুন্সিয়ানায় কাহিনী ও চরিত্র যেরূপ বিন্যাস্ত করেছেন তা সত্যিই দারুন উপভোগ্যে। একটি ক্ষুদ্র রাজ্যের কুটিল রাজনীতি ও কুচক্রী কুমারের নোংরা ষড়যন্ত্রের সূত্র ধরে কলকাতার এক জমিদারের পুত্রের ঝিন্দে প্রবেশ যেন মঞ্চে নতুন অঙ্কের সূচনা! ঝিন্দের বন্দী , শুধু ষড়যন্ত্রের বিষ কিংবা অস্ত্রের ঝনঝনানিই নয় সেই সাথে রচিত এক প্রেমের উপ্যাখ্যান।।
Was this review helpful to you?
or
বইঃ ঝিন্দের বন্দী লেখকঃ শরদিন্দু বন্দ্যােপাধ্যায় বইয়ের ধরনঃ কিশোর ক্লাসিক প্রকাশনীঃ নালন্দা প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ প্রচ্ছদঃ উত্তম সেন পৃষ্টাঃ ১২৭ রকমারি মুল্যঃ ২৭০ ৳ #কাহিনী_সংক্ষেপঃ কলকাতার পূর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত রায় দেওয়ান জমিদারবাড়ি। সেটা প্রায় বিঘা দশেক জমির উপর স্থাপিত। এই জমিদার বাড়ি স্থাপন করেছিলেন কালীশঙ্কর রায়। প্রায় দেড়শো বছর পূর্বে হঠাৎ একদিন রায় দেওয়ান আদিগঙ্গার ঘাঠে পাঁচটি বজ্রা নিয়ে এসে উপস্থিত হন এবং সেখানে জমি কিনে কালীশঙ্কর রায় নাম ধারন করে জমিদারি শুরু করেন। বিয়ে করে সংসারও পেতেছিলেন, কিন্তু তিনি সেই সুখসংসার আর জমিদারি জীবন বেশিদিন ভোগ করতে পারেন নি। কেননা বিয়ের বছর পাচেঁক পরেই এক রাতে কালীশঙ্কর তার বন্ধুর বাড়ি থেকে নিমন্ত্রণ খেয়ে ফেরার সময় তার নিজ জমিদারবাড়ি সিং-দরজার সামনে অাততায়ীরা তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন এবং সেই ছুরিটি মৃতের পাশেই ফেলে যান। যাতে একদম অপরিচিত ভাষায় খোদাই করা কি জানি লিখা ছিল। কী লিখা ছিল??... বর্তমানে সেই জমিদার বাড়ির মালিক দুইভাই, গল্পের নায়ক গৌরীশংকর রায়, আর তার দাদা শিবশঙ্কর রায়। বিশশঙ্কর বিবাহিত, বয়স ত্রিশ-বত্রিশ পক্ষান্তরে গৌরীশঙ্কর পঁচিশ-ছাব্বিশ বছরে সুদর্শ পুরুষ হলেও এখনো বিয়ে করে নি। বরাবরেই সে খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত । বিয়ের নামটি মাত্র শোনতে পারেরে না। এভাবেই দুই ভাই আর বৌদির সংসার সুখে শান্তিতেই কাটছিলো। হঠাৎ একদিন বাড়িতে এসে হাজির হলেন অদ্ভুত বেশভূষার এক ব্যক্তি, নাম ধনঞ্জয় ক্ষেত্রী। তিনি ঝিন্দ নামের এক রাজ্যের রাজার বংশানুক্রমিক পার্শ্বচর। সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হলো তিনি দেয়ালে টানানো শিবশঙ্কর ও গৌরীশঙ্কর রায়ের পঞ্চম পুরুষ কালীশঙ্কর রায় এর তৈলচিত্র দেখে তাকে চিনতে পারলেন, আর এরা তার বংশধর শুনে নিজেও হতভম্ব হয়ে গেলেন। কেননা কালীশঙ্কর রায় এর পূর্বজীবনি তার জানা ছিল। এবার সেই অদ্ভুত ব্যক্তি ধনঞ্জয় ক্ষত্রী দুই ভাইকে শোনালেন এক আশ্চর্য ঘটনা, আর দিলেন এক অদ্ভুত প্রস্তাব। তিনি গৌরীশঙ্কর রায় কে ঝিন্দের রাজা বানাতে চান । কেননা গৌরী নাকি দেখতে হুবহু তাদের যুবরাজ শঙ্কর সিংহের মত, যার ক'দিন বাদে অভিষেক। তাই অভিষেকের আগে শঙ্কর সিংহকে খোজে না পাওয়া গেলে তার ছোট ভাই উদিত সিংহ হয়ে যাবে ঝিন্দের রাজা। কিন্তু ধনঞ্জয় ক্ষেত্রী কখনো সেটা হতে দেবে না, কেননা উদিত মানুষ হিসাবে জগন্য । তাই শঙ্করক সিংহকে খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত গৌরী যেন তার ভূমিকায় অভিনয় করে তাদের সাহায্য করেন তার প্রস্তাব দেন ধনঞ্জয়। পদে পদে বিপদের ভয় ও দাদা শিবশঙ্করের বাঁধা থাকা সত্বেও বরাবর কৌতূহলী গৌরী সাথে সাথে রাজি হয়ে গেল। এবং ধনঞ্জয়ের সাথে চলে গেল ঝিন্দের দেশে। সেখানে গিয়ে ঘটল আরেক ঘটনা, বলা যায় দু্র্ঘটনা। গৌরী প্রেমে পড়ল শংকর সিংয়ের পূর্ব নির্ধারিত বাগদত্তা ঝড়োয়ার রাজকুমারী কস্তূরীবাঈ এর। তারপর কি ঘটেছিল? গৌরীশঙ্কর কতদিন সেখানের রাজা ছিলেন? তিনি কি কস্তূরী বাঈকে শেষ পর্যন্তু পেয়েছিলেন? আসল রাজা শঙ্কার সিং কে কি খোঁজে পাওয়া গিয়েছিলো? শেষ পর্যন্ত আসল শঙ্কর সিং নাকি নকল শঙ্কার সিং হলো ঝিন্দের রাজা? আর গৌরীশঙ্কর আর কালীশঙ্কর রায়ের পঞ্চম পুরুষ কালীশঙ্কর রায়ের পূর্বজীবনই বা কি ছিল, তার হত্যা কেন হয়েছিল, যে ছুরিকাঘাতে কালীশঙ্করের হত্যা হয়েছিল তাতে কিই বা লিখা ছিল? এরকম আরো শত শত প্রশ্নে ছিল গল্পটির মাঝে আর অপ্রত্যাশিত উত্তর দিতে দিতে শেষ হয়েছিল উপন্যাসটি। তো সেই সকল প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে তো অবশ্যই পড়তে হবে বইখানা। তো আর দেরি করা কি চলে??? সম্ভব হলের আজেই শুরু করে দেন। আশা করি বেশ তৃপ্ত হবেন। #পাঠকপ্রতিক্রিয়াঃ শরদিন্দু বন্দ্যােপাধ্যায়ের 'ঝিন্দের বন্দী' বইটাই আমার প্রথম পড়া বই এই লেখকের। এক কথায় এক উপন্যাস পড়েই আমি রিতিমত তার ভক্ত হয়ে গেছি। তার ঘঠনার বর্ণনা, ঝিন্দের, ঝড়োরা রাজ্যের প্রাকৃতিক রূপালঙ্কারের বর্ণনা এমন কি প্রতি লাইনে লাইলে একটা নতুন রহস্য সৃষ্টি করে উচ্চমর্যাদায় নিয়ে গেছেন উপন্যাসটিকে। বেশ ভাল লাগলো উপন্যাসটি যা শুধু লিখে প্রকাশ করার মত নয় । সবথেকে ভাল লাগলো যে, কোথাও কোন বাহুল্য নেই। একদম যেখানে যতটুকু দরকার লেখক ঠিক ততটুকুই বলেছেন। আমার মতে সকল পাঠক এই উপন্যাসটি পড়ে বেশ তৃপ্তি পাবেন। একবার শুরু করে দিলে শেষ না করে উঠতেই পারবে না। #ব্যক্তিগত_রেটিং : ৯.৫/১০
Was this review helpful to you?
or
কলকাতার পূর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত রায় দেওয়ান জমিদারবাড়ি। রায়-দেওয়ান কালীশঙ্কর রায় প্রায় দেড়শো বছর পূর্বে কলকাতায় আসেন এবং কিনে নেন এই জমিদারী। বিয়ে করে সংসারও পেতেছিলেন, কিন্তু সংসারসুখ বেশিদিন ভোগ করতে পারেননি। অজানা আততায়ীর ছুরিকাঘাতে মারা যান কালীশঙ্কর। গল্পের নায়ক গৌরীশংকর রায়, দাদা শিবশঙ্কর রায় ও বৌদির সাথে বর্তমানে এই বাড়িতে বাস করছেন। নিরুপদ্রবেই কাটছিল তাদের দিন। হঠাৎ একদিন বাড়িতে এসে হাজির হলেন অদ্ভুত বেশভূষার এক ব্যক্তি, নাম ধনঞ্জয় ক্ষেত্রী। তিনি নাকি ঝিন্দ রাজ্যের রাজার বংশানুক্রমিক পার্শ্বচর। সবচেয়ে অবাক করার মত কথা হল তিনি কালীশঙ্কর এর তৈলচিত্র দেখে তাকে চিনতে পারলেন, আর এরা তার বংশধর শুনে নিজেও হতভম্ব হয়ে গেলেন। এবার সেই অদ্ভুত ব্যক্তি শোনালেন এক আশ্চর্য ঘটনা, আর দিলেন এক অদ্ভুত প্রস্তাব। গৌরী নাকি দেখতে হুবহু তাদের যুবরাজ শঙ্কর সিংহের মত, যার ক'দিন বাদে অভিষেক। ছোটভাই উদিতের ষড়যন্ত্রে শঙ্করকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। এখন তাকে খুঁজে পাওয়া পর্যন্ত গৌরী যেন তার ভূমিকায় অভিনয় করে তাদের সাহায্য করেন। পদে পদে বিপদের ভয় থাকা সত্বেও বরাবর এ্যাডভেঞ্চার প্রিয় গৌরী সাথে সাথে রাজি হয়ে গেল। সেখানে গিয়ে ঘটল আরেক ঘটনা, বলা যায় দু্র্ঘটনা। গৌরী প্রেমে পড়ল শংকরের বাগদত্তা ঝড়োয়ার রাজকুমারী/রাণী কস্তূরীবাঈএর। তারপর কি ঘটেছিল? কতদিনের জন্য রাজা হয়েছিল গৌরী? কিভাবেই বা ঝিন্দের রাজা পরিণত হল ঝিন্দের বন্দীতে? আর কালীশঙ্কর এর সাথে কি সম্পর্ক ঝিন্দের? জানতে ইচ্ছে করছে তো? তাহলে দেরী না করে শিগগির পড়ে ফেলুন (যদিও মনে হয়না কারো পড়তে বাকি আছে)। ইদানিং এই এক চেহারার দুই ব্যক্তি কনসেপ্টটা খুব পরিচিত আমাদের কাছে (মুভি-সিরিয়ালের কল্যাণে)। তবে এ গল্প যে সময়ে লেখা, তখন কিন্তু এত পরিচিত ছিলনা। সেসময়ের এক অসাধারণ উপন্যাস এটি, আর এখনো সমানভাবে জনপ্রিয়। একবার ভেতরে ঢুকে গেলে শেষ না করে রাখা কঠিন। বইটা প্রথমে একটু ধীর গতিতে পড়ছিলাম। কিন্তু যখন মূল কাহিনীতে পৌঁছলাম, তারপর আর কি, বহুদিন পর রাত জেগে বই শেষ করে ঘুমিয়েছি। শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায় এর বই পড়া আমার এটাই প্রথম। বেশ ভাল লাগলো। সবথেকে ভাল লাগলো যে, কোথাও কোন বাহুল্য নেই। একদম যেখানে যতটুকু দরকার। আর ঝিন্দ-ঝড়োয়া রাজ্যের প্রকৃতির যে অসাধারণ বর্ণনা দিয়েছেন, সব চোখের সামনে ভাসছিলো। যেকোন বয়সের পাঠকের জন্য উপযুক্ত একটা বই। ব্যক্তিগত রেটিং : ৯/১০