User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
thanks rokomari.com for timely delivery of books. Will continue to order.
Was this review helpful to you?
or
সত্যিই অসাধারণ ছিলো গল্পটা। একটা থ্রিলার ছিলো কিন্তু পুরোই ছেলেমি। অসাধারণ চরিত্র ছিলো ভটকাই। আমার সবচে প্রিয় ক্যারেক্টার। সবমিলিয়ে বলা চলে বাংলা হাসির নাটক দেখলে আপনি যতটা না হাসবেন তারচে বেশি হাসবেন বইটা পড়ে।
Was this review helpful to you?
or
কর্ণাটক আর তামিলনাড়ু যেতে হবে। দক্ষিণের ত্রাস, দুর্ধর্ষ ডাকাত ভীরাপ্পনকে ধরতে। ওখানকার পুলিশ, বিএসএফ কিছুই করতে পারছে না। ভীরাপ্পান ডাকাতের কথা নিশ্চয় শুনেছেন। প্রায় পাঁচ শতাধিক হাতি মেরেছে সে, কোটি টাকার উপরে চন্দন কাঠ চোরাচালান করেছে। ওকে ধরার জন্য দুই রাজ্যের সরকারপ্রধান আমাকে ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেছেন। যদিও আমার অতটা ইচ্ছে ছিল না, কিন্তু যে ঋজু বোস বিদেশিদের এত সমস্যার সমাধান করে দিল সে নিজের দেশের একটা সমস্যার সমাধান করবেনা এটা কেমন কথা? জানের ভয় থাকলেও রাজি হতে হলো। আমি নিশ্চিত ঐ জঙ্গল থেকে এবার আর প্রাণে বেঁচে ফেরা হবে না। আমার তিন স্যাঙাত রুদ্র, ভটকাই আর তিতিরের সাথে আলোচনা করে যখনই ব্যাগ গোছাচ্ছিলাম তখন ঐ দুই রাজ্যের সরকার প্রধান আমায় মুক্তি দিলেন! ওখানকার পুলিশ বিএসএফ নাকি জাল প্রায় গুটিয়ে এনেছে, এমতাবস্থায় ওদের ওপরে আমি ছড়ি ঘোরাতে গেলে ব্যাপারটা ওদের মানে আঘাত করবে। জানের ভয় থাকলেও মনে মনে এক্সাইটেড ছিলাম। বন জঙ্গল মানেই আমার কাছে অন্যকিছু। একটা নেশার মতন। এখন কী করা? কী আর করা, এখন মরে যেতে হবে। আরে না না, বালাইষাট, মরব কেন? মণিপুর রাজ্যের একটা জায়গার নাম মোরে (Moreh)। ওখানকার এক রাজপরিবারের সদস্য ইবোহাল সিং খুন হয়েছেন। তাঁর কাকা নিঃসন্তান ছিলেন বলে তাঁর পুরো সম্পত্তি ভাইপোর নামে দিয়ে গেছেন। তাদের কাছে বংশ পরম্পরায় একটা তলোয়ার ছিল। ইবোহাল সিং খুন হওয়ার পর থেকে তলোয়ারটাও মিসিং। ঐ তলোয়ারের বাটে আবার একখান রুবী পাথর ছিল যার বর্তমান বাজারমূল্য কোটি টাকার কম হবে না। আরো ভজগট পাঁকালো যখন আবার ঐ তলোয়ারটা দুদিন পরে একটা গাছের নিচে পাওয়া গেল। পাওয়া তো গেল, কিন্তু রুবীটা নেই। থাকার কথাও নয় অবশ্য। অগত্যা মণিপুরের মোরেতেই যাওয়া ঠিক করলাম। যেহেতু এই অভিযান তেমন একটা রিস্কি না, আর তাছাড়া ছবির মত সুন্দর ঐ জায়গাগুলো রুদ্র, ভটকাই বা তিতির কেউই দেখনি তাই ওদেরকেও সাথে করে নিয়েই রওনা হলাম। তখনও কী জানতাম সব কান্ড কাঙ্গপোকপিতেই হবে। নাহ, কাঙ্গপোকপি কোনো গালি নয়। মণিপুর থেকে ঘন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে নাগাল্যাণ্ডের দিকে যেতে মধ্যে পড়ে কাঙ্গপোকপি। জায়গাটা খুবই সুন্দর আর মনোরম। অবশ্য কতক্ষণ মনোরম থাকবে তাই বা কে জানে! প্রদোষ চন্দ্র মিত্র ওরফে ফেলুদা, ব্যোমকেশ বক্সী, কিরীটী রায়ের মতন ঋজু বোস ওরফে ঋজুদা একজন গোয়েন্দা। শুধু গোয়েন্দা বললে কম হয়্র যাবে আসলে। তিনি একাধারে গোয়েন্দা, অ্যাডভেঞ্চারার এবং শিকারি। জঙ্গল নিয়ে ওঁর বিস্তর আগ্রহ। ফেলুদার যেমন তোপসে আছে, ব্যোমকেশের আছে অজিত, শার্লকের যেমন ড. ওয়াটসন আছে তেমনি ঋজুদার আছে.... না না একজন নয়, তাঁর আছে তিন তিন জন সহকারি। রুদ্র, ভটকাই আর তিতির। এদের মধ্যে রুদ্রকে প্রধান সহকারি বলা যায়। প্রায় প্রত্যেকটা কেসেই ঋজুদাকে সঙ্গ দিয়েছে রুদ্র। তাছাড়া ঋজুদার প্রতিটা কেসের কাহিনী বই আকারে লিখে ঋজুদাকে ফেমাস করেছে এই রুদ্রই। ব্যোমকেশ আর কিরীটী পুরোটাই প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যে হলেও ফেলুদার মতন ঋজুদাও কিশোরদের জন্য। ফেলুদা যদিওবা প্রাপ্তবয়স্করাও পড়ে মজা পাবে, কিন্তু ঋজুদা একদমই ছেলেমানুষি টাইপ। ঋজুদার কাজ কাম থেকে বেশি হাইলাইট করা হয়েছে রুদ্র, ভটকাই আর তিতিরকে। কিশোরদের চোখে, অথবা কিশোরদের বয়ানে গল্পটা আপনি পড়বেন, সুতরাং সেটায় কিশোরসুলভ ছেলেমানুষি তো থাকবেই। যাকগে সেসব কথা, আমার কাছে কেমন লেগেছে সেইটে নিয়ে আলোচনা করা যাক। কদিন থেকেই আমার ইচ্ছে করছিল বন জঙ্গল পাহাড় পর্বত নিয়ে লেখা কোনো বই পড়তে। গ্রুপে পোস্ট দিয়ে বেশ কিছু সাজেশনও পেলাম। অনেকেই দেখলাম বুদ্ধদেব গুহ'র বিভিন্ন বই সাজেস্ট করছে। রকমারির সাইটে ঢুকে সেগুলোর রিভিউ খুঁজছিলাম। খুঁজতে খুঁজতে সাজেশনে দেখলাম অদ্ভুত নামের একটা বই। কাঙ্গপোকপি! ওটার ব্যাপারে সার্চ দিয়ে কোথাও কোনো রিভিউ পেলাম না, তবে রকমারিতে কয়েক পেজ পড়ে দেখার একটা অপশন থাকায় এ যাত্রায় বাঁচা গেল। ভূমিকা পড়েই বুঝতে পারলাম আমি যা খুঁজছি এটা তাই। নিয়ে নিলাম। গল্পের গাঁথুনি তেমন একটা ভালো লাগেনি আমার। তবে মণিপুর, মোরে, কাঙ্গপোকপির যে বর্ণনা দেয়া হয়েছে সেটা পড়েই আমি মুগ্ধ। যেমনটা চাচ্ছিলাম ঠিক তেমনই পেয়েছি। গল্পে সাসপেন্স আছে, টুইস্টও আছে আবার গা ছমছমে ব্যাপারও আছে। যারা বাবলী পড়েছেন তারা নিশ্চয় মণিপুরের সৌন্দর্য্যের কথা জানেন। বইটা শেষ করে ইউটিউবে সার্চ দিয়ে কাঙ্গপোকপির কিছু ভিডিও দেখলাম। জায়গাটা পরিচিত লাগছিল। হঠাৎ খেয়াল হলো, "নিলাকাশাম পাচাকাডাল চুভান্না ভূমি" নামক মালায়লাম সিনেমায় এই জায়গাটা আমি দেখেছি। এই জায়গার উপর দিয়েই ওরা নাগাল্যান্ডে যায়। যারা বন জঙ্গল পাহাড় পর্বত নিয়ে লেখা বই ভালোবাসেন এবং যারা রহস্য পছন্দ করেন তারা অবশ্যই পড়বেন। একটু ছেলেমানুষি টাইপ লাগবে, ভেবে নিবেন গল্পটা আপনার ছোটভাই বা আপনার ছেলের কাছে শুনছেন। হ্যাপি রিডিং।