User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো লাগলো
Was this review helpful to you?
or
শুভদা - শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায় - প্রধান চরিত্র (শুভদা, হারাণ মুখুজ্যি, ললনা, সদানন্দ ও সুরেন্দ্রবাবু) নাম খানা দেখিয়া শুভদা কে একবার কল্পনা করিয়া লইয়াছিলাম। কোন একগ্রামের এক বলিষ্ঠ যুবক যে হয়তো কাউকে ভালোদাসিত অথবা এমন এক চরিত্র যে কিনা গ্রাম সুদ্ধু লোককে ভালোবাসিত, কিন্তু আমার এই কল্পনার মুখে ঝামা ঘসিয়া লেখক শুভদা তুলিয়া ধরিলেন একজন নারী হিসাবে। বুঝিতে পারিলাম আমার কল্পনা যেখানে শেষ লেখক সেখান থেকে শুরু করেন। ছোট বেলায় একখানা বাংলা ছবি দেখিয়াছিলাম "ভাত দে" তখন একটু বুঝিয়াছিলাম ক্ষুদার যন্ত্রনা কাহাকে বলে। আবার এতদিন পর সেইকথাটাই আবার মনে পরিয়া গেলো শুভদা পড়িয়া। যাইহোক প্রথম থেকে শুরু করা যাক। বইয়ের প্রায় প্রতিটা পরিচ্ছেদেই নতুন নতুন চরিত্র লক্ষ্য করা যায় এবং তা খুবই গুরুত্বপুর্ণ। আমাদের সমাজে প্রায়ই লক্ষ্য করা যায় পরিবারের কারো সাথে কলহ বাধিলে পরিবারের সকলের সাথেই বাধিয়া যায়। লেখক দেখাইয়াছেন ইহার বিপরীত। অর্থাভাবের কারনে মানুষের আত্মসম্মানবোধ যতই থাকুক না কেন একটা পর্যায় তাহা আর ধরিয়া রাখা যায়না। গরিব মামানুষের প্রানের চাইতেও মুল্যবান হইলো সম্পদ। অভাবের কারনে পাপা জানিয়াও তাহা পরিত্যাগ করা যায়না পরিবারের কারনে। প্রয়োজন হইলে ব্রাক্ষ্মন হইয়াও নিজের সম্ভ্রম বিকাইয়া দিতেও দ্বিধা বোধ করেনা। বাছিয়া থাকিতে হইলে পরিবর্তন ছাড়া সম্ভব নয় তাহা বোধ হয় ঈশ্বর ব্যাতিত সকলেই বোধগম্য তাই বার বার ঈশ্বর এর নিকট হইতে প্রত্যাক্ষিত হইয়াও বাচিবার আশা কেহ ত্যাগ করিতে পারেনা। সমাজে যদি কেহ কাহারো যাচিয়া উপকার করিতে যায় তাহা হইলে মানুষের মুখে আর লাগাম থাকেনা। গরিব হইলে কাহাকে আশির্বাদ করিবার সাহসওও থাকেনা। নারী লোভি, মাতাল, ভন্ড হারাণের মত পাষণ্ড স্বামির কপালে শুভদা যে বানরের গলায় মুক্তোর মালা হইয়া ছিলো। কিন্তু ললনার মত মেয়ে পাইয়া শুভদার মাতৃকোল যেন ধন্য হইয়া গিয়াছিলো। ললনা যখন অভাবের তারনায় আত্মঘাতি হইতে উদ্ধত হইয়াছিলো না পারিয়া আশ্রয় পাইয়াছিলো সুরেন্দ্রবাবুর কাছে, ঈশ্বরের কৃপায় সুখের মুখ দেখিয়াছিলো ঠিকই কিন্তু সদানন্দ পাশে থাকিবার পরেও শুখের কিনারা করিতে পারে নাই শুভদা। দুঃখ অনুসোচনায় ফল হইলেও হইতে পারিত কিন্তু জগতে তাহা হয়না। ইহা পরেও বর একটা কথাহলো, মেয়ে মানুষের প্রেম কখন প্রকাশ পায় আর কখন অন্তর্নিহিত থাকে তাহা বুঝিতে পারিলেই পুরুষ জনম ধন্য। কিছু লাইন তুলিয়া ধরিলাম------ ১. পুরুষ মানুষদের ঝগড়া মেয়ে মহল পর্যন্ত না পৌছুলেই ভালো। ২. সম্পুর্ন অবিশ্বাস করা অপেক্ষা কিঞ্চিৎ বিশ্বাস করিয়া এ দারুন দুরভাবনার হাত হইতে নিষ্কৃতি লাভ করিতে এ সময় সকলেরি ইচ্ছা হয়। ৩. পঞ্চাশ টাকা বেশি টাকা নহে! দেখিতে অনেকগুলি বটে,কিন্তু খরচের সময় অনেক নহে। ৪. যে কখনো ক্রোধ করেনা, সে ক্রোধ করিলে বড় বিষম হয়, যে বড় শান্ত তাহাতে ঝড় উঠিলে বড় প্রলয়ঙ্করী হইয়া ওঠে। ৫. কি করিলে একজন সুখি হইতে পারে তাহা বুঝিতে পারেনা এবং দেবতারাও পারেন কিনা তাও বলিতে পারিনা। ৬. জন্মিলে মরিতে হয়, আকাশে প্রস্তরনিক্ষেপ করিলে তাহাকে ভুমিতে পড়িতে হয়, খুন করিলে ফাসি যাইতে হয়, চুরি করিলে কারাগারে যাইতে হয়, তেমনি ভালোবাসিলে কাদিতে হয়-অপরাপরের মত ইহাও একটি জগতের নিয়ম। কিন্তু এ নিয়ম কে প্রচলিত করিলো জানিনা। বিঃ দ্রঃ পাঠকগন না পড়িলে ইহার তৃপ্তি লাভ করা সম্ভব নয়।