User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতাঃ #ডিসেম্বরঃ (১) #বইঃ মানুষের জন্য। #লেখকঃ প্রফুল্ল রায়। #পাবলিকেশনঃ দে' জ পাবলিশিং। #রকমারি_মূল্যঃ ৫৫টাকা -------------------- ফাদার হ্যারিস ম্যাকফারসন।যিনি রাজানগর শহরের বাসিন্দা।তৎকালীন সময়ে উপমহাদেশে মিশনারি কাজে তিন ধরনের ফাদার এসেছিলেন।একঃ খ্রিষ্টধর্ম প্রচার করতে।দুইঃ চিকিৎসা মিশনে এবং তিনঃ শিক্ষা এবং সাহায্য মিশনে।ফাদার হ্যারিস এসেছিলেন উপমহাদেশে মানুষদের মাঝে শিক্ষা বিস্তার ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে।একটানা ছত্রিশ বছর তিনি রাজানগর এ আছেন। এখানে এমন কোন মানুষ নেই যিনি ফাদার হ্যারিস কে চেনে না।শুধু যে চিনে তাই না,সকলে তাঁকে অনেক ভক্তি শ্রদ্ধাও করেন।গির্জায় আরো অনেক ফাদার থাকলেও ফাদার হ্যারিসকে সকলে আলাদা সমীহ করেন।আর করবে নাই বা কেন।রাজানগরের সকল মানুষের সুখ দুঃখে ফাদার হ্যারিসকে সবাই নিজের কাছে পেয়েছেন।প্রতিদিন নিজের সাইকেলে চেপে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সকলের খোঁজ খবর নেন।ফাদার হ্যারিসকে কেউ বাবা সাহেব,কেউ বা ফাদার হরিশচন্দ্র ইত্যাদি বলে ডাকেন।ফাদার সাধু সন্ন্যাসী মানুষ, নিজস্ব কোন সংসার নেই।কিন্তু পুরো রাজানগরটাই যেন তাঁর সংসার,পরিবার।ফাদারের মিশনারি তে দূর্গা ও পিলে থাকে।দূর্গা বোবা,কানেও শোনে না।দূর্গা ফাদারের কেউই হয় না,,একদিন ষ্টেশনের পাশে দূর্গা কে ভিক্ষা করতে দেখেছিলেন ফাদার।নাম ধাম এবং কোথা থেকে এসেছে ইত্যাদি জিগ্যেস করাতে দূর্গা কিছুই বলতে পারেনি। কিছুদিন পরে দূর্গা কে রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পরে থাকতে দেখে ফাদার।তার শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে যেন মাংস খুলে নেয়া হয়েছে।আশেপাশে অনেকে দেখলেও কেউই কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না,ফাদারই দূর্গা কে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেয়।ডাক্তারের কাছে যা শুনে তাতে রীতিমত আৎকে উঠেন তিনি,কমপক্ষে ৮/৯জন দূর্গা কে রেইপ করে।এভাবে একটা মেয়েকে তো ফেলে দেয়া যায়না,,সেই থেকে দূর্গা কে নিজের কাছে রেখে দেন ফাদার।দূর্গা সারাক্ষণ এটা করে ওটা করে,দশ হাতে যেন কাজ করছে তাই ফাদার নিজেই ওর নাম দূর্গা দেয়।মা দশভুজা বলেও ডাকে।পিলে এতিম,ছোট থেকেই ফাদারের কাছে আছে। সমাজে যেমন ফাদারের মত জন দরদি মানুষ আছেন,তেমনি মানুষকে শোষণ করে এমন লোকও আছে,আরো আছে লস্ট জেনারেশন।এরা সমাজের শাসক গোষ্ঠীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়,,লেলো ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা হল লস্ট জেনারেশন।যারা চাকরি পাইনা,কোন কাজকর্ম না পেয়ে বিপথে চলে যায়,এবং শিবানির মত বাবা মা হারা মেয়েদের সর্বনাশের চেষ্টা করে।কিন্তু ফাদারের মত লোক থাকলে আর পারেনা।ফাদার পরে শিবানির সাথে হিরণ নামের এক ছেলের বিয়ে দেয়।অবিনাশের দল নির্বাচনে দাড়িয়ে ফাদারের সাহায্য চাই,বরং ফাদার সাহায্য না করে উল্টো বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবাইকে নিষেধ করে অবিনাশের দলকে ভোট না দিতে,কারণ অবিনাশ বিশাল সম্পত্তির মালিক হলেও,সে মূলত স্মাগলিং চোরাচালান করে টাকার পাহাড় বানিয়ে ফেলে।তার মত এমন লোকের দল ক্ষমতার আসনে বসে ক্ষমতার অপব্যবহার করুক এটা ফাদার চাই না। শিবানি এবং ক্ষমতার বিষয় নিয়ে লেলোর দলের সমস্ত ক্ষোভ গিয়ে পড়ে ফাদারের উপর।একদিন সন্ধ্যায় ফাদার মিশনারিতে ফেরার পথে তারা অতর্কিতে ফাদারের উপর হামলা চালায়।ফাদারের চিৎকার শুনে অনেকে এগিয়ে আসে,লেলোরা পালিয়ে যায়।ফাদার অজ্ঞান হবার পূর্বে ভাবে মানুষের উপর বোধহয় বিশ্বাস রাখা যায় না। ফাদারকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়,দুদিন পরে তাঁর জ্ঞান ফেরে।সকলেই ফাদারকে দেখতে যায়,,লেলোদের নামে কেইস হয়,,আদালতে ফাদারকে লেলোদের বিরুদ্ধে স্বাক্ষি দিতে নিয়ে গেলে,,ফাদার তাদের বিরুদ্ধে কিছুই বলেনা,বরং বলে এরা তাঁর উপর কোন হামলাই করেনি।এটা শুনে লেলোরা ভীষণ অবাক হয়।২/৩দিনের মধ্যই লেলোরা ছাড়া পেয়ে যায়। ফাদার কিছুটা সুস্থ হলে অন্য সকল সাথে অবিনাশ ও লেলোরা দেখতে আসে।অন্য সকলে হিংস্র চোখে লেলোদের দেখতে থাকে।ফাদার ওদেরকে কাছে আসতে বলে।ওরা তাঁর পায়ের কাছে বসে উচ্ছ্বসিত হয়ে কাঁদে,ফাদার ওদের শান্তনা দেয়। চোখের জলে তাঁর পা দুটোইই ভেসে যায়,আর ফাদার হ্যারিসের মনে হয়,মানুষের ওপর এখনো বিশ্বাস রাখা যায়। #পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ অসম্ভব ভাল লাগার মত একটা বই,আমাদের সমাজের বিভিন্ন ধরনের চরিত্রগুলোই ফুটে উঠেছে এতে। #পার্সোনাল_রেটিং: ৫/৫