User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
নিমাই ভট্টাচার্যের "অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান" এমন একটি উপন্যাস, যেটি একবার হাতে নিলে রাখার উপায় নেই—এটি হৃদয় ছুঁয়ে যায়, চোখে জল এনে দেয়, আবার মনে প্রশ্ন জাগায়: "আমরা কাদের আপন ভাবি, আর কারা চিরকাল পর?" এই বই শুধু ইতিহাস নয়, এটি হারিয়ে যাওয়া একটি জনগোষ্ঠীর আত্মার চিৎকার, ভালোবাসা ও ভাঙনের নির্মম দলিল। অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের কথা আমরা কতটা জানি? হয়তো নামটুকু শুনেছি, কিন্তু তাদের অস্তিত্ব, যন্ত্রণা, অসম্পূর্ণতা—সবই থেকে গেছে ইতিহাসের পেছনের পাতায়। আর সেই পাতাগুলোই নিমাই ভট্টাচার্য এক এক করে খুলে দেন এমনভাবে, যেন পাঠক চোখের সামনে দেখতে পান তাদের হাসি-কান্না, প্রেম-অপমান, স্বপ্ন আর শূন্যতা। এই উপন্যাসে আছে ভালোবাসা, আছে বঞ্চনা, আছে ইতিহাসের গভীরতা, এবং আছে সমাজের প্রতি এক তীক্ষ্ণ প্রশ্ন: "যাদের আমরা মাঝামাঝি বলি, তারা তাহলে কোথায় দাঁড়ায়?" লেখকের ভাষা এতটাই জীবন্ত, এতটাই অন্তরঙ্গ, যে পাঠক নিজেই চরিত্রদের পাশে বসে পড়ে—তাদের নিঃশ্বাস টের পান, তাদের অসহায়তা অনুভব করেন, আর শেষ পৃষ্ঠায় এসে নিজেও ভেঙে পড়েন। এটি নিছক সাহিত্য নয়, এটি আত্মবিশ্লেষণের আয়না। যদি আপনি এমন কোনো উপন্যাস খুঁজছেন যা আপনার বুকে হাত দিয়ে বলে—"দেখো, সব গল্পে যে জিতেই যায়, এমন না", তবে এই বই আপনার জন্যই। আপনি প্রথম পৃষ্ঠাতেই আটকে যাবেন, আর শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত যেতে না পারা পর্যন্ত আপনি ঘুমোতে পারবেন না। এটি এমন এক গল্প, যা আপনি নিজেকে দিয়ে অনুভব করবেন—এমন এক অভিজ্ঞতা, যা পাঠ শেষে বুকের গভীরে রয়ে যাবে অনেক দিন। ? সতর্কবার্তা: একবার পড়া শুরু করলে আপনি নিজের সমস্ত কাজ ফেলে রেখে শেষ না করে উঠতে পারবেন না। এবং পড়া শেষে মনে হবে—“এটা আমি এতদিন কেন পড়িনি?” ⏳ সময় নষ্ট নয়—এটি জীবন বোঝার সময়। এখনই কিনুন। এখনই পড়ুন। "অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান" অপেক্ষা করছে, আপনাকে নিজের এক টুকরো আয়নায় দেখা দেখানোর জন্য। একবার না পড়লে আপনি শুধু একটা বই নয়—একটা ইতিহাস, একটা জীবন, একটা যন্ত্রণা মিস করবেন।
Was this review helpful to you?
or
"অ্যাংলো-ইণ্ডিয়ান" হলো নিমাই ভট্টাচার্যের একটি উপন্যাস। এই উপন্যাসটি ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয়েছে এবং তারা ভারতীয় মুক্তিযুদ্ধ এবং অতীতের ঐতিহ্য নিয়ে বিচার করে। উপন্যাসে নিমাই ভট্টাচার্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শাসনের আগে ভারতে ঘটে গিয়েছিলেন যে ঘটনা এবং পরিস্থিতি তার শিশুবেলা থেকে শুরু হয়েছিল। উপন্যাসে তিনি তার জীবনের বিভিন্ন ঘটনা, অভিজ্ঞান, এবং ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন, যা একটি সমাজের বিকাশ, স্বাধীনতা সংগ্রাম, এবং সাংস্কৃতিক চিত্রণ রূপী কাহিনীর মাধ্যমে পাঠকদের দিকে তোলা হয়। "অ্যাংলো-ইণ্ডিয়ান" উপন্যাসটি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি নিমাই ভট্টাচার্যের দৃষ্টিকোণ ও মন্তব্য প্রকাশ করে এবং তার পরিস্থিতির প্রতি তার আত্মবিশ্বাস এবং উৎসাহও দেখাতে সাহায্য করে।
Was this review helpful to you?
or
Anglo-Indian সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা ছিলোনা। আর গল্পের ছলে জানার সেই তৃষ্ণা মেটাতে নিমাই ভট্টাচার্য চেষ্টার ত্রুটি করেননি। ❤❤❤❤
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ অ্যাংলো-ইণ্ডিয়ান(হার্ডকভার) লেখকঃ নিমাই ভট্টাচার্য প্রকাশনীঃ দে’জ পাবলিশিং প্রথম প্রকাশঃ এপ্রিল, ১৯৮২ প্রচ্ছদঃ গৌতম রায় পৃষ্ঠাঃ ৮৭ মুদ্রিত মুল্যঃ ২৫৳ রকমারি.কম মুল্যঃ ৪৫৳ রেটিংঃ ৪/৫ #রিভিউঃ “অ্যাংলো ইন্ডিয়ান” ভারত তথা কলকাতায় বসবাসরত একটি বিশেষ সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায়। এরা ইয়োরোপীয়ান নয়, আবার ভারতীয়ও বলা যায় না। দেখতে বাঙালির মতন লাগে না, আবার সাহেব ভাবলেও ভুল হবে। প্রায় শতাধিক বছর ধরে তারা কলকাতার ওয়েলেসলী, পার্ক সার্কাস, পার্ক স্ট্রীট বসবাস করে আসছে। কোন অ্যাংলো-সাক্সন রক্তে ওদের জন্ম হয়েছে আর সেটাই ওদের জন্যে কাল হল। বাঙালিরা এদের ম্লেচ্ছ ভাবে, ঘৃণা করে। মিশতে চায় না সহজে। সমাজে এদের নেই কোন স্বীকৃতি। কিন্তু সন্ধ্যার পর রাতের আধারি আলোয় চৌরঙ্গীর পার্ক ষ্ট্রীটের মাতাল পরিবেশে এদের সাথে বাঙালির মিশতে কোন সমস্যা হয় না। যত সমস্যা সব দিনের আলোয়। অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের জীবনের এসব দুঃখ-কষ্টকে শিল্পরূপে সৃজন করে অভিজাত সমাজের কুৎসিত রূপের চিত্র তুলে ধরেছেন বিখ্যাত উপন্যাসিক নিমাই ভট্টাচার্য। উপন্যাসে লেখকই কাহিনীর কথক। লেখক কোনোরকম দ্বিধা-সংকোচ না রেখেই মিশে যান অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের সাথে। গড়ে তোলেন নিবিড় বন্ধুত্বের সম্পর্ক। তার রয়েছে লিজা, রুযী নামে দুই অ্যাংলো ইন্ডিয়ান বন্ধু। সেই বন্ধুদের সাথে আড্ডায় বা কথোপকথনে ওঠে এসেছে অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের পূর্বপুরুষের ইতিহাস, পারিবারিক রীতিনীতি, চলাফেরা, আচার-আচরন,সংস্কৃতি কথা, নিপীড়িত-অবহেলিতের কথা। লেখক একে একে সবই ফুটিয়ে তুলেছেন এই উপন্যাসে। একটি উপন্যাস স্বার্থক হয়ে উঠে তখনই, যখন এটি জীবনের অদেখা অংশকে আমাদের সামনে দৃশ্যমান করে তুলতে পারে। সেদিক থেকে এই উপন্যাসের কাহিনী অনেকাংশে সফল ও স্বার্থক। লেখা শৈল্পিক হলেও ভাব প্রকাশে লেখক ছিলেন অত্যন্ত সাবলীল। বইটির প্রথমদিকে মূল কাহিনীতে প্রবেশের আগে লেখক যেভাবে গল্পের আদলে ভূমিকা টেনে গেছেন তা যে কাউকে মুগ্ধ করবে। পড়ে মনেই হবে না গল্পের চরিত্রগুলো কাল্পনিক। পরিশেষে বলা যায়, বাংলা সাহিত্যে এই অনবদ্য “অ্যাংলো ইন্ডিয়ান” উপন্যাসটি মানবতার জয়গানই উচ্চারণ করে। লিঙ্কঃ https://www.rokomari.com/book/74674/অ্যাংলো-ইণ্ডিয়ান