User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
উত্তরাধিকার, কালবেলা ও কালপুরুষ এর সিকুয়েল উপন্যাস মৌষলকাল। অনবদ্য এবং সমসাময়িক বিষয় নির্ভর।
Was this review helpful to you?
or
Best books
Was this review helpful to you?
or
উত্তরাধিকার উপন্যাস এ নাম ছিল "শচীন"। অথচ এই উপন্যাস এ সেই ব্যক্তির নাম "দেবেশ"। ব্যপারটা দুঃখজনক।
Was this review helpful to you?
or
১৯৭০-এর নকশাল রাজনীতিতে অনিমেষের জড়িয়ে পড়া এবং পুলিশি অত্যাচারে পঙ্গু হয়ে যাওয়ার কাহিনী তুমুল এক ইতিহাসের কথাই বলে। সমরেশ মজুমদার এই চরিত্রটিকে নিয়ে তিনটি বিখ্যাত উপন্যাস রচনা করেছেন, উত্তরাধিকার, কালবেলা ও কালপুরুষ, যা ধারণ করে আছে পশ্চিমবঙ্গের অনতি-অতীতকালে রাজনৈতিক-সামাজিক সময়প্রবাহ। অনিমেষের বান্ধবী হিসেবে সময়ের সঙ্গে যুঝেছে মাধবীলতা। বাংলা কথাসাহিত্যে মাধবীলতা-অনিমেষ জুটি সমরেশ মজুমদারের অনবদ্য সৃষ্টি। সময়ের ফসল হিসেবে এসেছে তাদের সন্তান অর্ক। বড় হয়ে অর্কও দুঃখী মানুষদের নিয়ে সাধ্যমতো স্বপ্নপ্রয়াসে জড়িয়ে পড়েছে এবং ব্যর্থ হয়েছে যথারীতি। সর্বত্রই ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক দল হিংস্র থাবা নিয়ে তৈরি। প্রায় তিন দশক সময় অতিক্রম করে সমরেশ মজুমদার লিখেছেন অনিমেষ-মাধবীলতা-অর্কের নতুন কাহিনী ‘মৌষলকাল’। এই উপন্যাসের আধার পশ্চিমবঙ্গের এক উত্তাল সময়। রাজনৈতিক পালাবদলের সেই ইতিহাসের নানান বাঁকে উপস্থিত মাঝবয়সি অর্ক। স্বভাব-প্রতিবাদে, আবেগে, অস্পষ্ট ভালবাসায় অর্ক যেন এক অবাধ্য স্বর। মৌষল পর্বের পারস্পরিক অবিশ্বাসের দিনকালেও প্রৌঢ় অনিমেষ-মাধবীলতা ঝলসে ওঠে আর একবার। কেউ বিপ্লব-বিশ্বাস, কেউ-বা জীবন-বিশ্বাসে অটুট। কাহিনী নির্মাণের জাদুরক সমরেশ মজুমদারের অনবদ্য সৃষ্টি মৌষলকাল।
Was this review helpful to you?
or
সমরেশ মজুমদার এর বিখ্যাত উপন্যাস ত্রয়ী' উত্তরাধিকার', 'কালবেলা' ও 'কালপুরুষ'। এই সিরিজের আরও একটি উপন্যাস ‘মৌষলকাল‘। উপন্যাসের পটভূমি পশ্চিমবঙ্গের এক উত্তাল সময়। যা ধারণ করে আছে পশ্চিমবঙ্গের অনতি-অতীতকালে রাজনৈতিক-সামাজিক সময়প্রবাহ। উপন্যাসের ব্যাপ্তি কাল পশ্চিমবঙ্গের দুই মেয়াদের দুই সরকারের সময়। কাহিনীর শুরু ২০০৮ সাল, যখন বামফ্রন্ট ক্ষমতায় ছিল এবং বর্তমান সময় নিয়ে লেখা ক্ষমতায় যখন তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির অনেক কিছুই রয়ে গেছে এই উপন্যাসে। মাধবীলতা-অনিমেষের পরবর্তি প্রজন্ম অর্ক। উপন্যাসের দৃশ্য পটে রাজনৈতিক অস্থিরতার সেই ইতিহাসের নানান সময়ে উপস্থিত মাঝবয়সি অর্ক। স্বভাব প্রতিবাদে, আবেগে, অস্পষ্ট ভালবাসায় অর্ক যেন তার পিতার মতো এক লৌহমানব। ১৯৭০ এর নকশাল রাজনীতিতে অনিমেষের জড়িয়ে পড়া এবং পুলিশি অত্যাচারে পঙ্গু হয়ে যাওয়ার কাহিনী তুমুল এক ইতিহাসের কথাই বলে এই উপন্যাসে। অনিমেষের বান্ধবী হিসেবে সময়ের সঙ্গে নিরন্তর যুদ্ধ করে চলেছে মাধবীলতা। অর্কের মধ্যে পূর্ববর্তি উপন্যাসের মূল চরিত্রদের ছায়া বেশ প্রকটভাবে ধরা দিয়েছে। তাকে সাহায্য করতে আরও একবার এগিয়ে আসে অনিমেষ-মাধবীলতা। যার মধ্য দিয়ে পাঠক দেখতে পারে সেই যৌবনের তেজি বিদ্রোহী কে আবার প্রতিবাদ করতে!
Was this review helpful to you?
or
অন্যরকম কিছু আছে এই বই তে
Was this review helpful to you?
or
সমরেশ মজুমদারের বিখ্যাত উপন্যাসগুলোর মধ্যে উত্তরাধীকার, কালবেলা, কালপুরুষ অন্যতম।একই সুত্রে গাঁথা এই তিনটি উপন্যাস তিনটি ভিন্ন ভিন্ন সময়ের।অনেকেই মনে করেন উপন্যাসগুলো রাজনৈতিক। এই ধরনের বিজ্ঞাপনে অনেকেরই বিশ্বাস-অবিশ্বাস নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু সত্যটা নির্মম বলেই হয়ত দ্বন্দ ক্লেদের মত লেগেই থাকে সময়ের শরীরে।উত্তরাধীকার, কালবেলা, কালপুরুষ তারপর-হয়ত শেষ হতে পারত। কিন্তু প্রায় পঁচিশ বছর ধরে সমরেশ মজুমদার লিখেছেন অনিমেষ-মাধবীলতা-অর্কের নতুন কাহিনী ‘মৌষলকাল’। যা প্রকাশিত হলো অনেক প্রশ্নের উত্তর নিয়ে। এও কি সম্ভব? উত্তর যেমন আসে প্রশ্নও তো আসে। স্বভাব-প্রতিবাদে, আবেগে, অস্পষ্ট ভালবাসায় অনিমেষ-মাধবীলতার সময়ের ফসল অর্ক যেন এক অবাধ্য স্বর। মৌষল পর্বের পারস্পরিক অবিশ্বাসের দিনকালেও প্রৌঢ় অনিমেষ-মাধবীলতা ঝলসে ওঠে আরও একবার। কেউ বিপ্লব-বিশ্বাস, কেউ-বা জীবন-বিশ্বাসে অটুট। মৌষল হল মহাভারতের একটি অংশবিশেষ।যদিও শব্দটি এখানে রুপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে । এই উপন্যাসের আধার পশ্চিমবঙ্গের এক উত্তাল সময়। মহাভারতের কুরুক্ষেত্রের পর যে চিত্র উঠে এসেছিল তা রুপক সাদৃশ্য বিবেচনায় উপস্থাপিত হয়েছে এখানে। উপন্যাসের পটভূমি পশ্চিমবঙ্গের দুই মেয়াদের দুই সরকারের সময়কালীন। যখন ক্ষমতায় ছিল বামফ্রন্ট। আর শেষ হয়েছে বর্তমান সময়ে।তুলে ধরা হয়েছে বামফ্রন্টের পরাজয় ও তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থানের আখ্যানও। উঠে এসেছে মানুষের রূপ। মানুষের ভেতরের আর এক মানুষ। দশ বছর একা থেকে অনিমেষের ছোট মা আক্ষেপের সাথেই বলেছিলেন, “কার উপর আস্থা রাখব? মানুষের উপর? মানুষ তো সাপের চেয়েও ভংকর। সাপ ভয়ে ছোবল মারে, আত্নরক্ষার জন্যে। মানুষ ছোবল মারে আনন্দ পেতে, মজা লুটতে।” এক প্রেক্ষিতে মাধবিলতাও বলেছিল-“প্রানীদের সাথে মানুষের তফাত হল, যে খাবার দেয় ওরা তার অনিষ্ট করেনা।” আদর্শ বলে যে একটা শব্দ আছে, অথবা একটা কমিটমেন্ট-কিন্তু বাস্তবের চিত্র তো ভিন্ন। কমিউনিজমের ভাল ভাল কঠিন কথা, যার অর্থ সাধারণ মানুষ বোঝেনা। এখানে দেখানও হয়েছে কিভাবে ধর্মটাকে দলের স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে। মন্দিরকে পূঁজি করে হলেও মানুষের সমর্থন পাওয়ার উদ্দ্যেশেই নির্মান হবে বলে জায়গা, অর্থ দাবী করা হয়েছে। আদর্শের নাম নিয়ে পূরো সিস্টেমটাকে নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ক্ষমতাটা রয়ে গেছে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের হাতে। এবং তাদের হাতেই সাধারণ মানুষ জিম্মি। কালচারটা এভাবেই বেড়ে উঠেছে। এক অভিনব সিস্টেমে তারা শোষন করে চলেছেন আর আমাদের অসহায় অন্নদাতাগণ কোন মহাপুরুষের অপেক্ষায় দিন গুনছেন। কাহিনির এক পর্যায়ে নৃপেনদা খেপে গিয়েছিলেন- “আদর্শ? আদর্শ মানে কি? যার নড়ন, চড়ন নেই? যুগ যুগ ধরে যাকে মাথায় নিয়ে থাকতে হবে? পরিবর্তিত পরিস্থিতি, বদলে যাওয়া সমাজব্যবস্থার সঙ্গে যদি আদর্শকে না মিশিয়ে দেয়া হবে তা হলে তার জায়গা হবে ওয়েস্ট পেপার বক্সে।তা ছাড়া কালিমন্দির হলে জনতাকে কাছে পাওয়া যাবে। ক’জন সাধারণ শ্রমজীবি কৃষক, শ্রমিক বুর্জোয়া শব্দটির মানে জানে?” অনিমেষ বলেছিল, “ক্ষমতা দীর্ঘদিন হাতে পেলে লজ্জা ভয় দূর হয়ে যায়।” আচ্ছা লজ্জা না থাকলে তাকে কি মানুষ বলা যায়?আর লজ্জাবোধ, জীবনবোধ তো শিক্ষা থেকেই আসে। প্রকৃত শিক্ষা ভেতরের মানুষটাকে প্রভাবিত করে, মুল্যবোধ সৃষ্টি করে, চেতনার জগৎটাকে প্রসারিত করে। সেইটায় বা দিচ্ছে কে? কাহিনির এক ভাগে মিস্টার রায় নামক একজন এ্যাডভোকেটের দারস্থ হোন অনিমেষ মিত্র। আইনের লোক হওয়া সত্ত্বেও তিনি বলেছিলেন-“ পৃথিবীতে এত রকমের পরিবর্তন হয়েছে দেখেছেন, ঘুষ শব্দটাও যে বাতিল হয়ে গেছে তা জানেন না।” পুরো সমাজব্যবস্থাটাকে দুটো শ্রেণিতে ভাগ করে ফেলা হয়েছে । শোষক আর শোষিত গোষ্টী । সারাটা জীবন কেউ ন্যায়-নীতি, আদর্শ নিয়ে পঁচে মরবে আর স্বপ্ন দেখবে পরিবর্তনের ।আর কেও কেও আছেন, এসবের ধারও ধারবেন না। এই রকম পার্থক্য কেন? স্রষ্টা সৃষ্টি করার সময় কি এই রকম পার্থক্য করে বানিয়েছেন? যদি তাই হয়ে থাকে, তবে উনি নিজেও বৈষম্যের শিকার হবেন। এক দিক থেকে এটাও সত্য যে প্রথা, নিয়ম, নীতি, আইন-কানুন, আদর্শ, ধর্ম মানুষের উপর এক প্রকার শোষন ছাড়া কিছুই নয়। কারনটা হলো, অধিকাংশ সাধারণ মানুষের উপর এইগুলো প্রয়োগ হয় বা ব্যবহৃত হয়। আর সাধারণ মানুষ এইসবের কোন একটা উপেক্ষা করলে তার শাস্তিটাও শোষক গোষ্টী এবং ঐসব নিয়ম-নীতি দ্বারা নির্ধারিত হয়। তাহলে মানুষের মুক্তি কোথায়? আমরা অবাক হইনা। কারন শোষক গোষ্টী এইসব প্রথা, নিয়ম, নীতি, আইন-কানুন, আদর্শ, ধর্মকে পুঁজি করে এবং নিজের নিয়ন্ত্রনে রেখে শোষন করে চলেছেন যুগ যুগ ধরে। আর এটায় মাথা পেতে মেনে এসেছি আমরা, আমাদের পূ্র্বপূরুষগণ। আর এটাই রাজনীতি। এই কলিকালে রাজনীতিটায় হয়ে এসেছে ভোটের ।অধিকার তো অনেক দুরের বিষয়। মানুষের কাছাকাছি আসতে পারাটা বোধ হয় সহজ বিষয় নয় । মৌষলকালে একটা সময়কে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রাপ্তির হিসাবটা তো রাজনীতিবিদ আর ব্যবসায়ীরা ভাল বুঝবেন।আমাদের তো কোন দায় নেই। সত্যি কি তাই? তবু আশার সঞ্চার হয়।কারন অনেকেই ভালবাসতে জানেন, ভাল রাখতে জানেন। --অনিমেষ দিপু
Was this review helpful to you?
or
২০১৩ সালের অন্যতম সেরা বাংলা বই বোধ হয় 'মৌষলকাল'। আমি বাংলা ভাষায় গতবছর বেরুনো সব বই পড়ি নাই। তাই সবমিলিয়ে মৌষলকালের অবস্থান কোথায় থাকবে তা বলা মুশকিল। তবে আমার পড়া সেরা তিনটি বইয়ের মধ্যে এটি অবশ্যই একটি। 'কালপুরুষ' প্রকাশ হয়েছিল প্রায় তিন দশক আগে। কিন্তু তখন আমার জন্মই হয়নি। তাই 'উত্তরাধিকার', 'কালবেলা' ও 'কালপুরুষ' উপন্যাসত্রয়ী পড়েছি অনেক পরে। এবং সেজন্যই 'কালপুরুষ' পড়ার পর এই কাহিনীর পরবর্তি কিস্তির জন্য আমাকে সুদীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে থাকতে হয়নি। কোন বই দেরিতে পড়ার এই একটা সুবিধা পাওয়া গেছে! তবে সে যাইহোক, প্রসংগ যখন মৌষলকাল, তখন প্রথমেই এই বইয়ের নাম নিয়ে কথা বলা যাক। নিঃসন্দেহে নামকরণে যথেষ্ট সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন কালজয়ী লেখক। এ কথা বলছি এজন্য যে মৌষলকাল শব্দটির অর্থ অনেকেরই অজানা। আর কোন বইয়ের শিরোনামই যদি পাঠকের বোধগম্য না হয়, তবে পাঠক সে বই পড়বে কেন? তারপরও পাঠক মৌষলকাল কিনেছে তার কারণ প্রথমত এটি এক অতি বিখ্যাত লেখকের সমধিক বিখ্যাত তিন উপন্যাসের পরবর্তি অংশ। সুতরাং নাম যতই খটমট হোক না কেন, তাতে পাঠকের কিচ্ছু আসবে যাবে না। তারপরও জানিয়ে দিতে চাই এর অর্থ। মূলত মৌষল হল মহাভারতের একটি অংশবিশেষ। উপন্যাসের নামকরণ হয়েছে রুপক অর্থ। ৭০ এর দশক ও সেই থেকে বর্তমান পর্যন্ত সময়ের সাথে লেখক কুরুক্ষেত্র পরবর্তি অংশের রুপক সাদৃশ্য বিবেচনায় এই উপন্যাসের নাম দিয়েছেন 'মৌষলকাল'। সেদিক থেকে বলতে গেলে উপন্যাসের নামকরণ যথার্থ হয়েছে। এত সুন্দর এবং কাহিনীর সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ত আর কোন নামই হতে পারত না। তৎকালীন সময় অর্থাৎ ৭০ এর দশকে পশ্চিমবঙ্গের সার্বিক অবস্থা তথা সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের কথা সুনিপুনভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে উপন্যাসে। এবং তাকে প্রধান থিম করেই এগিয়ে নেয়া হয়েছে গোটা কাহিনী। তুলে ধরা হয়েছে বামফ্রন্টের পরাজয় ও তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থানের আখ্যানও। সুতরাং এটিকে এক অর্থে রাজনৈতিক উপন্যাস হয়ত বলা যেতে পারে। লেখক শুধু সেই সময়কার রাজনৈতিক অবস্থার চিত্র বর্ণনা করেই ক্ষান্ত হননি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান ও সে ব্যাপারে লেখকের নিজস্ব চিন্তাধারারও প্রতিফলন ঘটেছে মৌষলকালে। অনেকে হয়ত ভাবতে পারেন, এটি যদি রাজনৈতিক উপন্যাসই হয়, তাহলে একে 'উত্তরাধিকার', 'কালবেলা' ও 'কালপুরুষ' এর পরবর্তি অংশ বলার কি যুক্তি? যুক্তি অবশ্যই আছে। কেননা পূর্ববর্তি উপন্যাস তিনটি যারা পড়েছেন, তারা জানেন সেই উপন্যাস তিনটির কাহিনী একটি নির্দিষ্ট ধারায় বয়ে চললেও সেই তিন উপন্যাসের প্রধান থিম ছিল ভিন্ন ভিন্ন। এই উপন্যাসেও তার কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি। 'কালবেলা' উপন্যাসের মাধবীলতা এখানে আছে সশরীরে। তাকে সংগ দিতে এবং উপন্যাসের মূল কাহিনীকে পরিপূর্নতা প্রদানে যথা সময়ে লেখক 'কালবেলা'র আরও অনেক চরিত্রকেই টেনে এনেছেন। তাদের উপস্থিতি জোরপূর্বক নয়। কাহিনীর প্রয়োজনেই তারা এসেছেন আবার চলেও গেছেন। আগের উপন্যাসের সাথে এখানে তাদের বেশ অমিল। কারণ এখন সকলেই বয়সের ভারে ন্যুব্জ। সময়ের পালাবদলে এই উপন্যাসে এসে মাধবীলতা-অনিমেষের পরবর্তি প্রজন্ম অর্ক। অর্কের মধ্যে পূর্ববর্তি উপন্যাসের মূল চরিত্রদের ছায়া বেশ প্রকটভাবে ধরা দিয়েছে। আবার অর্ক তার নিজ ব্যক্তিত্বেও আলো ছড়িয়েছে এই উপন্যাসে। সে তার নিজের স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলে। হোঁচটও খায়। রাজনীতির অনুপ্রবেশে তার জীবনের পালাবদল ঘটে। উত্তাল রাজনীতি ও কাহিনীর ভরা জোয়ারের স্রোতে ভেসে যায় সে। তবে হারিয়ে যায় না অবশ্যই। ঠিকই প্রতিকূলতাকে পিছে ফেলে কূল অভিমুখে সাঁতরাতে থাকে। তাকে সাহায্য করতে আরও একবার এগিয়ে আসে অনিমেষ-মাধবীলতা। আরও একবার পাঠক ফিরে পায় তাদের চিরচেনা দুই প্রিয় চরিত্রকে তাদের স্বরূপে। রাজনীতি, ভালবাসা, স্বপ্ন, স্বপ্নভংগ, প্রতিবাদ, প্রতিশোধ - সবমিলিয়ে কাহিনী ডালপালা মেলতে থাকে। সময়ের প্রবাহে উপন্যাসের পরিণতি হয় শীতের ঝরাপাতার মতই। কিন্তু মাটিতে পড়ে তারা অচিন দেশে হারিয়ে যায় না। এতদিনের এক যাত্রার এটিই মহাযাত্রা হতে পারে না। লেখক যদি চান, তাহলে হয়ত আমরা পাব এই সিরিজের ৫ম পর্বও। তবে তার আগে পড়ে নিন মৌষলকাল, যারা এখনো পড়েননি।