User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Fariya Ahsan

      06 Jul 2021 08:44 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      A very light yet brilliant book

      By Aparajita Debnath

      28 Feb 2020 09:15 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ছুটির দিনের দুপুরে ঘুম ঘুম আবেশে পড়ে শেষ করলাম অনেকদিনের জমিয়ে রাখা বই ' সাঁতারু ও জলকন্যা'। বইটি পড়ার খুব আগ্রহ ছিল কারণ অনেকদিন আগে, সম্ভবত সুশান্ত পাল দাদার একটা রিভিউ দেখেছিলাম ' শীর্ষেন্দুর সব বই উনার, শুধু এই বইটা আমার'। কথাটা খুব ভাল লেগেছিল সাথে আগ্রহ ও জেগেছিল কি এমন আছে বইটাতে। আজ পড়ে ফেললাম, আর কি এক দুঃখবোধে মন ছেয়ে গেল। লুতুপুতু প্রেমকাহিনী পড়ে আমোদ পাবার বয়স আর নেই, প্রেম কাহিনি থেকে দূরে পালানো আমিও বইটি শেষ করে দেখলাম চোখে পানি এসে যাচ্ছে!! কি অদ্ভুতভাবে সম্পূর্ণ দুরকম মানুষ নিজেদের খুজে পেল, ভালোবাসলো.. অলক, যাকে সবাই পছন্দ করে, সবাই চায়। বনানী, যাকে কেউ চায় না। যে জন্মেছেই মরার জন্য! অলক ভারতবর্ষের বিখ্যাত সাঁতারু। ভাল চাকরি, খ্যাতি, সৌন্দর্য কি নেই তার! সেই সুবাদে অনেক মেয়েরাই তাকে চায়। খুব কাছেও এসেছে কেউ-কেউ। কিন্তু নাগাল পায়নি। অলকের কাউকেই মনে ধরে না। শরীর ছুয়েও কারো মন ছোয়া হয়না। এ প্রসঙ্গে একটি ডায়লগ খুব ভালো লাগলো ' তোমার শরীরের মধ্যে শরীর ছাড়া আর কিছু নেই?' কারণ, সে এমন মেয়ে চায় যার শরীর হবে জলের মতোই গভীর, আকণ্ঠ অবগাহনের যোগ্য। একদিন দেখা মিলল সেই জলকন্যার যার অপেক্ষাতে ছিল সে এতকাল! কী করে দেখা আর প্রেম তাই নিয়েই এই অসাধারণ গল্পটি। শুধু একটিই সমস্যা, অতি দ্রুত গল্পটা শেষ হয়ে গেল! আরো বড় হলে ভালো হতো। এই গল্প আমি সারাদিন পড়তে পারতাম.. বইটির সবচেয়ে প্রিয় উক্তি- 'শুধু বেঁচে থাকতে পারলে, কোনওরকমে কেবলমাত্র বেঁচে থাকতে পারলেও জীবনে কত কী যে হয়! ' রেটিং- ৯/১০

      By Akash Basfour

      19 Jan 2020 08:38 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই এর গল্প কোন দিগে মোর নিচ্ছে তা আগে থেকে বুঝা যায় না। আর যারা হতাশা তে ভুগছেন তাদের জন্য অনুপ্রেরণার কাজ করবে।

      By Md kamrul Hasan

      12 Dec 2019 01:19 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ? বই নিয়ে আলোচনা ? জীবন বড় অদ্ভুত… সুন্দর! ততক্ষণ, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি জীবনকে জানতে চাইবেন। সুখ, শান্তি আসলে কোথাও পাওয়া যায় না। জীবনের আনাচ-কানাচে, এই গলি সেই মোড় করে করে তা খুঁজতে হয়। আর এই খুঁজতে পারাটাই হলো বেঁচে থাকার আসল পথ্য। লেখক "শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়" তাঁর বই "সাঁতারু ও জলকন্যা" বইতে হয়তো এই বার্তাই রেখে গেছেন। সেই ছোটবেলা থেকেই 'অলকের' মা কেমন যেন ছেলেকে একটু ভয়ও পেতেন। ঠিক ভয় না, ভয় মিশ্রিত সহানুভূতি কাজ করতো তার ভেতরে। আর বাবার কাছে মনে হতো বিষয়টা আসলে জেনারেশন গ্যাপ। কারণটা হচ্ছে অলক খুবই শান্ত শিষ্ট ছেলে। অনেক সময় স্বাভাবিক কথারও জবাব দিতো না। হয়তো চার পাঁচটা কথা জিজ্ঞেস করলে সে একটা উত্তর দিতো, তাও সেটা মাথা নাড়িয়ে বা হু, না বলে৷ শত মারের আঘাতেও রাও করে না। মার খেয়ে সে তারপরই পুকুরে চলে যেত, চলতো সেখানে তার ডুব সাঁতার। তখন তাকে দেখে একটুও মনে হতো না যে সে কিছুক্ষণ আগেই মায়ের হাতে বিনাকারণে মার খেয়েছে। অলক খুব জল পছন্দ করে। সারাদিন সে সাঁতার করে বেড়ায়। আসলে সে ডাঙায় জলের সেই সুখ শান্তি, জলে নিস্তব্ধতা পায় না। সে জলকে আশ্রয় এবং ক্ষতস্থানের প্রলেপদানকরী হিসেবে মনে করে। তার কাছে মনে হয় জলের সংস্পর্শে সে খুব শান্তিতে থাকতে পারে। জল তাকে তার গভীরে ধারণ করে অলকের গভীরের ক্ষত মুছে দেয়। অলকের স্বভাবও এখন প্রায় জলের মতোই। শীতল…! উল্টোদিকে আমরা পাবো 'বনানী'কে। যার বর্তামন অবস্থা খুবই নাজুক। শীর্ণকায় এক কিশোরী সে। ঐ নামেই যা কিশোরী। আদতে দেখতে অন্য কিছু মনে হয়। এককালে হয়তো হাড়সর্বস্ব ঐ দেহের চামড়ার রংটা সাদা ছিলো। এখন আর তা বোঝার জো নেই। দেহের নানা অংশে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। কঙ্কালসার দেহ। ন্যাড়া মাথা। বনানীর বর্তমান আবাসস্থল গ্রামের জমিদার দাসশর্মাদের বাড়ীর গোয়াল ঘরে। এই বয়সেও যদি কেউ বিছানা ভিজিয়ে ফেলে তাহলে আর কার কি করার থাকে। বনানীর মা মারা যায় সেই ছোটবেলাতেই। মায়ের মৃত্যুর পর তার বোন, মানে বনানীর মাসী কে বিয়ে করে ঘরে আনেন বনানীর বাবা। এনেছে বনানীর সুখের জন্য। হয়েছিলও প্রথম প্রথম, কিন্তু তারপরেই সব কেমন যেন উল্টে গেলো। বাধ্য হয়ে বনানীকে এই দাসশর্রমাদের বাড়িতে ঝিয়ের কাজে লাগিয়ে দিয়ে যায় বনানীর বাবা। বাবার যাওয়া আসার পথ এই বাড়ির সামনে দিয়েই। বাবার যাওয়ার যখন সময় হয় তখন বনানী একছুটে বাড়ির গেটের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। বাবা আসে, ছলছল চোখে মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে। কী করবে বলুন? নাই তো কিছু বনানীর বাবার। নিতান্তই গরীব মানুষ। মেয়েকে শুধু বলতেন "তোর তো মরার জন্যই জন্ম হয়েছে"... এই কথাটাই মনে ধারণ করেই বনানী চলতে থাকে। তার এখন একটাই চাওয়া, মাথার উপর একটুখানি ছাঁদ আর একটু খাবার… এদিকে অলক পরিপূর্ণ যুবক। জল তাকে এখনো পর্যন্ত অনেক অর্জণ উপহার দিয়েছে। বাবা ছেলের মাঝে জেনারেশন গ্যাপ থাকলেও দাদা নাতীতে সেই গ্যাপ থাকে না। তাই তো অলক দাদুর এলাকার আশেপাশে আসলেই ওবাড়িতে আসবেই, খাওয়া দাওয়া করবে, কিছুক্ষণ অন্তত সময় কাঁটিয়ে যাবে। যুবক হওয়া সময়টা পর্যন্ত অলকের শীতল জীবনটা অনেক প্রমিলা রসে আস্বাদিত হয়েছে, কিন্তু কখনো সে রসে পূর্ণ করতে পারেনি অলকের জীবনটাকে। অলক তাদের মাঝে জলের গভীরতার সন্ধান করে বেড়ায়। কিন্তু নাহ, কিচ্ছু পায় না। ঐ তুলতুলে কায়া পর্যন্তই তাদের ব্যাপ্তি। অলকের ডাঙ্গা থেকে জলেই ভালো। সুন্দরবনের মোহনায় অলক রাতের অন্ধকারে সাঁতার কাটতে গিয়ে এক 'জলকন্যা'র দেখা পায়। এছাড়া আর অলকের কিইবা করার আছে, কিন্তু স্বপ্নরাজ্যের সেই জলকন্যার দেখা কী অলক পাবে? দাসশর্রমাদের বাড়ির নতুন বৌয়ের কাছে বনানী পড়তে শিখেছে, সে এখন বঙ্কিমচন্দ্রের বই পড়তে পারে। নতুন বৌয়ের দেয়া ওষুধে বনানীর শরীরে স্বচ্ছতা ফিরে আসছে। মাথায় চুল গজিয়েছে। কিন্তু এখানেও বেশিদিন আর থাকা গেলো না। বাড়িতে লেগে গেছে গন্ডগোল। তখন বনানী জোয়ারে ভাসতে ভাসতে গিয়ে ঠেকে এক কুটিরে। আর সেই কুটিরটি তার সবকিছু আবার এলোমেলো করে দেয়। তখন লেখকের এই কথাটি বড্ড বেশি ভালো লাগে… …'বেঁচে থাকতে পারে তারাই যাদের বেঁচে থাকাটা অন্য কেউ চায়। যাদের ভালোবাসার লোক আছে'...। এভাবেই চলতে থাকে "সাঁতারু ও জলকন্যার" ডুব সাঁতারের খেলা। সেই খেলাতে মিশে যায় বা ভেসে যায় অলককের বাবা মা, সহ আশেপাশের সবাই। ? 'আনন্দ পাবলিশার্স' থেকে প্রকাশীত 'শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়'এর "সাঁতারু ও জলকন্যা" বইটি রোমান্টিক জনরায় ফেললেও তার সাথে উঠে এসেছে পরিবেশের সুন্দর বর্ণনা এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফুটে উঠেছে সেটা হলো 'মনস্তাত্ত্বিক' বিশ্লেষণ। লেখকের সাহিত্য মান নিয়ে কথা বলার দুঃসাহস আমার নেই। দুই প্রান্তের দুই রকমের আবেগকে এক সুতায় গাঁথা তাও আবার খুব সহজ এবং প্রাঞ্জল ভাষায় বর্ণনা করে যাওয়া এতো শুধু এক সাহিত্যিককেই মানায়। আবেগ, প্রেম, দুঃখ, ভালো লাগা, সংসার এসবকিছু যাদের হাতের কলমের তলায় পিষ্ট করতে করতে চতুষ্কোণ শুভ্র ঐ পৃষ্ঠাকে ভরিয়ে তুলতে সক্ষম হয় তারাইতো যোগ্য সাহিত্যিক। ধন্যবাদ। © মোঃ কামরুল হাসান সময় - সন্ধ্যা ৬ টা, ১২/১০/২০১৯ ? বই হোক আপনার, আপনি বইয়ের ?

      By Huzzatul Islam Alif

      14 Oct 2019 11:05 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      "বেচে থাকতে পারেই তারাই যাদের বেচে থাকাটা অন্য কেউ চায়। কিন্তু শুধু বেচে থাকতে পারলে, কোনোরকমে কেবল্ মাত্র বেচে থাকতে পারলে ও জীবনে কত কি যে হয়!" এই সুন্দর উক্তিটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় লিখেছেন তার বিখ্যাত উপন্যাস সাঁতারু ও জলকন্যাতে। শীর্ষেন্দু তার সাবলীল ভাষার জন্য বাংলা সাহিত্যে একটা জায়গা দখল করে নিয়েছেন। এই উপন্যাসটি তার ব্যাতিক্রম হয়নি। উপন্যাসের নায়ক অলক এবং নাকিয়া বনানী। সাদামাটা একটি কাহিনী নিয়ে এগিয়ে গেছে উপন্যাসটি। ছোটবেলা থেকে অলককে জল টানতো। আর এই জন্যই তার ব্যাক্তিত্ব হয়েছিল জলের মতো গভীর। এতোই গভীর যে তার বাবা মাও তাকে বুঝে উঠেতে পারেনা। শান্ত শিষ্ঠ অলক যে সাতারের জন্য পেয়েছিল অঠেল পুরষ্কার। কিন্তু অলক জানে সে ও সামান্য পুরষ্কারের জন্য জলে নামে না। সাধারণ মানুষদের মতো মেয়েদের সাথে তার সম্পর্ক ছিল স্বাভাবিক। কিছু সম্পর্ক শারীরিক সম্পর্কে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু অলক তালে তৃপ্ত হতো না। জলের মতো গভীর মেয়ে সে পেয়ে উঠছিল না। অন্য দিকে উপন্যাসের নাকিয়া বড় হচ্ছিল অবহেলায়। সৎমায়ের নির্যাতনে বাসা ছাড়তে হয় তাকে। ঠাই হয় দাসশৰ্মাদের বাড়িতে। রোগা আর ঘায়ে ভরা শরীর হওয়ায় ভারী কাজ করতে হত না তাকে। অনেক লোকের মাঝে সে বাড়িতে বনানী সবার অগোচরে থাকতে্। কিন্তু হঠাৎ সে বাড়িতে নেমে আসে অশান্তি। দাসশৰ্মাদের বড় সংসার ভেঙ্গে গেলে বাড়ি ছাড়তে হয় বনানীকে। তার ঠাই হয় দাসশৰ্মাদের বাড়ির বউয়ের ভাইয়ের বাড়িতে। কিন্তু সেখানেও সে থাকতে পারেনি। আর এর পরেই ঠাই হয় অলকের দাদুর বাড়িতে। অলক আর বনানীর দেখা হয় সেই বাড়িতে। অলকে দেখার পর রোগা সে মেয়েটার এক অদ্ভূত পরিবর্তন শুরু হয়। বনানী সেই ছেলেটাকে ভালোবেসে ফেলে। অন্যদিকে অলক মাঝে মাঝে যে জলকন্যার দেখা পেত, বনানীকে তার সেই জলকন্যা মনে হয়েছিল। নির্দিধায় বলা যার শীর্ষেন্দুর এটি একটি মহৎ সৃষ্টি।

      By Neel kontho

      13 Oct 2019 09:43 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      'শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়'এর "সাঁতারু ও জলকন্যা" বইটি রোমান্টিক জনরায় ফেললেও তার সাথে উঠে এসেছে পরিবেশের সুন্দর বর্ণনা এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফুটে উঠেছে সেটা হলো 'মনস্তাত্ত্বিক' বিশ্লেষণ। লেখকের সাহিত্য মান নিয়ে কথা বলার দুঃসাহস আমার নেই। দুই প্রান্তের দুই রকমের আবেগকে এক সুতায় গাঁথা তাও আবার খুব সহজ এবং প্রাঞ্জল ভাষায় বর্ণনা করে যাওয়া এতো শুধু এক সাহিত্যিককেই মানায়। আবেগ, প্রেম, দুঃখ, ভালো লাগা, সংসার এসবকিছু যাদের হাতের কলমের তলায় পিষ্ট করতে করতে চতুষ্কোণ শুভ্র ঐ পৃষ্ঠাকে ভরিয়ে তুলতে সক্ষম হয় তারাইতো যোগ্য সাহিত্যিক।

      By Shadin Pranto

      06 Oct 2019 01:30 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ইদানীংকালে শীর্ষেন্দুর অন্যতম আলোচিত উপন্যাস 'সাঁতারু ও জলকন্যা'। উপন্যাস ছোট্ট অথচ কী ভারী এক জীবনদর্শন এখানে খুঁজে পাওয়া যায়। পাওয়া যায় অস্তিত্ববাদের নিদর্শন। আধুনিক ছেলে অলক৷ সাঁতারু অলক শুধু জলেই সাঁতরে বেড়ায় না, খুঁজে ফেরে নিজের জলকন্যাকে। কিন্তু তার দেখা মেলে না। বনানী জীবনে অনেক ঘা খেয়েছে। বাঁচার কারণ পায় না। সে এসে দাঁড়ায় অলকের দাদুর বাড়িতে। ঘটনাক্রমে উপলব্ধি করে 'শুধু বেঁচে থাকলেও অনেককিছু হয়। ' বেঁচে থাকার ইচ্ছেটা বাড়িয়ে দেয় এই উপন্যাসটা।

      By Sultan

      13 Oct 2019 11:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      জীবন বড় অদ্ভুত… সুন্দর! ততক্ষণ, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি জীবনকে জানতে চাইবেন। সুখ, শান্তি আসলে কোথাও পাওয়া যায় না। জীবনের আনাচ-কানাচে, এই গলি সেই মোড় করে করে তা খুঁজতে হয়। আর এই খুঁজতে পারাটাই হলো বেঁচে থাকার আসল পথ্য। লেখক "শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়" তাঁর বই "সাঁতারু ও জলকন্যা" বইতে হয়তো এই বার্তাই রেখে গেছেন। সেই ছোটবেলা থেকেই 'অলকের' মা কেমন যেন ছেলেকে একটু ভয়ও পেতেন। ঠিক ভয় না, ভয় মিশ্রিত সহানুভূতি কাজ করতো তার ভেতরে। আর বাবার কাছে মনে হতো বিষয়টা আসলে জেনারেশন গ্যাপ। কারণটা হচ্ছে অলক খুবই শান্ত শিষ্ট ছেলে। অনেক সময় স্বাভাবিক কথারও জবাব দিতো না। হয়তো চার পাঁচটা কথা জিজ্ঞেস করলে সে একটা উত্তর দিতো, তাও সেটা মাথা নাড়িয়ে বা হু, না বলে৷ শত মারের আঘাতেও রাও করে না। মার খেয়ে সে তারপরই পুকুরে চলে যেত, চলতো সেখানে তার ডুব সাঁতার। তখন তাকে দেখে একটুও মনে হতো না যে সে কিছুক্ষণ আগেই মায়ের হাতে বিনাকারণে মার খেয়েছে। অলক খুব জল পছন্দ করে। সারাদিন সে সাঁতার করে বেড়ায়। আসলে সে ডাঙায় জলের সেই সুখ শান্তি, জলে নিস্তব্ধতা পায় না। সে জলকে আশ্রয় এবং ক্ষতস্থানের প্রলেপদানকরী হিসেবে মনে করে। তার কাছে মনে হয় জলের সংস্পর্শে সে খুব শান্তিতে থাকতে পারে। জল তাকে তার গভীরে ধারণ করে অলকের গভীরের ক্ষত মুছে দেয়। অলকের স্বভাবও এখন প্রায় জলের মতোই। শীতল…! উল্টোদিকে আমরা পাবো 'বনানী'কে। যার বর্তামন অবস্থা খুবই নাজুক। শীর্ণকায় এক কিশোরী সে। ঐ নামেই যা কিশোরী। আদতে দেখতে অন্য কিছু মনে হয়। এককালে হয়তো হাড়সর্বস্ব ঐ দেহের চামড়ার রংটা সাদা ছিলো। এখন আর তা বোঝার জো নেই। দেহের নানা অংশে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। কঙ্কালসার দেহ। ন্যাড়া মাথা। বনানীর বর্তমান আবাসস্থল গ্রামের জমিদার দাসশর্মাদের বাড়ীর গোয়াল ঘরে। এই বয়সেও যদি কেউ বিছানা ভিজিয়ে ফেলে তাহলে আর কার কি করার থাকে। বনানীর মা মারা যায় সেই ছোটবেলাতেই। মায়ের মৃত্যুর পর তার বোন, মানে বনানীর মাসী কে বিয়ে করে ঘরে আনেন বনানীর বাবা। এনেছে বনানীর সুখের জন্য। হয়েছিলও প্রথম প্রথম, কিন্তু তারপরেই সব কেমন যেন উল্টে গেলো। বাধ্য হয়ে বনানীকে এই দাসশর্রমাদের বাড়িতে ঝিয়ের কাজে লাগিয়ে দিয়ে যায় বনানীর বাবা। বাবার যাওয়া আসার পথ এই বাড়ির সামনে দিয়েই। বাবার যাওয়ার যখন সময় হয় তখন বনানী একছুটে বাড়ির গেটের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। বাবা আসে, ছলছল চোখে মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে। কী করবে বলুন? নাই তো কিছু বনানীর বাবার। নিতান্তই গরীব মানুষ। মেয়েকে শুধু বলতেন "তোর তো মরার জন্যই জন্ম হয়েছে"... এই কথাটাই মনে ধারণ করেই বনানী চলতে থাকে। তার এখন একটাই চাওয়া, মাথার উপর একটুখানি ছাঁদ আর একটু খাবার… এদিকে অলক পরিপূর্ণ যুবক। জল তাকে এখনো পর্যন্ত অনেক অর্জণ উপহার দিয়েছে। বাবা ছেলের মাঝে জেনারেশন গ্যাপ থাকলেও দাদা নাতীতে সেই গ্যাপ থাকে না। তাই তো অলক দাদুর এলাকার আশেপাশে আসলেই ওবাড়িতে আসবেই, খাওয়া দাওয়া করবে, কিছুক্ষণ অন্তত সময় কাঁটিয়ে যাবে। যুবক হওয়া সময়টা পর্যন্ত অলকের শীতল জীবনটা অনেক প্রমিলা রসে আস্বাদিত হয়েছে, কিন্তু কখনো সে রসে পূর্ণ করতে পারেনি অলকের জীবনটাকে। অলক তাদের মাঝে জলের গভীরতার সন্ধান করে বেড়ায়। কিন্তু নাহ, কিচ্ছু পায় না। ঐ তুলতুলে কায়া পর্যন্তই তাদের ব্যাপ্তি। অলকের ডাঙ্গা থেকে জলেই ভালো। সুন্দরবনের মোহনায় অলক রাতের অন্ধকারে সাঁতার কাটতে গিয়ে এক 'জলকন্যা'র দেখা পায়। এছাড়া আর অলকের কিইবা করার আছে, কিন্তু স্বপ্নরাজ্যের সেই জলকন্যার দেখা কী অলক পাবে? দাসশর্রমাদের বাড়ির নতুন বৌয়ের কাছে বনানী পড়তে শিখেছে, সে এখন বঙ্কিমচন্দ্রের বই পড়তে পারে। নতুন বৌয়ের দেয়া ওষুধে বনানীর শরীরে স্বচ্ছতা ফিরে আসছে। মাথায় চুল গজিয়েছে। কিন্তু এখানেও বেশিদিন আর থাকা গেলো না। বাড়িতে লেগে গেছে গন্ডগোল। তখন বনানী জোয়ারে ভাসতে ভাসতে গিয়ে ঠেকে এক কুটিরে। আর সেই কুটিরটি তার সবকিছু আবার এলোমেলো করে দেয়। তখন লেখকের এই কথাটি বড্ড বেশি ভালো লাগে… …'বেঁচে থাকতে পারে তারাই যাদের বেঁচে থাকাটা অন্য কেউ চায়। যাদের ভালোবাসার লোক আছে'...। এভাবেই চলতে থাকে "সাঁতারু ও জলকন্যার" ডুব সাঁতারের খেলা। সেই খেলাতে মিশে যায় বা ভেসে যায় অলককের বাবা মা, সহ আশেপাশের সবাই।

      By Dulal Hossin Emon

      07 Jul 2018 01:14 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এক ছিল সাঁতারু। ছোট্টবেলা থেকে জল তার প্রিয়। জলের সবুজ নির্জনতা ও নৈস্তব্ধ্যের মধ্যেই সে খুঁজে পায় নিজের অস্তিত্ব। জল তাকে দেয় আশ্রয় আর ক্ষতস্থানে প্রলেপ, জোগায় বেঁচে থাকার রসদ। বি এ পাশ করেছে সেই সাঁতারু। চাকরি ভাল। কাপ-মেডেলে ঘর ভর্তি। মেয়েরা তাকে চায়। খুব কাছেও এসেছে কেউ-কেউ। কিন্তু নাগাল পায়নি। সে যাকে চায়, তার শরীর হবে জলের মতোই গভীর, আকণ্ঠ অবগাহনের যোগ্য। কখনও অবশ্য দেখা দেয় তার কাঙিক্ষতা জলকন্যা। কিন্তু সে দেখা কতটা চোখের আর কতটা মনের, সে নিজেও জানে না। একদিন জানল। ডাঙ্গায় প্লাবনের চোখের সামনে দেখা দিল জলকন্যা, সত্যিকারের মানুষী চেহারায়।

      By Waliul Islam

      02 Oct 2019 12:25 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      সাদামাটা একটি কাহিনী নিয়ে একেবেকে এগিয়েছে উপন্যাসটি। অলক নামের সাঁতারু ছেলেটি যে কিনা সব সময় জলেকেই পছন্দ করে ঘর সংসার মা বাবা বোন এদের সাথে যার কোনো ঘনিষ্টতা নেই। অলকের বাবা এটাকে জেনারেশন গ্যাপ বলেই মনে করেন। কিন্তু মার মন্তব্য ছেলেকে বুঝতেই পারেন না তার বাবা। মা মাঝে মাঝে বুঝেন আবার বুঝেন না, তার কাছে কেমন যে অস্থির লাগে। নিজের ছেলেকে বুঝতে না পারা নিশ্চয়ই একটা অস্থিরতার বিষয়। মেয়েদের সাথে অলকের সম্পর্ক সহজ ও স্বাভাবিক। বিভিন্ন মিট- এ মেয়ে সাঁতারুদের সাথে দেখা হয়, আলাপ বা আড্ডা হয়। অলক যার আশেপাশে অসংখ্য মেয়ে ঘুরে কিন্ত অলক তাদের চায় না। অনেক মেয়ের সাথে অলকের ঘনিষ্ঠতা হয় কিন্ত তাদের সাথে গভীর হয়ে তার ভিতরে হাহাকার থেকে যায়, সে এই সকল শরীরে জলের ছোঁয়া খুঁজে তার কেবলই মনে হয় জলের মত শরীর নেই কেন কোনো মেয়ের? মাঝে মাঝে সে সাঁতার কাটাতে গিয়ে জলকন্যার দেখা পায়! সত্যি কি জলকন্যা নাকি সব তার কল্পনা!.. এদিকে বনানী অনেক ঘুরে ঘুরে অনেক জ্বালা যন্ত্রণা সহ্য করার পর এসে পৌছায় অলকেরই দাদুর বাড়িতে।এখানেই তার জরাজীর্ণ দেহের পরিবর্তন ঘটে তার জীবনের পরিবর্তন ঘটে। কিভাবে অসংখ্য মেয়ে চাওয়া অলকের সাথে তার জীবন জড়িয়ে যায় সেটা নাহয় আপনারা পড়েই বুঝবেন।

      By Shovan Mondal

      30 Jul 2018 12:30 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটি ভাল লেগেছে।

      By Mitu Ahmed

      12 Jan 2019 10:15 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জানুয়ারি রিভিউ নংঃ৩ বইঃ সাতারু ও জলকন্যা লেখকঃ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় প্রকাশনীঃ আনন্দ মুল্যঃ১৯০ টাকা ধরনঃ রোমান্টিক লেখক পরিচিতিঃ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় (জন্মঃ ২ নভেম্বর ১৯৩৫) একজন ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক, যিনি শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য গল্প লিখে থাকেন।ফটিক নামক কাল্পনিক চরিত্রটি তার সৃষ্টি। কাহিনী সংক্ষেপেঃ দু'টি দুই ঘরানার গল্প, দুই প্রান্তের কাহিনীকে এক বিন্দুতে নিয়ে এসে অসাধারণ শৈল্পিক ক্ষমতায় ভালবাসা ফুটিয়ে তুলেছে লেখক এই লেখায়! কারো ভালবাসার অভাব নেই আর কারো ভালবাসার কেউ নেই! নায়ক- অলক, যাকে সবাই ভালবাসে! নায়িকা- বনানী, যাকে কেউ ভালবাসে না! সব'চে ভাল লাগলো নায়কের ক্যারেক্টারে কনসিস্টেন্সি, তার সে কথা কম বলা স্বভাব, অস্পষ্ট, রহস্যময়, অকপট, প্রশ্নহীন, ভাষাহীন চাহনি, আর, লেখক অসম্ভব সুন্দরভাবে এক রোগাটে, ঘা হয় এমন,দুর্গন্ধযুক্ত চাকরকে যৌবন দান করে শ্রেষ্ঠ যৈবতী করে চিত্রায়ন করে, কি এক শিল্প!! সাদামাটা একটি কাহিনী নিয়ে একেবেকে এগিয়েছে উপন্যাসটি। অলক নামের সাঁতারু ছেলেটি যে কিনা সব সময় জলেকেই পছন্দ করে ঘর সংসার মা বাবা বোন এদের সাথে যার কোনো ঘনিষ্টতা নেই। অলকের বাবা এটাকে জেনারেশন গ্যাপ বলেই মনে করেন। কিন্তু মার মন্তব্য ছেলেকে বুঝতেই পারেন না তার বাবা। মা মাঝে মাঝে বুঝেন আবার বুঝেন না, তার কাছে কেমন যে অস্থির লাগে। নিজের ছেলেকে বুঝতে না পারা নিশ্চয়ই একটা অস্থিরতার বিষয়। মেয়েদের সাথে অলকের সম্পর্ক সহজ ও স্বাভাবিক। বিভিন্ন মিট- এ মেয়ে সাঁতারুদের সাথে দেখা হয়, আলাপ বা আড্ডা হয়। অলক যার আশেপাশে অসংখ্য মেয়ে ঘুরে কিন্ত অলক তাদের চায় না। অনেক মেয়ের সাথে অলকের ঘনিষ্ঠতা হয় কিন্ত তাদের সাথে গভীর হয়ে তার ভিতরে হাহাকার থেকে যায়, সে এই সকল শরীরে জলের ছোঁয়া খুঁজে তার কেবলই মনে হয় জলের মত শরীর নেই কেন কোনো মেয়ের? মাঝে মাঝে সে সাঁতার কাটাতে গিয়ে জলকন্যার দেখা পায়! সত্যি কি জলকন্যা নাকি সব তার কল্পনা!.. ভালবাসাকে আমরা অনেকভাবে বলি যে আমার ভালবাসা আকাশের মত, সাগরের মত হাবিজাবি কিন্তু লেখক এখানে ভালবাসা বলেছেন "ক্ষুধার্ত" এর মত! এই উপমাটা আমার অনেক ভাল লেগেছে! বেশি ক্ষুধার্ত যেমন খাবার ছাড়া কিছু বুঝেনা, আর কিছুই তার খেয়ালে থাকেনা, শুধু খাবার খুঁজে, লেখক ভালবাসাকে সেরকম করে উপস্থাপন করেছেন! বিভিন্ন চরিত্র লেখক স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, যা বর্তমান সমাজে বিদ্যমান কিন্তু কেউ বলেনা বা বলেতে গায়ে লাগে, সত্যকে সত্যভাবেই তুলে এনেছে! যে মেয়েকে ছেলের বউ বানাতে খুব ইচ্ছে, সুযোগ খুঁজে তাকেই বিছানায় নিতে চাই কিছু ভোগবিলাসী মধ্যবয়সী পুরুষ! বিশেষ করে চলচ্চিত্র ঘরানার মানুষগুলো! বইটি পড়ে যে কথাগুলো খুব মনে ধরেছেঃ সংসারের সম্পর্কগুলো এমন সব সূক্ষ্ম ভারসাম্যতার ওপরে নির্ভর করে যে একটা মাছি বসলেও পাল্লা কেৎরে যায়! পঞ্চাশ-ছোঁয়া বয়সটা বড় মারাত্মক, ভাঁটির টান যখন লাগে মানুষ ভোগসুখের জন্য পাগল হয়ে যায়, জানেতো আর বেশি সময় নেই হাতে, শরীরের ক্ষমতা আর বেশিদিন থাকবে না! ণত্ব ষত্ব জ্ঞান হারিয়ে তখন সে কেবল খাই খাই করে খাবলাতে থাকে চারপাশের ভোগ্যবস্তুকে, চুলে কলপ দেয়, রঙ চঙে জামা গায়ে চড়ায়, সেন্ট মাখে! আর স্ত্রী? স্ত্রীর করার কি বা থাকে, বিষচক্ষে দেখে যেতে হয়! দু'জনার মাঝে অসীম ব্যবধান তৈরি হয়! সুন্দরীদের আয়না লাগেনা, অন্যের চোখেই সে নিজেকে দেখতে পায়! আলাপ করতে একটা টিউনিং দরকার, টিউনিং না থাকলে কথা আসেনা! যখন কোন মেয়ে দু'বেলা খাবার, মাথার ওপরে একটু ছাদ এর বেশি আরো কিছু আছে তা বুঝতে শিখে, তবেই তার ভেতরে জন্ম নেয় লজ্জা আর রোমাঞ্চ! ব্যাধিময়, ব্যথাময়, নশ্বর এই শরীর নিয়ে মানুষের কত না ভাবনা, কিন্তু শরীরখানা দেওয়া হয়েছে এটাকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়ার জন্য, বসিয়ে বা আরাম করার জন্য না! অসুখ হওয়াটা বড় কথা না, তার'চে বড় কথা হল অসুখ অসুখ ভাবটা! বাপ আর ছেলের মধ্যে যেমন জেনারেশন গ্যাপ থাকে, দাদা আর নাতীর মধ্যে তেমনটা থাকেনা! ছেলে আর বাপের মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষের সম্ভাবনা থাকে, দাদু আর নাতির মধ্যে তা নেই! প্রজন্মগত পার্থক্যটা বেশি হলে তাদের মধ্যে এক সমঝোতা গড়ে ওঠে! বেঁচে থাকলে, শুধু বেঁচে থাকতে পারলে, কোন রকমে বেঁচে থাকলে জীবনে কত কি যে হয়! কত কি পাওয়া যায়! জলের ঐশ্বর্যকে যেদিন আপনি আবিষ্কার করতে পারবেন, সেদিন ডাঙ্গাজমির ওপরকার এই বসবাস আপনার কাছে পানসে হয়ে যাবে! শরীর অনেক বেশি রোগাটে হলে, দেখে বুঝা মুশকিল সে আসলে ফর্সা নাকি শ্যামলা! বেঁচে থাকতে পারে তারাই যাদের বেঁচে থাকাটা অন্যকেউ চায়, যাদের ভালবাসার লোক থাকে! এক এক সময় মানুষের কথা ফুরিয়ে যায়! নতুন বউ মাত্রই ভাল! কি যে অদ্ভুত নতুন বউয়ের গায়ের গন্ধ, মুখের লজ্জা রাঙা ভাব, মুখের হাসি! হাসি মুখে কথা বলে সবসময়! কারো আদর কাড়া কথা শুনলে, মরা মরা জীবনেও মাঝে মাঝে বাঁচার ইচ্ছে জাগে, অল্প আদর পেলেই মনেহয়, অনেকখানি পেয়ে গেলাম, আর বুঝি কিছু চাওয়ার নেই! পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ পড়তে গিয়ে আমি এর মোহে আবিষ্ট হয়ে ছিলাম। নিঃসন্দেহে বলা যায়, উপন্যাসটি অতি চমৎকার। বিশেষ করে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ভাষার কারুকার্য কোনও ভাবেই উপেক্ষা করার মত নয়। ভাব প্রকাশে লেখক ছিলেন অতি মাত্রায় সাবলীল। বইটির প্রথমদিকে মূল কাহিনীতে প্রবেশের আগে লেখক যেভাবে গল্পের আদলে ভূমিকা টেনে গেছেন তা যে কাউকে মুগ্ধ করবে।এক কথায় অসাধারন।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!