User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
সুখের কাছে গিয়ে সারাজীবনের জন্য নিজের করা গেলো না সুখকে। অন্যরকম একটা রোমান্টিক গল্প। এক অসমাপ্ত প্রেমের গল্প। হয়তো অসমাপ্ত বলেই গল্পটা এত মন ছুয়ে গেছে। শেষটায় একটা খারাপ লাগা কাজ করেছে। দুটো মানুষ যারা অল্প কয়েকদিনের ভেতরেই দুজনের এত কাছাকাছি চলে এসেছিলো, সেই দুটো মানুষ আলাদা হয়ে যাচ্ছে, আর দেখা হবেনা তাদের। গল্পটা পড়লে ব্যাপারটা আরো বেশি অনুভব করা যায়। ♥️
Was this review helpful to you?
or
ছুটির দিনের অলস দুপুরে পড়ার মত দারুণ একটা বই। সকালে ঘুম থেকে উঠে অলস ভাবেই বইটা শুরু করেছিলাম। পড়তে পড়তে এত ইন্টারেস্টিং লাগছিল যে শেষ না করে উঠতে পারছিলাম না। কাহিনি শুরু হয় মহুয়া, তার বাবা, আর কুমার কে নিয়ে, যারা ঘুরতে গিয়ে বনের মধ্যে রাস্তা হারিয়ে ফেলে এবং গাড়িও নষ্ট হয়ে যায়। এরপর গাড়ি সারাতে যে গ্যারেজে যায় সেখানেই রাতটুকু কাটিয়ে দেয়। সকালে জানতে পারে, স্ট্রাইক এর কারণে গাড়ির পার্টস আনতে পারছে না, আরো একদিন দেরি হবে। এদিকে মহুয়া তার জীবনে প্রথমবার প্রেমে পরে সেই মেকানিক সুখন এর, যেখানে তার বাবা তাকে এ ট্রিপে আনার উদ্দেশ্যই হচ্ছে কুমারের সাথে সখ্যতা তৈরি করা, কারণ বিয়ের বাজারে কুমারের মত পাত্র হাতছাড়া করা বোকামি। গল্প এগিয়ে যাবার সাথে আবিষ্কৃত হয় কুমারের অন্য এক রূপ, আর সুখন যে নিতান্তই এক অশিক্ষিত মেকানিক নয়, বরং তার ব্যাক্তিত্বের গভীরতা যে কতখানি তা বোঝা যায়। তাদের এই হঠাৎ ভালোলাগা থেকে গল্প এমন অপ্রত্যাশিত দিকে মোড় নেয় যে ঐ দুপৃষ্ঠা ভালোভাবে বোঝার জন্য ৩/৪ বার পড়লাম। এক বসায় ৮০ পৃষ্ঠার ছোট বইটা শেষ করে মনে হলো, এত কষ্ট করে সবটা পড়লাম কি এই এন্ডিং এর জন্য? ? শেষটায় দারুণ টুইস্ট আছে, আর এমন একটা জায়গায় গিয়ে বইটা শেষ হয়ে গেছে একদম ছোটগল্পের মত! 'শেষ হইয়াও হইল না শেষ '.. রেটিংঃ ৮.৫/১০
Was this review helpful to you?
or
কাহিনি শুরু হয় মহুয়া, তার বাবা, আর কুমার কে নিয়ে, যারা ঘুরতে গিয়ে বনের মধ্যে রাস্তা হারিয়ে ফেলে এবং গাড়িও নষ্ট হয়ে যায়। এরপর গাড়ি সারাতে যে গ্যারেজে যায় সেখানেই রাতটুকু কাটিয়ে দেয়। সকালে জানতে পারে, স্ট্রাইক এর কারণে গাড়ির পার্টস আনতে পারছে না, আরো একদিন দেরি হবে। এদিকে মহুয়া তার জীবনে প্রথমবার প্রেমে পরে সেই মেকানিক সুখন এর, যেখানে তার বাবা তাকে এ ট্রিপে আনার উদ্দেশ্যই হচ্ছে কুমারের সাথে সখ্যতা তৈরি করা, কারণ বিয়ের বাজারে কুমারের মত পাত্র হাতছাড়া করা বোকামি। গল্প এগিয়ে যাবার সাথে আবিষ্কৃত হয় কুমারের অন্য এক রূপ, আর সুখন যে নিতান্তই এক অশিক্ষিত মেকানিক নয়, বরং তার ব্যাক্তিত্বের গভীরতা যে কতখানি তা বোঝা যায়। তাদের এই হঠাৎ ভালোলাগা থেকে গল্প এমন অপ্রত্যাশিত দিকে মোড় নেয় যে ঐ দুপৃষ্ঠা ভালোভাবে বোঝার জন্য ৩/৪ বার পড়লাম। এক বসায় ৮০ পৃষ্ঠার ছোট বইটা শেষ করে মনে হলো, এত কষ্ট করে সবটা পড়লাম কি এই এন্ডিং এর জন্য? ? শেষটায় দারুণ টুইস্ট আছে, আর এমন একটা জায়গায় গিয়ে বইটা শেষ হয়ে গেছে একদম ছোটগল্পের মত! 'শেষ হইয়াও হইল না শেষ '..
Was this review helpful to you?
or
জানেন উপন্যাসটির শেষ শব্দ কি? "ভাবছি" আমিও ভাবছি,অনেক কিছুই ভাবায় উপন্যাসটি। "সুখের কাছে" নাম দেখে মনে হয় খুব সুখের মুহুর্তের কোন গল্প মনে হয়। কিন্তু না, এই গল্পের নায়কের নাম সুখ। কিন্তু সে নিজেকে সুখন মিস্ত্রী নামে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। সুখন মিস্ত্রী হলেও মনের দিক দিয়ে অনেক উচ্চশিক্ষিত লোকের চেয়ে বড়। তার ডিগ্রীর ভার নেই,সে জ্ঞান চর্চা করে নিজের জন্য। তার বেড়ার ঘরে ইংরেজি/বাংলা সাহিত্যের বইয়ে ঠাসা। সে শহুরে জীবন সহ্য করতে পারে না।তার জংলী জীবনই তার কাছে স্বর্গ। সে নিজের মনের সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে।সে নিজের কাজের প্রতি দায়িত্বশীল হলেও নিজের প্রতি না। মহুয়ার মদ খেয়ে প্রায়ই মাতাল হয় নিজের দু:খ ভোলার জন্য। তার এই জংলী জীবনে ঝড়ের মত মহুয়া এসেছিল।কিন্তু সে জানে সে এসবের যোগ্য না। উপন্যাসের মুল চরিত্র চারটি- মহুয়া,তার বাবা স্যানাল,কুমার (ফিয়ন্সী),সুখন। কুমার নব্য আধুনিক ছেলে।গরীব ঘরের ছেলে মেধার জোরে উচ্চশিক্ষিত হয়ে এখন ধরাকে সরাজ্ঞান করে।তার ধারনা টাকা দিয়ে দুনিয়ার সব কেনা যায়। কুমার তার পাণ্ডিত্য জাহির করার জন্য মহুয়া ও তার বাবা স্যানাল সাহেবকে নিয়ে বেতলা ঘুরতে বের হয়। কুমার মহুয়াকে ইম্প্রেসড করার জন্যই এই পরিকল্পনা করে। কিন্তু সেটা কতটা সফল হল তা উপন্যাস শেষেই জানা যাবে। সুখনের - মহুয়ার প্রেমটা একদম নিরেট। সে প্রেমে কোন আবদার নেই,সম্পত্তির লোভ নেই,বিদ্যার জাহির নেই। তাও কোথাও যেন ফাকা আছে। সেজন্যই বইটা পড়ে শেষ করতে হবে। কারো খুব মন খারাপ থাকলে এই সহজ বইটি নিয়ে বসে পড়ুন।আপনার মনেও প্রশান্তি আনবে বইটা।জংগলের পরিবেশ, সুখন -মহুয়ার প্রেম,স্যানাল সাহেবের অতীত সবকিছু আপনার মধ্যে একটা আবহ সৃষ্টি করবে।সুখন চরিত্র থেকে বেরিয়ে আসতে সময় লাগবে পাঠকের। মনে দাগ কাটার মত সুখনের একটি উক্তি-- "কি জানেন স্যানাল সাহেব,জীবনে কিছু কিছু ক্ষতি থাকে,তা পূরণ হওয়ার নয়--তা চিরদিন ক্ষতিই থেকে যায়। মনে করুন,এও সেরকম কোন ক্ষতি"
Was this review helpful to you?
or
Very Romantic Book
Was this review helpful to you?
or
এই উপন্যাসের নায়িকার নাম মহুয়া। একটা বিদেশী কোম্পানির রিসেপশনিস্ট সে। বাবা আর কুমার নামে বাবার এক অফিসকর্মীর সাথে ঘুরতে বের হয়েছে মহুয়া। কুমার নামের এই ছেলেটা মহুয়ার বাবা স্যানাল সাহেবের সাথেই চাকরি করে এক বিদেশী কোম্পানিতে। বাবার ইচ্ছা মহুয়ার সাথে কুমারের একটা পাকাপোক্ত ব্যবস্থা করে দেয়া। দুজন দুজনকে ভালো করে চিনুক, জানুক, বুঝুক এই কারণেই তাদের এই ঘুরতে বের হওয়া...! মাঝ রাস্তায় মহুয়াদের গাড়িটা নষ্ট হয়ে যায়। পথের অন্য মানুষদের সহায়তায় গাড়ি মিস্ত্রি সুখেনের খোজঁ পায় তারা। সুখেন ছেলেটা বাংলায় এম,এ কমপ্লিট করা। বর ভাই দুখেন মারা যাওয়ার পর ভাইয়ের ব্যবসার হাল ধরতে লেগে যায় সুখেন। রাতের আধাঁরে লণ্ঠনের আলোয় মহুয়ার চোখ আটকে যায় সুখেনর উপর। নিজের অজান্তেই মহুয়া আটকে পড়েছে সুখেনের প্রেমে। যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজ করতে করতে সুখেন নিজেকে এতোদিন যন্ত্র মনে করলেও নিজেকে নিয়ে সকল চিন্তা চূর্ণ হয়ে গেলো মহুয়াকে দেখে। সুখেনকে দেখার পর থেকে কুমারের সকল খারাপ দিকগুলোই ভেসে উঠে মহুয়ার সামনে। গরীব অবস্থা থেকে ধনী হওয়ায় কুমারের এখন পায়া ভারি অবস্থা। কাউকে সে মানুষ বলে ধরেই না। আর আর্থিক ভাবে গরীব হয়েও মনের দিক থেকে স্বচ্ছল, ভদ্র ছেলে সুখেন। নিজেদের অজান্তেই দুজন দুজনকে মন দিয়ে বসে। তারপর কি হয় পরিণতি..? হয় বিয়োগাত্বক কিছু হবে অথবা মিলনাত্মক? সেই শেষ পরিণতি জানতে পড়তে হবে "সুখের কাছে"...!