User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যয় - প্রধান চরিত্র (গোকুল, ছোটভাই বিনোদ ও মা ভবানি) । বইখানা খুলিয়া অল্প একটু পড়িবার পড়েই বুঝিতে পারিলাম ইহা অবলম্বন করিয়া ইতিমধ্যেই ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়া ৩ খানা পূর্ণদৈরঘ বাংলা ছবি তৈরী হইয়া গিয়াছে। ছবিগুলি দেখিবার সৌভাগ্য হইয়াছে বৈকি কিন্তু বইখানা পড়িবার আগ পর্যন্ত বুঝিতে পারিনাই বৈকুন্ঠের উইল অবলম্বন করিয়া তৈরী হইয়াছে । মূলকথায় আসি, বইটি পড়িয়া যাহা বুঝিতে পাড়িয়াছি তাহা তুলিয়া ধরিলাম। বিশ্বাস, মমতা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা লইয়া বৈকুণ্ঠ মজুমদারের পরিবার। এই পরিবার টা যত সুখের মধ্যে দিয়া যাইতে ছিলো ঠিক তাহার চেয়ে বেশি কষ্টের সম্মুখীন হয় বৈকুণ্ঠ মজুমদারের মৃত্যুর পর। মৃত্যুর সময় যখন জানিতে পারিলো ছোট ছেলে বিনোদ কু পথে পা বাড়াইয়াছে তখন তাহার সকল সম্পত্তি বড় ছেলে গোকুলের নামে করিয়া গিয়া ছিলেন মাতা ভবানি কে সাক্ষি রাখিয়া। কিন্তু মাতা ভবানি তো আর জানিতনা যে এই মায়ের বাধ্য ছেলে একদিন বউ এবং শশুরের পাল্লায় পরিয়া তাহাদের বিপরীতে অবস্থান করিবে, এমন কি ছোট ছেলে বিনোদ কে লইয়া স্বামীর ভিটা পর্যন্ত ছাড়িয়া যাইতে হইবে। আবার গোকুল ও কি জানিত যে মা দেবীর মত পুজা করেছে সেই মা একদিন তাহাকে ছাড়িয়া বিনোদের হাত ধরিয়া বাড়ি ছারিয়া চলিয়া জাইবে। যে ছোট ভাইকে প্রানাধিক ভালোবাসিত সেই ভাই তাহার বিরুদ্ধে মামলা করিতে পর্যন্ত করিতে যাইবে। বিনোদও কখনো কল্পনা করিতে পারে নাই দেব তুল্য দাদা তাহাকে ঠকাইবে। পড়ে অবশ্য সকলেই ভুল ভাঙিয়া ছিলো। যাহা শিখিলামঃ সমাজে গকুলের মত সহজ সরল মানুষ অনেকেই রইয়াছে, এই সকল ভালো মানুষদের ব্যবহার করিয়া নিজ কাজ আদায় করিবার প্রয়াস করে জয়নাল বারুয্যে, নিমাই রায়ের মত লোকেরা। তাই সংসারে কোনো বিষয়েয় বাহির লোককে জরানো উচিৎ নয়, এবং নিজের বুদ্ধি কাজে না লাগাইয়া ধার করা বুদ্ধিতে অগ্রসর হইলে তাহাতে ক্ষতি ছারা লাভ হয়না। বিঃ দ্রঃ ইচ্ছা করিয়াই একটু ঘোর প্যাচ করিয়া লিখিলাম কেননা যাহারা এখনো বই খানা পরেন নাই তাহদের মনে পড়িবার ইচ্ছা জাগে।
Was this review helpful to you?
or
এই শরতচন্দ্রের উপন্যাস ও গল্পের বই গুলো বিজ্ঞান এর লিস্ট এ আসলো কিভাবে, ররকমারি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
Was this review helpful to you?
or
"বৎসর পাঁচ-ছয় পূর্বে বাবুগঞ্জের বৈকুণ্ঠ মজুমদারের মুদীর দোকান যখন অনেক প্রকার ঝড়ঝাপটা সহ্য করিয়াও টিকিয়া গেল, তখন অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করিল। কারণ, কি করিয়া যে বৈকুণ্ঠ তাল সামলাইল তাহা কেহই জানে না। সেই অবধি দোকানখানি ধীরে ধীরে উন্নতির পথেই অগ্রসর হইতেছিল।"... ‘বৈকুন্ঠের উইল’। শরৎচন্দ্রের লেখা উপন্যাস। প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯১৬ সালে। একটি উপন্যাস, একটি লেখা, শতবছর ধরে টিকে আছে, একটি জাতির সাহিত্যের, ভাষার ইতিহাসে। বইটি এখনও প্রকাশকরা প্রকাশ করে, ক্রেতারা কিনে, পাঠকরা পড়ে, এবং ধারণা করা যায়, আরও অনেক অনেক দিন ধরে, নতুন নতুন পাঠকরা পড়তে থাকবে উপন্যাসটি। উপন্যাসের চরিত্রগুলি নিয়ে ভাববে। উপন্যাসের চরিত্ররা বেঁচে আছে, বেঁচে থাকবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। একজন লেখক এবং তাঁর উপন্যাসের স্বার্থকতা বিচার্যের আর কি অন্যকোন সূচকের দরকার পড়ে? সম্ভবত না। সাহিত্যের শৈল্পিক ব্যাকরণ নিয়ে যারা ভাবেন, সমালোচনা সাহিত্য যাঁদের বিচরণক্ষেত্র, তাঁদের জন্য বিষয়টি হয়তো আলাদা। একটি উপন্যাস শতবছর টিকে আছে। এ-টিকে থাকার ঘটনা-ই একটা বিশাল বিশ্ময়।