User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
#বই - বামুনের মেয়ে #লেখক - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় #প্রধান_চরিত্র - প্রিয়, জগদ্ধাত্রী, অরুন, সন্ধ্যা #ধরন - চিরায়ত উপন্যাস #প্রকাশনায় - দে’জ পাবলিশিং (ভারত) #মুদ্রিত_মূল্য - ৫০ টাকা প্রত্যেক লেখার পেছনেই লেখকের একটা উদ্দেশ্য থাকে। সেই উদ্দেশ্য খানা পাঠক বুঝিতে পারিলেই লেখকের রচনা সার্থক। সরাসরি মুল কথায় চলিয়া যাই। পারার বামুন পারায় প্রিয় ও জগদ্ধাত্রীর সাজানো সংসার। তাদের একটা কন্যাও রহিয়াছে সন্ধ্যা। নাম খানার ন্যায় রুপে গুনে সে অতুলনীয়। গোত্রে বামুন হওয়ায় যেমন সুবিধা ছিলো তেমনি ছিলো অসুবিধাও। বামুন হওয়ায় অন্য নিচু জাতের লোকগুলো তাহাদের সন্মান করিতো ভয়ও পাইতো অন্যদিকে নিচু জাতের ছোয়ায় তাহাদের জাত যাইতো। প্রিয় সন্ধ্যার বাবা এবং জগদ্ধাত্রী সন্ধ্যারর মা, প্রিয় বাবু পেশায় এককজন ডাক্তার। মানুষের দুক্ষ-কষ্ট দেখাই যার কাজ। ছোট বেলা হইতেই সন্ধ্যার সংগে ভাব হইয়াছিলো অরুন নামের এক বামুনের পুত্রের তাহা হইলেও অরুন ছিলো তাহাদের চেয়ে একটু নিচু জাতের ব্রাম্মন। পারার লোকের কথা না শুনিয়া অরুন বিলেতে চলিয়া গিয়াছিলো তাহাতে নাকি তাহার জাত চলিয়া গিয়াছে। তাই নিজের পারাশুদ্ধ সকলেই ত্যাগ করিয়াছিলো। ভালোবাসা সত্তেও নিচু জাত বলিয়া সন্ধ্যা ও সেদিন অরুন কে তারাইয়া দিয়াছিলো। লজ্জায় ঘেন্নায় নিজ গ্রাম, নিজ বসতভিটা ছারিয়া যাইবার প্রস্তুতিও করিয়াও লইয়াছিলো। সন্ধ্যারর সংগে তার আর মিলন হইয়া ওঠেনাই। অন্যদিকে পারার মান্যগন্য বাক্ত্যি গোলক চাটুয্যে শেষ বয়শে পত্নী হারা হইয়া বিধবা শালিকা জ্ঞ্যনদা কে আনিয়া বাড়িতে রাখিলো নিজ পুত্রপালন ও সংসারের কাজ করিবার জন্য। কিন্তু ধিরে ধিরে শালিকার প্রতি দুরবল হইয়া পরিতে লাগিলো এবং একটা সময় তাহাকে নিজ চাহিদার পণ্য বানাইয়া লইলো কিন্তু নিজ কার্য উদ্ধার হইতেই তাহাকে বাড়ি হইতে তারাইবার জন্য উঠিয়া পরিয়া লাগিলো। কারন গোলকের নজর গিয়াছিলো সন্ধ্যার উপর। লোক মারফত এই খবর পাঠাইলেও সন্ধ্যা কটু বাক্য দারা প্রত্যাক্ষান করিলে গোলক চাটুয্যে তাহাদের ক্ষতি করার জন্য উঠিয়া পরিয়া লাগিলেন। অরুন কে প্রত্যাক্ষান করিয়া সন্ধার বিবাহ ঠিক হইলো কিন্তু তাহার বিবাহ আর হইতে দিলো না গোলক চাটুয্যে। বিবাহের দিন প্রিয়বাবুর বিপক্ষে প্রমান আনিয়া হাজির করিলেন যে তাহারা ব্রাম্মন নয়। লগ্নভ্রষ্টা হওয়ার ভয়ে সন্ধার মাথায় আকাশ ভাঙিয়া পরিলো। নিচু জাত বলিয়া যাহাকে একদিন অপমান করিয়াছিলো সেই অরুনের নিকট গিয়া উপস্থিত হইয়া সমস্ত খুলিয়া বলিলো সন্ধ্যা। সেইদিন ভাবিবার জন্য সময় লইয়া সন্ধ্যা কে ফিরাইয়া দিলো অরুন। শেষ পর্যন্ত জ্ঞ্যানদা ও পিতা প্রিয় বাবুকে লইয়া বৃন্দাবনই হইলো তাদের ঠিকানা। যাহা বুঝিতে পারিলামঃ আজ জাহাকে সমাজ ছোট বলিয়া দূরে ঠেলিয়া দিলো কে যানে নিয়তী হয়তো একদিন তাহার চাইতে ছোট করিয়া সমাজ হইতে নিজেকে দূর করিয়া দিবে। সময়ের কাজ যদি সময়ে না করা হয় পরে তাহা সৎ চেষ্টা করিয়াও ফলে পৌছানো যায়না। গুরুত্বপুর্ন কিছু কথাঃ ১. মিথ্যাটাকে মর্যাদা দিয়ে যত উচু করে রাখবে তার মধ্যে তত গ্লানি, তত অনাচার জমা হয়ে উঠবে, উঠছেও তাই। ২. কিছু একটা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে বলেই তাহা ভালো হয়ে যায়না, সম্মানের সংগে হলেও না। মাঝে মাঝে তাকে যাচাই করে বিচার করে নিতে হয়। যে মমতায় চোখ বুজে থাকতে চায় সেই মরে। ৩.মানুষে মানুষে ব্যবধানের এই যে মানুষের হাতে গরা গণ্ডি, এ ভগবানের নিয়ম নয়। তার প্রকাশ্য মিলনের মুক্ত সিংহদ্বারে মানুষে যতই কাটার উপর কাটা চাপায় ততই গোপন গহব্বরে তার অত্যাচারের বেড়া অনাচারের শত ছিদ্র হতে থাকে। তাদের মধ্যে দিয়ে কেবল পাপ আর আবর্জনাই লুকিয়ে প্রবেশ করে। বিঃ দ্রঃ বইখানা পড়িলে মানুষে মানুষে এই বিভেদ কিছুক্ষনের জন্য হইলেও ভুলিয়া যাইতে ইচ্ছা করে।