Our User Product Reviews

? আমি প্যালারাম, সারাদিন পটল আর শিঙ্গি মাছের ঝোল খাই ।

লা গ্রান্ডি!!!!!!!!! Just a legend.....

Good Delivery

এই একটা বই যে আমি কতবার পড়েছি তার হিসেব নেই।বই এর অবস্থা এখন যাচ্ছেতাই।অসাধারন এবং খুবই আনন্দদায়ক একটা বই।

বইটি ভালো।

Awesome book

অসাধারণ

অসাধারন

ডি -লা-গ্র‍্যান্ডি- মেফিস্টোফিলিস। ইয়াক্ ইয়াক্। হ্যাঁ এরকমই অদ্ভুত সব ফরাসি ভাষা বের হয়ে আসতো তার মুখ থেকে। মনে হচ্ছে সবই বোগাস(টেনিদার ভাষায়) কিন্তু না আজকের কথা বাংলা উপন্যাসের এক বিশেষ চরিত্র নিয়ে। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের এক অপূর্ব সৃষ্টি টেনিদা। তার সাথে যুক্ত হয়েছেন অন্য তিন মূর্তি পটলডাঙ্গার প্যালারাম, ক্যাবলা আর ঢাকাইয়া হাবুল সেন। গল্পগুলো শুরু চার মূর্তি কে নিয়ে। তাদের অসাধারণ অভিযান দারুণ রোমাঞ্চ একত্রে আছে এই টেনিদা সমগ্রে । এটি অ্যাডভেঞ্চার বই নাকি ডিটেকটিভ বই বলব তা সঠিকভাবে বলা যায় না। তবে বলবো অসাধারণ একটি বই। প্রথম প্রথম যখন এটি পড়তে শুরু করেছিলাম খুব একটা ভালো লাগেনি কিন্তু ধীরে ধীরে যখন বইটা পড়তে শুরু করলাম তখন অনুভব করলাম পটলডাঙার চারমূর্তি কে। পিলে জ্বরে ভোগা প্যালারাম যে কীনা পটল দিয়ে শিঙি মাছের ঝোল খায়, ক্লাসের ফার্স্ট বয় ক্যাবলা যে বিপদের মুহূর্তে ভয় পায়না শান্ত থাকাই যার স্বভাব যার মা প্রতিবছর অন্য তিনমূর্তিকে ক্যাবলার ভালো রেজাল্টের জন্য খাওয়ায়, আর ঢাকাইয়া হাবুল সেন যে ঢাকাইয়া ভাষায় কঠিন কথা বলে যে টেনিদা সবর্দা ক্ষিপ্ত থাকে। চারমুর্তি ধীরে ধীরে কলেজে উঠে কিন্তু তাদের স্বভাব যায় না। টেনিদার খাওয়ার প্রতি আগ্রহ, হাবুল কিংবা প্যালা না হলে ক্যাবলার খাবার কেড়ে নেওয়া সবই থেকে যায়। এই সমগ্রে পাঁচটি উপন্যাস, বত্রিশটি গল্প, একটি নাটিকা আর সবশেষে টেনিদার সাক্ষাৎকার। পটলডাঙার সেই ট্রনিদা আজ কেমন আছে এই জিনিস গুলো দিয়ে বইটি পূর্ন। গড়ের মাঠে তিন তিনটে গোরা পিটিয়ে চ্যাম্পিয়ন টেনিদা। ধীরে ধীরে এক একটি উপন্যাস শেষ হয় ক্রমশ তাকে আর তিনমূর্তি কে নিয়ে আগ্রহ বাড়তে থাকে। সে যাইহোক তা বলবো না। তার কারণ ওটা না পড়লে অনুভব করা যাবে না। যারা রোমাঞ্চকর কিছু চায় তার সাথে এডভেঞ্চার তারা অবশ্যই পড়ে দেখতে পারেন টেনিদা।

অসাধারন

এক মজার চরিত্র টেনিদা,সাথে তার তিন সঙ্গী। টেনিদার প্রতিটা গল্পই খুব ভালো লাগে। খুব খুব প্রিয় টেনিদা ও চার মূর্তি

Worth it

Best

আমরা চার মূর্তি, মনে খুব ফুর্তি আমরা পটল ডাঙার... টেনিদার বুদ্ধি, যেন মুখ শুদ্ধি সাবাস লিডার... চারজন আমরা, দেইনা ত বাগড়া মানুষের ভালো কাজে... পটল ডাঙার নাম ছড়াবোই ছড়াবো এই কলকাতাতে।

জীবন যখন থেমে যায়, যখন খুব অস্থিরতায় মন কোন কাজ করেনা,তখন মনকে প্রফুল্ল করতে টেনিদার জুড়ি মেলা ভার।হাসির এক বাক্স যেন।যে বাক্স কোনদিন শেষ হবেনা।চিরকাল ধরে হাজারবার পড়লেও প্রত্যেকবার টেনিদাকে নিত্য নতুনভাবে পাওয়া যায়। বাংলার নানা দাদার মধ্যে কিছুটা হলেও মিল আছে।যেমনঃফেলুদা,ঘনাদা।কিন্তু টেনিদা সম্পুর্ণ এক ও অদ্বিতীয় দাদা।বাংলার এক অভূতপুর্ব দাদা।টেনিদার সাথের প্যালারাম,ক্যাবলা,হাবুল বইটিকে করেছে অসাধারণ।পুরো বইটি প্যালাজ্বরে ভোগা আর শিং মাছ ও বাসক পাতা খাওয়া প্যালারামের উক্তি।প্রায়সময়ই সে বলেছে টেনিদার সাথে থাকাটা অসম্ভব ভোগান্তির।তবে বইটি পড়ার সময় মনে হয়,"ঈস!আমি যদি টেনিদার সাথে থাকতে পারতাম।"যে বইটি পড়বে সেই টেনিদার ভক্ত হয়ে যাবে।তাহলে চলো আমরা সবাই মিলে বলি,"ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফিলিস ইয়াক!ইয়াক!"নারায়ণ গংগোপাধ্যায়ের এক অনন্য সৃষ্টি।

অসাধারণ বই। হাস্যরসে ভরপুর। বারবার পড়ার মত বই।

অসম্ভব ভালো লেগেছে। প্রতিটা গল্পই খুব সাবলীল ভাষায় লেখা। আর প্রচুর হেসেছি।

খুবই ভাল গল্প......

চমৎকার একটি বই। সব বিষয়ে পারদর্শী টেনিদা থেকে প্যালাজরের প্যালারাম, ঢাকাইয়া হাবলু, আর জ্ঞানী ক্যাবলা, কে নেই। বিভিন্ন গুন্ডা বদমাশকে ঘায়েল থেকে আছে বেগুন ভাজার লোভে টেনিদার অদ্ভুত সুন্দর বানিয়ে বলা গল্প, সবই আছে। কিশোরদের জন্য সেরা একটা বই। বয়স্ক লোকেরাও এই বই পড়ে হারিয়ে যেতে পারে তাদের প্রিয় কৈশোর জীবনে।

Tenida was recommended to me by a neighbour and also by some book group friends. This was a fun collection of tales (my favourite was the novella Charmurti)-some of adventure, some just the tall tales that Tenida is rather an expert at telling, and of the tricks they play. They are set in a simpler time where one could just enjoy conversation and a snack unlike the too fast paced life of today. And speaking of snacks, these Potoldanga boys beat EB's characters hollow when it comes to their appetites, especially Tenida, and reading these does make one positively hungry. One enjoys their distinctive characters as well.

Tenida is one of the most famous fictional characters of Bangla literature. It is also the best creation of Narayan Gongopaddhay. In the book Tenida Shamagra, all the books of Tenida series are collected into one. I can assure you that Tenida of Potoldanga will give you a great laugh in every page.

This book is good for everyone. Thi is like a real story of teenagers. This story shows fun reality action drama everything.Every story of this boon is realy nice.The main 4 character of this story solve every problem together.They have age difference but they are like best friend.Tenida is older than everyone.If one of them gets into trouble everybody helps him.There are so many things to learn.Over all things is a nice book.

ll

বেষ্ট বুক এভার

ভাল একটা মজার বই

my favourite

আমার প্রিয় বই :)

কিশোর কাহিনী হলেও বুড়োরাও কম আনন্দলাভ করবে না। একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে উঠার উপায় নেই। হারিয়ে যাওয়ার বয়সের কথা আর একবার মনে পড়বে সবারই।

টেনিদা সমগ্র – নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় এর লেখা একটি বাংলা উপন্যাস সমগ্র বই। টেনিদা বা টেনি বা ভজহরি মুখার্জি হলো নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় কাল্পনিক চরিত্র। টেনিদার আবাসস্থল কলকাতার পটলডাঙ্গা । টেনিদার উপন্যাস, টেনিদার গল্প সব এখানে পাবেন। তো এখনই সংগ্রহ করুন বইটি ।

অসাধারণ হাস্যরসে পরিপূর্ণ একটি বই টেনিদা সমগ্র। টেনিদা খুবই রসিক এক চরিত্র। আর অন্য তিনজন বন্ধু কেবলা, পেলারাম, হাবুলসেন চরিত্রগুলোও অত্যন্ত রসিক। একটি বইয়ের মধ্যে টেনিদার সব গল্পের সংযোজন আমাকে খুব উপকৃত করছে। আশানুরূপ দামে দারুণ একটি বই পেলাম।

সেরা কিশোর ক্ল্যাসিক। কিশোরদের জন্য অবশ্যপাঠ্য একটি বই। রকমারীর সরবরাহকৃত অরিজিনাল প্রিন্ট কপিটির কোয়ালিটি ভালো ছিলো।

অনেক ভালো লাগল। চমৎকার কিছু চরিত্র সসৃষ্টি করেছেন নারায় গঙ্ণগোপাধ্যায় এই বইটির মাধ্যমে।যাদের মাধ্যমে আনন্দের পাসাপাশিন নেত্রিত্তের অনেক কিছুই ফুটে উঠেছে।

'টেনিদা' বা 'টেনি' বা 'ভজহরি' মূলত একটি কাল্পনিক চরিত্র। যার স্রষ্টা "নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়"। আসল নাম "তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়"। ‘নারায়ণ’ তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম। ১৯১৮ সালে জন্ম।পিতা ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। পৈতৃক নিবাস বরিশালের বাসুদেব পাড়া গ্রামে। পড়াশোনা করেছেন বরিশালের বি এম কলেজ ও কলকাতায়। লেখক এর লেখালেখির হাত বেশ কাঁচা বয়স থেকেই। প্রথম লেখা ছাপা হয় শিশু মাসিকে।নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় এর খ্যাতি ছড়িয়েছে বড়দের উপন্যাস ও গল্পের জন্য। ছোট গল্পে তিনি ডি. লিট ডিগ্রি অর্জন করেন।তথাপি কিশোর সাহিত্যেও তার হাত সদা বিস্তৃত। কিশোর সাহিত্যে তার অন্যতম সৃষ্ট চরিত্র এই ভজহরি মুখার্জি ওরফে টেনিদা বা টেনি। সে মুলত উত্তর কলকাতা পটল ডাঙার লোক। সাত বারের চেষ্টাতে মাধ্যমিক পাশ করেছে। পড়াশোনায় ভালো না হলেও মানুষের জন্য ছিল উপকারী। পরিচিত ছিল তার খাড়া নাকের জন্য আর পুরো ৩৬ ইঞ্চি বুক। তিন কিশোর প্যালারাম, হাবলু সেন আর ক্যাবলা। টেনিদা হল এদের নেতা বা লীডার। এই চার যুবকেই পটল ডাঙ্গার। নিয়ম মতো চাটুজ্যদের রোয়াকে আড্ডা দেয়।এটাই তাদের মিলন স্থল।প্যালারাম হলো গল্প কথক। সে টেনিদার পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছে, " টেনিদা কে না হলে আমাদের যে একটি দিনও চলে না । যেমন চওড়া বুক -তেমনি চওড়া মন। "একটু চালবাজ, প্রচুর খেতে পারে। তবে সে খাওয়া অবশ্যই প্যালা ও ক্যাবলার পকেট কেটেই। যাই হউক পাড়ার কারো বিপদ আপদ হলে টেনিদাই বুক চিতেয়ে দাড়ায়। লোকের উপকারে তার কোন ক্লান্তি নেই। মুখে হাসি সব সময়। ফুঠবলের মাঠে সেরা খেলোয়ার, ক্রিকেটের ক্যাপ্টেন। আর গল্পের রাজা।টেনিদা লেখক এর এক অমর সৃষ্টি। লেখক এই টেনিদা চরিত্র তৈরি করে ছিলেন বাড়িওয়ালা কে দেখে। যার সাথে একটি খুব সহজ এবং ভাল সম্পর্ক ছিল লেখকের। এই বাড়িওয়ালার নাম দিয়েই কাল্পনিক এক চরিত্রের সৃষ্টি করেছেন। যার প্রতিটি উপস্থাপনা কিশোর-কিশোরীদের হাস্যরস ও আনন্দ ছড়িয়েছে।। এমন একটি চরিত্রের পূর্নতা দিতে গিয়ে আরো কিছু সহযোগী চরিত্রও সৃষ্টি করেছেন।তাদের মাধ্যমে তৈরি করেছেন অনেকগুলো হাস্য রসের উপন্যাস এবং গল্প । "টেনিদা সমগ্র" আসলে টেনিদা সংক্রান্ত সকল গল্প-উপন্যাসের সংকলন। বইয়ের প্রধান টেনি শর্মা যার আসল নাম ভজহরি মুখার্জি।প্যালারাম - পড়াশোনায় তাঁর অবস্থান টেনিদার ঠিক পরেই। তার ভাষায় সে সারাবছর পালাজ্বরে ভোগে এবং শিঙ্গি মাছের ঝোল খায়। আর হলো হাবুল সেন আর ক্যাবলা। হাবুল সেন ঢাকাইয়া ভাষায় কথা বলে, একমাত্র ক্যাবলাই বাকি তিনজনের চাইতে সবচেয়ে মেধাবী আর বুদ্ধিমান। হেডমাস্টার বলেছে ও নাকি স্কলার শিপ পাবে। এই গ্রুপ টা চাটুজ্যেদের রোয়াকে বসে আড্ডা মারে। এটাই তাদের আড্ডার জায়গা।এই সংগ্রহে ৫ টি উপন্যাস, ৩২ টি গল্প আর ১ টি নাটিকা। উপন্যাস গুলো রহস্য ও রোমাঞ্চকর। গল্প গুলোও তেমনি, একেক টি হাসির কারখানা। টেনিদার হাস্য রস আর হাবুল সেনের ঢাকাইয়া ভাষা এ উপন্যাস এবং গল্পগুলোকে পাঠকের কাছে করে তুলেছে অতুলনীয়। তা ছাড়া ক্যাবলার বুদ্ধি, প্যালার এক নাগারে পটর পটর পড়ে না হেসে থাকার মতো কোন পাঠক হয়তো কখনই তৈরি হবে না। এটা বললেও কম হবে যে, এ বইটি নির্মল আনন্দের একটি আধার। গল্প নাটিকা সবগুলোই রোমাঞ্চ এবং হাস্যরসে ভরপুর। তা ছাড়া তাদের খুশি বা জয়ের ডায়লগ টেনিদার সোল্লাসে সেই চিৎকার, 'ডি-লা গ্র্যান্ডি মেফিস্টোফিলিস' সেই সাথে বাকি তিনজনের একসাথে "ইয়াক-ইয়াক'। এক কথায় অসাধারন। যারা পড়ে নি তাদের আমি শুধু এটাই বলবো অনেক টা আনন্দ ও হাস্যরস থেকেই বঞ্চিত হয়েছেন।আর এরকম একটা হাসির, মজার এবং উপভোগ্য বই টাতে অবশ্যই চোখ বুলানো উচিৎ।প্রথম পৃষ্টা থেকেই টেনি তার কর্ম কান্ড দিয়ে হাসির যে সুর তুলেছে তা একেবারে শেষ পর্যন্ত। আনন্দটাও তেমন।

"ডি-লা-গ্রান্ডি মেফিস্টোফিলিস। ইয়াক্, ইয়াক্।" মাত্র পড়লাম নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের "টেনিদা সমগ্র"... নিখাদ হাস্যরসে ভরপুর একটা বই... ফেলুদা যতটুকু বুদ্ধিদীপ্ত ও সাহসী, পটলডাঙ্গার টেনিদা ততটুকুই চাপাবাজ, ভীতু, পেটুক (মাল্টিট্যালেন্টেড)... অবশ্য সাহিত্যে স্বমহিমায় উজ্জ্বল দাদাদের অভাবও নেই... লিস্টে এখনও আছে- ঘনাদা, ঋজুদা, পিনডিদা...

বাংলা ভাষায় বহু গল্পের বই রচিত হয়েছে। ভবিষ্যতেও হবে। কিন্তু বাংলাসাহিত্যে "টেনিদা" নামটা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের এক অসাধারণ সৃষ্টি এই টেনিদা। টেনিদার গল্পগুলোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে এই যে, এখানে কোনো কষ্ট নেই, পুরোটাই নিখাদ আনন্দে ভরা। পটলডাঙ্গার প্যালারাম, হাবুল সেন, ক্যাবলা আর টেনিদা....এই চারমূর্তির আজব কান্ডকারখানা নিয়েই দু'মলাটের ভিতরে টেনিদা সমগ্র। বইটি পড়ার অনুরোধ রইলো সবার প্রতি। তা না হলে বাংলাসাহিত্যের একটি রঙ্গীন অধ্যায় অনেকের কাছেই অজানা রয়ে যাবে।

পটলডাঙ্গার টেনিদা নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের এক অনন্য সৃষ্টি। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা সম্পর্কে আসলে নতুন করে বলার কিছু নেই। লেখকের লেখনীতে খুব সহজাত ভাবেই হাস্যরস উঠে আসে। আমি আমার জীবনে খুব কম লেখকের লেখাতেই হিউমারের এত সুপ্রচুর ব্যবহার পেয়েছি। আর ‘টেনিদা সমগ্র’ বইটির ব্যাপারে বলতেই হয়, লেখকের লেখা টেনিদা সিরিজের সকল অসাধারণ বইগুলোকে সংকলিত করার মাধ্যমে এই বইয়ের দ্বারা টেনিদা ভক্তরা খুব উপকৃত হবে। এই বইয়ে জনপ্রিয় টেনিদা সিরিজের পাঁচটি উপন্যাস ‘চার মূর্তি’, ‘কম্বল নিরুদ্দেশ’, ‘চার মূর্তির অভিযান’, ‘টেনিদা ও সিন্ধুঘোটক’ এবং ‘ঝাউ-বাংলোর রহস্য’ সংকলিত হয়েছে। এছাড়া এই বইয়ে টেনিদাকে নিয়ে লেখা বত্রিশটি ছোটগল্প এবং একটি নাটিকাও সংযোজিত হয়েছে। আর ‘টেনিদা সমগ্র’ বইটিতে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে টেনিদার সাক্ষাৎকার সম্বলিত একটি লেখা। অর্থাৎ, যে চরিত্রের আদলে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় গল্পের টেনিদাকে নিজের মত করে সৃষ্টি করেছিলেন, ক’দিন আগে বাস্তবের সেই টেনিদার সঙ্গে পটলডাঙ্গায় গিয়ে মুখোমুখি কথা বলে এসেছেন সাংবাদিক দীপংকর চক্রবর্তী। সেই লেখাটিও এই বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। টেনিদা চরিত্রটি এমনই অনন্য যে তাকে আর কারো সাথেই তুলনা করা যায় না। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সব লেখাই হাস্যরসে ভরপুর। কিন্তু এর মধ্যেও টেনিদাকে নিয়ে লেখা উপন্যাস বা গল্পগুলোতে হাস্য-কৌতুকের মাত্রাটা আসলেই কূল-ছাপানো। টেনিদা এক আজব চরিত্র। বার বার পরীক্ষায় ফেল করার পরও তার সেটা নিয়ে কোন আফসোস নেই। বরং সে গর্ব করে বলে, পাশ তো সবাই করে যায় কিন্তু ফেল কয় জন করতে পারে? আবার এই টেনিদার মত ভোজন রসিক চরিত্র বাংলা সাহিত্যে খুব কমই তৈরি হয়েছে। এক বসায় গোটা আটটা সিঙ্গারা খাওয়া বা ত্রিশটা পিঠা খাওয়া টেনিদার জন্যে কোন ব্যাপারই না। আর যখন বিপদ সামনে থেকে চলে যায় তখনই টেনিদার সাহসের পরিচয় পাওয়া যায়। কিন্তু বিপদের সময় সব সাহস উধাও। এই ভাবে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় এক অসাধারণ চরিত্র সৃষ্টি করেছেন, যে পাঠককে প্রতিনিয়ত হাসাবে। টেনিদা সিরিজের লেখাগুলো মূলত কিশোরদের জন্যে হলেও এই গল্পগুলো পড়ে ছেলে-বুড়ো সবাই মজা পাবেন। আর টেনিদাকে নিয়ে সকল লেখা একসাথে থাকার কারণে ‘টেনিদা সমগ্র’ বইটি অবশ্যই সংগ্রহে রাখার মত।