User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
যারা বলেছেন বই পড়ে কান্না এসেছে, বইয়ের ভিতরে কথাটি উল্লেখ থাকায় নিজের ভাব জমাতে গিয়ে সম্ভবত কথাটি বলেছেন ওরা। আমি অনেক বই পড়েছি তাই বই সম্পর্কে ধারণা আছে। এই বইটিতে কান্না করার মতো তেমন কিছুই পাইনি, এবং গুরত্বর ভাবার্থও কিছু পাইনি। নিজের দৌলাভৌদিকে তার প্রেমের ঘটনা এবং কিভাবে মেমসাহেবর কারণে তার জীবন উন্নতি হয়েছে, আর শেষে কি হলো ইত্যাদি কথাগুলো খুবই সাধারণ ভাবে তুলে ধরেছেন। বইটি তখনকার সময় হয়তো কান্নার কারণ হতে পারে,কিন্তু এখন এসে পড়ার পর আমার কাছে তেমন ভালো বই মনে হয় নি। তবে সময় কাটানোর জন্য বইটি পড়া যায়।
Was this review helpful to you?
or
amr pra sronio akta boi
Was this review helpful to you?
or
যে কোনো লেখা হোক সেটা গল্প উপন্যাস সিনেমা বা অন্যকিছু যখন সেটা মোটের ওপর আপনাকে আনন্দ দেবে বা ধরে রাখবে, তখন ছোটছোট অনেক দোষ ত্রুটিও মার্জনা পেয়ে যায়। অনেক ফাঁকফোকড় থাকা স্বত্তেও একটা ভালো লাগা সবকিছুকে পার করে নিয়ে যায়। অন্যথায় উল্টোটা হবার সম্ভবনাই বেশি। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। মেমসাহেব চরিত্রটি ঠেলেঠুলে উৎড়ে গেলও গল্পের বিচারে মেমসাহেব উপন্যাস অনেকটা অপক্ক।
Was this review helpful to you?
or
ধরুন ব্যর্থতার শেষ সীমায় পৌঁছে গেছেন আপনি, কিছুই হচ্ছে না যেন আপনাকে দিয়ে। কর্মজীবনে আপনি ডুবে আছেন একদম ব্যর্থতায়। আচ্ছা ভাবুন তো হটাৎ শরতের হিমেল বাতাসের মতো এমন একজন এসে জুড়ে বসলো আপনার জীবনে,যে তার সবটুকু দিয়ে নিঃস্বার্থ ভাবে গড়ে তোলা শুরু করলো আপনার অগোছালো জীবন, কেমন হবে তখন? না,নিঃস্বার্থ না , তার স্বার্থ হলো যে সে আপনাকে গড়ে তুলছে তার নিজের মতো করে, তার পরিপূর্ণ জীবনসঙ্গী রূপে। তখন আপনার জীবনের গল্প কেমন হবে? কেমন হবে আপনার প্রতিদিনের জীবন? সফলতা কী আদৌ আসবে? ঠিক এমন একটা সহজ প্লটের উপরে লেখা উপন্যাস মেমসাহেব , কিন্তু তাহলে এই বই পড়বো কেন? বইটি আসলে চিঠি আকারে লেখা, নায়ক তার বৌদির কাছে চিঠি আকারে তার জীবনের বিশেষ একটা অংশের কথা জানিয়েছেন, অনেকগুলো চিঠির সমন্বিত রূপ এই বইটি। তাই যারা চিঠি পড়তে ভালোবাসেন,তাদের জন্য এটি আদর্শ। বইটা লেখা হয়েছে দেশভাগের সময়ের প্রেক্ষাপটে, নায়কের নিজের জীবন আর তার আশেপাশের মানুষের উপর দেশ ভাগ কতটা প্রভাব বিস্তার করেছে তার একটা বেশ পরিষ্কার ছবি পাওযা যায় বইটি পড়ে। একটা উদাহরণ দেয়া যাক বইটি থেকে। এক জায়গায় লেখা হয়েছে,"লক্ষপতির ছেলে কলেজ স্টিরিট এ হকার হলো,তোমার আমার চেয়ে বনেদী ঘরের অনেক মেয়ে-বউ বৌবাজার আর লিন্ডসে স্ট্রিটের ম্যাসেজ বাথে যেয়ে দেহ বিক্রি করতে বাধ্য হলো" উপন্যাস এর সমস্ত জায়গা জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সে সময়কার চিত্র । আর যেহেতু একজন সাংবাদিক এর দৃষ্টিতে লেখা হয়েছে উপন্যাসটি সেজন্য বর্ননা যেন আরও সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। আমি পড়ার সময় প্রেমের থেকে চোখ রেখেছিলাম বোধয় এসবের দিকে । এবার আসি এর সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ,প্রেমের অংশ নিয়ে। মেমসাহেব কে নিয়ে কথকের এত কথা যে শেষ করে ওঠা দায়, মেমসাহেব হ্যান, মেমসাহেব ত্যান - এই জিনিসটা অনেকের কাছেই(মানে বেশিরভাগ মানুষের কাছেই বিরক্তিকর লাগবে এবং লেগে এসেছে ).. আমি নিজেও প্রথমবার পড়ার সময় বিরক্ত হয়ে গেছিলাম, পরের বার পড়া শুরু করে মনে হলো যতটা বলা হয় আসলে ততটাও নেকা না,একটু বেশি নেকা । তবে সেটা মেনে নেয়া সহজ,কারণ কেউ যখন তার জীবনের প্রায় জীবনের সবটুকু জায়গা একজন মানুষকে দিয়ে দেয়,তার থেকে এধরণের কথা স্বাভাবিক । লেখক নিমাই ভট্টাচার্য এখানেই বাজিমাত করেছেন । চরিত্রের প্রয়োজনে সংলাপ সাজিয়েছেন সুন্দর ভাবেই। মেমসাহেব যেখানে জীবনের অংশ সেখানে তাকে নিয়ে কথা হওয়ায় যুক্তিসংগত নয় কী? আমার মতে মেমসাহেবকে নিয়ে বলা যত কথা তা ঠিক না হলেও হয়তো প্রয়োজন ছিল। তবে বইখানা পড়ে একটা কথাই মাথায় আসে, "তোরা যে যা বলিস ভাই,আমার মেমসাহেব কে চাই " ভালো লাগা খারাপ লাগা সব মিলিয়ে বই,তবে সতর্কতা জানাচ্ছি,যদি রোমান্টিকতা আপনার পছন্দের তালিকায় না থাকে,তবে এই বইখানা পড়ে তীব্র ক্ষোভ জন্মাইতে পারে (আমার মতো ) .. আর যারা রোমান্টিকতা ভালোবাসেন এট্টু হলেও,তাদের জন্য অবশ্যপাঠ্য একটা বই ।
Was this review helpful to you?
or
"স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটির বাইশটি বসন্ত অতিক্রম করতে মেমসাহেবের জীবনে নিশ্চই কিছু কিছু মাছি বা মোমাছি ভন্ভন্ করেছে চারপাশে।হয়তো বা কারুর গুন মনে একটু রং লাগিয়েছে কিন্তু ঠিক আমার মতো কেউ সমস্ত জীবনের দাবি নিয়ে এগিয়ে আসতে পারে নি।তাই তো মেমসাহেবর জীবনের সব বাঁধন খুলে গিয়েছিল,সংযম আর সংস্কার ভেসে গিয়েছিল।" উপরের লাইনগুলো নিমাই ভট্টাচার্যের লেখা বিখ্যাত 'মেমসাহেব' বইয়ের। মেমসাহেব লেখার আগে নিমাই সাহেব তাঁর প্রথম বই "রাজধানীর নেপথ্য" লিখেন।যা প্রকাশিত হয় ১৯৬৪ সালে।আর মেমসাহেব প্রকাশিত হয় ১৯৬৮ সালে এবং প্রকাশিত হবার পর পাঠকসমাজে বেশ আলোচনার তৈরি করে।তখনই ধারণা করা হয় "মেমসাহেব" বাংলা সাহিত্যে স্থায়ী আসন লাভ করবে।এই ধারণায় যে ভুল ছিল না, তা এই "মেমসাহেব" পড়লেই বুঝা যায়।প্রায় পঞ্চাশ বছর আগের লেখা অথচ মনে হয় এটা এই সময়ের লেখা।আমার জন্য লেখা, তোমার জন্যে লেখা,আপনার জন্য লেখা।আর প্রেমিকাদের জন্য মেমসাহেব পড়া বাধ্যতামূলক।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
One of my favourite book
Was this review helpful to you?
or
সত্যি বলতে Facbook a দেখে বইটা কিনছিলাম৷ এক কথায় অসাধারণ বই৷ মেমসাহেব লেখকের জীবনে যে কি ছিলো সেটা মেমসাহেবর মৃত্যুর পর বোঝা যায়৷ মেমসাহেব তাকে এতোটাই ভালবাসা দিয়েছিল যে মেমসাহেবের মৃত্যুর পর লেখক বিয়ে করেনি৷ এই গল্পের বইটা পড়লে আধুনিক জীবনের প্রেম ফিকে মনে হবে৷ আর হ্যাঁ লেখক এটাও বুঝিয়ে দিয়েছে যে কোন মেয়ে যদি চাই তাহলে উৎস দিয়ে একটা ছেলেকে অনেক ভাল একটা জায়গায় নিয়ে যেতে পারে৷ গল্পের নায়ক ছিলো খুবই সামান্য একজন রিপোর্টার সেখান থেকে মুম্বাইয়ে নাম করা সাংবাদিক হওয়ার পিছনে একজনের উৎসাহ ছিলো সবচেয়ে বেশি সেটা হলো মেমসাহেব৷ যার রূপ ছিলো না৷ কিন্তু ভালবাসতে পারার গুন ছিলো৷ আবারও বলছি বাইটা পড়লে এখনকার প্রেম আপনাদের কাছে ফিকে মনে হবে৷ চাইলে যে একটা মেয়ে একটা ছেলের জীবন গড়ে দিতে পারে মেমসাহেব গল্পে মেমসাহেব তার জ্বলন্ত প্রমাণ৷ আমি এই বইটা বিশেষ করে মেয়েদের পড়তে অনুরোধ করবো বেশি৷
Was this review helpful to you?
or
Good read.
Was this review helpful to you?
or
৩ দিন আগে কুরিয়ায় পাঠাইছে,কিন্তু এখনো হাতে পাইনি । বুঝিয়ে বলবেন বিষয়টা
Was this review helpful to you?
or
মেমসাহেব মূলত প্রেমের উপন্যাস হলেও এখানে রয়েছে দেশভাগের কথা, এক রিপোর্টারের অজানা জীবনকথা। সাতচল্লিশের দেশ ভাগ পরবর্তী সময়ে কলকাতা শহরের লাখ লাখ বেকারের মাঝে কি করে একজন হাফ বেকার, হাফ রিপোর্টার শুধু মনের জোর আর নিষ্ঠায় ভালোবাসার শক্তিকে অবলম্বন করে কিভাবে সর্বোত্তম পদে নিজেকে অধিষ্ঠিত করার গল্প। উপন্যাসটির শুরু হয়েছে দোলা বৌদিকে লেখা চিঠির মাধ্যমে। পুরো উপন্যাসটিই চিঠির মতো করে লেখা। উপন্যাসের মূল চরিত্র দু’জন। একজন মেমসাহেব অপরজন এই উপন্যাসের নায়ক বাচ্চু। নিজের অনাড়ম্বর জীবনের কথাগল্প শোনাতেই একদিন চিঠি লিখতে শুরু করে দোলা বৌদির কাছে। পাঠকের চোখকে গভীর সমুদ্রের ঢেউ দিয়ে ভিজিয়ে সুনিপুণ ভাবে লেখক তুলে আনেন মেমসাহেব চরিত্রটিকে।
Was this review helpful to you?
or
বেশ ছোট বেলায় "মেমসাহেব" বইটা পড়েছিলাম। তখন এতটা ছোট কেউ আমার উপন্যাস পড়া দেখলে কাট টেনে ধরবে এমন পরিস্থিতি। তাই একা একা একটা রুমে প্রায় সারাদিন দরজা বন্ধ করে বইটা পড়েছিলাম। জানিনা কি এমন ছিলো বইটাতে শুধু এতটুকু বলতে পারি সেই ছোট বেলায় দরজা বন্ধ করে কেঁদেছিলাম অনেকটা সময়। আর দিন শেষে বুঝে ছিলাম "অনেক কিছু পাবার পরেও কিছু একটা না পাওয়া কতটা কষ্টের!"
Was this review helpful to you?
or
গল্পে কোন টুইস্ট নেই। বেশিরভাগ সময় ই বিরক্তির উদ্রেক করেছে। তবে গল্পের একদম শেষ ভাগে কিছুটা হলেও লেখক তার মনের ভাব ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন। উপন্যাস না বলে চিঠি সংকলন বলা যেতে পারে, তবে বিরক্তিকর চিঠি। চরিত্রগুলো আর ও শক্তিশালী হতে পারত। গজানন, মেজদি চরিত্রগূলো আর ও ভালভাবে লেখা সম্ভব ছিল মনে করি। লেখক বিভিন্ন জায়গার ঘুরতে যাওয়ার কথা বলেছেন, যেখানেই গেছেন সেখানেও শুধু তার এবং মেমসাহেবের অন্ধ প্রেমের ই বিবরণ ছিল। পারিপার্শ্বিকতা আর ও একটু বিবেচনা করলে বোধ করি বইটি সাধারণ মানুষের কাছে আর ও গ্রহণযোগ্য হত।
Was this review helpful to you?
or
সহজ সরল ভাষায় উপস্থাপিত এক অনবদ্য উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
বইটা পড়ে খুব ভাল লেগেছে।বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া শ্রেষ্ঠ প্রেমের গল্প। এমন ভাবে নিজের সবটা দিয়ে ভালোবেসে যাওয়ার মত মানুষ খুঁজে পাওয়া আসলেই অনেক কঠিন, আর বর্তমানে সেরকম খুঁজা ত বিশাল মরু সমুদ্রে সুঁই খুঁজার মত। বেশি কিছু বলে পাঠকদের আগ্রহ নষ্ট করতে চাই না। তবে আমি সকল ভালোবাসার মানুষদের উদ্দেশ্যে বলব, সকলের এই বইটি একবার হলেও পড়া উচিত। এবার আসি রকমারির সেবা নিয়ে। যেহেতু আমি বইটি ঢাকার বাইরে থেকে অর্ডার করেছিলাম সেহেতু আমি ভাবিনি যে এত দ্রুত বইটি হাতে পাবো। বই এর কন্ডিশনও খুব ভালো ছিলো। যথাসময়ে যথাযত ভাবে বইটি আমার হাতে পৌঁছে দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ রকমারি টিমকে...
Was this review helpful to you?
or
নিমাই ভট্টাচার্য এখানে যেন তার নিজের জীবনেরই কাহিনী লিখছেন খানিকটা কল্পনা আর অনেকটা বাস্তবের মিশেলে। মনে দাগ কেটেছে যে কয়েকটা বই, মেমসাহেব এর একটি, সম্ভবত এই বইটা পড়ে চোখে পানি এসে গিয়েছিল। নিমাই ভট্টাচার্যের মূল জীবিকা সাংবাদিকতা। তার জীবনের যে বিচিত্র অভিজ্ঞতা লব্ধ জ্ঞান তা প্রভাব ফেলেছে তার লেখনিতে। কল্পনা আর বাস্তবের মিশেলে আপনি চলে যেতে পারেন অন্য রকম এক অনুভুতির রাজ্যে।থাকবে শিক্ষা,থাকবে ভালোবাসা,প্রেম,প্রেরনা।
Was this review helpful to you?
or
"মেমসাহেব" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: উপন্যাসটি শুরু হয় বাচ্চু নামের এক সাংবাদিকের তার দোলাবৌদির কাছে চিঠি লেখার মধ্য দিয়ে। সেই চিঠিতে লেখক তার কষ্টকর জীবনের উন্নতির পিছনে একজন রমণী কতটা গভীরভাবে জড়িয়ে ছিল তাই লিখেছেন। আর সেই নাম না জানা রমণীকেই পুরো উপন্যাসে লেখক মেমসাহেব নামে সম্বোধন করেছেন তবে কেন সম্বোধন তার কারণ উপন্যাসের শেষ পর্যন্ত অজানাই থেকে যায়। কথায় বলে প্রতিটা সাফল্যমণ্ডিত পুরুষের পিছনে রয়েছে একজন নারীর অবদান। আর সেই নারীকেই লেখক এই উপন্যাসের মধ্যে মেমসাহেবের মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন। প্রতিটা প্রেমের গল্প বা উপন্যাসে লেখক তাদের নায়িকাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর বলে উপস্থাপন করলেও এই উপন্যাসটি ছিল তার চেয়ে ব্যতিক্রম। এই উপন্যাসের নায়িকা অত্যন্ত কৃষ্ণাঙ্গী। মেমসাহেবের সাথে লেখকের প্রথম দেখা হয় ট্রেন ভ্রমণের সময়। সেই সময়টাতেই লেখক আর মেমসাহেব আবদ্ধ হয়ে পড়ে প্রেমের বন্ধনে। আস্তে আস্তে লেখক আর মেমসাহেবের বন্ধন দৃঢ় হতে থাকে, এতটাই দৃঢ় যে ভবিষ্যতের চরম অনিশ্চয়তার মধ্যেও মেমসাহেব লেখককে ছেড়ে যায় না, বরং প্রেমিকা হয়েও তাকে সাহস যোগায়, ভরসা দেয় একজন সহধর্মিণীর মতো। সফলতার ক্ষেত্রে নারীর যে কতটা অবদান থাকে তা স্পষ্টভাবেই এই উপন্যাসে বুঝা যায়। বাচ্চুর সফল সাংবাদিক থেকে লেখক হওয়া আর সব স্বপ্ন পূরণ হওয়া থেকে দুইজনার পেশাগত ব্যস্ততার মাঝেও তারা সময় করে কলকাতা, দিল্লী,জয়পুরের বিভিন্ন জায়গাগুলোতে হারিয়ে যেতো একে অপরের ভালেবাসায়। হঠাৎ একসময় এই ভালোবাসার মাঝে আসে নতুন মোড়। কেমন ছিল সেই মোড়? কী ঘটবে তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে? (পুতুল)
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ-মেমসাহেব লেখকঃ-নিমাই ভট্রাচার্য প্রকাশকঃ- করুণা প্রকাশনী(ভারত) পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ-১৪৩ মূল্যঃ-২৩৪ "প্রহর শেষে দিনের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্র মাস- তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ। কি চমকে উঠলেন দুই লাইন কবিতা শুনেই! হুম এমনি নিউরনে সাড়া জাগানো প্রেমের গল্প এই বইটি জুড়ে। তবে এটা ঠিক বইটির প্রথম কয়েক পৃষ্ঠা পড়লে পাঠক বিভ্রান্ত হবে। কিন্তু পুরো বই মনোযোগ দিয়ে পড়লে আপনার ভাল লাগবে এটা নিশ্চিত কারন বইটা এমনি ধাচেঁর। এমন কিছু লাইন আছে যা আমার মনে আচড়ঁ কেটে আছে আর হয়তো থাকবেও আজীবন। লেখক তার দোলাবৌদির কাছে চিঠিতে তার জীবনে মেমসাহেবের সাথে ঘটে যাওয়া সব বিবৃতি করেছেন। আসলে মানুষের জীবনের চিরায়ত আবেগই এই গল্পে ভেসে উঠেছে।মানুষের জীবনে অনেক মানুষেরই আগমন ঘটে কাওকে আবার ভাল লাগে খানিক সময়ে তাকে ভালও বেসে ফেলা যায় কিন্তু তার স্থায়িত্ব বেশীক্ষণ থাকে না।কিন্তু একজন মানুষ আপনার জীবনে এমনভাবে আবির্ভূত হয়ে যায় যাকে আপনি চাইলেও মন থেকে সরাতে পারবেন না,সে হয়ে উঠবে আপনার মনের মেমসাহেব। সারাজীবন তার স্মৃতি আপনাকে তাড়া করে বেড়ায়, নিউরন জুড়ে তারই অবতারণা। ব্যক্তিগত অভিমতঃ- খুব সামান্য কালো ছিপছিপে এক মেয়েকে এই গল্পে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সারা টা গল্পে জুড়ে তিনি হয়ে উঠেছে এক অতি মানবী।গল্পটা রোমান্টিক না ট্রাজেডি তা আমার পক্ষে বলা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বলতে বলতে একটা দীর্ঘশ্বাস থেকেই যায়। কত মেয়ে এলো আর গেল কিন্তু নন্দিনী নামের মেয়েটি লেখকের মেমসাহেব হয়ে বুকে দাগ কেটে রাখে গেল। যারা বইটি পড়েন নি এখনো পড়তে পারেন। #হ্যাপি_রিডিং
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা রিভিও___জুলাই/০৯ বইয়ের নামঃ মেমসাহেব। লেখকঃ নিমাই ভট্টাচার্য। প্রকাশনীঃ দে'জ পাবলিশিং। মূল্যঃ 234 টাকা। রকমারিঃ 234 টাকা। ছবিঃ গ্রুপ থেকে নেয়া "জল ভরা কন্যা তুমি জলে দিস মন, যাইবার কালে কইছিলাম কথা, আছেনি স্মরন?" ------মৈমনসিংহ গীতিকা মহুয়ার পালায় যেমন সেসময় প্রেমকে মানা হত গুরুতর দোষের, এ গল্পও তেমনি একজ জুটির যাদের জীবনে প্রেমের বাধা যদিওবা ছিল না। কিন্তু তাদের রোমান্টিকতা সেসময়ের জন্য ছিল বিরল, বাঙালরা যখন ইংরেজ সংস্কৃতির আয়ত্তের ধারায় এসেছে সেসময়কার সাংবাদিক বাচ্চু। লিখেছে চিঠি দোলাবৌদিকে। তাতে তার জীবনের শুরু থেকে তখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য সব নাররীর বর্ণনা দেয়া। এবার মেমসাহেবের কথা কিছু বলা যাক। তিনি খুব সাধারন দেখতে একজন মহিলা, কিন্তু তার ব্যাক্তিত্ব চোখ ছাপিয়ে চোখে পড়ার মত। সেই মায়াডোরে বাধা পড়ে ছন্নছাড়া বাচ্চু। দেখা,? কাহিনীটা যেমন আকর্ষনীয়, তেমনি বেশ খানিকটা ইত্তেফাকেরো ব্যাপার আছে। যাহোক এই প্রেম কাহিনী চলতে থাকে। চলতে চলতে বাঙালি পল্টন ভেঙ্গে চলে যায় ইংরেজ স্টাইল বা সেটাকেও পিছে ফেলে দেয়। তারপর? তারপর কিই বা পরিণতি? কিই সেই বাচ্চু আর মেমসাহেবের ঘটে ভাগ্যবিধি লিখেছেন?? জানতে হলে পড়ুন। প্রতিক্রিয়াঃ গল্পের লেখার ধরনটা যে নতুনত্বের আনয়ন করেছে তা সন্দেহাতীত। কিন্তু লেখায় তিনি যেসব রোমান্টিসিজম দিয়েছেন তা অনেকাংশেই অতিরঞ্জিত। বইয়ের কিছু অংশ পত্রিকার মত লেগেছে। লেখার মাণ ততোও ভাল না। মনে হয়েছে কারো পার্সোনাল ডাইরি পড়ছি এবং পার্সোনাল ডাইরি পড়ার মতোই বিরক্তিকর রেটিং: গল্পের ধরন বিবেচনায়:৭/১০ ভাষা ও বলার ধরনে:৪/১০ কাহিনী:৫/১০ রকমারি লিঙ্ক: https://www.rokomari.com/book/69247/%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%AC
Was this review helpful to you?
or
আলোচনা-সমালোচনার শীর্ষে থাকা উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম নিমাই ভট্টাচার্যের লেখা "মেমসাহেব"। বইয়ের গ্রুপগুলোতে কমপক্ষে দশটি রিভিউ এবং প্রায় সমসংখ্যক প্রশংসা ও নিন্দামূলক মন্তব্যগুলো পড়ার পর বইটা পড়ার কৌতুহল সংবরণ করা অসম্ভব ছিল। অবশেষে পরিচিত হলাম মেমসাহেবের সঙ্গে। যারা চেনেন না আসুন পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। #কাহিনী_সংক্ষেপঃ "কালো? তা সে যতই কালো হোক দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।" কালো মেয়ে কাজলরেখা। এই কালো মেয়েটির গভীর কাজল কালো চোখের গহীনতায় নিজের অজান্তেই আশাহীন জীবনের নায়ক বাচ্চু কখন যেন তার সমস্ত অস্তিত্বকে বিলীন করে দিয়েছিল। ট্রেনের কামরায় দুটি প্রাণির চার চোখের চোরা চাহনির মিলন সূচনা করেছিল এক ইতিহাসের। সে ইতিহাস এক মেমসাহেবের। ববকাট চুল আর ঠোঁটে লাল টুকটুকে লিপস্টিক দেয়া কোন ইংরেজ মেম নয়, রীতিমত শাড়ি পরা সে এক বাঙালি মেমসাহেব। জন্মের পর পরই বাচ্চুর মা পাড়ি জমিয়েছিলেন অনন্তের পথে। সেই ছোট্টটি থেকে বড় হতে কোন নরম কোমল উষ্ণতার আশ্রয় তার কপালে জোটে নি। আদর করবার জন্য না হোক শাসন করবারও কেউ ছিল না তার। একবেলা খেয়ে অথবা দিনের পর দিন অনাহারে কাটিয়ে জীবন চলেছে। দুবেলা দুমুঠো খাবার জুটানো আর একটা মাথা গোজবার আশ্রয় জোগাড় করা ছাড়া কোন প্রবৃত্তি জন্ম নেবার অবকাশ পায় নি। তবে বাচ্চু ভিখারী ছিল না। তার মধ্যে ছিল পরিশ্রম করবার মন, সততা এবং আত্মমর্যাদা। ছিল না শুধু স্বপ্ন আর বড় হবার সাহস। এই ছন্নছাড়া মানুষটির জীবনে মেমসাহেব এল বসন্তের দোলা দিয়ে। মেমসাহেব কেবল একতাল মাংসের ডেলা ছিল না। রিপোর্টারের জীবনে তার আগমন ছিল জীবনীশক্তিরুপে। যার পরশে ও প্রেরণায় প্রেমে, রুপে, রসে বাচ্চুর অতি সাধারণ জীবন অসাধারণ সৌন্দর্যে ও সাফল্যে ভরে উঠেছিল। তার নিখাঁদ ভালবাসায়- বন্দী করবার ছলনা ছিল না; ছিল মুক্তির স্বাদ আর মাথা উঁচু করা মহান মানুষগুলোর মাঝে প্রিয়তমকে দেখার সাধ। উপন্যাসটি মূলত দোলাবৌদির কাছে লেখা ২০৭ পৃষ্ঠার চিঠি। যার উপজীব্য বিষয়ই হল মেমসাহেব এবং তার সঙ্গে কাটানো দিনগুলির তুচ্ছাতিতুচ্ছ ঘটনার বর্ণনা। #পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ নিঃসন্দেহে এটি একটি রোমান্টিকধর্মী উপন্যাস। কাগজের রিপোর্টার আর কম বয়সী অধ্যাপিকার প্রেমই এর মূখ্য বিষয়। বইটি উপন্যাস হবার চেয়েও যেন সিনেমার চিত্রনাট্য হবার পক্ষে বেশি উপযুক্ত। পাত্র-পাত্রীর মুখের সংলাপগুলোও যেন লেখক তৈরি করেছেন সে কথা ভেবেই। তাই ২০৭ পৃষ্ঠার বইটা পড়েও যখন মন ক্ষান্ত হতে চাইল না, দেখে ফেললাম আলোচ্য উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত মেমসাহেব মুভিটিও। বলাবাহুল্য, উপন্যাস ও মুভি দুই-ই প্রায় সমকালীন এবং লেখকের জীবদ্দশায় প্রকাশিত। বৌদির কাছে দেবরের নিজের প্রেমকাহিনীর সবিস্তার বর্ণনা দিয়ে লেখা চিঠি হিসেবে এর ভাব, ভাষ্য ও মান যথোপযুক্ত মনে হয়েছে আমার কাছে। লেখনীর সরল ও সাবলীল গতিই বইটি পড়ার সময়কার আগ্রহ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একইভাবে অটুট রাখতে সাহায্য করেছে। নিজেকে দোলাবৌদির অবস্থানে ভাবতে বাধ্য করেছে। অনেকেই এ বইটিকে লুতুপুতু বলে আখ্যা দিয়েছেন। আমার কিন্তু ভাবতে বেশ অবাক লাগছে, তারা প্রেমিক যুগলের প্রেমালাপটুকুই দেখলেন, মেমসাহেবের সাহস-ধৈর্য্য-শ্রম দেখলেন না! অধিকাংশ রোমান্টিক উপন্যাসগুলোতে দেখেছি পাত্র-পাত্রীর মিলন অথবা বিরহতেই উপন্যাস পরিণতির মুখ দেখে থাকে যেখানে নায়িকা নায়কের বাহুবন্ধনের ভিতর পৌছুনোর সাফল্য-ব্যর্থতাতেই কাহিনীর সাফল্য-ব্যর্থতা নির্ভর করে। কিন্তু এ বইয়ে মিলন বা বিরহকে ছাপিয়ে একটি সত্য আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে, আমার পড়া বইগুলোর আর কোন পাত্রী বা চেনাশুনো কোন রমনীকে আমি এতখানি সাহস, নিষ্ঠা ও বিশ্বাসের সাথে সর্বোচ্চ পরিমাণে ভালবাসতে দেখি নি। সে হিসেবে মেমসাহেব সকলের চে' অনন্য। রিপোর্টারকে সে সমস্তটাই লাভ করেছিল আর এ বিষয়ে তার মধ্যে দ্বিধার লেশটুকুও ছিল না। মেমসাহেব লীলাময়ীর চাইতেও বেশি ছিল স্রষ্টা। আরেকটি বিষয়, একটি সাধারণ ব্যক্তিগত চিঠিরুপে লেখক কেবলমাত্র একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে ২০৭ পাতার চিঠি লিখেছেন যা শুধু কঠিনই নয়, রীতিমত দূরুহ একটি কাজ। মেমসাহেবের সমগ্র সত্তাকে লেখক তার লেখনীর গুণে পাঠকের কাছে সম্পূর্ণভাবে প্রকাশিত করতে সক্ষম হয়েছেন, যা আমাকে অভিভূত করেছে। শেষ কথা, আর যে যাই বলুক, তাকে শ্রেষ্ঠা যদি নাও বলি তবু মেমসাহেবকে ঘৃণা করবার মত সাহস আমার নেই। "যারা কাছে আছে তারা কাছে থাক, তারা তো পারে না জানিতে তাহাদের চেয়ে তুমি কাছে আছ আমার হৃদয় খানিতে।"
Was this review helpful to you?
or
রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ মেমসাহেব। লেখকঃ নিমাই ভট্টাচার্য। প্রকাশনীঃ দে'জ পাবলিশিং। মূল্যঃ 234 টাকা। রকমারিঃ 234 টাকা। কিছু কথাঃ মেমসাহেব বলতে আমরা বুঝি, সুন্দরী ললনা। গায়ে বাহারী ডিজাইনের পোশাক। উচু হিলের লাল জুতো। লাল লিপস্টিক দিয়ে ঠোঁট আকর্ষনীয় করা যুবতী। আরোও অনেক কিছু আমরা "মেমসাহেব" শব্দটির সাথে ভাবি। কিন্তু লেখক এমন এক মেমসাহেবের কথা বলছেন, যিনি মেমসাহেব হওয়ার বৈশিষ্ট্যের সম্পূর্ণ বিপরীত। কালো বর্ণের একটি শান্ত মেয়ে। টানা টানা দুটো আকর্ষনীয় চোখ। অদ্ভুত চাহনির ভঙ্গিমা। আরোও অনেক বৈশিষ্ট্য। এখন আমরা শুনব সেই ব্যতিক্রমী মেমসাহেবের গল্প।কাহিনী সংক্ষেপঃ বৌদির নিকট চিঠি লিখছে বাচ্চু। উদ্দেশ্য একটাই, "মেমসাহেব সম্পর্কে সকলের জানার, আগ্রহের সীমানা ভেঙে দেওয়া।" খুব ছোট বেলায় মা বাবা দুজনেই মারা যায় তার। মায়ের কোলে শিশুর জন্য যেই ভালোবাসা থাকে তা বাচ্চুর কপালে জোটেনি। দুনিয়ায় আসার সাথে সাথে ভালোবাসার পৃথিবী থেকে যেন বাচ্চুকে নির্মম ভাবে বের করা হলো। সেজন্যই ছোট বেলা থেকেই উদাস প্রকৃতি তার ভাবে পরিলক্ষিত। মেয়ে দেখলেই যেন লজ্জায় কুঁকড়ে যেত সে! ভালোবাসার রাজ্য থেকে বের করে দেওয়া এক যুবক যখন শুন্য হৃদয় দিয়ে উড়ে চলছে চারদিকে ঠিক তখনি আসল 'নন্দিতা'। কিন্তু নন্দিতার দেওয়া ভালোবাসার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না বাচ্চু। নন্দিতাকে সারা জীবনের জন্য না পেলেও এমন ভাবে পেয়েছে যা তার সারা জীবন মনে থাকবে। আর তাছাড়া, নন্দিতার হাত ধরেই ভালোবাসার রাজ্যে প্রবেশ করেছে সে। কলকাতায় একটা পত্রিকার রিপোর্টে কাজ করত। এখনো মাসিক বেতন ধার্য হয়নি। হঠাৎ মেমসাহেবের সাথে দেখা। কিন্তু খাচায় আটকাতে পারল না পাখিকে! কিছুদিন পর খাচা হাতে নিয়েই পাখিকে আটকাতে গেল বাচ্চু! কিভাবে? পরিচয় পর্ব জানার পর হয়তো আপনিও মুগ্ধ হবেন।কখনো কলকাতার পড়ন্ত বিকেলে, কখনো বা গঙ্গার ঘাটে মেমসাহেব আর বাচ্চু কথা বলছে নীরবে, নিভৃতে। মাঝ দরিয়ায় সাতার না জানা যুবক পেল কূলে উঠার আশা! বাচ্চুর ছন্নছাড়া জীবনে অপূর্ব আশা নিয়ে আসল মেমসাহেব। অন্ধকার ঘরে উজ্জ্বল নক্ষত্র সমেত আসল মেমসাহেব। আস্তে আস্তে মেমসাহেবের ডিরেকশনে সামনে এগিয়ে যেতে লাগলো বাচ্চু। নিজের উন্নতি দেখে নিজেই অবাক হচ্ছে! কলকাতার ব্যস্ত শহর যখন ঘুমে আচ্ছন্ন ঠিক তখন সে ভাবে, এই মেমসাহেব আমার জীবনে না আসলে আমার যে কি হতো! এভাবেই ভাবতে ভাবতে কেটে যায় অনেক সময়। এভাবেই কি জীবন কাটবে? ছন্নছাড়া জীবনে এত সুখ কি সইতে পারবে, বাচ্চু? নাকি জীবনের অন্যরকম অনুভূতি পাবে সে?
Was this review helpful to you?
or
নাম: মেমসাহেব লেখক:নিমাই ভট্টাচার্য প্রকাশনা:দে'জ পাবলিশিং মূল্য:২৩৪৳ নিমাই ভট্টাচার্য,পেশায় একজন সাংবাদিক হলেও অকল্পনীয় দুঃখ-কষ্টে মানুষ হওয়া এই সাহিত্যিকের সকল ত্যাগ-তিতিক্ষার ফসলই যেন "মেমসাহেব" উপন্যাসটি।ব্যক্তিগত জীবন আর কল্পনার বাস্তব মিশেল হওয়ায় উপন্যাসটি প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথেই লাভ করেছে অসংখ্য পাঠক প্রিয়তা। সারসংক্ষেপঃ উপন্যাস শুরু হয় বাচ্চু নামের এক সাংবাদিকের তার দোলাবৌদির কাছে চিঠি লেখার মধ্য দিয়ে।সেই চিঠিতে লেখক তার কষ্টকর জীবনের উত্থানের পিছনে একজন কৃষ্ণাঙ্গী রমণী কতটা ওতোপ্রোতভাবে জড়িত তাই লিখেছেন।সেই নাম না জানা রমণীকে পুরো উপন্যাসে লেখক মেমসাহেব নামে সম্মোধন করেছেন যার কারণ উপন্যাসের শেষ পর্যন্ত অজানাই থেকে যায়। মেমসাহেবের সাথে লেখকের প্রথম দেখা হয় ট্রেন ভ্রমণের সময়।সেই সময়টাতেই লেখক আর মেমসাহেব আবদ্ধ হয়ে পড়ে প্রেমের বন্ধনে।"কালো সে যতই কালো হোক,দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ",লেখকের বর্ণনা অনুসারে রবীন্দ্রনাথের এই পংক্তিগুলো যেন শুধু মেমসাহেবের জন্যই লেখা।তারপর,আস্তে আস্তে লেখক আর মেমসাহেবের বন্ধন আরো দৃঢ় হয়,এতটাই দৃঢ় যে ভবিষ্যতের চরম অনিশ্চয়তার মধ্যেও মেমসাহেব লেখককে ছেড়ে যায় না,বরং প্রেমিকা হয়েও তাকে সাহস যোগায়,ভরসা দেয় একজন যোগ্য সহধর্মিণীর মতো। একজন সফল পুরুষের পিছনে যে একজন নারীর অবদান থাকে তা স্পষ্টভাবেই এই উপন্যাসে বুঝা যায় যখন আমরা বাচ্চুর সফল সাংবাদিক হয়ে ওঠা থেকে লেখক হওয়া আর সব স্বপ্ন পূরণ হওয়া দেখি।দুইজনার পেশাগত ব্যস্ততার মাঝেও তারা সময় করে কলকাতা,দিল্লী,জয়পুরের স্নিগ্ধ জায়গাগুলোতে হারিয়ে যেতো একে অপরের ভালেবাসায়। অথচ,একসময় এই উত্তাল ভালোবাসার সময়ে আসে নতুন মোড়।যা ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে লেখকের জীবনে।কেমন ছিল সেই মোড়? কী ঘটবে তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে? জানতে হলে পড়ে ফেলতে হবে রোমান্টিক এই পত্রোপন্যাসটি। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ পুরো উপন্যাসটিতে নাম ভূমিকায় থাকা মেমসাহেবের সরাসরি উপস্থিতি না থাকলেও তার চরিত্র ফুটিয়ে তোলাতে লেখক কোনো ধরণের কার্পণ্য করেন নি,ফলে পুরো উপন্যাসে তার অভাববোধ হয় নি।এটি লেখকের উল্লেখযোগ্য সফলতা। তবে উপন্যাস পড়ার সময় মাঝে মাঝে উর্দু বা সংস্কৃত লাইনের ব্যবহার,ঘটনার অতি বর্ণন উপন্যাস পাঠকে একঘেঁয়েমি তৈরি করছিল যা পড়ার গতি কমিয়ে দিচ্ছিল।তবে শেষ পর্যন্ত কি হয় তা জানার জন্য পড়ে শেষ করতেই হলো এই উপন্যাস।হ্যাঁ,ঔপন্যাসিকের এই দিকটির কারণে অনেক পাঠক "মেমসাহেব" পড়তে বিরক্ত হতেও পারেন,তবে আশা করি বেশিরভাগ পাঠকেরই পত্রের মোড়কে বর্ণিত নতুন ধরণের এই উপন্যাস ভালো লাগবে যেমন করে বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস "বাঁধনহারা" সফল। তাই উপন্যাসটির জন্য আমার রেটিং :৪/৫।
Was this review helpful to you?
or
"যারা কাছে আছে তারা কাছে থাক তারা তো পারে না জানিতে তাহাদের চেয়ে তুমি কাছে আছো আমার হৃদয়খানিতে!" মেমসাহেব বইটি মূলতঃ প্রেমের উপন্যাস। সম্পূর্ণ বইটাতে একটা চিঠি লেখা এবং চিঠির মধ্যেই সব কাহিনী তুলে ধরা। উপন্যাসের নায়ক বাচ্চু একজন রিপোর্টার। সে তার দোলা বৌদির কাছে লেখে এই চিঠি। এই চিঠিতেই বাচ্চুর ছোটবেলার কাহিনী, তার সংগ্রামী জীবন, জীবনের প্রথম প্রেম সবকিছু অকপটে বলে দেয় বৌদিকে। তার জীবনে বহু মেয়ে আসলেও মেমসাহেবের মতো কেউ এর আগে আসে নি। মেমসাহেব একজনই। যে বাচ্চু নামের এই রিপোর্টারের সম্পূর্ণ জীবনটাকেই বদলিয়ে দেয়। মেমসাহেব নামটা শুনলেই মনে হয়, ইংরেজ একটা মেয়ে। যার মাথায় লালচে চুল আর হ্যাট পড়া, পরনে গাউন। কিন্তু না,এই মেমসাহেব একজন বাঙালি নারী। মাথা ভর্তি কালো লম্বা চুল, শ্যাম বর্ণের মেয়েটিকেই রিপোর্টার মেমসাহেব বলে ডাকে। উপন্যাসের কোন জায়গায়ও মেমসাহেবের আসল নাম নেই। এই মেমসাহেবই রিপোর্টারকে জীবন নিয়ে ভাবতে শেখায়, স্বপ্ন দেখতে শেখায়! রিপোর্টারের সাধারণ জীবনটাকে অসাধারণভাবে সাজিয়ে দেয়। বাচঁতে শিখায় নতুন করে। কিন্তু তারপর....? কি হয় তারপর...!
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নাম: মেমসাহেব লেখক:নিমাই ভট্টাচার্য প্রকাশনা:দে'জ পাবলিশিং মূল্য:২৩৪টাকা পৃষ্ঠাঃ ২১১ প্রচ্ছদঃ ক্যাটাগরীঃ প্রেমের উপন্যাস/ কাহিনী সংক্ষেপঃ উপন্যাস শুরু হয় বাচ্চু নামের এক সাংবাদিকের তার দোলাবৌদির কাছে চিঠি লেখার মধ্য দিয়ে। যেই চিঠিতে লেখক তার জন্ম থেকে শুরু হওয়া কষ্টকর জীবনের শুরু থেকে পার হয়ে আসা জীবনের গল্প বলেছেন। বলেছেন তার জীবনে আসা নারীদের গল্প! বলেছেনতার সফলতার পেছনের এক মেম সাহেবের গল্প, মেম সাহেব বললেই আমাদের মাথায় আসে ব্রিটিশ কোন রমনী, সাদা-ফর্সা-ববকাট চুল। কিন্তু পঞ্চাশ টাকা মাসিক বেতনের সাংবাদিক বাচ্চুর সেই রমনী কাল, রবি ঠাকুরের কৃষ্ণকলি মানস রুপ। এই নাম না জানা রমণীকে পুরো উপন্যাসে লেখক মেমসাহেব নামে সম্মোধন করেছেন, ঘুনাক্ষরেও মেমসাহেবের আসল নাম সামনে আসেনি, তিনি বলেননি, কেন বলেননি??? মেমসাহেবের সাথে লেখকের প্রথম দেখা হয় ট্রেন ভ্রমণের সময়, এরপরে ধীরে ধীরে দু’জনের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়! তারপর,আস্তে আস্তে লেখক আর মেমসাহেবের বন্ধন আরো দৃঢ় হয়। মানসিক সাপোর্ট বেশ ভালই পাচ্ছিলেন লেখক, !এরপর একদিন...............। কি হবে এরপর একদিন??? পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ পুরো উপন্যাস টি চিঠির আঙ্গিকে লেখা, এরকম উপন্যাস আর আছে কিনা, আমি সঠিক জানিনা, বা আগে পড়েছি কিনা এই মুহূর্তে মনে নাই। উপন্যাস্টি সম্পর্কে বলতে গেলে বলব শেষের কবিতার সাথে কোথাও একটা হালকা মিল আছে, কোথায় জানিনা। কিন্তু আছে মনে হয়! মেমসাহেব বোধহয় চিরায়িত বাঙ্গালী মেয়েদের এক রূপ। বইটা পড়ে কিচ্ছুক্ষন চুপচাপ বসে ছিলাম, মন্ত্রমুগ্ধের মত। মেমসাহেব বইটি পড়লে আপনার মনে হবে এটি কোন উপন্যাস নয়, মনে হবে আপনার সামনেই ঘটছে সব কিছু! বেশ ভাল লেগেছে বইটি, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মনে হয়েছে বাড়তি কিছু অংশ আছে, যেগুলা না দিলেও কিছুই হত না। বরং না দিলেই বোধ হয় ভাল হত! রেটিং ৪.৫/৫ রকমারি লিঙ্ক ঃ https://www.rokomari.com/book/69247/%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%AC