User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ে ইটালির বিভিন্ন ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারলাম। টুইস্টে ভরপুর অসাধারন একটি রহস্য উপন্যাস
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম : ইনফার্নো লেখক : ড্যান ব্রাউন অনুবাদ : মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বইটি খুলতেই চোখে পড়বে একটি উদ্ধৃতি : "নরকের সবচাইতে অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গাটি তাদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে যারা ভাল আর মন্দের সংঘাতের সময় নিজেদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখে" উক্তিটি ইতালিয় কবি দান্তে'র। এবার আসি কাহিনী প্রসঙ্গে। জ্ঞান ফিরতেই নিজেকে ইতালির এক হাসপাতালে আবিষ্কার করেন হার্ভার্ড প্রফেসর রবার্ট ল্যাংডন। ইতালিতে তিনি কিভাবে এলেন! কিছুই মনে করতে পারছেন না তিনি! মাথায় বার বার অবচেতন মনে ঘুরছে একটি কথা 'খোঁজো, তাহলেই পাবে'। স্বপ্নে দেখলেন এক সাদা চুলের মহিলাকে। যার আশেপাশে অসংখ্য মৃতদেহ। তিনি রবার্ট ল্যাংডনকে বলছেন একই কথা ' খোঁজো, তাহলেই পাবে'। জ্ঞান ফিরে তার সাক্ষাৎ হল এক তরুনীর সাথে। কিন্তু তেমন কিছু বুঝে উঠার আগেই শুরু হল হামলা! রবার্ট ল্যাংডনকে হত্যার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে কিছু গোষ্ঠী। সেই তরুনী আর রবার্ট ল্যাংডনের একসাথে শুরু হল একটি রুদ্ধশ্বাস অভিযান। কেনই বা কিছু গোষ্ঠী খুন করতে চাইছে রবার্ট ল্যাংডনকে? বইটি যে উদ্ধৃতি দিয়ে শুরু হয়েছে সেই উদ্ধৃতির সাথে কাহিনীর সম্পর্কটা কোথায়? আমেরিকা থেকে ইতালিতেই বা কিভাবে এলেন রবার্ট ল্যাংডন? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে পড়তে হবে পুরো বইটি। ড্যান ব্রাউনের আরেকটি দুনিয়া কাঁপানো উপন্যাস 'ইনফার্নো'। রহস্য, ইতিহাস, বিজ্ঞান, প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতার অপূর্ব সংমিশ্রণ বইটি। যেকোন মানুষ বইটি পড়তে শুরু করলে কাহিনীর ভেতর ডুবে যেতে বাধ্য! যেন মনে হবে, রবার্ট ল্যাংডন আর সেই তরুনীর সেই অভিযানের সঙ্গী আপনিও!
Was this review helpful to you?
or
Really a nice book.A very delightfuk read❤️
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই
Was this review helpful to you?
or
Excellent
Was this review helpful to you?
or
mojar ekti uponnash kintu banan & sentence-e kichu vul ache
Was this review helpful to you?
or
Amazing!!
Was this review helpful to you?
or
অনেক ইনটেরেস্টিং।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
রহস্যের জগতে আপনাকে স্বাগতম।
Was this review helpful to you?
or
came in Good Condition, delivery was a little late due to pandemic
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার একটি থ্রিলার
Was this review helpful to you?
or
very good
Was this review helpful to you?
or
Ekti oshadharon thriller. Robert Langdon er choturtho adventure eta. Amar kache etai shera legeche.
Was this review helpful to you?
or
Muldhara is a informative book.1971 bangladesh vs Pakistan war and Indians Government participation. Inforno good book, informative, thriller, suspense
Was this review helpful to you?
or
Best of Dan Brown
Was this review helpful to you?
or
ড্যান ব্রাউন মানে কিছু বলার নাই।
Was this review helpful to you?
or
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আমেরিকান প্রফেসর রর্বাট ল্যাংডন জ্ঞান ফিরে নিজেকে আবিষ্কার করে ফ্লোরেন্সের এক হাসপাতালে।তার কি হয়েছে,কীভাবে সে এখানে তার কোনো ধারণাও নেই।স্মৃতিভ্রষ্ট ল্যাংডন চোখ বন্ধ করলে দেখতে পাই অসহায় মানুষের আত্নর্নাদ,মানুষের সারি সারি মৃত দেহ,মাথার উপরে পাখির ন্যায় লম্বা নাক বিশিষ্ট মুখোশ আর এক সাদা চুলের মহিলা,যার কন্ঠ ভেসে আসছে ল্যাংডনের কানে,,খুঁজলেই পাবে। এরপর হঠাৎই সে আবিষ্কার করে তারা জামার পকেটে ভীতিকর একটা জিনিস।সে নিজেও জানে না এটা কী এবং কীভাবে তার কাছে এসেছে।এরপর থেকে সে জড়িয়ে পড়ে নানা ঘটনাচক্রে।কে বা কারা তাকে খুন করার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে।অদ্ভুতভাবে ল্যাংডনকে সহায়তা করার জন্য তার সাথে জড়িয়ে পড়ে একটা মেয়ে।ল্যাংডন কখনও বিবেচনাও করে নি কি এই মেয়ের উদ্দেশ্য আর কেনো বা সে তাকে সাহায্য করছে।জীবন বাঁচাতে তারা খুনীদের হাত থেকে পালিয়ে বেড়ায় আর সেইসাথে তাদের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা আর ল্যাংডনের জামার পকেটে থাকা জিনিসটা রহস্য সমাধান করে যায়।এরপর বের হয়ে আসে একটার পর একটা গোলকধাঁধা। একটা সময় তারা রহস্যের ভেতরে দিয়ে জানতে পারে আসল সত্যকে।বুঝতে পারে মানবজাতির সামনে অপেক্ষা করছে এক বিরাট মারাত্নক হুমকি। একমাত্র ল্যাংডন আর মেয়েটা পুরো সত্যটা আস্তে আস্তে জানতে পারলে তারা রুখে দাঁড়াতে চেষ্টা করে মানবজাতিকে রক্ষা করতে।অবশেষে তারা.... ল্যাংডন কি শেষবেশ পারবে মানবজাতিকে রক্ষা করতে এই বিপর্যয় থেকে নাকি অজান্তে মানবজাতিকেই এই ভয়াবহতা মেনে নিতে হবে। জানতে হলে ৫২৫ পৃষ্ঠার বইটি একবার পড়ে আসুন। অসাধারণ থ্রিলার আর টুইস্টে ভরপুর। পড়তে গিয়ে কখনও নিজের অলসতা আর বিরক্তি নিজের কাছে প্রাধান্য পাবে না। ব্যাক্তিগত মতামতঃ রবার্ট ল্যাংডন সিরিজের এই নিয়ে দ্বিতীয় বই পড়া আমার।আর সাহস করে প্রথম রিভিউ লেখা। এর আগে পড়েছি এই সিরিজের দ্যা ভিঞ্চি কোড। ৫২৫ পেইজের ইনফার্নো বইটি পড়তে প্রথমে একটু ধীর গতিতে আগালেও শেষ দিকে এসে থেমে থাকতে পারে নি।একটার পর একটা পেইজ পড়ার সাথে সাথে নতুন রহস্যের গোলকধাঁধা আর সমাধান খুঁজেছি,যেনো মনে হচ্ছে আমার চোখের সামনেই সমস্ত ঘটনা চলছে। বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টুইস্টের কোনো ঘাটতি পাই নি।তথ্যসমৃদ্ধ,আ্যডভেঞ্চার সংমিশ্রিত অভিযান,ইতিহাস আর শিল্প নিয়ে দ্রুতগতিতে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতও বই ছিল। উত্তেজনা আর আবেগ শেষ অবধি আমাকে ধরে রেখেছিল। বইয়ের সবথেকে ভালো লাগা উক্তি ছিলঃ 'যখন এ বিশ্বের সব জায়গা এমনভাবে মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে যে তারা বুঝে উঠতে পারবে না কোথায় তারা আছে অথবা অন্য কোথাও যেতে পারবে না...তখন এ পৃথিবী নিজেই নিজেকে শুদ্ধ করে নেবে। নামঃ ইনফার্নো লেখকঃ ড্যান ব্রাউন অনুবাদকঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন প্রকাশনীঃ বাতিঘর দামঃ ৪০০৳ পৃষ্ঠাঃ ৫২৫ ব্যাক্তিগত রেটিংঃ ৪.৫/৫
Was this review helpful to you?
or
অনুবাদটি বেশ ভালই হয়েছে বলা যায়। ড্যান ব্রাউনের ল্যাংডন সিরিজের ৪ নম্বর বই হচ্ছে ইনফার্নো। বরাবরের মতই একটা টান টান উত্তেজনা আর রহস্য নিয়ে শুরু হয় বইটি। তবে এই বইটি বাকি তিনটি সিরিজ থেকে একটু ভিন্ন। বইটি হাতে নিলেই কিছুটা আন্দাজ করা যাবে এর মূল বিষয়টি কি। এখানে একটি ব্যাপার জেনে আমি খুবই অবাক হয়েছি আর তা হলো মানুষ ট্রান্সহিউমানিজমের ব্যাপারে যে এত এগিয়ে গেছে তা আসলেও আনন্দের বিষয় কারন এর সাহায্যে কয়েক জেনারেশন পর আমাদের মানবজাতি একদম ভিন্ন একটি প্রজাতিতে উপনীত হতে পারবে। জেনেটিক্যালি তারা আরো বেশী উন্নত, সুস্বাস্থের অধিকারী, স্মার্ট, শক্তিশালী এমনকি আরো বেশী সহমর্মি হয়ে পরবে। কিন্তু এই পদ্ধতিটি বেশ ব্যয়বহুল এতে করে বরাবরের মত ধনীরা হবে আরো বেশী শক্তিশালী হবে আর গরীবরা হবে আরো বেশী দুর্বল। আর আমাদের পুরো পৃথিবীতে জনসংখ্যার যা অবস্থা পরিস্থিতি হয়ত আরো খারাপের দিকে যাওয়ার আশংকাই অনেক বেশী।কিন্তু উন্নত দেশগুলোতে এর প্রচলন বেশ ভাল ভাবেই আছে ধারনা করা হয়। এছাড়াও এই গল্পে বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্থার অবদানও প্রবলভাবে উপলব্ধি করা যায়।
Was this review helpful to you?
or
সোজা কথাই আপনার লোম দাড়ি যাবে। এ্যাকশন , থ্রিলার ভয় সব কিছুই পাবেন। প্রেম রোমান্স এবং বিরহ ও বোনাস। ড্যান ব্যাউন সফল একজন লেখক। তার কাছ থেকে সময়ের সেরা লেখাটাই পাওয়া যায়। দ্যা ভিঞ্চি কোডের মত এটাও জনপ্রিয় এবং প্রিয় একটি উপন্যাস। আর অনুবাদক মোহাম্মাদ নাজিম উদ্দীন নিজেই এই শাখায় পারদর্শী। মাস্টারপিস একটা পেইন্টিং এ মারাত্মক রকমের ভয়াবহ অস্ত্রের রহস্য লুকিয়ে রাখা হয়েছে। সেটাই বের করতে হবে । এক কথাই দারুন একটা উপন্যাস
Was this review helpful to you?
or
রবার্ট ল্যংডন ! শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কি অসাধারণ বিচরণ । 500 পৃষ্টার অধিক বই, কিন্তু আপনি মোটেও বিরক্ত হবেন না , একঘেয়েমী লাগার তো কোন সুযোগই নেই । ইউরোপ থেকে এশিয়া আপনাকে ছুটিয়ে নিয়ে বেরুবে প্রতিটা পাতায় পাতায় । সকলের ভালো লাগবে আশা করি ।
Was this review helpful to you?
or
খুব ভাল একটি বই।দুরদান্ত advencher এবং কোড এ ভরা।
Was this review helpful to you?
or
Name : Inferno (Robert Langdon #4). Author : Dan Brown. Genres : Fiction, Thriller, Suspense, Mystery. !!!সুন্দর কাহিনী!!!
Was this review helpful to you?
or
I am overwhelmed by reading this mind-blowing novel.Here one can find the complexity of symbol and many more.The introduction begins with lost memory.Here Mr. Robert dreamt an elder women .And thus the plot begins .Read this.
Was this review helpful to you?
or
মূলত মধ্যযুগ এর বিখ্যাত লেখক, কবি দান্তে আলেঘিয়েরির মহাকাব্য "দ্যা ডিভাইন কমেডি" থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখক ড্যান ব্রাউন "ইনফার্নো" উপন্যাসটি রচনা করেছিলেন। যেখানে ড্যান ব্রাউন নিজেই বলেন দান্তের ডিভাইন কমেডি যুগ যুগ ধরে লেখক, কবি এমন চিত্রশিল্পী দের অনুপ্রানিত করে আসছে। যাদের মধ্যে উল্লেখ্যোগ্য হলেন ইতালিয়ান চিত্রশিল্পী বত্তেচেল্লী। বত্তেচেল্লি দান্তের ডিভাইন কমেডির শেষ অধ্যায়ে বর্নিত হেল(Hell) এর বর্ননা তার চিত্রের মাধ্যমে ফুটানোর চেষ্টা করেছে। আর উপন্যাস্টি চলতে থাকে এই চিত্রকর্ম ধরেই। যেখানে প্রফেসার ল্যাংডন আবারো তার কোড ব্রেকিং স্কিল আর সিম্বলিজম এর উপর দক্ষতার প্রমান দেন। উপন্যাসটিতে পুরো সময় জুড়ে প্রগেসর এর সাথে থাকবেন ডাক্তার সিয়েনা ব্রুকস। আমার কাছে গল্পটার ফ্লো অনেকটাই ড্যান ব্রাউনের ই দ্যা দা ভিঞ্চি কোডের সাথে সামঞ্জস্য লেগেছে। যেখানে দুই গল্পেই একটা চিত্রকর্ম এর টপিক নিয়ে আর গল্পের শেষের দিকের টুইস্টটাও কিছুটা সামঞ্জস্য লেগেছে। তবে এই উপন্যাস্টিতেও ড্যান ব্রাউন তার গল্পে যে রকম এক্সাইটমেন্ট ধরে রাখতে পারেন তার পূর্ন প্রতিফলন হয়েছে। গল্পটা শুরু যদিও একটি চিত্রকর্ম থেকে কিন্তু এর মেইন থিমটা খুব এবং খুব ই কমন। যেই থিমটা বর্তমাম সময়ে বেশ অনেক মুভি, আর উপন্যাসে দেখা যায়। তাই ড্যান ব্রাউনের অন্য উপন্যাস এর চেয়ে আমি এটাকে কিছুটা পিছিয়ে রাখবো। তবে সব শেষে বলবো যতোই কমন প্লট বা রিপিটেড থিম হোক না কেনো ড্যান ব্রাউন মানেই কিন্তু একটা excitement. তিনি গল্পের মধ্যে আপনাকে নিয়ে নিবেন আর গল্প আপনার ভালো লাগছে নাকি খারাপ লাগছে তা শেষ করার আগে ভাবার সুযোগই পাবেন না। তাই যদি ড্যানব্রাউন এর বড় ফ্যান বা থ্রিলার গল্পখোর হয়ে থাকেন আর এই বইটা না পড়ে থাকেন তবে এটা পড়ে দেখতে পারেন। বিঃদ্রঃ এটা আমার সম্পূর্ন নিজস্ব অভিমত। যদি আমার রিভিউ এ আপনার (যিনি পড়ছেন আর কি) অমত থাকে, তবে বলবো আপনার মতামতকে আমি সম্মান করি। রিভিউটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ (^_^)
Was this review helpful to you?
or
Inferno is one of the greatest thrillers ever written by Dan Brown. The thriller would make the readers amazed till the end. Just like the previous stories in this series, the entire book is about 24 hour long mystery/thriller. Robert Langdon wakes up at a hospital with no recollection of how he got there and as he starts to figure out what's going on, he starts getting deeper into a dangerous event that is about to take place. From the very first page, a chain of events starts to take place at a very fast pace. Loved reading the book, just like Robert Langdon's previous journeys .The thriller never ends though. A lot of twists as the story progresses and that's what keep you turning the pages. It's a fast pace story, as mentioned and the story telling style of Dan Browne is absolutely amazing, as usual. A great read overall.
Was this review helpful to you?
or
"The darkest place in the hell is reserved for those who maintain their neutrality in times of Moral Crisis." -Dante Alighieri (1265-1321) যারা রহস্য রোমাঞ্চ উপন্যাস বেশি পড়ে, তারা যেকোন উপন্যাস পড়া শুরু করার আগে আর কিছু অনুমান করতে পারুক আর না পারুক একটা জিনিস ঠিকই অনুমান করে রাখে, সেটা হচ্ছে নায়কের জয় আর খলনায়কের পরাজয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটাই হয় এবং নিরানব্বই শতাংশ পাঠক-ই এটাই চায়। আর চাইবে না-ই বা কেন? কে চায় যে তাদের উত্তেজণার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা চরিত্রটি হেরে যাক? অবশ্য পাঠকের উত্তেজণার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা চরিত্রটি যদি নায়ক না হয়ে খলনায়ক হয়, সেক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু আলাদা। তার ওপর যদি এমন হয় যে খলনায়ক বৃহৎ স্বার্থের কথা চিন্তা করছে, তাহলে তো কথাই নেই! সেক্ষেত্রে খলনায়কের বিপক্ষে নায়কের কাছে হাজারটা যুক্তি থাকা সত্ত্বেও বেশিরভাগ পাঠক খলনায়কেরই পক্ষ নেবে! এধরনের উপন্যাসে খলনায়ক ফাক-ফোকড় গলে বেরিয়ে যেতে পারলে পাঠক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে, আর খলনায়ক হেরে গেলে ফেলে দীর্ঘঃশ্বাস। এরকমটাই হয়েছে ড্যান ব্রাউনের “Inferno”-এর ক্ষেত্রে। অন্যান্য জায়গায় খলনায়ক মানেই নিষ্ঠুর, নৃশংস এবং সবার ঘৃণার পাত্র। কিন্তু “Inferno”তে পাঠক চাইলেও খলনায়ককে ঘৃণা করতে পারবে না, উল্টো এক ধরনের ভালোবাসা জন্মে যাবে এই চরিত্রটার প্রতি! “ইনফার্নো” সর্বকালের সেরা বিক্রিত বই “দ্য ডা ভিঞ্চি কোড”-এর লেখক ড্যান ব্রাউনের তৃতীয় বই। এখানে দেখা যায়, তদন্তের কাজে ফ্লোরেন্স শহরে এসে একটা দুর্ঘটনায় নিজের স্মৃতিশক্তি হারিয়ে বসেছেন সিম্বলজিস্ট রবার্ট ল্যাংডন। তিনি এই শহরে কীভাবে এসেছেন, কেন এসেছেন, কে বা কারা তাকে এখানে ডেকে এনেছে, গত দুই দিনে তার সঙ্গে কী কী হয়েছে- কিছুই মনে করতে পারছেন না তিনি। তার কেবল এটাই মনে আছে, তিনি একটা রহস্যের সমাধান করতে এখানে এসেছেন। কিন্তু সেই রহস্যটা সমাধান করতে হলে তো আগে জানতে হবে যে রহস্যটা কী নিয়ে! আর সেজন্যে তার হারানো স্মৃতিশক্তি খুঁজে পাওয়াটা জরুরি। কিন্তু সেই হারানো স্মৃতি খুজতে গিয়ে বারবার যেন নিজেকেই হারিয়ে ফেলছেন রবার্ট ল্যাংডন! তার মাথায় দানা বাঁধতে থাকে হাজারটা প্রশ্ন! কে এই সিয়েনা ব্রুকস? কে ঐ সাদা চুলের মহিলা? এদের সঙ্গে ট্রান্সহিউম্যানিস্ট জোবরিস্টের কী সম্পর্ক? সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়া এই জোবরিস্ট আসলে চাইছে টা কী? গোটা মানবজাতিকে হুমকির মুখে ফেলতে, নাকি হুমকির মুখ থেকে বাঁচাতে? তার তৈরি করা জীবাণু অস্ত্র কীসের জীবাণু বহন করছে? প্লেগ? নাকি আরো ভয়ঙ্কর কিছু? আর এই সবকিছুর সঙ্গে দান্তে অলিঘিয়েরির মহাকাব্য “দ্য ডিভাইন কমেডির”-ই বা কী সম্পর্ক? সিম্বলজিস্ট রবার্ট ল্যাংডন কি পারবেন ওপরের সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতে? ওপরের প্রশ্নগুলোর সাথে সাথে এই প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজে পেতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে “ইনফার্নো” বইটি। যারা এখনও টান টান উত্তেজণায় ভরপুর এই বইটি পড়ে নি, তাদেরকে অনুরোধ করছি অতি দ্রুত এই বইটি পড়ে রবার্ট ল্যাংডন আর জোবরিস্ট নামের এই দুই কিংবদন্তী চরিত্রের সাথে পরিচিত হওয়ার জন্য। :)
Was this review helpful to you?
or
Time moto boita pelam tnx rokomari.sei rokom boi.
Was this review helpful to you?
or
ড্যান ব্রাউন মানেই রহস্য, শ্বাসরুদ্ধকর টান টান উত্তেজনা এবং রোমাঞ্চ। ইনফার্নোও তার বিকল্প নয়। ভিঞ্চি কোডের কথা তো সবের মনেই গাঁথা আছে। রবার্ট ল্যাংডনের কথা কি ভোলা যায়? ইনফার্নো হচ্ছে রবার্ট ল্যাংডনের সিরিজেরি চতুর্থতম বই। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালে। এবার নিউয়র্ক টাইমস বুক সেলিং রেকর্ড নাম্বার ওয়ান বই (ফিকশন ক্যাটাগরি)। বই প্রকাশের পর প্রথম ১১ সপ্তাহ টানা বেস্ট সেলিং বই ছিল ইনফার্নো। বোঝাই যাচ্ছে বইটা কেমন হতে পারে। ঠিক ভিঞ্চি কোডের মতই এই বইটির উপর ভিত্তি করে সিনেমাও তৈরী হয়, ২০১৬ সালে রিলিজ হয়। আমার মনে হয় সিনেমা দেখার আগে বইটা পড়ে নেয়া ভাল। সিনেমা এই বইয়ের ছায়া মাত্র। বইটির শুরুই এমন হার্ভাড প্রফেসর রবার্ট ল্যাংডন উঠে দেখেন তিনি হাসপাতালে এবং বিগত কয়েকদিনের কোন স্মৃতি মনে করতে পারছেন না। শেষ মনে আছে তিনি হার্ভাড ক্যাম্পাসে হাঁটছিলেন , কিন্তু একটু পরই বুঝতে পারলেন তিনি এখন ফ্লোরেন্সে আছেন। এর মাঝে আবার একজন নারী আততায়ী ল্যাংডন এর পেছনে লেগেছেন। হাসপাতাল থেকে ল্যাংডন ও তার ডাক্তার সিয়েনা ব্রুকস নিরুপায় হয়ে পালিয়ে যান। এটা একটি অসাধারন রোমাঞ্চকর, থ্রিলিং কাহিনী। বিস্তারিত জানতে হলে অবশ্যই বিটি পড়তে হবে। যারা সিম্বোলিজম ভালবাসেন, রহস্য ভালবাসেন তাদের জন্য ড্যান ব্রাউন বিশাল এক ভরসার জায়গা। আর দেরি না করে দীর্ঘ সময় নিয়ে বসুন, ইনফার্নো পড়া শুরু করে দিন।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই-ইনফার্নো লেখক-ড্যান ব্রাউন অনুবাদ- মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ধরন- থ্রিলার পৃষ্ঠা-৫২৮ মূল্য-৪৬০ প্রকাশনী- বাতিঘর মার্কিন লেখক ড্যান ব্রাউন রচিত রহস্য ও রোমাঞ্চ উপন্যাস হলো "ইনফার্নো"। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালে। ইনফার্নো লেখকের সৃষ্ট চরিত্র রবার্ট ল্যাংডনকে নিয়ে চতুর্থ বই। ইতালীয় বিখ্যাত কবি দান্তের মহাকাব্য 'দ্য ডিভাইন কমেডির একটা অংশ হলো "ইনফার্নো"। যার অর্থ ভূগর্ভস্থ জগত বা নরক। "আমি সেই ছায়া। বিচরণ করি বিষাদময় শহরে। আজন্ম বিষাদের মধ্য দিয়ে আমি ঘুরে বেড়াই সেখানে।" উপন্যাসের কাহিনীর শুরু ফ্লোরেন্স শহরে। সিম্বলজিস্ট রবার্ট ল্যাংডন জ্ঞান ফিরে নিজকে আবিষ্কার করেন হাসপাতালে। নিজের আবাস স্থল আমেরিকা ছেড়ে সে কিভাবে এতোদূর ফ্লোরেন্স শহরের হাসপাতালে পৌছালো সেটা তার অজানা । জ্ঞান ফেরার পরই তার অনুভূত হয় প্রচন্ড মাথা ব্যাথা। জ্ঞান ফিরে পাবার আগে তার সাথে কি হয়েছিলো, কিভাবে সে এখানে এলো এসবের কোনো কিছু সম্পর্কেই তার কোন স্মৃতি নেই। সে মনেই করতে পারলো না কি করে কি হলো! ডাক্তাররা তাকে জানায়, সে সাময়িক এমনেশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে । স্মৃতিভ্রষ্ট ল্যাংডনের মাথায় তখন একটি শব্দই প্রতিধ্বনিত হতে থাকে। তা হলো, ‘খুজলেই পাবে।’ খুজতে গিয়ে তার প্রিয় ঘড়ি মিকি মাউসটাকে পেলো না। তার বদলে জামার পকেটে পাওয়া যায় অদ্ভুত আর ভীতিকর একটি জিনিস। এটা কিভাবে তার কাছে এলো সে সম্পর্কেও সে কিছু জানে না। প্রচন্ড ব্যথায় তিনি বুঝতে পারলেন মাথায় কোন অপারেশান করা হয়েছে। কি হয়েছে, কেন হলো, কিভাবে হলো এর পিছনে কে বা কারা আছে এসব কিছুই যখন গুলিয়ে যাচ্ছে, গোঁদের উপর বিষফোড়ার মতো তার উপর হামলা চালায় আবারো। পরিস্থিতি থেকে পরিত্রানের জন্য ফোন করেন তার এসেম্বিতে। কিন্তু সেখান থেকেও সাহায্যের বদল আসে অন্য কিছু। এ অবস্থায় রবার্টের কাছে সব কিছুই এলোমেলো হয়ে যায়। এরপর ঘটতে থাকে একের পর পর এক আতঙ্কিত ঘটনা। এদিকে রবার্টের সাথে জড়িয়ে পড়ে এক মেয়ে চরিত্র। তারা একত্রে ছুটতে থাকে এ জীবন লড়াই-এ। একটু একটু করে যখন রহস্যের সমাধান করতে থাকে ঠিক তখন জানতে পারে ভয়াবহ এক তথ্য। বুঝতে পারে শুধু মাত্র তারাই নয়, তাদের সাথে পুরো মানবজাতির জীবন মারাত্মক হুমকির মুখে। বর্তমান বিশ্বের প্রধান সমস্যা হলো জনসংখ্যার আধিক্য। পৃথিবীতে সম্পদের তুলনায় জনসংখ্যা বর্ধিত হওয়ায়, সমস্যা তীব্র হচ্ছে। তার থেকে পরিত্রানের লক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ নিচ্ছে। উপন্যাসে এসবের বিবরণও এসেছে। কিন্তু রবার্ট রহস্যের কিনারা করতে গিয়ে জানতে পারেন অদ্ভূত প্রযুক্তির কথা , যার মাধ্যমে মানব সম্প্রদায়ের অর্ধেকেরও বেশি কোন প্রকার রোগ, মৃত্যু ছাড়াই কমে যাবে। পরিস্থিতির এই ভয়াবহতা বুঝতে পরেই রবার্টের দৌড়ঝাপ শুরু হয়। সে দৌড়ঝাপে সম্মুখীন হতে হয় বিভিন্ন প্রতিকুলতার । ড্যানব্রাউন প্রায়ই রবার্ট কে ফেলে দেন প্রতারনার ফাঁদে। এখানেও কি তেমনটাই হবে, নাকি ব্যতিক্রম কিছু! ড্যান ব্রাউন, কাহিনীর প্রয়োজন বা শুধু মাত্র ইতিহাস রচনার জন্য হলেও তার কাহিনীর বুনটে অনেকটা দখলদারী থাকে ইতিহাসের। ইনফার্নোতেও আছে তেমনি। বিখ্যাত দুইটা রাজ্যের নাম সহ ইনফার্নোর ইতিহাসের সাথে যুক্ত হয়েছে মানবসমাজের সংস্কৃতি এবং বাস্তব সমস্যাগুলো। উপন্যাসে মনীষি দান্তের বিখ্যাত কিছু উক্তি উল্ল্যেখিত হয়েছে। "যারা ক্রাইসিসের সময় ভালো এবং মন্দের মধ্যে নিরপেক্ষতা বজায় রাখে, নরকে তাদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে সবচেয়ে খারাপ স্থান"। ড্যান ব্রাউনের ইনফার্নো পাঠককে আরো একবার জড়িয়ে ফেলবে কোড, সিম্বল, ইতিহাস আর ঘূর্ণনের ষড়যন্ত্রের জালে। উপন্যাসে একজন সুন্দরী নারী চরিত্র আছেন রবার্টকে সাহায্য করার জন্য। কাহিনীর মোড়ে মোড়ে টুইস্ট এবং অনেক তথ্যবহুল উপন্যাস। লেখক প্রায় সময়েই পাঠককে বেশ কিছুটা ঘোরের মধ্যে রাখেন । ইনফার্নোও তার ব্যতিক্রম কিছু নয়। ড্যান ব্রাউনের অারেক গুন সব কিছুর বিশদ বিবরন। তবে তার জন্য অনেক কিছুর ইতিহাস জানতে পারা যায়। এক্ষেত্রেও লেখক কোন কৃপনতা করেন নি। গল্পের কাহিনীর প্রথম থেকই বেশ জমজমাট করতে পারলেও শেষ সময় বেশ কিছুটা হতাশ হতে হয়। বিষয় টা এমন, এতগুলোর পৃষ্ঠার বই পড়েও শেষে মনে হয় যেন, লেখক হুট করে লেখা থামিয়ে দিয়েছেন। নাজিম উদ্দীনের অনুবাদ বেশ ভালো মনে হয়েছে। বানান ভুল ছিলো কিছু।তা ছাড়া আর তেমন কোন সমস্যা হয়নি। উপন্যাসের প্রথম পাতা থেকে শুরু করে প্রতি পাতাতেই রহস্য বিরাজমান এর ফলে সম্পূর্ণ উপন্যাস ছিলো টানটান উত্তেজনার। আর লেখক সেটা বেশ সাবলীল ভাবেই শেষ পর্যন্ত টেনে গেছেন। রেটিং-৪.৮/৫ রকমারি লিংক- https://www.rokomari.com/book/67693/ইনফার্নো
Was this review helpful to you?
or
এক বিখ্যাত সিম্বলজিস্ট রবার্ট ল্যাংডন, হঠাৎ একদিন জ্ঞান ফি্রলে নিজেকে আবিষ্কার করেন ফ্লোরেন্সের একটা হসপিটালে ( সাজানো)। কি ঘটেছিল এবং কেন তিনি হসপিটালে এসব এর কিছুই তিনি মনে করতে পারেন না, স্মৃতিভ্রষ্ট ল্যাংডনের মাথায় ঘুরতে থাকে একটি কথা খোঁজো, খুঁজলেই পাবে। বাবা মার দেয়া প্রিয় মিকি মাউস ঘড়িটি খুঁজে পাননা, তার বদলে তার জামার পকেটে মেলে এক অদ্ভুত-ভীতিকর একটি জিনিস। তার কোনো ধারণাই নেই কোত্থেকে এটা এলো, শুধু বুঝতে পারেন তার মাথায় অপারেশান করা হয়েছে, তীব্র ব্যাথা নিয়েই তিনি পুড়া রহস্য কে তাড়া করে বেড়ান। তারপরই ঘটতে থাকে একের এক পর অদ্ভুত ঘটনা। এই সময় তার সাথে জড়িয়ে পড়ে তার ডক্টর, অদ্ভুত এক মেয়ে সিয়েনা। তারা দুজন রহস্যের সমাধান করতে থাকেন আর একটু একটু করে আবার জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বেড়ান অবশেষে আসল সত্যটি জানতে পারেন তারা, যে কোন এক পাগল ব্যাক্তির কারনে পুরো মানবজাতি মারাত্মক এক হুমকির মুখে পড়ে দান্তে বিশেষজ্ঞ হিসেবে যেমন এই বই তে উনি আবির্ভুত হইছেন। লেখক বই এর শুরুতেই এক ব্যাক্তি ( ভিলেন) এর মৃত্যু এনে ঘটনাটাকে আকর্ষিত করেছেন পাঠকদের, যে কিনা দান্তের ইনফার্নো বই, একটা মুখোশ যার ভেতরে লুকানো আছে মূল রহস্য, এর মধ্য দিয়ে ক্লু রেখে গেছেন, মানব জাতি কে উদ্ধার এর জন্য, শুরুতে সিয়েনা ভিলেন এর নায়িকা থাকলেও এবং ল্যাংডন কে মারার চেষ্টা করলেও শেষ এ দেখা যায় যে তাহারা একে অপরের প্রেমে মগ্ন, সব মিলিয়ে খুব ভাল লেগেছে বইটি যদিও খুব ঠাণ্ডা মাথায় বইটি না পড়লে কাহিনি বুঝা টা কঠিন।
Was this review helpful to you?
or
‘ইনফার্নো’ অসাধারন একটি থ্রিলার উপন্যাস । মুল বইটির লেখক ড্যান ব্রাউন । ড্যান ব্রাউন সম্বন্ধে বলার কিছু নেই । বিশ্বের অন্যতম থ্রিলার লেখক ড্যান ব্রাউন । তিনি তার লেখা দ্য দা ভিঞ্চি কোড এর জন্য বিখ্যাত যা বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম বেস্ট সেলার বই । তিনি আমেরিকাতে জন্মগ্রহন করেন । তিনি আমহাস্ট থেকে গ্র্যাজুয়েশন করে ইংরেজী শিক্ষক হিসেবে কিছুদিন চাকরি করেছেন । । বর্তমানে তিনি আর্ট হিস্টোরিয়ান এবং স্ত্রী কে নিয়ে আমেরিকার নিউ ইংল্যান্ডে বসবাস করছেনবইটির অনুবাদক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন । তার জন্ম ঢাকায় । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর চারুকলা ইন্সটিটিউট ও পরে গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াশোনা করেছেন । তিনি বহু জনপ্রিয় বিদেশী উপন্যাস অনুবাদ করে প্রকাশ করার পাশাপাশি কিছু মৌলিক বই ও লিখেছেন । বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালের জুন মাসে । বইটি বাতিঘর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয় । বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ডিলান । বইটি তে রবার্ট ল্যাংডন আবার এসেছেন দ্য দা ভিঞ্চি কোড বইটি থেকে । হার্ভার্ড প্রফেসর রবার্ট ল্যাংডন জ্ঞান ফিরে পেয়ে নিজেকে বাড়ি থেকে হাজার মাইল দূরে ইতালির ফ্লোরেন্সে আবিষ্কার করে। কীভাবে সে পৌঁছুল ওখানে, কোনো ধারণাই নেই তার; ডাক্তাররা তাকে জানায় সাময়িক এমনেশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে সে। গত কয়েকদিনের কোনো ঘটনাই তার মনে নেই। বিভ্রান্তি চরমে পৌঁছে যখন ল্যাংডন দেখতে পায়, হাসপাতালে তাকে মারতে গুলি চালায় এক নারী আততায়ী। হাসপাতাল থেকে একটি মেয়ে ডাক্তার এর সাহাজ্যে সে বের হয় । মেয়ে ডাক্তার টি কে ? কে কি চায় ? সবকিছু প্রফেসর ল্যাংডন এর কাছে অস্বাভাবিক লাগে । কাহিনী এভাবেই চলতে থাকে । অসাধারন থ্রিলার এই উপন্যাস টি সকলের কাছেই ভালো লাগবে । বইটির জনপ্রিয়তার জন্য পরবর্তীতে এটি নিয়ে মুভিও বানানো হয়েছে ।
Was this review helpful to you?
or
তথ্যবহুল রোমাঞ্চ উপন্যাস। ড্যান ব্রাউন এমন একজন লেখক যিনি কিনা পাঠককে বোকা বানিয়ে ঘোরের মধ্যে রাখতে পছন্দ করেন। কিন্তু হ্যাঁ তাকে ভুল ভাববেন না!!! তিনি এটা আনন্দ দেবার জন্যই করে থাকেন। অনুবাদ ভাল হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ এক কথায় ।
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর বই, যাদের কেনার ইচ্ছা আছে কিনে ফেলেন আর সাথে সাথে পরে ফেলেন কারন এই বছর এই বইএর উপরে একটা মুভি বের হচ্ছে,
Was this review helpful to you?
or
Great :) .Different test but meets the need.
Was this review helpful to you?
or
ড্যান ব্রাউনের বই নিয়ে মন্তব্য করার ভাষা নেই!! রবার্ট ল্যাংডন আমার অতি প্রিয় একটি চরিত্র।নাজিম উদ্দিন কে ধন্যবাদ এই বইটি অনুবাদ করে আমাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
#বুক_রিভিউ বই: ইনফার্নো লেখক: ড্যান ব্রাউন অনুবাদ: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৫২৭ প্রকাশক: বাতিঘর প্রকাশনী প্রথম সংস্করণ: জুন,২০১৩ প্রচ্ছদ: ডিলান "নরকের সবচাইতে অন্ধকারাচ্ছন্ন যায়গাটি তাদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে যারা ভালো আর মন্দের সংঘাতের সময় নিজেদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখে"। ইতালিয় বিখ্যাত কবি দান্তে অলিঘেয়েরির মহাকাব্য দ্যা ডিভাইন কমেডির একটা অংশ হচ্ছে, "ইনফার্নো"।ইনফার্নো অর্থ নরক অথবা ভূগর্ভস্থ জগত।এই ইনফার্নোকে ঘিরে লেখক ড্যান ব্রাউন সাজিয়েছেন তার উপন্যাস। বিখ্যাত সিম্বলজিস্ট হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর রবার্ট ল্যাংডন চোখ মেলে নিজেকে আবিষ্কার করে ইতালির ফ্লোরেন্স শহরের একটি হাসপাতালে।তার কি হয়েছে,হাসপাতালে কে এনেছে কিছুই তার মনে পরছে না।মাথার মধ্যে কেবল তার একটি কথাই ঘুরপাক খাচ্ছে।দান্তের একটি বিখ্যাত উক্তি, "খোঁজো তাহলেই পাবে"।মাথার মধ্যে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করে এবং বারবার তার হেলুসিনেশন হচ্ছে।অসম্ভব রূপবতী একজন সাদা চুলের মহিলা যিনি একটি রক্তে রঞ্জিত নদীরে তীরে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।তাদের আশেপাশে অসংখ্য লাশ মাথা নিচু করে মাটি চাপা দেয়া আছে।সাদা চুলের মহিলাটি তাকে বলছে,খুঁজুন তাহলেই পাবেন।এটুকু দেখেই তার ভ্রম কেটে যায়।তাকে কি খুঁজতে বলা হয়েছে কেনই বা খুঁজতে বলা হয়েছে কিছুই সে আঁচ করতে পারেনা। হাসপাতালে তার সাথে পরিচিয় হতে একটি মেয়ে ডাক্তারের সাথে,ডা.সিয়েনা ব্রুকস।কিছুই বুঝে ওঠার আগে একে একে হামলা চলতে থাকে ল্যাংডনের উপর,সবকিছু থেকে ডা.সিয়েনা ব্রুকস তাকে নিয়ে পালিয়ে যায় একটা নিরাপদ আশ্রয়ে।এরপর রবার্ট ল্যাংডন তার জ্যাকেটের পকেটে বায়োহ্যাজার্ড সাইন সম্বলিত একটি সিলিন্ডার খুঁজে পায়।তা দেখেই আতকে ওঠে তারা,মনে করে এর মধ্যে হয়তোবা বিষাক্ত কোনো জীবানু লুকানো আছে।অবশেষে সব সংকোচ দূর করে রবার্ট সেই সিলিন্ডারটি খুলে ফেলে এবং তার ফেতরে তারা যা দেখতে পায় তাতে তাদের আক্কেলগুড়ুম হয়ে যায়।সিলিন্ডারের ভেতর পেন্সিল আকৃতির ছোট্ট একটি প্রোজেক্টর পাওয়া যায়।প্রোজেক্টরের ভেতরে তারা খুঁজে পায় বত্তিচেল্লির আঁকা, "ম্যাপ অফ হেল"।দান্তের ইনফার্নো এর আদলে বত্তিচেল্লি চেই চিত্র অঙ্কন করেছিল সেটি।সেই ছবির উপর সে কিছু সিম্বল ওয়ার্ড খুঁজে পায়।তার উপর ভিত্তি করে রবার্ট ল্যাংডন এবং ড.সিয়েনা ব্রুকস সমাধানের খোঁজে চষে বেড়ায় পুরো ফ্লোরেন্স এবং ভেনিস শহর।সকল ঐতিহাসিক ভবন,স্থান জুড়ে তাদের বিচরন শুরু হয়। রবার্ট ল্যাংডনের পেছনে লাগে HWO (বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা) এবং গুপ্তগোষ্ঠী কনসোর্টিয়াম।জোবরিস্ট বরট্রান্ড নামে কনসোর্টিয়ামের একজন ক্লায়েন্ট ছিল।জোবরিস্ট বরট্রান্ড এমন এক ধরনের ভাইরাস তৈরি করতে চেয়েছিলেন যেটা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে গোটা বিশ্বের মানব জাতিকে তিন ভাগের এক ভাগে নামিয়ে আনবে।ভাইরাসটি তিনি তৈরি করেন এবং লুকিতে রাখেন।এরপর জোবরিস্ট সুইসাইড করেন।সুইসাইড করার আগে ভাইরাসটি তিন কোথায় লুকিয়ে রেখেছেন সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ধারনা না দিলেও দান্তে আলেঘিয়েরির মৃত্যু মুখশে সাংকেতিক ভাষায় কিছু তথ্য রেখে যান।আর জোবরিস্টের পুরো প্ল্যান সাকসেসফুল করবার জন্য কনসোর্টিয়াম তাকে সাহাজ্য করে।তবে কনসোর্টিয়াম কখনো ধারনাও কররে পারেনি যে জোবরিস্ট এমন কিছু করতে পারে,কনসোর্টিয়াম যখন জোবোরিস্টের প্ল্যান জানতে পারে জৈব অস্ত্রের মাধ্যমে বায়োটেরোরিসম চালাচ্ছে এবং সেই ভাইরাস ছড়াতে চলেছে পুরো পৃথিবীতে,তখন তারা বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার সাথে হাত মেলায়। রবার্ট ল্যাংডনকে মূলত বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা তাদের হয়ে এই কাজ করার জন্য কন্টাক্ট করেছিল।তবে রবার্ট ল্যাংডনের মাত্র কয়েকদিনের স্মৃতিভ্রষ্ট হবার কারনে সে কিছুই মনে করতে পারেনা।পরবর্তীতে সে একটু একটু করে স্মৃতি ফিরে পেতে থাকে এবং ঘুরে বেড়ায় ইতালিস সমস্ত যাদুঘর,দির্শনীয় স্থান,এবং ঐতিহাসিক সকল স্থাপনায়।তার সাথে থাকে বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা এবং কনসোর্টিয়াম।প্রোজেক্টরের ছবিতে আঁকা ম্যাপ অফ হেল এবং দান্তের মৃত্যু মুখসে দেয়া সংকেত থেকে একটু একটু করে মর্মোদ্ধার করতে থাকে তারা। শেষ পর্যন্ত কি হয়,তারা কি এই মরনঘাতি ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে পারে পুরো দুনিয়াকে? জানতে হলে পরে ফেলুন এই বইটি।আমি মনে করি সব শ্রেণীর পাঠকদের এই বইটি পড়া উচিৎ।এটি একটি তথ্যবহুল এবং রহস্য রোমাঞ্চকর উপন্যাস।বর্তমান পৃথিবীর যেই অবস্থা এর উপর ভিত্তি করে এই বইটি হয়তোবা আগামি দিনের পৃথিবীর নিদর্শন স্বরূপ।
Was this review helpful to you?
or
GOOD
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার বই।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা নাম: ইনফার্নো লেখক: ড্যান ব্রাউন অনুবাদক: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রকাশনা: বাতিঘর প্রকাশনী মূল্য: ৪৪০৳ ড্যান ব্রাউন, তিনি কি কাহিনীর প্রয়োজনে ইতিহাস কে সংযোজন করেন, না ইতিহাস লিখবেন বলেই কাহিনী রচনা করেন, তা প্রায়সময় বুঝা যায় না। ইনফার্নোতেও ঘটেনি এর ব্যতিক্রম। ইনফার্নোর পাতায় পাতায় ইতিহাস, লুকায়িত কোড ফুটে উঠায় 'New York Times একে উল্লেখ করে jampacked with tricks' হিসাবে, যার শিরোনাম ছিল On a Scavenger Hunt to Save Most Humans ‘Inferno' । এই উপন্যাসে এসেছে বিখ্যাত দুইটা রাজ্যের নাম। ইসলামিক বিশ্বে খ্রিষ্ঠান কোড' বাক্যের মাধ্যমে দুইটা প্রাচীন ধর্মকে কিছুটা একতাবদ্ধ করেছেন ড্যান ব্রাউন। ড্যান ব্রাউনের দ্য ভিঞ্চি কোড বা লস্ট সিম্বল যেভাবে চরিত্র ল্যাংডন আর ইতিহাসের সাথে সম্পৃক্ত, সেখানে তার ইনফার্নো ইতিহাসের সাথে সাথে সংস্কৃতি আর মানবসমাজের মুল যে বাস্তব সমস্যা সে সমস্যার সাথে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। আর এখানেই এ উপন্যাসের মুল ব্যতিক্রমধর্মিতা পরিলক্ষিত হয়, এখানেই উপন্যাসের মুল টুইস্ট। ড্যান ব্রাউন এ উপন্যাস লিখার সময় যে ব্যাপকভাবে সিরিয়াস ছিলেন তা দেখা যায় দান্তের(একজন প্রাচীন মনীষি, তিনিও এ উপন্যাসের সাথে পরোক্ষভাবে সংযুক্ত) বিখ্যাত উক্তিকে উল্লেখ করার মাধ্যমে, "যারা ক্রাইসিসের সময় ভালো এবং মন্দের মধ্যে নিরপেক্ষতা বজায় রাখে, নরকে তাদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে সবচেয়ে খারাপ স্থান" পুরো উপন্যাসই এ ধরনের অজস্র উক্তি দিয়ে সমৃদ্ধ। সারসংক্ষেপ: এক রাতে প্রধান চরিত্র ল্যাংডন ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখে সে ফ্লোরেন্সের হাসপাতালে। কিন্তু কিভাবেই বা নিজ দেশ আমেরিকা থেকে তিনি এসে পৌছালেন ফ্লোরেন্সে? মাথায় কেন তার অসহ্য ব্যাথা? বিগত দুইদিনের স্মৃতি কেন তিনি মনে করতে পারছেন না? মাথার মধ্যে কে তাকে বলছে,"খুজলেই পাবেন"। এই অবস্থার মধ্যেই হাসপাতালে তার উপর হামলা হয়। এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে ল্যাংডন ফোন করল তার এম্বাসিকে। কিন্তু তারাও তাকে মারার জন্য খুনীকে ই পাঠায়। এ অবস্থায় ল্যাঙডনের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। কালক্রমে সে জানতে পারে, প্লেগ ভাইরাসের ন্যায় এমন একটি ভাইরাস পৃথিবীতে তৈরী হতে চলেছে যা পৃথিবীর সাত বিলিয়ন মানুষ থেকে ৪ বিলিয়ন মানুষে নিয়ে আসবে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলব্ধি করে ল্যাঙডন একে থামাতে চায়। কিন্তু ল্যাংডন কী আদৌ পারবে একজন জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে? যে ইঞ্জিনিয়ার একবছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ল্যাঙডনকে যেভাবে প্রত্যেক উপন্যাসে কিছুটা হলেও প্রতারিত হতে হয়, এখানেও কী তাকে সেভাবে কিছুটা প্রতারিত হতে হবে??? নাকি ল্যাংডন পুরো উপন্যাস জুড়েই প্রতারণার স্বীকার হবেন??? এসব কিছুর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে এক রাতের কাহিনী সংবলিত টান টান উত্তেজনাকর এই বই তে। ইনফার্নোর বিরাট কাটতি সত্ত্বেও এটা নিয়ে আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। নিউ ইওর্ক টাইমস, ডেইলী নিউজ এর পক্ষে লিখলেও বিভিন্ন সমালোচকরা এর তীব্র সমালোচনা করতে পিছপা হননি। ইণ্ডিপেন্ডেন্ট এর ভাষায় Brown's fusion of gothic hyperbole with a pedant's tour-guide deliberately restrains the imagination through its awkward awfulness." আবার দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা একে 'ষড়যন্ত্রমুলক জগাখিচুড়ি' উল্লেখ করে। তার আরো যুক্ত করে,"Writing for The Guardian, Peter Conrad dismissed the book's content as "conspiratorial farrago" and further elaborated: "Inferno is also dreadful, abounding in malapropisms and solecisms, leaden restatements of the obvious and naive disinformation about the reality outside the bat-thronged belfry that is Brown's head"। তবে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এর মতে; "ঘটনা যাই হোক, ব্রাউনের লেখা পাঠককে সুপার গ্লুয়ের মত আটকে রাখে। যার ফলে পাঠকের কখনোই এক ঘেয়েমিতা তৈরী হয় না"। কিন্তু সত্যি কী এই উপন্যাস জুড়ে রয়েছে ছোট্ট সমস্যাকে বড় করে দেখার জন্য অতিশয় উক্তি?? নাকি ওয়াশিংটন পোষ্টের -"এবার কোনো গুপ্ত ইতিহাস নয়, নিকট ভবিষ্যতে হয়ত অপেক্ষা করছে গা শিউরে উঠার মত দুর্যোগ, যার ব্যাপারে আমরা বালিতে মুখ গুজে রয়েছি" এই আশঙ্কাই সত্যি? পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ ইনফার্নোকে ব্যাপকভাবে ভাবলে হুমায়ুনের উপন্যাসের সাথে সাদৃশ্য পাওয়া যায়। হুমায়ুনের অসংখ্য উপন্যাসে যেমন শেষ থাকে না, পাঠক কেই কল্পনা করে নিতে হয়, কী ঘটতে পারে এর পরে, একইভাবে ইনফার্নো পড়ার পরেও মনে হয়, শেষ হয়েও হইল না শেষ। এই উপন্যাস পড়ার পরে পাঠক চাইলে যেভাবেই ইচ্ছে সে ফিনিশিং লাইন তৈরী করতে পারবে। রোমাঞ্চকর এই ক্লাইম্যাক্স নির্ভর উপন্যাস আমার হিসাবে ৪.৫/৫।
Was this review helpful to you?
or
বছরের সেরা বইয়ের এওয়ার্ড পাওয়া 'ইনফার্নো' অবশ্যই আপনাকে নিয়ে যাবে রবার্ট ল্যাংডনের সেই চিরচেনা রহস্য ও কোড ঘেরা দুনিয়ায়। অনুবাদক নাজিম উদ্দিনের আরেকটি অতি চমৎকার একটি অনুবাদ। ড্যান ব্রাউনের থেকে সবথেকে সেরাটাই আমরা আশা করি এবং সে প্রতিবারই তার সেরাটা দিয়েই আমাদের চমক দেখায়।
Was this review helpful to you?
or
'ইনফার্নো' বইটি ড্যান ব্রাউনের বিখ্যাত সৃষ্টি 'রবার্ট ল্যাংডন' সিরিজের ৪র্থ বই। সিরিজের সবগুলো বইয়েই টুইস্ট রয়েছে এবং এটিও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে আমার মতে সিরিজের অন্যান্য বইগুলোর তুলনায় এই বইটি টুইস্ট উপলব্ধি করে যা মজা পেয়েছি তার চেয়ে এর গল্পটা পড়ে বেশি ভালো লেগেছে। সিরিজের অন্যান্য বইগুলোতে খলনায়ক থাকলেও আমার কেমন যেন মনে হলো এই গল্পে খলনায়ক নেই। অত্যন্ত সুন্দর একটি গল্প যেখানে কেউই দোষী নয়। তবে বইটি পড়ার আগে আমি বলবো আপনি একবার দান্তে অলিঘিয়েরির বিখ্যাত বই 'The Divine Comedy' বইটা পড়তে বা বইটি সম্পর্কে ধারণা রাখতে।
Was this review helpful to you?
or
May be it is the best book of Dan Brown. Amazing
Was this review helpful to you?
or
Dan brown proved once again he is the best thriller writer!
Was this review helpful to you?
or
This is so far the best book from Dan Brown. The concept is so amazing that i cannot help reading it again and again. :) If you have read the previous books of Dan Brown, i would say, buy it..... B-)
Was this review helpful to you?
or
হার্ভার্ড প্রফেসর রবার্ট ল্যাংডন জ্ঞান ফিরে পেয়ে নিজেকে বাড়ি থেকে হাজার মাইল দূরে ইতালির ফ্লোরেন্সে আবিষ্কার করে। কীভাবে সে পৌঁছুল ওখানে, কোনো ধারণাই নেই তার; ডাক্তাররা তাকে জানায় সাময়িক এমনেশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে সে। গত কয়েকদিনের কোনো ঘটনাই তার মনে নেই। বিভ্রান্তি চরমে পৌঁছে যখন ল্যাংডন দেখতে পায়, হাসপাতালে তাকে মারতে গুলি চালায় এক নারী আততায়ী। কর্মরত ডাক্তার সিয়েনা ব্রুকসের সাহায্যে প্রথম বিপদটা কাটিয়ে উঠতে পারলেও তার জ্যাকেটে পাওয়া বায়োহ্যাজার্ডের চিহ্নযুক্ত অদ্ভুত সিলিন্ডার প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে দাঁড়ায় তার সামনে, এর মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসে এক প্রজেক্টর যাতে দেখা মেলে বিখ্যাত চিত্রশিল্পী বত্তিচেল্লির চিত্রকর্ম। আরো কিছু ঘটনার সম্মুখীন হয়ে ল্যাংডন বুঝতে পারে, সমস্ত রহস্যের চাবিকাঠি আছে ইতালির মধ্যযুগীয় কবি দান্তে অলিঘিয়েরির কাছে। সিয়েনাকে নিয়ে ফ্লোরেন্স জুড়ে ছুটে বেড়ায় রহস্যের কিনারা করার আশায়। কিন্তু তাদের পিছনে পড়ে আছে এক আততায়ী এবং অজানা এক সংস্থা। ধীরে ধীরে জানতে পারে সমস্ত ঘটনার পেছনে হাত আছে উন্মাদ কিন্তু মেধাবী বিজ্ঞানী বার্ট্রান্ড জোবরিস্ট, যিনি পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করতে অভিনব এবং নৃশংস পথ বাতলে দিয়েছিলেন। ল্যাংডন বুঝতে পারে, মানবজাতির অস্তিত্ব হুমকির মুখে আছে, যদি না আত্মহত্যার পূর্বে জোবরিস্টের রেখে যাওয়া ভিডিও এবং ক্লু থেকে আসল রহস্য উদ্ধার করতে পারে। শুরু হয় ধাওয়া,পাল্টা-ধাওয়ার এক ইঁদুর দৌড়। একে একে সেই দৌড়ে যুক্ত হয় রাঘব বোয়ালেরা। ইউরোপে-এশিয়ার তিন শহর জুড়ে ল্যাংডনের সেই রোমাঞ্চকর যাত্রার বর্ণনা মিলবে ড্যান ব্রাউনের সর্বশেষ উপন্যাস ‘ইনফার্নো’তে। ড্যান ব্রাউনের সৃষ্ট ‘রবার্ট ল্যাংডন সিরিজ’ এর চতুর্থ থ্রিলার ‘ইনফার্নো’। ২০১৩ সালে বিশ্বব্যাপী প্রকাশিত এই উপন্যাসটির বাংলায় অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন; প্রকাশিত হয় একই বছরেই। অনুমান করতে পারি, প্রতিযোগীদের আগেই অনুবাদটি বাজারে আনতে গিয়ে অনুবাদককে বেশ তাড়াহুড়োয় কাজ করতে হয়েছে যার প্রমাণ বইয়ের অনেক জায়গাতেই মেলে। কিন্তু এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ড্যান ব্রাউনের বইয়ের অনুবাদে মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন যে পারদর্শিতা অর্জন করেছেন তার মান দেশের অন্যান্য থ্রিলার অনুবাদকের চেয়ে বেশ উপরে। বাংলা অনুবাদে অনেকগুলো মুদ্রণ-প্রমাদ চোখে পড়ে, যা আমাদের প্রকাশনীগুলোর সম্পাদনার পেছনে নজর না দেয়ার প্রবণতাকেই স্পষ্ট করে তোলে। ড্যান ব্রাউনের আগমন থ্রিলারের জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এক যুগ আগেই। তিনি ধর্ম, সাহিত্য, আর্ট, স্থাপত্য, গুপ্ত সংঘ, আধুনিক প্রযুক্তি, সিম্বলজি প্রভৃতি মিশেলে এক ভিন্ন জনরার থ্রিলার প্রবর্তন করেছেন যা পাঠক আগে কখনো পড়েন নি। তাঁর বইয়ের বিপুল সাফল্যের পেছনে কয়েকটি ফ্যাক্টর কাজ করেছে। প্রথমত, ড্যান ব্রাউনের সেই অমূল্য মেধা এবং লেখনী শক্তি আছে যা দিয়ে তিনি পাঠককে তাঁর বইয়ের সাথে সুপার গ্লুয়ের মতো আটকে রাখতে পারেন। আপনার মনে হতে পারে, বইয়ের গল্পটা অবিশ্বাস্য, প্লটটা অদ্ভুত, কিন্তু আপনি একবার তাঁর থ্রিলার পড়া শুরু করার পর মাঝপথে নামিয়ে রাখতে পারবেন না; শেষটা জানার জন্য আপনি পড়ে যেতে একপ্রকার বাধ্য। ‘ইনফার্নো’ পড়ার সময় কিছু কিছু জায়গায় আমার মনে হয়েছে, লেখক অতিরিক্ত ড্রামা এবং অবিশ্বাস্য পলায়নের বর্ণনা দিচ্ছেন। কিন্তু পড়া থামিয়ে দেয়ার কোনো সুযোগই পাই নি আমি; কারণ কাহিনী এগিয়ে গেছে রকেটের গতিতে, আর রকেটে সওয়ার হওয়ার পর তা থেকে নামার উপায় নেই যদি না রকেট নিজে থেকেই থেমে যায়। দ্বিতীয়ত, ড্যান ব্রাউন তাঁর থ্রিলারের স্থানগুলোর বর্ণনা এমনভাবে দেন যে, অভিভূত হয়ে যেতে হয়। তাঁর বর্ণনা পড়ে পাঠকের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায় যে তিনি প্লট তৈরি করার জন্য অসম্ভব গবেষণা এবং পরিশ্রম করেছেন। ব্রাউন সাধারণত তাঁর পাত্র-পাত্রীকে ঐতিহাসিক স্থানগুলো পাঠিয়ে দেন। ওইসব ঐতিহাসিক স্থানের পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা এমনভাবে চোখে সামনে তুলে ধরেন যে পাঠকের মনে হয়-সেও ওই অবিশ্বাস্য যাত্রার একটি অংশ। ‘ইনফার্নো’তে ইতালির দু’টি এবং ইউরোপ-এশিয়ার সীমান্তে পড়া আরেকটি শহরে ল্যাংডন ও তার সহযাত্রীদের ইঁদুর দৌড়ে বারবারই সামনে চলে এসেছে নানা স্থাপত্য এবং শিল্পকলার নিদর্শন। আর ব্রাউন তাঁর দারুণ বর্ণনায় পাঠককে হতাশ করেন নি। তৃতীয়ত, ব্রাউন তাঁর বইয়ের মাধ্যমে বিতর্ক উস্কে দিতে ভালোবাসেন। এটি তাঁর থ্রিলারগুলোর অর্থনৈতিকভাবে সফল হবার পেছনে একটি বড়ো কারণও বটে। রবার্ট ল্যাংডন সিরিজের প্রথম বই- ‘এঞ্জেলস এন্ড ডেমনস’এর মাধ্যমে ভ্যাটিকানকে চটিয়েছেন, ‘দ্য ডা ভিঞ্চি কোড’ দিয়ে পুরো খ্রিস্টান সম্প্রদায়কেই উত্তপ্ত করে তুলেছিলেন, ‘দ্য লস্ট সিম্বল’ এর মাধ্যমে বড়ো বিতর্কে সূত্রপাত না হলেও আমেরিকার প্রভাবশালী মহলে প্রাচীন গুপ্তসংঘের উপস্থিতি মৃদু গুঞ্জন তুলেছিল। নতুন উপন্যাস ‘ইনফার্নো’তে বিতর্কের জায়গাটা অবশ্য একেবারেই ভিন্ন দিকে। বিজ্ঞানের নৈতিকতার ক্ষেত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ব্রাউন। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং নির্মম সিদ্ধান্ত গ্রহণের পেছনে নৈতিকতার ক্ষেত্রটি কতোটুকু প্রসারিত তা নিয়ে ইতোমধ্যেই পুরো পৃথিবীর বিজ্ঞানের জগতে মৃদু আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এথিকসের ক্লাসে জমজমাট বিতর্কের সূচনা করে দিতে পারে ‘ইনফার্নো’। ‘ইনফার্নো’ শুরু থেকে রহস্যের চাদরে মোড়া, যখন আমরা দেখতে পারি গল্পের নায়ক বিগত কিছুদিনের স্মৃতিশক্তি হারিয়ে বসেছে এবং তার পেছনে লেগেছে এক আততায়ী। ব্রাউন তাঁর অন্য উপন্যাস-গুলোয় শুরু থেকেই রহস্যের সূচনা করেন না, ধীরে ধীরে পুরো রহস্য সামনে নিয়ে আসেন। কিন্তু ‘ইনফার্নো’য় পাঠক যেন শুরু থেকে এক রোলার কোস্টার রাইডের মজা পেতে থাকেন। তবে কিছু দুর্বলতা এবং কিছু অদ্ভুত দিক এই থ্রিলারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। যেমন- উপন্যাসের শুরু থেকেই মনে হয়েছে ব্রাউন তাঁর উপন্যাসের হলিউডি রূপান্তরের কথা মাথায় রেখেই উপন্যাস লিখতে বসেছেন। একটি টিপিক্যাল হলিউডি চলচ্চিত্রের সাফল্যের জন্য যা যা চাই, তার সবই ভরে দেয়া হয়েছে ‘ইনফার্নো’তে। চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এতে দারুণ খুশি হবে- তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রকৃত থ্রিলার পাঠকেরা এতে মনক্ষুণ্ন হয়েছেন। ইউরোপ-এশিয়া জুড়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের মনোমুগ্ধকর এবং ঐতিহাসিক স্থানগুলোয় ছুটে বেড়িয়েছে রবার্ট ল্যাংডন। সিনেমার পর্দায় লোকেশনগুলো বেশ ভালোই দেখাবে- এমন চিন্তা থেকেই কি ব্রাউন এই স্থানগুলোকে বেছে নিয়েছেন? এ প্রশ্নের উত্তর শুধু তিনিই দিতে পারবেন। একটি ক্ষেত্রে ড্যান ব্রাউন নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন এই উপন্যাসে। তাঁর বাকি থ্রিলার-গুলোয় মানবসভ্যতার যে ক্রাইসিস দেখানো হতো, তা অনেক ক্ষেত্রেই ছিল অবাস্তব; অনেক সমালোচকদের মতে হাস্যকর। কিন্তু এই উপন্যাসে এমন এক সমস্যার সাথে লেখককে যুঝতে হয়েছে যা আমাদের চোখের সামনেই বড়ো মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৃথিবীর ক্রম-বর্ধনশীল জনসংখ্যার হ্রাসের জন্য যে বৈপ্লবিক কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা জরুরী হয়ে পড়েছে- তা এই উপন্যাসের মধ্যে জানাতে চেয়েছেন ড্যান ব্রাউন। ড্যান ব্রাউনের থ্রিলার নিয়ে সমালোচকদের মধ্যে নানা ধরনের বিতর্ক আছে; কোনো কোনটি সঠিকও বটে। তবে পৃথিবীর তাবৎ থ্রিলার-প্রেমীকে নতুন ধরনের থ্রিলারের নেশায় ডুবিয়ে দেয়া ব্রাউন সম্ভবত সেই সমালোচনায় খুব একটা ভাবিত নন। তিনি তাঁর মতো করেই একের পর এক লিখে যাচ্ছেন থ্রিলার এবং মানুষের কাছে তা দারুণভাবে সমাদৃত হচ্ছে। একজন থ্রিলার লেখক তাঁর লেখা থেকে এর চেয়ে বেশি আর কী চায়!
Was this review helpful to you?
or
যথারীতি প্রাঞ্জল অনুবাদ নাজিম উদ্দিন সাহেবের। ড্যা ব্রাউন এবারও পুরো গল্পটি মাতিয়ে রেখেছেন। তিনি তার প্রচলিত গদবাধা থিউরি থেকে এবারও বের হতে পেরেছেন বলে মনে করিনা। আস্তিক নাস্তিকের মন কষাকষি থাকবেই। কিন্তু প্রতি বইতে এসব দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে থ্রিলারটি শেষ পর্যন্ত ধরে রাখবে পাঠককে।
Was this review helpful to you?
or
ইনফার্নোর মাধ্যমে ড্যান ব্রাউন তার অসাধারণত্বকে ছাড়িয়ে গেছেন নিজেই।বিরাট কলেবরের বই,৫২৬ পৃষ্ঠা,পাঠকের মন চাইবে এক বসায় পড়ে শেষ করতে।মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের ঝরঝরে অনুবাদে মনেই হয়না এটা সদ্যই প্রকাশিত কোন ইংরেজী সাহিত্যের বঙ্গানুবাদ পড়ছি।বইটার রেটিং করতে গেলে পাঠক একটাই সমস্যায় পড়বেন,প্রচূর মুদ্রণ প্রমাদ।পাঠকের হাতে তাড়াতাড়ি বই পৌঁছাতে গিয়ে এটা ঘটেছে বুঝাই যায়।