User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
পড়তে ভালোই লেগেছে উপন্যাসটা। তবে স্বাভাবিকভাবেই ভাষাটা মোটামুটি কঠিন?
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ ?
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ কপালকুণ্ডলা লেখকঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রকাশনীঃ রিয়া প্রকাশনী মূল্যঃ ৯১ টাকা মাত্র “কপালকুণ্ডলা” উপন্যাসটি বঙ্কিমচন্দ্রের কিছুটা রাজনৈতিক উপন্যাস, সেই সাথে এটি অন্যতম রোমান্টিক উপন্যাস। এই উপন্যাস লেখা হয় ১৮৬৬ সালে একই বছরে এটি প্রকাশিত হয়। উপন্যাসের অন্যতম প্রধান নারী চরিত্র কপালকুণ্ডলা।দর্শনেই প্রেমে পড়ে যায় নবকুমারের।লেখকের সিদ্ধহাত ধরে এগোতে থাকে ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনি। গল্পে আছে সাসপেন্স। মোড় ঘোরানো টুইস্ট। আর শেষটা বিশেষণে অবিশেষায়িত ধরনের।রোমান্স, প্রেম আর অ্যাডভেঞ্চারের এক অদ্ভুত মিশেল। যারা আমার মতো সাধু ভাষায় রসের পূর্ণস্বাদ নিতে চান , তারা হতে তুলে নিতে পারেন বইটি। আশা করা যায়, ভালো লাগবে। একটু কাহিনির আধিক্য থাকলেও একটা অসাধারণ ভালোলাগা সৃষ্টি হবে বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক উপন্যাসটি পড়লে।আজই সংগ্রহ করে ফেলুন
Was this review helpful to you?
or
রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জুলাই বইয়ের নাম: কপালকুন্ডলা লেখক: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রকাশক: রিয়া প্রকাশনী ধরন: চিরায়ত উপন্যাস ১."তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন?” ২."পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ?” দুটো লাইনই অবিস্মরণীয় উক্তি যা বাংলা ভাষায় সুভাষিত উক্তি রূপে বহুল ব্যবহৃত ও চর্চিত হয়। প্রথম লাইনটা শোনেনি,এমন বাঙালি বোধহয় খুঁজে পাওয়া মুশকিল।আর দ্বিতীয় লাইনটাকে বাংলা সাহিত্যে সর্বপ্রথম ও শ্রেষ্ঠ রোমান্টিক ডায়লগের স্বীকৃতি দেয়া হয়।দুটো লাইনই বঙ্কিমচন্দ্রের এক উপন্যাসের অংশ — কপালকুণ্ডলা। ছোটবেলা থেকেই বাংলা পঠ্যবইয়ে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর গদ্যগুলো পড়ার সময় কবি পরিচিতিতে কপালকুন্ডলা,বিষবৃক্ষ,কৃষ্ণকান্তের উইল পরীক্ষায় জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও অবজেক্টটিভ এর জন্যে এসব উপন্যাসের নাম পড়ে পড়ে এবং প্রথম লাইনটি শুনে শুনে বড় হয়েছি।অবশেষে অাজ সাহিত্য সম্রাট এর রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক রোমান্টিক উপন্যাস কপালকুন্ডলা পড়ে শেষ করলাম এবং সাথে সাথেই রিভিউ লিখতে শুরু করলাম,অাশা করি সময় হলে ধৈর্য ধরে পুরো লেখাটি পড়লে যারা কপালকুন্ডলা বইটি পড়েন নি তাদের হয়তো এ বইটি পড়ার ইচ্ছে জাগবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে নবকুমার এক জনবিচ্ছিন্ন দ্বীপে আটকা পড়েন। সেখানে এক কাপালিক তাকে বলি দিতে উদ্যত হয়। তখন কাপালিকের পালিতা কন্যা কপালকুণ্ডলা তার প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। স্থানীয় মন্দিরের অধিকারীর সহায়তায় নবকুমার কপালকুণ্ডলাকে বিয়ে করে নিজের বাড়ি সপ্তগ্রামে ফিরে আসেন। পথে মতিবিবি বা লুৎফউন্নিসা নামে এক বিদেশী রমণীর সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ হয়। কপালকুণ্ডলা বাল্যকাল থেকে জনবিচ্ছিন্ন দ্বীপে কাপালিকের কাছে বড় হওয়ায় স্বাভাবিক সামাজিক রীতিনীতির সঙ্গে অপরিচিত ছিলেন। নবকুমারের বাড়িতে তিনি ধীরে ধীরে সমাজের মানুষজন ও তাদের আচারআচরণ সম্পর্কে ধারণা পেলেন। কপালাকুণ্ডলা নাম বদলে তার নাম রাখা হল মৃন্ময়ী। মতিবিবি বা লুৎফউন্নিসা আসলে নবকুমারের প্রথমা স্ত্রী পদ্মাবতী ছিলেন। পরে সপরিবারে মুসলমান হয়ে আগ্রা চলে যান। পথে নবকুমারকে দেখে তিনি পুনরায় তাকে স্বামীরূপে লাভ করতে উৎসুক হন এবং সপ্তগ্রাম চলে আসেন। পদ্মাবতীর পরিচয় জানার পর নবকুমার তাকে প্রত্যাখ্যান করেন। এদিকে কাপালিক কপালকুণ্ডলাকে বধ করতে সপ্তগ্রাম চলে আসে। তার হাত ভেঙে যাওয়ায় সে পদ্মাবতীর সাহায্য চায়। পদ্মাবতী ব্রাহ্মণবেশ ধারণ করে কপালকুণ্ডলাকে সব খুলে বলে এবং নবকুমারকে ছেড়ে চলে যেতে অনুরোধ করে। ব্রাহ্মণবেশী পদ্মাবতীর সাথে কপালকুণ্ডলাকে দেখতে পেয়ে নবকুমার তাকে ভুল বুঝে খুব কষ্ট পান। আর কাপালিক সুযোগ বুঝে সুরাপান করিয়ে নবকুমারকে উস্কে দিতে থাকেন। শেষপর্যন্ত নবকুমার আর কপালকুণ্ডলার মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব সংঘাতের মধ্য দিয়ে উভয়েই জীবনের চরম উপসংহারে উপনীত হয়। হুমায়ূন অাহমেদ এর বই যেরকম চোখবুলিয়ে এক বসায় পড়ে উঠে যায়,কিন্তু বঙ্কিম এর লেখা বিশেষ করে কপালকুন্ডলা বইটি পড়তে অাপনার মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। অধিকাংশ পাঠকই পড়তে গিয়ে অামার মতো—চন্দ্ররশ্মিবর্ণাভা বা বারিধারাপরিসিঞ্চিত ঘরানার মতো বেশ কিছু শব্দের অর্থ বুঝতে সমস্যায় পড়বেন হয়তো।আবার বাটী অর্থ যে বাড়ি —সেটা আমার জানা থাকলেও আগে বাটির কথাই মনে আসে। বানানের ক্ষেত্রেও কিছুটা সমস্যায় পড়েছি যেমন ধরুণ ধর্ম্ম বা কর্ত্তার মত বানান দেখলে একটু ভিরমি খেতে হয় বৈ কি! তবে বিশ শতকে কলকাতা আর অামাদের ঢাকার উচ্চারণ পার্থক্যহেতু পেয়েছে এর মাধ্যমেই।ওরা কালের বিবর্তনে পরের অংশ নিয়ে উচ্চারণ করেছে — ধম্ম বা কত্তা। আর আমরা শুরুর অংশ নিয়ে ধর্ম বা কর্তা এসবই ব্যাবহার করছি। অার হ্যাঁ,এসব শব্দ ও বানানের সমস্যার কথা শুনে ভয় পাইয়েন না,বইটি সংগ্রহ করে অথবা গুগল থেকে পিডিএফ ফাইল নামিয়ে ধৈর্য ধরে প্রথম কয়েকটা পাতা পড়ুন এবং পুরো বই পড়ার সময়ে মনোযোগ ধরে রাখুন,যেসব শব্দের অর্থ না বুঝবেন সেগুলো রেখেই পড়ুন,অাশা করি গল্পের কাহিনী বুঝতে পারবেন। সবশেষে,বঙ্কিমের মত হয়তো অাপনাদেরও প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করবে — আকাশে চন্দ্রসূর্য্য থাকিতে জল অধোগামী কেন? আজই বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান রকমারি.কম থেকে সংগ্রহ করুন-"কপালকুন্ডলা"।যদি কপালকুন্ডলা বইটি সংগ্রহ করে পড়ার সময় না হয় অথবা গল্পটি পড়েও কাহিনী বুঝতে অসুবিধে হয় তাহলে এ গল্পটি অবলম্বনে ১৯৩৩ সনে প্রেমাঙ্কুর আতর্থীর পরিচালনায় কপালকুণ্ডলা চলচ্চিত্রটি নিম্নের লিংক এ দেখতে পারেন। এতে অভিনয় করেন উমাশশী, দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, মলিনা দেবী, নিভাননা দেবী, অমর মল্লিক, অমূল্য মিত্র প্রমুখ।
Was this review helpful to you?
or
অনেক অনেক ভালো
Was this review helpful to you?
or
দেড়শ বছরেরও বেশি সময় আগে ১৮৬৬ সালে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস কপালকুণ্ডলা প্রকাশিত হয়। এই উপন্যাসের একটি উক্তি ২০২০ সালে এসে সেই সময়ের চেয়েও অধিক বাস্তবরূপে ধরা দিয়েছে। এই করোনাকালে সারা বিশ্বে যখন ধর্মীয় আরাধনা ঘরে বসে করার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে তখন বঙ্কিমের করা উক্তিটি আরো বেশি বাস্তব হয়ে ধরা দিলো। উক্তিটি হল- “তীর্থদর্শনে যেরূপ পরকালের কর্ম্ম হয়, বাটী বসিয়াও সেরূপ হইতে পারে।” কপালকুণ্ডলা উপন্যাসে বঙ্কিমের আরো যেসব উক্তি আমার কাছে ভাল লেগেছে এবং যেসব বিখ্যাত উক্তি রয়েছে তা তুলে ধরছি- মহাশয়, যাহা জগীশ্বরের হাত, তাহা পণ্ডিতে বলিতে পারে না। তুমি অধম - তাই বলিয়ে আমি উত্তম হইব না কেন? পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ? বাঙ্গালী অবস্থার বশীভূত, অবস্থা বাঙ্গালীর বশীভূত হয় না। বিবাহ স্ত্রীলোকের একমাত্র ধর্ম্মের সোপান; এ জন্য স্ত্রীকে সহধর্ম্মিণী বলে। বিপৎকালে সঙ্কোচ মূঢ়ের কাজ। আমারা কাঁধে ভর করিয়া চল। এ ফুল রাজোদ্যানেও ফুটে না।.... ইহাকে পরাইয়া আমার যদি সুখবোধ হয়, আপনি কেন ব্যাঘাত করেন।? শ্যামাসুন্দরী জিজ্ঞেস করে, ‘পরশপাতর কাহাকে বলে জান?’ মৃন্ময়ী নাবোধক উত্তর দিলে শ্যামাসুন্দরী বলে, ‘পরশপাতরের স্পর্শে রাঙ্গও সোনা হয়।... মেয়ে মানুষেরও পরশপাতর আছে।’ মন্ময়ী সেই পরশপাথর সম্পর্কে জানতে চাইলে তখন শ্যামাসুন্দরী জানায়, ‘পুরুষ। পুরুষের বাতাসে যোগিনীও গৃহিণী হইয়া যায়।’ আবার শ্যামা জানতে চায় ফুল ফুটলে কি সুখ হয়? মৃন্ময়ী তখন উত্তর করে, ‘লোকের দেখে সুখ, ফুলের কি?’ তখন শ্যামাও বিস্মিত হয়ে বলে, ‘ফুলের কি? তাহা ত বলিতে পারি না।’ মতির চরিত্র মহাদোষে কুলষিত, মহৎ গুণেও শোভিত। ... এ কাজ সৎ, এ কাজ অসৎ, এগুলো বিচার করে তিনি কোন কাজ করতেন না। যা ভাল লাগত তাই করতেন। যখন সৎ কাজ করে সুখ পাইত তখন সৎ কাজ কারতেন, যখন অসৎ কাজে মন শান্তি পাইত তখন অসৎ কাজই করতেন। জাহাঙ্গীর তাকে বলে, ‘‘এক আকাশে কি চন্দ্র সূর্য্য উভয়েই বিরাজ করেন না? এক বৃন্তে কি দু’টি ফুল ফুটে না?’’ লুৎফ-উন্নিসা তখন বললেন, ‘‘ক্ষুদ্র ফুল ফুটিয়া থাকে, কিন্তু এক মৃণালে (বৃন্তে) দুইটি কমল (পদ্মফুল) ফুটে না। আপনার রত্নসিংহাসনতলে কেন কণ্টক (কাঁটা) হইয়া থাকিব?’’ আমি এত কাল হিন্দুদিগের দেবমূর্ত্তির মত ছিলাম। বাহিরে সুবর্ণ রত্মাদিতে খচিত, ভিতরে পাষাণ। লুৎফ-উন্নিসা: আকাশে চন্দ্রসূর্য্য থাকিতে জল অধোগামী কেন? পেষমণ কারণ জিজ্ঞেস করলেন। লুৎফ-উন্নিসা বললেন, ‘‘ললাটলিখন”। পুরুষে পুরুষে বা স্ত্রীলোকে স্ত্রীলোকে যেরূপ সাক্ষাতের অধিকার, স্ত্রী পুরুষে সাক্ষাতের উভয়েরই সেইরূপ অধিকার উচিত বলিয়া তাঁহার বোধ ছিল। মনুষ্যহৃদয় ক্লেশাধিক্য বা সুখাধিক্য একেবারে গ্রহণ করিতে পারে না, ক্রমে ক্রমে গ্রহণ করে। যখন মনুষ্যহৃদয় কোন উৎকটভাবে আচ্ছন্ন হয়, চিন্তার একাগ্রতায় বাহ্য সৃষ্টির প্রতি লক্ষ্য থাকে না, তখন অণৈসর্গিক পদার্থৎ প্রত্যক্ষীভূত বলিয়া বোধ হয়। ভয়ে নহে। কাঁদিতে পারিতেছি না, এই ক্রোধে কাঁপিতেছি।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_ডিসেম্বর উপন্যাসঃ কপালকুন্ডলা লেখকঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ধরনঃচিরায়ত প্রকাশনীঃরিয়া মুল্যঃ ১৩০ টাকা কপালকুন্ডলা হলো একটি মেয়ে যার জন্ম হয়েছে জন মানব হীন একটি দ্বীপে। সেখানেই দিনে দিনে তার বড় হয়ে ওঠা চলতে থাকে। সবসময় বনে জংগলে ঘোরা তার স্বভাব। বন জংগলের প্রতিটা রাস্তা যেন তার মুখস্থ।। একদিন হঠাৎ করেই সেখানে বেড়াতে আসে এই উপন্যাসের নায়ক নবকুমার।। অনেক মানুষের সাথে বেড়াতে আসলেও একসময় কপালকুন্ডলার বাস করা দ্বীপেই তাদের নৌকা আটকা পরে। এরপর যখন আটকে পড়া নৌকা সহজে মুক্তি পায়না তখন নবকুমার দ্বীপ ঘোরার জন্য নৌকা থেকে নেমে পড়ে।।। অনেক্ষন সময় হয়ে যায় কিন্তু নবকুমারের ফেরার কোন নাম থাকেনা এদিকে নদীতে জোয়াড়ের কারনে চালক তার নৌকা ছাড়তে বাধ্য হয়, অবশেষে নবকুমার কে না নিয়েই তাদের ফিরতে হয় গন্তব্যে।। ওদিকে নবকুমার যখন ফেরে সে দেখতে পায় নৌকাটি নেই ওখানে।। সে ভাবতে থাকে হয়তো কাছে কোন একটা দ্বীপে ভিড়েছে নৌকা,পরে এসে তাকে নিয়ে যাবে। এইভেবে সে অপেক্ষা করতে থাকে। কি হয় তারপর নবকুমারের?? আদৌ কি নৌকা নবকুমারের জন্য অপেক্ষা করে?? নাকি সারাজীবন এর জন্য নবকুমারকে ঐ অজানা দ্বীপেই বাসা বাধতে হয়?? দ্বীপে ঘুরতে ঘুরতে একসময় তার পরিচয় হয় আশেপাশে পরিবেশের সাথে। একদিন অদুরে আলো জ্বলতে দেখে সেখানে এগিয়ে যায় নবকুমার, পরিচয় হয় কাপালিকের মতো ভয়ংকর তান্ত্রিকের সাথে যে কি না শবদেহ নিয়ে পুজো করছিলো। নবকুমারকে দেখা মাত্র কাপালিক তাকে ঘরে এনে ফল খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। পরেরদিন ঘুম থেকে উঠলে নবকুমারের পরিচয় হয় কপালকুন্ডলার সাথে। কপালকুন্ডলার বনের মধ্যে বসবাস হলেও তার চেহারা তে একটা আলাদা মাধুর্য থাকে যেটা নবকুমার দেখেই পছন্দ করে ফেলে এবং ভালোবেসে ফেলে। এরপর কাপালিক নবকুমারকে বলি দিতে চাইলে কপালকুন্ডলাই তার জীবন বাচাই এবং সেখান থেকে দুই জন পালিয়ে যায়। আর গিয়ে ওঠে এক মন্দিরে সেখানে পুরোহিতের পরামর্শে কপালকুন্ডলা ও নবকুমার একে অপরকে বিয়ে করে সেখান থেকে লোকালয়ে ফেরে। পথিমধ্যে এক মহিলার সাথে দেখা হয় নবদম্পতির। তিনি নব কুমারের সাথে কথা বলে অনেক এবং মোটামোটি ভালো সম্পর্ক করে ফেলে যাত্রা পথেই। এবং কপালকুন্ডলা কে কিছু দামী উপহার দিয়ে যায়।। কে এই মহিলা?? আর নবকুমারের সাথেই বা তার কি সম্পর্ক?? কপালকুন্ডলাকেই কেন তিনি এতো দামি উপহার দিয়ে গেলেন?? অন্যদিকে, কপালকুন্ডলা কে, কি শ্বশুর বাড়ির লোকজন মেনে নিবে?? আর এরকম বনের জীবন থেকে সে কি সহজে লোকালয়ে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবে?? হটাৎ নবকুমার একদিন কপালকুন্ডলা কে দেখে ফেলে এক পুরুষ মানুষের সাথে বসে কথা বলতে।। দুর থেকে দেখেই তার চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে। কে সেই পুরুষ?? কপালকুন্ডলার সাথেই বা তার কি সম্পর্ক?? শেষ পর্যন্ত দুজনের সংসার ভেঙে যাবেনা তো?? নাকি অন্য কোন চমক অপেক্ষা করছে?? সবকিছু জানতে হলে পড়ুন কপালকুন্ডলা।। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ বঙ্কিমচন্দ্রের পড়া প্রথম উপন্যাস এটি আমার। বইটা অনেকবার পড়তে গিয়ে রেখে দিয়েছি শুধুমাত্র কঠিন ভাষার জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাহিনী যখন বোঝা শুরু করেছি অল্প অল্প করে তখন শুধু পড়েই গেছি সামনের দিকে। পড়ার শুরুতে বুঝতে পারিনি শেষ টার মর্মার্থ এতোটা গভীর হবে।। বইটা শেষ করে বসে ছিলাম চুপ করে অনেক্ষণ।। তাই বইটা যারা পড়েন নি তাদের অনুরোধ করবো কষ্ট করে কিছু পৃষ্ঠা জোর করে পড়লে বাকি পথটুকু কাহিনীই টেনে নিয়ে যাবে।।
Was this review helpful to you?
or
বঙ্কিমচন্দ্রের দ্বিতীয় উপন্যাস "কপালকুণ্ডলা"তে ইতিহাস প্রাধান্য না পেলেও এখানে ইতিহাস এসেছে কাহিনী নির্মাণের সহযোগী উপকরণ হিসেবে।এটি মূলত কাব্যধর্মী রোমান্টিক উপন্যাস। অতিপ্রাকৃত উপাদানের দিকে বঙ্কিমের যে প্রবণতা তা এ উপন্যাসের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হয়েছে।এ উপন্যাসে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন কাহিনী ও মানবসমাজকে স্থান ও কালের সংক্ষিপ্ত একাগ্রতায় বদ্ধ করা হয়েছে সুচতুর সতর্কতায়। সময়চেতনার আরেকটি দিক হচ্ছে দিনের তুলনায় রাত্রির বেষি ব্যবহার।৩১টি অধ্যায়ের মধ্যে ১৯টি রাত্রির ব্যাপার।৩টির অর্ধাংশ জুড়েও রাত্রি। লেখক স্থানের ব্যাপারেও ঐক্যবোধ রক্ষা করার চেষ্টা করেছেন।সমুদ্রতট আর গভীর অরণ্য দিয়ে কাহিনীর শুরু,তেমনি বন ও নদীতট দিয়েই ঘটনার পরিসমাপ্তি। লেখক এখানে ইতিহাসের সাথে কল্পনার মিশ্রণ ঘটিয়েছেন।এর কিছু চরিত্র কল্পিত ও কিছু চরিত্র ইতিহাস আশ্রিত।রহস্যময়তা এ উপন্যাসের আরেকটি বৈশিষ্ট্য।কপালকুন্ডলা, কাপালিক ও মতিবিবি চরিত্রগুলো যথেষ্ট রহস্যময়।এছাড়া উপন্যাসটিতে নিয়তিলীলা বা দৈবশক্তির প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়। তবে নারী চরিত্র সৃষ্টিতে বঙ্কিম যে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন তা সত্যিই অসাধারণ।কপালকুণ্ডলা ও মতিবিবি চরিত্রদু'টি অন্য সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে।নারীর ত্যাগ ও ভোগ,ধর্ম ও অধর্ম,উদারতা ও সংকীর্ণতা ইত্যাদি বিপরীতমুখী গুণাবলীগুলো চরিত্রদু'টির মধ্যে দারুনভাবে ফুটে উঠেছে। উপন্যাসের ভাষাও যথেষ্ট শিল্পমন্ডিত।উপন্যসটি সম্পর্কে শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর 'বঙ্গসাহিত্যের উপন্যাসের ধারা' গ্রন্থে বলেছেন,"উপন্যাসখানি ঠিক একটি গ্রিক ট্রাজেডির মত সরল রেখায় অতিসর্পিল গতিতে সর্বপ্রকার বাহুল্য বর্জিত হইয়া অবশ্যম্ভাবী বিষাদময় পরিণতির দিকে অনিবার্য বেগে ছুটিয়া চলিয়াছে"।