User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
পাশ্চাত্য সাহিত্যে যখন অস্তিত্ব সংকটের কাল চলছে তখন ক্লাসিক শিল্পী ওয়ালীউল্লাহ "লালসালু" রচনার মধ্য দিয়ে অস্তিত্ব সংকটের বিষয়টি সাফল্যের সাথে তুলে ধরার প্রয়াস পান।এই একবিংশ শতাব্দীতেও যে ধর্মগুরু ও ভূস্বামীরা যৌথভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় নিম্নশ্রেণীর মানুষদেরকে নির্মমভাবে শোষণ করে চলেছে,তার এক উজ্জ্বল উপাখ্যান এই লালসালু। মহব্বতনগর আসলে বাংলাদেশের বাষট্টি হাজার গ্রামকে প্রতিনিধিত্ব করে,যেখানে মজিদের মত ভন্ডপীর আর খালেকের মত স্বার্থান্ধ ব্যাপারীরা গ্রামের সরলপ্রাণ মানুষকে প্রতিনিয়ত ধোঁকা দিয়ে চলেছে।সালুতে ঢাকা মাছের পিঠের মত কবরই তাদের রক্ষাকবচ। ধর্মীয় গোঁড়ামি আর মাজার সমস্যার বিরুদ্ধে লেখকের এ এক দুঃসহসী পদক্ষেপ। তবে আক্কাস,জমিলা,আমেনা বিবি আর ঢ্যাঙাবুড়োর মত চরিত্রগুলো প্রমান করে যে ধর্মের দোহাই দিয়ে সবাইকে ধোঁকা দেওয়া সম্ভব নয়।যদিও পীররের বিরোধিতা করার জন্য তাদেরকে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাছাড়া নারীর চরম অবমূল্যায়নের চিত্রটিও উপন্যাসে সূক্ষ্মভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। গ্রামীণ সমাজে যুগ যুগ ধরে প্রচলিত এই মাজার ব্যবসাকে পাঠকের সামনে তুলে ধরতে লেখক যে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তা সত্যিই অভূতপূর্ব।এছাড়া গ্রাম্য ভাষার স্বচ্ছন্দ ও সার্থক ব্যবহার এর আরেকটি সম্পদ।এক কথায় বলা যায় যে "লালসালু"র মত কালজয়ী উপন্যাস বাংলা সাহিত্যে খুব কমই আছে।