User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Nice
Was this review helpful to you?
or
ওনার বেশির ভাগ লেখাই অনেক সুন্দর। তৎকালিন বাঙালী সমাজের প্রতিচ্ছবি অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এখনকার পাঠকরা ওনার লেখার মাধ্যমে সেই ছায়াই খুজে পাবে। শুধু এখনই না, যতদিন বাংলা সাহিত্য থাকবে ততদিন ওনার লেখা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হবে। মেজদিদিও ঠিক অমনই একটি রচনা।
Was this review helpful to you?
or
বই এর নাম - মেজদিদি 'মেজদিদি' শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত গল্প।মেজদিদি সহ আরো দুটো গল্প দর্পচূর্ণ ও আঁধারে আলো গ্রন্থাগারে প্রকাশিত হওয়ার আগে ১৩২১ সালের ভারতবর্ষ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে কার্তিক,মাঘ ও ভাদ্র সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।পরে ১৯১৫ খ্রীঃ ১২ ডিসেম্বর প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। কাহিনী সংক্ষেপ: গল্পের একটি প্রধান চরিত্র কেষ্টা ১৪ বছর বয়সে মা হারিয়ে একা হয়ে যায়।বাবা অনেক আগেই গত হয়েছেন।বৈমাত্র বড় বোন কাদম্বিনী তার একমাত্র ভরসা এখন।ভিক্ষা করে মায়ের শ্রাদ্ধ শেষে ছোট একটা পুটলি নিয়ে সে কাদম্বিনীর বাসায় গিয়ে উপস্থিত হয়।সব শুনে এবং পরিচয় পেয়ে সে মৃত বিমাতাকে উদ্দেশ্য করে কেষ্টাকে যা ইচ্ছে তাই শুনিয়ে দেয়।অনেক কটু কথা শোনার পর কেষ্টার ঠাঁইটুকু মেলে। বিনিময়ে একটি চাকরের বিদায় হল এবং কাদম্বিনীর স্বামী নবীন মুখুজ্যের ধান চালের আড়তে কাজে কেষ্টাকে লাগানো হলো। কেষ্টা পরিমাণে ভাতটা খেতে একটু বেশি পছন্দ করে।কিন্তু এই দুমুঠো ভাত বেশি খাওয়ার পরিনামে কাদম্বিনী যে তাকে হাজার ব্যঙ্গ করতেও পিছপা হয়না।চোখের জল আড়ালে রেখে লজ্জায় সমস্ত ভাত কোনরকম গিলতে থাকে সে।অথচ তার মা বেঁচে থাকা অবস্থায় দুমুঠো ভাত বেশি খাওয়ার জন্য কতইনা জোর করতো।মা হারানোর কষ্ট, একাকীত্ব, পায়ের নিচের নির্ভরস্থল হারানোর কষ্ট সবকিছু সে সহ্য করেছে তাই দুমুঠো ভাত আর এ আশ্রয়টুকুর জন্য বৈমাত্র বোনের সারাক্ষণের কটুবাক্য তার পবিত্র হৃদয়কে নতুন করে আর কীই বা আঘাত করবে। ছোট এই পবিত্র মন মাতৃস্নেহটুকু পেয়েছিল কাদম্বিনীর জা হেমাঙ্গিনীর নিকট।হেমাঙ্গিনীর কোমল মন কারো দুঃখ কষ্ট সইতে পারতোনা।তার নিজ সন্তানের বয়সী কেষ্টার দুঃখ সে সইতে না পেরে মাতৃস্নেহটুকু দিয়ে কেষ্টাকে সে নিজের কাছে আগলে রাখতে চাইতো।কেষ্টা হেমাঙ্গিনীকে মেজদিদি বলে ডাকতো।একমাত্র হেমাঙ্গিনীর কাছে পাওয়া মাতৃস্নেহটুকু অনায়াসে তার সকল কষ্টকে ভুলিয়ে দিতো।হেমাঙ্গিনীকেও কেষ্টা অনেক ভালবাসতো শ্রদ্ধা করতো।ভাইয়ের প্রতি হেমাঙ্গিনীর এ ভালবাসা কাদম্বিনীর কাছে বাড়াবাড়ি মনে হতো।এ নিয়ে দু জায়ের মধ্য ঝগড়া,মনোমালিন্য দিন দিন বাড়তে রইলো।কেষ্টার প্রতি হেমাঙ্গিনীর ভালবাসা মায়া মমতা তার স্বামী বিপিনকেও অতিষ্ট করে তুললো।হেমাঙ্গিনীকে সে অনেক ভালবাসে কিন্তু হেমাঙ্গিনীর কেষ্টাকে নিয়ে পাগলামো অসহনীয় হয়ে উঠে তার কাছে।সবার এই নিষ্ঠুর আচরণ হেমাঙ্গিনীকে অসুস্থ করে তোলে একসময়। কেষ্টার প্রতি হেমাঙ্গিনীর মাতৃস্নেহ ভালবাসা,মায়া মমতা সকল নিষ্ঠুরতার নিকট জয়ী হয়েছে কি না বইটির শেষ অংশেই জানা যাবে :) এই গল্প অবলম্বনে ১৯৫০ ও ২০০৩ সালে চলচ্চিত্র নির্মিত হয় অনেক আগে পড়েছিলাম। পড়ার পর কেঁদেছিলাম।আমার কাছে ভাল লেগেছে।হৃদয়স্পর্শী একটা গল্প।