User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
#পণ্ডিতমশাই_শরৎচন্দ্র_চট্টোপাধ্যয় - প্রধান চরিত্র (বৃন্দাবন ও কুসুম ) তাহাকে অনেক ভালোবাসিয়া ছিলাম কিন্তু সে আমার ভালোবাসার মর্যাদা রক্ষা করিতে পারে নাই। কেমন করিয়াই বা করিবে আমার অবস্থান যে তাহা হইতে সম্পূর্ণ বিপরীতে। অপরের কর্মফলের জন্য নিজেকে শাস্তি পাইতে হইবে ইহা কেমন করিয়া মানিয়া লইবো আর সমাজই বা কেন ইহাতে স্বীকৃতি প্রদান করিবে? যে সমাজ ভালোবাসার মুল্য দিতে শেখে নাই, মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করিয়া থাকে, এমন সমাজ হইতে নিজেকে মুক্ত করিতে যাহা প্রয়োজন তাহাই করিতে এক্টুও দ্বিধাবোধ করিবো না। এখন নিজ কথা রাখিয়া শরতে চলিয়া যাই। কুসুমের বয়স যখন ৫ বছর বিবাহ বলিতে এক পুতুলের সহিত অন্য পুতুলের বিবাহই বুঝিত, তখনই বাড়ল গ্রামের অবস্থাপন্ন বৃন্দাবনের সহিত তাহার বিবাহ সম্পন্ন হয়। পুতুলের বিবাহ যেমন সকালে হইলে বিকালে আর কোন খবর নাই, সংসার করিবার বালাই নাই, কুসুমের বিবাহও পুতুল বিবাহের মতনই। বিবাহের অনতি কাল পরেই বৃন্দাবনের পরিবার কুসুমের মাতার সম্মন্ধে দুর্নাম শুনিতে পায়। কুসুমের মাতা বিধবা তাই বোধ করি দুর্নাম টা বেশি করিয়া ওঠে। ইহাকে উপলক্ষ করিয়া বৃন্দাবনের পিতা কুসুমের সহিত বিবাহ বিচ্ছেদ করিয়া পুত্রের নতুন করিয়া বিবাহ সম্পন্ন করেন। কুসুম যতদিনে বাড়িয়া উঠিয়াছে ততদিনে বৃন্দাবনের ২য় স্ত্রী একটা পুত্র সন্তান রাখিয়া পরোলকে চলিয়া গিয়াছেন। বৃন্দাবনের পিতাও গিয়াছেন। বাড়ির কর্তা এখন বৃন্দাবন। কুসুম কে সে আবার ফিরিয়া পাইতে চায়। সেই সুত্র ধরিয়া তাহাদের বারিতেও বৃন্দাবন যাতায়ত করিতে থাকে। কিন্তু কুসুম তাহাকে কোন মতেই মানিয়া লইতে পারেনা। কুসুম শুধু ইহাই মনে করিয়া কষ্ট পায় কি দোষ পাইয়া তাহাকে বৃন্দাবন পরিত্যাগ করিয়াছিলো? কিন্তু চরনের(বৃন্দাবনের পুত্র) প্রতি তাহার দুর্বলতা দিন দিন বারিতেই লাগিলো। বার বার প্রত্যাক্ষিত হইয়া বৃন্দাবন যখন কুসুমের আশা ছাড়িয়া দিয়াছিলো তখন কুসুমের জীবনে যেন অন্ধকার নামিয়া আসিলো। দাদার সহিত কুসুমের আর বনি বনা হইতেছেনা। তাই সে মনে প্রানে বৃন্দাবনের আশা করিতেছিলো কিন্তু ততক্ষনে বৃন্দাবনও মুখ ফিরাইয়া লইয়াছে। এখন কি করিবে কুসুম? সকল দুয়ারই যে তাহার জন্য বন্ধ হইয়া গিয়াছে। কি আছে তাহার ভাগ্যে? অন্যদিকে বাড়ল গ্রামে ওলা ওঠিয়া প্রায় প্রতিদিনই মানুষ মরিতেছিলো। বৃন্দবনের মাতাও একদিন ঘরে কপাট দিয়া আর খুলিলো না। একদিন সকালে চরনেরও ভেদ বমি হইতে লাগিলো। শুধু মা মা বলিয়া কাদিতে লাগিলো। চরনের খবর কুসুমের নিকট গিয়া পৌছাইলো। চরন কে সে বড্ড ভালোবাসিত তাই পাগলের মত ছুটিলো বাড়লের উদ্দেশ্যে। কুসুম কি পারিবে বাড়লে পৌছাতে? পারিবে কি চরন কে বাচাইতে? জানিবার জন্য বই খানা পড়িতে হইবে। উপলব্ধিঃ সঠিক সময়ে পরিত্যাগ করিয়া নিজ প্রয়োজনে গ্রহন করিবার ইচ্ছায় কোনরুপ মাহাত্য প্রকাশ পায় বলিয়া বোধ করিনা। সংসারে চলিতে গেলে অনেক কিছুই ঘটিয়া থাকে। কিন্তু আমাদের সমাজ ত্রুটি গুলো কে ধরিয়া মানুষ কে ঘৃনা করিতে শেখায় ক্ষমা করিতে নয়। পিতা অপরাধ করিলে তাহার শাস্তি পুত্র পাইবে, মাতা অপরাধ করিলে তাহার শাস্তি কন্যা পাইবে, ইহাই কি সমাজ ব্যাবস্থা হওয়া উচিৎ? আরএকটি কথা না বলিলেই নয়...... ভালোবাসার মূল্য যাহারা দিতে যানেনা তাহাদের নিকট ভালোবাসা প্রত্যাশা করা ছেলে মানুষি ছাড়া আর কিছুই না। প্রত্যাখ্যান করিবার সময় একটিবার চিন্তা না করিয়া যাহারা ফিরাইয়া দেয় তাহারা একবার যদি ভাবিত, যে ভালোবাসা ফিরাইয়া দিতেছে ইহাই হয়তো প্রকৃত, ইহাই হয়তো স্বর্গীয়। আজ যাহাকে অবহেলা করিয়া ফিরাইতেছে কাল হয়তো সেই হইবে একমাত্র সম্বল। শরৎবাণীঃ ১. মানুষ বিপদে পড়লেই তখন যথার্থ আপনার জনের কাছে ছুটে আসে। ২. তোমরা আমদের ছোটলোক বলে ডাকো আমরা নিঃশব্দে স্বীকার করি কিন্তু অন্তর্যামী স্বীকার করন না। তিনি তোমাদের ভালো কথাতেও সাড়া দিতে চান না। ৩. ছোটলোকেরা শিক্ষিত ভদ্রলোককে ভয় করবে, মান্য করবে, ভক্তিও করবে, কিন্তু বিশ্বাস করবেনা, কথাও শুনবেনা। ৪. শুধু ইচ্ছে এবং হৃদয় থাকলেই পরের ভালো এবং দেশের কাজ করা যায়না। যাদের ভালো করবে তাদের সঙ্গে থাকার কষ্ট সহ্য করতে পারা চাই। ৫. নিজের কর্তব্য করার আগে পরের কর্তব্য আলোচনা করলে পাপ হয়। ৬. মেয়ে মানুষ হয়ে ক্ষমা করতে শেখাই সবচেয়ে বড়-শেখা। বিঃ দ্রঃ আমি মোটেও সমাজ বিরোধী নই, শুধু সমাজ ব্যবস্থা টা আমার পছন্দ নয়। তাই মনেপ্রানে সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন আশা করি। আর বইখানা যাহারা পড়েন নাই তাহারা পরিয়া লইবেন। ধন্যবাদ।