User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Manna Chakraborty

      20 Jul 2023 02:23 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      nice

      By Md. Rizvi Akhter

      11 Apr 2021 12:34 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সিগমা ফোর্স এর প্রথমটার মত এটাও ভালো লাগলো।

      By Laxmi Akter

      26 Mar 2021 01:41 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ড্যান ব্রাউনের The Vinci Code পড়ে যে এক্সপিরিয়েন্স হয়েছে তার চেয়ে কোন অংশে কম এই বই পড়ে হয়নি। এতসব জানা অজানা তথ্য পাওয়া যাবে যা তাক লাগিয়ে দেয়ার মত। অনুবাদটিও বেশ ভালই হয়েছে।

      By Saikat Rahman

      19 Jan 2020 07:19 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ধর্মীয় মিথ, আধুনিক বিজ্ঞান, অ্যাডভেঞ্চার আর দুর্দান্ত অ্যাকশনের কম্বিনেশন হচ্ছে " ম্যাপ অফ বোনস"। বইটিতে একই মলাটে প্রাচীন নিদর্শন সাথে বৈজ্ঞানিক রিসার্চ, বৈজ্ঞানিক গবেষণার সমন্বয় করেছেন লেখক। জার্মানির প্রাচীন এক ক্যাথড্রালে একদল প্রার্থণারত মানুষদের নির্মম ভাবে খুন করে সনড়বাসীর পোশাক পরা ডাকাতদল। খুনির দল সাথে করে নিয়ে যায় পুরনো কিছু হাঁড়, ফেলে রেখে চলে যায় মূল্যবান কিছু গুপ্তধন। এই হাঁড়ের আড়ালে রয়েছে মানবসভ্যতার এক নিদর্শন যা উন্মোচিত হলে মানবসভ্যতা এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে পরবে। বিপর্যয় ঠেকাতে নিয়োগ দেওয়া হয় সিগমা ফোর্স এজেন্ট কমান্ডার গ্রেসন পিয়ার্স ও তার দলকে। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের হাত থেকে কমান্ডার গ্রেসন পিয়র্স ও তার দল কি পারবে এই বিপর্যয় ঠেকাতে?

      By Tamjid Shajol

      16 Dec 2019 04:54 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটি পাড়তে গিয়ে আমি যেনো আমার চোখের সামনেই সবকিছু দেখতে পারতেছি। সিগমা ফোর্স তাদের এই অভিযান যেনো আমার সামনেই চালিয়েছে। এই বইয়ের অনুবাদ করেছেন রবিন জামান খান। অনুবাদের মান যথেষ্ট ভালো ছিলো। পড়তে গিয়ে কোথাও একটুও বিরক্তভাব আসেনি। পুরো বইটাই সুখপাঠ্য ছিলো। এই বইয়ের অনুবাদে বানান ভুল ছিলো কিছু জায়গায়। এছাড়া আর কোনো ভুল চোখে পড়েনি আমার। বইটির প্রচ্ছদটিও ছিলো দারুন। আর বাউন্ডিং মানও মোটামুটি ভালোই ছিলো। যারা ধর্মীয় মিথ, অত্যাধুনিক বিজ্ঞান আর অ্যাকশন ভালোবাসেন তাদের জন্যে ম্যাপ অব বোনস একটি আদর্শ বই। যারা পড়েননি তারা পড়ে ফেলতে পারেন। ভালো লাগবে আশা করি।

      By Prantik Shanto

      26 Nov 2019 12:21 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইঃ ম্যাপ অব বোনস। লেখকঃ জেমস রোলিন্স। অনুবাদকঃ রবিন জামান খান। প্রকাশকঃ বাতিঘর প্রকাশনী। প্রচ্ছদঃ ডিলান। পৃষ্ঠাঃ ৩৮৪। মুদ্রিত মূল্যঃ ৩৪০ টাকা। জার্মানির কোলনের একটি প্রাচীন ক্যাথেড্রালে ঘটে যায় এক ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ! একদল প্রার্থনারত মানুষদের এক অজানা কিন্তু নিষ্ঠুর পদ্ধতিতে খুন করে সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশ ধরা এক ডাকাতদল। ক্যাথেড্রালের মূল্যবান গুপ্তধন ফেলে রেখে তারা নিয়ে যায় পুরনো কিছু হাড়! ক্যাথেড্রালের মতো পবিত্র স্থানে এরকম এক ভয়ংকর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রীতিমতো কেঁপে উঠে সবাই। আর এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে মূল উদ্দেশ্য কি তা জানতে তদন্তের জন্য মাঠে নামে আমেরিকান সিগমা ফোর্স! সিগমা ফোর্স এজেন্ট কমান্ডার গ্রেসন পিয়ার্স আর তার দলের উপর এর রহস্য উদঘাটনের দায়িত্ব পরে। তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসে ভ্যাটিকান বিশেষজ্ঞ ভেরোনা আর লেফটেন্যান্ট র‍্যাচেল। আর তারা সবাই মিলে তৈরি করে একটা দল। এবং খুব তাড়াতাড়িই তারা অভিযান শুরু করে। অভিযানের শুরুতেই তারা বুঝে যায় তাদের প্রতিপক্ষ দলটির পরিচয়। ড্রাগন কোর্ট নামের এক গোপন সংস্থা। যারা কোনো এক বিশেষ পদ্ধতিতে গোপন বিদ্যা অর্জন করে ক্ষমতার অধিকারী হতে চায়। তাদের সাথে হাত মেলায় সিগমা ফোর্সের চিরশত্রু গিল্ড! একের পর এক আক্রমণ আর ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে থাকে তারা। আর তাদেরকে রুখে দিতে আর এই রহস্য উদঘাটনের নেশায় জীবন বাজি রেখে লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হতে থাকে সিগমা ফোর্স। ইতিহাস, মিথ আর বিজ্ঞানের দূর্ভেদ্য সব ধাঁধা সমাধান করতে করতে এগোতে থাকে তারা। কমান্ডার গ্রেসনের এই দল কি পারবে সকল বিপর্যয় ঠেকিয়ে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী সংগঠনটিকে রুখে দিতে! আর এই রহস্য উদঘাটন করতে? পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ জেমস রোলিন্স সাহেবের সিগমা ফোর্স সিরিজের দ্বিতীয় বই 'ম্যাপ অব বোনসস'। বইটা নিয়ে বুক ওয়ার্ল্ডে বলা হয়েছিলো, " সিট বেল্ট বেধে নিন... রোলার কোস্টারে উঠতে যাচ্ছেন "! কথাটার সাথে আমি একদম সহমত! টানটান উত্তেজনায় ভরপুর এই বইটা সারাক্ষণ আমাকে শুধু একটা কথাই ভাবিয়েছে, 'তারপর, তারপর কি হবে?' এই বইয়ের পটভূমি আবর্তিত হয়েছে পুরনো চার্চ, ক্যাথেড্রাল, আলেকজেন্দ্রিয়ার সমুদ্রতল থেকে শুরু করে সেইন্ট পিটার ব্যাসিলিকার তলা পর্যন্ত। কমান্ডার গ্রেসন পিয়ার্স আর তার পুরো দল রহস্য উদঘাটনে সবগুলো জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছে। বইটা পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছিলো আমিও যেনো সিগমা ফোর্সের সাথে এইসব জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছি। আমি যেনো আমার চোখের সামনেই সবকিছু দেখতে পারতেছি। সিগমা ফোর্সের অভিযান যেনো আমার চোখের সামনেই আবর্তিত হচ্ছে! এই বইয়ের অনুবাদ করেছেন রবিন জামান খান। অনুবাদের মান যথেষ্ট ভালো ছিলো। পড়তে গিয়ে কোথাও একটুও বিরক্তভাব আসেনি। পুরো বইটাই সুখপাঠ্য ছিলো। এই বইয়ের অনুবাদে বানান ভুল ছিলো কিছু জায়গায়। এছাড়া আর কোনো ভুল চোখে পড়েনি আমার। বইটির প্রচ্ছদটিও ছিলো দারুন। আর বাউন্ডিং মানও মোটামুটি ভালোই ছিলো। যারা ধর্মীয় মিথ, অত্যাধুনিক বিজ্ঞান আর অ্যাকশন ভালোবাসেন তাদের জন্যে ম্যাপ অব বোনস একটি আদর্শ বই। যারা পড়েননি তারা পড়ে ফেলতে পারেন। ভালো লাগবে আশা করি।

    • Was this review helpful to you?

      or

      রোলিন্স নামটার সাথে গতি, একশন, সাসপেন্সের বিষয়টা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই বইটির ক্ষেত্রেও মোটেও ব্যতিক্রম হয়নি। সিগমা ফোর্স সিরিজের দ্বিতীয় বইটি দিয়েই সিরিজটা শুরু করেছিলাম। বইটি পড়ার পর সিরিজটা ভালো লেগে যায়। বইয়ের ঘটনার শুরু এক গির্জায় সন্ত্রাসি হামলার মধ্য দিয়ে। এরপর থেকেই ক্রমে ঘনীভূত হতে থাকে রহস্য। ইনভেস্টিগেশনে নামে সিগমা। আর সিগমার চিরশত্রু গিল্ড তো আছেই, যারা তাদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সব মিলিয়ে চমৎকার বই। আশা করি বইটি পড়লে হতাশ হবেন না।

      By Fahim Khan

      02 Nov 2019 12:13 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Rolins is outstanding.

      By BookHunter

      08 Jun 2021 08:38 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ☆☆☆☆

      By Aseer Intisar Rizvee

      04 Sep 2019 10:58 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভাল হয়েছে।

      By Rehnuma Rubayat Prapty

      28 Oct 2017 10:27 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রহস্যময়_বিজ্ঞান_জগত_ও_রকমারি_ডট_কম_আয়োজিত_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগীতা জেমস রোলিন্স মানেই অ্যাকশন, অ্যাডভেঞ্চার আর থৃলার। এই তিন ক্যাটাগরির বরপুত্রও বলা যায় তাকে অনায়াসেই। হাজার বছরের পুরানো মিথ/ইতিহাসের সাথে আধুনিক বিজ্ঞানের যোগসূত্র আর সাথে গিল্ড কিংবা হাজার বছরের লুকায়িত গুপ্তসংঘ কিংবা কাল্টের ক্ষমতা দখলের ব্যাপকতা আর এদের প্রতিরোধ করার জন্য আছে সিগমা ফোর্স। হ্যা জেমস রোলিন্সের লেখা অন্যতম জনপ্রিয় সিরিজ সিগমা ফোর্স নিয়েই কথা বলতে চাচ্ছিলাম। প্রথম পর্ব 'স্যান্ডস্টর্ম' এর মুগ্ধতা নিয়ে পড়ে ফেললাম সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব বা বই 'ম্যাপ অফ বোনস'। এটাই জীবন....খুঁজে যাওয়া....সত্যের সন্ধান করা....অন্ধকার থেকে আলোতে.....!! ধর্মীয় মিথ, অত্যাধুনিক বিজ্ঞান, অ্যাডভেঞ্চার আর দুর্দান্ত অ্যাকশনের এক রোলার কোস্টার রাইড হলো 'ম্যাপ অফ বোনস'। অত্যাধুনিক বিজ্ঞান, প্রাচীন মিথ, খ্রিষ্টীয় উপাখ্যান, দুর্দান্ত অ্যাকশন আর দুর্ধর্ষ অ্যাডভেঞ্চার নির্ভর এই বইয়ের প্রেক্ষাপট গড়ে উঠেছে পুরানো চার্চ, ক্যাথেড্রাল, আলেকজান্দ্রিয়ার সমুদ্রতল বা শতাব্দী আগে ধ্বংস হওয়া আলেকজান্দ্রিয়া বাতিঘর অথবা হারিয়ে যাওয়া মহাবীর আলেকজান্ডার দি গ্রেটের সমাধীসৌধ থেকে শুরু করে সেন্ট পিটার ব্যাসিলিকার তলা হয়ে ফ্রান্সের এভিগননে ঐতিহাসিক টেম্পলারদের নির্মিত গথিক দুর্গ খ্যাত পাপাসির প্রাসাদের অভ্যন্তরের অতলে গোপন গুপ্তধন পর্যন্ত। এর সাথে আরো যুক্ত হয়েছে যীশুর দুই শিষ্য পিটার আর টমাসের দ্বন্দ্ব কিংবা সেই আর্ক অফ কভিনেন্টের অমূল্য পাউডার অথবা হাজার বছর পুরানো অ্যালকেমিস্ট কাল্টের বিজ্ঞান চর্চা সূত্রপাত অথবা ক্ষমতালোভী ড্রাগন কোর্টের মতো গুপ্ত সংঘ। কাহিনীচিত্র : গল্পের শুরুটা আপনাকে নিয়ে যাবে এখন থেকে আরো কতক শতক আগে আই মিন বারশো শতকের শুরুতে যেখানে আপনি জানতে পারবেন খ্রিষ্টীয় উপাখ্যানের অন্যতম সেরা তিন ম্যাজাইয়ের হাড়ের গুপ্তপাচার সম্পর্কিত ঘটনা। যেখানে একদল গুপ্তসংঘ চায় সেই তিন ঐতিহাসিক ম্যাজাইয়ের হাড় চুরি করে নিজেদের আয়ত্ত করতে আর চার্চ চায় নিজেদের ধর্মকে বাচিয়ে রাখতে। এই ঘটনা মাথায় রেখে আপনি একটানে চলে আসবেন আধুনিককালে জার্মানের কোলন শহরের এক নামকরা প্রাচীন ক্যাথেড্রালে যেখানে একদল মানুষ প্রার্থনারত অবস্থায় খুবই অস্বাভাবিকভাবে মারা যায়। একদল সন্ত্রাস মঙ্ক সেজে এসে রীতি অনুযায়ী রুটি আর ওয়াইনের মধ্যে কিছু একটা মিশিয়ে প্রার্থনারত লোকদেরকে খেতে দেয় যার ফলশ্রুতিতে এক আশ্চর্যজনক শক্তির প্রভাবে তাদের মৃত্যু হয় এদের মধ্যে যারা রুটি আর ওয়াইন খায় নি তাদের নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করে। আর যাওয়ার সময় সোনায় মোড়ানো তিনটা কফিন ফেলে রেখে নিয়ে যায় তার ভিতরে থাকা তিন ম্যাজাইয়ের তিনটা হাড়। তারা কারা কি চায় আর কেনইবা এতগুলো লোককে নৃশংসভাবে খুন করলো এসবের কোন কিছুই কেউ জানে না। কোলনের এই ম্যাসাকার ঐতিহাসিক এক ঘটনার দিকেই ইঙ্গিত দেয়। তদন্তের দায়ভার পড়ে সিগমা ফোর্সের অন্যতম সেরা সৈনিক আর বৈজ্ঞানিক কমান্ডার গ্রেসন পিয়ার্স। আর তার সাথে যুক্ত হয় ক্যাট ব্রায়ান্ট আর মঙ্কের মতো দুর্ধর্ষ সৈনিক। একইসাথে এই তদন্তের সাহায্যে এগিয়া আসে এসপানিওজ এজেন্ট মগসিগনর ভেনোরা আর তার ভাস্তি ক্যারিবিয়ানি ফোর্সের লেফটেন্যান্ট র্যাচেল। এতবড় ম্যাসাকার অথচ কোন ক্লু'ই খুঁজে পাওয়া যায় না। অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে কমান্ডারের দলের সবার সহযোগিতায় ক্লু মেলে ওই ম্যাজাইয়ের হাড়ে এমন কোন বস্তু ছিলো যা এক আশ্চর্যরকম শক্তির সৃষ্টি করে। আর এই পাউডারটা বাইবেলে বর্ণিত ঐতিহাসিক মান্না পাউডারের দিকেই ইঙ্গিত দেয় যা যুগ যুগ ধরে হোয়াইট পাউডার কিংবা ফিলোসফার'স স্টোন নামে ব্যাপক পরিচিত। আর এই পাউডার যদি একবার সেই সন্ত্রাস দল তথা ড্রাগন কোর্টের হাতে নাগালে আসে তাহলে কোলনের ম্যাসাকারটা হয়তো পুরো বিশ্বজুড়েই হবে। এরি মধ্যে ভেরোনা থেকে শুরু করে টিমের সব মেম্বারের উপরই ড্রাগন কোর্টের অ্যাটাক আসে। এমনকি কমান্ডার গ্রেসন পিয়ার্সকেও কেউ একজন একটা ডাবল ড্রাগন পেন্ড্যান্ট দিয়ে যায় যার মানে দাঁড়ায় শত্রুপক্ষ তার অপেক্ষায়। ইতিহাসবেত্তা মনসিগনর ভেরোনা তার টিমকে জানায় বাইবেলের একটি শ্লোকের ব্যাপারে যা একটি ধাধার মতো। ধাধা সমাধানের লক্ষ্যে ওরা ছুটে যায় ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার ব্যাসিলিকার অভ্যন্তরে কিন্তু ড্রাগন কোর্টের সাথে যৌথ গঠিত গিল্ড টিমের কাছে ধরা পড়ে যায় কমান্ডার গ্রেসন পিয়ার্স আর তার টিম। গিল্ডের সেই মেয়েটি ডাবল ড্রাগন পেন্ড্যান্ট দেয়া শিচান কমান্ডারের কপালে বন্ধুক ঠেকায় ড্রাগন কোর্টের রাউলের নির্দেশে কিন্তু বরাবর কপালে গুলি না করে ওকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে কিন্তু কেন...? টিমের সবার সহযোগিতায় সবাই পালিয়ে ছুটে যায় মিশরে যেখানে শায়িত আছেন বীরদের বীর আলেকজান্ডার দি গ্রেট। কেননা বাইবেলের সেই স্লোকের সাথে আলেকজান্ডারের কথা খুব ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ওরা ছুটে যায় পানির নিচের দুর্গের খোজে যেখানে শায়িত আছেন আলেকজান্ডার দি গ্রেট। ওরা খুজে পায় সমাধি সেই সাথে খুজে পায় একটা সোনার চাবি যা পরবর্তী শ্লোকের সমাধানে অবশ্যই দরকার আর সমাধানটা আছে ফ্রান্সের এভিগননে পাপাসির প্রাসাদে। কিন্তু দেরী হয়ে গেছে অনেক দেরী। এরিমধ্যে র্যাচেল আর মঙ্ককে ধরে নিয়ে গেছে ড্রাগন কোর্ট এর সাথে র্যাচেলের নানুকেও তুলে এনেছে ওরা টর্চারের জন্য। কিন্তু এরিমধ্যে ভেরোনা আর ক্যাট ফ্রান্সের উদ্দেশ্যে চলে গেছে ধাধার সমাধানটা করতে। রাউল র্যাচেলের মুখ থেকে কথা বের করার জন্য মঙ্ককে টর্চার করে ওর হাত কেটে ফেলে। র্যাচেল সহ্য করতে না পেরে ও যা জানে তা কিছুটা বললেও নানুর টর্চার টেবিলেই একেবারে আগাগোড়া পুরোটাই বলে দেয় ড্রাগন কোর্টকে কিন্তু এর পরই র্যাচেল জানতে পারে ওর নানুও এই ড্রাগন কোর্টের মেম্বার আর র্যাচেলের সাথে আগে থেকেই রাউলের বিয়ে ঠিক হয়ে আছে যা ড্রাগন কোর্টের বংশধারা দরে রাখবে কিন্তু র্যাচেল তো এরিমধ্যে দুই দুইবার তার জান বাচানোর জন্য কমান্ডার গ্রে কে তার মন দিয়ে বসে আছে। আর রাউল ওদিকে র্যাচেলকে নিয়ে স্বপ্নে বিভোর যে কোন মূল্যেই র্যাচেলকে চাই রাউলের। গ্রে কি পারবে র্যাচেলকে রাউলের থেকে মুক্ত করে নিজের করে নিতে...? ওদিকে, ফ্রান্সের পোপের প্রাসাদের নীচেই খুজে পাওয়া যায় হাজার বছরের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য আর ইতিহাস। কিন্তু ড্রাগন কোর্টের লোকেরা এসে হাজির। ভেরোনার কলিগ আলবার্তো মেরান্ডি আর র্যাচেলের বস জেনারেল র্যান্ডিও ওদের সাথেই যুক্ত। ড্রাগন কোর্টের আদেশেই র্যাচেল আর কমান্ডার গ্রে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটা শুরু করামাত্রই ভুমিকম্পের মতো কম্পন শুরু হয়। এক অদ্ভুত আশ্চর্যজনক শক্তির প্রভাব ওরা টের পায়। পায়ের নিচে থাকা গ্রানাইটের ব্লকগুলো অনেক জোড়ে কাঁপতে থাকে। টাল সামলাতে না পেরে ড্রাগন কোর্টের এক সৈনিক পড়ে যায় কাচের ব্লকের উপর কিন্তু সাথে সাথে দেহটা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সবার কোলনের ম্যাসাকারের কথা মনে পড়ে যায়। এই পাউডারের ক্ষমতা সম্পর্কে সবাইই টের পায়। কিন্তু ভেরোনার পেটে গুলি চালিয়েছে রাউল ওদিকে মঙ্ক, ক্যাট আর শিচানকে আটকে রেখেছে ড্রাগন কোর্টের গার্ডরা। আর এদিকে র্যাচেল আর গ্রে যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেখানের ব্লকগুলোর চারিপাশে কাচের ব্লক যেখানে সাক্ষাৎ মৃত্যু অবধারিত। গ্রে জানে এখন ওদের চাবিটা দিয়ে দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। আর চাবিটা দিয়ে দেয়া মানে পৃথিবী ধ্বংসের মুখে পতিত হওয়া। আবার ওদিকে ভেরোনা মারা যাচ্ছে ওকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে কিন্তু চাবিটা দিলে ওকে ড্রাগন কোর্ট বাঁচিয়ে রাখবে না কিন্তু র্যাচেলকে ওরা নিয়ে যাবে ঠিকই। কমান্ডার গ্রেসন পিয়ার্স এখন কি করবে....? কে কমান্ডার গ্রেসন পিয়ার্সকে সাহায্য করবে যেখানে মেরান্ডি আর জেনারেল র্যান্ডির মতো লোকও ড্রাগন কোর্টের সাথে হাত মিলিয়েছে। হয়তোবা সিগমাতেও এমন কোন লিক আছে। গ্রে ভেবে কোন কুলকিনারা পায় না। কি করবে এখন গ্রে....? র্যাচেলই বা কি করবে...? ওদের দুজনার কি মিল হবে নাকি রাউল র্যাচেলকে তুলে নিয়ে যাবে...? শিচান কি আসলেই রাউলের নিজের লোক যে কিনা এতক্ষন গ্রে কে ধোকা দিয়ে যাচ্ছে নাকি অন্য কেউ ওকে নিয়োগ দিয়েছ..? মনসিগনর ভেরোনা কি বেচে যাবে...? হাজার বছরের হারানো ঐতিহ্য আর ঐতিহাসিক এই পাউডার কি তবে ড্রাগন কোর্টের হাতেই যাবে...? বাকিটা জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে পড়তে হবে জেমস রোলিন্সের সিগমা সিরিজের দ্বিতীয় পর্বের বই 'ম্যাপ অফ বোনস'। লেখক প্রসঙ্গে কিছু বলার নেই তেমন কারন জেমস রোলিন্স মানেই থৃলার, অ্যাডভেঞ্চার আর অ্যাকশনের রোলার কোস্টার রাইড। পেশাতে পশু ডাক্তার হলেও প্রচুর রিসার্চ আর পড়ালেখার ফল এই ম্যাপ অফ বোনস। আর, তাছাড়া রিসার্চ ইউনিটে রোলিন্সের কিছু পরিচিত লোক থাকাতে উনার ব্যাখ্যাগুলো এতটা সুন্দরভাবে উপস্থাপিত হয়। এবার আসি অনুবাদকের কথায়। ভাই আপনি খুব কষ্ট করেই কাজটা করেছেন তাই আপনার কাজের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি আরো একটু ভালো করার চেষ্টা করুন দয়া করে। পুরা অনুবাদটা তৈরী করে দরকার হলে দুইদিন রেস্ট নিয়ে নিজে পরে দেখুন আশা করি ভুলগুলো ধরতে পারবেন নিজেই। সত্যিকার অর্থে বলতে গেলে 'ম্যাপ অফ বোনস' বইটা অনেক বেশী তথ্যনির্ভর তাই কিছুটা ধীর গতির লেগেছে আমার কাছে তবে আরো বেশী ধীর লেগেছে অনুবাদের কারনে। শব্দচয়ন বাক্যগঠনরীতি এসব ঠিক থাকলে অনুবাদ পড়ে আসলেই মজা পাওয়া যায়। তবুও অনুবাদটা এতোটাও খারাপ হয়নি যে বলবো অখাদ্য বা পড়ার অযোগ্য কেননা তথ্যনির্ভর ব্যাপারগুলা খুব ভালোভাবেই বর্ণনা করেছে তাই বলা যায় ভালোই হয়েছে মোটামুটি ধরনের তবে আরেকটু ভালো করা যেত এই আর কি। যারা এখনো পড়েন নি পড়ে ফেলেন আশা করি ভালো লাগবে। বইয়ের সাথেই বন্ধুত্ব গড়ুক । By: Ian Holmes

      By Shuvagoto Dip

      31 Aug 2017 09:36 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা || রিভিউ || বই : ম্যাপ অব বোনস (সিগমা ফোর্স, #২) মূল : জেমস রোলিন্স অনুবাদ : রবিন জামান খান প্রকাশক : বাতিঘর প্রকাশনী প্রকাশকাল : তৃতীয় মুদ্রণ, ২০১৩ ঘরানা : কাল্ট থ্রিলার/মিস্ট্রি/হিস্টোরিক্যাল/অ্যাডভেঞ্চার পৃষ্ঠা : ৩৮৪ প্রচ্ছদ : ডিলান মুদ্রিত মূল্য : ৩৪০ টাকা জার্মানির কোলনে অবস্থিত একটা প্রাচীন ক্যাথেড্রালে প্রার্থনারতদেরকে জিম্মি করলো খ্রিস্টান সন্ন্যাসীদের পোষাক পরিহিত কিছু মানুষ। অদ্ভুত উপায়ে অথচ বিভৎসতার সাথে খুন করা হলো ওদেরকে। দুর্বৃত্তরা সেই ক্যাথেড্রাল থেকে সরিয়ে ফেললো প্রাচীন কিছু হাড়। ভয়াবহ ও ঘৃণ্য এই ঘটনা পুরো খ্রিস্টীয় সমাজকে কাঁপিয়ে দিলো এক নিমেষে। রোমের ভ্যাটিকানের শান্ত পরিবেশ বিঘ্নিত হলো ড্রাগন কোর্ট নামের এক আন্ডারগ্রাউন্ড কাল্টের দৌরাত্মের কারণে। হাজার বছরের পুরোনো এক অমীমাংসিত রহস্যের সন্ধানে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। যে রহস্যের সাথে জড়িয়ে আছে খ্রিস্টীয় ইতিহাসের বিখ্যাত তিন রাজা, যারা তিন ম্যাজাই হিসেবে পরিচিত তাদের নাম। এই ম্যাজাইদের হাড়ের জন্য পাগল হয়ে উঠেছে ড্রাগন কোর্ট। যেখানে যাচ্ছে সেখানেই বইয়ে দিচ্ছে রক্তগঙ্গা। ভ্যাটিকানের মতো পবিত্র স্থানও বাদ পড়ছেনা তাদের তাণ্ডব থেকে। সিগমা ফোর্সের দক্ষ দুই অপারেটিভ মঙ্ক কোক্কালিস ও ক্যাট ব্রায়ান্টকে নিয়ে মাঠে নামলো কমান্ডার গ্রেসন পিয়ার্স। তাদেরকে সাহায্য করার জন্য ভ্যাটিকান থেকে নিয়োগ দেয়া হলো মনসিগনর ভেরোনা ও ক্যারিবিনিয়ারি অফিসার র‍্যাচেল ভেরোনাকে। উদ্দেশ্য একটাই - এতোগুলো মানুষকে কেন খুন করা হলো সেটা জানা আর ড্রাগন কোর্টকে ঘৃণ্য এই ধ্বংসের খেলা থেকে থামানো। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে এলো সাপ। একাধিকবার কমান্ডার গ্রে ও তার টিমের ওপর প্রাণঘাতী হামলা করা হলো। যতোটা ভাবা গিয়েছিলো, ড্রাগন কোর্টের ষড়যন্ত্রের শেকড় তার চেয়েও যেন আরো অনেক গভীরে প্রোথিত! সিগমা নাকি ড্রাগন - কে কাকে তাড়া করে ফিরছে, সেটা বোঝাই একটা সময়ে অসম্ভব হয়ে দাঁড়ালো। ধুলিমলিন ইতিহাসের অলিতেগলিতে ঘোরাঘুরি শুরু হলো। চলতে লাগলো দারুন এক প্রতিদ্বন্দ্বিতা। রোম, ইতালি, মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া - চষে বেড়ানো শুরু হলো একে একে। সিগমা ফোর্স ও ড্রাগন কোর্টের এই দ্বৈরথকে আরেকটা ভিন্ন মাত্রা দিতেই যেন যুক্ত হলো সিগমা'র চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দ্য গিল্ডের অপারেটিভ শেইচান। আধুনিক বিজ্ঞান আর প্রাচীন ইতিহাস এই কাহিনিকে এগিয়ে নিয়ে চললো একেবারে পাশাপাশি। ব্যক্তিগত মতামত : জনপ্রিয় লেখক জেমস রোলিন্সের সিগমা ফোর্স সিরিজের দ্বিতীয় বই 'ম্যাপ অব বোনস' এর আগের বই 'স্যান্ডস্টর্ম'-এর মতোই দারুন উত্তেজনায় পরিপূর্ণ। খ্রিস্টীয় ইতিহাসের সাথে এই বইয়ে লেখক মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন টেকনোলজিক্যাল নানা বিষয়ের। 'ম্যাপ অব বোনস'-এ সিগমা টিমের নাছোড়বান্দা প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখানো হয়েছে বিতর্কিত আন্ডারগ্রাউন্ড কাল্ট ড্রাগন কোর্টকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে অসামান্য স্মার্টনেসের পরিচয় দিয়ে ড্রাগন কোর্ট সিগমা ফোর্সের চেয়ে একধাপ হলেও এগিয়ে থাকছে। তাদের এই হাড্ডাহাড্ডি টক্কর একজন থ্রিলারপ্রিয় পাঠক হিসেবে আমি দারুন উপভোগ করেছি। সেই সাথে ভালো লেগেছে র‍্যাচেল ভেরোনা ও গ্রেসন পিয়ার্সের মধ্যেকার কেমিস্ট্রি। ইতিহাসের অলিতেগলিতে বিচরণ তো এই উপন্যাসের রসাস্বাদনে হয়ে উঠেছে আরো সহায়ক। অনুবাদক রবিন জামান খানের তৃতীয় অনুবাদগ্রন্থ 'ম্যাপ অব বোনস'। অনুবাদ যথেষ্ট সুখপাঠ্য ও সাবলীল ছিলো। উপন্যাসটা পড়তে গিয়ে কোথাও বাধার সম্মুখীন হইনি দারুন অনুবাদের কারণে। তবে একটা জিনিস বিরক্তির উদ্রেক করেছে। সেটা হলো, রোলিন্স সাহেব সিগমা ফোর্স সিরিজের উপন্যাসগুলোতে প্রত্যেক সিকোয়েন্সেই সময় ও স্থান উল্লেখ করেন। অনুবাদক এই বইটা অনুবাদের সময় অনেক স্থানেই সময় ও স্থান উল্লেখ করেননি। এই ব্যাপারটার কারণে টানা পড়তে গিয়ে একটু হলেও বিভ্রান্ত হয়েছি। ছোটখাটো বানান ভুলও ছিলো কিছু জায়গায়। আরো একটা ব্যাপার চোখে লেগেছে। সেটা হলো শেইচান (Sheichan) কে শিচান লেখা। আশা করি ভবিষ্যতে এই ব্যাপারগুলো খেয়াল রাখবেন তিনি। মূল বই অবলম্বনে ডিলান সাহেবের প্রচ্ছদ ভালোই লেগেছে। 'ম্যাপ অব বোনস' সহ এ পর্যন্ত সিগমা ফোর্স সিরিজের তিনটা বই পড়লাম। বাকিগুলোও শীঘ্রই পড়ার ইচ্ছা আছে। রেটিং : ৪/৫ © শুভাগত দীপ

      By Rashel

      01 Feb 2017 11:29 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা। বই- ম্যাপ অব বোনস। লেখক- জেমস রোলিন্স। অনুবাদ- রবিন জামান খান। ধরন- টেকনো থ্রিলার। পৃষ্ঠা- ৩৮৪। প্রকাশনী- বাতিঘর। প্রধান চরিত্র- গ্রেসন পির্য়াস, র‌্যাচেল ভেরোনা, মনসিগনর ভেরোনা, মঙ্ক কোক্কালিস, ক্যাট ব্রায়ান্ট, শিচান, জেনারেল র‌্যান্ডি, ঘটনার শুরু ১১৬২ সালের মার্চ মাসে। জার্মান সীমান্তের কাছাকাছি তিনটি কফিন বহনকারী ওয়াগন হঠাৎ অ্যামবুশের শিকার হয়। হামলাকারীরা যে সাধারন কেউ নয় তা তাদের পোশাকেই বোঝা যাচ্ছিলো। তাদের বর্মের গায়ে লাল ড্রাগনের ছাপ তাদের পরিচয় প্রকাশ করছিলো। হামলায় ক্যারাভানের সবাই মারা যায়। কিন্তু কফিনগুলো খুলে হামলাকারীরা কিছুই খুজে পায় না। মরতে যাওয়ার আগে শেষ সময়ে ওয়াগন লীডার জোয়াকিমের এতোটুকুই স্বান্তনা যে ওরা কিছুতেই আর কফিনে লুকানো বস্তু খুজে পাবেনা। আসল কফিন সবার অগোচরে অন্যকোথাও লুকিয়ে রাখা হয়েছে। বর্তমান সময়… জার্মানির একটি ক্যাথলিক গির্জায় ভয়ানক হামলা হয়। ওখানে থাকা সব মানুষই মারা যায় তবে একজন ভাগ্যক্রমে বেচে যায়। হামলাকারীরা গির্জায় থাকা মূল্যবান ও দামি দামি বস্তু ফেলে কিছু হাড়ের গুড়ো নিয়ে যায়। সেখানে কিছু লোকদের গুলি করা হত্যা করা হলেও বাকিদের কোনো অদ্ভুত উপায়ে হত্যা করা হয়। সে পদ্ধতি নিরাপত্তা বাহিনীর অজানা। দুঃসাধ্য এই কেসের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে দেওয়া হয় সিগমা থেকে নিয়োজিত কমান্ডার গ্রেসন পির্য়াস ও তার টিমমেট ক্যাট ও মঙ্ককে ও ভ্যাটিক্যান থেকে নিয়োজিত মনসিগনর ভেরোনা ও লেফট্যানেন্ট র‌্যাচেল ভেরোনা কে। প্রথম অভিযানেই তারা বুঝতে পারেন তাদের প্রতিপক্ষ ড্রাগন কোর্ট নামক এক গোপন সংস্থা যারা গোপন জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আধিষ্ট হতে চায়। সেই সাথে সিগমার চিরশত্রু গিল্ডের একজন এজেন্ট শিচান যে শুরুতে কমান্ডার গ্রেসনকে একটা ধাক্কা খাইয়েছিলেন সেও ড্রাগন কোর্টের হয়ে কাজ করে। সবদিকেই তাদের একধাপ এগিয়ে থাকতে দেখা যায় ফলে তাদের হারানো রিতীমতো দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। মনসিগনর ভেরোনা বুঝতে পারেন ড্রাগন কোর্টকে হারাতে হলে সেই মোতাবেক জ্ঞান তাদের মাথায় রাখতে হবে। সুতরাং শুরু হয় ইতিহাস খোজার পর্ব। জানা যায় যেই হাড় নিয়ে এতো সমস্যা সেই হাড় হচ্ছে তিন ম্যাজাইয়ের হাড় যারা খৃষ্টিয় বিশ্বে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এবং এসব ব্যাপারের সাথে জটিল কিছু প্রাচীন বিজ্ঞান জড়িত। ফলে প্রতিটা রহস্য সমাধানের জন্য জার্মানি থেকে ভ্যাটিক্যান সেখান থেকে মিশর হয়ে আবার ফ্রান্সে দৌড়াতে হয় গ্রেসন ও র‌্যাচেলদের। অপরদিকে একটি অ্যামবুশের শিকার হয়ে র‌্যাচেল ও মঙ্ক ধরা পড়ে ড্রাগন কোর্টের হাতে। সেখানে র‌্যাচেল জানতে পারে তার শরীরেও ড্রাগন কোর্টের রয়্যাল ব্লাড বইছে। অপরদিকে কমান্ডার গ্রেসন পির্য়াস ফ্রান্সে পাড়ি জমান র‌্যাচেলকে উদ্ধারের জন্য। এদিকে ভ্যাটিক্যান থেকে তথ্য পাচার হয়ে যাচ্ছে। স্পষ্টতই ড্রাগন কোর্টের কেউ ভ্যাটিক্যানে নিয়োজিত আছে। ফলে সবদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে ড্রাগন কোর্ট। এমতাবস্থায় বেশ কঠিন একটা পরিকল্পনা হাতে নেন সিগমা কমান্ডার গ্রেসন ও মনসিগনর ভেরোনা। এবং হুট করেই পরিস্থিতিভেদে গিল্ড এজেন্ট শিচান গ্রেসনের হয়ে কাজ করার জন্য এগিয়ে আসে। হাতে আসা সূত্র থেকে ওরা যায় এক মহান সম্রাটের গোপন সমাধিতে যেখানে রয়েছে রহস্যের গুরুত্বর্পূণ চাবিকাঠি। জটিল এই পরিস্থিতি কি করে সামাল দেয় কমান্ডার গ্রেসন পির্য়াস? এই বইকে ড্যান ব্রাউনের দা দ্য ভিঞ্চি কোডের সাথে তুলনা করা যায়। বইটা অবশ্যই দুইবার করে পড়তে হবে এবং শুরুতে লেখকের বক্তব্য ভালোমতো পড়তে হবে। বইতে উল্লেখিত সমস্ত উপযোগ লেখকের কল্পনাপ্রসূত নয়। দ্য ভিঞ্চি কোডের মতো এই বইতেও অনেক খৃষ্টিয় গোপন ব্যাপার উঠে এসেছে। জানিনা এই বইটা নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো কিনা আবার দ্য ভিঞ্চি কোডের মতো। যারা ফিজিক্সে ভালো তাদের জন্য অবশ্য বইটা বুঝতে বেশ সুবিধাই হবে। ফিজিক্সের অনেক জটিল ব্যাপার বইতে এসেছে যা সহযে মাথায় ঢোকেনা। এজন্য দুইবার পড়তে হবে বইটা। ড্যান ব্রাউনের মতো জেমস রোলিন্সও বিভিন্ন সিম্বল ও গ্রন্থের ব্যাপার এনেছেন। তবে কোনোটাই কাল্পনিক নয়। তার বক্তব্য অনুযায়ী ড্রাগন কোর্টও বাস্তবে বিদ্যমান তবে তিনি যেভাবে বইতে তাদের নেগেটিভ ভাবে উপস্থাপন করেছেন তেমনটা নয়। বইটা জটিল লাগার মূল কারন আমার মতে প্রচুর ফিজিক্সের আলোচনা, প্রাচীন বিজ্ঞান, খৃষ্টীয় মিথ যেসব সর্ম্পকে আমাদের উপমহাদেশের মানুষদের ধারনা কম ও ভৌগলিক স্থান যা আমরা খুব একটা দেখিনি। সে যাই হোক, যারা জটিল রহস্য ও সিম্বলিজম ভালোবাসেন তাদের জন্য এটা একদম আদর্শীয় একটা বই। এই বইও বেশ আলোড়ন তুলেছিলো। তবে দ্য ভিঞ্চি কোডের মতো নিষিদ্ধ হতে হয়নি। দ্য ভিঞ্চি কোড এগিয়ে থাকবে না ম্যাপ অব বোনস তা আপনারাই পড়ে সিদ্ধান্ত নিন। রেটিং- ৪.৯০/৫.০০

      By A MAHMUD

      02 Nov 2019 09:05 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই সংক্ষেপণঃ জার্মানির কোলনে প্রাচীন এক ক্যাথড্রালে একদল প্রার্থনারত মানুষ মানুষদের অজানা নিষ্ঠুর পদ্ধতিতে খুন করে সন্ন্যাসীর পোশাক পরা ডাকাতদল। ক্যাথেড্রালে রাখা মূল্যবান গুপ্তধন ফেলে তারা নিয়ে যায় পুরোনো কিছু হাঁড়। খ্রিস্টিয় ইতিহাসের প্রাচীনতম তিন রাজার এই হাঁড়ের আড়ালে লুকানো আছে অজানা এক নির্দেশনা, যার ভিত ঊন্মোচিত হলে মহাবিপর্যয়ের মুখে পতিত হবে মানবসভ্যতা। বিপর্যয় ঠেকাতে তদন্তে নিয়োগ দেয়া হয় আমেরিকান সিগমা ফোর্স এজেন্ট কমান্ডার গ্রেসন পিয়ার্স আর তার দলকে, তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসে ভ্যার্টিকান বিশেষজ্ঞ ভেরানা আর লেফটেন্যান্ট র‍্যাচেল। সম্মিলিতভাবে তদন্ত শুরু করতেই বাধার সম্মুখীন হয় তারা। একের পর এক আক্রমণ আর ধ্বংসযজ্ঞের মুখে জীবনবাজি রেখে তার এগিয়ে যেতে থাকে অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে। একদিকে বাইবেল, ইতিহাস, মিথ আর বিজ্ঞানের দূর্ভেদ্য পাজল আর অন্যদিকে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ, কমান্ডার গ্রেসনের দল কি পারবে বিপর্যয় ঠেকাতে? অত্যাধুনিক বিজ্ঞান, প্রাচীন মিথ, খ্রিস্টিয় উপাখ্যান, দুর্দান্ত অ্যাকশন আর দুর্ধর্ষ অ্যাডভেঞ্চার নির্ভর এই বইয়ের পটভূমি আবর্তিত হয়েছে পুরনো চার্চ, ক্যাথেড্রাল, আলেকজান্দ্রিয়া সমুদ্রতল থেকে শুরু করে ভ্যাটিক্যানের সেইন্ট পিটার ব্যাসিলিকার তলা পর্যন্ত। যারা ধর্মীয় মিথ, অত্যাধুনিক বিজ্ঞান আর অ্যাকশন ভালোবাসেন তাদের জন্য বইটি একটি রোলার কোস্টার রাইড। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ "আমাজনিয়া" "সিগমা ফোর্স" খ্যাত জেমস রোলিন্স এর এই বইটি এক শব্দে অসাধারণ লেগেছে। বইটিতে একই মলাটে ইতিহাস, প্রাচীন নিদর্শন এর সাথে বর্তমানের বৈজ্ঞানিক রিসার্চ, সায়েন্টিফিক গবেষণার সমন্বয় করেছেন লেখক সাহেব। বইয়ের প্রথমেই তিনি বলে দিয়েছেন এই সকল বিষয় সত্য। সবমিলিয়ে প্রিয় লেখকের বইটি আমার কাছে ভালো লেগেছে। বলে রাখা ভাল, এটা সিগমা ফোর্স এর ২য় সিকুয়েন্স।

      By Golam Murtoza Ali

      30 Oct 2019 01:34 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বর্তমান সময়ে থ্রিলার জনরার রাজপুত্রই বলে যায় জেমস রোলিন্সকে। তবে এ ব্যাপারে আমি কিছুটা সন্ধিহান যে, ওনার বইগুলোকে কোন জনরায় ফেলা যায়? প্রাচীন খ্রীস্টিয় মিথ - এটা নিয়ে আমার উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। তবে এটা জানা ছিল না খ্রিস্টানদের বাইবেল চারটি গসপেলের উপর স্তম্ভিত! প্রথমটা ম্যাথিউ, দ্বিতীয়টা মার্ক, আর তৃতীয়টা লিউক আর সর্বশেষটা জনের। তবে খটকার বিষয় হচ্ছে প্রথম তিনজনের গসপেলে প্রায় এক-ই রকম কথা বলা হয়েছে। তবে জনের গসপেলে বলা হয়েছে তার চেয়ে ভিন্ন কিছু, যা আগের তিনটা গসপেলের সাথে কিছুতেই মিলে না, এমনকি যীশু'র জীবনকাহিনীও না। তাহলে ওটাকে বাইবেলে অন্তর্ভূক্ত করা হল কেন? পাঠক নিজ দায়িত্বে জেনে নেবেন

      By Moheeb Ullah

      24 Jul 2018 10:05 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Proofreading was poor. I did not enjoy reading this book.

      By Wazedur Rahman Wazed

      19 Dec 2017 10:09 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      জেমস রোলিন্স মানেই অ্যাকশন, অ্যাডভেঞ্চার আর থৃলার। এই তিন ক্যাটাগরির বরপুত্রও বলা যায় তাকে অনায়াসেই। হাজার বছরের পুরানো মিথ/ইতিহাসের সাথে আধুনিক বিজ্ঞানের যোগসূত্র আর সাথে গিল্ড কিংবা হাজার বছরের লুকায়িত গুপ্তসংঘ কিংবা কাল্টের ক্ষমতা দখলের ব্যাপকতা আর এদের প্রতিরোধ করার জন্য আছে সিগমা ফোর্স। হ্যা জেমস রোলিন্সের লেখা অন্যতম জনপ্রিয় সিরিজ সিগমা ফোর্স নিয়েই কথা বলতে চাচ্ছিলাম। প্রথম পর্ব 'স্যান্ডস্টর্ম' এর মুগ্ধতা নিয়ে পড়ে ফেললাম সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব বা বই 'ম্যাপ অফ বোনস'। এটাই জীবন....খুঁজে যাওয়া....সত্যের সন্ধান করা....অন্ধকার থেকে আলোতে.....!! ধর্মীয় মিথ, অত্যাধুনিক বিজ্ঞান, অ্যাডভেঞ্চার আর দুর্দান্ত অ্যাকশনের এক রোলার কোস্টার রাইড হলো 'ম্যাপ অফ বোনস'। অত্যাধুনিক বিজ্ঞান, প্রাচীন মিথ, খ্রিষ্টীয় উপাখ্যান, দুর্দান্ত অ্যাকশন আর দুর্ধর্ষ অ্যাডভেঞ্চার নির্ভর এই বইয়ের প্রেক্ষাপট গড়ে উঠেছে পুরানো চার্চ, ক্যাথেড্রাল, আলেকজান্দ্রিয়ার সমুদ্রতল বা শতাব্দী আগে ধ্বংস হওয়া আলেকজান্দ্রিয়া বাতিঘর অথবা হারিয়ে যাওয়া মহাবীর আলেকজান্ডার দি গ্রেটের সমাধীসৌধ থেকে শুরু করে সেন্ট পিটার ব্যাসিলিকার তলা হয়ে ফ্রান্সের এভিগননে ঐতিহাসিক টেম্পলারদের নির্মিত গথিক দুর্গ খ্যাত পাপাসির প্রাসাদের অভ্যন্তরের অতলে গোপন গুপ্তধন পর্যন্ত। এর সাথে আরো যুক্ত হয়েছে যীশুর দুই শিষ্য পিটার আর টমাসের দ্বন্দ্ব কিংবা সেই আর্ক অফ কভিনেন্টের অমূল্য পাউডার অথবা হাজার বছর পুরানো অ্যালকেমিস্ট কাল্টের বিজ্ঞান চর্চা সূত্রপাত অথবা ক্ষমতালোভী ড্রাগন কোর্টের মতো গুপ্ত সংঘ। কাহিনীচিত্র : গল্পের শুরুটা আপনাকে নিয়ে যাবে এখন থেকে আরো কতক শতক আগে আই মিন বারশো শতকের শুরুতে যেখানে আপনি জানতে পারবেন খ্রিষ্টীয় উপাখ্যানের অন্যতম সেরা তিন ম্যাজাইয়ের হাড়ের গুপ্তপাচার সম্পর্কিত ঘটনা। যেখানে একদল গুপ্তসংঘ চায় সেই তিন ঐতিহাসিক ম্যাজাইয়ের হাড় চুরি করে নিজেদের আয়ত্ত করতে আর চার্চ চায় নিজেদের ধর্মকে বাচিয়ে রাখতে। এই ঘটনা মাথায় রেখে আপনি একটানে চলে আসবেন আধুনিককালে জার্মানের কোলন শহরের এক নামকরা প্রাচীন ক্যাথেড্রালে যেখানে একদল মানুষ প্রার্থনারত অবস্থায় খুবই অস্বাভাবিকভাবে মারা যায়। একদল সন্ত্রাস মঙ্ক সেজে এসে রীতি অনুযায়ী রুটি আর ওয়াইনের মধ্যে কিছু একটা মিশিয়ে প্রার্থনারত লোকদেরকে খেতে দেয় যার ফলশ্রুতিতে এক আশ্চর্যজনক শক্তির প্রভাবে তাদের মৃত্যু হয় এদের মধ্যে যারা রুটি আর ওয়াইন খায় নি তাদের নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করে। আর যাওয়ার সময় সোনায় মোড়ানো তিনটা কফিন ফেলে রেখে নিয়ে যায় তার ভিতরে থাকা তিন ম্যাজাইয়ের তিনটা হাড়। তারা কারা কি চায় আর কেনইবা এতগুলো লোককে নৃশংসভাবে খুন করলো এসবের কোন কিছুই কেউ জানে না। কোলনের এই ম্যাসাকার ঐতিহাসিক এক ঘটনার দিকেই ইঙ্গিত দেয়। তদন্তের দায়ভার পড়ে সিগমা ফোর্সের অন্যতম সেরা সৈনিক আর বৈজ্ঞানিক কমান্ডার গ্রেসন পিয়ার্স। আর তার সাথে যুক্ত হয় ক্যাট ব্রায়ান্ট আর মঙ্কের মতো দুর্ধর্ষ সৈনিক। একইসাথে এই তদন্তের সাহায্যে এগিয়া আসে এসপানিওজ এজেন্ট মগসিগনর ভেনোরা আর তার ভাস্তি ক্যারিবিয়ানি ফোর্সের লেফটেন্যান্ট র‍্যাচেল। এতবড় ম্যাসাকার অথচ কোন ক্লু'ই খুঁজে পাওয়া যায় না। অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে কমান্ডারের দলের সবার সহযোগিতায় ক্লু মেলে ওই ম্যাজাইয়ের হাড়ে এমন কোন বস্তু ছিলো যা এক আশ্চর্যরকম শক্তির সৃষ্টি করে। আর এই পাউডারটা বাইবেলে বর্ণিত ঐতিহাসিক মান্না পাউডারের দিকেই ইঙ্গিত দেয় যা যুগ যুগ ধরে হোয়াইট পাউডার কিংবা ফিলোসফার'স স্টোন নামে ব্যাপক পরিচিত। আর এই পাউডার যদি একবার সেই সন্ত্রাস দল তথা ড্রাগন কোর্টের হাতে নাগালে আসে তাহলে কোলনের ম্যাসাকারটা হয়তো পুরো বিশ্বজুড়েই হবে। এরি মধ্যে ভেরোনা থেকে শুরু করে টিমের সব মেম্বারের উপরই ড্রাগন কোর্টের অ্যাটাক আসে। এমনকি কমান্ডার গ্রেসন পিয়ার্সকেও কেউ একজন একটা ডাবল ড্রাগন পেন্ড্যান্ট দিয়ে যায় যার মানে দাঁড়ায় শত্রুপক্ষ তার অপেক্ষায়। ইতিহাসবেত্তা মনসিগনর ভেরোনা তার টিমকে জানায় বাইবেলের একটি শ্লোকের ব্যাপারে যা একটি ধাধার মতো। ধাধা সমাধানের লক্ষ্যে ওরা ছুটে যায় ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার ব্যাসিলিকার অভ্যন্তরে কিন্তু ড্রাগন কোর্টের সাথে যৌথ গঠিত গিল্ড টিমের কাছে ধরা পড়ে যায় কমান্ডার গ্রেসন পিয়ার্স আর তার টিম। গিল্ডের সেই মেয়েটি ডাবল ড্রাগন পেন্ড্যান্ট দেয়া শিচান কমান্ডারের কপালে বন্ধুক ঠেকায় ড্রাগন কোর্টের রাউলের নির্দেশে কিন্তু বরাবর কপালে গুলি না করে ওকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে কিন্তু কেন...? টিমের সবার সহযোগিতায় সবাই পালিয়ে ছুটে যায় মিশরে যেখানে শায়িত আছেন বীরদের বীর আলেকজান্ডার দি গ্রেট। কেননা বাইবেলের সেই স্লোকের সাথে আলেকজান্ডারের কথা খুব ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ওরা ছুটে যায় পানির নিচের দুর্গের খোজে যেখানে শায়িত আছেন আলেকজান্ডার দি গ্রেট। ওরা খুজে পায় সমাধি সেই সাথে খুজে পায় একটা সোনার চাবি যা পরবর্তী শ্লোকের সমাধানে অবশ্যই দরকার আর সমাধানটা আছে ফ্রান্সের এভিগননে পাপাসির প্রাসাদে। কিন্তু দেরী হয়ে গেছে অনেক দেরী। এরিমধ্যে র‍্যাচেল আর মঙ্ককে ধরে নিয়ে গেছে ড্রাগন কোর্ট এর সাথে র‍্যাচেলের নানুকেও তুলে এনেছে ওরা টর্চারের জন্য। কিন্তু এরিমধ্যে ভেরোনা আর ক্যাট ফ্রান্সের উদ্দেশ্যে চলে গেছে ধাধার সমাধানটা করতে। রাউল র‍্যাচেলের মুখ থেকে কথা বের করার জন্য মঙ্ককে টর্চার করে ওর হাত কেটে ফেলে। র‍্যাচেল সহ্য করতে না পেরে ও যা জানে তা কিছুটা বললেও নানুর টর্চার টেবিলেই একেবারে আগাগোড়া পুরোটাই বলে দেয় ড্রাগন কোর্টকে কিন্তু এর পরই র‍্যাচেল জানতে পারে ওর নানুও এই ড্রাগন কোর্টের মেম্বার আর র‍্যাচেলের সাথে আগে থেকেই রাউলের বিয়ে ঠিক হয়ে আছে যা ড্রাগন কোর্টের বংশধারা দরে রাখবে কিন্তু র‍্যাচেল তো এরিমধ্যে দুই দুইবার তার জান বাচানোর জন্য কমান্ডার গ্রে কে তার মন দিয়ে বসে আছে। আর রাউল ওদিকে র‍্যাচেলকে নিয়ে স্বপ্নে বিভোর যে কোন মূল্যেই র‍্যাচেলকে চাই রাউলের। গ্রে কি পারবে র‍্যাচেলকে রাউলের থেকে মুক্ত করে নিজের করে নিতে...? ওদিকে, ফ্রান্সের পোপের প্রাসাদের নীচেই খুজে পাওয়া যায় হাজার বছরের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য আর ইতিহাস। কিন্তু ড্রাগন কোর্টের লোকেরা এসে হাজির। ভেরোনার কলিগ আলবার্তো মেরান্ডি আর র‍্যাচেলের বস জেনারেল র‍্যান্ডিও ওদের সাথেই যুক্ত। ড্রাগন কোর্টের আদেশেই র‍্যাচেল আর কমান্ডার গ্রে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটা শুরু করামাত্রই ভুমিকম্পের মতো কম্পন শুরু হয়। এক অদ্ভুত আশ্চর্যজনক শক্তির প্রভাব ওরা টের পায়। পায়ের নিচে থাকা গ্রানাইটের ব্লকগুলো অনেক জোড়ে কাঁপতে থাকে। টাল সামলাতে না পেরে ড্রাগন কোর্টের এক সৈনিক পড়ে যায় কাচের ব্লকের উপর কিন্তু সাথে সাথে দেহটা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সবার কোলনের ম্যাসাকারের কথা মনে পড়ে যায়। এই পাউডারের ক্ষমতা সম্পর্কে সবাইই টের পায়। কিন্তু ভেরোনার পেটে গুলি চালিয়েছে রাউল ওদিকে মঙ্ক, ক্যাট আর শিচানকে আটকে রেখেছে ড্রাগন কোর্টের গার্ডরা। আর এদিকে র‍্যাচেল আর গ্রে যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেখানের ব্লকগুলোর চারিপাশে কাচের ব্লক যেখানে সাক্ষাৎ মৃত্যু অবধারিত। গ্রে জানে এখন ওদের চাবিটা দিয়ে দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। আর চাবিটা দিয়ে দেয়া মানে পৃথিবী ধ্বংসের মুখে পতিত হওয়া। আবার ওদিকে ভেরোনা মারা যাচ্ছে ওকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে কিন্তু চাবিটা দিলে ওকে ড্রাগন কোর্ট বাঁচিয়ে রাখবে না কিন্তু র‍্যাচেলকে ওরা নিয়ে যাবে ঠিকই। কমান্ডার গ্রেসন পিয়ার্স এখন কি করবে....? কে কমান্ডার গ্রেসন পিয়ার্সকে সাহায্য করবে যেখানে মেরান্ডি আর জেনারেল র‍্যান্ডির মতো লোকও ড্রাগন কোর্টের সাথে হাত মিলিয়েছে। হয়তোবা সিগমাতেও এমন কোন লিক আছে। গ্রে ভেবে কোন কুলকিনারা পায় না। কি করবে এখন গ্রে....? র‍্যাচেলই বা কি করবে...? ওদের দুজনার কি মিল হবে নাকি রাউল র‍্যাচেলকে তুলে নিয়ে যাবে...? শিচান কি আসলেই রাউলের নিজের লোক যে কিনা এতক্ষন গ্রে কে ধোকা দিয়ে যাচ্ছে নাকি অন্য কেউ ওকে নিয়োগ দিয়েছ..? মনসিগনর ভেরোনা কি বেচে যাবে...? হাজার বছরের হারানো ঐতিহ্য আর ঐতিহাসিক এই পাউডার কি তবে ড্রাগন কোর্টের হাতেই যাবে...? বাকিটা জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে পড়তে হবে জেমস রোলিন্সের সিগমা সিরিজের দ্বিতীয় পর্বের বই 'ম্যাপ অফ বোনস'। লেখক প্রসঙ্গে কিছু বলার নেই তেমন কারন জেমস রোলিন্স মানেই থৃলার, অ্যাডভেঞ্চার আর অ্যাকশনের রোলার কোস্টার রাইড। পেশাতে পশু ডাক্তার হলেও প্রচুর রিসার্চ আর পড়ালেখার ফল এই ম্যাপ অফ বোনস। আর, তাছাড়া রিসার্চ ইউনিটে রোলিন্সের কিছু পরিচিত লোক থাকাতে উনার ব্যাখ্যাগুলো এতটা সুন্দরভাবে উপস্থাপিত হয়। এবার আসি অনুবাদকের কথায়। ভাই আপনি খুব কষ্ট করেই কাজটা করেছেন তাই আপনার কাজের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি আরো একটু ভালো করার চেষ্টা করুন দয়া করে। পুরা অনুবাদটা তৈরী করে দরকার হলে দুইদিন রেস্ট নিয়ে নিজে পরে দেখুন আশা করি ভুলগুলো ধরতে পারবেন নিজেই। সত্যিকার অর্থে বলতে গেলে 'ম্যাপ অফ বোনস' বইটা অনেক বেশী তথ্যনির্ভর তাই কিছুটা ধীর গতির লেগেছে আমার কাছে তবে আরো বেশী ধীর লেগেছে অনুবাদের কারনে। শব্দচয়ন বাক্যগঠনরীতি এসব ঠিক থাকলে অনুবাদ পড়ে আসলেই মজা পাওয়া যায়। তবুও অনুবাদটা এতোটাও খারাপ হয়নি যে বলবো অখাদ্য বা পড়ার অযোগ্য কেননা তথ্যনির্ভর ব্যাপারগুলা খুব ভালোভাবেই বর্ণনা করেছে তাই বলা যায় ভালোই হয়েছে মোটামুটি ধরনের তবে আরেকটু ভালো করা যেত এই আর কি। বইয়ের সাথেই বন্ধুত্ব গড়ুক। হ্যাপি রিডিং :)

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!