User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইঃ দ্যা শার্লকিয়ান লেখকঃ গ্রাহাম মূর ১৮৯৩ থেকে ১৯০১। এই পুরো সময়টা শার্লক হোমস বিশ্ববাসীর কাছে মৃত ছিল। আর তাকে হত্যা করেন তারই স্রষ্টা স্যার আর্থার কোনান ডয়েল। “দ্যা ফাইনাল প্রবলেম” গল্পের শেষ পর্যায়ে এসে হোমসকে রাইখেনবাখ ঝর্ণা থেকে নিচে ফেলে কেন হত্যা করেছিলেন তাকে? তবে কি স্যার ডয়েল তার সৃষ্টিকে ঈর্ষা করতেন? হোমসকে মেরে ফেলে দিয়ে এদিকে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের এক খুনের তদন্তে একাই নেমে পড়েন। “এটা ওই ব্লাডি শার্লক হোমসের কেস নয়। এই কেসটি তার স্রষ্টার জন্য উপযুক্ত।” এমনটাই বলেছিলেন তিনি ইন্সপেক্টর মিলারকে। এ তদন্তে তার ওয়াটসন ছিলেন আরেক কিংবদন্তি, কাউন্ট ড্রাকুলার স্রষ্টা ব্রাম স্ট্রোকার। এদিকে বর্তমান সময়ে, ৬ জানুয়ারি ২০১০। আজ শার্লক হোমসের জন্মদিন। সারা বিশ্ব থেকে শার্লকপ্রেমী ও গবেষক, যারা নিজেদের শার্লকিয়ান বলে তারা এক সমাবেশে অংশগ্রহন করেছে নিউ ইয়র্কে। তবে এখানেও খুন। আর এই খুনের তদন্তে নামল এক শার্লকিয়ান, তার অসংখ্য বই পড়ার জ্ঞান দিয়ে। একশ বছর আগের স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডে ঘটে যাওয়া খুন আর এই খুন কি তবে একি সুত্রে গাথা? জানতে হলে বইটি পড়া ছাড়া উপায় নেই। দুটি ভিন্ন সময়ের গল্প একদম সমান্তরাল ভাবে এগিয়ে গেছে। “আপনি শার্লক হোমসের ভক্ত না হলেও শতভাগ আনন্দ পাবেন, আর ভক্ত হলে তো কথাই নেই।” Happy reading
Was this review helpful to you?
or
শার্লোক হোমসের পদাঙ্ক অনুসরনকারীদের বলা হয় শার্লোকিয়ান। একি সাথে স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের সময়কাল এবং বর্তমান সময়কাল নিয়ে কাহিনী এগিয়ে যায়। দুর্দান্ত সব টুইস্ট এবং অসাধারন স্টোরি লাইন। গ্রাহাম মুরের সেরা কাজ এটিই।
Was this review helpful to you?
or
“দ্য শার্লোকিয়ান” বইটি পড়া শেষ হল, অসাধারণ এক অনুভূতির মধ্যে দিয়ে।বইটি অবশ্যই আমার এখন পর্যন্ত পড়া সেরা লেখাগুলোর একটি।গত কয়েকমাসে এ ধরনের কোন বই পড়েনি।এ ধরনের বলতে আমি বইটি পড়ার সময়ে অনুভূতির কথা বলছি।“এই বই না শেষ করা পর্যন্ত শান্তি নেই”অনুভূতিটা এরকম। গ্রাহাম মুর এর লেখা “দ্য শার্লোকিয়ান”।অনুবাদ করেছেন জেসি মেরী পিনারু।দুজনেরই এটা প্রথম কাজ এবং প্রথম কাজেই তারা যে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন তা অতুলনীয়। গ্রাহাম মুর এর লেখা যেমন জাদুকরী,স্নায়ুউত্তেজক;জেসি মেরী পিনারু এর অনুবাদও তেমনি প্রাঞ্জল এবং মানসম্পন্ন।আমার মনে হয় না আগে থেকে কেউ না জানলে কেউ বুঝতে পারবে এটাই তাদের প্রথম কাজ। বইটিতে একই সাথে দুটো ঘটনা প্রবাহ চলেছে।একটি ২০১০ সাল বর্তমান সময়ে,অন্যটির সুত্রপাত ১৮৯৩ সালে হলেও মূলত ১৯০০ সালের।প্রথম ঘটনা প্রবাহ শুরু হয় ১৮৯৩ সালে শার্লোক হোমসের হত্যার মধ্য দিয়ে যা করেন স্বয়ং স্যার আর্থার কোনান ডয়েল।শার্লোক হোমসের মাত্রাতিরিক্ত সাফল্য ছিল এর কারন।লোকে তার চেয়ে তারই সৃষ্টি শার্লোক হোমসের প্রতি আগ্রহী।শার্লোক হোমস তার চেয়ে অনেক বেশি জনপ্রিয়।মানুষ এমনকি অটোগ্রাফ চাইলেও তার নামে চায় না শার্লোক হোমসের নামে চায়।এসব সহ্য করতে না পেরে তিনি ঠাণ্ডা মাথায় শার্লোক হোমসকে খুন করলেন তার স্টাডিতে বসে।যার প্রতিক্রিয়া শুরু হয় গল্পটি প্রকাশের পর থেকে।সবাই ক্ষিপ্ত তার উপরে।এক বুড়ি মহিলা এ জন্যে তাকে তো আক্রমণও করে বসে।এসবের মধ্যে দিয়ে ঘটনা যায় ১৯০০ সালে,যখন কেউ একজন আর্থার এর কাছে পাঠাল পত্রবোমা।এই সময়ে তিনি জানতে পারলেন এক খুনের কথা।তিনি যে শার্লোক হোমসের চেয়ে কম নয় কিছুটা সম্ভবত তা প্রমানের তাগিদেই নামলেন এর তদন্তে।অন্যদিকে ২০১০ সালের ঘটনাও একটি খুন দিয়ে শুরু।এই ঘটনা প্রবাহের কেন্দ্রে রয়েছে হলিগ্রেইল হিসেবে খ্যাত আর্থার এর হারিয়ে যাওয়া ডায়েরি।খুনি আর ডায়েরির খোঁজে নামে হ্যারল্ড।তার সঙ্গী সারাহ।এই দুই সময়ের দুই রহস্য নিয়েই কাহিনী এগিয়ে চলেছে।আর লেখক দুটি ক্ষেত্রেই রহস্য শেষ পর্যন্ত বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এখানে বলে রাখা ভালো,ঘটনা প্রবাহ দুটি কিন্তু পাশাপাশি চলেছে।এই বইটিতে স্যার আর্থার কোনান ডয়েল নিজেই এক চরিত্র।তবে শুধু তিনি নন এখানে দেখা পাবেন আরও এক বিখ্যাত লেখককে অন্যতম এক চরিত্র হিসেবে।কিন্তু আমি সঙ্গত কারনেই তার নাম প্রকাশ করছি না ,যাতে যারা এখনো বইটা পড়েননি তারা কোন আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয়।বইটিতে রহস্যের পাশাপাশি রয়েছে নানা তথ্য যা শতভাগ সত্য।নানা ঐতিহাসিক সত্যের সাথে কল্পনার মিশেলে লেখা বলে লেখক বইটিকে বলেছেন ঐতিহাসিক ফিকশন। (এই প্যারার লেখাগুলোকে কারো কারো কাছে spoiler মনে হতে পারে।)----------বইটির এক পর্যায়ে দেখা যায় তদন্তের স্বার্থে এক লোকের সাথে দেখা করেন আর্থার।সেই লোক শার্লোক হোমসের একজন ভক্ত।সে আর্থারকে বলে শার্লোক হোমসকে ফেরত আনা উচিত আবার এবং কিভাবে আনা উচিত তারও একটা বিশদ বর্ণনা দেয়।এই অংশটি আমার বেশ ভালো লেগেছে।এরকম আরও অনেক ভালো লাগার জায়গা থাকলেও আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে প্রত্যেক অধ্যায় শুরুর আগের লাইনগুলো।যেমন অধ্যায় ১ এর আগে লেখা- “দয়া করে এই বিষয়টি তোমার মস্তিষ্কের রন্ধে রন্ধে ধারণ করে নাও-পুতুল এবং নির্মাতা কখনোই অভিন্ন নয়”-স্যার আর্থার কোনান ডয়েল,লন্ডন অনপিওন। আগেই বলেছি লেখক বইয়ের শেষ পর্যন্ত রহস্য বজায় রাখতে পেরেছেন।শুধু রহস্য নয় পাঠকদের আগ্রহও তিনি শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পেরেছেন।আমার ক্ষেত্রে তো বইটি যে হারে শেষের দিকে এগিয়েছে তার বর্গের সমানুপাতিক হারে আগ্রহ বেড়েছে!বইটিতে যখন ১৯০০ সাল থেকে ২০১০ সালের ঘটনায় যাচ্ছে বা ২০১০ থেকে ১৯০০ সালের ঘটনায় যাচ্ছে তখন যে কি বিচিত্র একটি অনুভূতি কাজ করেছে তা আমি বলে বুঝাতে পারবনা।একই সাথে দুটো ঘটনা জানতে ইচ্ছা করে তখন।কিন্তু সুযোগ থাকে শুধু একটি পড়ার।আসলে এই অনুভূতিটি আমার পক্ষে বর্ণনা করা সম্ভব নয়!আমি এই অনুভূতির হাত থেকে বাঁচার জন্য গতকালকে দুপুর বারোটায় বইটি পড়া শুরু করে গতকালকেই শেষ করেছি। লেখকের প্রতি(যদিও আমি জানি কখনই সে লেখাটি পড়ার সুযোগ পাবেনা!!!) গ্রাহাম মুর প্রথমেই জানাই আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন এরকম একটি লেখা উপহার দেবার জন্য।আশা করি আপনার কাছ থেকে আরও এ ধরনের লেখা পাব। অনুবাদকের প্রতি- জেসি মেরী পিনারু প্রথমেই বলি আপনি অনবদ্য অনুবাদ করেছেন।আপনাকে এজন্য ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন।বইটির শেষে আপনার পরিচিতি অংশ থেকে জানতে পেরেছি মৌলিক লেখার ইচ্ছাও রয়েছে আপনার।তাই আপনার কাছ থেকে ভবিষ্যতে শুধু অনুবাদ নয় মৌলিক লেখা পাবারও আশা রাখছি।আর আপনার কাছে একটি প্রশ্ন।প্রশ্নটি যদিও করা উচিত গ্রাহাম মুরকে,কিন্তু তাকে আমি পাব কোথায়?!তাই আপনাকেই করছি।বইটির সব অধ্যায়ের নাম থাকলেও ৫,২৬,৪১ এই অধ্যায়গুলোর কোন নাম নেই।তার কারন কি? বিঃদ্র-রিভিউটি ২৭/০৫/২০১৪ তারিখে লেখা।
Was this review helpful to you?
or
গ্রাহাম মুর এর লেখা এবং জেসি মেরী পিনারু এর অনুবাদও অসাধারণ। শার্লোক হোমসের পদাঙ্ক অনুসরনকারীদের বলা হয় শার্লোকিয়ান।এই বইটিতে স্যার আর্থার কোনান ডয়েল নিজেই এক চরিত্র।একই সাথে দুটো ঘটনা প্রবাহ চলেছে বইটিতে।ঘটনাপ্রবাহ এক ...সাল ১৮৯৩... শার্লোক হোমসের হত্যার মধ্য দিয়ে যা করেন স্বয়ং স্যার আর্থার কোনান ডয়েল।শারলক হোমসের মাত্রাতিরিক্ত সাফল্লে হিংসা এয় বন্ধু ও উপন্যাসিক সাইলাস হকিং সাথে আলাপচারিতায় জানালেন শারলক হোমসের আর এই পৃথিবীতে কোন প্রয়োজন নেই। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি খুন করবেন শারলককে। তার কয়েক রাত পড়েই স্যার আর্থার তাঁর স্টাডিতে বসে খুন করলেন শারলক হোমসকে। গল্পটি প্রকাশের পর সবাই ক্ষিপ্ত তার উপরে।। ঘটনাপ্রবাহ দুই....। ২০১০ সাল...বর্তমান সময়ে...একটি খুন দিয়ে শুরু।হেরাল্ড হোয়াইট বেকার স্ট্রিট ইররেগুলারসে যোগদান করল। এক ব্রিটিশ শারলোকিয়ান এলেক্স কেল বাৎসরিক শারলোকিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে আসছেন এবং উন্মোচন করবেন স্যার আর্থারের হারিয়ে যাওয়া ডায়েরি।কিন্তু সে কেন সম্মেলনে এসে পৌছাতে দেরি করছে? নাকি সে খুন হয়েছে??? হেরাল্ড সিদ্ধান্ত নিল এই হারান ডায়েরি খুঁজে বের করার। এই বইয়ের দুইটি ঘ.টনা প্রবাহ। প্রবাহ দুটি কিন্তু পাশাপাশি চলেছে। আগেকার আমলের লেখা স্যার আর্থারকে নিয়ে লেখা অংশটুকু ।আর অন্যদিকে বর্তমান সময়কালের অংশটুকু যেখানে হেরাল্ড হারান ডায়েরির খোঁজে নামে।স্যার আর্থার কোনান ডয়েলকে নিয়ে অনেক অজানা সুন্দর মজার তথ্য জানতে পাড়া যায় এই বইয়ের মাধ্যমে।
Was this review helpful to you?
or
“ওহ! আমি পাগল হয়ে যাব। তাকে আমি সহ্য করতে পারছি না। আমি তাকে খুন করবো”- স্যার আর্থার কোনান ডয়েল। ঘটনাপ্রবাহ ১ – সাল ১৮৯৩- স্যার আর্থার কোনান ডয়েল, শারলক হোমসের মাত্রাতিরিক্ত সাফল্লে হিংসায় জর্জরিত হয়ে রাইখেনবাখ ঝর্নায় বন্ধু ও উপন্যাসিক সাইলাস হকিং সাথে আলাপচারিতায় জানালেন শারলক হোমসের আর এই পৃথিবীতে কোন প্রয়োজন নেই। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি খুন করবেন শারলককে। তিনি শুধু ওয়াটসনের সাহিত্যের এজেন্ট হয়ে থাকতে চান না। তার কয়েক রাত পড়েই স্যার আর্থার তাঁর স্টাডিতে বসে খুন করলেন শারলক হোমসকে। তিনি অবশেষে মুক্তি পেলেন এক মহা যন্ত্রণা থেকে। সাল ১৯০০- পুরো ইংল্যান্ড উত্তপ্ত। সবাই ক্ষিপ্ত শারলক হোমসের এই অমানবিক ও অকাল প্রস্থানে। স্যার আর্থার শারলকের খুনি হিসেবে পথে ঘাটে লাঞ্চিত হতে লাগলেন সাধারন মানুষ দ্বারা। এরই মাঝে একদিন অনেক চিঠির সাথে একটা বাক্স আসলো। তিনি তা খুললে একটা বোমা বিস্ফোরিত হয়ে তাঁর স্টাডি ছিন্নবিন্ন করে দিলো। তিনি একই সাথে এক নারীর খুনের কথা জানতে পারলেন, যা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড উদ্ঘাটন করতে পারছে না। স্যার আর্থার সিদ্ধান্ত নিলেন যেহেতু শারলক হোমস আর জীবিত নেই তিনিই হবেন শারলক এবং এই খুনের রহস্যের তদন্ত করবেন। ওয়াটসন হিসেবে তিনি বেছে নিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে। ঘটনাপ্রবাহ ২- সাল ২০১০- হেরাল্ড হোয়াইট মাত্রই বেকার স্ট্রিট ইররেগুলারসে যোগদান করতে পারল। এক ব্রিটিশ শারলোকিয়ান এলেক্স কেল বাৎসরিক শারলোকিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে আসছেন এবং উন্মোচন করবেন স্যার আর্থারের হারিয়ে যাওয়া ডায়েরি। সেই হারিয়ে যাওয়া ডায়েরির সময়কাল হচ্ছে ১৯০০ সালের বসন্তকাল। এলেক্স কি সত্যি শত বছরের হারানো ডায়েরিটা পেয়েছে? তো সে কেন সম্মেলনে এসে পৌছাতে দেরি করছে? নাকি সে খুন হয়েছে??? হেরাল্ড সিদ্ধান্ত নিল এই হারান ডায়েরি খুঁজে বের করার। কি ছিল এই ডায়েরিতে? এমন কিছু কি যা পৃথিবীর অন্য কেউ জানলে কোন ক্ষতি হবে? নাকি শারলোকিয়ান তথা পুরো বিশ্ব নতুন এক অজানা রহস্য জানতে পারবে শারলোক হোমস কে নিয়ে?? এক অপূর্ব দ্বি-স্তরীয় বিশিস্ট প্লট নিয়েই গ্রাহাম মুরের “দ্যা শারলোকিয়ান”। এক অদ্ভুত অদ্বিতীয় রহস্য নিয়ে লেখা। এ এক অপূর্ব গল্প যেখানে মডার্ন এবং ক্লাসিক থ্রিলার এর সমন্বয়ে এক অসাধারন হিস্টোরিকাল ফিকশন। স্যার আর্থার কোনান ডয়েলকে নিয়ে অনেক অজানা সুন্দর মজার তথ্য জানতে পেড়েছি এই বইয়ের মাধ্যমে। এই বইয়ের দুইটি প্লট, কিন্তু প্লটগুলা রিলেটেড কিনা তা আমি বলব না। দুইটি প্লটি দারুন, তবে স্যার আর্থারকে নিয়ে লেখা অংশটুকু এক কথায় স্প্লেন্ডিড। মুগ্ধ হয়ে যাওয়ার মত। লেখক গ্রাহাম মুর যে একজন নতুন লেখক তা বুঝাই যায় নি স্যার আর্থারের অংশে। লেখক এক অসাধারন কেরামতি দেখিয়েছেন ঠিক পুরানো আমলের ক্লাসিক রহস্য গল্পের মত। লেখায় সেই রকমের জাদু ছিল। আগেকার আমলের লেখার স্টাইলের কারনেই স্যার আর্থারের অংশ পড়তে আমার বেশ ভালই সময় লেগেছে। আর অন্যদিকে বর্তমান সময়কালের অংশটুকু যেখানে হেরাল্ড হারান ডায়েরির খোঁজে নামে, যদিও এই অংশটি প্রানবন্ত ছিল কিন্তু স্যার আর্থারের অংশের মত ভালো হয়নি। ধাঁধার সমাধান যদি ভেবে থাকেন ড্যান ব্রাউন টাইপের হয়ে থাকবে, তাহলে আশাহত হবেন। কিন্তু যাই ছিল খারাপ ছিল না। অন্যদিকে ট্রেজার হান্টিং (কন্টেমপোরারির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য) এর ক্ষেত্রে সাধারনত যেখানে দেখা যায় প্রচুর অ্যাকশন, চেজ থাকে এখানে ঠিক তেমন মাত্রায় ছিল না। এই অংশটুকুকে মোটেও ক্লাসিক বলা যাবে না। তবে খারাপ হয়নি। অনেকের কাছে শুনেছি প্লট খুবই ধীর গতির, অল্প পড়েই আর পড়া যায়নি ইত্যাদি। বইটি শেষ করার পর এই মন্তব্যগুলা আমার কাছে খুবই হাস্যকর লাগছে। সব ট্রেজার হান্টিং / মিস্ট্রি সল্ভ টাইপের থ্রিলার যে সব ড্যান ব্রাউন টাইপের হতে হবে তা কিন্তু না। যারা অল্প পড়ে আর পড়তে পারেন নাই, তাদেরকে বলব আরেকবার হাতে তুলে নেন বইটা, কি মিস করছেন তা বুঝতে পারছেন না। অনুবাদের প্রসঙ্গে কমেন্টের ক্ষেত্রে আমি একটা নীতি ফলো করে থাকি, তা হল অরিজিনাল ইংলিশ না পড়ে অনুবাদ ভালো না খারাপ তা মন্তব্য করা থেকে নিজেকে বিরত রাখা। তবে এই ক্ষেত্রে ইংলিশটা না পড়েই আমি বলছি আমার কাছে অনুবাদ অনেক ভালো লেগেছে। অনুবাদককে ধন্যবাদ। সাথে বাতিঘরকেও এই ধরনের বই আমাদেরকে দেয়ার জন্য। তবে বাতিঘরের বই পড়তে গেলে সবসময় যে কথাটা মনে হয় তা হল, ওদের ছাপাখানায় কোন ভুত বসে থাকে, যে প্রতি পৃষ্ঠায় একটা দুইটা বানা ভুল করে দিয়ে নিজের ডেরায় ফিরে যায়। বাতিঘরকে ঠিক তরুন বলা না গেলেও ওরা এখন আর শিশু না। ২০১৩ সালে প্রকাশ করা একটা বইয়ে এত বানান ভুল থাকলে পড়তে গেলে মেজাজ কিঞ্চিত গরম হতেই পারে। বাতিঘরের আরও সতর্ক হওয়া উচিত এই সিম্পল কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টাতে। আর কারো মনে যদি প্রশ্ন থাকে যে সব গল্প পড়া থাকতে হবে কিনা শারলোক হোমসের এই বই পড়ার জন্য। কোন প্রয়োজনই নেই। তবে ‘অ্যা স্টাডি ইন দ্য স্কারলেট’ এবং ‘দ্য এডভেঞ্চারস অফ দ্য ক্রুকেড ম্যান’ পড়া থাকলে নিজেকে গোয়েন্দা ভেবে পড়তে আরেকটু বেশী মজা লাগবে। তবে মোটেও জরুরী না। শারলক প্রেমীরা দেরি না করে হাতে তুলে নেন “দ্য শারলোকিয়ান”।