User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
এই বই পড়লে এমন সব সত্যের মুখোমুখি হতে হবে যেগুলো কখনো শুনেন নাই। এই ইতিহাস কখনোও আওয়ামী লীগের লোকজন শুনতে চাইবেনা আওয়ামী লীগের নেতৃত্যের ব্যর্থতা বহু জায়গায় পরিষ্কার হয়ে উঠবে। আমাদের পাঠ্য বইয়ে এই সকল ইতিহাসও থাকা উচিৎ, সত্য জানা উচিৎ নচেৎ তা থেকে শিক্ষা নেবার সুযোগ হারিয়ে যায় এবং কালের পরিক্রমায় মানুষ একই ভূল আবারও করে।
Was this review helpful to you?
or
nice book
Was this review helpful to you?
or
BEST
Was this review helpful to you?
or
true history hidden
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই কিন্তু প্রিন্ট খুব একটা ভালো না
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
A reasonable book. not too good. but not too shabby either
Was this review helpful to you?
or
One
Was this review helpful to you?
or
মুক্তযুদ্ধ কে জানার জন্য নিঃসন্দেহে বই ভালো।
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভাল
Was this review helpful to you?
or
Vallage nai khub ekta..google tranlator use korse naki?
Was this review helpful to you?
or
এটাতো আমাদের জানা , কিন্তু ভারত 1971 এ রক্তের বন্ধু 1947 বিরোধিতা করল কেন? এই প্রশ্নের জবাব কি।
Was this review helpful to you?
or
Thoroughly enjoyed the dark side of the history
Was this review helpful to you?
or
তথ্যবহুল ও সুন্দর একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
বিতকৃত বই এগুলো
Was this review helpful to you?
or
কিছু কিছু অংশ সত্য কিনা বলা মুশকিল
Was this review helpful to you?
or
ভালো ছিলো
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ দ্য রেইপ অব বাংলাদেশ মূল লেখকঃ অ্যান্থনী ম্যাসকারেনহাস অনুবাদকঃ রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী ভাষাঃ বাংলা ঘরনাঃ মুক্তিযুদ্ধ বইয়ের পৃষ্ঠাঃ ১৬৪ বিনিময় মূল্যঃ ১৭৬ টাকা প্রকাশনীঃ হাক্কানী পাবলিশার্স ব্যক্তিগত অনুযোগ (রেটিং): ৪.৬/৫ অ্যান্থনী ম্যাসকারেনহাস এই বইতে খুব নিপুণাকারে ’৬৯ এর ২৬ মার্চে ইয়াহিয়া খানের গদিতে বসা থেকে শুরু করে ’৭১ এর এপ্রিল পর্যন্ত.... পুরো সময়কালকে তুলে ধরেছেন, দেখিয়েছেন পাকবাহিনীর নৃশংসতাকে। লিখেছিলেন স্বাধীনতা আর দুর্বিপাকের গল্পগুচ্ছ নিয়ে। পুরো বইটিকে তিনি বেশ কিছু অধ্যায়, পর্ব বিভক্ত করেছেন, উল্লেখযোগ্য অধ্যায়গুলোর মধ্যেঃ (ক) পাকিস্তানের দুর্বিপাকের পূর্ববঙ্গ, (খ) পাকিস্তান পতনের কারণগুলোর যৌক্তিকতা, (গ) পাকিস্তানে সংঘর্ষের মূল কারণগুলো, (ঘ) অর্থনৈতিক বৈষম্য, (ঙ) পাকিস্তানি শাসকচক্রের বিশ্বাসঘাতকতা, (চ) এক নতুন সূচনা পর্ব, (ছ) ১৯৭০: নির্বাচন-পূর্ব টালবাহানা, (জ) ১৯৭১ : নির্বাচনোত্তর প্রহসন, (ঝ) পাক-সামরিক বাহিনীর অভিযান, (ঞ) অবিস্মরণীয় পঁচিশ দিন, (ট) গণহত্যা, (ঠ) গোয়েবলসের পুনরাগমন, (দ) আশি লাখ লোক কেন মারা যাবে? (ধ) কেন বাংলাদেশ? সহ বেশকিছু। ‘দ্য রেইপ অব বাংলাদেশ’ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের তথ্যভিত্তিক একটি বই, যা দেশের জন্য, দেশের আগামী প্রজন্মের জন্য কষ্টিপাথর স্বরূপ। বইটির শুরু থেকে তিনি ২৫ মার্চের কালরাত্রির প্রেক্ষাপট, হানাদারদের প্রস্তুতি এবং পাকিস্তানিদের বৈষম্যমূলক নীতিও তুলে ধরেছেন। একইসাথে তিনি, ‘পাকিস্তান পতনের কারণগুলোর যৌক্তিকতা,’ ‘পাকিস্তানে সংঘর্ষের মূল কারণগুলো,’ অধ্যায়ে পাকিস্তানের পতন এবং এর কারণগুলো খুঁজতে চেষ্টা করেছেন। ‘এক নতুন সূচনা পর্ব,’ এবং ‘১৯৭০: নির্বাচন-পূর্ব টালবাহানা,’ অধ্যায়ে লেখক নির্বাচনোত্তর বিভিন্ন প্রতারণা, টাল বাহানার বিশদ বিবরণ বর্ণিত করেছেন। নির্বাচনে ১৬৭ আসন পাওয়া আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি, জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করা, জনরোষের উর্ধ্বগতি প্রভৃতি বিষয় বর্ণনা করেছেন। ‘পাক-সামরিক বাহিনীর অভিযান’ অধ্যায়ে বর্বর হানাদারদের ঢাকায় সৈন্যসমাবেশ, প্রস্তুতি ও অভিযান... ইত্যাদি বর্ণনা করেছেন, ‘অবিস্মরণীয় পঁচিশ দিন’ অধ্যায়ে ১৯৭১ সালের মার্চের ১ থেকে ২৫ তারিখ এই স্মরণীয় ২৫ দিনের ঘটনা প্রবাহের বর্ণনা রয়েছে। পরবর্তী অংশে রয়েছে গণহত্যা ও পাকিস্তানিদের নিষ্ঠুরতার বিবরণ। ‘গোয়েবলসের পুনরাবির্ভাব’ অধ্যায়ে পাকিস্তানি তথ্যমন্ত্রণালয়ের নির্লজ্জ অপপ্রচার ও পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের নিষ্ক্রিয় দর্শক ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন লেখক। ‘আশি লাখ লোক কেন মারা যাবে’ শিরোনামের অধ্যায়ে, লেখক ’৭০ এর নভেম্বর হতে ’৭১ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দুটি বিরাট বিপর্যয়- ঘূর্ণিঝড়-জ্বলোচ্ছ্বাস এবং পাকবাহিনীর গণহত্যায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যার প্রাচুর্য ও ব্যাপক প্রাণহানিতে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়া পূর্ব পাকিস্তানের দুর্দশার চিত্র ফুটে উঠেছে। নিজের পাঠ প্রতিক্রিয়ায় বলতে গেলে বেশ বড় হয়ে যাবে লেখাটি, একইসাথে নিজের ভিতরের আক্রোশগুলো ফেটে উঠবে। বাংলাদেশের জন্ম, সৃষ্টি, বেঁচে উঠা আর সাত লক্ষ প্রাণের দেশ নিয়ে গড়ে উঠে বইটি। পূর্ববাংলায় পাকিস্তানিদের বর্বরতাকে তিনি হিটলার ও নাৎসীবাদের অমানুষিক বর্বরতার চেয়েও ভয়াবহ বলে বইটির ভূমিকায় লিখেছেন। বাংলাদেশ সৃষ্টির সংগ্রাম,ত্যাগ,তাৎপর্য উপলব্ধিতে অতুলনীয় একটি বই। তিনি এ অমানবিক নৃশংসতার চিত্র বিশ্ববাসীকে জানানোর সংকল্প নিয়ে ১৯৭১ এর মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে লন্ডনে পাড়ি জমান। সেখানে তিনি সবকিছু তুলে ধরেন ‘সানডে টাইমস’এ; ১৯৭১ এর ১৩ জুন 'সানডে টাইমস' পাকিস্তানের গণহত্যার সম্পূর্ণ কাহিনী ফাঁস করে দেয়। ঐ সকল খবরের যুক্তিসংগত অনুসিদ্ধান্ত হলো ‘দ্য রেইপ অব বাংলাদেশ’ গ্রন্থটি, যার বঙ্গানুবাদও হয়েছে ‘বাংলাদেশ লাঞ্ছিতা’ নামে। খুব টানটান উত্তেজনা পাবেন বইটি পড়তে গিয়ে, পাঠকদের, বইপ্রেমীদের এবং স্বাধীনতা প্রিয় প্রত্যেক পাঠককে এই বইটি পড়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি....
Was this review helpful to you?
or
নাম : The Rape of Bangla Desh লেখক : অ্যান্থনি ম্যাসকারেনহাস প্রথম প্রকাশ : ১৯৭১ খ্রি. অ্যান্থনি ম্যাসকারেনহাস একজন পশ্চিম পাকিস্তানি সাংবাদিক হয়েও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজের জীবনের ঝুকি নিয়ে যে সাহসী কলম চালিয়েছিলেন তা ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে। একজন বাংলাদেশি হিসেবে তার ঋণ কখনো শোধ করতে পারবোনা, তাকে শুধু শ্রদ্ধাই দেখাতে পারবো।..... ১৯৭১ সালে অক্টোবর মাসে প্রকাশিত অ্যান্থনি ম্যাসকারেনহাসের The Rape of Bangla Desh নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি ঐতিহাসিক গ্রন্থ। তিনি এই গ্রন্থে পাকিস্তানি শাসকদের নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেছেন। লেখক এতে নির্বচনের নামে প্রহসন, নির্বাচন উত্তর পাক হানাদারদের দাবা খেলা তাদের গণহত্যার চিত্র, পাক আর্মির মনোভাব, সংবাদপত্রে বাংলাদেশের অবস্থা নিয়ে ক্রমাগত ভুল সংবাদ উপস্থাপন, বাংলাদেশ সম্পর্কে পাকিস্তানের সাধরণ মানুষের ধারণাকে তুলে ধরছেন। তাছাড়াও লেখক আলোচনা করেছেন আওয়ামীলীগের কথা, আওয়ামীল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সরলতা এবং অদূরদর্শিতার বেশ ভালোভাবে উপস্থাপন করেছেন। সর্বশেষ ১৯৭১ আক্টোবরেই লেখক বলেছিলেন কোনো অলৌকিক ঘটনা না ঘটলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিশ্ববাসী অস্বীকার করতে পারবে না, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এখন শুধুই সময়ের ব্যাপার।..... গ্রন্থটি ড. মাযহারুল ইসলাম " বাংলাদেশ লাঞ্ছিতা " নামে অনুবাদ করেছেন। অনুবাদ খুব ভালো লেগেছে। পড়তে গিয়ে কখনো মনেহয় নি আমি কোনো অনুবাদ বই পড়তেছি।
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর গুছানো একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ে অসম্ভব ভাল লেগেছে। কিন্তু যেসব সত্যের কথা এখানে লেখা আছে তা গ্রহন করা সবার জন্য সম্ভব না ও হতে পারে।বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা প্রথম বই, আমার কাছে যতেষ্ট নিরপেক্ষই মনে হয়েছে।কিন্তু যারা সরাসরি রাজনীতির সাথে জড়িত তাদের কাছে সবটা গ্রহনযোগ্য নাও হতে পারে।
Was this review helpful to you?
or
সম্পূর্ণভাবে সন্তুষ্ট৷ ?
Was this review helpful to you?
or
Awesome
Was this review helpful to you?
or
অ্যান্থনী ম্যাসকারেনহাস, বাংলাদেশী জ্ঞানপিপাসুদের নিকট একটি অত্যান্ত কাছের একটি নাম, যিনি গোটা জাতির ইতিহাস সুনিপুণ লেখনীর মাধ্যমে পৃথিবীর নিকট উপস্থাপন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তথ্য জানবার জন্য এই বইটি অতুলনীয়।
Was this review helpful to you?
or
'দ্য রেইপ অব বাংলাদেশ' বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যভিত্তিক এই বইটির লেখক উপমহাদেশের বিখ্যাত সাংবাদিক অ্যান্থনি ম্যাসকারেন্হাস। ১৯৭১ সালের ১৪ই এপ্রিল অ্যান্থনিসহ আরো কয়েকজন সাংবাদিক পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে ঢাকা আসেন 'পূর্ব পাকিস্তানে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে' এই মর্মে সংবাদ পরিবেশনের জন্য। কিন্তু, পূর্ববাংলায় পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংস বর্বরতা হতবাক করে তাঁকে,স্তম্ভিত হয়ে ভাবেন এ বর্বরতা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার কথা। পূর্ববাংলায় পাকিস্তানিদের বর্বরতাকে তিনি হিটলার ও নাৎসীবাদের অমানুষিক বর্বরতার চেয়েও ভয়াবহ বলে বইটির ভূমিকায় লিখেছেন। তাই, তিনি এ অমানবিক নৃশংসতার চিত্র বিশ্ববাসীকে জানানোর সংকল্প নিয়ে ১৯৭১ এর মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে লন্ডনে পাড়ি জমান। সেখানে তিনি সবকিছু তুলে ধরেন 'সানডে টাইমস'এ; ১৯৭১ এর ১৩ই জুন 'সানডে টাইমস' পাকিস্তানের গণহত্যার সম্পূর্ণ কাহিনী ফাঁস করে দেয়। ঐ সকল খবরের যুক্তিসংগত অনুসিদ্ধান্তই হল দ্য রেইপ অব বাংলাদেশ গ্রন্থটি,যার বঙ্গানুবাদও হয়েছে 'বাংলাদেশ লাঞ্ছিতা' নামে। পরিশিষ্ট ছাড়াও বইটি মূলতঃ চৌদ্দটি অংশে বিভক্ত- ১ম অংশে তিনি বইটির প্রস্তাবনায় 'দুর্বিপাক' শিরোনামে ২৫ মার্চের কালরাত্রির প্রেক্ষাপট, হানাদারদের প্রস্তুতি ইত্যাদি তুলে ধরেছেন, এবং পাকিস্তানিদের বৈষম্যমূলক নীতিও তুলে ধরেছেন নিরপেক্ষভাবে ৪র্থ অংশে। ২য় অংশে পাকিস্তানের পতন কেন এবং তার কারনসমূহ খুজঁতে চেষ্টা করেছেন প্রাকস্বাধীনতা যুগে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের বৈরী সম্পর্ক সৃষ্টি ও বিকাশ। পরিণতিতে সৃষ্ট সংঘাতের স্বরুপ, কারণ প্রভৃতিও অনুসন্ধানের প্রচেষ্টা করেছেন। পরবর্তী অংশে পাকিস্তানিদের বিরাট বিশ্বাসঘাতকতার স্বরুপ উন্মোচন করেছেন। পাকিস্তান রাষ্ট্রসৃষ্টির মূলনীতির প্রতি শাসকগোষ্ঠীর বিশ্বাসঘাতকতা, গণতন্ত্রকে পদদলিত করা- এসব বিষয় তুলে ধরেছেন যুক্তির নিরিখে। এক নতুন পর্ব শীর্ষক অধ্যায়ে ইয়াহিয়া যুগের সূচনা, তার ব্যক্তিগত আচরণ, প্রতিশ্রুতি বর্ননার পাশাপাশি আরেকটি বড় বিশ্বাসঘাতকতার ইঙ্গিত দেন লেখক। পরবর্তী অংশে 'নির্বাচন-পূর্ব টালবাহানা' শিরোনামে ইয়াহিয়ার নির্বাচন-শাসনতন্ত্র সংস্কার সংক্রান্ত ভাষণের বিশ্লেষণ-তাতে বাঙ্গালির প্রতি অবহেলার চিত্র ফুটিয়ে তোলেন অ্যান্থনি। পরের অংশে নির্বাচনোত্তর প্রতারণার বিবরণ বর্ণিত হয়েছে। নির্বাচনে ১৬৭ আসন পাওয়া আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি, জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করা, জনরোষের উর্ধ্বগতি প্রভৃতি বিষয়ে সবিস্তৃত বর্ণনা রয়েছে। 'পাক-সামরিক বাহিনীর অভিযান' অধ্যায়ে বর্বর হানাদারদের ঢাকায় সৈন্যসমাবেশ, প্রস্তুতি ও অভিযান -বর্ণিত হয়েছে। 'পচিঁশটি স্মরনীয় দিন' অধ্যায়ে ১৯৭১ সালের মার্চের ১-২৫ তারিখ এই স্মরণীয় ২৫ দিনের ঘটনাপ্রবাহের বর্ণনা রয়েছে। পরবর্তী অংশে রয়েছে গণহত্যা ও পাকিস্তানিদের নিষ্ঠুরতার বিবরণ। 'গোয়েবল্সের পুনরাবির্ভাব' অধ্যায়ে পাকিস্তানি তথ্যমন্ত্রণালয়ের নির্লজ্জ অপপ্রচার ও পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের নিষ্ক্রিয় দর্শক ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন লেখক। 'আশি লাখ লোক কেন মারা যাবে' শিরোনামের অধ্যায়ে- সত্তরের নভেম্বর হতে একাত্তরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দুটি বিরাট বিপর্যয়- ঘূর্ণিঝড়-জ্বলোচ্ছ্বাস, এবং পাকবাহিনীর গণহত্যায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যার প্রাচুর্য ও ব্যাপক প্রাণহানিতে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়া পূর্ব পাকিস্তানের দুর্দশার চিত্র ফুটে উঠেছে। সর্বশেষ অধ্যায় 'বাংলাদেশ কেন?'তে এই প্রশ্নের উত্তরে যৌক্তিক সমাধান টেনেছেন লেখক। পরিশিষ্টে রয়েছে-'বঙ্গবন্ধুর ছয়দফা', ভাষণ, ছাত্রসমাজের এগারো দফা এবং ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ এর মার্চ পর্যন্ত ঘটনাপঞ্জি। বইটিকে সমৃদ্ধ করেছে বঙ্গবন্ধুর ছবি,অ্যান্থনি ম্যাসকারেন্হাসের জীবনপরিচিতি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ 'হানাদারদের অত্যাচারের নিদর্শনস্বরুপ পেশকৃত ১১টি দুর্লভ ছবি-যা নাড়া দেয় প্রতিটি মানুষের বিবেককে, হৃদয়ে ঘটায় রক্তক্ষরণ।